Tag: fm

fm

  • GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর উপহার দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন নয়া জিএসটি কাঠামো (New GST Structure)। ২২ সেপ্টেম্বর দেবীপক্ষ থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল নয়া পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) (GST 2)। এতদিন জিএসটির স্তর ছিল চারটি – ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নয়া ব্যবস্থায় বাতিল করা হয়েছে ১২ এবং ২৮ শতাংশের স্তর। তাই আজ, সোমবার থেকে সমস্ত পণ্যের ওপর জিএসটি থাকবে ৫ কিংবা ১৮ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এদিন থেকেই কমে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দামই। প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কর ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেটাই এবার চালু হচ্ছে এদিন থেকে।

    আজ থেকেই কমছে দাম (GST 2)

    সোমবার থেকেই নবরাত্রি উৎসবে মেতেছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। জিএসটি সংস্কারের ফলে উৎসবের মরশুমে আমআদমির হেঁশেলে স্বস্তি ফিরবে তো বটেই, অনেকটা ছাড় মিলবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মায় সাজসজ্জার মতো সরঞ্জামেও। রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া জিএসটি ব্যবস্থার কথা দেশবাসীকে মনেও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আগেই জিএসটি সংস্কারকে দ্বিগুণ দীপাবলি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, জিএসটি বদলের ক্ষেত্রে সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আর পুরানো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। যদি কোনও পণ্য পুরনো স্টকের হয় এবং এমআরপি বেশি লেখা থাকে, তাও স্টিকার বসিয়ে নয়া দামই নিতে হবে।

    সস্তা হচ্ছে এই সব জিনিস

    এবার দেখে নেওয়া যাক এদিন থেকে কমছে কোন কোন জিনিসের দাম। বাড়ছেই (GST 2) বা কোন কোন পণ্যের দাম। নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় দুধ, ছানা, পনির, রুটি এবং পাউরুটির মতো পণ্যে এখন আর কোনও কর দিতে হবে না (New GST Structure)। কারণ এই সব পণ্য কিনলে জিএসটি দিতে হত ৫ শতাংশ। সোমবার থেকে এগুলি কিনলে আর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। জিএসটি মুক্ত হচ্ছে পেন্সিল, শার্পনার, ছবি আঁকার রং, খাতা, মানচিত্র, চার্ট এবং গ্লোবের মতো প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম। জিএসটি দিতে হবে না জীবনবিমা এবং যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও।

    দাম কমছে এসবেরও

    দাম কমছে কনডেন্সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, পশুচর্বি, সসেজ, প্রিজার্ভড বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডলস, স্প্যাগোটি, চিজ এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যেরও। এতদিন এসব জিনিস কিনলে জিএসটি দিতে হত ১২ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। সস্তা হচ্ছে (GST 2) বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম-সহ অন্যান্য ফলও। কারণ এসব ক্ষেত্রেও জিএসটির হার কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিয়েই কেনা যাবে জ্যাম, জেলি, মাশরুম, ইস্ট, সর্ষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতল। এতদিন এগুলি কিনতেই দিতে হত ১২ শতাংশ জিএসটি। সস্তা হচ্ছে মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম এবং জিলেটিনও। ২২ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত এগুলি কিনতে গেলে গুণতে হত ১৮ শতাংশ জিএসটি (New GST Structure)। এখন তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে একাধিক জীবনদায়ী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, থার্মোমিটার, অক্সিজেন এবং গ্লুকোমিটার কিনলে। ২২ তারিখ থেকেই যাতে দাম কমে, তা নিশ্চিত করতে মূল্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফার্মেসিগুলিতে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িতেও জিএসটি নেওয়া হবে ৫ শতাংশ।

    সস্তায় মিলবে এই সব জিনিসও

    দাম কমছে (GST 2) টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং রেফ্রিজারেটরেরও। এতদিন এগুলি কিনতে গেলে জিএসটি দিতে হত ২৮ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ। ১৮ শতাংশ জিএসটি গুণতে হবে ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসির নীচে বাইকের দাম। ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে জুতো, জামাকাপড়, টুথপেস্ট, ব্রাশ, ট্যালকম পাউডার, শেভিং ক্রিম, চুলের তেল, সাবান, বাসনকোসন, ছাতা, বাইসাইকেল এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনতে গেলে। খরচ কমবে স্পা, জিম, যোগব্যায়াম কেন্দ্র এবং বিভিন্ন হেলথ ক্লাবের। দাম কমছে সিমেন্ট, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সার ট্রাক্টরের সরঞ্জাম এবং সেলাই মেশিনেরও (New GST Structure)।

    দাম বাড়ছে যে সব জিনিসের

    এদিকে, দাম (GST 2) বাড়ছে বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিংকার, পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বন যুক্ত পানীয়, সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের। এসব কিনতে গেলে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি।

  • Nirmala Sitharaman: “অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে আসবে’’, ভবিষ্যতে হতে পারে জিএসটি ৩.০, ইঙ্গিত সীতারামনের

    Nirmala Sitharaman: “অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে আসবে’’, ভবিষ্যতে হতে পারে জিএসটি ৩.০, ইঙ্গিত সীতারামনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা এক সময় জিএসটিকে গব্বর সিং ট্যাক্স বলেছিলেন, তাঁরাই আজ আবার সংস্কারের কৃতিত্ব দাবি করছেন।” কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের নিশানা করে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, “জিএসটির (GST) প্রথম পর্যায় ছিল ঐক্যের জন্য, দ্বিতীয় পর্যায় সরলতার জন্য।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এখন তিনি মূলত সবার কাছে সহজে বোধগম্য করার দিকেই নজর দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি সংস্কারকে নিয়ে নানা সময় বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই কর ব্যবস্থায় তাদের দলের কৃতিত্ব রয়েছে।

    সীতারামনের সাফ কথা (Nirmala Sitharaman)

    শুক্রবার সীতারামন বলেন, “আমার কাছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জিএসটিকে সহজ করা। সেই সহজতার প্রভাব প্রত্যেক ভোক্তাই অনুভব করবেন। আমি সেই দিকেই কাজ করছি।” রাহুল গান্ধীর দলকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস এতদিন ক্ষমতায় থেকেও কেন এই সংস্কার কার্যকর করতে পারেনি? প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ভারতে আয়করের হার ছিল বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চগুলির মধ্যে একটি।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, বর্তমান সরকারের কাছে এই সংস্কার একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা দেশব্যাপী একক কর ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজস্ব প্রক্রিয়াকে অনায়াস করেছে।

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিত

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ইঙ্গিত, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই জিএসটির তৃতীয় পর্যায়ের কাঠামো নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। তবে কেমন হতে পারে সেই তৃতীয় ধাপ, সে বিষয়ে এখনই কিছু খোলসা করেননি নির্মলা। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ী ও সংস্থাগুলিকে অবশ্যই কর হ্রাসের সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বরের পর আমাদের বড় নজরদারির কাজ শুরু হবে। কম করের সুবিধা যেন সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছয়। সরকারি সংস্থাগুলির ওপরও কড়া নজর রাখা হবে।”

    জিএসটি ৩.০-র ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) বলেন, “তৃতীয় পর্যায় হবে সরলীকরণকে ধরে রাখা এবং আরও কার্যকর করে তোলা। জিএসটি ১.০-র উদ্দেশ্য ছিল ঐক্যমত হওয়া, জিএসটি ২.০ তে সহজ করা হল, আর জিএসটি ৩-র মূল লক্ষ্য হবে স্থিতিশীলতা, ন্যায়সঙ্গত কর হার এবং ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ ব্যবস্থা।” তিনি বলেন, “অর্থনীতিতে আবার প্রাণ ফিরে (GST) আসবে। এই সংস্কারের উদ্দেশ্যই হল অর্থনীতিকে রক্ষা ও চাঙা রাখা (Nirmala Sitharaman)।”

  • GST Council Meet: ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে

    GST Council Meet: ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো হল জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দেশের কর কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে জিএসটি। অর্থনীতির ভাষায় এটি পরোক্ষ কর। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে মাঝে মধ্যেই হয়ে থাকে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক (GST Council Meet)। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৪তম বৈঠকটি হয়ে গেল ৯ সেপ্টেম্বর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।

    দাম কমছে ক্যান্সারের ওষুধের (GST Council Meet)

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মারণ ব্যাধি ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমানো। বৈঠকে ক্যান্সারের ওষুধের ওপর প্রযোজ্য করের হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিএসটি কাউন্সিলের এই বৈঠকে সুখবর রয়েছে তীর্থযাত্রীদের জন্যও। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে যাঁরা তীর্থযাত্রায় যাবেন, হেলিকপ্টার পরিষেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশের পরিবর্তে তাঁদের মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। এ খবর জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের অর্থমন্ত্রী প্রেমচাঁদ আগরওয়াল।

    কী বললেন সীতারামন

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “জিএসটি কাউন্সিল ক্ষতিপূরণ সেস নিয়ে আলোচনা করেছে। ঋণের রিপেমেন্টের পর সেস থেকে অনুমান করা উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৪০ হাজার। কম্পেনসেসন সেস কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেই বিষয়টি পর্যালোচনা করতে গ্রুপ অফ মিনিস্টার গঠন করা হবে।” অর্থমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনের মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণার জন্য প্রদত্ত ফান্ডকে জিএসটি থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    এছাড়াও, যাঁরা এ বিষয়ে আয়কর ছাড় দাবি করেছেন, তাঁদের জন্যও নিয়মটি সমানভাবে প্রযোজ্য। ২ হাজার টাকার নীচে অনলাইন আর্থিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে জিএসটি (GST Council Meet) চালু করার বিষয়টি আরও আলোচনা করতে ফিটমেন্ট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আগরওয়াল। চিকিৎসা সংক্রান্ত বীমার হার যৌক্তিকরণের জন্য গ্রুপ অফ মিনিস্টার্স-এ নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের (Nirmala Sitharaman) অক্টোবর মাসের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে হবে। জিএসটি কমিটির পরবর্তী বৈঠক হবে নভেম্বর মাসে (GST Council Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Economic Survey: বাজেটের আগেই সংসদে পেশ হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট

    Economic Survey: বাজেটের আগেই সংসদে পেশ হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ জুলাই সংসদে পেশ হবে তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Budget 2024)। তার আগের দিন সোমবার সংসদে অর্থনৈতিক সার্ভে (Economic Survey) রিপোর্ট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ভারতীয় অর্থনীতির রিপোর্ট কার্ডও বলা যেতে পারে একে। গত অর্থবর্ষে দেশের বৃদ্ধির হার কেমন ছিল, তাও জানা যাবে এই ইকনোমিক সার্ভে থেকে।

    ইকনোমিক সার্ভের রিপোর্ট (Economic Survey)

    প্রতি বছর কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগেই পেশ হয় ইকনোমিক সার্ভের রিপোর্ট। তা থেকেই জানা যায় দেশের অর্থনীতির হাল কেমন, সমৃদ্ধিই বা কেমন, আর্থিক নীতিতে কোনও বদল হল কিনা, এই সব। সার্ভে রিপোর্টটি বানিয়েছে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের একটি দল। ইকনোমিক এই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকেই জানা যায় দেশে কর্মসংস্থানের হার কত, জিডিপি গ্রোথই বা কেমন, মুদ্রাস্ফীতি এবং বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ সম্পর্কে।

    অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার

    ভারতের গায়ে সেঁটে গিয়েছে দ্রুততম অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশের তকমা। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের জায়গা হয়েছে পাঁচে। দীর্ঘকাল যে জায়গাটা দখলে রেখেছিল ইংল্যান্ড। বিভিন্ন সমীক্ষার সার্ভে রিপোর্ট বলছে, অচিরেই জাপানকে সরিয়ে ভারত চলে আসবে ওই তালিকার চার নম্বরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারতের (Economic Survey) অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৭ শতাংশ। চলতি বছরের জুন মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও জানিয়েছিল, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৭.২ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেখেছে, ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে চলেছে ৮ শতাংশ। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বৈশ্বিক বৃদ্ধিতে ভারতের অবদান ছিল ১৮.৫ শতাংশ।”

    আরও পড়ুন: “পৃথিবী ছিল না, নিবিড় আঁধার, তখন কেবল মা নিরাকার মহাকালী—মহাকালের সঙ্গে বিরাজ করছিল”

    বাজেট অধিবেশনে ৬টি বিল

    এদিকে, ২২ জুলাই, সোমবার শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে ৬টি বিল পাশ করানোর পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। সংসদের এই অধিবেশন চলবে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত। সংসদের উভয় কক্ষেই পেশ হবে নয়া বিলগুলি। এই বিলগুলি হল, অর্থনৈতিক বিল, বিপর্যয় মোকাবিলা (সংশোধনী) বিল, বয়লার্স বিল, বায়ুযান বিধেয়ক বিল (Budget 2024), কফি (প্রচার ও উন্নয়ন) বিল এবং রাবার (প্রচার ও উন্নয়ন) বিল (Economic Survey)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gst Council Meeting: বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার যাচাই চালুর সিদ্ধান্ত, জিএসটি বৈঠক শেষে জানালেন নির্মলা

    Gst Council Meeting: বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার যাচাই চালুর সিদ্ধান্ত, জিএসটি বৈঠক শেষে জানালেন নির্মলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভুয়ো ইনভয়েসের মাধ্যমে আধার যাচাই করা হত। তাতে রাশ টানতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গোটা দেশে বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া চালুর।” শনিবার নয়াদিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৩তম বৈঠকের (Gst Council Meeting) পর কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। এদিনের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    জিএসটি ছাড়ের সিদ্ধান্ত (Gst Council Meeting)

    রেল ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিষেবায় জিএসটি ছাড়ের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। হস্টেল খরচ কমানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সীতারামণ জানান, দেশজুড়ে বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হবে। গুজরাট ও পুদুচেরিতে এই প্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। তা সফল হয়েছে। এবার দেশজুড়ে ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়িত করা হবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ভারতীয় রেল সাধারণ যাত্রীদের যে পরিষেবাগুলি দেয়, সেগুলিকে জিএসটির (Gst Council Meeting) আওতার বাইরে রাখা হবে।

    হস্টেলে জিএসটি নয়!

    কাউন্সিলের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, রেলের বেশ কিছু পরিষেবায় জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে প্লাটফর্ম টিকিট, ওয়েটিং রুম, রিটায়ারিং রুম এবং ব্যাটারিচালিত গাড়ি পরিষেবা। এর পাশাপাশি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যাঁরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরের হস্টেলে থাকেন বা ভবিষ্যতে থাকার কথা ভাববেন, তাঁদের জন্য জিএসটি ধার্য করা হবে না। এতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে হস্টেলে থাকলে জিএসটি দিতে হত আবাসিকদের। নয়া প্রস্তাব গৃহীত হলে, তা আর গুণতে হবে না। কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির পরিমাণ কমানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সোলার কুকারের মতো পণ্যও। এতদিন সোলার কুকারের ক্ষেত্রে জিএসটি দিতে হত ১৮ শতাংশ। এই হার কমিয়ে ১২ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। কার্টন বক্সের ওপরও জিএসটির হার কমানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

    আর পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    সীতারামণ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার চায় পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে।” তবে এনিয়ে এদিন যে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, তাও জানিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জিএসটি কাউন্সিলের ফিটমেন্ট কমিটি কো-ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়ামের কাছ থেকে ফরমাল রিকোয়েস্ট পেয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এদিনের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে (Gst Council Meeting)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ৯১ এফএমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: ৯১ এফএমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ ওয়াটের  ৯১ এফএম (FM) ট্রান্সমিটারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ, শুক্রবার এর উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, সরকার দেশে এফএম কানেক্টিভিটির (Radio Connectivity) উন্নতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই যে নতুন ১০০ ওয়াটের ৯১ এফএম ট্রান্সমিটার ইনস্টল করা হচ্ছে, সেটি ১৮টি রাজ্যের ৮৪টি জেলা এবং দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে উপলব্ধ হবে। জানা গিয়েছে, বর্ডার এরিয়া এবং অ্যাসপিরেশনাল জেলাগুলিতে এফএম পরিষেবা উন্নত করতে এটি ইনস্টল করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই পরিষেবা মিলবে, সেগুলি হল বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তেলঙ্গনা, ছত্তীশগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, লাদাখ, আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। আরও জানা গিয়েছে, এফএম পরিষেবার বর্ধন, অতিরিক্ত ২ কোটি মানুষ, যাঁরা এতদিন এই সুবিধা পেতেন না, তাঁরা এবার থেকে এই সুবিধা পাবেন। ৩৫ হাজার কিমি এলাকা কভার করবে এই এফএম পরিষেবা। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন আম জনতার কাছে পৌঁছতে গেলে রেডিওর বিকল্প নেই। যেহেতু অতি সহজেই এই মাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো যায়, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুরু করেছিলেন মন কি বাতের অনুষ্ঠান। আগামী রবিবার সম্প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠানের শততম পর্ব।

    আরও পড়ুুন: শুক্রবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি, কেন?

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের তখতে আসে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। তার পর থেকে জনগণের মনের খবর জানতে তিনি শুরু করেন মন কি বাতের অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে একদিকে যেমন প্রধানমন্ত্রী দেশের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা বলেন, তেমনি যাঁরা কৃতী কিংবা মানুষের সেবায় নিয়োজিত তাঁদের কথাও তুলে ধরেন। যে কারণে দিন দিন এই অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রতি ইংরেজি মাসের শেষ রবিবার সম্প্রচারিত হয় এই অনুষ্ঠান। সেদিন রেডিওয় প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মনের কথা শুনতে দেশজুড়ে বসে যান লক্ষ লক্ষ মানুষ। তাঁদের কেউ শোনেন প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলোর কথা, কেউবা আবার শোনেন পাশের বাড়ির সাধারণ মানুষটির অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share