Tag: Elon Musk

Elon Musk

  • Elon Musk: ইতিহাসের সামনে মাস্ক! ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দোরগোড়ায় টেসলার সিইও

    Elon Musk: ইতিহাসের সামনে মাস্ক! ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দোরগোড়ায় টেসলার সিইও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাস গড়ার পথে ইলন মাস্ক। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকার শীর্ষে থাকা টেসলার সিইও এবার ট্রিলিয়নিয়ার হওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা সম্প্রতি মাস্কের জন্য এক বিশাল বোনাস পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, যা তাঁকে বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যক্তি করে তুলতে পারে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রায় ৭৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডার এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন। বৈঠকে মাস্ক বলেন, “আমরা যে পর্যায়ে পৌঁছতে যাচ্ছি, তা শুধু টেসলার ভবিষ্যতের একটি নতুন অধ্যায় নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ নতুন বই।”

    কর্পোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ

    টেসলার এই নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী, যদি মাস্ক কোম্পানির নির্ধারিত দীর্ঘমেয়াদি কর্মক্ষমতা লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন, তাহলে তিনি ১ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মাস্ক কোনো নিয়মিত বেতন গ্রহণ করেন না — তার আয় পুরোপুরি স্টক অপশনের ওপর নির্ভরশীল। নতুন এই প্যাকেজের আওতায় আগামী দশকে তিনি টেসলার প্রায় ৪২৩.৭ মিলিয়ন শেয়ার পেতে পারেন। যদি কোম্পানির বাজারমূল্য ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়, তাহলে মাস্কের আয় প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে।

    টেসলার কাছে চ্যালেঞ্জ

    চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) এখনও পর্যন্ত টেসলা যে দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে, এমনটা নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে কমেছে ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভির চাহিদা। এর প্রভাব টেসলার ব্যবসায় পড়েছে। সেখান থেকে সংস্থাকে কী ভাবে মাস্ক সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান, সেটাই এখন দেখার। বিশেষজ্ঞদের মতে, টেসলার এই লক্ষ্য পূরণ করতে হলে কোম্পানির শেয়ারমূল্য বর্তমান স্তর থেকে প্রায় ৪৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে হবে। যদি সেটাই ঘটে, তাহলে টেসলা এনভিডিয়াকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির আসনে বসবে। অর্থাৎ, মাস্কের সম্পদও নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অনুমান করা হচ্ছে, যদি মাস্ক এই প্যাকেজের ১২টি কিস্তির সবকটিই পান, তাহলে তার দৈনিক আয় হবে প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই বেতন পরিকল্পনাকে ইতিমধ্যেই কর্পোরেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

    লগ্নিকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

    গত বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর স্টকে লগ্নিকারীদের নিয়ে বার্ষিক সভার আয়োজন করে টেসলা। সেখানে মাস্কের স্টক-ভিত্তিক ক্ষতিপূরণ পরিকল্পনার পক্ষে ভোট দেন ৭৫ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার। বাকি ১৫ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা অবশ্য রয়েছে টেসলার সিইও-র হাতেই। এই ভোটাভুটির পর তাঁর বিপুল বেতনে সংস্থার পরিচালন গোষ্ঠীর যে সিলমোহর পড়তে চলেছে, তা একরকম স্পষ্ট হয়ে যায়। ভোটাভুটি শেষ হতেই মাস্কের নামে জয়ধ্বনি দেন টেসলার শেয়ার হোল্ডারেরা। আর তাই সভাশেষের ভাষণে তাঁদেরও কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দেন মার্কিন ধনকুবের।

    আগামী এক দশকে আরও কয়েকজন ট্রিলিয়নিয়ার

    বিশ্বে আগামী এক দশকে আরও কয়েকজন ট্রিলিয়নিয়ার উঠে আসতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হল—

    এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং, যার কোম্পানি সম্প্রতি ৫ ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট ক্যাপ ছুঁয়েছিল,

    ভারতের গৌতম আদানি,

    ইন্দোনেশিয়ার প্রাজোগো পাংগেস্তু,

    অ্যামাজনের জেফ বেজোস,

    অরাকলের ল্যারি এলিসন,

    মেটার মার্ক জাকারবার্গ,

    এবং এলভিএমএইচের বার্নার্ড আরনল্ট।

     

  • Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক ট্যুইটার)-এর এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’ দ্বারা অনুপ্রাণিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ‘গ্রোকিপিডিয়া’ বাজারে আনলেন সংস্থার কর্তা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk)। এই গ্রোকিপিডিয়াকে বহুল-প্রচলিত উইকিপিডিয়ার একটি বিকল্প হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলন মাস্ক বলেছেন, ‘‘গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সত্য-নির্ভর প্ল্যাটফর্ম হবে। উইকিপিডিয়ার মতো পক্ষপাতদুষ্ট নয়।’’

    ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ (Elon Musk)

    এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে এলন মাস্ক (Elon Musk) বলেন, “অনলাইন বিশ্বকোষটি হতাশাজনক ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। যদিও গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) বিষয়বস্তু উইকিপিডিয়া এবং ব্রিটানিকার মতো বিশ্বকোষের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি উক্ত বিষয়বস্তুর একটি অংশকেই ধারণ করে। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ রয়েছে। আগামী দিনে এই পরিসর আরও বাড়বে।

    উইকিপিডিয়া-গ্রোকিপিডিয়ার ফলাফলে পার্থক্য

    সাধারণত, উইকিপিডিয়ায় অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং বামপন্থী, সেকুলারপন্থী মতাদর্শকে এর বিষয়বস্তুতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতি বিশ্বকোষ হওয়ার নীতির বিরুদ্ধে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উইকিপিডিয়া অনুসারে, লিঙ্গ হল একজন পুরুষ (বা ছেলে), মহিলা (বা মেয়ে), বা তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ার সামাজিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং আচরণগত দিকগুলির পরিসরে মানুষ। অপর দিকে গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) এটিকে যেমনটি হওয়া উচিত তেমন সংজ্ঞায়িত করে। তাতে বলে এটি জৈবিক লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে পুরুষ বা মহিলা হিসাবে বংশবিস্তার এবং সন্তান ধারণের বাস্তব জ্ঞানে সংজ্ঞায়িত। উভয়ের বিশ্লেষণ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য হল, উইকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় মত ও আদর্শ মেনে। অপরে গ্রোকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় তথ্যের উপর ভিত্তি করে।

    গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) কন্টেন্টগুলি একই বৃহৎ ভাষা মডেল দ্বারা তৈরি করা হয়েছে যা এক্স-এ গ্রোক চ্যাটবট দ্বারা নির্ভর করে তৈরি হয়। লাইভ ব্যবহারকারীর ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে, যা ক্রমাগত আপডেটের অপশনও দেবে। তবে বর্তমান ব্যবহারকারীরা উইকিপিডিয়ার মতো গ্রোকিপিডিয়ার কন্টেন্ট সম্পাদনা করতে পারবেন না। ত্রুটিযুক্ত লেখা নির্বাচন করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা ত্রুটি বা ভুল বোতামে ক্লিক করতে পারবেন। সঠিক তথ্য এবং উৎসসূত্র সহ নানা তথ্য প্রদান করা যাবে। কন্টেন্টের পরিবর্তন তাৎক্ষণিক হবে না। তবে বর্তমানে গ্রোকিপিডিয়ার কেবলমাত্র পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

  • Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    Elon Musk: আমেরিকায় পানি পাবে কি ইলন মাস্কের নয়া দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ জুলাই নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন বিলিয়নিয়র ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তাঁর দলের নাম আমেরিকা পার্টি। এক্স হ্যান্ডেল তিনি জানিয়েছেন তাঁর এই নয়া দলের কথা। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতদ্বৈততা চরমে ওঠে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ইলন মাস্কের। তার পরেই আত্মপ্রকাশ করে মাস্কের নয়া দল। ট্রাম্পের বিলটিকে মাস্ক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন।

    মাস্কের দলের তিন স্তম্ভ (Elon Musk)

    যদিও মাস্কের দলটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি, তাদের কোনও সংবিধানও নেই। তবে মাস্কের দলটি মূলত তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এগুলি হল, আগ্রাসী আর্থিক রক্ষণশীলতা – ঋণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর ওপর জোর, প্রযুক্তিগত গতি বৃদ্ধি – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং বিশেষ করে জ্বালানি খাতে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করার পক্ষে জোরালো অবস্থান এবং মধ্যম ৮০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব – রাজনৈতিক চরমপন্থীদের দ্বারা বিমুখ হওয়া সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বের দাবি। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাস্কের নয়া দলের প্রতি জনগণের কিছুটা আগ্রহ রয়েছে। ৪০ শতাংশ ভোটার এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে মাস্কের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাঁর অনুকূলতা সূচক বর্তমানে -১৮।

    আগেও ছাপ ফেলতে পারেনি তৃতীয় কোনও দল

    তবে ১৭৭৬ সাল থেকে আমেরিকায় তৃতীয় রাজনৈতিক দলগুলির ইতিহাস মাস্কের আকাঙ্ক্ষার এক হতাশাজনক ছবি তুলে ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বরাবরই চ্যালেঞ্জারদের দমন করেছে (Elon Musk)। থিওডোর রুজভেল্টের প্রগ্রেসিভ বুল মুস পার্টি ১৯১২ সালে ২৭ শতাংশ ভোট জয়ী হলেও, অল্পদিনেই ভেঙে পড়ে। রস পেরোর রিফর্ম পার্টি ওই বছরই ভোট পেয়েছিল ১৯ শতাংশ ভোট। পেরো নেতৃত্ব ছাড়ার পরেই দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে নয়া পার্টি। লিবার্টেরিয়ান ও গ্রিন পার্টির মতো ধারাবাহিক চেষ্টাগুলোও দশকের পর দশক ধরে সংগ্রাম করে চলেছে। কিন্তু সম্মিলিতভাবে কংগ্রেসের ১ শতাংশ আসনও পায়নি।

    কাঠামোগত বাধাও রয়েছে। নয়া দলকে প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আইনের অধীনে লাখ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যেই ১১ লাখ স্বাক্ষর বা ৭৫ হাজার নিবন্ধিত সদস্য লাগবে। “স্পয়লার এফেক্ট”ও একটি বড় বাধা। কারণ তৃতীয় দলগুলো প্রায়ই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ভোট কেটে নেয়। তাই তাদের প্রতিপক্ষই জয়ী হয়। তাই মাস্কের দল আমেরিকায় পানি পাবে কিনা, তা বলবে সময়। তবে এনিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সে দেশের রাজনৈতিক (Donald Trump) বিশেষজ্ঞরা। ভ্যালডোস্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বার্নার্ড টামাস বলেন, “এটা ব্যবসা চালানোর মতো নয়। এর জন্য একটি তৃণমূলস্তরের আন্দোলনের প্রয়োজন। শুধু টাকাটাই যথেষ্ট নয় (Elon Musk)।”

  • Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    Elon Musk: নয়া দল গড়লেন ইলন মাস্ক, পার্টির নাম কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুরোদস্তুর রাজনীতিক হয়ে গেলেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। শনিবার একটি নয়া দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলের নাম আমেরিকা পার্টি। দল গড়ার আগে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন এই ধনকুবের। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে নয়া দলের ধারণা (Donald Trump) নিয়ে জনমত যাচাই করতে ভোটাভুটি করিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মেলে বিপুল সাড়া। তার পরেই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাশ হওয়ার পরেই নয়া রাজনৈতিক দল খুলে ফেললেন মাস্ক। নয়া পার্টির ঘোষণা করে এক্স হ্যান্ডেলে মাস্ক লেখেন, ‘২ টু ১ এর ফ্যাক্টরে আপনারা একটি নয়া রাজনৈতিক দল চান এবং আপনি সেটাই পাবেন। আজ আমেরিকা পার্টি আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গঠিত হয়েছে।’

    মাস্কের হুঁশিয়ারি (Elon Musk)

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসেন, তার আগে তাঁর হয়ে প্রচারে শত শত মিলিয়ন ডলার ঢেলেছিলেন মাস্ক। ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে মাস্ককে বসিয়েছিলেন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির নেতৃত্বে। সরকারি ব্যয় হ্রাস করার পক্ষে ছিলেন মাস্ক। পরে নানা কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় মাস্কের। ট্যাক্স কাট এবং ব্যয় বিল – দ্য বিগ বিউটিফুল বিল নিয়ে ট্রাম্প-মাস্কের বিরোধ চরমে ওঠে। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই সামান্য ব্যবধানে পাশ হয়ে যায় ট্রাম্পের বিল। এর পরেই মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই বিল আইনে পরিণত হলে নয়া দল গড়বেন তিনি। মাস্কের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৪ জুলাই বিলটিতে সই করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বিলটি পরিণত হয় আইনে। তার পরেই এদিন মাস্ক জন্ম দেন আমেরিকান পার্টির।

    সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা

    মাস্ক (Elon Musk) নয়া দল খোলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রিপাবলিকানরা। কারণ মাস্কের সমর্থকদের সিংহভাগই রিপাবলিকান। আগামী বছর মধ্যবর্তী কংগ্রেসনাল নির্বাচনে মাস্কের দল নির্বাচনী ময়দানে নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ট্রাম্পের দল। ভোট কাটাকুটির খেলার সুযোগ নিতে পারেন ডেমোক্র্যাটরা। মার্কিন কংগ্রেসে আটকে যেতে পারে বহু বিল। ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট পদ না খোয়ালেও, ক্ষমতার রাশ রিপাবলিকানদের হাতে নাও থাকতে পারে (Elon Musk)।

  • Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    Tesla: ভারতে খুলছে টেসলার প্রথম শোরুম? জানুন কবে, কেথায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রবেশের জন্য ইভি জায়ান্ট টেসলা (Tesla) তার রিটেল বিক্রয় কেন্দ্র শুরু করতে দুটি জায়গা নির্বাচন করেছিল – মুম্বই (Mumbai) এবং দিল্লি। তবে শেষমেশ আগামী মাসেই মুম্বইয়ে খুলতে চলেছে ভারতে টেসলার প্রথম শোরুম।

    মাস্ক-মোদি বৈঠক (Tesla)

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের। তার পরেই কোম্পানিটি ভারতে চাকরির জন্য আবেদনপত্র চাওয়া শুরু করে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর এবার খুলতে চলেছে ভারতে এই বিশ্বখ্যাত কোম্পানির প্রথম শোরুম। পরে খোলা হবে নয়াদিল্লিতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি বাজার। ভারতে ব্র্যান্ডের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে এর বিক্রি বাড়াতে পারে। ইউরোপ এবং চিনে অবশ্য বিক্রি কমেছে এই গাড়ির।

    টেসলার দাম কত 

    ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলা ভারতীয় বাজারে রিয়ার হুইল ড্রাইভ কনফিগারেশন-সহ মডেল ওয়াই চালু করবে। জানা গিয়েছে, এই ইভি টেসলার চিনের কারখানা থেকে আমদানি করা হবে। ট্যাক্স ছাড়াই টেসলা মডেল ওয়াইয়ের দাম হতে পারে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৮.৪৮ লাখ টাকারও বেশি। তবে বাজারে ব্রান্ডের অবস্থান এবং এর মার্জিন বিবেচনা করে চূড়ান্ত দাম পরিবর্তিত হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গাড়িটি যদি উচ্চ মূল্যের ট্যাগ নিয়ে বাজারে ঢোকে, তাহলে এটি অটোমেকারের বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জুলাই মাসে মুম্বইতে প্রথম শোরুম খোলার পরে নয়াদিল্লিতে একটি নতুন শোরুম করবে টেসলা। ডিলারশিপগুলি চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং নেদারল্যান্ডস থেকে সুপারচার্জার উপাদান, গাড়ির আনুষাঙ্গিক খুচরো যন্ত্রাংশ এবং পণ্য আমদানি করেছে (Tesla)।

    প্রসঙ্গত, আমদানি কর এবং স্থানীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক বছরের বিলম্বের পর এবার ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে টেসলা। চলতি (Mumbai) বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাস্ক-মোদির বৈঠকের পরেই অগ্রগতি ঘটে এই প্রকল্পের (Tesla)।

  • Errol Musk : ‘শিবকে অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি আসবে’ ভারতে এসে কী বললেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল?

    Errol Musk : ‘শিবকে অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি আসবে’ ভারতে এসে কী বললেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবই শক্তির উৎস, শিবই শান্তির আধার। পুরো বিশ্ব যদি শিবকে অনুসরণ করে তাহলেই শান্তি আসবে। ভারতে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের বাবা ইরল মাস্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন তিনি। আশ্বাস দেন ভারতে হবেই টেসলার (Tesla In India) কারখানা। যদিও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইলন মাস্কের (Elon Musk) ওপরই সব ছেড়েছেন ইরল মাস্ক (Errol Musk)। তিনি জানান, ক্রম উন্নতি হচ্ছে এমন অর্থনীতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের জন্য এটা খুব ভালো সময়।

    শিব-বন্দনা, হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরাগ

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী ইরল মাস্ক রবিবার ৫ দিনের ভারত সফরে এসেছেন। দিল্লিতে এসেছেন তিনি। পলিসি নির্মাতা, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, আমলাদের সঙ্গে তাঁর মিটিংয়ের কথা রয়েছে। ৬ জুন তিনি ফের সাউথ আফ্রিকার জন্য রওনা দেবেন। ৭৯ বছর বয়সি ইরল মাস্ক (Errol Musk) রিয়ানার সাফিয়াবাদে সৌর ও ইভি চার্জার তৈরির ইউনিট পরিদর্শন করবেন। অযোধ্যার রামমন্দিরেও যাবেন তিনি। সোমবার, এক অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মও শিবের প্রতি তাঁর ভক্তির কথা জানান ইরল। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের হত্যার নিন্দা করে মাস্ক বলেন, “শিবের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। শিবই শক্তি, শিবই শান্তি। শিবকে অনুসরণ করলেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা

    সোমবার ভারতে টেসলার কারখানা হওয়ার বিষয়ে আশা দেখিয়েছেন ইরল মাস্ক (Errol Musk)। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কোনও সন্দেহ নেই, ভারতে একটি টেসলার উৎপাদন কারখানা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইলন মাস্ককে এই বিষয়ে বসে আলোচনা করতে হবে। দেখতে হবে, আলোচনা যেন, উভয়ের জন্যই লাভজনক হয়। টেসলাকে দেশে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের স্বার্থের দিকে নজর দেবেন। ঠিক তেমনই ইলনকে একটি কোম্পানি হিসেবে টেসলার স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। সুতরাং, তাদের এমন কিছু ঠিক করতে হবে, যা টেসলার পাশাপাশি ভারতের জন্যও ভালো হয়। মাস্ক আরও বলেছেন, “আমার কোনও সন্দেহ নেই যে ভারতে একটি টেসলার উৎপাদন কারখানা থাকবে। ভারতে একটি টেসলা প্ল্যান্ট থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান।” প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে মুগ্ধ ইরল বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। যে কোনও বিষয়ে তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেশকে সঠিক দিশা দেখায়। তাঁর বুদ্ধি ও দক্ষতা ভারতকে বিশ্বগুরু-র আসনে নিয়ে যাবে।”

  • Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ (DOGE) ছাড়লেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ওই পদে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। একদিন আগেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন ছাড়লেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন টেসলা কর্তা। তবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।

    ডজ-থেকে দূরে

    বন্ধুত্বের খাতিরে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ঢেলেছিলেন বিপুল টাকা। সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিয়েছিলেন ট্রাম্পও (Donald Trump)। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন টেসলা কর্তাকে। তাঁর জন্য সরকারি দক্ষতা বিষয়ক আলাদা একটি দফতরও তৈরি করে দেন, যার দায়িত্ব ছিল ইলনের কাঁধেই। কিন্তু সুখের সংসারে চিড়। বুধবারই বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি, যা সংক্ষেপে ডজ (DOGE) নামে পরিচিত, তার নেতৃত্বে ইতি টানার সময় এসেছে। মাস্ক টুইট করে জানিয়েছেন, “মার্কিন সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডজ-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে।”

    ট্রাম্প-মাস্ক দূরত্ব

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের অন্যতম এক উদ্যোগ ডজ (DOGE)। এই দফতরের দায়িত্ব মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার এবং খরচ কমানো। যার মাথায় বসানো হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। ইলন মাস্ককে (Elon Musk) বিশেষ সরকারি কর্মী হিসেবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। এই পারমিটে বছরে ১৩০ দিন কোনও ব্যক্তি সরকারের জন্য কাজ করতে পারেন। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ডজ-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও ইলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাঁর ভূমিকা কেবলই পর্যবেক্ষকের। তখন থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনে সামিল হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইলন মাস্ককে। এমনকী ক্ষুব্ধ জনগণ তাঁর গাড়ি কোম্পানি টেসলাকেও বয়কট করে। কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ারেও ব্যাপক পতন হয়।

    ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতান্তর

    প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে মতান্তরই কি টেসলা প্রধান মাস্কের এই অব্যাহতির প্রধান কারণ? সদ্য আমেরিকায় জনকল্যাণমূলক কাজে ও সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। যে বিলকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে অভিহিত করেন। সেই বিল নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছিল মাস্কের তরফে। মাস্ক (Elon Musk), প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করে বিলটি পুনরায় বিবেচনা করার কথা বলেন। হোয়াইট হাউসের বহু কর্মীর দাবি ছিল যে ট্রাম্প এই বিলে সই করার ফলে মার্কিন রাজকোষে বহু টাকা বাঁচবে। এদিকে, মাস্কের দাবি ছিল এই বিলের ফলে রাজকোষে ঘাটতি বাড়বে। সেই মাতন্তর থেকেই কি মাস্ক সরে গেলেন পদ ছেড়ে? পদত্যাগের পরও মাস্ক জানান, তিনি ডজ-এর লক্ষ্যকে সমর্থন করবেন এবং সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মাস্কের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, মাস্ক সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরোক্ষে কাজ করবেন।

  • PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    PM Modi: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ফোনে কথা মোদি-মাস্কের, কী আলোচনা হল দু’জনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধের আবহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দীর্ঘ সময় ফোনে কথা হল টেসলা ও স্পেসএক্সের কর্তা ইলন মাস্কের (Elon Musk)। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে। মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিজেই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি বছরের শুরুতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওয়াশিংটনে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল মোদির। এবার হল টেলিফোনিক কনভার্সেশন।

    কী বললেন মোদি? (PM Modi)

    মাস্কের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানিয়ে মোদি লেখেন, “বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলিও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    টেলিফোনে কথাবার্তা

    মাস্কের সংস্থা ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্পে নিয়োগ শুরু করেছে। যদিও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ভারতে প্রবেশ করেনি। অতীতে বৈদ্যুতিন গাড়ি শিল্প নিয়ে ভারত সরকার ও মাস্কের মধ্যে চাপানউতোর ছিল। মাস্কের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল, ভারতে বৈদ্যুতিন গাড়িতে উচ্চ আমদানি শুল্ক! তবে গত বছরের মার্চে বৈদ্যুতিন গাড়িতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তার পরেই ওয়াশিংটনে হয় মোদি-মাস্ক মুখোমুখি বৈঠক (PM Modi)। এবার হল টেলিফোনে কথাবার্তা।

    মার্কিন রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব কারও অজানা নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারেও তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পর মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির মাথায় বসানো হয় তাঁকে। মার্কিন প্রশাসনের সমস্ত খরচের হিসেব রাখে এই দফতর।

    প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে মুখোমুখি বৈঠক হয়েছিল ইলন মাস্কের। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সঙ্গিনী শিভন জিলিস ও মাস্কের তিন শিশু সন্তান। মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স মহাকাশযানের একটি অংশও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মাস্ক। প্রধানমন্ত্রীও মাস্কের (Elon Musk) তিন সন্তানের জন্য বই নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বইও (PM Modi)।

  • Grok 3: সুপার কম্পিউটারের থেকে কোনও অংশে কম নয় মাস্কের এআই টুল গ্রক-৩

    Grok 3: সুপার কম্পিউটারের থেকে কোনও অংশে কম নয় মাস্কের এআই টুল গ্রক-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক সম্প্রতি লঞ্চ করেছেন Grok 3 AI চ্যাটবট। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, Grok 3 AI আগের Grok 2 AI এর চেয়ে আরও বেশি উন্নত। এই আবহে টেসলা কর্তার ঘোষণা, নতুন চ্যাটবট OpenAI-এর ChatGPT এবং Google-এর Gemini-এর চেয়েও বেশি জনপ্রিয় হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি Grok 3 AI লঞ্চ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এক্স (পূর্বে টুইটার) এর প্রিমিয়াম প্লাস গ্রাহকদের বিনামূল্যে অ্যাক্সেস দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই AI চ্যাটবটটি ChatGPT এবং Google Gemini এর মতো বিনামূল্যে ব্যবহারের সুবিধা মিলবে না। এটি ব্যবহার করতে হলে গ্রাহকদের X এর প্রিমিয়াম প্ল্যান কিনতে হবে। চ্যাটজিপিটি এবং গুগলের জেমিনির এআই মডেলের বিকল্প হিসাবে ২০২৩ সালেই কৃত্রিম মেধা ‘গ্রক’ তৈরি করেছে মাস্কের সংস্থা। পরে গ্রককে এক্স-এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তারপর তা ধাপে ধাপে উন্নত করা হয়। মাস্কের এই এআই টুল সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতীয়দেরও মধ্যেও বেশ জনপ্রিয়।

    একটি সুপার কম্পিউটারের থেকে কোনও অংশে কম নয়

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে লঞ্চ হওয়ার পরেই সংস্থার তরফে জানানো হয়, Grok ব্যবহার করার সুবিধা পাওয়া যাবে ম্যাক ওএস এবং উইন্ডোজে। তবে নতুন এক্সআই চ্যাটবটের লঞ্চের পর এক্স মাধ্যমের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের রেট বা খরচও বেড়েছে। জানা যাচ্ছে, একটি সুপার কম্পিউটারের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় এক্সআই-এর Grok চ্যাটবট। অসম্ভব শক্তিশালী ভাবে তৈরি হয়ে রয়েছে এই মাধ্যম।

    গ্রক-২ এর চাইতে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী

    কলোসাস সুপারকম্পিউটারে চালিত এই চ্যাটবট পূর্বতন জেনারেশনের (গ্রক ২) চাইতে ১০ গুণ শক্তিশালী বলে জানানো হয়েছে। উন্নততর যুক্তি আর বিপুলতর জ্ঞানভাণ্ডারকে ফর্মুলা বানাতে কাজে লাগানো হয়েছে। যেকোনও কোডিং, জটিল অঙ্ক সমাধান, ছবি তৈরি, নির্দেশমাফিক কাজ করা তো নস্যি এই চ্যাটবটের কাছে। গ্রকের নবতম অবতার গ্রক-৩ আপনার পছন্দের গেম মিলিয়ে-মিশিয়ে নতুন কোনও গেমও বানাতে পারে। আর সেটাও চোখের নিমেষে! বাকি চ্যাটবট স্রেফ আদেশটুকু পালন করেই ক্ষান্ত থাকে। গ্রক এই সমাধানের সমস্ত পর্যায় নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম। যুক্তির প্রতিটি স্তর তুলে ধরে।

    ব্যবহার করতে সুপার গ্রক নামে একটি নতুন সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান নিতে হবে

    এছাড়াও, এটি ব্যবহার করতে সুপার গ্রক নামে একটি নতুন সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানও নিতে হবে। এই প্ল্যানটি Grok অ্যাপ এবং নতুন চালু হওয়া ওয়েবসাইট grok.com-এ উপলব্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। লঞ্চের আগে, ইলন মাস্ক এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট এআই বলে অভিহিত করেন। গ্রক ৩ সরাসরি OpenAI-এর ChatGPT সাথে প্রতিযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। OpenAI-এর ChatGPT চালু হওয়ার পর থেকে, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে AI টুল চালু করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিগত এক বছরে অনেক AI টুল বিশ্ববাজারে লঞ্চ হয়েছে। সম্প্রতি, চিনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এনেছে ডিপসিক।

    অন্যান্য এআই টুলের থেকে অনেক উন্নত

    নতুন এআই টুল Grok 3-তে অন্যান্য AI টুলের তুলনায় অনেক উন্নত এবং স্মার্ট ফিচার্স পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইলন মাস্ক এমন এক সময়ে গ্রক ৩ চালু করছেন যখন সারা বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। এই আবহে আবার খবর সামনে এসেছে, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যান এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের। সম্প্রতি নাকি ইলন মাস্ক ওপেন এআই কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু টেসলা কর্তার প্রস্তাব ওপেন এআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

    কী বলছেন ইলন মাস্ক

    এই প্রসঙ্গে বলা দরকার, একটা সময় ছিল যখন ইলন মাস্ক নিজেই ছিলেন ওপেন এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা দলের সদস্য। ওপেন এআই ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই, মাস্ক তার নিজস্ব এআই টুল চালু করার প্রস্তুতি শুরু করেন। এখন আপনি সহজেই X প্ল্যাটফর্মে Grok AI ব্যবহার করতে পারেন। টেসলা কর্তা জানিয়েছেন, Grok- এর সাহায্যে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই সহজে সম্ভব হবে। পৃথিবী, মহাকাশ, মহাজাগতিক বিষয় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান এখনও যথেষ্টই সীমিত। সেই জ্ঞানের ভাণ্ডারের বিস্তার হবে Grok- এর সাহায্যে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন আবিষ্কারও সম্ভব বলে জানিয়েছেন মাস্ক। জানা গিয়েছে, Grok আসলে একটি জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চ্যাটবট। ইলন মাস্ক আরও জানিয়েছেন, Grok হল ‘স্মার্টেস্ট এআই অন আর্থ’। এক্স মাধ্যমে এমনটাই ঘোষণা করেছেন এই ধনকুবের।

  • Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পৌঁছল স্পেসএক্সের যান, ফিরছেন বুধবার

    Sunita Williams: সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পৌঁছল স্পেসএক্সের যান, ফিরছেন বুধবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতারা (Sunita Williams)। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) পৌঁছে গিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের মহাকাশযান। সুনীতাদের আনতে ক্রিউ-১০-এর চার মহাকাশচারী সেখানে নেমেছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নভশ্চর সুনীতা উইলিয়াম এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোরের সঙ্গে তাঁদের দেখাও হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই মুহূর্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত করা হয়েছে। এত দিন পরে সহকর্মীদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন সুনীতারা। তাঁদের উচ্ছ্বাসের বিভিন্ন মুহূর্ত ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।

    নাসার তরফে সমাজমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ (Sunita Williams)

    নাসার তরফে সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও প্রকাশও করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মহাকাশযানের দরজা খুলে একে একে বেরিয়ে আসছেন চার মহাকাশচারী। মহাকাশে ভাসতে ভাসতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন তাঁরা। কেউ কেউ উচ্ছ্বাসে হাততালিও দিয়ে উঠছেন। সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরেই সুনীতা (Sunita Williams) জানান, তাঁদের আসতে দেখে তিনি ভীষণ খুশি। এটি ‘একটি অসাধারণ দিন’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। নাসা ইতিমধ্যে জানিয়েছে, স্পেসএক্সের ড্র্যাগন মহাকাশযানের দরজা খুলেছে রবিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে। এদিন ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই মহাকাশযানটি মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছয়।

    আগামী বুধবার ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটে নাগাদ ফেরার কথা

    নাসা সূত্রে খবর, আগামী বুধবার ভারতীয় সময় অনুযায়ী দুপুর দেড়টা নাগাদ সুনীতা (Sunita Williams)-সহ চার জনকে নিয়ে আবার পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে স্পেসএক্সের মহাকাশযান। সুনীতাদের সঙ্গে ফিরবেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাসে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ।মাত্র আট দিন পরেই তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যে মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ফলে তাতে সুনীতাদের প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এরপরে নাসা সিদ্ধান্ত নেয়, ওই মহাকাশযানে সুনীতারা ফিরবেন না। ফলে মহাকাশে আটকে পড়েন সুনীতা এবং বুচ। তাঁদের আট দিনের মহাকাশ সফর দীর্ঘায়িত হয়ে গেল ন’মাসে।

LinkedIn
Share