Tag: GDP

GDP

  • Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    Private consumption: ব্যক্তিগত খরচ জিডিপি-র বড় চালিকাশক্তি, জানাল অর্থমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত কেনাকাটার ক্ষমতা গত কয়েক দশকের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Private consumption)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত খরচ এখন ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। গত দু’দশকে এত উচ্চ হারে বৃদ্ধি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী বলছে অর্থমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট (Private consumption)

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ব্যক্তিগত ক্রয়ক্ষমতা ভারতের জিডিপির ৬১.৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে। এর আগের অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬০.২ শতাংশ। অর্থাৎ, খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে প্রায় ১.২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যক্তিগত খরচের অংশগ্রহণ (Private consumption)।

    কী বলছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা?

    অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৃদ্ধি (GDP) প্রমাণ করে যে ভারতীয়দের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গ্রামীণ ও শহর—উভয় ক্ষেত্রেই খরচ করার প্রবণতা বাড়ছে। গত ২০ বছরে এই হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হওয়ায় সরকারের অর্থনৈতিক নীতির ইতিবাচক প্রভাব (Private consumption) স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিনিয়োগেও বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে (GDP)

    শুধু খরচই নয়, বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.১ শতাংশ-এ পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে শিল্প এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বেড়েছে রফতানি, কমেছে আমদানি

    অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে— ভারতের বহির্বাণিজ্যে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.৩ শতাংশ হারে, যা বৈদেশিক আয়ের দিক থেকে একটি ইতিবাচক দিক। অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আমদানি কমেছে ৩.৭ শতাংশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বাণিজ্য ঘাটতিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    GDP: আগামী ৫ বছরে ৬.৪ শতাংশ হারে বাড়বে ভারতের জিডিপি, জানাল ফিচ রেটিংস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিখ্যাত মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে যে আগামী পাঁচ বছরে ভারত -এর সম্ভাব্য জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার ৬.২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬.৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ। ফিচ জানিয়েছে, সংশোধিত অনুমান অনুযায়ী ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধিতে প্রধান অবদান রাখছে শ্রমশক্তি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও ভারতের জিডিপি নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছে।

    ভারতে বাড়বে জিডিপি বৃদ্ধির হার

    ফিচ রেটিংস-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের অনুমান অনুযায়ী, ভারতের প্রবণতাগত প্রবৃদ্ধি এখন ৬.৪ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী ৬.২ শতাংশের তুলনায় সামান্য বেশি। আমরা মনে করি সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় টোটাল ফ্যাক্টর প্রোডাক্টিভিটি (TFP) প্রবৃদ্ধি ধীর হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী গড় ১.৫ শতাংশে ফিরে আসবে।” অন্যদিকে, সংস্থাটি চিনের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ০.৩ শতাংশ কমিয়ে ৪.৬ শতাংশ থেকে ৪.৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং আগামী দিনেও তা বাড়বে। তবে এর গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। ফিচ রেটিংসের ডিরেক্টর রবার্ট সিয়েরা জানান, “আমাদের সাম্প্রতিক কালে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর গড় সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি এখন ৩.৯ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত ৪ শতাংশের চেয়ে সামান্য কম। এর প্রধান কারণ চিনের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা।”

    ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) গত মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি এবং আগামী দুই বছরে একমাত্র দেশ হিসেবে ৬ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

    নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

    অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

    তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

    ভারত শীর্ষে

    প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

    প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

    প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

    দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

  • India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    India’s GDP: জিডিপি বৃদ্ধি ১০ বছরে দ্বিগুণ! জাপান-জার্মানিকে শীঘ্রই ছাপিয়ে যাবে ভারতের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আর্থিক বৃদ্ধির হারে নতুন মাইলফলক ছুঁল ভারত। ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (India’s GDP)। ২০১৫ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২.১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে সেটাই বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপির সূচক। বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে এ এক অভূতপূর্ব উদাহারণ দাবি, অর্থনীতিবিদদের।

    সাফল্যের খতিয়ান

    ভারতীয় অর্থনীতি গত এক দশকে এক অভূতপূর্ব সাফল্যের গল্প রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (IMF)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, গত ১০ বছরে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারতের জিডিপি ছিল ২.১ লক্ষ কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে বেড়ে ৪.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ১০৫ শতাংশ, যা আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এই অসাধারণ প্রবৃদ্ধির ফলে ভারত বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে নিজের স্থান আরও মজবুত করেছে।

    আমেরিকা-চিনকে তুলনামূলক টেক্কা

    আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকার জিডিপি ১৮.৩ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। অন্যদিকে, চিনের জিডিপি ১১.১ লক্ষ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলার হবে, যা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধির হার দেখায়। এই দুই অর্থনৈতিক মহাশক্তির তুলনায় ভারতের ১০৫ শতাংশ বৃদ্ধি স্পষ্টতই একটি বড় অর্জন। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, ভারত (India’s GDP) শুধু নিজের অর্থনীতির আকার বাড়িয়েছে তাই নয়, বরং বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলোর তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়েছে।

    চিনের কাছে বড় ধাক্কা

    আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের মুদ্রাস্ফীতি সমন্বিত তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে ভারতের জিডিপি (India’s GDP) ৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুনিয়ার সেরা পাঁচটি অর্থনৈতিক দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই দেশ। এই গতি বজায় থাকলে চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে জাপানকে ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে ২০২৭ সালে ভারতের কাছে হার মানবে জার্মানি। এই একই সময়ে চিনের জিডিপি ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে ড্রাগনের অর্থনীতি ছিল ১১.২ লক্ষ কোটি ডলারের। এ বছরে সেটা বেড়ে ১৯.৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি শুরু হলে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বেজিংয়ের আর্থিক বৃদ্ধির সূচক। একটা সময়ে অবশ্য জিডিপির নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মান্দারিনভাষীদের দেশটি ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই অনুমান বাস্তবায়িত হয়নি।

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি

    বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে আমেরিকা। ২০১৫ সালে ২৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি। এ বছর সেটাই বেড়ে ৩০.৩ লক্ষ কোটি ডলার হয়েছে। অর্থাৎ, গত ১০ বছরে ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে মার্কিন অর্থনীতি।

    অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থান

    আইএমএফ-এর রিপোর্টে বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির তুলনাও দেওয়া হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, জার্মানির জিডিপি ২০১৫ সালে ৩.৪ লক্ষ কোটি ডলার থেকে ২০২৫ সালে ৪.৯ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছবে, যা ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি। জাপানের জিডিপি ৪.৪ লক্ষ কোটি ডলারে স্থির থাকবে, অর্থাৎ গত ১০ বছরে কোনও বৃদ্ধি ঘটেনি। ব্রিটেনের জিডিপি ২.৯ লক্ষ কোটি থেকে ৩.৭ লক্ষ কোটি ডলারে উন্নীত হবে (২৮% বৃদ্ধি), ফ্রান্সের জিডিপি ২.৪ থেকে ৩.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৩৮% বৃদ্ধি), এবং ইটালির জিডিপি ১.৮ থেকে ২.৫ লক্ষ কোটি ডলার (৩৯% বৃদ্ধি) হবে। এছাড়াও, কানাডার জিডিপি ১.৬ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (৪৪% বৃদ্ধি), ব্রাজিলের ১.৮ থেকে ২.৩ লক্ষ কোটি ডলার (২৮% বৃদ্ধি), রাশিয়ার ১.৪ থেকে ২.২ লক্ষ কোটি ডলার (৫৭% বৃদ্ধি), দক্ষিণ কোরিয়ার ১.৫ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (২৭% বৃদ্ধি), অস্ট্রেলিয়ার ১.২ থেকে ১.৯ লক্ষ কোটি ডলার (৫৮% বৃদ্ধি), এবং স্পেনের ১.২ থেকে ১.৮ লক্ষ কোটি ডলার (৫০% বৃদ্ধি) হবে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ভারতের বৃদ্ধির হার অন্য কোনও বড় অর্থনীতির কাছাকাছিও নেই।

    মোদি-সরকারের সাফল্য

    ভারতের (India’s GDP) এই সাফল্য় নিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই অবিশ্বাস্য সাফল্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফলপ্রসূ নেতৃত্ব এবং তাঁর সরকারে প্রচেষ্টার ফল। লাভজনক অর্থনীতি, কাঠামোগত পরিবর্তন এবং বাণিজ্যিক পদ্ধতি সহজ করার ফলেই আজ মোদি সরকার ভারতকে বিশ্বের দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। স্বাধীনতার পর এই সাফল্য আগে কোনও সরকার পায়নি। এতে শুধু ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিই হচ্ছে না, একইসঙ্গে গ্লোবাল পাওয়ারহাউসগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।”

  • Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এই নিয়ে ৮ বার সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। প্রতিবারের মতোই এবারও একরাশ আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বাজেটের দিকে তাকিয়ে আম-আদমি। তার আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় আর্থিক সমীক্ষা পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এই আর্থিক সমীক্ষা মূলত সরকারের রিপোর্ট কার্ড হিসেবেই ধরা হয়।

    মূলধন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল আগামী দিনে এই বৃদ্ধির হার ৩.২ শতাংশ থাকবে বলে তিনি জানান। এদিন সীতারামন উল্লেখ করেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে। মূলধন ব্যয় (capex), কেন্দ্রের মোট ব্যয়ের শতাংশ হিসাবে, ২০২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪ অর্থবর্ষে ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে৷ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরে, জুলাই-নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.২ শতাংশ।

    রফতানি বৃদ্ধি

    রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম রফতানি অর্থনীতিতে ভারত সপ্তম স্থানে আছে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন-পারফর্মিং অ্যাসেট অনুপাত ২০১৮ অর্থবর্ষের থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ২.৬ শতাংশের সর্বনিম্ন থেকে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই আর্থিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশের সমস্ত সেক্টর ভালো পারফরম্যান্স করছে। দেশের শিল্প ক্ষেত্রগুলি কোভিড-পূর্ববর্তী জায়গায় পৌঁছেছে।

    বেকারত্ব কমেছে

    কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের জুলাই-জুন মাসে যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের একই সময়ে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৩.২ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রেও আশানরূপ উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিষেবা এবং অনুন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। যার ফলে সারা দেশে আর্থিক প্রগতি হয়েছে৷ এ বারের বাজেট অধিবেশন দু’দফায় হবে। ১৪ এপ্রিল শেষ হবে।

  • India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি (India GDP Growth) পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে। কারণ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি বৃদ্ধির হার উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬.৭ শতাংশে। অন্তত এমনই আশার বাণী শোনানো হয়েছে জেপি মর্গানের (JP Morgan) একটি প্রতিবেদনে।  

    জিডিপি বৃদ্ধির গতি ধীর (India GDP Growth)

    ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি ৫.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির। বাজারের পূর্বাভাসের চেয়েও অনেকটাই কম। জিডিপি বৃদ্ধির এই মন্দা সাইক্লিক্যাল ফ্যাক্টর দ্বারা চালিত। প্রত্যাশার তুলনায় ভোক্তা ব্যয়, বিনিয়োগ এবং রফতানিতে দুর্বল পারফরম্যান্সই এ জন্য দায়ী (India GDP Growth)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই ধীরগতি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অর্থনীতি ধীর গতি হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছিল।

    নেমেছে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডও

    কোর গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড নেমে এসেছে ৫.৩ শতাংশে। এর মধ্যে অবশ্য কৃষি, সরকারি প্রশাসন এবং ভর্তুকি বাদ রয়েছে। গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডের এই পতন গত সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সব চেয়ে কম। মানিটারি জিডিপি বৃদ্ধিও (India GDP Growth) ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটাও ডিসেম্বর ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত চেয়ে সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স। আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সম্ভাব্য কারণগুলোর উল্লেখ করে জেপি মর্গানের (JP Morgan) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির গড় প্রায় ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলে আমরা আশা করছি। এটা পুরো অর্থবর্ষের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ৬.৪ শতাংশে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “বিরোধী দল ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে”, কংগ্রেসকে তোপ গিরিরাজের

    প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, একটি স্থিতিশীল সরকারি পুঁজি ব্যয় পরিকল্পনা, গ্রামীণ ভোগব্যয়ের অব্যাহত বৃদ্ধি এবং পরিষেবা রফতানির জন্য আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে আরও অনুকূল বৈশ্বিক পরিবেশ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে পারে (India GDP Growth)। তবে, প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তাও। বলা হয়েছে, শহুরে ভোগব্যয় এবং পণ্যের রফতানি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোকে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার কত হবে? সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ নির্মলার

    Indian Economy: চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার কত হবে? সংসদে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তার আগে সোমবার আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট (Indian Economy) পেশ করলেন তিনি। রিপোর্ট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির পর একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। তবে বর্তমানে দেশের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে।’’ এদিন অর্থমন্ত্রীর পেশ করা রিপোর্টে (Economic Survey) বলা হয়েছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মুদ্রাস্ফীতির সূচক ৪.৫ শতাংশ স্থির করেছে।

    ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল 

    এদিন যে রিপোর্ট (Indian Economy) পেশ করা হয়েছে সেখানে এও বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে, চলতি অর্থবর্ষে বৃষ্টিপাত এবং দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ুর সন্তোষজনক বিস্তারের ফলে কৃষিক্ষেত্রে উন্নতি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে বলে বলা হয়েছে রিপোর্টে। আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে (Economic Survey) বলা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় অর্থনীতি একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল।’’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘শেষ অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে তিনটিতেই আর্থিক বৃদ্ধি (Indian Economy) ছিল ৮ শতাংশের বেশি। ২০২৩ এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আগামী বছরেও দেখা যাবে।’’

    ২০২৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষে (Indian Economy) মুদ্রাস্ফীতি ১.৩ শতাংশ কমেছে

    অন্যদিকে ২০২৩ অর্থবর্ষের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ ২০২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হিসেবে রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। কৃষকরা কৃষি কাজ করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন।

    আগামী অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার কমতে পারে

    এদিন অর্থমন্ত্রীর পেশ করা রিপোর্টে বেকারত্বের কথাও উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার কমতে পারে। এর পাশাপাশি করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসংস্থান বেড়েছে বলেও বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে (Indian Economy)। এর ফলে ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলাদের কাজ করার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে মহিলাদের কাজ করার হার ছিল ২৩.৩ শতাংশ। গত ছয় বছর ধরে সেই হার বেড়েই গিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই হার দাঁড়ায় ৩৭ শতাংশে। রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছে গ্রামের মহিলাদের কাজ করার প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Temple Economics: ভারতের মন্দির অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় জিডিপিতে, বলছে রিপোর্ট

    Temple Economics: ভারতের মন্দির অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় জিডিপিতে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মচর্চা, আধ্যাত্মিকতা, মানতপুরণ, দেবতার উদ্দেশ্যে পূজা নিবেদন- এসব কিছুর কেন্দ্র হল মন্দির (Temple Economics)। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতবর্ষে মন্দিরের সংখ্যা নেহাত কম নয়, প্রায় কুড়ি লক্ষ। এগুলির মধ্যে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যেগুলি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই গড়ে সেখানে হাজার হাজার ভক্তরা ভিড় করেন। চলতি বছরেই উদ্বোধন হয়েছে রাম মন্দিরের। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে এক লাখেরও বেশি তীর্থযাত্রীর পা পড়েছে রাম মন্দির চত্বরে। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে মন্দিরকে কলা, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সামাজিকতা এবং বাণিজ্যের কেন্দ্র বলে মনে করা হয়। বৈচিত্রের দেশ আমাদের ভারতবর্ষ। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পা দিলেই নজরে পড়ে আলাদা প্রথা, কাস্টম, রীতি। সেই সমস্ত অঞ্চলভিত্তিক রীতির ওপরেই গড়ে ওঠে মন্দির। জীবনে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির কামনায় প্রার্থনা করেন ভক্তরা। জীবনে চলার পথে বাধা যাতে ভগবান দূর করেন সে প্রার্থনাও করেন তাঁরা। এক ভক্তের সঙ্গে অপর ভক্তের মনের ভাব বিনিময়ের স্থানও হল মন্দির। মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে পর্যটনও। মন্দিরকেন্দ্রিক অর্থ ব্যবস্থা টানে এলাকার অর্থনীতিকেও (Temple Economics)। হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয় হোটেলগুলিও। তীর্থযাত্রীদের থাকা-খাওয়া সমস্ত কিছুর বন্দোবস্ত হয় সেখানে। এর পাশাপাশি ভক্তদের যেকোনও প্রয়োজনীয়তা মেটায় ছোটখাটো দোকানগুলিও। ফুল, তেল, প্রদীপ, সিঁদুর ছবি বিক্রি হয় স্থানীয় দোকান থেকে।

    ধর্মীয় যাত্রাতে (Temple Economics) গড়ে প্রতিদিন মাথাপিছু খরচ হয় ২,৭১৭ টাকা

    মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্টন স্টেইন ভারতবর্ষের মন্দির অর্থনীতির ওপর গবেষণা করেন। ১৯৬০ সালে তিনি একটি রিপোর্টও জমা দেন এ নিয়ে। তাঁর ‘দ্য ইকোনমিক ফাংশন অফ মেডিভিয়াল সাউথ ইন্ডিয়ান টেম্পেল’- শীর্ষক লেখা প্রকাশিত হয়েছিল এশিয়ান স্টাডিসে। সাম্প্রতিককালে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ‘ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসে’র দেওয়া ওই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ৫৫ শতাংশ হিন্দু যাঁরা বিভিন্ন মন্দিরে তীর্থযাত্রী হিসেবে পরিভ্রমণ করেন, তাঁরা সাধারণভাবে মধ্যমানের অথবা ছোট হোটেলে থাকেন। যেকোনও ধরনের ধর্মীয় যাত্রাতে (Temple Economics) গড়ে প্রতিদিন মাথাপিছু খরচ হয় ২,৭১৭ টাকা। যেখানে অন্যান্য যে কোনও সামাজিক যাত্রায় মাথাপিছু খরচ হয় ১,১১৮ টাকা। শিক্ষামূলক ভ্রমণে মাথা পিছু খরচ হয় ২,২৮৬ টাকা। এখানেই বোঝা যাচ্ছে ধর্মীয় যাত্রার অর্থনীতি ঠিক কতখানি এগিয়ে।

    প্রতিবছর ৪.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র ধর্মীয় যাত্রার কারণে 

    রিপোর্ট বলছে, প্রতিবছর এভাবেই ৪.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র ধর্মীয় যাত্রার কারণে। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসের ওই ডেটাতে আরও বলা হচ্ছে, ভারতবর্ষের মন্দির অর্থনীতির (Temple Economics) পরিমাণ হল ৩.০২ লক্ষ কোটি টাকা অর্থাৎ ভারতবর্ষের জিডিপির (GDP) ২.৩২ শতাংশই আসে মন্দির অর্থনীতি থেকে। ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এদেশের পর্যটনের ৮৭% হলেন দেশের নাগরিক। অন্যদিকে ১৩ শতাংশ বিদেশি নাগরিক। সরকারের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশের মধ্যে মাত্র ছ’টি বড় মন্দিরের আয় বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বেশিরভাগই দিল্লি-আগ্রা-বারাণসী-জয়পুরকেন্দ্রিক। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের মাদুরাই, মহাবলীপুরম, তিরুপতিতে মন্দির দর্শন করেছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৯ কোটি বিদেশি নাগরিক। বর্তমানে তাই মন্দির অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে জিডিপিতে (GDP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LIC: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    LIC: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইলস্টোন ছুঁল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এলআইসি)। বৃদ্ধি পেয়েছে এলআইসির (LIC) গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ। জানা গিয়েছে, গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৫০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এটি পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ। এলআইসির এইউএম-এর পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি।

    এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ (LIC)

    শতাংশের হিসেবে এক বছরে ১৬.৪৮ বেড়ে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ হয়েছে ৫১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। মার্কিন ডলারে এর পরিমাণ হল ৬১৬ বিলিয়ন। ২৩ অর্থবর্ষে এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ ৯৭ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। এক বছরে এই টাকার পরিমাণই ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মূল্য ৩৩ হাজার কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এর মূল্য ২৯ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। আর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার (LIC) গচ্ছিত অর্থরাশির পরিমাণ এর দ্বিগুণ।

    ছাপিয়ে গেল কয়েকটি দেশের অর্থনীতিকে

    কেবল পাকিস্তান নয়, এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে আরও দুই দেশের অর্থনীতিকেও। এই দুটি দেশের একটি রয়েছে এশিয়ায়, অন্যটি ইউরোপে। এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। এদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ৫২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ইউরোপের ডেনমার্কের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এই দুই দেশের অর্থনীতিকেই ছাপিয়ে গিয়েছে এলআইসি। ভারতের এই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এইউএম-এর পরিমাণ পাকিস্তান-সহ ভারতের তিন পড়শি দেশের সম্মিলিত অর্থনীতির চেয়েও বেশি। এই লিস্টে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার জিডিপি ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। আর নেপালের মোট অর্থনীতির পরিমাণ ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

    আর পড়ুন: “জনতা কাজ চায়, স্লোগান নয়”, লোকসভা অধিবেশনের আগে বললেন মোদি

    জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির মোট পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ কোটি টাকা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল দুই থেকে তিন শতাংশ, তখন গত এক বছরে ভারতের জিডিপি বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। অর্থনীতিবিদদের মতে, এলআইসির এই গচ্ছিত অর্থ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে শেয়ার বাজারে তার অগ্রগতি। তথ্য বলছে, গত এক বছরে স্টক থেকে এলআইসি রিটার্ন পেয়েছে ৭১.৭৪ শতাংশ। এতে সুনিশ্চিত হয়েছে সংস্থার নির্ভরযোগ্যতা ও বৃদ্ধি। যা আকর্ষণ করেছে বিনিয়োগকারীদের। তার ফলেই চড়চড়িয়ে বেড়েছে অর্থনীতির পারদ (LIC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Fitch Ratings: চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিল ‘ফিচ’, কত হল?

    Fitch Ratings: চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিল ‘ফিচ’, কত হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক গ্লোবাল ইকনমিক আউটলুক রিপোর্টে ফিচ রেটিংস (Fitch Ratings) ভারতের অর্থনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। তারা বলেছিল, চলতি বছর ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হবে ৭.২ শতাংশ। এই ভবিষ্যদ্বাণীর দোরগোড়ায় পৌঁছালেও, মাত্র ০.২ শতাংশ কম হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল মার্চ মাসে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “আমরা এখনও আশা করি, চলতি বছর আরবিআইয়ের পলিসি রেট কমাবে। সেটা শীর্ষ ব্যাঙ্ক একবারই করবে। এই হার হতে পারে ৬.২৫ শতাংশ। মার্চে জিইওতে আমরা আশা করেছিলাম চলতি বছর বেসিস পয়েন্ট কমানো হবে ৫০। আমরা এও আশা করেছিলাম ২০২৫ এবং ২০২৬ অর্থবর্ষে বেসিস পয়েন্ট কমানো হবে ২৫।”

    ফিচ রেটিং সংস্থার আশা

    ফিচ রেটিং সংস্থার আশা, এদেশে ক্রমেই বাড়তে থাকবে লগ্নির পরিমাণ, সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিকগুলির চেয়ে ধীর পদক্ষেপে হলেও। তবে কনজিউমার ব্যয় রিকভার করবে। একে সহযোগিতা করবে হাই কনজিউমার কনফিডেন্স। যাইহোক, এজেন্সির আশা, পরবর্তী বছরগুলিতে ভারতের বৃদ্ধি হবে মিডিয়াম টার্ম ট্রেন্ড। ফিচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমরা রিয়েল জিডিপি গ্রোথ ফোরকাস্ট করেছিলাম ৬.২৫ শতাংশ ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে (মার্চ থেকে এই হার অপরিবর্তিত রয়েছে)। ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষে এই হার গিয়ে দাঁড়াবে ৬.২-তে গিয়ে। কমজিউমার ব্যয় এবং লগ্নির দ্বারা চালিত হয়েই বৃদ্ধির হার হবে উল্লিখিত শতাংশ (Fitch Ratings)।

    গ্লোবাল বৃদ্ধির বিষয়েও ইঙ্গিত

    ফিচ গ্লোবাল বৃদ্ধির বিষয়েও ইঙ্গিত দিয়েছিল। চলতি বছরে এই হার পূর্বের ২.৪ থেকে বেড়ে হবে ২.৬ শতাংশ। ইউরোপ রিকভারি প্রসপেক্টসে কনফিডেন্স বৃদ্ধি পাওয়াই এর প্রাথমিক কারণ। রফতানি ক্ষেত্রে চিনের পুনরুত্থান এবং বাজারে ডোমেস্টিক ডিমান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে গ্লোবাল গ্রোথ। ফিচ আরও জানিয়েছে, ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ক্রমেই নিম্নগামী হতে থাকবে। চলতি বছরের শেষে এটা পৌঁছবে ৪.৫ শতাংশে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই হার দাঁড়াবে গড়ে ৪.৩ শতাংশ। এই বিক্ষিপ্ত মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার টার্গেট রেঞ্জ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৬ শতাংশ (Fitch Ratings)।

    আর পড়ুন: স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার পদে কারা, বৈঠকে বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share