Tag: fta

fta

  • FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    FTA: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করল ভারত-ব্রিটেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) সই করল ভারত ও ব্রিটেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের মধ্যে টেলিফোনে কথোপকথনের পরেই এই পদক্ষেপ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “এই চুক্তি আমাদের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং আমাদের উভয় অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনকে অনুঘটক করবে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (FTA)

    তিনি আরও লেখেন, “আমি আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে কথা বলতে পেরে আনন্দিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ভারত এবং ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে দু’দেশের অবদান অনস্বীকার্য। এই যুগান্তকারী চুক্তি আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে এবং উভয় দেশের অর্থনীতিতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান বাড়াবে। আমি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তাঁকে স্বাগত জানাতে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

    খুশির খবর

    সংবাদ সংস্থা আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ২০৪৭’ সম্মেলনের মঞ্চে যোগ দিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ ভারতের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন। এখানে আসার কিছু আগেই আমার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এটা আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি হচ্ছি যে, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দুটি বড় এবং খোলা বাজারের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগিতার এই সমঝোতা দুই দেশের বিকাশে নতুন অধ্যায় জুড়বে। এটা আমাদের দেশের যুবকদের জন্য খুব বড় একটা খুশির খবর। এতে ভারতের আর্থিক কার্যকলাপ উজ্জীবিত হবে (PM Modi)।”

    সরকারের তরফে বিবৃতি

    সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী স্টার্মার বলেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনীতির সঙ্গে জোট জোরদার করা এবং বাণিজ্য বাধা হ্রাস করা তাদের পরিকল্পনার অংশ, যাতে একটি শক্তিশালী ও আরও নিরাপদ অর্থনীতি দেওয়া যায়। একটি সুষম, ন্যায়সঙ্গত ও উচ্চাভিলাষী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, যা পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করবে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে, কর্মসংস্থানের নয়া সুযোগ তৈরি করবে, জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে এবং দুই দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক কল্যাণ উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবার উন্নয়নে দুই দেশে নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে।’ প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের (FTA) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের আমল থেকেই দুই দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চালু করতে কাজ করে আসছে।

    চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু

    ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। গত শুক্রবার লন্ডনে এ বিষয়ে বৈঠক করেন দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীরা। কয়েকদিনের মধ্যেই বাস্তবে পরিণত হল এই চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটাই ব্রিটেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য (PM Modi)। ব্রিটেনে বসবাস করেন কমপক্ষে ১৯ লাখ ভারতীয়। বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও উন্নত হবে। বস্ত্র, সমুদ্রজাত পণ্য, লেদার, জুতো, রত্ন ও অলঙ্কার, খেলার সরঞ্জাম ও খেলনা রফতানিতে সুবিধা পাবে ভারত। আইটি, শিক্ষা ও আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিও এই চুক্তিতে উপকৃত হবে।

    ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে ভারতের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাবে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। অটোমোবাইল, অ্যালকোহল-সহ বহু পণ্যে শুল্ক কমবে। হিসেব বলছে, চুক্তি চালু হলে শুল্ক বাবদ ৪০ কোটি পাউন্ড ছাড় দেবে ভারত। একই সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাসকারী অস্থায়ী ভারতীয় কর্মীদের তিন বছর সামাজিক সুরক্ষার জন্য (FTA) কোনও টাকা দিতে হবে না। দুই দেশের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সিআইআই প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব পুরী। তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য দুই দেশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রত্যেক অংশীদারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করব।” তিনি বলেন, “২০৩০ রোডম্যাপের নির্দেশনায় এই সময়োপযোগী চুক্তি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার দিকে পরিচালিত করবে।” ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মণ্ডলী (ফিকি)র দাবি, শ্রম-নিবিড় খাতসমূহ যেমন টেক্সটাইল, সমুদ্রজাত পণ্য, চামড়া, ফুটওয়্যার, ক্রীড়া সামগ্রী, খেলনা এবং রত্ন ও অলঙ্কারের জন্য বৃহৎ রফতানি সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বলছেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা

    বহু প্রতীক্ষিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় খুশি দুই দেশই। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী জনাথন রেনল্ডস বলেন, “অনিশ্চয়তার এই সময়ে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য নিয়ে এমন বাস্তববাদী পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “দুই বৃহত্তর অর্থনীতির মধ্যে সম পরিমাণ বাণিজ্যের ভিত তৈরি করবে এই চুক্তি।”

    প্রসঙ্গত, ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ভারত এখন ব্রিটেনের আমদানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের ওপর শুল্ক হ্রাস করবে, যার মধ্যে ৮৫ শতাংশ পণ্য পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত হয়ে যাবে। আর ভারত ব্রিটেন থেকে আমদানিকৃত হুইস্কি এবং জিনের শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে ৭৫ শতাংশে নামিয়ে আনবে (PM Modi) এবং কোটা ব্যবস্থার অধীনে গাড়ি শুল্ক ১০ শতাংশে হ্রাস করবে (FTA)।

     

  • India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    India UK Relation: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী, উঠবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি প্রসঙ্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনের ভারত সফরে এলেন ইংল্যান্ডের (India UK Relation) বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। বুধবার নয়াদিল্লিতে পৌঁছন তিনি। সদ্যই ইংল্যান্ডের ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। তার পর (Free Trade Agreement) থেকে ল্যামিই প্রথম পদস্থ কর্তা, যিনি রাজার দেশ থেকে এলেন ভারত সফরে। প্রসঙ্গত, টানা ১৪ বছর ব্রিটেনের ক্ষমতায় ছিল কনজারভেটিভ পার্টি। সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে তাদের পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হন কিয়ের স্টার্মার।

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (India UK Relation)

    জানা গিয়েছে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন ল্যামি। পরে তিনি যাবেন লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে, এশিয়ান (ASEAN) বিদেশমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে। লাওসের এই সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও। এদিন নয়াদিল্লিতে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। জানা গিয়েছে, জয়শঙ্কর-ল্যামি বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে। ভারত-ব্রিটেনের মধ্যে সর্বাত্মক কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর।

    মোদি-স্টার্মার আলোচনা

    ব্রিটেনের নির্বাচনে জয়ের জন্য স্টার্মারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের (India UK Relation) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে স্টার্মারও কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। টেলিফোনিক ওই আলোচনায় দুই রাষ্ট্রনেতাই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে রূপায়ণ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার ফোনে মোদিকে জানিয়েছিলেন, যেটা দু’তরফের পক্ষেই মঙ্গলদায়ক হবে (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি), সেটা বাস্তবায়িত করতে তিনি এক পায়ে খাড়া।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ‘স্বস্তিক’ ও নাৎসিদের ‘হুকড ক্রস’-এ রয়েছে বড় ফারাক, বলল আমেরিকা

    জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি-সহ নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচেষ্টাকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ব্রিটিশ সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতি থেকেই জানা গিয়েছে স্টার্মার-মোদির টেলিফোনিক আলোচনার নির্যাস। প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, জটিল এবং নয়া উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মায় জয়বায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও গভীর সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    উল্লেখ্য, গত জুনে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের আগে আগে ল্যামি জোর দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) চূড়ান্ত করার ওপর (India UK Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • FTA: স্বাক্ষরিত হল আরও একটি এফটিএ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    FTA: স্বাক্ষরিত হল আরও একটি এফটিএ, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার স্বাক্ষরিত হল আরও একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA)। ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোশিয়েশনের সঙ্গে ভারতের ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

    কী বললেন পীযূষ গোয়েল?

    চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর মন্ত্রী বলেন, “ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোশিয়েশন ভারতে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জেরে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এই পরিমাণ বিনিয়োগ তারা করবে।” মন্ত্রী বলেন, এটি (FTA) একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ট্রেড অ্যান্ড ইকনোমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর আগামী ১৫ বছর কঠোর শ্রম, প্রচণ্ড শক্তি এবং প্রচেষ্টার একটা মাইল ফলক হয়ে থাকবে (FTA)।”

    এফটিএ 

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে বসেই মরিশাস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনও। এই অ্যাসোসিয়েশনে রয়েছে আইসল্যান্ড, নরওয়ে, লিচেনস্টাইন এবং সুইজারল্যান্ড। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে বিশ্বের ৯৪টি দেশ। শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভুটান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, জাপান এবং আশিয়ান গোষ্ঠীর সঙ্গেও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে ভারত। ব্রিটেন, ওমান, পেরু, ইজরায়েল এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা নিয়ে কথাবার্তা চলছে নয়াদিল্লির। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বিশ্বের ১২০টিরও বেশি দেশ বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতকেই অগ্রাধিকার দেবে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলা হল নুসরতকে

    ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ফেডারেল কাউন্সিলর গাই পার্মেলিন বলেন, “এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে এই অ্যাসোসিয়েশন থেকে ভারত এবার প্রচুর লগ্নি টানতে পারবে। স্বাভাবিকভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আমাদের অ্যাসোসিয়েসন ও ভারত দু’ তরফই লাভবান হবে।”

    এদিনের চুক্তিতে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “ভারত এবং ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত বৈচিত্র্য থাকলেও, আমাদের অর্থনীতি বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছেই উইন-উইন পরিস্থিতির প্রতিশ্রুতি প্রদান করে (FTA)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    Rishi Sunak: ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পথে ব্রিটেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতি শক্তপোক্ত করতে ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (FTA) ওপর জোর দিলেন ব্রিটেনের (Britain) নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে দু দেশের মধ্যে বৈঠক হয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। তার পর একাধিকবার বৈঠক হয়েছে দু দেশের মধ্যে। ঠিক ছিল, দীপাবলির আগেই ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ স্বাক্ষর করবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে। তবে দীপাবলির ঠিক আগে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে ব্রিটেনের টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায় চুক্তি স্বাক্ষর।

    ঋষি উবাচ…

    সম্প্রতি লন্ডনের গিল্ডহলে লর্ড মেয়রস বাঙ্কোয়েটে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক গ্লোবাল গ্রোথের অর্ধেকটা সরবরাহ করবে। আর ইউরোপ এবং আমেরিকা মিলিয়ে ভর্তি করবে মাত্র কোয়ার্টার। তিনি বলেন, সেই কারণে আমরা ট্রান্স-প্যাসিফিক ট্রেড ডিলে যোগ দিতে চাইছি। এর পরেই ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে নয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছি। একই কাজ করতে চলেছি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। ব্রিটেনের সঙ্গে চিনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা আপাতত অতীত বলেও জানান ঋষি সুনক। চিন যেহেতু ব্রিটেনের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে ক্রমেই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, তাই ব্রিটেন চিনের দিক থেকে সরে আসবে বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মনে করেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, চিনে ক্রমেই লঙ্খিত হচ্ছে মানবাধিকার। এর পরেই ঋষি সুনক বলেন, এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে চিনের সঙ্গে ব্রিটেনের যে সুবর্ণ যুগ ছিল, তা এখন অতীত। আমাদের নয়া ধারণা হল, বাণিজ্য দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কার। তিনি বলেন, চিন ক্রমেই আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

    ব্রিটেন যে ইউক্রেনের পক্ষে, এদিন তা আরও একবার জানিয়ে দিলেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী (Rishi Sunak)। তিনি বলেন, ব্রিটেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে রয়েছে। চিনে লকডাউন নিয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন ঋষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    PM Modi: ঋষিকে শুভেচ্ছা ফোন, মুক্ত বাণিজ্য নিয়েও বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (Britain) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর! বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককে (Rishi Sunak) ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুজনের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। কথা হয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়েও।

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করায় ওই পদে বসেন ঋষি। তামাম ভারত যেদিন দীপাবলি উৎসবে মাতোয়ারা, সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষির নাম ঘোষণা করে তার দল কনজারভেটিভ পার্টি। এর পর বৃহস্পতিবার মোদি ফোন করেন ঋষিকে। জানা গিয়েছে, প্রথমে ঋষিকে শুভেচ্ছা জানানোর পর ‘কাজের কথায়’ চলে যান মোদি। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দু দেশের একটা সিদ্ধান্তে আসা যে প্রয়োজন, তাও ঋষিকে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দীপাবলির মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশা করেছিল ভারত। কিন্তু গত প্রায় দু মাস ধরে ব্রিটেনের ঘটনাপ্রবাহের জেরে স্বাক্ষরিত হয়নি সেই চুক্তি।

    আরও পড়ুন: মোদি দেশপ্রেমিক, ওঁর নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, জানালেন পুতিন

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে ট্যুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট- বার্তায় তিনি লেখেন, আজ ঋষি সুনকের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুব খুশি। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। দু দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপারে যে দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন, তা নিয়েও আমরা একমত হয়েছি।

    পাল্টা ট্যুইট করেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীও। তাঁর নয়া ভূমিকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদিকে। ট্যুইট বার্তায় সুনক লিখেছেন, ভারত এবং ব্রিটেন অনেক কিছুই শেয়ার করে। আমি উত্তেজিত এই ভেবে যে দুটি মহান গণতন্ত্র সব কিছু পেতে পারে যদি আমরা নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে পারি মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর ধরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PM Modi: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    PM Modi: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসেই ব্রিটেন (UK) যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। স্বাক্ষর করতে পারেন দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (Free Trade Agreement)। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই দু পক্ষে পাঁচ বার কথা হয়েছে। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারাই জানিয়েছেন বিষয়টি তাঁরা সমাধান করতে চান দীপাবলির মধ্যেই।

    ক্রমেই বিশ্ব নেতাদের মধ্যে উজ্জ্বল মুখ হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘এটা যুদ্ধের সময় নয়’ বলে গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। প্রথমে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ এবং পরে আমেরিকা ও ব্রিটেনের তরফেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। এহেন আবহেই অক্টোবর মাসে মোদি লন্ডন সফরে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।

    অক্টোবর মাসের ২৪ তারিখে পালিত হবে দীপাবলি উৎসব। ভারত এবং ব্রিটেন দুই দেশই আত্মবিশ্বাসী ২৪ অক্টোবরের মধ্যেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। তবে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও, চুক্তিতে সই করবেন না তাঁরা। তাঁদের উপস্থিতিতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কবে মোদি ব্রিটেন যাবেন, কবেই বা চুক্তি সই হবে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তবে দুই দেশের তরফে এখনও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে ইমেল পাঠিয়েও কোনও উত্তর মেলেনি বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    জানা গিয়েছে, এখনও যেসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল অটোমোবাইল এবং মাইগ্রেশান। বিট্রেনের তরফে মাইগ্রেশন নিয়ে নানা শর্ত দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ব্রিটেনের চুক্তিতে যে শর্ত ছিল, সেই শর্তই দেওয়া হয়েছে ভারতকেও। তবে ভারতের তরফে এখনও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও দু পক্ষই আশাবাদী চুক্তি স্বাক্ষর হবে দীপাবলির মধ্যেই। বাণিজ্য সচিব বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, আমরা ট্র্যাকে রয়েছি। দেওয়ালিই ডেডলাইন। মিস হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share