Tag: Fatty liver disease

Fatty liver disease

  • Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারের জেরে কার্যক্ষমতা কমছে কোন অঙ্গের? কীভাবে অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে?

    Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারের জেরে কার্যক্ষমতা কমছে কোন অঙ্গের? কীভাবে অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লিভারে বাড়তি মেদ জমার জেরেই বাড়ছে বিপদ! কম বয়সি ছেলেমেয়ে থেকে বয়স্ক-অনেকেই এখন ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমার সমস্যা মূলত দুটি কারণে হচ্ছে, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অতিরিক্ত পরিমাণে তেলমশলা যুক্ত চটজলদি খাবার খাওয়া। তবে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, নন অ্যালকোলহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্তদের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপান না করলেও অনেকের শরীরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যা তৈরি করছে। তবে এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে শুধুই লিভার নয়, শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে। যার ফলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন‌যাপন কঠিন হয়ে যায়। জানেন কি, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে কোন কোন অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে?

    পেটের সমস্যা বাড়ে (Fatty Liver) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা হয়। এটি ফ্যাটি লিভারের অন্যতম উপসর্গ। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে হজমের গোলমাল হয়। অনেক সময়েই বমি ভাবের সমস্যাও দেখা যায়। অনেক সময়েই আক্রান্ত লাগাতার পেটের অসুখে কাবু হন।‌

    কিডনির কার্যকারিতা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারের এই সমস্যার জেরে (Fatty Liver) কিডনির উপরে চাপ পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তদের হাত-পা অনেক সময়েই ফুলে যায়। শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে। যার ফলেই হাত কিংবা পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু কিডনি শরীরের এই অতিরিক্ত তরল নির্গত করতে সক্ষম হয় না। এর ফলে কিডনির কার্যকারিতা বাধা পায়।

    বুকের পেশি ফুলে যায়, যন্ত্রণা অনুভব হয়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই অনেক সময়েই পেশির সক্রিয়তা নিয়েও নানান সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই দেখা যায়, ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদপিণ্ডের আশপাশের পেশির সংকোচন-প্রসারন স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। এর ফলে বুকে মাঝেমধ্যেই যন্ত্রণা অনুভব হয়।

    ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাবে কোন ‘সুপারফুড’? (Fatty Liver) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নন অ্যালকোলহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ভারতীয় খাবার। নিয়মিত কয়েকটি ভারতীয় খাবার খেলেই ‘ম্যাজিকের’ মতো শরীরে কাজ করবে। কমবে রোগের ঝুঁকি।

    আপেল লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি আপেল খেলে লিভারের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। বিশেষত ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন , আপেলে থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন কে, কপারের মতো উপাদান। এই উপাদানগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    বাজরার রুটি শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজরার রুটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমাতে এবং লিভারে মেদ না জমতে দেওয়ার জন্য বাজরার রুটি বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজরা শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। তাই নিয়মিত বাজরা কিংবা রাগীর মতো দানাশস্যের তৈরি রুটি খেলে লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকিও (Fatty Liver) কমে।

    নিয়মিত ছোলা খেলে রোগের ঝুঁকি কমবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলা লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ছোলা নিয়মিত খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ে। ছোলা হজম শক্তি বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। ফলে ছোলা নিয়মিত খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে।

    রামধনু সবজি বাড়তি সাহায্য করবে

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত রামধনু সবজি খাওয়া জরুরি। অর্থাৎ, নিয়মিত পাতে বিট, গাজর, পটল, কুমরো, পালং শাকের মতো নানান রঙের সবজি থাকুক। এতে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো সব ধরনের উপাদান সহজেই পাবে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। হজমের সমস্যা কমবে। আবার লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমার আশঙ্কাও কমবে (Fatty Liver) ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    Fatty liver disease : লিভারে জমেছে মেদ ! সতর্ক হোন নাহলে হতে পারে লিভার ফেলইয়রও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার বা যকৃৎ সংক্রান্ত রোগ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্ব যকৃৎ দিবস (World Liver Day) পালন করা হয়। যকৃৎ আমাদের শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর জটিলতা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য জানা যাক। লিভার সংক্রান্ত একটি বড় সমস্যা হল ফ্যাটি লিভার।

    Fatty liver disease :  ফ্যাটি লিভারের সমস্যা – এখন প্রায় ঘরে ঘরে। হজমের সমস্যা, পেটের যন্ত্রণা, খাবারের তালিকায় একটু রদবদল হলেই বদহজম হতে পারে। ঠিক কোন কোন লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হল

    পেট ফুলে যাওয়া ( Abdominal swelling)
    ত্বকের নিচে থাকা ব্লাড ভেসেল ফুলে যাওয়া  (Enlarged blood vessels just beneath the skin’s surface)
    প্লীহা বেড়ে যাওয়া ( Enlarged spleen) 
    হাতের পাতা লাল হয়ে যাওয়া (Red palms)
    অনেক ক্ষেত্রে চোখে হলুদ ভাব (Yellowing of the skin and eyes)

    Fatty Liver Syndrome কখন হয় ? 

    পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় লিভার। খাদ্যে মূলত ৬ রকমের পুষ্টি উপকরণ থেকে থাকে। কার্বোহাইড্রেট, শর্করা , প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন , মিনারেল ও জল। ক্ষুদ্রান্ত্রের ইলিয়ামে (ileum intestine) এই ছ’টি জিনিস পরিপাকের পর শোষণ হয়। তারপর তা একটি সার্কুলেশনে যায়। যাকে পোর্টাল সার্কুলেশন হয়। পোর্টাল ভেইনের মারফত এই খাবারগুলো লিভারে পৌঁছায়। লিভারই এই খাদ্যকে বিভিন্ন দিকে চালিত করে। শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা কমে গেলে প্রোটিন বা ফ্যাট থেকে শর্করা তৈরি করতে পারে লিভার। গ্লুকোনিওজেনেসিস (gluconeogenesis)  বলে। গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলে, গ্লুকোজকে গ্লাইকোজেন হিসেবে স্টোর করে লিভার।

    ফ্যাটের পরিমাণ বাড়লে লিভার ফ্যাট নিজের মধ্যে স্টোর করতে পারে। যদি অতিরিক্তি ফ্যাট আসে লিভারে, তখন তার কিছুটা জমা হয় লিভারে, কিছুটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে স্থান পায়। তাতে একজন মানুষ স্থূলকায় হয়ে পড়েন। লিভারের অধিকাংশ কোষে যদি ফ্যাট স্টোর হয়ে যায়, তখনই তাকে ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।

    ওই কোষগুলি তখন খাদ্য পরিপাকের কাজটি ভালভাবে করে উঠতে পারে না। লিভারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফ‍্যাট জমে লিভার বড় হয়ে যায়। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে ফ্যাটি লিভার হয়, তাকে অ্যালকোহলিক ফ‍্যাটি লিভার বলা হয়ে থাকে।

    Alcoholic fatty liver disease : 
    অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে জমা হয়, তার থেকে লিভার স্থূল হয়ে যায়। লিভারের কোষগুলি অতিরিক্ত ফ্যাটের ভাণ্ডার হয়ে ওঠে।

    Nonalcoholic fatty liver disease : 
    নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হয়ে থাকে  অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে। 

    ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তার কয়েকটি হল  –

    তেল-চর্বি, ঝাল, ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন ।
    খাবারের পরিমান শরীরের প্রয়োজন ও ক্যালরির খরচের সঙ্গে তাল রেখে নিয়ন্ত্রণ করুন।
    শহুরে জীবনযাত্রার অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে ফাস্ট ফুড । এই খাবারগুলি সহজপাচ্য তো নয়ই, উপরন্তু অপকারী ফ্যাটের সম্ভার।
    এড়িয়ে চলুন পেস্ট্রি -বার্গার.. এই জাতীয় খাবার ।
    অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্যাকেজড  ফ্রুট জুস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
    সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
    সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল নয় ! ফ্যাট এনার্জি যোগায়। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি হলেই বিপত্তি। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে রোজ এক্সারসাইজ করুন। হাঁটুন। দরকারে জিমে যান। 

LinkedIn
Share