Tag: Food Grains

  • Cereals Food Grains: খাদ্যতালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি! কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন?

    Cereals Food Grains: খাদ্যতালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি! কী কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রকমারি প্রাণীজ প্রোটিন কিংবা হরেক পদের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারেই অভ্যস্ত হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের একাংশ। অধিকাংশের নিয়মিত পুষ্টি তালিকায় দানাশস্যের ঘাটতি রয়েছে। আর তার জেরেই জীবন যাপন সংক্রান্ত একাধিক জটিল রোগ কাবু করছে। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় এমনি তথ্য সামনে এসেছে। নিয়মিত খাবারের তালিকা সম্পর্কে সচেতনতা না বাড়লে দীর্ঘমেয়াদি সুস্থ জীবন যাপন সম্ভব নয়।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট?

    ইংল্যান্ডের একদল গবেষক ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখছেন, গত এক দশকে বিশ্ব জুড়ে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোনের ভারসাম্যঘটিত সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ এবং হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে। আর এই ধরনের সমস্যা তাঁদের সুস্থ জীবন যাপনে সমস্যা তৈরি করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই রোগের পিছনে মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব। বিশেষত প্রক্রিয়াজাত প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত অতিরিক্ত খাওয়া। তুলনায় দানাশস্য জাতীয় খাবার না খাওয়া।

    কেন দানাশস্য খাওয়া জরুরি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দানাশস্য শরীরের জন্য খুব জরুরি। সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য কার্বোহাইড্রেট, প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি দানাশস্য ও খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে। মাংসের বিকল্প প্রাণীজ প্রোটিন হলো ডাল। মুখ, মুসুর কিংবা ছোলা, যেকোনও রকম ডাল শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। হজমের সমস্যা হয় না। আবার পেশি মজবুত করতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।

    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়ছে। প্রাণীজ প্রোটিন শরীরে এনার্জি জোগান করলেও নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণীজ প্রোটিন খেলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ডাল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। প্রোটিনে ভরপুর হলেও ডালে কোলেস্টেরল নেই। যেকোনও ডাল পটাশিয়াম ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ হয়। তাই রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

    মুসুর, মটর কিংবা ছোলার মতো ডাল আয়রন সমৃদ্ধ হয়। তাই এই ডালগুলো খেলে শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও রক্ত সরবরাহ ভালো ভাবে হয়‌। ডালের পাশপাশি জোয়ার, বাজরা, রাগি ও মিলেটের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দানাশস্যে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ফসফরাস, জিঙ্কের মতো নানান উপাদান থাকে। এগুলো শরীরের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া হাড় মজবুত রাখতে, হজম শক্তি বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। যে কোনও ধরনের ডাল কিংবা বাজরা, রাগির মতো দানাশস্য জাতীয় খাবার ফাইবার সমৃদ্ধ হয়। তাই নিয়মিত এগুলো খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয় না।

    কী বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, তরুণ প্রজন্মের সকালের প্রাতঃরাশ হোক কিংবা দুপুরের খাবার, মেনুতে কার্বোহাইড্রেট ও প্রাণীজ প্রোটিনের পাশপাশি অবশ্যই দানাশস্য জাতীয় খাবার রাখা উচিত। সারা দিনের একাধিক কাজের শক্তি জোগাবে এই দানাশস্য। আবার শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত চাহিদা পূরণ করবে যেকোনও ধরনের ডাল কিংবা দানাশস্য। তাই নিয়মিত সেই খাবারগুলো মেনুতে থাকছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। তবেই সুস্থ জীবন‌ যাপন সম্ভব।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

LinkedIn
Share