Tag: Fraud

Fraud

  • Fraud: ডানকুনিতে বসে বিদেশিদের অ্যাকাউন্ট সাফ, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে শ্রীঘরে ৮

    Fraud: ডানকুনিতে বসে বিদেশিদের অ্যাকাউন্ট সাফ, কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে শ্রীঘরে ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডানকুনি থানার চাকুন্দির আমার বাংলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের একটি গোডাউনে চলতো আন্তর্জাতিক প্রতারণা (Fraud) চক্র। শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করে চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা। অভিযুক্তরা “ম্যাক্সটেকনো” নামে একটি কোম্পানির কল সেন্টার থেকে বিদেশে ও ভারতে প্রতারণার গোপন ব্যবসা চালাচ্ছিল। মাস দুয়েক ধরে গোডাউন ভাড়া নিয়ে এই চক্র চলছিল। ধৃতদের নাম সিরিপুরম কামেশ্বর রাও (৩৫), রাহুল কুমার শা, সিরিপুরম লক্ষ্মী নারায়ণ আচারি, বাপি দাস, সামির হোসেন, এমডি জাভেদ আলম, এমডি ফয়জান আলম ওরফে জন্টি ও এমডি মোস্তফা। তাদের বাড়ি কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া এলাকায়।

    কীভাবে প্রতারণা করত?

    বিদেশি প্রবীণ নাগরিকরাই মূলত টার্গেট ছিল এই চক্রের। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডার মতো দেশের নাগরিকদের টার্গেট করা হতো। লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য আমাজনের মত নামী কোম্পানির প্রতিনিধি হিসাবে পরিচয় দিয়ে ফোন করতো। বুকিং বাতিল হয়েছে। ফের বুকিং করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাতো। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিদেশি নাগরিকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যেতো। জামতাড়া গ্যাংয়ের মতো তারা প্রতারণা চক্র খুলে বসেছিল। ডানকুনি থেকে দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতারকদের এজেন্ট রয়েছে। কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে যা জানা গেছে, কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণা (Fraud) করেছে এই চক্র। আমাজনের মত অনলাইন বিপণীর ফেক ইমেল থেকে লোভনীয় অফার দেওয়া হতো। সেই ফাঁদে পা দিয়ে মেলে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করলেই বিদেশিদের মোবাইল ও ব্যাঙ্ক একাউন্ট হ্যাক করে ডলার হাতিয়ে নিতো প্রতারকরা। এরজন্য এনি ডেস্কের বা টিম ভিউয়ার অ্যাপ ব্যবহার করতো প্রতারকরা। গোডাউনে তল্লাশির সময় একাধিক কম্পিউটার, মোবাইল, হিয়ারিং ইকুইপমেন্টস, পেন ড্রাইভ, অসংখ্য ডেবিট, ক্রেডিট ও প্যান কার্ড পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    চন্দননগর কমিশনারেটের তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ডানকুনি থেকে বিদেশে অনলাইনে প্রতারণা (Fraud) চালাতো অভিযুক্তরা। ভারতে রাত আর পশ্চিিমী দেশগুলোতে তখন দিন। সেই সময়টাকে বেছে নিয়ে কাজ করতো প্রতারকরা। ডানকুনির ভাড়া নেওয়া গোডাউনে রাত আটটা নাগাদ ঢুকতো গাড়ি নিয়ে। ভোর চারটে পর্যন্ত কাজ করে বেরিয়ে যেতো।

    কীভাবে ধরা পরল?

    সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে চাকুন্দির ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে একটি গোডাউন ভাড়া নিয়েছে কয়েকজন যুবক। তারা দিনে আসে না, মূলত রাতে গাড়ি নিয়ে ঢোকে। দিনের আলো ফোটার আগে বেরিয়ে যায়। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তারা কম্পিউটার রিপিয়ারিং এর কাজ করে বলে ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু, রাতে কেন সেই কাজ সন্দেহ হয় পুলিশের। গোপনে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়। যুবকদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়। এরপরই চাকুন্দির গোডাউনে হানা দেয় পুলিশ। প্রতারকদের কান্ডকারখানায় হতবাক দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ATM: এটিএমে না ভরে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় এটিএমে (ATM) প্রতারণা করে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা এলাকায়। বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারিত হয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই প্রতারণার যে মাস্টারমাইন্ড সে এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কীভাবে এটিএম (ATM) থেকে টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা?

    একদিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়াসহ একাধিক জায়গায় ২২টি এটিএমে কয়েক কোটি টাকা ভরার কথা ছিল। একটি সংস্থাকে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। এই সংস্থার কর্মী হিসেবে দীপঙ্কর মোদক, সঞ্জীব পাত্ররা এটিএমে (ATM) টাকা ভরার কাজ করছিল। নিয়ম মেনে তারা ১১টি এটিএমে টাকা ভরেছিল। বাকি ১১টি এটিএমে তারা আর টাকা ভরেনি বলে অভিযোগ। এমনকী এটিএমের টাকা ভরার জন্য যে টাকা বরাদ্দ ছিল সবটাই তারা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকার তারা হদিশ পাচ্ছিল না। ২ মে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে আসে। দীপঙ্করের মাধ্যমেই এটিএমগুলিতে টাকা ভরার কথা ছিল। ফলে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দীপঙ্করের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, ৩ মে থেকে দীপঙ্কর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ। পরিবারের লোকজনও তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তবে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দীপঙ্করের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহ হয়। দীপঙ্করসহ কয়েকজনের নামে ৫ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সন্তু দত্ত, সঞ্জিত সরকার এবং সঞ্জিত পাত্র। এদের মধ্যে সঞ্জিত পাত্র এটিএম (ATM) এ টাকা ভরার সংস্থায় কাজ করত। বাকিরা তার বন্ধু। মূল অভিযুক্ত দীপঙ্কর এখনো অধরা। প্রত্যেকের বাড়ি মাহেশে। বন্ধুরা অপরাধ সংগঠিত করতে সাহায্য করেছিল।

    কী বললেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার?

    চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, এটিএমে (ATM) টাকা ভরার পরিবর্তে অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছিল। ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় আমরা অভিযোগ পাই। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করি। তাদের কাছে থেকে ৬০ লক্ষ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকার খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনায় আরও একজন জড়িত রয়েছে। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • IPL Ticket: আইপিএল-এর টিকিট জাল করার অভিযোগে ধৃত নদিয়ার তৃণমূল নেতা

    IPL Ticket: আইপিএল-এর টিকিট জাল করার অভিযোগে ধৃত নদিয়ার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার আইপিএলের টিকিট (IPL Ticket) জাল করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর এই টিকিট জাল করেই সে লক্ষাধিক টাকা কামিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতার ময়দান থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা অভিযান চালিয়ে ওই তৃণমূলের ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিক্রম সাহা। তার বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর এলাকায়। তাহেরপুর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ২৩ এপ্রিল ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা ছিল, যা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল শহরবাসীর মধ্যে। ইডেনে আইপিএলের টিকিট (IPL Ticket) নিয়ে হাহাকার তৈরি হয়। মাঠে বল গড়ানোর আগেই শেষ হয়ে যায় একের পর এক ম্যাচের টিকিট। ওই ম্যাচে টিকিটের (IPL Ticket) চাহিদা ছিল তুঙ্গে। আবার ম্যাচের অনলাইন টিকিট কাটতেও সমস্যা হচ্ছিল। সেই সুযোগে আইপিএল টিকিটের (IPL Ticket) মতো হুবহু নকল টিকিট তৈরি করে মোটা টাকায় বিক্রম তা বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। শুধু টিকিট বিক্রি করেই তিনি লক্ষাধিক টাকা কামিয়েছেন। টিকিট নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে জাল টিকিটের বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রতারিত হয়ে অনেকে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে তাঁকে পাকড়াও করে।

    কে এই বিক্রম?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্রম তাহেরপুর শহর টিএমসিপি-র প্রাক্তন সভাপতি। পরে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বর্তমানে কোনও পদে না থাকলেও দল ছাড়েননি তিনি। এলাকায় তিনি তৃণমূলের ছাত্র নেতা হিসেবেই পরিচিত। এই বিষয়ে তৃণমূলের রানাঘাট জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইন আইনের পথে চলবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র স্থানীয় নেতা অমলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এর-ওর কাছে তৃণমূলের ওই ছাত্র নেতা টাকা নিলেও তা ফেরত দিত না। এক সময় সে ফ্লেক্স তৈরির ব্যবসা করত। আগাম টাকা নিয়েও নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লেক্স সে দিতে পারত না। প্রতারণা করার বিষয়টি অনেক আগেই সে শিখেছিল। তাই, ওর নামে এতবড় অভিযোগ শুনে আমি অবাক হয়নি।’’ বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘বালি, কয়লার পর এখন টিকিটও (IPL Ticket) চুরি করছে তৃণমূল। আর কী বাকি থাকল। এই দলটা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তা এই সব নেতাদের দেখলেই বোঝা যায়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    Fraud: ৫জি টাওয়ার বসানোর টোপ দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকার প্রতারণা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ৫ জি টাওয়ার বসানোর জন্য কারও কাছে মোবাইলে ফোন আসলে, ধরবেন না। কারণ, রাজ্য জুড়ে একটি প্রতারণাচক্র (Fraud) সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আর তারা ফোন করে ৫  জি টাওয়ার বসানোর জন্য মোটা টাকার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্র (Fraud) । বারাকপুর মহকুমায় নোয়াপাড়া থানা এলাকার এক ব্যক্তি এই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে কার্যত সর্বসান্ত হয়েছে। প্রতারকরা তার বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানোর লোভ দেখিয়ে কয়েক দফায় ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রতারিত হওয়ার পর তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ এই চক্রে (Fraud)  জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুদীপ বিশ্বাস, সুজন ঘোষ, সঞ্জয় বালা, তপন মণ্ডল এবং মহিতোষ কুণ্ডু। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

     কীভাবে প্রতারণা করল অভিযুক্তরা? Fraud

     কয়েকদিন আগেই নোয়াপাড়ার ওই ব্যক্তির কাছে একজন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করেন। তাঁর বাড়িতে ৫ জি টাওয়ার বসানো হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। শুধু বাড়ির ওই জায়গা দেওয়ার জন্য তাঁকে এককালীন ২৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতিমাসে ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। তবে, বিষয়টি অন্য কাউকে না জানানোর কথা বলা হয়। পরে, তাঁর বাড়ির ছবি, দলিল সব কিছু চাওয়া হয়। পরে, ওই ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কয়েকদিন এই সব কাজ করার পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, ওই ব্যক্তির চাহিদা রয়েছে কি না দেখা হয়। মোটা টাকার হাতছাড়া হয়ে যাবে ভেবে ফের ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। কিন্তু, তখনও কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা হয়। এরকমভাবে আরও কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর আচমকা ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, আপনার কাগজপত্র দেখে অফিস আপনার বাড়িতে টাওয়ার বসানোর আগ্রহ দেখিয়েছে।  এরপর শুরু হয় আসল খেলা। অফিসের অ্যাকাউন্টের নামে একটি ড্যামি অ্যাকাউন্ট পাঠানো হয়। সেই অ্যাকাউন্টে প্রথমে দেড় লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। ২৫ লক্ষ টাকা হাতছাড়়া হয়ে যাবে ভেবে ওই ব্যক্তি এক কথায় দেড় লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে, প্রতারকদের (Fraud) কথার জালে ফেঁসে ওই ব্যক্তি কয়েক দফায় সব মিলিয়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন।  আর ড্যামি অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হত। পরে, টাওয়ার না বসায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন প্রতারিত(Fraud)  হয়েছেন। এরপরই তিনি থানার দ্বারস্থ হন।

    প্রতারকদের কোন এলাকা থেকে ধরল পুলিশ? Fraud

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়েই প্রতারকদের (Fraud)  জাল ছড়িয়ে রয়েছে। বাগদা থেকে বিষয়টি অপারেট হচ্ছে। আর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় তাদের এজেন্ট রয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রথমে জগদ্দল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, বারাসত, বাগদা এবং গাইঘাটা থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সঞ্জয় বালা এই অপরাধের মাস্টার মাইন্ড।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।    

    বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।  

    আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    এক আধিকারিকের মতে, “এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আধিকারিক আরও জানান, “এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।”

    প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।   

      

     

LinkedIn
Share