Tag: Fraud

Fraud

  • South 24 Parganas: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা

    South 24 Parganas: স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ টাকার প্রতারণা, অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের বিধায়ক, মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে। আর প্রতারিত হয়েছেন তৃণমূলেরই অন্য এক যুব নেতা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি এলাকায়। প্রতারিত যুব নেতার নাম পৃথ্বীরাজ তাঁতি। তিনি রায়দিঘির কৌতলা অঞ্চলের যুব সভাপতি। আর প্রতারকের নাম প্রীতম কলা। তিনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমা ব্লকের মহেশপুর কেদারপুর এলাকার রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। তিনি নিজেকে তৃণমূলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ যুব নেতা বলতেন।

    কীভাবে প্রতারণা? (South 24 Parganas)

    পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দেবাংশু ভট্টাচার্য  সহ একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফটো তুলে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন প্রীতম কলা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রীতমের সঙ্গে পরিচয় হয় পৃথ্বীরাজের। প্রতারক প্রীতম কলা বিভিন্ন মন্ত্রী, এমএলএ ও যুব নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছবি দেখিয়ে যুব নেতাকে প্রভাবিত করেন বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছে ৪ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। ভুয়ো ডাক্তার ও তার সহকারি সাজিয়ে ইন্টারভিউয়ের নাম করে তিনি কয়েক দফায় যুব তৃণমূলের নেতার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নেন। দেওয়া হয় ভুয়ো নিয়োগপত্র। প্রতারণার চক্রের খপ্পরে পড়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে যান যুব তৃণমূলের নেতা পৃথ্বীরাজ। হাসপাতালের সুপার বুঝতে পারেন, নিয়োগপত্র জাল। গোপনে পুলিশকে খবর দেন সুপার। পুলিশ আসার আগে বুঝতে পেরে সেখান থেকে সরে পড়েন তিনি। এইভাবে প্রতারণার চক্রে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে হতাশায় ভুগছেন ওই যুবনেতা।

    প্রতারিত যুব নেতা কী বললেন?

    প্রতারিত যুব নেতা পৃথ্বীরাজ তাঁতি বলেন, দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে প্রতারকের ছবি দেখে আমি প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি কয়েক দফায় ১ লক্ষ টাকা দিয়ে বুঝতে পারি, প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    North 24 Parganas: সক্রিয় জালিয়াতি চক্র! মৃত ব্যক্তির সই জাল করে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে জমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে জমি জালিয়াতির চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। মৃত ব্যক্তির সই জাল করে জমি হাতানোর ঘটনাও ঘটেছে। তদন্তে নেমে জালিয়াতির এই তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে চক্ষুচড়ক গাছ হয়েছে প্রশাসনিক কর্তাদের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে বঙ্কিম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী হরিপদ মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী বুলারানির নামে মালেকান ঘুমটিতে বঙ্কিমের ৩৪ শতক জমির দলিল তৈরি করা হয়েছে। সেই জমি তাঁর প্রয়াত বাবা মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে জমির দলিল তৈরি করেছেন হরিপদ। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, গৌর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হরিপদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চক্রান্ত করে বঙ্কিমের জমির দলিল বুলারানির নামে করার ব্যবস্থা করেন। আর এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, ২০০৭ সালে মৃত ব্যক্তির সই ২০২২ সালে নকল করে ৩৪ শতক জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই চক্রের চারজনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম গৌর মণ্ডল, হরিপদ মিস্ত্রি, বুলারানি মিস্ত্রি, ও রেণুকা মণ্ডল। মৃত মহাদেব মণ্ডল হিসাবে সাজানো হয় হরিপদকে। মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে হরিপদ ২০২২ সালে হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি লিখে দেন বুলারানির নামে। গ্রেফতার করা হয় হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রেণুকা মণ্ডলকেও। তদন্তকারীদের দাবি, কারচুপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন রেণুকা। কারচুপিতে রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের এডিএসআর সঞ্জিতকুমার ঘোষ বলেন, এই ধরনের কারচুপির ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি গ্রামের জমি নিয়েই হচ্ছে। এর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে মামলা চলছে। হিঙ্গলগঞ্জের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের অফিসের কর্মীদের কোনও যোগ আছে বলে জানা নেই। আমরা যতটা সম্ভব তথ্য যাচাই করি। দলিল লেখকদেরও বার বার সতর্ক করা হয়। আবারও সতর্ক করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন মহিলা! লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

    Fraud: স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন মহিলা! লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটছে। এবার সহানুভূতি কিংবা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগর এলাকায়। প্রতারিতরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা করতেন দম্পতি? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকদের নাম সোমা কর, তাঁর স্বামী গৌতম কর ও তাঁর ছেলে কৌশিক কর। তাঁদের বাড়ি কোন্নগর পঞ্চাননতলা এলাকায়। মোটা টাকা ঋণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছে থেকে কয়েক ধাপে প্রায় আট লক্ষ টাকা নিয়েছেন তাঁরা। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যে টাকা নেওয়া হয়েছে তার সমস্ত কাগজপত্র আছে। কিন্তু, টাকা কিছুতেই ফেরত দিতে চায়নি বলে শেষে প্রতারিত ব্যক্তি উত্তরপাড়া থানার দ্বারস্থ হন। আরেক প্রতারিত লিলি বোস বলেন, ওই কর দম্পতি আমার বাড়িতে এসে আর্থিক সমস্যার কথা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাই। প্রতারণার খবর জানাজানি হওয়ার পরেই পলাতক তিন অভিযুক্ত। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, তাঁদের বাড়িতে ঝুলছে তালা। অভিযুক্তকে ফোন করা হলেও সঠিক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। কখনও বলছেন তাঁরা বাড়িতে নেই, আবার কখনও বলছেন, এটা ভুল নম্বর। জানা গিয়েছে, এক বা দুজন নয়, এই এলাকায় বহু মানুষের থেকে নানা কৌশল করে তাঁরা প্রতারণা (Fraud) করে টাকা নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে তাঁরা এই ধরনের কারবার আরও চালাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সই জাল করে কুড়ি কোটি টাকার প্রতারণা

    Fraud: লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সই জাল করে কুড়ি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চাকরি নেই। কাজের জন্য অনেকেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে আবার চাকরি না পেয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা (fraud) করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা এলাকায়।

    কীভাবে প্রতারণা?(fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোন করে দেওয়ার নাম করে নামখানার একটি ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ইন্দ্রজিৎ নস্কর নামে ব্যাঙ্কের এক কর্মী প্রতারণা (fraud) চক্রের মূল পান্ডা। তিনি মূলত গ্রামের গ্রাহকদের মোটা টাকা লোন করে দেওয়ার টোপ দিতেন। বেশ কিছু কাগজপত্র নিতেন। সঙ্গে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করে নিতেন। এরপরই ব্যাঙ্কের শাখা অফিসের ম্যানেজারের সই নকল করে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিতেন। সেই মতো লোন অনুমোদনও হয়ে আসত। কাউকে, ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ বা তার বেশি লোন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন তিনি। অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা ঢুকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হত। ফলে, গ্রাহক বুঝে ওঠার আগেই টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে আসত। দুদিনে একই অ্যাকাউন্টে প্রায় এক কোটি টাকা ঢোকে। তাতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। তিনি রিজিওন্যাল ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। এরপরই তিনি কাকদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ বারুইপুর থেকে ইন্দ্রজিৎ নস্কর ও রুদ্র নস্কর ও কাকদ্বীপ থেকে বাপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ২০ কোটি টাকা প্রতারণা করার হদিশ পায়।

    কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী কী বললেন?

    কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ৪৬৭ ৪৬৮ ৪৭১, ১২০বি আইপিসি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের এদিন কাকদ্বীপ আদালতে পাঠালে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani AIIMS: এইমস হাসপাতালে নিয়োগের নামে সক্রিয় প্রতারণা চক্র! কী হয়েছে জানেন?

    Kalyani AIIMS: এইমস হাসপাতালে নিয়োগের নামে সক্রিয় প্রতারণা চক্র! কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিভিন্ন দফতরে নিয়োগের নামে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর আগে শিক্ষা ও পুর দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজু়ড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ অনেকে জেলে রয়েছেন। এরইমধ্যে কল্যাণীর এইমস (Kalyani AIIMS) হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সিআইডি হানা দিয়ে সোমনাথ বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রতারণার চক্রে জড়িত সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Kalyani AIIMS)

    কল্যাণী এইমস (Kalyani AIIMS) হাসপাতালে বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ হয়। আর এই সুযোগে রাজ্যে প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠেন। জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী, গ্রুপ সি, ডি-সহ বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একাধিক জনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই চাকরি পাননি। পরবর্তীকালে চাকরিপ্রার্থীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে মামলার দায়িত্বভার হস্তান্তরিত হয় সিআইডি-র হাতে। শনিবার হালিশহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান সিআইডি আধিকারিকরা। পরে, কল্যাণী থেকে অভিযুক্ত সোমনাথকে সিআইডি গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে প্রায় এক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

    পাশাপাশি কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ দুর্নীতির সমান্তরালভাবে আরও একটি মামলায় তদন্ত করেছে সিআইডি। তাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তাকে। কল্যাণী এইমসে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থায় চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছর মে মাসে কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার এক যুবক। প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় তখন মামলা রুজু হয়। তাতে বিজেপি সাংসদদেরও নাম জড়ায়। তবে, সোমনাথ বিশ্বাস নামে এই ব্যক্তি যে মামলায় জড়িত  রয়েছে তা আলাদা। এই ব্যক্তি নিজস্ব চক্র তৈরি করেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। তার সঙ্গে প্রতারণা চক্রে আর কারা জড়িত রয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। ধৃতের কাছে থেকে সিআইডি কী কী তথ্য পেয়েছে তা স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: অনলাইন প্রতারণার থাবা! সঙ্গীত শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ টাকা গায়েব

    Fraud: অনলাইন প্রতারণার থাবা! সঙ্গীত শিল্পীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ টাকা গায়েব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই সোদপুরে প্রাক্তন এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতে বিদ্যুতের বিল আপডেট নেই বলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। সেই ফোন ধরে ওটিপি দিতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা গায়েব করে দেয় প্রতারকরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার প্রতারকরা থাবা বসাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ ২ নম্বর ব্লকের নোদাখালি থানার রায়পুরে। প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন কল্যাণ দাস নামে এক সঙ্গীত শিল্পী। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন তিনি।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)  

    তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অস্থায়ী শিল্পী তথা গানের শিক্ষক কল্যাণ দাস বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সংযোগকারী বিদ্যুতের তিন মাসের বিল বকেয়া ছিল। বিল পরিশোধ করতে অচেনা নম্বর থেকে এক ব্যক্তি ফোনে করে। বকেয়া বিল এখনই শোধ না করলে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানায় ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। পর্ষদের লোগো দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয় তাঁকে। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে প্রথমে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগ অক্ষুন্ন রাখতে তিন টাকা ট্রান্সফার করতে বলা হয় শিল্পীকে। তার কথামতো মোবাইলে আসা ওটিপি শেয়ার করেন কল্যাণবাবু। ওটিপি দেওয়া মাত্রই নিমেষে গায়েব হয়ে যায় ফিক্সড ডিপোজিট-সহ সেভিংস অ্যাকাউন্টের ৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা কীভাবে হাতিয়ে নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

     ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    সাতগাছিয়ার বাখরাহাটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওটিপি শেয়ারের মাধ্যমে কল্যাণবাবুই টাকা তুলে নিতে অনুমতি দেন প্রতারককে। তাই, প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন তিনি। তবে, ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা কীভাবে হাতিয়ে নেওয়া হল তা তারা স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি। ইতিমধ্যেই ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছেন প্রতারিত ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও যথাযথ পুলিশি তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জামতারা গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বারাকপুর জুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠেছিল একটি দলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্য পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কালীচরণ মাঝি প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়লেন। তিনি বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের প্রাক্তন দেহরক্ষী ছিলেন। প্রতারকরা কয়েক দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতিমধ্যেই বারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। একজন পুলিশ কর্মীর অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    রাজ্যজুড়ে অনলাইন প্রতারণা (Fraud) চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বহু মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। অনলাইনে প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু, প্রতারকদের এই জালিয়াতি বন্ধ করতে পারছে না পুলিশ। নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে প্রতারকরা মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, কালীচরণ মাঝি রাজ্য পুলিশের কর্মী ছিলেন। তিনি থাকেন সোদপুরে। তিনি পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবসরকালীন অনেক টাকাই গচ্ছিত ছিল। এই গচ্ছিত টাকার একটা বড় পরিমাণ প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়। কালীচরণবাবু বলেন, আমার মোবাইলের মেসেজে একটা নম্বর আসে। এরপর একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। বিদ্যুতের বিল আপডেট নেই বলে জানানো হয়। আমি বিল মিটিয়ে দিয়েছি। অফিস যাচ্ছি বলার পর ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, অফিস যাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি ওটিপি দিচ্ছি। সেটা শেয়ার করলেই বিল আপডেট হয়ে যাবে। ওটিপি শেয়ার করতেই পর পর মোবাইলে মেসেজ আসে। এরপর কয়েক দফায় আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, রাজ্যজুড়ে প্রতারণা (Fraud)  চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবসরকালীন তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই টাকার একটা বড় অংশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমাদের দাবি, যে বা যারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চুরি থেকে শিক্ষা চুরি, সাম্প্রতিক সংযোজন আবার রেশন কেলেঙ্কারি। এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলায় শাহি সভা ছিল বিজেপির। এই আবহে এদিন দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে এক প্রতারক তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা করলেন প্রতারিত মহিলা। আর এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন স্টেশনে আসা যাত্রীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম। আচমকা এত ভিড়ে সবাই ভিড় জমালো প্লাটফর্মে। তৃণমূল কর্মীর প্রতারণার  বিষয়টি সামনে আসে।

    কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? (Durgapur)

    স্থানীয় ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত মহিলার বাড়ি রানিগঞ্জ এলাকায়। তিনি বিজেপি কর্মী। আর প্রতারক তৃণমূল কর্মীর নাম অবনী মণ্ডল। তার বাড়ি জামুরিয়া এলাকায়। ডাক বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী ওই মহিলার কাছে প্রায় দু লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। বছর দুয়েক আগে সেই টাকা দিলেও আজও না পেয়েছেন চাকরি, না পেয়েছেন টাকা। প্রতারণা করেছেন তৃণমূল কর্মী। এই দু বছর ধরে অনেক বার ফোন করেছেন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে। কিন্তু মহিলা বিজেপি কর্মীর ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যাক্তি এরপর ওই মহিলার ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মী। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে  ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা স্টেশনের মধ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান ওই মহিলা। গুটি গুটি পায়ে তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন প্রতারিত মহিলা। কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। এরপর পায়ের চটি খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা বিজেপি কর্মী। কেন ফোন ধরেননি এতদিন সেই প্রশ্ন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত আর চাকরি কোথায় এই সব প্রশ্ন। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতারক তৃণমূল কর্মী অবনী মণ্ডল বলেন, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    প্রতারিত মহিলা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলা বলেন, ওই তৃণমূল কর্মী বলেছিল, লকডাউনে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছে। ১৮ হাজার বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করেই আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিন দেখা হতেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘিরে ধরতেই আমার সঙ্গে বচসা শুরু করে। তখনই বাধ্য হয়ে জুতোপেটা করি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রকের ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাঁকুড়া জেলার ছাতনা এলাকায় কাজ চালাচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাতনা থানার পুলিশ ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি লজে হানা দিয়ে এই চক্রের মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

    যাবতীয় নথি হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা (Fraud)

    ছাতনা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ির ব্যাঙ্ক মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজ ভাড়া নিয়ে সেখানেই প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতেছিল চক্রটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ই=শ্রম কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রতারকেরা আধারকার্ড, প্যানকার্ড, ভোটারকার্ড, এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্র জমা নিচ্ছিল। গত তিনদিন ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল চক্রটি। স্থানীয় কয়েকজনের বিষয়টি সন্দেহজনক লাগে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রতারকদের ধরতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই লজে অভিযান চালায়। এই চক্রের জনা দশেক লোক তখন ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তাদের কাছে ই-শ্রমকার্ড করার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে পুলিশকে তারা তা দেখাতে পারেনি। এরপর তাদের কথাবার্তাতেও অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় পুলিশ ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ধৃতদের কাছ  থেকে ২ টি ল্যাপটপ, পাঁচটি রেজিস্টার খাতা এবং প্রচুর ফর্ম বাজেয়াপ্ত করেছে ছাতনা থানার পুলিশ। গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তারা ওই এলাকায় এই কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। এর আগে জেলার আর কোথায় কোথায় এরা এমন কাজ চালিয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আন্তরাজ্য কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা তার খোঁজখবরও নিচ্ছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ই-শ্রমকার্ডের নামে যাবতীয় নথি নিয়ে এই চক্রটি আর্থিক প্রতারণা (Fraud) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতির কারবার চালাবার ফন্দি এঁটেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কীভাবে জানেন?

    Fraud: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাল প্যান কার্ড তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই প্রতারণা চক্রের দুই পান্ডাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম অনুজ শর্মা এবং সুনীল পাটওয়া। অনুজের বাড়ি কলকাতার ট্যাংরায়। সুনীলের বাড়়ি মানিকতলায়। তাদের কাছে থেকে একাধিক মোবাইল, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতারকরা বিভিন্ন পরিচিতদের নামে জাল প্যান কার্ড তৈরি করতো। আর সেই প্যান কার্ড দিয়ে গ্রামীণ এলাকায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলত। আর বেসরকারি ব্যাঙ্কে তারা এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলত। সেখানে নিয়ম মেনে বেশ কিছু টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখত। সেই টাকার জোগান দিত জামতাড়া গ্যাং। এরপরই নিয়ম মেনে ব্যাঙ্ক থেকে ক্রেডিট কার্ড পেয়ে যেত প্রতারকরা। সেই ক্রেডিট কার্ড নিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করতো। মূলত তাদের টার্গেট পয়েন্ট ছিল সোনার দোকান। সোনার দোকানে গয়না কিনে টাকা মেটানোর সময় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতো। এরপর সেই সোনা ব্যাঙ্কে মডগেজ রেখে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিত। আর লোন তারা শোধ করত না। নিউ বারাকপুরে একটি সোনার দোকানে ৩৮ হাজার টাকার সোনা কিনেছিল প্রতারকরা। ক্রেডিট কার্ডে বিলও মিটিয়েছিল। পরে, লোন পরিশোধ না করায় প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানাজানি হয়। কারণ, নতুন করে আরও একজন ওই সোনার দোকানে একই কায়দায় ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সোনা কিনতে এসে ধরা পড়ে। তার সূত্র ধরেই আরও একজনের হদিশ পায় পুলিশ।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক কী বললেন?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার (Fraud) হিসেব আমাদের কাছে এসেছে। যদিও এই পরিমাণটা যৎসামান্য বলে মনে করছেন ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের ধারণা, এর থেকে অনেক বেশি প্রতারণা করছে এই প্রতারকরা। বাগুইআটি, মধ্যমগ্রাম মিলে তিনটে অফিস রয়েছে প্রতারকদের। সেখান থেকে মূলত জালিয়াতি কারবার চালাতে প্রতারকরা। সেখানেও পুলিশ হানা দিয়ে বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share