Tag: election news

election news

  • West Bengal BJP leaders: আরও ২৮ রাজ্য বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, অনুমোদন কেন্দ্রের

    West Bengal BJP leaders: আরও ২৮ রাজ্য বিজেপি নেতাকে ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী শনিবার ১ জুন রাজ্যে রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। বারাসত, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিন ও কলকাতা উত্তর এই ৯ কেন্দ্রে ভোট রয়েছে শেষ দফায়। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও ২৮ জন বিজেপি নেতাকে (West Bengal BJP leaders) ‘এক্স’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা (‘X’ category security) দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালি, দুই ২৪ পরগণা, মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা কর্মীদের এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি বিজেপি নেতাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিশেষ নিরাপত্তা দিচ্ছে। রাজ্যে বর্তমানে ১২৫ জনের থেকে বেশি বিজেপি নেতৃবৃন্দ এবং কর্মীকে কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

    এক্স ক্যাটেগরি নিরাপত্তার আওতায় কারা? 

    উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা (‘X’ category security) দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন উত্তর কলকাতা বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষও। এছাড়াও বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে এক্স ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এবার শেষ দফা ভোটের আগে রাজ্যের আরও ২৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীদের (West Bengal BJP leaders) এক্স ক্যাটেগরি সুরক্ষা প্রদানে অনুমোদন দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    প্রাণের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপত্তা প্রদান

    যদিও আগে থেকেই বিজেপির সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্য স্তরের নেতাদের এক্স ক্যাটেগরির নিরাপত্তা (‘X’ category security) দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে, ততই বিভিন্ন জায়গা থেকে কমবেশি রাজনৈতিক উত্তেজনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ইতিমধ্যেই প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি আর এক দফা। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীদের (West Bengal BJP leaders) নতুন করে এই নিরাপত্তা প্রদানের বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রত্যেকের প্রাণের ঝুঁকি ও তাঁদের উপর আক্রমণ আসতে পারে আশঙ্কা করে এই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    Lok Sabha election 2024: ষষ্ঠ দফায় কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়ল? তথ্য প্রকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha election 2024) প্রথম ছয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। আর ভোটের এই আবহে বাকি পাঁচ দফার মত এবার ষষ্ঠ দফায় দেশ জুড়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে দেশ জুড়ে। এর মধ্যে বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্মু ও কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওডিশার ৬টি, উত্তর প্রদেশের ১৪টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হয়েছে। 
    নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে সারা দেশ জুড়ে আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৮টি আসনে ভোট (Lok Sabha election 2024) দানের হার ৬৩.৩৭ শতাংশ। ষষ্ঠ দফায় ১১,১৩,১৬,৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৭,০৫,৪৪,৯৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে কমিশনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ ভোটারদের হার ৬১.৯৫ শতাংশ, মহিলা ভোটারদের হার ৬৪.৯৫ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটের হার ১৮.৬৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। 

    রাজ্যের কোন কেন্দ্রে কত ভোট পড়ল? 

    তবে শুধু ভোট দানের হারই নয় একইসঙ্গে কোন কেন্দ্রে কত ভোট (Lok Sabha election 2024) পড়েছে, রবিবার সে তথ্যও প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের আট কেন্দ্রে ভোট পড়ার গড় হার ৮২.৭১ শতাংশ। এবার আট কেন্দ্রের মধ্যে শীর্ষে বিষ্ণুপুর। সেখানে ভোট পড়েছে ৮৫.৯১ শতাংশ। বিষ্ণুপুরের পরেই আছে তমলুক। সেখানে ভোটের হার ৮৪.৭৯ শতাংশ। কাঁথির ভোটের হার ৮৪.৭৭ শতাংশ। ঝাড়গ্রামে এবার ৮৩.৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ঘাটালে ভোট পড়েছে ৮২.১৭ শতাংশ। মেদিনীপুরে ভোটের হার ৮১.৫৬ শতাংশ। বাঁকুড়ায় ভোটের হার ৮০.৭৫ শতাংশ। তবে পুরুলিয়ায় ভোটের হার সর্বনিম্ন। সেখানে এবার ভোট পড়েছে ৭৮.৩৯ শতাংশ।   

    দেশের কোন রাজ্যে কত ভোট পড়ল? (Lok Sabha election 2024)

    অন্যদিকে কমিশনের (Election Commission) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে রেকর্ড ভোট পড়েছে। সেখানে ভোটের হার ৫৮.৬৯ শতাংশ। হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬৪.৮০ শতাংশ৷ ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডে যথাক্রমে ৭৪.৪৫ শতাংশ এবং ৬৫.৩৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।  
    কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ষষ্ঠ দফায় পুরুষদের তুলনায় মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমন বিহারে মহিলা ভোটারের হার ৬২.৯৫ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটারের হার ৫১.৯৫ শতাংশ। একইভাবে উত্তর প্রদেশে মহিলা ভোটারের হার ৫১.৩১ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৫৭.১২ শতাংশ। বিহার, উত্তর প্রদেশের মত পশ্চিমবঙ্গের ছবিও এক। এ রাজ্যে মহিলা ভোটারের হার ৮৩.৮৩ শতাংশ ও পুরুষ ভোটারের হার ৮১.৬২ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: পড়াশোনা শেষ হলেই ছাড়তে হবে হস্টেল! কড়া নির্দেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    তবে কমিশন তার বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে যে, এই ভোটদানের হারের মধ্যে পোস্টাল ব্যালট অন্তর্ভুক্ত নয়। চূড়ান্ত ভোটদানের ফলাফল ৪ জুন পোস্টাল ব্যালট গণনা এবং মোট ভোট (Lok Sabha election 2024) গণনার সাথে যুক্ত হওয়ার পরে জানা যাবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: সপ্তম দফায় নজর সন্দেশখালিতে, গণনায় জারি বিধিনিষেধ

    Loksabha Election 2024: সপ্তম দফায় নজর সন্দেশখালিতে, গণনায় জারি বিধিনিষেধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছয় দফা নির্বাচন ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। সপ্তম দফায় কমিশনের বাড়তি নজরদারি থাকবে বসিরহাটের সন্দেশখালিতে। সপ্তম দফায় ১ জুন নির্বাচন হবে। নির্বাচন (Loksabha Election 2024) শান্তিপূর্ণ করতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ফল প্রকাশের দিন গণনা কেন্দ্রগুলিতে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালানো হবে। শুধুমাত্র রিটার্নিং অফিসার ও গণনা পর্যবেক্ষকরা গণনা কেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন। সাংবাদিকরা মোবাইল নিয়ে যেতে পারবেন শুধুমাত্র প্রেস বক্স পর্যন্ত। রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এজেন্টরা গণনা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ জারি করেছে কমিশন।

    রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এজেন্টদের গণনাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ

    প্রথম তিন দফার ভোট যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গে চতুর্থ দফা থেকে বাড়তে শুরু করেছে উত্তেজনা। ষষ্ঠ দফায় বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বিরোধীদলের উপর আক্রমণ, প্রার্থীকে আটকে দেওয়া, এজেন্টকে মারধর, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা সহ আরও নানান অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এরই মাঝে সোমবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ সিসিটিভি ও ইভিএম বদলে ফেলার চেষ্টার মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন।

    আরও পড়ুন: : সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল কমিশন

    প্রায় একই অভিযোগে মঙ্গলবার গণনা কেন্দ্রে ছুটে গিয়েছেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই সপ্তম দফা এবং গণনা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শেষ দফার ভোটের (Loksabha Election 2024) দিন ইভিএম মেশিন এর ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে, গণনার দিন কেবলমাত্র রিটার্নিং অফিসার এবং গণনা পর্যবেক্ষকরা মোবাইল নিয়ে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন এছাড়া রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর এজেন্ট সহ বাকিদের ক্ষেত্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।

    কলকাতা এবং শহরতলীসহ মোট ৯ আসনে ভোট সপ্তম দফায়

    সপ্তম দফায় কলকাতা এবং শহরতলীসহ মোট ৯ আসনে ভোট ( Loksabha Election 2024 ) গ্রহণ হবে। তবে সেদিন অতিরিক্ত নজর থাকবে সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালির প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ন্যুনতম এক সেকশন আধা সেনা মোতায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এছাড়াও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের যে সমস্ত দ্বীপ এলাকায় ভোট রয়েছে, সেখানে আগে থেকে সিকিউরিটি মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বারুইপুর, সুন্দরবন, বসিরহাট পুলিশ জেলাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই সেখানে বিশেষ নজরদারি থাকবেন নির্বাচন কমিশনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: সপ্তম দফার আগে বসিরহাটের এসডিপিও সহ তিন পুলিশ কর্তাকে সরাল কমিশন

    Loksabha Election 2024: সপ্তম দফার আগে বসিরহাটের এসডিপিও সহ তিন পুলিশ কর্তাকে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের একেবারে শেষ বেলায় ফের বঙ্গ পুলিশে রদবদল। বসিরহাট পুলিশ জেলার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খানের বদলির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সন্দেশখালির আন্দোলন চলাকালীন আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে ভোটের (Loksabha Election 2024) কোনও কাজে আমিনুলকে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রায়কেও বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকারকেও বদলি করা হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকের হয়ে কাজ করার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত লোকসভা ভোট চলাকালীন রাজ্য পুলিশের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে নানান জায়গায় শাসকের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। ভোট (Loksabha Election 2024) চলাকালীনও দেখা গেছে শাসকদলের কোন নেতা বিক্ষোভের মুখে পড়লে পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রার্থীরা আক্রান্ত হলে ঘন্টার পর ঘন্টা পুলিশকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।

    আরও পড়ুন: হুগলিতে ইভিএম বদল হতে পারে! আশঙ্কায় স্ট্রং রুমে হানা দিলেন লকেট

    শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “১৫ জন আইপিএস অফিসারকে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে ময়দানে নামিয়েছিল শাসক দল। তাঁরা বিজেপি এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের জন্য ভোট করিয়েছে।” শুধু বিজেপি নয় রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েকজন আইপিএস অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীও।

    আরও কয়েকজন আধিকারিককে সরিয়ে দিল কমিশন

    এর আগে কলকাতা দক্ষিণের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক রশ্মী কমলকে ও নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের অতিরিক্ত জেলা শাসক দিব্যা লঙ্গনাথনকেও নির্বাচনী কোনও দায়িত্বে না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তাঁদের নির্বাচনের (Loksabha Election 2024)  কোন দায়িত্বে না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। দুজনের বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার যে তিনজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের বিকল্প হিসেবে মাথাপিছু তিনটি করে নামের সুপারিশ করতে হবে। এই নামগুলির মধ্যে তিনজনকে পরবর্তী আধিকারিক হবেন তা বেছে নেবে কমিশন। প্রসঙ্গত যে আমিনুলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে শেখ শাহজাহানের মোবাইল গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোনটি রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এই আমিনুল ইসলাম খান। সিবিআই এবং ইডি শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত করলেও তাঁদের হাতে এখনও শাহজাহানের মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনের হদিশ পেতে আমিনুলের বাড়ি এবং দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    Lok Sabha Election 2024: ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ের পর সেই বিষয়েই মন্তব্য করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar)। শনিবার ষষ্ঠ দফায় দিল্লিতে ভোট দিতে এসে রাজীব কুমার জানান, এ বছর লোকসভা ভোট যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে এগোচ্ছে। এর মধ্যে ভোট দানের হার প্রকাশিত না হওয়ায়াই ভালো। এতে ভোটারদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।

    তিন প্রজন্মের একসঙ্গে ভোটদান 

    এদিন রাজীব কুমার তাঁর বাবা, স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে এসে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন প্রতিটি নাগরিকের জন্য ভোট দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান তার বাবার সাথে প্রথম ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “তিন প্রজন্ম একসঙ্গে ভোট দেওয়াটা গর্বের বিষয়।” একই সঙ্গে তিনি এ দিন সেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত প্রত্যেকজন ভোটারকে ভোটদানে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।

    আরও পড়ুন: প্রথম কোনও ভারতীয় কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হলেন, ইতিহাস কলকাতার অনসূয়ার

    কমিশনের প্রশংসা 

    এদিন রাজীব কুমার জানান প্রথম পাঁচ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) যথেষ্ট ভালোভাবে নিজের দায়িত্ব সামলেছে কমিশন। একই সঙ্গে কমিশনের প্রশংসা করে  তিনি বলেন, ভোটের জন্য কমিশনের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপ রাজ্যে ভোটদানের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ দফার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দেশের ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৮৮৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে ১১.১৩ কোটিরও বেশি ভোটার। ষষ্ঠ দফায় বিহারের ৮টি, হরিয়ানার ১০টি, জম্বু কাশ্মীরের ১টি, ঝাড়খণ্ডের ৪টি, দিল্লির ৭টি, ওড়িশার ৬টি, উত্তরপ্রদেশের ১৪ টি এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি আসনে ভোটগ্রহন হয়েছে। একই সঙ্গে ওড়িশার ৪২ টি বিধানসভা কেন্দ্রেও এদিন ভোটগ্রহণ হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে দায়ের করা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় পুলিশি তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুন।  

    পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল আদালতে

    আদালত জানিয়েছে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেই এফআইআরের ভিত্তিতে নতুন করে আর কাউকে তলব করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর ১০ জুন। ততদিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: : নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যপাল নাকি তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণীর। এর পাল্টা রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে বলেছিলেন তিনি দিদিগিরি বরদাস্ত করবেন না। অর্থাৎ শাসকদলের সুপ্রিমর অঙ্গুলিহেলনে এই অভিযোগ হয়েছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল রাজ্যপালের (C V Anand Bose)। প্রথমে মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করে তাঁকে ছেড়ে দিলেও পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় জমা পড়ে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে লালবাজার। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিংহ সহ রাজভবনের তিনজন কর্মীকে ৪১ (এ) ধারায় নোটিশ পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ।  

    পুলিশ সহযোগিতা করেনি, অভিযোগ রাজভবনের কর্মীদের

    রাজভবনের কর্মীদের অভিযোগ, স্পষ্টভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও কলকাতা পুলিশ খোলসা করে তাঁদের কিছু বলেনি। তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। রাজভবনের কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ ছিল পুলিশ তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। ওই আবেদনের শুনানির দিনই সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশের তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের স্থগিতাদেশ চলে আসায় কলকাতা পুলিশের মুখ পুড়েছে এই মামলায়। রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে মামলা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেই তত্ত্ব আরও জোরালো হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি! পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি! পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মাঝে আর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোন বড় পদক্ষেপ করতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহা। কোলাঘাট থানার এফআইআরের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ বহাল থাকবে ১৭ই জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুলিশ বা কোন এজেন্সি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশের ভভিযোগ

    প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যে বেলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল তাঁর কোলাঘাটের বাড়িতে তল্লাশির নাম করে কোনও কিছু ঢুকিয়ে দিতে চাইছিল পুলিশ। এমনকি যারা পুলিশ সেজে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এই অভিযান চালায় পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ ছিল শুভেন্দুর। সার্চ ওয়ারেন্ট এবং ভিডিওগ্রাফি ছাড়া পুলিশ কীভাবে অভিযান চালাতে পারে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর বাধার মুখে পড়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদানসহ একাধিক ধারায় মামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দ্বারস্ত হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    রাজনৈতিক কারণে হেনস্থা অভিযোগ শুভেন্দুর

    শনিবার তমলুক লোকসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে। তাঁর আগে যাতে নতুন করে পুলিশি অভিযান না হয় বিরোধী দলনেতার তরফ থেকে এই আবেদন জানানো হয়েছিল। রাজনৈতিক কারণেই তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দেয় ভোটের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে বড় কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এর আগেও হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। সেই রক্ষাকবচ বহাল রইল। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, “এই সময়ের মধ্যে জরুরি কোনও নির্দেশের প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে পুলিশ।”

    আরও পড়ুন: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    “অনুসন্ধান না করেই চলে গেল পুলিশ” মন্তব্য বিচারপতির

    শুক্রবার আদালতের শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী, বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি ছিল, “২০ মে কোন সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোলাঘাটের ওই অফিস তথা অস্থায়ী বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, অফিসে বোমা, অস্ত্র ও নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছিল। যদিও সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।” এর পাল্টা রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, “এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। যে বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল সেটা শুভেন্দু অধিকারীর নয় সুরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির। পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তারই তদন্ত করতে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি অমৃত সিনহা মন্তব্য করেন, “পুলিশ কী অভিযোগ পেয়েই চলে গেল। পুলিশ অনুসন্ধান করবে না। কটি ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ পেয়েই চলে যায়। প্রশ্ন তোলেন তিনি।” দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক দিনের পরেই কলকাতা শহরে ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে সপ্তম দফার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের প্রতি কমিশনের বার্তা, রাজ্যের মূল শহর কলকাতা। ঐতিহ্যবাহী এই শহরে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। গণমাধ্যম সহ সকলের নজরে থাকবে এই শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। পাশাপাশি বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাস এই শহরে। সপ্তম দফতেও কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ভোট সংক্রান্ত নিরাপত্তা যথোপযুক্ত রাখতে হবে। এমনই বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    দাগী অপরাধীদের বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক করল কমিশন

    জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোটের (Lok Sabha Election 2024)  দিন গোলমাল পাকাতে পারে এমন দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিতে হবে। দাগী অপরাধীদের বাইরে রাখা চলবে না। দাগী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে কোন গাফিলতি কমিশন বরদাস্ত করবে না। এই নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে। সপ্তম দফায় রাজ্যের যে সমস্ত প্রান্তে ভোট হবে তাঁর একটা বড় এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতাধীন। একদম শেষ দফায় ভোট হবে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর ও মথুরাপুর কেন্দ্র। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশকে কলকাতার উত্তর, দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়াও সামলাতে হবে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবারের কিছুটা অংশ এবং জয়নগরের একটি বড় অংশ।

    কোথায় কত বাহিনী

    লালবাজার সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দাগী অপরাধীদের ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন গোলমাল পাকাবে না।

    আরও পড়ুন: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    এবারের ভোটের কলকাতা পুলিশ ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করবে। এর আগে এত সংখ্যায় কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার হয়নি। এই ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ১২,৭০০ পুলিশ কর্মী ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে ২৩০টি কিউআরটি গঠন করা হয়েছে। শহরে টহল দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের কর্মী এবং আধিকারিকদের নিয়ে ৩৪৭ টি সেক্টর মোবাইল, ২৪০ কিউআরটি মোবাইল এবং ৮০ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। যাদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভোটের আগেই মোতায়েন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে ৫ দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও ২ দফায় ভোটগ্রহণ বাকি। নির্বাচন যতই শেষের দিকে যাচ্ছে ততই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর রাজ্যে ভোটের আবহের মাঝেই এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে বড় স্বস্তি মিলল কমিশনের। সম্প্রতি লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন (Election Commission) যেন তার ওয়েবসাইটে বুথভিত্তিক ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমনই দাবিতে কোর্টে আবেদন জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-র তরফে। ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিলে, কমিশনের ঘাড়ে ভোটের মধ্যে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Supreme Court)

    ২৪ মে শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দুই দফা বাকি আছে। এই অবস্থায়, প্রতিটি বুথের ভোটদানের তথ্য কমিশনের (Election Commission) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে, প্রয়োজনীয় লোকবল সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের বাস্তব পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। তাও আবার, মাঝপথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই চ্যালেঞ্জ করে।”

    আরও পড়ুন: প্রতি বুথে ভোটদানের হার প্রকাশে বিভ্রান্তি বাড়বে, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে দেরি হওয়ার পর এক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আর্জি ছিল লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন যেন তার ওয়েবসাইটে প্রতি বুথে ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তার জন্য নির্দেশ যেন সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে দেয়। তবে এ প্রসঙ্গে কমিশন বলেছিল, নির্বাচনী আইনে কোথাও ভোটদানের তথ্য় প্রকাশ করতেই হবে, এমন কথা বলা নেই। তাছাড়া, এই বিপুল সংখ্যক বুথের তথ্য এত দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরই এই তথ্য তারা প্রকাশ করতে পারবে। কমিশনের (Election Commission) এই বক্তব্যের পর ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    Nandigram: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মনসা বাজার এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ির মা রথীবালা আড়ি। নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়ি বর্তমানে কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

    রাজ্যপালের বার্তা

    অ্যাকশন রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি লোকসভা ভোটে রক্ত স্নান বন্ধ করে আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলার পরামর্শ রাজ্যকে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই ঘটনায় সরাসরি শাসক দলের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এফআইআরেও তাঁদের নাম রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নাম করে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে অভিযোগ তাঁদের।

    রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে অনীহা

    প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত খোঁজখবর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়ার মেজাজে নেই।

    আরও পড়ুন: মারে মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেমন আছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা?

    রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি লোকসভা নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করেছে তা বলতে পারবে কমিশন। নবান্ন বা রাজ্য প্রশাসন নয়। অর্থাৎ এ বিষয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করলেও কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা কমিশনের অজুহাত দেখিয়ে রাজভবনের কাছে পৌঁছে দিতে নারাজ রাজ্য।

    নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কী কারণে মৃত্যু? সে বিষয়েও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে অশান্তি প্রবণ অঞ্চলে রুট মার্চ করানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ভোটের আবহে (Lok Sabha Election 2024) বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। এক মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি (BJP) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথীবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জখমদের তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share