Tag: Embassy

  • Fake Embassy Scandal: ভুয়ো দেশের ভুয়ো রাষ্ট্রদূত! পর্দা ফাঁস করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    Fake Embassy Scandal: ভুয়ো দেশের ভুয়ো রাষ্ট্রদূত! পর্দা ফাঁস করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো দেশের জাল রাষ্ট্রদূতের (Fake Embassy Scandal) পর্দা ফাঁস করে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ভুয়ো পাসপোর্ট, জাল ভিসার কথা শোনা গিয়েছে। তা বলে একটি ভুয়ো দেশের ভুয়ো রাষ্ট্রদূতের খবর! না, এমনটা এতদিন শোনা যায়নি। এবার গেল। সৌজন্যে উত্তরপ্রদেশের পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের নয়ডা ইউনিট (Harshvardhan)।

    বাড়ি ভাড়া নিয়ে দূতাবাস (Fake Embassy Scandal)

    জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের কবিনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দূতাবাস তৈরি করেছিলেন জনৈক হর্ষবর্ধন জৈন। বাড়িটির বাইরে সব সময় পার্ক করা থাকত একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। হর্ষবর্ধন নিজেকে সব সময় এক জন কূটনীতিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁর বাড়ির বাইরে যেসব গাড়ি পার্ক করা থাকত, সেগুলির নম্বরপ্লেটও আর পাঁচজন কূটনীতিকের মতোই। তাই দীর্ঘদিন ধরে কারবার চালিয়ে গেলেও সন্দেহ হয়নি কারও। হর্ষবর্ধন কখনও নিজেকে ওয়েস্টার্কটিকা, কখনও আবার সাবোরগা, পুলভিয়া, লোডেনিয়ার মতো ছোট ছোট দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পরিচয় দিতেন। শুধু তাই নয়, ওই সব দেশের জাল পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র এবং ভুয়ো সরকারি নথি ব্যবহারও করতেন তিনি।

    ওয়েস্টার্কটিকা

    আন্টার্কটিকা মহাদেশের একটি ছোট্ট দেশ হল ওয়েস্টার্কটিকা। বিশ্বের কোনও প্রতিষ্ঠিত দেশ ওয়েস্টার্কটিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তার মতোই অন্য ছোট ছোট দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে ওয়েস্টার্কটিকা। মার্কিন নৌবাহিনীর এক প্রাক্তন কর্তা ট্র্যাভিস ম্যাকহেনরি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ওয়েস্টার্কটিকা। তিনি নিজেকে তার ‘গ্র্যান্ড ডিউক’ বলে দাবি করেন। দেশটির আয়তন ৬ লাখ ২০ বর্গমাইল। ওয়েস্টার্কটিকার দাবি, তাদের দেশে ২ হাজার ৩৫৬ জন নাগরিক রয়েছেন। যদিও তাঁদের কেউই দেশটিতে থাকেন না। দেশটির নিজস্ব পতাকা এবং মুদ্রাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও জোটেনি কোনও প্রতিষ্ঠিত দেশের স্বীকৃতি।

    স্বীকৃতিহীন এই দেশটিরই রাষ্ট্রদূত

    স্বীকৃতিহীন এই দেশটিরই রাষ্ট্রদূত বলে নিজেকে জাহির করে দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছিলেন হর্ষবর্ধন। বুধবার ভুয়ো ওই দূতাবাসে অভিযান চালিয়ে এসটিএফ বাজেয়াপ্ত করে কূটনৈতিক নম্বরপ্লেটযুক্ত চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। ১২টি কূটনৈতিক পাসপোর্টও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের স্ট্যাম্প-সহ জাল নথিও মিলেছে। শুধু তা-ই নয়, দু’টি জাল প্যান কার্ড, বিভিন্ন দেশ এবং কোম্পানির ৩৪টি রবার স্ট্যাম্পও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪.৭ লাখ টাকাও। উদ্ধার হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাও। গ্রেফতার করা হয়েছে হর্ষবর্ধনকে (Fake Embassy Scandal)।

    কে এই হর্ষবর্ধন?

    প্রশ্ন হল, কে এই হর্ষবর্ধন (Harshvardhan)? জানা গিয়েছে, লন্ডন কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন হর্ষবর্ধন। এর আগে তিনি গাজিয়াবাদেরই আইটিএস কলেজ থেকে এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেছিলেন। তাঁর বাবা গাজিয়াবাদের এক ব্যবসায়ী ছিলেন। রাজস্থানে তাঁদের পরিবারের মার্বেল খনি ছিল। তবে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা। এই সময় হর্ষবর্ধনের সঙ্গে দেখা হয় বিতর্কিত ধর্মগুরু চন্দ্রস্বামীর। তিনি তাঁকে লন্ডনে চলে যেতে সাহায্য করেন। সেখানে বেশ কয়েকটি কোম্পানি খোলেন হর্ষবর্ধন। তদন্তকারী সংস্থাগুলির মতে, এই কোম্পানিগুলি বেহিসাবি অর্থ লুকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। হর্ষবর্ধন একজন আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী আদনান খাশোগির সঙ্গেও কাজ করেছিলেন। পরে হর্ষবর্ধন তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন দুবাইয়েও।

    চন্দ্রস্বামীর মৃত্যুর পর গাজিয়াবাদেই ফিরে আসেন হর্ষবর্ধন

    এদিকে, চন্দ্রস্বামীর মৃত্যুর পর গাজিয়াবাদেই ফিরে আসেন হর্ষবর্ধন। ব্যাপক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। তার পরেই ফাঁদেন ভুয়ো দূতাবাসের ‘ব্যবসা’। এই ব্যবসা ফেঁদেই গত সাত বছর ধরে লোক ঠকিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন (Fake Embassy Scandal), ওই জাল রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এডিট করা ছবি ব্যবহার করে লোক ঠকিয়ে যাচ্ছিলেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন, হর্ষবর্ধনের (Harshvardhan) চক্রটি বিদেশি ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষ এবং বিভিন্ন সংস্থাকে প্রতারণা করে চলেছিল। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে একটি হাওলা নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছিলেন তিনি। হর্ষবর্ধনের ভাড়া করা বাড়িতে যে নেমপ্লেট লাগানো ছিল, সেখানে লেখা ছিল সুশীল অনুপ সিং। সোনালি রংয়ে আঁকা দ্বিতীয় নেমপ্লেটে লেখা ছিল এইচভি জৈন।

    আন্তর্জাতিক চাকরির আড়ালে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা

    কূটনৈতিক সংযোগ এবং আন্তর্জাতিক চাকরির আড়ালে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন হর্ষবর্ধন। বছর সাতচল্লিশের এই ব্যক্তি কয়েকটি স্বঘোষিত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের একজন হাইপ্রোফাইল রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতেন এবং মিথ্যে অজুহাতে হাওলা লেনদেন, জালিয়াতি এবং দালালাতি জড়িত ছিলেন (Fake Embassy Scandal)। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিতে হর্ষবর্ধন তাঁর ভাড়া বাড়িতে বিভিন্ন দেশের পতাকা উত্তোলন করতেন। অনুমোদন ছাড়াই তিনি জাল কূটনৈতিক ও প্রেস আইডি কার্ডও ব্যবহার করতেন। এসবের আড়ালেই চলছিল জালিয়াতির কারবার (Harshvardhan)।

  • India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    India Iran Relation: সংঘাতের সময় শান্তির প্রতি অঙ্গীকার ভারতের, গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসী তাদের সমর্থন জানানোয় গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লিতে ইসলামি প্রজতন্ত্র ইরানের (India Iran Relation) দূতাবাস কর্তৃপক্ষ (Iranian Embassy)। ২৫ জুন দূতাবাসের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত সামরিক আগ্রাসনের সময় ভারতের জনগণের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহান ও স্বাধীনতাপ্রেমী ভারতীয় জনগণকে – যার মধ্যে রয়েছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, সাংসদ, এনজিও, ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতা, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম এবং সমাজকর্মীরা, যাঁরা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

    ইরানি দূতাবাসের বিবৃতি (India Iran Relation)

    ঘটনাটিকে “দখলদার ইহুদিদের শাসন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিজয়” হিসেবে বর্ণনা করে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে যে সংহতি প্রকাশ করা হয়েছে, তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ। এই সমর্থনকে তারা ইরানি জাতির প্রতি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ বলেও অভিহিত করেছে। ইরানি দূতাবাসের তরফে আরও বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা, নৈতিক সমর্থন,  জনসাধারণের বিবৃতি এবং শান্তিপূর্ণ জমায়েত” — এসব কাজকর্ম সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতের সময় ইরানি জনগণের জন্য এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সংহতির বার্তা এবং শান্তিমূলক উদ্যোগে অংশগ্রহণ — এসব সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ এক ভয়াবহ সামরিক হামলার সময় ইরানি জনগণকে দৃঢ়ভাবে উৎসাহিত করেছে, যা চালিয়েছিল দখলদার ইহুদিরা। এই ধরনের কাজকর্ম জাতিসমূহের জাগ্রত বিবেক এবং আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন (Iranian Embassy)।”

    ইরানি জনগণের দৃঢ়তা

    ইরানের অবস্থান তুলে ধরে, নয়াদিল্লিতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রতিরোধ কেবলমাত্র তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না — এটি ছিল রাষ্ট্রসংঘ সনদ ও মানবাধিকার নীতিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক দৃঢ় অবস্থান (India Iran Relation)। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “স্পষ্ট আগ্রাসনের মুখেও ইরানি জনগণের দৃঢ়তা কেবল জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রশ্ন ছিল না, বরং আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিরোধও ছিল। যে বৈশ্বিক সংহতি প্রকাশ পেয়েছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয় — এটি ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও শান্তির সর্বজনীন মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে।”

    আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের প্রতিশ্রুতি

    ওই বিবৃতিতে দূতাবাসের (Iranian Embassy) তরফে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইরানের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। দেশটি সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, জাতিগুলির ঐক্য যুদ্ধ, হিংসা ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল।” এর পরেই সত্যিকারের এবং অমূল্য সমর্থনের জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ভারতীয় জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে। দূতাবাস জানিয়েছে, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার ঐতিহ্যভিত্তিক এই সংহতি শান্তি ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে আরও অগ্রগতি আনবে। বিবৃতির শেষে লেখা, “জয় ইরান — জয় হিন্দ।”

    ইরানে হামলা

    গত ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানের সামরিক বাহিনী এবং তার পারমাণবিক কেন্দ্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা-সহ প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলির বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা চালায়। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবাসীর একাংশ ইরানকে সমর্থন করে। উদ্বেগ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। উত্তজেনা কমানোর আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাধারণ মানুষের একটা অংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে, সমালোচনা করে ইজরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের। ফোনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা (India Iran Relation)।

    প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ। তেল আভিভের (ইজরায়েলের রাজধানী) অভিযোগ, হামাস এবং হুথিদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে যারা সমর্থন করে, তারা তাদের সঙ্গেই যুদ্ধ করে। ইজরায়েলকে সমর্থন করে আমেরিকাও। ট্রাম্প প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে এবং বিশ্বশান্তির জন্য একে এই কর্মসূচি পালন করা থেকে বিরত রাখতে চায়। এদিকে ইরান এটিকে নির্লজ্জ ও বিনা উসকানিতে আগ্রাসন বলে অভিহিত করে। তারা ব্যালিস্টক (Iranian Embassy) ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়। গত ২৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার কথা বলার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল দুই দেশের সংঘাত (India Iran Relation)।

LinkedIn
Share