Tag: Fraud

Fraud

  • Fraud: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা! জালের শিকড় খুঁজতে ভিনরাজ্যে পাড়ি পুলিশের

    Fraud: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা! জালের শিকড় খুঁজতে ভিনরাজ্যে পাড়ি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় কল সেন্টারের আড়ালেই চলত বিশাল প্রতারণা চক্র। আমেরিকা, কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছিল প্রতারকদের বিরুদ্ধে। প্রায় আট হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রতারকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে। এবার সেই প্রতারণার আট হাজার কোটি টাকা কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে, তারই হদিশ শুরু করেছে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ইতিমধ্যে বিদেশে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। যে সব ব্যাঙ্কের হদিশ পেয়েছে পুলিশ, তাদের কাছে নথি চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এই বিশাল চক্রের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে। তার মাধ্যমেই সমস্ত প্রতারণা (Fraud) চক্রটি অপারেট করা হত। ভিনরাজ্য সে গা ঢাকা দিয়ে বসে রয়েছে বলে পুলিশের আশঙ্কা। তার খোঁজেই ভিন রাজ্যে যাচ্ছে কমিশনারেটের একটি টিম।

    দুবাই, ব্যাঙ্কক বার বার যেত প্রতারকরা (Fraud)

    বলরাম হাসপাতালে কাছে একটি বাড়িতে ঘরভাড়া নিয়ে প্রতারণা (Fraud) চক্র চলত। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান ঘর ভাড়া নিয়েছিল। সন্ধ্যে সাতটা থেকে সারারাত ধরে অফিস চলত। ভোরের দিকে কর্মীরা বাড়ি চলে যেত। সারারাত ধরে চলত প্রতারণা চক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বুলেট সহ দামি দামি বাইক নিয়ে কর্মীরা কাজ করতে আসত। পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, প্রতারকরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করত। একাধিকবার দুবাই ও ব্যাংকক যাওয়ারও তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে তারা কেন বার বার যেত সেই এটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কয়েকদিন আগে দেরদুন থেকে কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তারা প্রত্যেকেই পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন। বিদেশে যে অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা রাখা হত, সেখানে কোনও চক্র রয়েছে কিনা সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা আসত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলত প্রতারকরা

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে  কথা বলে প্রতারণা (Fraud) করত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে ৮ হাজার কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা কী বললেন?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের কাছে থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা! তারপর কী হল জানেন?

    Purulia: পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা! তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণনগরের এক স্কুল শিক্ষকের কাছে উত্তরবঙ্গের এক পুলিশ কর্তার পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, এখনও প্রতারকদের হদিশ মেলেনি। এবার সেই একই কায়দায় প্রতারকরা ফাঁদ পেতে প্রতারণা শুরু করেছেন। এবার উত্তরবঙ্গ নয়,পুরুলিয়া (Purulia) পুলিশ সুপারের নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর্থিক প্রতারণার করার অভিযোগ উঠল প্রতারকদের বিরুদ্ধে।  

    কীভাবে প্রতারণার ছক? (Purulia)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল অভিযুক্তরা। তাঁর ইউনিফর্মে থাকা একটি ছবিকেও ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যাকাউন্টে। তারপর সেখান থেকেই পাতা হয় প্রতারণার ফাঁদ। ওই প্রোফাইল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে একটিই মেসেজ পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, তাতে লেখা রয়েছে, সিআরপিএফে তাঁর এক বন্ধু কাজের জায়গা থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যাচ্ছেন, সে কারণে তাঁর বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কেউ চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। এই পোস্ট, মেসেজ দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেন। অগ্রিম বুকিংয়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। প্রতারণা করার অভিযোগে হাবড়া থেকে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাহুল ঘটক ওরফে প্রীতম এবং শান্ত মাঝি। রাহুলের বাড়ি হাবড়ায়। অন্যজন শান্তর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গুমলায়। সেও বর্তমানে হাবড়াতেই থাকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। তাঁরা আরও বড় কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতজন ব্যক্তিকে তাঁদের ফাঁদে ফেলেছেন তাও দেখা হচ্ছে।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতরা বলেন, পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ কর্তার প্রোফাইল দেখেই আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। যে টাকা চাওয়া হয়েছিল তা মিটিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, আমরা যে প্রতারিত হচ্ছেন তা তখনও বুঝতে পারেননি। পরে, আসবাবপত্র না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ। এরপরই প্রতারণার বিষয়টি আমাদের সামনে আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Fraud) কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এবার গ্রেফতার হলেন এক সরকারি কর্মী। পুলিস জানিয়েছে,ধৃতের নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের গ্রুপ ডি পদের স্থায়ী কর্মী। মাসখানেক আগে এই মামলায় তাঁর মা গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে।’

     ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সরকারি কর্মী শুভঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার। তিনি ও তাঁর  মা শেফালী চক্রবর্তী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে  একাধিকজনের কাছে থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিলেন। এমনকী ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরেও কারও চাকরি হয়নি। প্রতারিতরা ২০২২ সালে অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট থানায়। সেই অভিযোগের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন ওই শিক্ষিকা। মাসখানেক আগে ওই শিক্ষিকাকে বালুরঘাট থেকেই বালুরঘাট থানার পুলিস গ্রেফতার করে। এবারে তাঁরই ছেলেকে পুলিস গ্রেফতার করল।  সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শুভঙ্কর চক্রবর্তী আদালতে যাওয়ার সময় বলেন, ‘আমি কোনওভাবেই কারও সঙ্গে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত নই।’

     প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    অরিজিৎ দাস নামে এক প্রতারিত বলেন, ‘সরকারি কর্মী ও তাঁর মা মিলে প্রতারণা চক্র চালাতেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তের মা। তার নামে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সেই মহিলাকে গ্রেফতার আগেই করেছে। এবার তার ছেলেও গ্রেফতার হয়েছে। এখন ন্যায় বিচারের আশায় রইলাম।’ প্রতারিত দিবস বর্মন বলেন, ‘শুভঙ্কর আমার বন্ধু ছিল। সেই সূত্রে তার বাড়িতে যাতায়াত লেগে থাকত। প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগের লোভ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বহুবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত পাইনি। অবশেষে মা ও ছেলে দুজনের নামে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এক বছর আগে করা এক ব্যক্তির প্রতারণার (Fraud) অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আরেকজনের অভিযোগ পাওয়াতে সেই মামলার সঙ্গে এটা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জেলা প্রশাসনের এক কর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক তৃণমূল নেতা জেলের ঘানি টানছেন। এর মধ্যেই স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠল অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এডিআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আধিকারিকের নাম বনমালী জানা। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিতের (Fraud) নাম রূপা পাঁজা সামন্ত। তাঁর বাড়ি উলুবেড়িয়ার হিরাগঞ্জ এলাকায়। তাঁর স্বামী অচিনকুমার সামন্ত উলুবেড়িয়ার একটি হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাঁর সঙ্গে বনমালীর পরিচয় ছিল। ২০১৬ সালে তিনি স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে পরীক্ষার ফল বেরোয়। উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে বনমালীর সঙ্গে কথা বলতেই তিনি জেলা অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের ‘কোটা’য় চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু, পুরো টাকা না দিলে নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে বনমালী জানানোয় তাঁরা টাকা ধার করে ও গয়না বিক্রি করে বাকি টাকা জোগাড় করে দেন। ২০২১-এর শেষ দিকে কুলগাছিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে সুপারিশপত্র দেন বনমালী। সেই চিঠি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ হয়নি। এই ধরনের কোনও নির্দেশ বা চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ পাননি বলে জানান ওই প্রধান শিক্ষক। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, মহকুমা শাসক ও পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    প্রতারিতের কী বক্তব্য?

    প্রতারিত রূপাদেবী বলেন, সুপারিশপত্রে কাজ হচ্ছে না, বনমালীবাবুকে একথা জানালে তিনি নিজে গাড়ি করে সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে নিজে হাতে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। পরে বারবার নিয়োগপত্র পাওয়ার আশ্বাস দেন। শেষে এবার পুজোর পরে নিয়োগপত্র পাব বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু পাইনি। প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানতে পেরে এখন বনমালীবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে হুমকি শুনতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করছেন।

    অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বনমালীবাবুর বক্তব্য, ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল, এই সুযোগ নিয়ে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় পাল অবশ্য বলেন, বনমালীবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তদন্তও শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্য নতুন কৌশলের মাধ্যমে রাজ্যজুড়়ে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। দুদিন আগেই সেনা বাহিনীর নাম করে বারাকপুরে একটি ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের দুই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিয়েছে প্রতারকরা। এরইমধ্যে আবার কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারের নাম ভাঙিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিত স্কুল শিক্ষকের নাম গৌতম মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বারাকপুর। আর তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, পুলিশ- প্রশাসনের কর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা যদি এমন প্রতারণা (Fraud) ঘটানোর সাহস পায়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কী করবেন, উঠেছে সে প্রশ্নও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    লেখালেখির সুবাদে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য  এবং কৃষ্ণনগরের শিক্ষক গৌতম মণ্ডল পূর্ব পরিচিত। অভিযোগ, গত ৩০ অক্টোবর দ্যুতিমানের নামে বানানো মেসেঞ্জার থেকে কম দামে আসবাব ও গাড়ি কেনার দু’টি প্রস্তাব পান গৌতম। মেসেঞ্জার বার্তায় বলা হয়েছিল, এসপির বন্ধুস্থানীয় কপিল কুমার নামে সিআইএসএফের এক আধিকারিক কলকাতা থেকে হঠাৎ বদলি হয়ে কাশ্মীর চলে যাচ্ছেন। তিনি কম দামে আসবাব বিক্রি করতে চান। আপনি (গৌতম মণ্ডল) যেন সে সুযোগ হাতছাড়া না করেন। ওই মেসেজের পরে, কপিল কুমার বলে পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করে গৌতমবাবুকে। হোয়াটসঅ্যাপে আসবাবপত্রের ছবিও পাঠায়। পুলিশ সুপারের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা না বলে গৌতমবাবু আসবাবের জন্য কৃষ্ণনগরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০,০০০ টাকা ‘ট্রান্সফার’ করেন। অভিযোগ, এরপরে, আসবাব পাঠানোর গাড়ির ‘সিকিওরিটি মানি’ হিসাবে ‘ফেরতযোগ্য ২১ হাজার টাকা চায় ‘প্রতারক’। গৌতমবাবু তাও দেন। তাঁর দাবি, এর পরে একটি গাড়ির ছবি পাঠিয়ে সেটিও কিনতে তাঁকে ‘প্ররোচিত’ করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ফোন করেন গৌতমবাবু। তারপরই প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।

    কী বললেন প্রতারিত শিক্ষক?

    প্রতারিত শিক্ষক গৌতমবাবু বলেন, সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানাই। সব শুনে এসপি জানান, এটা সাইবার অপরাধের ঘটনা। এর আগেও পুলিশ সুপারের নামে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে কথা না বলে টাকা দিতে গেলেন কেন? গৌতমের দাবি, কৃষ্ণনগরে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও পুরো টাকা আমি পাইনি। সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সাহায্য নেব ভেবেছিলাম।  তাই কোচবিহারের এসপির নাম করে পাঠানো মেসেজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলাম।

    কী বললেন কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার?

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, সাইবার অপরাধীরা দু’ভাবে প্রতারণা (Fraud) করার চেষ্টা করছে। এক, ভয় দেখিয়ে, দুই, লোভ দেখিয়ে। তাঁর বক্তব্য, আইনানুগ যা-যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নেওয়া হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আচমকা এমন কোনও প্রস্তাব পেলে, সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তা হলেই সব স্পষ্ট হবে।

    নদিয়ার পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগর পুলিশ-জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, সাইবার প্রতারণার অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়ছে। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নাগরিকদের সতর্ক করতে সচেতনতা প্রচার চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল দেখে হতবাক প্রতারিতরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে  বারাকপুর (Barrackpore) শহরে। এই ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে বলছি বলে সেন্টারের কর্মীকে বলা হয়, ২৭ জন জওয়ানের রক্ত পরীক্ষা হবে। শুক্রবার সকালে সেনা ছাউনিতে এসে তাদের রক্ত নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। গেট পাশের জন্য সেন্টারের দুই কর্মীর আধার কার্ড চাওয়া হয়। কথাবার্তা দেখে কোনও সন্দেহ না হওয়ায় বিশ্বাস করে দুই কর্মী তাঁদের আধার কার্ড দিয়ে দেন। রাত নটার দিকে ফের ফোন করা হয় ওই নম্বর থেকে। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগবে, তার হিসেব চাওয়া হয়। সেন্টারের পক্ষ থেকে হিসাব দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করার দুটি ফোন নম্বর চাওয়া হয়। সেই মতো সেন্টারের দুই কর্মী তাদের ফোন পে নম্বর দেন। সেই নম্বরে বেশ কিছুটা টাকাও পাঠায় প্রতারকরা। ঘণ্টা খানেক পর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকেই সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবে টাকা সাফ হতে দেখে হতবাক হয়ে যান প্রতারিতরা। এরপর তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    প্রতারিত হওয়া কর্মীর কী বক্তব্য?

    সংস্থার এক কর্মী শম্পা সাহা বলেন, ওরা যেভাবে কথা বলছিল, তাতে আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। তাছাড়া আমাদের অনলাইনে অ্যাকাউন্ট নেওয়ার পর সেখানে টাকা পাঠায়। আমাদের অনেকটাই বিশ্বাস জন্মেছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও হয়ে যাবে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা  লুট করে নিয়েছে প্রতারকরা।

    সংস্থার মালিক কী বললেন?

    ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার মানস দে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ২৩ বছরের পুরনো। বহু সেনাকর্মী আমাদের কাছে রক্ত পরীক্ষা করেন। এভাবে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছি না। শুধু আধার কার্ড দেওয়ার জন্য এভাবে টাকা লুট হয়ে যায়! ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে এসে বিপাকে, জেলাজুড়ে সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    South 24 Parganas: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে এসে বিপাকে, জেলাজুড়ে সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিতে এসে বেকায়দায় পড়ল যুবক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে বাঁচলো অভিযুক্ত যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের মহেশপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    উৎপল দাস নামে এক যুবক মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে গত ১ নভেম্বর কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আসে। নিয়োগপত্র দেখে প্রধান শিক্ষকের সন্দেহ হওয়ায় ২ নভেম্বর ফের আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার স্কুলে ওই যুবক এলে তাকে এসআই অফিসে নিয়ে যান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশপুর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শিবাশিস কর বলেন, ‘নিয়োগপত্র খতিয়ে দেখা যায়, সমস্তটাই ভুয়ো। কারণ, যে নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক এসেছিল, তাতে একদিকে যেমন বিদ্যালয় পরিদর্শকের সই নকল রয়েছে, তেমনি লেখার মধ্যেও একাধিক পার্থক্য রয়েছে।’ এরপরই ওই যুবক সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওই যুবকের বাড়ি পাথরপ্রতিমা ব্লকের হেরোম্ব গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর দক্ষিণ কাশিনগর এলাকায়। উল্লেখ্য, প্রাইমারি বোর্ডের চেয়ারম্যানের সই নকল করে মোটা টাকার বিনিময়ে জাল নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিচ্ছে বেকার ছেলেদের হাতে একদল অসাধু চক্র। আর সেই নিয়োগপত্র নিয়ে আশায় বুক বেঁধে বেকার চাকরি প্রার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পর বুঝতে পারছে, তারা কোনও চক্রে ফেঁসেছে। ইতিমধ্যে বাসন্তী, সোনারপুরে এই ঘটনা ঘটার পর এবার ঘটল পাথরপ্রতিমার মহেশপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত যুবকের বাবা মহিপতি দাস বলেন, আমরা এই বিষয়ে কিছু জানি না। ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।

    কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, এই প্রতারণা চক্রে কেউ পা দেবেন না, পা দিয়ে কেউ ঠকবেন না। ২০০৯ এর প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ১৮৩৪ জনের মধ্যে ১৫০৬ জনের নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। জেলার কোন কোন জায়গায় এই প্রতারণা চক্র কাজ করছে অবিলম্বে এসআইদের নির্দেশ দিয়েছি কঠোর হাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অরুণাভ দাস বলেন, এই প্রতারণা চক্র কীভাবে দিনের পর দিন চলছে? মোটা টাকার  বিনিময়ে এইভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিচ্ছে। এর মাথায় কে রয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: উত্তরকন্যায় প্রতারণাচক্রের হদিশ! চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার এক কর্মী

    Siliguri: উত্তরকন্যায় প্রতারণাচক্রের হদিশ! চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার এক কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) রয়েছে উত্তরবঙ্গের শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যা। আর সেখানেই প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল সেখানকারই এক নিরাপত্তাকর্মীকে। এই ঘটনায় জড়িত আরও এক নিরাপত্তাকর্মী পলাতক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ি জুড়ে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হল মইনুর রহমান ও বিষ্ণুপদ গুপ্ত। দু’জনেই শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরকন্যা সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। দু’জনেই উত্তরকন্যায় বেসরকারি সংস্থার অধীন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে। অভিযোগ, উত্তরকন্যায় কাজ করার সুযোগ নিয়ে শিক্ষত বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তরা। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে উত্তরকন্যা ফাঁড়ির পুলিশ। বুধবার উত্তরকন্যা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিষ্ণুপদকে। কয়েক বছর ধরে ওই দু’জন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করছে উত্তরকন্যায়। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির তিনজন যুবতীর কাছ থেকে মইনুল রহমান কিছু টাকা নেয় শিলিগুড়ি শহরে কোনও একটি নার্সিংহোমে চাকরির দেওয়ার নাম করে। টাকা নিতেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মইনুল। পরে, ফোন করে তিনজনকে অন্য এক নিরাপত্তারক্ষী বিষ্ণুপদ গুপ্তর সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করার কথা বলে মইনুল। তিন যুবতী সেখানে পৌঁছনোর পর বিষ্ণুপদ তাঁদের কাছে ফের টাকার দাবি করে ও বাড়ি চলে যেতে বলে। এতে যুবতীদের সন্দেহ হয়, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরবর্তীতে বিষয়টি উত্তরকন্যার আধিকারিকদের জানালে তাঁরা এনজেপি থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ বিষ্ণুপদকে গ্রেফতার করে। তবে, মূল অভিযুক্ত মইনুল পলাতক। তার খোঁজ করেছে পুলিশ।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতরা বলেন, ‘আমাদের বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি দেবে বলে একজন টাকা নেয়। তারপর উত্তরকন্যায় আরেকজনের কাছে পাঠায়। সেও টাকা দাবি করে। কিন্তু কোথায় ইন্টারভিউ হবে, তা জানায়নি। এতেই আমাদের সন্দেহ হয়। তখন আমরা পুলিশকে জানাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    Fraud: চাকরির হাহাকার রাজ্যে, ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়ে প্রতারিত শিক্ষিত যুবক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের হাতে এরাজ্যে কাজ নেই। আগে টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ধরে কিছুটা সরকারি চাকরি হলেও নিয়োগ-দুর্নীতি সামনে আসতেই এখন সরকারি নিয়োগও খুব কম হচ্ছে। ফলে, ভালো চাকরি পাওয়ার আশায় শিক্ষিত অনেক বেকার ছেলেমেয়ে খপ্পরে পড়ে প্রতারণার (Fraud) শিকার হচ্ছেন। শুধু সরকারি নয়, টাকার বিনিময়ে বেসরকারি চাকরি পেতেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিক্ষিত বেকার যুবকরা। এরকমই একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এক যুবকের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকায়। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম সুদীপ ভট্টাচার্য। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার ২ নম্বর শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে তাঁর বাড়ি। বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। পরের দিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। তারপর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় ওই বেকার যুবক প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা এবং পরিচিতদের কাছ থেকে ধারদেনা করে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেন। কিন্তু, চাকরি হয়নি। উল্টে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাওয়ায় সন্দেহ হয় অর্ঘ্যের। প্রতারিত (Fraud) হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারা করতে সাইবার থানা থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেয়। অভিযুক্তদের ফোন নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। ব্যাঙ্কের নথি দেখে সেটি সুদীপের বলে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪ দফায় টাকা জমা পড়ার নমুনা পান তদন্তকারীরা। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এর পিছনে বড় প্রতারণা (Fraud) চক্র কাজ করছে। এর সঙ্গে অনেকেই রয়েছে। কারণ, এতবড় চক্র একজনের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। টাকা কার কার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা একজনকে ধরতে পেরেছি। ৬ দিনে হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রের সঙ্গে যারা রয়েছে তাদের সকলকে ধরা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চড়া সুদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ডের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত তমলুকবাসী

    Fraud: চড়া সুদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ডের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত তমলুকবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির পরেও হুঁশ এখনও ফিরল না। আবারও সর্বস্বান্ত হল কয়েকশো আমানতকারী। এর আগে একাধিক চিটফান্ডে টাকা রেখে অতীতে সব খুইয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। এ বার ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল তমলুকে। তমলুকে কয়েক কোটি টাকার বেশি তুলে ঝাঁপ বন্ধ করে উধাও চিটফান্ড সংস্থা। এর জেরে সব খোয়ালেন কয়েকশো আমানতকারী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    চার বছর আগে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রামতারকহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল। মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকার বিনিময়ে সেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’ নামে চিটফান্ড অফিস। ১০ বছরের জন্য ১১ শতাংশ সুদের টোপ দিয়ে তমলুক এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। চিটফান্ড অফিস তৈরির নেপথ্যে সিপিএমের কয়েকজন নেতা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তরক বাজার, কাঁকটিয়া বাজার, মেচেদা, সহ বিভিন্ন হাটে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল এই চিটফান্ড ব্যবসা। স্থানীয় অনেক দোকানদার টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ টাকা রেখেছিলেন। তাঁরাও প্রতারিত হয়েছেন। মাস কয়েক আগে সংস্থার অফিসে ঝাঁপ বন্ধ করে কর্মকর্তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। অফিসে এখনও তালা ঝুলছে। এরপর প্রতারিত আমানতকারীদের অনেকেই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ তুলে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    কী বললেন রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক?

    এ বিষয়ে রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ ধাড়া বলেছেন, এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া। আমরা অফিসের দখল নেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওই চিটফান্ড অফিস বন্ধ হওয়ার পর তার ম্যানেজার অসীম খাটুয়ার বাড়িতে হামলা চালান প্রতারিত (Fraud) আমানতকারীরা। আতঙ্কে এলাকাছাড়া হতে হয় ম্যানেজারকে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    যদিও এই চিটফান্ডের সঙ্গে সিপিএমের নাম জোড়ানোর নিয়ে মেদিনীপুর জেলা সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেছেন, সিপিএমকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নাম আনা হচ্ছে। সিপিএমের সঙ্গে চিটফান্ডের কোনও সম্পর্ক নেই, যদি থাকে তাহলে আইনের পরামর্শ কেন এতদিন নেওয়া হয়নি?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share