Tag: Fraud

Fraud

  • Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    Rahul Gandhi: একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস? রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভোট-চুরির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী অফিসাররা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ, আপিল বা প্রতিক্রিয়া পেশ করেনি নির্বাচনী তালিকা নিয়ে। তারা রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছে, যদি তাঁর অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে তিনি যেন আইন অনুযায়ী হলফনামা জমা দেন এবং নির্দিষ্ট তথ্য পেশ করেন। রাহুল যে সব অভিযোগ করছেন, সেসব ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। যা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    রাহুলের অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া জোটের নৈশভোজে একইভাবে কমিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ৷ সেখানেও তিনি তথ্য তুলে ধরে জোট শরিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কীভাবে ভোট চুরি করছে কমিশন ৷ এদিন রাহুল গান্ধীর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে ৷ এই ভিডিয়োতেই তিনি আরও দাবি করেছেন, “বিহারে এসআইআর করা হয়েছে কারণ, কমিশন জানে যে আমরা তাদের চুরি ধরে ফেলেছি ৷” তাঁর দাবি, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা আসনের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচ ধরণের কারচুপির মাধ্যমে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ১০০২৫০টি ভোট চুরি করা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে, ভারতে এমন ১০০টিরও বেশি আসন রয়েছে, যা এখানে ঘটেছে তা সেই আসনগুলিতেও ঘটেছে ৷”

    একটিও আপিল করেনি কংগ্রেস

    এ প্রসঙ্গে ৭ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত এক চিঠিতে হরিয়ানার মুখ্য নির্বাচন অফিসার (Election Commission) সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস দল একটিও প্রথম স্তরের বা দ্বিতীয় স্তরের আপিল দায়ের করেনি। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দলটি কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায়নি। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভোট নিয়ে আপত্তি থাকলে তা আদালতের মাধ্যমে তোলা উচিত, সাংবাদিক সম্মেলনে নয়। হলফনামা দিয়ে নির্দিষ্ট ‘অযোগ্য’ ভোটারদের নাম দিতে বলা হয়েছে রাহুলকে।

    কোনো অভিযোগই জমা পড়েনি

    কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, নভেম্বর ২০২৪ ও জানুয়ারি ২০২৫-এ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল এবং কংগ্রেসকে সরবরাহ করা হয়েছিল। অথচ দলটির তরফ থেকে একটি অভিযোগও জমা পড়েনি। তাই ‘ভোট চুরি’ নিয়ে প্রকাশ্যে দেওয়া মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তিনি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আইনি ভাষায় মনে করিয়ে দেন—যদি তিনি তাঁর অভিযোগে অটল থাকেন, তবে ১৯৬০ সালের নির্বাচক নিবন্ধন বিধিমালার ২০(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী হলফনামা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।

    পুরোপুরি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, প্রমাণ নেই

    মহারাষ্ট্রের নির্বাচন দফতরও একইভাবে জানিয়েছে—ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া ছিল স্বচ্ছ এবং কংগ্রেস কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ বা আপত্তি জানায়নি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যেন নির্দিষ্ট ভোটারদের নাম, অংশ নম্বর ও সিরিয়াল নম্বর উল্লেখ করে শপথনামা জমা দেন। এ প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলছেন, “রাহুল গান্ধী এবং তাঁর টিম যে গবেষণা করছে পুরোটাই ভিত্তিহীন। এর কোনও অর্থ নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনকে বদনাম করার চেষ্টা।” রিজিজুর প্রশ্ন, “ওরা যখনই হারে তখনই কমিশনকে দোষ দেয়। এই কংগ্রেসই মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় লোকসভায় জেতার পর কমিশনকে বাহবা দিত। বিধানসভায় হারতেই কমিশনের দোষ। আসলে সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের লক্ষ্যে।” বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নির্বাচন কমিশনের ভাষায় রাহুলকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে ভুয়ো ভোটারের দাবি বিরোধী দলনেতা করছেন, সেই তালিকা হলফনামা আকারে কমিশনে জমা দিতে হবে তাঁকে। আর সেটা যদি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে বিরোধী দলনেতা মিথ্যা কথা বলে দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। মানুষের মনে সন্দেহের বীজ বপন করা হচ্ছে। এই ধরনের আচরণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক।

    আইনি সঙ্কটে রাহুল গান্ধী

    তিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসাররা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কাছে যে হলফনামা ফর্ম পাঠিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—মিথ্যা তথ্য দিলে ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন (Section 31) এবং ২০২৩ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধির (Bharatiya Nyaya Sanhita) ধারা ২২৭ অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধীর সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে হয় তিনি নির্দিষ্ট প্রমাণ-সহ হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করবেন, নয়তো স্বীকার করতে হবে যে তাঁর বক্তব্য নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য ছাড়া কিছু নয়। ফলে এখন উভয় সঙ্কটে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

     

     

     

     

  • Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সাইবার প্রতারকদের (Digital Fraud) খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দিল্লিভিত্তিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ডেটালিডস। সেখানেই দেশে ব্যাপক ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা (Cybercriminals) নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমান, চলতি বছরে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতীয়রা খোয়াবেন ১.২ লাখ কোটিরও বেশি টাকা।

    ডেটালিডসের প্রতিবেদন (Digital Fraud)

    ‘কনট্যুরস অফ সাইবারক্রাইম: পার্সিস্টেন্ট অ্যান্ড এমার্জিং রিস্ক অফ অনলাইন ফিনান্সিয়াল ফ্রডস অ্যান্ড ডিপফেকস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডেটালিডস জানিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে, তা ২০২৩ সালের ৭,৪৬৫ কোটিরও তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে প্রতারকরা লুটেছিল ২,৩০৬ কোটিরও বেশি টাকা। সে বারের চেয়ে ২০২৪ সালে তারা লুট করে নিয়েছে প্রায় দশগুণ কোটি টাকা। প্রতারণার পাশাপাশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাও। ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫.৬ লাখ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় দশ গুণ বেশি। সাইবার অপরাধের অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতির এই লাফ যে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে, তা হল ভারতের ডিজিটাল অপরাধীরা ক্রমেই আরও বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠছে। একটি দেশে যেখানে প্রায় ২৯০ লাখ মানুষ বেকার, সেখানে এই অপরাধীদের সংখ্যার লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

    প্রশ্ন যেখানে

    প্রশ্ন হল, গত তিন বছরে এই সংখ্যাগুলি এত বেড়ে গেল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়তে থাকা। স্মার্টফোন-নির্ভর পরিষেবা যেমন পেটিএম এবং ফোন-পে এবং আর্থিক তথ্য অনলাইনে শেয়ার ও প্রক্রিয়াকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এই কাজগুলি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়, যেগুলিকে অনেকেই নিরাপদ ও এনক্রিপটেড মনে করেন। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসেই ১৯০ লাখেরও বেশি ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৪.০৩ লাখ কোটি টাকা। আসলে ডিজিটাল পেমেন্টের মোট মূল্য ২০১৩ সালে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৮,১২০.৮২ কোটি টাকায়। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকই এখন ভারতেই হয় (Digital Fraud)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই (Cybercriminals) বৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশই অতিমারি ও তৎপরবর্তী কালে লকডাউনের কারণে হয়েছে। কোভিডের সময় সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুদ্রার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো রোধে পেটিএমের মতো ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। সরকার এও বলেছিল, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রসার গ্রামীণ এলাকা-সহ আর্থিক পরিষেবাগুলির ব্যাপকতর প্রবেশ নিশ্চিত করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে ৪৪ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল এবং ডেটার দাম ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা — ১ জিবির দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা বা তিন ডলারেরও কম।

    ডিজিটাল লেনদেন

    এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও সহজেই ফোনে আর্থিক পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পেরেছেন। তবে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা যতই বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধী ও প্রতারক গোষ্ঠীর সংখ্যা। যারা প্রতারণার কৌশল শিখে তা নিখুঁত করে আরও বিস্তৃত পরিসরে ‘কারবার’ চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে ভারতে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা পুরো সেক্টরকে লক্ষ্য করছে – ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরো ব্যবসা পর্যন্ত বহুস্তরীয় জালিয়াতির মাধ্যমে, যাতে জটিল কাজের ধারা থাকে এবং প্রতারকদের শনাক্তকরণ এড়ানো যায় (Cybercriminals)। আধুনিক ডিজিটাল প্রতারকরা এখন প্রযুক্তির সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই তাদের করায়ত্ত। আজকাল মানুষের আস্থা অর্জন করতে সেলিব্রিটি বা ব্যবসায়িক নেতাদের মুখের মতো দেখতে ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে ব্যবহারও করছে। তারপরেই চলছে প্রতারণার ‘বেওসা’। কীভাবে হয় প্রতারণা (Digital Fraud)?

    ফিশিং মেসেজ: এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা, যেখানে বলা হয় আপনি কোনও ‘পুরস্কার জিতেছেন’ বা আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিচিত ই-কমার্স সাইট থেকে ‘রিফান্ড’ পাবেন। এসব বার্তায় প্রতারিত হন মানুষ।

    ভুয়ো পণ্যের তালিকা: জনপ্রিয় জিনিসপত্র অনলাইনে খুবই কম দামে তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্রেতা অগ্রিম টাকা দেন। তারপরেই হাওয়া হয়ে যান বিক্রেতা (Cybercriminals)।

    পেমেন্ট কনফার্মেশন প্রতারণা: প্রতারকরা ভুয়ো বার্তা বা ইমেইল পাঠায়, যাতে ‘পেমেন্ট যাচাই’য়ের অনুরোধ থাকে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন থেকে আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে (Digital Fraud)।

    প্রতারকরা কোথায় আঘাত হানে? প্রতারকরা সব চেয়ে বেশি আঘাত হানে হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪সি-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৫,০০০-এর বেশি অর্থনৈতিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হয়েছে ১৪,০০০ এবং মার্চে আরও ১৫,০০০ অভিযোগ (Digital Fraud)।

  • Hindenburg: হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাই কি ঝাঁপ পড়ছে সংস্থায়?

    Hindenburg: হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাই কি ঝাঁপ পড়ছে সংস্থায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা আট বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মার্কিন লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী (Fraud Allegations) সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg)। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। এই আট বছরে একের পর বোমা ফাটিয়েছে এই সংস্থা। যার জেরে হিন্ডেনবার্গের নামের পারা যত চড়েছে, ততই মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক সংস্থা। কোনও সংস্থার শেয়ার বিক্রিতে গলদ রয়েছে কিনা, কিংবা বাজার থেকে সংস্থাগুলি যে ঋণ নিয়েছে, তাতে স্বচ্ছতা বজায় রয়েছে কিনা, এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে এই সংস্থা।

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা (Hindenburg)

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। ২০১৭ সালে তিনিই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন এই সংস্থার। বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছে হিন্ডেনবার্গ। তবে যে সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করে সাফল্য পেয়েছিল এই সংস্থা, তারা হল আমেরিকার বৈদ্যুতিক ট্রাক নির্মাণকারী সংস্থা নিকোলা কর্পোরেশন। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়েছে নিকোলা। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিকোলার প্রতিষ্ঠাতা ট্রেভর মিল্টনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মার্কিন আদালত। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ ছিল, কারচুপি করে নিজেদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর বাড়িয়েছে গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী। রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে তারা এই তথ্য জানতে পেরেছিল। তাদের অভিযোগ, কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর কয়েকগুণ বাড়িয়ে আদানিরা বিশাল সম্পদ তৈরি করেছেন। আট বছরের স্বল্প আয়ুতে অন্তত ১৬টি সংস্থার অনিয়মের কথা ফাঁস করেছে হিন্ডেনবার্গ।

    হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ

    এহেন হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। কানাডার একটি পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতের নথিতে প্রকাশিত হয়েছে যে হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় আনসন ফান্ডসের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল। এই সহযোগিতার প্রভাব ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) সিকিউরিটিজ প্রতারণা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করতে পারে, যা তাদের গবেষণা প্রক্রিয়ার নৈতিকতা নিয়ে তদন্ত দাবি করছে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    হেজ ফান্ড হল এমন (Hindenburg) বিনিয়োগ সংস্থা যা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে মুনাফা অর্জন করে এবং প্রায়ই উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি গ্রহণ করে। হিন্ডেনবার্গের মতো গবেষণা সংস্থার কার্যক্রমে হেজ ফান্ডের সম্পৃক্ততা বাজার কারসাজি এবং বিনিয়োগ গবেষণার অখণ্ডতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। অ্যান্ডারসন ও অ্যানসন ফান্ডসের মধ্যে বিনিময় হওয়া ইমেলগুলি সহযোগিতার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সমর্থন (Fraud Allegations) করে। এই যোগাযোগগুলো প্রমাণ করে যে অ্যান্ডারসন অ্যানসনের নির্দেশনায় কাজ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সব কারণেই তাড়াহুড়ো করে ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হচ্ছে হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digital Arrest: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    Digital Arrest: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার নতুন ছক ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ (Digital Arrest) নিয়ে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত যাবতীয় ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য এবার উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে বলেও খবর। অমিত শাহের মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানেই নতুন কমিটি পরিচালিত হবে। ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ধরনের প্রতারণা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ডিজিটাল প্রতারণা (Cyber Crime) ঠেকাতে কী ভাবে সচেতন হওয়া উচিত সেটাও জানান তিনি। তারপরেই পদক্ষেপ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

    কমিটির প্রধান কে

    ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest)  সংক্রান্ত প্রতারণার (Cyber Crime) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে তার মাথায় থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আই৪সি) দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর। সাইবার অপরাধ চক্র প্রায়ই কোনও না কোনও নতুন পন্থা অবলম্বন করে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়েন সাধারণ মানুষ। টাকা খোয়ানো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নথি হাতানোর মতো অপরাধ ঘটে। বর্তমানে সাইবার প্রতারকদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) অভিযোগ সামনে এসেছে। এই ধরনের প্রতারণা (Cyber Crime) রুখতে বিশেষ সচেতনতা কর্মসূচি তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ডিজিটাল অ্যারেস্ট প্রতারণার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার উইং ৬ লক্ষেরও বেশি মোবাইল ফোন ব্লক করেছে। ওই সব ফোন ডিজিটাল অ্যারেস্ট এবং সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখনও পর্যন্ত সাতশোর বেশি মোবাইল অ্যাপ ব্লক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PNB Fraud: ঋণখেলাপি মামলায় নীরব মোদির প্রায় ৩০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    PNB Fraud: ঋণখেলাপি মামলায় নীরব মোদির প্রায় ৩০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির (Nirav Modi) ২৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করল (PNB Fraud) ইডি। নীরব পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত। ইডির মুম্বই আঞ্চলিক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন, ২০২২-এর আওতায় এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁর যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার মধ্যে যেমন জমি রয়েছে, তেমনি রয়েছে বাড়ি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে সঞ্চিত অর্থও রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে। এই প্রথম নয়, এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নীরব ও তাঁর সহযোগীদের ভারত ও বিদেশে থাকা প্রায় ২ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে।

    প্রতারণা মামলা (PNB Fraud)

    ২০১৮ সালে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন এই হিরে ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়ে পালান নীরব। পরে ইডি তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ব্রিটেনে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সেই থেকে রাজার দেশেই বন্দিদশা কাটাচ্ছেন তিনি। ব্রিটেনের আদালতও জানিয়েছে, নীরবের বিরুদ্ধে টাকা নয়ছয়ের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে সাতবার।

    সম্পত্তি নিলাম

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে সব মিলিয়ে নীরব প্রতারণা করেছিলেন প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সব মিলিয়ে ইডি তার চার হাজার কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আদালতের নির্দেশে কয়েকটি সম্পত্তি নিলাম করে যে ৭১ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল, তা ফেরানো হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ককে (PNB Fraud)। বাকি সম্পত্তি নিলামের জন্য শুনানি চলছে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে গিয়ে ওমরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাহুলকে নিশানা বিজেপির

    জানা গিয়েছে, নীরব ও তার সহযোগীদের স্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৬৯২.৯০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব। বছরখানেক আগে আদালতে এই হিরে ব্যবসায়ী জানিয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীর ফি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন ঋণখেলাপের (Nirav Modi) মামলায় এই অভিযুক্ত (PNB Fraud)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sonarpur: স্বামীর কাছে ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে জামাল, কঠোর শাস্তি চাইছেন প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী

    Sonarpur: স্বামীর কাছে ৬৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছে জামাল, কঠোর শাস্তি চাইছেন প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের কাছে এখন ‘পলাতক’ সোনারপুর (Sonarpur) থানায় জামালউদ্দিন সর্দার। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি পরিচিত। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার জামালের আরও এক কীর্তি সামনে এল। যা জানাজানি হতে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sonarpur)  

    জানা গিয়েছে, সোনারপুরের (Sonarpur)  তাড়দহ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অতীন্দ্র মণ্ডলের থেকে প্রতারণা (Fraud) করে ৬৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জামালের বিরুদ্ধে। পারিবারিক জমি বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই বিপুল টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, ২০২০ সাল থেকে টাকা নেওয়া শুরু করে জামাল। অতীনবাবুর স্ত্রী বলেন, টাকার চিন্তায় অকালে মৃত্যু হয়েছে আমার স্বামীর। ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। আমার স্বামী তো আরও কিছুদিন বাঁচতো। কিন্তু, টাকার চিন্তাই ওকে শেষ করে দিল। এখন বাড়িতে একা, সুবিচারের আশায় দিন গুনছি। জানা গিয়েছে, প্রথমে সোনারপুর থানা পরে হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। শিক্ষকের সঙ্গে প্রতারণার কেসে বর্তমানে জামিন নিয়ে বাইরে রয়েছেন জামাল।

    আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    সুইমিং পুলে কচ্ছপ

    জামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকায় (Sonarpur) জমিজমা সংক্রান্ত কোনও বিতর্ক দেখা দিলে তাতে নিজে থেকে তিনি ঢুকে পড়তেন। তাঁকে এড়িয়ে এলাকার কোনও জমি কেনাবেচা হত না। প্রতারণা (Fraud) করেই ক্রমশ ‘ধনকুবের’ হয়ে ওঠেন জামাল। প্রায় এক বিঘার বেশি জমির উপর ২০১৬ সালে তৈরি করেন বিশাল বাড়ি। সেই বাড়ির নিরাপত্তার জন্য ৫০টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসান তিনি। জামালের বাড়ির পাশে গ্যারাজে দামি গাড়ি, বাইক রয়েছে। সম্প্রতি একটি ঘোড়াও কেনেন তিনি। বেঁধে মারধরের বিতর্ক সামনে আসার পর বাড়িতে পড়ে থাকা শিকল নিয়ে জামালের দাবি ছিল, ঘোড়া এবং গরু বাঁধতে কাজে লাগে সেটা। এখন জামালের বাড়ির সুইমিং পুলে মিলেছে কচ্ছপও। বাড়িতে এই ভাবে কচ্ছপ রাখা বেআইনি। এ নিয়ে বন দফতরের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল। জামালের বিরুদ্ধে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন’ আইনে মামলা রুজু করা হবে। এলাকার মানুষের প্রশ্ন, এতদিন বন দফতর কোথায় ছিল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ১০ টাকা মাটি থেকে তুলতে গিয়েই বিপদ! ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল চোর

    Nadia: ১০ টাকা মাটি থেকে তুলতে গিয়েই বিপদ! ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল চোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ টাকা মাটিতে পড়ে রয়েছে দেখতে বলেই ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল এক অজ্ঞাত চোর। মধ্যবয়স্ক এক মহিলার কাঁধে টোকা দিয়ে বলে, ‘দেখুন তো নিচে আপনার টাকা পড়ে রয়েছে কী না?’ ঠিক তারপরেই নিজের টাকা ভেবে তুলতে গেলে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মহিলার টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে উধাও হয়ে যায় সেই চোর। মুহূর্তের মধ্যেই কীভাবে টাকা নিয়ে পালালো? ঘটনার তদন্তে নেমেছেন পুলিশ। এই নিয়ে ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরি হইয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Nadia)।

    অভিনব কায়দায় চুরি (Nadia)

    স্থানীয় (Nadia) সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্যত অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটেছে কৃষ্ণনগর হেড পোস্ট অফিস চত্বরে। এরপর ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ। ঘটনার পর একে একে ডাকঘরের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। এরপর এক সন্দেহ জনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। পুলিশ ইতিমধ্যে মধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ঠিক দুপুর ২টোর সময় ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রাহকেরা যখন টাকা জমা করছিলেন সেই সময় আচমকা ডাকঘরে চিৎকার শোনা যায়। এরপর জানা যায় ব্যাগে ১ লক্ষ টাকা ছিল এক মহিলার যা চুরি হয়ে গিয়েছে।

    গ্রাহক মহিলার বক্তব্য

    চুরি যাওয়া টাকার মালিক মধ্যবয়স্কা গ্রাহক মহিলা রুপালী বলেন, “আমার ব্যাগ আমার কাছেই ছিল। হঠাৎ এক বয়স্ক লোক আমার পিঠে টোকা দিয়ে বলে, “আপনার টাকা মাটিতে পড়ে রয়েছে! সত্যিই দেখি মাটিতে টাকা পড়ে রয়েছে। আমি ভাবলাম হয়তো কেউ ফেলে রেখে গিয়েছেন। নিচু হয়ে টাকা তুলে উঠে দেখি, আমার ব্যাগ জায়গায় নেই। এরপর সেই বয়স্ক লোকটিকেও আর দেখেতে পেলাম না। মুহূর্তে সব ভ্যানিশ হয়ে গেল।” ঘটনা সম্পর্কে ডাকঘরের (Nadia) পোস্ট মাস্টার বলেন, “সিসিটিভি এমন একটি ঘটনা দেখতে পেলাম। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: রাজ্যে সক্রিয় ওটিপি প্রতারণাচক্র, চিন-পাকিস্তান যোগ! কীভাবে জালিয়াতি?

    Fraud: রাজ্যে সক্রিয় ওটিপি প্রতারণাচক্র, চিন-পাকিস্তান যোগ! কীভাবে জালিয়াতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে ফের সক্রিয় হয়েছে প্রতারণাচক্র। প্রতারকরা নিত্যনতুন কৌশল প্রয়োগ করে প্রতারণার (Fraud) ছক কষে। এবার ওটিপি কেনাবেচার একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি বিক্রির অবৈধ চক্র চালানোর অভিযোগে মূল পাণ্ডাকে হিমাচল প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওই চক্রের জাল পাকিস্তান এবং চিনে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগ থেকেই এই চক্রের হদিশ মেলে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণার ছক? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাধারণত প্রতারকরা সিম ক্লোন করে ওটিপি সংগ্রহ করে। ধরা যাক একটি ফোন নম্বরের সিম ক্লোন করা হল, তারপর থেকে ওটিপি যাবে ওই ভুয়ো নম্বরে। ফলে, সহজেই গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। একদল লোক সিম ক্লোন করার কাজে যুক্ত থাকে, আবার আর একদল ওটিপি বিক্রি করে বলে জানা যায়। মোটা টাকার বিনিময়ে বিদেশে তথ্য পাচার করে দেওয়া হত। প্রতারকরা বিদেশে কী কী তথ্য পাচার করেছে তা জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    পাকিস্তান-চিন যোগ!

    দু সপ্তাহ আগে মুর্শিদাবাদ, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ওটিপি কেনাবেচার অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, নকল সিম কার্ড বানিয়ে ওটিপি তৈরি করা হয়, তারপর ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। মুর্শিদাবাদে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ধৃতদের জেরা করার পর পুলিশ হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা গৌরব শর্মার নাম পুলিশ জানতে পারে। জানা যায়, ওটিপি কেনাবেচার আন্তর্জাতিক প্রতারণা (Fraud) চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে গৌরব শর্মার। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অনলাইন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে ওটিপি সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ফোন নম্বর সহ ওটিপি বিক্রি করে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে। টাকার লেনদেন হয় ইউপিআই-এর মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পাকিস্তান ও চিনের লোকজনের লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ভুয়ো সিম কার্ড বানিয়ে বিদেশে তথ্য পাচার! রাজ্য জুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে জালিয়াতি চক্র

    Fraud: ভুয়ো সিম কার্ড বানিয়ে বিদেশে তথ্য পাচার! রাজ্য জুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে জালিয়াতি চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানানোর একটি বড় চক্র রাজ্য জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স হানা দিয়ে মুর্শিদাবাদ ও হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, জাল নথির সাহায্যে শ’য়ে শ’য়ে সিম কার্ড বানিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপে ওটিপি পাচার করা হত। এই সব সিম কার্ড দিয়ে প্রতারকরা প্রতারণা (Fraud) করত বলে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা।

    বহু ভুয়ো সিমকার্ড উদ্ধার (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সীমন্তবর্তী এলাকা তো বটেই, সেই সঙ্গে জেলার সদর বহরমপুরেও জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানানোর একটি বড় চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছু যুবক সামনে সিম কার্ড, মোবাইলের দোকান কিংবা অনলাইনে ব্যবসা খুলে আড়ালে চালাচ্ছে জালিয়াতির ব্যবসা। আর ভুয়ো সিম কার্ড দিয়ে চলত প্রতারণা (Fraud)। মুর্শিদাবাদ ও হুগলির বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দেয় এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে নইমুল ইসলাম ও আবদুল আজিমকে, ভগবানগোলা থানা এলাকা থেকে কাওশার শেখ এবং দৌলতাবাদ থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ কামরুজ্জামান ও দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদ থানার গুধিয়া এলাকার বাসিন্দা আস্তিক মণ্ডল এবং হুগলির জাঙ্গিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সুরেশ দে এবং রমেশ জানাকে। ধৃতরা প্রত্যেকেই জাল নথি দিয়ে সিম কার্ড বানাত বলে পুলিশের দাবি। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকশো ভুয়ো সিম কার্ড, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন, জাল নথি-সহ একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্র।

    হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণা!

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্র দিয়ে যেমন জাল নথি বানানোর কাজ করা হত, তেমনই ওটিপি পাচার করা হত দেশের বাইরে। ধৃতরা দেশে ও বিদেশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ও ওটিপি ব্যবহার করে প্রতারণার (Fraud) কাজ করত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ওই জালিয়াতির সঙ্গে দেশের গোপন তথ্যপাচার করা হত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    Burdwan: ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যজুড়ে দাপিয়ে বেড়়াচ্ছে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার ভুয়ো কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠল এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান (Burdwan) সহ আশপাশের এলাকায়। অনেক ব্যবসায়ী তার খপ্পরে পড়ে টাকাও দিয়েছেন। তবে, এক ব্যবসায়ী প্রতারকের আচরণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, প্রতারকের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কত জন ব্যবসায়ীর থেকে ওই প্রতারক টাকা হাতিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত প্রতারকের নাম রঞ্জিত বসু। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নোনাচন্দনপুকুর এলাকায়। অভিযোগ, রঞ্জিত নিজেকে সেন্ট্রাল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। যদিও কেন্দ্রের এই ধরনের কোনও সংস্থা নেই। গত কয়েক দিন ধরে এই ভুয়ো পরিচয়ে রঞ্জিত বর্ধমানের (Burdwan) বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত এক ব্যবসায়ীর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বর্ধমানের পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবারও ওই প্রতারক জামালপুরের আধাপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে হানা দেন।

    ব্যবসায়ীর বুদ্ধিতেই গ্রেফতার প্রতারক

    শেখ আবদুল কাশেম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন রঞ্জিত। আবদুল কাশেম বলেন, ওই ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম করে আমাকে হুমকি দিতে থাকে। প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে, তাঁর আচরণ দেখে  সন্দেহ হওয়ায় প্রতারককে বসিয়ে রেখে থানায় ফোন করি। এরপরই জামালপুর থানার পুলিশ এসে রঞ্জিতকে পাকড়াও করে। যদিও পুলিশকেও নিজের ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, লাভ হয়নি। রঞ্জিতকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share