Tag: election

election

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ৮ জানুয়ারি

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ৮ জানুয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) বৈঠক হবে ৮ জানুয়ারি। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ বলেন, “এক দেশ, এক নির্বাচন পরিচালনা করা সহজ কাজ নয়। যৌথ সংসদীয় কমিটি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।” তিনি বলেন, “যখন সংসদীয় কমিটি বসবে, তখন সব বিষয় তাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং আলোচনা করা হবে।”

    যৌথ বিবৃতি (One Nation One Election)

    বামপন্থী দলগুলো সরকারের ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে। সেই কারণেই লোকসভায় দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বামপন্থীদের বক্তব্য, এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও রাজ্য বিধানসভাগুলির অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আক্রমণ। যৌথ বিবৃতিতে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) মুক্তি, বিপ্লবী সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং অল ইন্ডিয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা বলেন, “সংবিধানে প্রস্তাবিত সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং রাজ্য আইনসভা ও তাদের নির্বাচিত জনগণের অধিকারগুলির ওপর সরাসরি আক্রমণ। এটি কেন্দ্রীকরণের একটি রেসিপি এবং আইনসভাগুলির পাঁচ বছরের মেয়াদকে অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে জনগণের ইচ্ছাকে সংকুচিত করার চেষ্টা।”

    আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, কে কী লিখলেন?

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’

    প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন (One Nation One Election) অধিবেশনেই লোকসভায় পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত দুটি বিল। ওই বিলে ভারতের সর্বত্র লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভার জন্য এক সঙ্গে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেছে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার স্বার্থে বিল পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলটি পর্যালোচনার জন্য ৩১ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জন সদস্য লোকসভার। এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং মণীষ তিওয়ারি, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির পিপি চৌধুরী, বাঁসুরি স্বরাজ এবং অনুরাগ সিং ঠাকুর। রাজ্যসভার দশজন সদস্যকেও প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিরোধী দলের সদস্যরা সংশোধনীগুলোর বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের যুক্তি, প্রস্তাবিত পরিবর্তনটি শাসক দলকে অযথা সুবিধা দিতে পারে। যার ফলে রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার অতিরিক্ত প্রভাব পড়বে। ক্ষুণ্ণ হবে আঞ্চলিক দলের স্বায়ত্তশাসন (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল গেল যৌথ কমিটিতে, ৯০ দিনে সিদ্ধান্ত নেবেন ৩১ সাংসদ

    One Nation One Election: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল গেল যৌথ কমিটিতে, ৯০ দিনে সিদ্ধান্ত নেবেন ৩১ সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলেই লোকসভায় (Lok Sabha) পেশ হয়েছে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল। বিলের ওপর হয় ভোটাভুটি। সরকারপক্ষের ঝুলিতে পড়েছে ২৬৮টি ভোট। বিরোধীরা পেয়েছেন ঢের কম ভোট। তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ বেশি ভোট পেলেও, এদিন সভায় পাশ করানো যায়নি বিলটি। তাই বিল দুটি (১২৯তম সংবিধান সংশোধনী বিল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন সংশোধনী) কবে আইনে পরিণত হবে, কবে থেকেই বা কার্যকর হবে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলোচনার জন্য সংশোধনী বিলটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে।

    যৌথ সংসদীয় কমিটি (One Nation One Election)

    এই যৌথ কমিটিতে থাকতে পারেন সর্বাধিক ৩১ জন সদস্য। এর মধ্যে ২১ জনই লোকসভার সদস্য। থাকবেন রাজ্যসভার সদস্যরাও। যৌথ কমিটিতে কোন দলের কতজন সদস্য থাকবেন, তা নির্ভর করে ওই দলের মোট সাংসদ সংখ্যার ওপর। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবারই শেষ হয়ে যাচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে। তবে যেহেতু লোকসভায় বিজেপিই একক বৃহত্তম দল, তাই কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে পদ্ম শিবিরেরই। কমিটির সভাপতি পদেও বসবেন বিজেপির কোনও এক সাংসদ।

    কমিটির মেয়াদ

    সংসদীয় যৌথ কমিটির মেয়াদ থাকতে পারে ৯০ দিন। প্রয়োজনে তা বাড়ানোও যেতে পারে। এই কমিটির কাজ হল, বিল দুটিতে কোথাও কোনও সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা। কমিটি থেকে বেরিয়ে বিল দুটি পাঠানো হবে লোকসভায়। সেখানে পাশ হওয়ার পর (One Nation One Election) ফের যাবে রাজ্যসভায়। সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর বিল দুটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত এই বিল পাশ করাতে সংসদের উভয় কক্ষেই দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার প্রয়োজন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের।

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র ঘোষকে সংবর্ধনা বিজেপির, “এক পাও পিছু হঠব না”, বললেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী

    সূত্রের খবর, বিলটি নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না মোদি সরকার। তাই কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি, সাংসদ, দেশের আইনি ও সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে। আলোচনা করা হতে পারে নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন সদস্যদের সঙ্গেও। মতামত নেওয়া হতে পারে বিধানসভার স্পিকারদেরও। শোনা হবে সাধারণ মানুষের কথাও। সব দিক থেকে সমর্থন মিললে, ২০৩৪ সালে এক সঙ্গে হবে লোকসভা (Lok Sabha) ও বিধানসভার ভোট (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

       

  • One Nation One Election: ভোটাভুটির পর লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কী বললেন অমিত শাহ?

    One Nation One Election: ভোটাভুটির পর লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সলতে পাকানোর কাজ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরেই। শেষমেশ মঙ্গলবার সংসদে পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তাঁর প্রস্তাব, বিলগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত (Lok Sabha)। এদিন যে বিল দুটি পেশ করা হয়েছে, সেগুলি হল সংবিধান (১১৯ সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন সংশোধন বিল, ২০২৪। লোকসভায় বিল দুটি পেশ হতেই সরব হন কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা। বিলের বিরোধিতা করে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরও।

    বিলের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন (One Nation One Election)

    তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, প্রস্তাবিত বিলটি আঘাত করেছে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে। কংগ্রেসের দাবি, বিলটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। বিলটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। দেখা যায়, বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৬৯ জন সাংসদ। বিরোধীরা পেয়েছেন ১৯৮টি ভোট। ব্যাপক হইচইয়ের জেরে এদিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত ঘণ্টাখানেকের জন্য মুলতুবি রাখা হয় সভার কার্যক্রম। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় ব্যবহার হল ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা।

    কী বললেন শাহ

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় জানান, সরকার ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ বিলগুলোকে আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই প্রস্তাব করেছিলেন।” শাহ বলেন, “যখন এক দেশ এক নির্বাচন বিল মন্ত্রিসভায় উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বয়ং বলেছিলেন, এটি (One Nation One Election) সংসদের যৌথ কমিটিতে পাঠানো উচিত। এই বিষয়ে প্রতিটি স্তরে বিশদ আলোচনা হওয়া উচিত।” বিলের স্বপক্ষে ছিল ৩২টি রাজনৈতিক দল। বিরোধিতা করেছে ১৫টি দল। জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি-ও ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিলকে সমর্থন করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রশ্ন হল, বিলটি আইনে পরিণত হলে কবে এক সঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন? জানা গিয়েছে, যদি কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী ছাড়াই বিলগুলি সংসদে পাশ হয়ে যায়, তাহলে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কার্যকর করা যেতে পারে (Lok Sabha) ২০৩৪ সাল থেকেই (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • One Nation One Election: লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কবে থেকে ভোট একযোগে?

    One Nation One Election: লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কবে থেকে ভোট একযোগে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ হল এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) সংক্রান্ত বিল। বিলগুলি কবে আইনে পরিণত হবে, তা নিয়ে কৌতূহল দেশজুড়ে (Joint Polls)। সবারই প্রশ্ন, এই বিল আইনে পরিণত হলে কবে এক সঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন? জানা গিয়েছে, যদি কোনও পরিবর্তন বা সংশোধনী ছাড়াই বিলগুলি সংসদে পাশ হয়ে যায়, তাহলে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কার্যকর করা যেতে পারে ২০৩৪ সাল থেকে।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপ (One Nation One Election)

    ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে অনেক দিন ধরেই একটু একটু করে পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা এ দেশে চালু হলে, তা কতটা বাস্তবসম্মত হবে – সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। মার্চ মাসে সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। ওই কমিটির সুপারিশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিলগুলি তৈরি করা হয়েছে।

    বিল পাশের পদ্ধতি

    বিলগুলি লোকসভায় পেশ হওয়ার পর এবার তা পাঠানো হবে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে। সেই কমিটি বিবেচনা করে দেখবে বিলগুলি। বিলগুলিতে কোথাও সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে সংসদীয় যৌথ কমিটি। এর পরে বিলগুলি নিয়ে ভোটাভুটি হবে লোকসভায়। পাশ হলে (One Nation One Election) রাজ্যসভায় পাঠানো হবে। সেখানে পাশ হলে, পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

    আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া কীভাবে অপরাধ হতে পারে? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট

    এক দেশ এক ভোট বিষয়ক মোট দুটি বিল রয়েছে। সেগুলি হল – সংবিধান ১২৯তম সংশোধনী বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল। জানা গিয়েছে, বিলগুলিতে যে সংশোধনীর কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হল রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ এবং লোকসভার মেয়াদকে একই সময়ের মধ্যে নিয়ে আসা। এই বিষয়গুলি ২০৩৪ সালের আগে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কমই। খসড়া বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এক দেশ,এক নির্বাচনের তারিখ নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন (Joint Polls)। ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর নয়া সরকার গঠন হলেই তা সম্ভব (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • One Nation One Election: সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল

    One Nation One Election: সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার লোকসভায় পেশ হবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) বিল। বৃহস্পতিবারই এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। সোমবার বিলটি লোকসভায় (Lok Sabha) পেশ করবেন আইনমন্ত্রী অর্জুন কাম মেঘওয়াল। পরে আলোচনার জন্য বিলটি পাঠানো হবে জেপিসিতে (জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি)। দীর্ঘ আলোচনা ও ঐক্যমত তৈরির জন্য বিলটিকে জেপিসিতে পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পর সেটা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর মিললেই বিলটি পরিণত হবে আইনে।

    এক দেশ, এক নির্বাচনের সুবিধা (One Nation One Election)

    দীর্ঘদিন ধরেই এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মোদি সরকারের যুক্তি, এক দেশ, এক নির্বাচন হলে লাগাম টানা যাবে নির্বাচনের বিপুল ব্যয়ে। একদিকে যেমন সরকারের খরচ কমবে, তেমনি অন্য দিকে ঝামেলা পোহাতে হবে না সরকারি কর্মীদের। নির্বাচন ঘোষণা হলে লাগু হয় আদর্শ আচরণবিধি। তার জেরে ব্যাহত হয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। খাটুনি কমবে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন হলে, বাড়তে পারে ভোট দানের হারও। বারবার ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় রাজনৈতিক দলের নেতারা আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারবেন মানুষের কাজে।

    আরও পড়ুন: বাংলায় ঢুকেছে বাংলাদেশের দুই ‘হুত’ জঙ্গি, গড়ছে স্লিপার সেল, মডিউল! সতর্কবার্তা গোয়েন্দাদের

    খসড়া বিলের প্রস্তাব

    খসড়া বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) তারিখ নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। এই হিসেবে ২০২৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর নয়া সরকার গঠিত হলে, তার পরেই শুরু হবে প্রসেস। এর পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে চলবে একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। সেক্ষেত্রে ২৯ সালের পর যে যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, ২০৩৪ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় সেই সরকার ভেঙে দেওয়া হবে। ওই নির্বাচন হবে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই। যদি কোনও বিধানসভা বা লোকসভা মেয়াদ শেষের আগেই (Lok Sabha) ভেঙে যায়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনে গঠিত সরকারের মেয়াদ থাকবে অবশিষ্ট সময়ের জন্যই (One Nation One Election)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • One Nation One Election: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    One Nation One Election: উদ্যোগী এনডিএ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল পেশ শীতকালীন অধিবেশনেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হতে পারে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল। সরকারি সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই ইঙ্গিত মিলেছিল, বিলটি পেশ হতে পারে শীতকালীন অধিবেশনে। সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Parliament Session)।

    পেশ হতে পারে বিল (One Nation One Election)

    জানা গিয়েছে, সরকার এই বিলটি পেশ করবে। পরে সেটি পাঠানো হবে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। সূত্রের খবর, জেপিসি সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিশদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। সরকার আলোচনায় বিভিন্ন স্তরের অংশীদারদেরও যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। সমস্ত রাজ্য বিধানসভার স্পিকারদের মতামত নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদেরও যুক্ত করা হবে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, যদি শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পেশ করা নাও হয়, তাহলে বিলটি পেশ হবে বাজেট অধিবেশনে।

    এক দেশ, এক নির্বাচন

    এক দেশ, এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করেছিল মোদি সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। চলতি বছরের মার্চ মাসেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। তার পরেই কোবিন্দ কমিটির প্রস্তাব পাশ হয় মোদির মন্ত্রিসভায়। এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা চালু করতে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্যোগী বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। এই ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। বিলটি পাশ হয়ে আইনে পরিণত হলে সারা দেশে এক সঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হিন্দুরা, ঢাকার সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট জানাল ভারত

    এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। মোদি সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে নির্বাচন করতে যে বড় অঙ্কের টাকা খরচ হয়, তা কমে যাব। তাছাড়া, আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ায় বারবার থমকে যাবে না উন্নয়নমূলক কাজ। সরকারি কর্মীদেরও চাপ কমে যাবে। নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা প্রস্তুত থেকে নানা কাজে যুক্ত হন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের ওপর চাপ পড়ার পাশাপাশি, ব্যাহত হয় (Parliament Session) সরকারি কাজকর্মও। দেশজুড়ে এক সঙ্গে নির্বাচন (One Nation One Election) হলে, বন্ধ হবে এসবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    Maharashtra Assembly Elections: মাত্র ছ’মাসেই মহারাষ্ট্রে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি, কোন মন্ত্রবলে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবধান মাত্রই ছ’মাসের। এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে যে রাজ্যে পদ্মের হাল (Mahayuti) মলিন হয়ে গিয়েছিল, মাত্র ছ’মাস পরেই সেই রাজ্যই পদ্মময়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোটকে ধরাশায়ী করে জয়ডঙ্কা বাজাচ্ছে বিজেপি। এ রাজ্যে গেরুয়া শিবির বলে বলে গোল দিয়েছে বিরোধীদের। লোকসভা নির্বাচনের পর মহারাষ্ট্রের কুর্সি দখলের যে স্বপ্ন বিরোধীরা দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নই বিধানসভা নির্বাচনে খড়কুটোর মতো ভেসে গেল আরব সাগরের জলে। প্রশ্ন হল, কোন মন্ত্রবলে বিজেপির এই ঘুরে দাঁড়ানো আর বিরোধীদের অধঃপতন? আসছি সেই আলোচনায়ই।

    নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল (Maharashtra Assembly Elections)

    বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর হাতে যে ছ’মাস ছিল, সেই সময় নিজেকে গড়েপিটে নিয়েছে মহারাষ্ট্র বিজেপি। শত্রুর ঘরে (পড়ুন বিরোধী শিবিরে) যখন নিত্য বয়ে গিয়েছে অশান্তির চোরাস্রোত, তখন বিজেপি নিশ্চুপে মেরামত করে চলেছে ভাঙা নৌকার হাল। যারই সুফল গেরুয়া শিবির কুড়িয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে। গত ছ’মাসে একের পর এক সাহসী এবং জনকল্যাণকর পদক্ষেপ নিয়েছেন গৈরিক নেতারা।

    জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ

    নীতিগত সংশোধনের পদক্ষেপের পাশাপাশি কৃষক, নারী ও অনগ্রসর শ্রেণির জন্যও বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে মহরাষ্ট্র সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাযুতি সরকারের এসব পদক্ষেপই ফলপ্রসূ হয়েছে। মহাযুতি সরকারের তিন শরিক— বিজেপি, শিবসেনা এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে পরিস্থিতি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছে এই জোট। মহারাষ্ট্রে লোকসভা আসন রয়েছে ৪৮টি। তার মধ্যে (Maharashtra Assembly Elections) বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৭টি আসন (Mahayuti)। বাকি কেন্দ্রের রাশ গিয়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী (MVA) জোটের ঝুলিতে। শনিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়া শুরু হতেই চওড়া হতে থাকে বিজেপি নেতাদের মুখের হাসি। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১২৪টি আসনে জয় পেয়েছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আসনে এগিয়ে রয়েছে মহাযুতি সরকারের জোট শরিকরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জয় নিশ্চিত ‘মহাযুতি’ জোটের, ভোটারদের ধন্যবাদ একনাথ শিন্ডের

    দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা

    মহারাষ্ট্রবাসীর দুয়ারে জনকল্যাণকর বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুফল যেমন বিজেপি কুড়িয়েছে, তেমনি আরএসএসের প্রচারও গৈরিক শিবিরের ঘরে তুলে দিয়েছে লাভের কড়ি। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছিল আরএসএস। বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক জোটের হয়ে ব্যাপক প্রচারও করেছে তারা। যার জেরে হতাশা কাটিয়ে উঠে বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ভোটারদের একটা বড় অংশ। বিজেপিও তাদের কঠোর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান জোরালো করে তোলে। বিজেপির স্লোগানের মধ্যে ছিল ‘এক হো তো সেফ হো’, ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ (ভাগ হলেই পতন)-এর মতো ঝাঁঝালো স্লোগান। এগুলোও ভোটারদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। এসবই জুগিয়েছে বিজেপির পালে হাওয়া। বিজেপি এবং আরএসএসের যুগলবন্দির মোকাবিলা করতে পারেনি মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। যার জেরে মহারাষ্ট্রে পানি পায়নি এই মহাজোট।

    ওবিসি সম্প্রদায়

    মারাঠা আন্দোলন (Maharashtra Assembly Elections) ওবিসি সম্প্রদায়গুলিকে মেরুকরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিজেপি তার জনসংযোগ পরিকল্পনার মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ৩৫৩টি সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নেমেছিল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অঞ্চলভিত্তিকভাবে ওবিসি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিজেপির সংযোগ স্থাপনের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করেছিলেন। বিজেপি কেন্দ্রীয় ওবিসি তালিকায় সাতটি জাতি বা উপজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও রেখেছিল ওবিসি কমিশনের কাছে। ওবিসি সম্প্রদায়ের এই সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনা মহাযুতির পক্ষে মাঠ পর্যায়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮টি। এর মধ্যে ১৭৫টি আসনে নির্ণায়ক শক্তি ওবিসি সম্প্রদায়। তার একটা বড় অংশই এবার গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে। যার জেরে আরব সাগরের তীরের লোনা মাটিতেও ফুটেছে পদ্ম।

    ‘কৃষি আমাদের ভিত্তি’

    মহারাষ্ট্রের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই লোকসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর কৃষকদের ভোট পদ্ম-ঝুলিতে টানতে একাধিক পদক্ষেপ করে মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকার। এর মধ্যে ছিল রাজ্য বাজেটে সরকার ৭.৫ হর্সপাওয়ার পর্যন্ত কৃষি পাম্প ব্যবহারকারী কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা। নির্বাচনী ইশতেহারে, মহাযুতি ফসল ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। ‘ভাবান্তর যোজনা’র মাধ্যমে এমএসপি এবং প্রকৃত ক্রয়মূল্যের পার্থক্য পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও দেয় সরকার। এছাড়াও গুচ্ছ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নেয় সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে এসবই ডিভিডেন্ট দিয়েছে বিজেপিকে। তার জেরেই আরব সাগরের তীর হয়েছে (Mahayuti) পদ্মময়। মহারাষ্ট্রের কুর্সির রং হয়েছে গেরুয়া (Maharashtra Assembly Elections)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে ফের তৃণমূলকে গোল দিলেন শুভেন্দু, সমবায়ে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূলকে ফের দাঁড়িয়ে গোল দিলেন রাজ্যের বিরোধিতা দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে কার্যত ‘একঘরে’ করে দিলেন তিনি। সমবায় সমিতির ১২টি আসনের মধ্যে বিজেপি (BJP) পেয়েছে ১১টি। ঘাসফুলের ঝুলিতে গিয়েছে একটি আসন। রবিবারের এই নির্বাচন নিয়ে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রামে। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল, শেষ হাসি হাসলেন সেই শুভেন্দুই। উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    শুভেন্দু হারিয়েছিলেন মমতাকে (Nandigram)

    এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রেই খোদ তৃণমূল নেত্রীকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছেন শুভেন্দু। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯০০ এরও বেশি ভোটে তাঁকে পর্যুদস্ত করেছিলেন শুভেন্দু। সেই হার নিয়ে কত কাণ্ডই না হল! শেষমেশ কলকাতার একটি কেন্দ্রে জিতে মুখরক্ষা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই নন্দীগ্রামেই আরও একবার তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করে ছাড়লেন শুভেন্দু।

    দফায় দফায় উত্তেজনা

    এদিন নন্দীগ্রামের ওই সমবায় সমিতি নির্বাচন নিয়ে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভোটের শুরু থেকে একে অন্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে থাকে। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের অভিযোগ, সমবায় নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপি গন্ডগোলের চেষ্টা করছে। বিজেপির সহ সভাপতি সাহেব দাস বলেন, “আমাদের শিবির থেকে ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যেই তৃণমূল ক্যাম্প করেছিল। এ নিয়ে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অশান্তিতে ইন্ধন দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদলই।”

    আরও পড়ুন: “মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও বেশি দেশীয়করণ প্রয়োজন”, বললেন ইসরো কর্তা

    ভোটের ফল বেরলে দেখা যায়, ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে হইচই করতে থাকে ঘাসফুল শিবির। পাল্টা (Nandigram) সন্ত্রাসনের অভিযোগ তোলে পদ্ম শিবির। তমলুক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল বলেন, “নন্দীগ্রামজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চায় তৃণমূল। ওদের লাগামছাড়া দুর্নীতিতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। মহেশপুর সমবায় নির্বাচনে অকারণে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির ক্যাম্প অফিসের কাছে গিয়ে ক্যাম্প করেছে তৃণমূল। সেখান থেকে লাগাতার প্ররোচনার চেষ্টা (BJP) করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতাম, জয় আমাদের হবেই (Nandigram)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “ভূস্বর্গে যে পরিবর্তন হয়েছে, এই নির্বাচনই তার প্রমাণ”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “ভূস্বর্গে যে পরিবর্তন হয়েছে, এই নির্বাচনই তার প্রমাণ”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ জম্মু-কাশ্মীরে পরিবর্তনের প্রতীক এবং রাজ্যে গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণের প্রমাণ।” শনিবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের দুর্দশার জন্য যে কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) দায়ী, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন (Jammu Kashmir Polls) তিনি।

    বিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী তিন দল! (Amit Shah)

    শাহ বলেন, “কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি বছরের পর বছর এখানে নির্বাচন না করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত বিশৃঙ্খলা ও সমস্যার জন্য কংগ্রেস, এনসি এবং পিডিপি দায়ী।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গুজ্জর ও বাকারওয়াল সম্প্রদায়ের জন্য কোনও সংরক্ষণ ছিল না। ওবিসি ও দলিতদেরও সংরক্ষণ দেওয়া হয়নি। উন্নয়নের কোনও চিহ্ন ছিল না। গান্ধী এবং আবদুল্লাহরা রাজ্যে শুধু অসন্তোষ ও অবনতি এনেছিল।”

    শাহের নিশানায় তিন পরিবার

    এদিন শাহি (Amit Shah) ভাষণের চাঁদমারি ছিল কংগ্রেস, এনসি এবং পিডিপি। তিনি বলেন, “ওরা গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক পরিষদ বা জেলা পরিষদের জন্য নির্বাচন করতে দেয়নি। তিনটি পরিবার এখানে তাদের শাসন চালাত। কিন্তু মোদিজি আসার পর তাদের স্বপ্ন ভেঙে পড়ে। আজ, সরপঞ্চ, ব্লক ও জেলা প্রতিনিধি নির্বাচন করে ৩০ হাজার যুবক গণতন্ত্রের সুবিধাভোগী হয়ে উঠেছে। এটা একটা বিরাট সাফল্য।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস, এনসি এবং পিডিপি উপত্যকাবাসীকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। গণতন্ত্র থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল।” জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর এই প্রথম সেখানে হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    জম্মু-কাশ্মীরে তিন দফায় নির্বাচন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে প্রথম দফার নির্বাচন। প্রথম দফায় নির্বাচন হয়েছে রাজ্যের ২৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে। ভোট দিয়েছেন ৬১.১৩ শতাংশ মানুষ। সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে কিশতওয়ার জেলায়। এখানে ভোটদানের হার ৮০.১৪ শতাংশ। রামবানে ভোট পড়েছে ৭০.৫৫ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে ডোডা। এখানে ভোটদানের হার ৭১.৩৪ শতাংশ (Jammu Kashmir Polls)। কুলগাম, অনন্তনাগ এবং শোপিয়ানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬২.৬০, ৫৭.৮৪ ও ৫৫.৯৬ শতাংশ (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু হচ্ছে মোদি সরকারের এই মেয়াদেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে জম্মু-কাশ্মীরে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। আর তৃতীয় মেয়াদে চালু হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election)। জানা (NDA) গিয়েছে, এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদেই কার্যকর হয়ে যাবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। সূত্রের দাবি, অবশ্যই এটি চলতি মেয়াদেই কার্যকর হবে। এটি বাস্তব রূপ নেবে। এই সংস্করমূলক পদক্ষেপকে সব দলই সমর্থন জানাবে বলেও আশাবাদী ওই সূত্র।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election)

    দীর্ঘদিন ধরেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি, এতে লাভ হবে দুভাবে। এক, বারবার নির্বাচন করতে যে বিপুল খরচ হয়, তা কমবে। আর দুই, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার কারণে বারবার যে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে থাকে, তা আর হবে না। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, বারংবার ভোট করাতে গিয়ে সরকারি কর্মী এবং প্রশাসনকে যে হ্যাপা পোহাতে হয়, তাও আর হবে না। দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকেও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর প্রস্তাব সমর্থন জানানোর আহ্বানও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। তাঁদের মতে, মোদি সরকার ঘুরপথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে এ দেশে।

    আরও পড়ুন: অন্য কাশ্মীর! ৩৭ বছর পর দোরে দোরে ঘুরে প্রচার করছেন প্রার্থীরা

    কমিটির রিপোর্ট

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। গত মার্চ মাসেই সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। সূত্রের দাবি, ওই কমিটিও মত দিয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচনের পক্ষে। ৪৭টিরও বেশি রাজনৈতিক দল কোবিন্দ কমিটির কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছিল। এর মধ্যে ৩২টি দলই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর ধারণাকে সমর্থন করেছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। সেখান থেকেও প্রতিক্রিয়া এসেছে ২১ হাজার ৫৫৮টি। এর মধ্যেও ৮০ শতাংশ সায় দিয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর (One Nation One Election) পক্ষেই (NDA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share