Tag: election

election

  • Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ভাগ্য এবং রাজনৈতিক চালচিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবটাই উন্নয়নের ফলেই সম্ভব হয়েছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনিই বার্তা দিলেন উপত্যকার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রবিন্দ রায়না। এদিন এই সম্মেলনে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশেন রেড্ডি, জিতেন্দ্র সিং। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, তাই এখন থেকেই বিজেপির প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

    অনন্তনাগ-কুলগাম-শোপিয়ান-পুলওয়ামায় ব্যাপক সমর্থন (Jammu and Kashmir)

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রায়না বলেন, “এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের পূর্ণশক্তি দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করবে। ভোটের আগেই বিজেপির প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেতে শুরু করে দিয়েছেন। দলের প্রার্থীরা অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামায় বিশেষ সমর্থন পেতে চলেছেন। আমি এই জন্য আমাদের রাজ্যের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী নীতি আমাদের মানুষের সঙ্গে সংযোগকে আরও দৃঢ় করেছে। গত দশ বছরের গঠনমূলক উন্নয়নে কাশ্মীরের প্রত্যেক শিশু বলতে শিখেছে, “হর হর মোদি, ঘর ঘর মোদি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিগত সরকার বিশেষ করে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি যুগে মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পাথর ছোড়া এবং বন্দুকের গুলি ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। রাজ্যের উন্নয়নে তাঁরা কোনও কাজ করেননি। কিন্তু কেন্দ্রে মোদিজির নেতৃত্বে বিরাট উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে এই রাজ্য। ধারা ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে। এক বিধান, এক নিশান এবং এক প্রধানের মূল মন্ত্র এখন কাশ্মীরে মানুষ গাইছেন।”

    আরও পড়ুনঃহিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    গতবারের বিধানসভায় ফলাফল কেমন ছিল?

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ভোটগ্রহণ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা হবে ৮ অক্টোবর। মোট আসনের ৭টি আসন তফশিলি জাতি, ৯টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। মোট ভোটার ৮৮.০৬ শতাংশ। গতবারের নির্বাচনে মোট আসনের পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি, বিজেপি ২৫টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, এবং কংগ্রেস ১২টি। পিডিপি এবং বিজেপি মিলে মুফতি মহম্মদ সাঈদের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়। পড়ে মুফতি মারা গেলে মেয়ে মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী হন। পরবর্তী সময়ে বিজেপি মেহবুবার থেকে সমর্থন তুলে নেয়। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ধারা ৩৭০ বাতিল হয়।  এরপর এবার হবে নির্বাচন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা খড়কুটোর মতো উড়ে গেল! বিজেপির জয়জয়কার

    Tripura: ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা খড়কুটোর মতো উড়ে গেল! বিজেপির জয়জয়কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় তিন দশকের বাম শাসনে ইতি টেনে ২০১৮-র মার্চে ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভা ভোটে আগরতলার কুর্সি দখল করেছিল বিজেপি। সেই জয়ের ধারা ২০২৪ সালেও অব্যাহত। এবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে পদ্ম ঝড়ের কাছে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বাকি সব দল। রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল গত ৮ অগাস্ট। সোমবার থেকে শুরু হয় গণনা। মঙ্গলবার গণনার শেষ পর্যায়ের ফল জানাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি একাই জিতেছে ৫৯৪০টি আসনে! তাদের সহযোগী তিপ্রা মোথা ১০২টিতে। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দুই সহযোগী কংগ্রেস এবং সিপিএম যথাক্রমে ১৪১ এবং ১৪৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরায় তো প্রায় সব আসনই এসেছে বিজেপির খাতায়। শুধু দুকলি রুরাল ডেভলপমেন্ট ব্লকে কয়েকটা আসন জিতেছে ত্রিপা মোথা পার্টি। পঞ্চায়েত ভোটে দলের জয়জয়কারে চাঙ্গা বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    ভোটদানের হার ছিল ৭৯.০৬ শতাংশ (Tripura)

    নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, রাজ্যে ১০,৮৭,৪৯৫ জন ভোটার। এর মধ্যে ৫,৩০,৯৪৯ জন পুরুষ, ৫,২০,১০১ জন মহিলা এবং ১০ জন তৃতীয় লিঙ্গ রয়েছে। ৮ অগাস্ট বিকাল ৪টে পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৭৯.০৬ শতাংশ। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে যে তাঁর দল মারাত্মক ভাল ফল করতে চলেছে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর তাই একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাওয়ায় খুশির হাওয়া পদ্ম সমর্থকদের মধ্যে। এদিকে ভোটের আগেই আবার বড়সড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচন (Gram Panchayat Election) মিটলেই ১০ হাজার চাকরির কথা বলা হয়েছিল। ত্রিপুরা পুলিশ, জুনিয়র রিক্রুটমেন্ট বোর্ড থেকে স্পেশাল এক্সিকিউটিভ সহ নানা ক্ষেত্রে চাকরির কথা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের বাংলা চাইনা চাইনা’, কলকাতায় আজ ধিক্কার মিছিলের ডাক বিজেপির

    এক নজরে ফলাফল

    ২০১৯ সালের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি এবারও! বিজেপি ত্রিপুরার (Tripura) গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ৭১ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৬৮ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬,৩৭০টি আসনের মধ্যে (৭১ শতাংশ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪,৫৫০টি জিতেছে। ৪২৩টি পঞ্চায়েত সমিতি আসনের মধ্যে ২৪৪টি বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে (৬৮ শতাংশ)। ১৮৯ টি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে, বিজেপি ১৮৮টিতে, সিপিএম ১৪৮টিতে, কংগ্রেস ৯৮টিতে এবং ত্রিপা মোথা ১১টিতে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও, বিজেপি ১১৬টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ২০টি (১৭শতাংশ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। আর ৯৬টি আসনে ভোট হয়েছে। সেখানে বেশিরভাগ আসন বিজেপির দখলে রয়েছে। রেজাল্ট বলছে, ত্রিপুরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৪৮২৫টি আসন। তিপ্রা জিতেছে ৯৪টি আসন। কংগ্রেসের খাতায় ২৪টি আসন। সিপিএম দখল করেছে ২০টি আসন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে বিজেপি জিতেছে ২৯৫টি আসনে। সিপিএম পেয়েছে ২টি। নির্দল ১ টি। ১১৬টি জেলা পরিষদের আসনের ১১৩টি গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। কংগ্রেস ২ এবং সিপিএম ১টিতে জয়ী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raebareli: অমেঠিতে গান্ধি পরিবারের ওপর ভরসা নেই কংগ্রেসের, নিরাপদ বুঝেই কি রায়বরেলিতে রাহুল!

    Raebareli: অমেঠিতে গান্ধি পরিবারের ওপর ভরসা নেই কংগ্রেসের, নিরাপদ বুঝেই কি রায়বরেলিতে রাহুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ জল্পনার অবসান। অবশেষে রায়বরেলি (Raebareli) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল গান্ধি। রাহুলের পুরানো কেন্দ্র অমেঠি কেন্দ্রে তিনি যে এবার প্রার্থী হচ্ছেন না তা একেবারেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কারণ, অমেঠি কেন্দ্রে কেএল শর্মাকে প্রার্থী করা হয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    অমেঠিতে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের কেএল শর্মা (Raebareli)

    সমাজবাদী পার্টির (এসপি) সঙ্গে আসন ভাগাভাগি অনুযায়ী উত্তর প্রদেশের ১৭টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কংগ্রেস আমেঠি এবং রায়বরেলি (Raebareli) বাদে সমস্ত আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তাই, এই দুই আসনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। জানা গিয়েছে,আগামী ২০ জুন পঞ্চম দফায় ভোট অমেঠি এবং রায়বরেলিতে। শুক্রবারই এই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। তাই প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণার দিনই মনোনয়ন পেশ করতে হবে রাহুল এবং কিশোরীলালকে। ইতিমধ্যেই অমেঠি থেকে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ স্মৃতি ইরানি মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর অমেঠির সাংসদ ছিলেন রাহুল। তাঁর বাবা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিও ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত আমেঠির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। এর আগে ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধী এখান থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২০০৪ সালে রাহুলের অমেঠি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

     নিরাপদ বুঝেই কী রাহুলকে রায়বরেলিতে প্রার্থী!

    ১৯৫২ সালের পর বিজেপি মাত্র দু’বার এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে। আর এসপি, বিএসপি কখনও এই কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখেনি। পরিসংখ্যান মাথায় রেখে রায়বরেলি কেন্দ্রটিকে রাহুলের জন্য ‘নিরাপদ’ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, সেই জহরলাল নেহরুর আমল থেকেই রায়বরেলি (Raebareli) কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত। ১৯৬২ এবং ১৯৯৯ সাল বাদ দিয়ে এই কেন্দ্রে সব সময়ই নেহরু-গান্ধি পরিবারের কেউ প্রার্থী হয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি এই কেন্দ্র থেকে তিন বার জয়ী হয়েছেন। সনিয়া টানা পাঁচ বার এই কেন্দ্রে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। রাহুল গত লোকসভা ভোটের অমেঠির সঙ্গে কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওয়েনাড়ে জিতলেও অমেঠিতে হেরে যান তিনি। এবারও ওয়েনাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। গত ২৬ এপ্রিল ওই কেন্দ্রে ভোট হয়ে গিয়েছে। এবার রায়বরেলি থেকে তিনি নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে রায়বেরেলিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী দীনেশ প্রতাপ সিংহকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ECI: প্রথম দু’দফাতেই ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ, কেন কম? ব্যাখ্যা কমিশনের

    ECI: প্রথম দু’দফাতেই ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ, কেন কম? ব্যাখ্যা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬শে এপ্রিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট হয়েছিল। কত শতাংশ নির্বাচক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন সে সংক্রান্ত তথ্য মঙ্গলবার প্রকাশ করল ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৬৬ শতাংশ নির্বাচক ভোটদান করেছেন।

    (ECI) কমিশনের রিপোর্ট

    কমিশনের (ECI) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম পর্বে ১৯ এপ্রিল ৬৬.১৪ শতাংশ নির্বাচক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২৬শে এপ্রিল দ্বিতীয় পর্বে ৬৬.৭১ শতাংশ নির্বাচক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকায় দেখা যাচ্ছে প্রথম পর্বে ৬৬.২২ শতাংশ পুরুষ ভোটার ৬৬.০৭ শতাংশ মহিলা ভোটার এবং ৩১.৩২ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৬.৯৯ শতাংশ পুরুষ ৬৬.৪২ শতাংশ মহিলা এবং ২৩.৮৬ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের (Third Gender) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রসঙ্গত ৫৪৩ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় ১০২ টি এবং দ্বিতীয় দফায় ৮৮ টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। এরপর ৭, ১৩, ২৫ মে ও ১ জুন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচন হবে এবং ৪ জুন নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে।

    আরও খবর: তৃতীয় দফায় কী প্রচার করবেন, কৌশল বাতলে এনডিএ প্রার্থীদের চিঠি মোদির

    (ECI) কমিশন কী বলছে

    মনে করা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তজুড়ে তীব্র দাবদাহের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ইলেকশন কমিশন (ECI) যতটা আশা করেছিল তার থেকে অনেকটাই কম ভোট পড়েছে এবারে নির্বাচনের প্রথম দুই দফায়। কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারে ভোটারদের ভোটদানের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ঠান্ডা পানীয় ও আইসক্রিম খাওয়ানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও প্রথম দুই দফায় ২০১৯ এর লোকসভায় তুলনায় অনেকটাই কম ভোট পড়েছে।

    তিনবার টানা ক্ষমতায় আসতে পারবে বিজেপি?

    এবার ক্ষমতায় এলে হ্যাটট্রিক করবে মোদি সরকার। অকংগ্রেসি দল হিসেবে তিনবার টানা ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের জন্য রেকর্ড হবে। কিন্তু কম ভোট দান বিজেপিকেও চিন্তায় ফেলেছে। তবে চিন্তায় রয়েছে বিরোধীরাও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত বিজেপি জিতবে তাই ভোট নষ্ট করে লাভ নেই একথা ভেবে বিরোধী দলের ভোটাররা এগিয়ে আসছেন না। এটা হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কম ভোটদানে বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা হবে এমনটা মনে করা ঠিক হবে না বলেই মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার মতে, “এখন অবধি যা ট্রেন্ড তাতে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী রয়েছে দলের উচ্চ নেতৃতে। কম ভোট হচ্ছে এর মানে এটাও হতে পারে যে যারা বিরোধীদের ভোট দিতে চাইছে তাঁরা ভোটদান থেকে বিরত থাকছে। গরমও একটা কারণ হতে পারে। আমাদের দলের কর্মীরা ভোটদানের উদ্বুদ্ধ করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন এটুকু বলতে পারি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা! প্রথম পর্বের প্রচার শেষ, শুক্রে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    Lok Sabha Election 2024: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা! প্রথম পর্বের প্রচার শেষ, শুক্রে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের। অষ্টাদশ লোকসভার সাত দফা ভোট-পর্বের (Lok Sabha Election 2024) প্রথম দফায় শুক্রবার দেশের ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে। প্রথম পর্বের প্রচারের পালা শেষ হয়েছে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায়। এই পর্বে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে। প্রথম ধাপে মোট ১,৬২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মাত্র ১৩৪ জন মহিলা প্রার্থী (৮%), বাকি ১,৪৯১ জন পুরুষ।

    কোথায় কোথায় ভোট

    শুক্রবার প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দু’টি করে আসনে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তিশগড়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পুদুচেরিতে। উল্লেখ্য, মণিপুরে মোট দু’টি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দু’দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার তাই আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। 

    লোকসভার পাশে বিধানসভাও

    লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবক’টিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়। শুক্রবার যে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে তার মধ্যে ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্র-সহ মোট ৫১টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। যার মধ্যে ৪০টিতে জয়ী হয়েছিল বিজেপি।

    প্রথম দফায় উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রথম দফায় ভাগ্য পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত প্রার্থীদের মধ্যে আটজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রাক্তন রাজ্যপাল রয়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি। নাগপুর আসন থেকে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন নিতিন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু অরুণাচল পশ্চিম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নবম টুকি। অসমের ডিব্রুগড় কেন্দ্রের প্রার্থী কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংও প্রতিযোগিতায় রয়েছেন। উধমপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করাই তাঁর লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য ভূপেন্দ্র যাদব আলওয়ার আসন থেকে কংগ্রেস বিধায়ক ললিত যাদবের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    আরও পড়ুন: ‘এই নির্বাচন উন্নত জীবনযাত্রার নির্ণায়ক’, ভোটের আগে এনডিএ প্রার্থীদের বিশেষ চিঠি মোদির

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন রাজস্থানের বিকানের সংসদীয় আসন থেকে আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং তামিলনাড়ুর নীলগিরিস আসনে কেন্দ্রীয় মৎস্য প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান। তামিলিসাই সুন্দররাজন, যিনি সম্প্রতি তেলঙ্গানার রাজ্যপাল এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ অন্যান্য বিশিষ্ট নামগুলির মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমের পুত্র তথা শিবগঙ্গার সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম। কোয়েম্বাটুর আসন থেকে তামিলনাড়ু বিজেপির সভাপতি কে আন্নামালাই, নীলগিরি থেকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মন্ত্রী এ রাজা, থুথুকুডি থেকে ডিএমকে-র কানিমোঝি, মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া থেকে সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: রাত পোহালেই ভোট! নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

    Lok Sabha Elections 2024: রাত পোহালেই ভোট! নানা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হবে দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আগামী ১৬ জুন শেষ হচ্ছে চলতি লোকসভার মেয়াদ। তার আগেই ৪ জুন ফল ঘোষণা হবে এবারের নির্বাচনের। ২০১৯ সালে গত লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ (NDA)। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাঁর থার্ড টার্ম নিয়ে আশাবাদী। 

    ভোটের সময়কাল

    দেশে সাধারণ নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল থেকে। ৭ ধাপের এই নির্বাচন শেষ হবে ১ জুনে। ভারতে শাসনভার কাদের হাতে থাকবে– পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ই তা নির্ধারণ করবে। বিপুল সংখ্যক ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন। ফলে এই নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নির্বাচন। লোকসভায় মোট ৫৪৩ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে কোনও দল বা জোটকে কমপক্ষে ২৭২ টি আসন পেতে হবে। ১৩১ টি আসন আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য সংরক্ষিত। এই গোষ্ঠীগুলোকে সরকার পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

    বিজেপির বিরুদ্ধে কারা

    এনডিএ-কে (NDA) ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি করেছে ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। যেখানে রয়েছে কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), ডিএমকে (DMK), বামফ্রন্ট, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি (AAP) সহ দেশের ২৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই জোটের চেয়ারপার্সন মল্লিকার্জুন খাড়গে। BJP-কে ক্ষমতাচ্যুত করার টার্গেট নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে ইন্ডিয়া জোট। সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলো বলছে, মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও এর মিত্ররা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হবে। লোকসভার সবচেয়ে বড় দলের নেতা বা জোটের নেতা সাধারণত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন, যারা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) একাই ৩০৩ টি আসন পেয়েছিল। আর বিজেপি’র জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটি অ্যালায়েন্স পেয়েছিল ৩৫২ টি আসন। কংগ্রেস দল মাত্র ৫২ টি আসন জিততে পেরেছিল।

    বিজেপি সরকারের সাফল্য

    ২০১৪ সালের নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) ভারতের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে পাল্টে দিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে দেশের ওপর কংগ্রেসের দখল ভেঙে দিয়েছেন। বিশ্বে ভারত এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং আমেরিকার সঙ্গে ভাল সম্পর্কের কারণে বিশ্বে ভারতের অবস্থান একটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আমেরিকা চায় চিনের বিরুদ্ধে ভারতকে তাদের মিত্র করে রাখতে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের ৮০ কোটি গরিবের জন্য একাধিক উদার কল্যাণমূলক কর্মসূচি চালু করেছেন। এর মধ্যে বিনা মূল্যে শস্য সরবরাহ এবং কম আয়ের পরিবারের নারীদের মাসে ১ হাজার ২৫০ টাকা ভাতা দেওয়ার মতো বিষয় রয়েছে।

    কোন কোন তারিখে ভোট? 

    ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৭ টি তারিখে ভোট গ্রহণ চলবে। প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে’র ভোটের পর ১ জুন সর্বশেষ দফার ভোট হবে। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন। লোকসভা আসন কম এমন কয়েকটি রাজ্যে মাত্র একদিনই ভোট হবে। কিন্তু, যেসব রাজ্যে আসন বেশি সেখানে কয়েক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।  সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের জনসংখ্যা। এর সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের সময়ও দীর্ঘ হয়েছে। যেমন: ১৯৮০’র দশকে ভোটের পুরো সময়টা ছিল মাত্র চারদিন, ২০১৯ সালে তা দাঁড়ায় ৩৯ দিনে, আর ২০২৪ সালে এসে ভোট হচ্ছে ৪৪ দিনব্যাপী। মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনে নির্বাচনের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হবে চার রাজ্যে। একইসঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচন হবে ১৩টি রাজ্যে।

    আরও পড়ুন: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    কেন এত দীর্ঘ ভোট?

    একাধিক দফায় ভোট গ্রহণের মূল কারণ হচ্ছে, নির্বাচনকে (Lok Sabha Election 2024) সামনে রেখে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। নির্বাচনী হিংসা প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ভোট জালিয়াতি ঠেকানো নির্বাচনে একটি বড় কাজ। ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তাকর্মীদের পর্যাপ্ত উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই ভোটগ্রহণ ধাপে ধাপে করা হয়। ভোটদানের জন্য লাখ লাখ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। ভোটাররা এই যন্ত্র ব্যবহার করে প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে পারবেন কিংবা উল্লিখিত প্রার্থীদের ‘কেউ না’ বিকল্পটি বেছে নিতে পারবেন।

    কারা ভোট দেবেন?

    বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। এর মধ্যে ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন, যা বিশ্বের জনসংখ্যার হিসাবে ৮ জনে ১ জন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি ভোটার পাঁচ বছরের জন্য পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৫৪৩ জন সদস্যকে নির্বাচিত করবেন। ভোটারদেরকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। তাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে এবং বৈধ ভোটার পরিচয়পত্র থাকতে হবে। বিদেশে বাস করা ১ কোটি ৩৪ লাখ ভারতীয়ও ভোট দিতে পারবে। তবে ভোট দেওয়ার জন্য তাদেরকে নিবন্ধন করতে হবে এবং ভারতে ফিরে আসতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    Murshidabad: ঠিক ভোটের আগের দিন হিংসা কবলিত নবগ্রামে কেন গেলেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদ ঘুরে মানুষের কাছ থেকে পঞ্চায়েতের যে সন্ত্রাস চলছে সেইসব আক্রান্ত পরিবারদের বাড়িতে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আজ মুর্শিদাবাদ জেলায় কলকাতা থেকে হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেসে গিয়ে পৌঁছান। হিংসা কবলিত এলাকা এবং আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন হিংসা মুক্ত করার আহ্বান জানান রাজ্যপাল।

    কেন গেলেন রাজ্যপাল (Murshidabad)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে রাজ্যজুড়ে শাসক-বিরোধী, শাসক-নির্দল এবং শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের সংঘর্ষে হিংসা কবলিত এলাকা হিসাবে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) পৌঁছালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রথমে বহরমপুর রোড স্টেশনে নামেন এবং সেখান থেকে নবগ্রামে নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে যান। রাজ্যপাল মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ঘটনার বিবরণ শোনেন, কীভাবে গত ১৫ ই জুন পঞ্চায়েত ভোটের নমিনেশন করে বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা রড বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করে হত্যা করেছিল। পরিবার রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, দোষীদের যেন অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হয়। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যপাল এবং পরিবারকে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কোনও সমস্যা হলে রাজ্যপালকে অবশ্যই যেন জানান পরিবার।

    রাজ্যপাল কী বললেন? 

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যানিং, ভাঙর, বাসন্তী, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচিতে হিংসা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করেন। সর্বত্র রাজ্য প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে বার বার আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের কথা বলেন। ঠিক একই ভাবে নবগ্রামে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস এবং হিংসা চলছে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নির্বাচন কমিশনকে পদে থেকে বাংলার মানুষের জন্য কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল।   

    নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    এক দিকে যেমন রাজ্যের জুড়ে বোমা, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার হচ্ছে তেমনি উত্তর থেকে দক্ষিণ হচ্ছে রক্তাক্ত। নির্বাচন ঘোষণা থেকে মনোনয়ন, মনোনয়ন প্রত্যহার থেকে নির্বাচনের প্রচার পর্যন্ত সময়ের মধ্য দিয়ে এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী মিলিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আগামীকাল নির্বাচন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় সবথেকে বেশী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত হয়েছে। ভোট পূর্ববর্তী কালে সবথেকে বেশী ৫ জন মানুষের প্রাণ গেছে বলে জানা গেছে এই জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন মুর্শিদাবাদে রাজ্যপালের যাত্রা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আইন শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা, প্রশাসনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা এবং শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজ্যপালের এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে গুলি সহ দেশি পাইপগান উদ্ধার! কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    Murshidabad: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে গুলি সহ দেশি পাইপগান উদ্ধার! কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য বলছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামান্য এক-দুটো জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা এবং দেশি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সমালোচনায় বিদ্ধ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার প্রশাসন। আর মাত্র মাঝে তিন দিন! তারপর ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। বেলডাঙা, কান্দি, হরিহরপাড়া, খড়গ্রামে বোমা উদ্ধার এবং ভাঙ্গনপাড়ায় গুলিসহ দেশি বন্দুক উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তদন্তে নেমেছে জেলার পুলিশ। সাধারণ মানুষ ভোটের আগে ব্যাপক আতঙ্কিত।

    বেলডাঙা, হরিহরপাড়া এবং খড়গ্রামে (Murshidabad) বোমা উদ্ধার!

    পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বিভিন্ন জায়গায় বোমা উদ্ধার হয়। বেলডাঙার কাজিশা এলাকায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ৩ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবার মঙ্গলবারই সাত সকালে হরিহরপাড়াতেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। কলাবাগান পাড়া এলাকায় পাটের জমির পাশে ঝোপের মধ্যে রাখা ছিল এক ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোমার হদিশ পায় এই পাটের জমিতে। এছাড়া খড়গ্রামেও উদ্ধার হয়েছে আরও প্রচুর বোমা। এই এলাকার সাদল অঞ্চলের শঙ্খপুর গ্রামে মাঠের ধারে বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল বলে জানা গেছে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।

    কান্দিতে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কান্দি (Murshidabad) মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত শংকরপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠ থেকে এক ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। আবার লালগোলা থানার ডিহিপাড়ারের ভুট্টার ক্ষেত থেকে একটি ব্যাগে ছটি সকেট বোমা উদ্ধার করা হয়। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

    দেশি পাইপ গান উদ্ধার

    সোমবার রাতে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে, কাটাবাড়ি ভাঙ্গনপাড়া (Murshidabad) এলাকা থেকে ফরিদুল শেখ ও সাজিরুল সেখ নামে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ। এই ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি দেশি পাইপ গান এবং দু রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ তাদেরকে বহরমপুর আদালতে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কারণে তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছিল সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাগরপাড়া থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী  নিয়ে এরকম হাতাহাতি! কোথায় জানেন?

    Candidate: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে এরকম হাতাহাতি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতি হিসেবে মালদহ জেলায় শাসক দলের নেতারা বুথে বুথে যোগ্য প্রার্থীর (Candidate) খোঁজে বৈঠক শুরু করেছেন। আর এই সব বৈঠকেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারেই সামনে চলে আসছে। কয়েকদিন আগেই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের থানাপাড়া বুথ কমিটির তৃণমূলের বৈঠকে প্রার্থী (Candidate)  ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বুধবার রাতে মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শিব মন্দির বুথে দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রার্থী (Candidate)  বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। নিজেদের মধ্যেই বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। কর্মীরা  উপস্থিত নেতৃত্বের দিকে রীতিমতো তেড়ে যান। দলীয় নেতৃত্বকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।

     প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে ঠিক কী হয়েছিল? Candidate

     বুধবার রাতে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক ছিল। উপস্থিত ছিলেন, তৃণমূল হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের সভাপতি মোশারফ হোসেন, ব্লকের সহ- সভাপতি সাগর দাস, হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। সেখানেও এবার পঞ্চায়েতে কে প্রার্থী (Candidate)  হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।এই বুথে প্রার্থী হিসেবে উঠে আসে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নন্দ রজক, উত্তম ভাস্কর এবং নব মণ্ডলের নাম। এই তিন জনের মধ্যে মূলত নন্দ রজক এবং উত্তম ভাস্করকে প্রার্থী (Candidate)  করার জন্য জোরালো দাবি উঠতে থাকে। দুইজনের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি। উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা তেড়ে যায় উপস্থিত নেতৃত্বের দিকে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নন্দ রজকের অনুগামী মিলন কর্মকার বলেন, দলীয় প্রার্থী (Candidate) হিসেবে নন্দ রজক যোগ্য। তাই, তাঁকে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করতে হবে। আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে সেই দাবি জানিয়েছি। উত্তম ভাস্করের অনুগামী বাসন্তী দাস বলেন, বহু বছর ধরে আমি দল করছি। কেউ কিছু দেয়নি। শেষবারের মতো আমি উত্তমকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। কারণ, উত্তম ভোটে জিতলে এলাকায় উন্নয়ন হবে। ও সব সময় গ্রামবাসীদের পাশে থাকে। তাই, এবার আমরা ওকে প্রার্থী (Candidate)  হিসেবে চাইছি।

    যদিও এই ঘটনার মধ্যে শুভ সংকেত দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, আসলে দল বড় হয়েছে, তাই এক বুথে একাধিক দাবিদার। এটা মানুষের মমতা ব্যানার্জির প্রতি ভালোবাসার উত্তেজনা। দলীয় কোনও কোন্দলের বিষয় নয়। আর কোনও কর্মী তেড়ে আসেনি। তাঁরা আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল দলে অনুশাসন বলে কিছু নেই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আগামী পাঁচ বছর ধরে কে লুটেপুটে খাবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি চলছে। ওদের দলে এসব ঘটনা যত হবে, তত ওরা মানুষের থেকে দূরে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • One Nation One Election: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    One Nation One Election: “ভারতের গণতন্ত্রে ঐতিহাসিক দিন”, এক দেশ এক ভোট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ ভারতের গণতন্ত্রের জন্য ঐতিহাসিক দিন।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন রাষ্ট্রপতির হাতে ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র (One Nation One Election) রিপোর্ট তুলে দেন মোদি সরকারের গড়া কমিটির প্রধান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েই এমনতর মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ‘ঐতিহাসিক দিন’ (One Nation One Election)

    এক্স হ্যান্ডেলে মোদির সেনাপতি (Amit Shah) লিখেছেন, “এটি দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ, ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়েছিল মোদি সরকার। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন রামনাথ কোবিন্দজি। তিনিই (One Nation One Election) মাননীয় রাষ্ট্রপতির হাতে রিপোর্টটি তুলে দেন।” এদিন কোবিন্দ যখন রাষ্ট্রপতির হাতে রিপোর্টটি তুলে দেন, তখন সেখানে শাহের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা প্রাক্তন সাংসদ গুলাম নবি আজাদও।

    কমিটির সদস্য

    রাষ্ট্রপতির হাতে যে রিপোর্টটি (One Nation One Election) তুলে দেওয়া হয়েছে, তার পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৮ হাজার ৬২৬। ১৯১ দিন ধরে কমিটির সদস্যরা স্টেকহোল্ডার, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন। করেছেন রিসার্চ ওয়ার্কও। উল্লেখ্য, উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি গঠিত হয়েছিল গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর। কমিটিতে শাহ (Amit Shah) ও গুলাম নবি ছাড়াও ছিলেন ১৫তম ফিনান্স কমিশনের ভূতপূর্ব চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার ভূতপূর্ব সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপ, প্রবীণ আইনজীবী হর্ষ সালভে এবং প্রাক্তন মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি। বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন নিতিন চন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    কমিটির সদস্যরা দেশের ৪৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে ৩২টি রাজনৈতিক দল লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বিধানসভার ভোট করানোর পক্ষপাতী। বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে।

    ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) নিয়ে দেশবাসীর প্রতিক্রিয়া জানতে দেশের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন ২১ হাজার ৫৫৮ জন। এঁদের ৮০ শতাংশই সব নির্বাচন এক সঙ্গে করানোর পক্ষপাতী। এই রিপোর্টে কমিটি বেশ কয়েকটি সুপারিশও করেছে। তার মধ্যে রয়েছে সব নির্বাচনের জন্য একটাই ইলেক্টোরাল রোল ও একটাই এপিকের ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share