Tag: fcra

fcra

  • Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখের অশান্তির (Ladakh violence) মধ্যেই বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র সরকার (Central Government)। রাজ্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক বিক্ষোভের একদিন পরই সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) এনজিওর বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি বাতিল করল সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে ওয়াংচুকের প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অনুদান নেওয়ার লাইসেন্স খারিজ করা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনে বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিল সংগঠনটি। গত ১০ সেপ্টেম্বর এনজিওকে চার দফা প্রশ্নসহ শো-কজ নোটিস দিয়েছিল সরকার। তার জবাবকে সন্তোষজনক বলে মনে করা হয়নি। তারপরই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    ওয়াংচুকের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সূত্র অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গত দুই মাস ধরে সোনম ওয়াংচুকের সংস্থা হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাথমিক অনুসন্ধান (PE) বা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়নি। সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই তদন্ত করা হচ্ছে। অগাস্ট মাসে, লাদাখ প্রশাসন হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-কে দেওয়া জমির বরাদ্দ বাতিল করেছিল। জমি বরাদ্দ বাতিল করার সময় লাদাখ প্রশাসন জানায় যে, যে উদ্দেশ্যে জমিটি মূলত বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং কোনো লিজ চুক্তিও করা হয়নি।

    বেআইনি অর্থনৈতিক লেনদেন

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, লাদাখে যে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ চলছে তা ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) উসকানিমূলক বক্তৃতার জেরেই হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় বিজেপি দফতর ও নির্বাচন দফতরে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চার জন, আহত হয়েছেন বহু। সরকারি সূত্রের খবর, ওয়াংচুকের এনজিওর কাজে বারবার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিদেশি অনুদান আইনের (FCRA) নিয়ম ভেঙে অর্থ লেনদেন হয়েছে বারবার। তদন্তে উঠে এসেছে, এনজিও সেকমল (SECMOL)-এর নামে খোলা এফসিআরএ অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে টাকা জমা পড়েছে। অভিযোগ, ৩.৩৫ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছিল ওই অ্যাকাউন্টে। ওয়াংচুকের সংগঠন জানিয়েছিল, এই অর্থ এসেছে একটি পুরনো বাস বিক্রি করে। বাসটি যেহেতু বিদেশি অনুদানে কেনা হয়েছিল, তাই বিক্রির টাকা ফের অ্যাকাউন্টে রাখা হয় বলে সাফাই দেয় এনজিও। কিন্তু সরকারের বক্তব্য, এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। নগদ অর্থ জমা দেওয়াই আইনের পরিপন্থী।

  • ED: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভেঙে অর্থ নিয়েছে আপ, দাবি ইডির

    ED: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভেঙে অর্থ নিয়েছে আপ, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে বিপুল অঙ্কের বিদেশি অর্থ সাহায্য নিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। সোমবার এমনই অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। সংস্থার দাবি, আপ আমেরিকা ও কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেয়েছে। কারা এই অর্থ দান করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নামও নেই নথিতে। এটি বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের পরিপন্থী।

    আপের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ED)

    শুক্রবার ইডির তরফে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের (ED)। দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় নাম রয়েছে এই রাজনৈতিক দলটির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভেঙে আপ অন্তত সাত কোটি আট লক্ষ টাকা বিদেশি অর্থ সাহায্য নিয়েছে।

    ইডির দাবি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই ঘটনায় ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। কেবল আমেরিকা ও কানাডা নয়, আপ অর্থ সাহায্য নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত এবং ওমানের দাতাদের কাছ থেকেও। অভিযোগ অস্বীকার করে ইডির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে আপের তরফে।

    আর পড়ুন: “এটা ভারতের সময়, এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আপের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক এই দলটি খালিস্তানপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র কাছ থেকেও অর্থ সাহায্য নিয়েছে। নিষিদ্ধ এই সংগঠনের প্রধান গুরপন্তবন্ত সিং পান্নুন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ‘নয়ের দশকে ধৃত এক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতাকে দিল্লির জেল থেকে ছাড়ার শর্তে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আপকে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে’। এক ভিডিও বার্তায়ও খালিস্তানপন্থী এই নেতার দাবি, গত আট বছরে কেজরিওয়ালকে তারা একশো কোটিরও বেশি টাকা সাহায্য করেছে। ২০২২ সালে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র তরফে (ED) আপকে বিপুল অর্থ সাহায্য করা হয়েছিল বলেও দাবি পান্নুনের সংগঠনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের জেল হেফাজত নিউজক্লিকের (Newsclick) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থর। ওই নিউজ পোর্টালের এইচআর অমিত চক্রবর্তীকেও পাঠানো হয়েছে ১০ দিনের জেল হেফাজতে। মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালত প্রবীর ও অমিতকে জেল হেফাজতে পাঠায়। প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে গ্রেফতার হন প্রবীর এবং অমিত। পরের দিন অতিরিক্ত সেশন কোর্ট তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হলে পাঠানো হয় জেল হেফাজতে। এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীর-অমিত। আদালতে প্রবীরের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যে। চিন থেকে একটি পয়সাও আসেনি।” প্রসঙ্গত, নিউজক্লিকের (Newsclick) বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিনপন্থী মার্কিন ধনকুবেরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ‘বিতর্কিত’ এলাকা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরেই দিল্লিতে ৩০ জন সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরে গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।

    দিল্লি পুলিশের অভিযোগ

    এদিকে, বুধবারও প্রবীরের অফিস এবং বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দায়ের হয়েছে এফসিআরএ মামলা। ইউএপিএ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রবীর ও অমিতকে। ২০২১ সাল থেকে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রবীরের সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে তারা। দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, এই নিউজ পোর্টালের (Newsclick) মোটা টাকা এসেছে চিন থেকে। ভারতের সার্বভৌমত্বকে ভাঙার জন্য এই চক্রান্ত। পিএডিএস নামে একটি গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রবীর এসব করতেন বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অন্তর্ঘাত করার ছকও কষা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    দিল্লি পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, নিউজক্লিক প্রায় ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে চিনের সূত্র থেকে। চিনের পক্ষে খবর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল ওয়েবসাইটটি। তারা যে ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছিল, তার মধ্যে ২৯ কোটি টাকা পেয়েছিল এক্সপোর্ট সার্ভিস হিসেবে, এফডিআই হিসেবে পেয়েছিল ৯ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share