Tag: Flash Flood

Flash Flood

  • Uttarkashi Cloudburst: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস! হড়পা বানের পর ভূমিধস, উত্তরকাশীতে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

    Uttarkashi Cloudburst: আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস! হড়পা বানের পর ভূমিধস, উত্তরকাশীতে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরকাশী (Uttarkashi Cloudburst)। আর এই হড়পা বানেই ভেসে গেল উত্তরাখণ্ডের হরশিলের (Uttarakhand’s Dharali) একটি সেনা ছাউনি। ৯ জন জওয়ান নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত ৫ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৩০ জনকে। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধারালী গ্রামে আচমকা নেমে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গ্রামের অনেক অংশ। শুধু উত্তরকাশী নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে পারে উত্তরাখণ্ডের আরও কয়েকটি জেলা। এমনই আশঙ্কা করছে প্রশাসন।

    সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    হরপা বানে বিপর্যস্ত উত্তরকাশীতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি বৈঠকে বসেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। আপাতত কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ রাখা হচ্ছে। হড়পা বানে এই ক্ষয়ক্ষতিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ধামি। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উদ্ধার কাজে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যানাথও। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ করছে। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনাও এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য চারটি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারগুলিকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেনার এক উচ্চপদস্থ কর্তা।

    ভেসে গেল সেনা ছাউনিও

    মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরকাশীতে (Uttarkashi Cloudburst) শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। তার জেরে আচমকা নেমে আসা হড়পা বানে ভেসে যায় একের পর এক বাড়ি, হোটেল। ধারালী গ্রাম জলের তলায়। গঙ্গোত্রী যাওয়ার পথে পুণ্যার্থীরা এই ধারালীতে আশ্রয় নেন। সেজন্য এখানে অনেক হোটেল, রেস্তরাঁ এবং হোম স্টে রয়েছে। জলের তোড়ে ভেসে যায় হর্ষিলের এক সেনা ছাউনিও। নিখোঁজ ন’জন জওয়ান। তবে সেই ধাক্কা সামলে হড়পা বানের বিধ্বস্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। সেনার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে ১৫০ জওয়ান ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিপর্যস্ত নাগরিকদের সবরকম সাহায্য করতে দায়বদ্ধ ভারতীয় সেনা।”

    জায়গায় জায়গায় ধস, চলবে বৃষ্টি

    জায়গায় জায়গায় ধস (Uttarakhand’s Dharali) নামার কারণে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সাতটি রাজ্য সড়ক, পাঁচটি জাতীয় সড়ক, দু’টি সীমান্ত সড়ক-সহ রাজ্যে মোট ১৬৩টি রাস্তা ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উত্তরকাশীতে ধসের নীচে কেউ চাপা পড়ে আছেন কি না, খুঁজে বার করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আসা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তিনটি দল উদ্ধারকাজে নেমেছে। অতিরিক্ত আরও দু’টি দলকে দেরাদুন বিমানবন্দর থেকে আকাশপথে নিয়ে আসা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বুধবারও বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা কম বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।

    জেলা প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু

    রাজ্যের এই আবহে প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ন’জেলার সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। উত্তরাখণ্ডের প্রিন্সিপাল সচিব আরকে সুধাংশু জানিয়েছেন, ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। নম্বরগুলি হল ০১৩৭৪-২২২১২৬, ২২২৭২২ এবং ৯৪৫৬৫৫৬৪৩১। উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র আইপিএস অফিসাররা—আইজি এসডিআরএফ অরুণ মোহন জোশী, আইজি গড়ওয়াল রেঞ্জ রাজীব স্বরূপ, প্রদীপ কুমার রাই, অমিত শ্রীবাস্তব, সুরজিৎ সিং পানওয়ার ও শ্বেতা চৌবে।

    যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

    ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরকাশী-হর্ষিল (Uttarkashi Cloudburst) সড়কে ধস নেমেছে। ফলে ওই সড়কে বেশ কয়েকটি অংশ বন্ধ। প্রভাব পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। ধসের কারণে উত্তরকাশীর সঙ্গে ধারালী এবং গঙ্গোত্রীর যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ফলে উদ্ধারকাজ থমকে রয়েছে বহু জায়গায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা হরিদ্বার, নৈনিতাল এবং উধম সিং নগর জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও কম-বেশি বৃষ্টি চলবে। কোথাও লাল সতর্কতা জারি, আবার কমলা সতর্কতা। ৯ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে দুর্যোগ।

    পরিষেবা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা

    প্রকৃতির এমন দুর্যোগপূর্ণ রূপে ব্যাপক সমস্যায় তীর্থযাত্রীরা। চারধাম যাত্রা শুরু হয়ে গেলেও গন্তব্যে পৌঁছতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন তীর্থ যাত্রীরা। কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী যাত্রা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এক মাস আগেই উত্তরকাশীতে হরপা বান নামে। উত্তরাখণ্ডে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজের পাশাপাশি প্রাথমিক পরিষেবাগুলির পুনরুদ্ধারে জোর দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ দফতর ও উত্তরাখণ্ড জল বিদ্যুৎ নিগম যৌথভাবে কাজ করে চলেছে। সরকার ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার সহায়তা চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। চণ্ডীগড় এয়ার বেসে চিনুক, এমআই১৭ভি৫, এএলএইচ এবং চিতা হেলিকপ্টার standby তে রাখা হয়েছে, যাতে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটলেই সেগুলি দ্রুত উদ্ধার সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে পাঠানো যায়।

  • Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তার হড়পা বানের (Flash Flood) জেরে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। তাই সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সিকিমের। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একটা বড় অংশের। তবে সিংহভাগ বিজ্ঞানীর দাবি, সিকিমের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে রয়েছে নেপালের মঙ্গলবারের ভূমিকম্প।

    পাড় ভাঙল লোনকের

    বিষয়টি তবে খুলেই বলা যাক। বুধবার কাকভোরে ফেটে যায় উত্তর সিকিমের পাহাড়ি হ্রদ লোনকের পাড়। হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বিশাল জলরাশি। পড়ে তিস্তায়। একলপ্তে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায় ১৫-২০ ফুট। হড়পা বান চলে আসায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও ভেঙে গিয়েছে সেতু, কোথাও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সড়ক। বাড়িঘরের পাশাপাশি ভেসে গিয়েছে মানুষ ও তাঁদের পোষ্যরা। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। নিখোঁজ শতাধিক।

    নেপালে ভূমিকম্প

    সিকিমের এই বিপর্যয়ের কারণ কেবল হড়পা বান (Flash Flood) নয়। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে নেপালের ভূমিকম্প। গত মঙ্গলবার ভূমিকম্প হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। এদিন ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে পরপর চারবার কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেই কম্পনের আঁচ পেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, চণ্ডীগড়, জয়পুর এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশের বাসিন্দারা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভূকম্পনের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়। এর পর মেঘভাঙা বৃষ্টির জল এসে পড়ায় জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি দুর্বল বাঁধ। যার জেরে দেখা দেয় বিপর্যয়।

    আরও পড়ুুন: হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিম, চারদিকে ধ্বংসলীলার ছবি, আটকে ৩ হাজার পর্যটক

    সম্প্রতি লোনকের একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার। তাতে দেখা গিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হ্রদের যা বিস্তৃতি ছিল, তা কমে গিয়েছে। ১৬৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে লোনক হ্রদ। তা কমে গিয়ে বর্তমানে হ্রদের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬০ হেক্টরে। যার অর্থ, জল ডাঙায় উঠে এসেছে। জলস্তরের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন।

    এর আগে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, লোনক হ্রদের আয়তন ক্রমেই বাড়ছিল। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমবাহ গলে সেই জল জমছিল হ্রদে। বুধবার যখন এই এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেনি লোনক। বিশাল জলরাশি হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে তিস্তায় (Flash Flood)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Teesta River Sikkim: সিকিমে আটকে দু’হাজার বাঙালি পর্যটক! তিস্তার জল ছাপিয়ে রাস্তায় 

    Teesta River Sikkim: সিকিমে আটকে দু’হাজার বাঙালি পর্যটক! তিস্তার জল ছাপিয়ে রাস্তায় 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা। নদীর তাণ্ডবে আশপাশের এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। নিখোঁজ ২৩ জওয়ান। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। জলের তোড়ে ভেঙেছে এনএইচ ১০। বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিকিম থেকে দার্জিলিং-শিলিগুড়ির যাতায়াতের রাস্তা। অপরদিকে, সিকিমের চুংথাংয়ের লোনার লেকের প্রাচীর ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামে। শুধু তিস্তা নয়, রংফু নদীর জলস্তরও বেড়েছে। ধসের কারণে আনুমানিক দু হাজার বাঙালি পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছে, বলে খবর। 

    তিস্তার জলে প্লাবিত সিকিম

    তিস্তায় হড়পা বানের জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গন জেলা। ভেসে গিয়েছে বহু সেতু। জলমগ্ন বাড়িঘর। কিছু জায়গায় জলের তোড়ে সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে বড় বড় বিল্ডিং। কাদাস্রোতের তলায় চাপা পড়ে রয়েছে বহু বসতি, রাস্তাঘাট, সেনাছাউনি। স্বভাবতই তিস্তার ধ্বংসলীলায় কত প্রাণহানি হয়েছে, সেই প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উত্তর সিকিমের বিকচুতে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পরিস্থিতি জরিপ করে আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিয়ং, গ্যাংটক, নামচি এবং মঙ্গনের সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে একাধিক জরুরি পরিষেবার নম্বর। তিস্তার জলস্তর প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিস্তায় জল বাড়ার প্রভাব গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে পড়ার আশঙ্কা। তিস্তা জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন অংশ দিয়েও বয়ে চলে যায়। সে কারণে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও জলের স্রোত বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত, টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কলকাতা, আর মেয়র ধর্না দিচ্ছেন দিল্লিতে!

    ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত

    পুজোয় বাকি আর হাতে গোনা মাত্র ১৬ দিন। এরই মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয় উত্তর সিকিমে। পুজোর সময় সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে বহু মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে পর্যটকদের। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলার অন্তত দু’হাজার পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন। জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। ফলে আপাতত অবরুদ্ধ ফেরার পথও। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সিকিম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সিকিমের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কালিম্পঙ যাওয়ার জন্য লাভা, গোরুবাথান হয়ে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। সেই পথের অবস্থাও ভাল নয়। আটক পর্যটকদের পক্ষ থেকে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, আটকে পড়া পর্যটকদের এয়ারলিফ্‌টিং করে উদ্ধার করার। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গা পুজোর (Durga Puja 2022) নিরঞ্জনের সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল নদীতে (Mal River)। বিসর্জনের সময় আচমকাই ছুটে এল হড়পা বান। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। ১০ বছর বয়সী এক বালিকাও ভেসে যায় বলে খবর সংবাদমাধ্যম সূত্রে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।

    প্রতিমা বিসর্জনের সময় কী ঘটেছিল?

    গতকাল রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাংলার মানুষ যখন শারদীয়া উৎসবে মেতে আছেন, সেইসময়েই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। মালবাজার এলাকায় মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নদীর ধারে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন যখন পুরোদমে চলছে তখনই আচমকা ধেয়ে আসে হড়পা বান। প্রতিমা বিসর্জনে যাঁরা নেমেছিলেন, তাঁদের প্রায় অনেকেই স্রোতের টানে ভেসে যান। তবে মাল নদীর মাঝে একটি চর রয়েছে। আর সেই চরে উঠেই প্রাণ বাঁচান অনেকে। চরে প্রায় ২০-৩০ জন আটকে ছিলেন। তাঁদের কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। দমকল এবং পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালের বিধায়ক বুলু চিকবড়াইকও। পাশাপাশি, নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গতকাল রাত পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর আজ সকালেই তা বেড়ে হয় ৮। আজও নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীদের আরও স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল মোহন ভাগবতের

    কেন আচমকা হড়পা বান?

    জানা গিয়েছে, সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। যে কারণে, অতর্কিতে হড়পা বান চলে আসে। আবার স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল যায়। আর এর জেরেও নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান।

    প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা…

    প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মালবাজারের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পুজোর মাঝে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষদের হারালেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

    শোকজ্ঞাপন শুভেন্দু অধিকারীর…

    ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “জলপাইগুড়ি থেকে দুঃখজনক খবর এসেছে। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে অনুরোধ করছি, উদ্ধারকার্যকে দ্রুত আরও জোরদার করতে এবং দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করতে।”

LinkedIn
Share