Tag: General Asim Munir

  • Rajnath Singh: ‘‘এটা তো ব্যঙ্গাত্মক নয়, স্বীকারোক্তি’’! মুনিরের ‘ফেরারি’ মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘‘এটা তো ব্যঙ্গাত্মক নয়, স্বীকারোক্তি’’! মুনিরের ‘ফেরারি’ মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশ পাকিস্তানকে ‘নুড়িবোঝাই ট্রাক’ আর ভারতকে নয়া ‘মার্সিডিজ’ গাড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এবার তার পাল্টা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানালেন, মুনিরের কথা ব্যঙ্গ করার মতো নয়। কারণ, সেটা আসলে স্বীকারোক্তি। পাকিস্তান কতটা দুর্বল, ওই মন্তব্যের মাধ্যমে জেনে বা না-জেনে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুনির।

    ব্যঙ্গ নয় স্বীকারোক্তি

    সম্প্রতি আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে ফেরারি গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে ট্রাক দিয়ে পিষে ফেলার মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়। শুক্রবার এর জবাব দেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাবতেও অবাক লাগে, সবাই নাকি বলে দুটি দেশের স্বাধীনতা একই সময়ে। কিন্তু ভারত যেখানে রাস্তায় ফেরারির মতো গাড়ি চালাচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান হাল আমলের ট্রাকেই পড়ে আছে। যদি পাশাপাশি দু’টি দেশ একসঙ্গে স্বাধীনতা পেয়ে থাকে, একটি দেশ পরিশ্রম, সঠিক নীতি এবং দূরদৃষ্টির মাধ্যমে ঝাঁ-চকচকে গাড়ির মতো অর্থনীতি তৈরি করে থাকে এবং অপর দেশটি ব্যর্থতাতেই আটকে থাকে, তবে এটা তাদের কৃতকর্মের ফল। এটা তো ব্যঙ্গাত্মক কিছু নয়। এটাই তো স্বীকারোক্তি।’’

    আধুনিক অস্ত্রে আত্মনির্ভর ভারত

    আমেরিকা থেকে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে মুনির জানিয়েছিলেন, পাকিস্তান যদি ধ্বংস হয়, তবে অর্ধেক পৃথিবীকে নিয়ে ধ্বংস হবে। সেই ক্ষমতা পাকিস্তানের আছে। এ প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্কল্প ইতিমধ্যে দেখিয়ে দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতের শক্তি নিয়ে আমরা পাকিস্তানের মনে কোনও ভ্রান্ত ধারণা গড়ে উঠতে দেব না।’’ ভারতের প্রতিরক্ষার অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে রাজনাথ (Rajnath Singh) তেজস যুদ্ধবিমানের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দেশীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অসাধারণ একটা উদাহরণ হতে চলেছে তেজস। এ ছাড়া পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং ইঞ্জিন গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা পদক্ষেপ করেছি।’’

    মুনিরের মন্তব্য নির্বুদ্ধিতার পরিচয়

    উল্লেখ্য, একই সঙ্গে স্বাধীন হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। তারপর থেকে ধীরে ধীরে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার করে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। নিজেদের পরিশ্রম-মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে ভারতবাসী। মোদি সরকারের চেষ্টায় আত্মনির্ভর ভারত এখন সারা বিশ্বে দাগ কাটছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। সেখানে দিনে দিনে দারিদ্রে ঢাকা পড়ছে পাকিস্তান। তাই মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্য নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। গত জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাক সেনা প্রধান অসীম মুনির। মার্কিন শিল্পপতির ডাকা নৈশভোজে উপস্থিত হয়ে মুনির বলেছিলেন, ‘‘ভারত ঝা- চকচকে মার্সিডিজ গাড়ির মতো। পাকিস্তান হল বড় নুড়িবোঝাই ট্রাক। দুইয়ের সংঘর্ষে কী পরিণতি হবে, তা সকলের জানা।’’ কিন্তু এদিন রাজনাথ সিংয়ের এই কথার মাধ্যমে স্পষ্ট যে, আদতে ভারতকে ফেরারি গাড়ির সঙ্গে তুলনা করে পাক সেনাপ্রধান অসীম মুনির নিজের দেশের ব্যর্থতাকেই স্বীকার করে নিলেন। পাকিস্তান যে এখনও পিছিয়ে রয়েছে তা মুনিরের কথাতেই স্পষ্ট।

  • Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি পাঠিয়ে ২৬টি নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পুরস্কার! না কি পাকিস্তানে (Pakistan) ফের গণতন্ত্রের অবসান! অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান আবারও সামরিক শাসনের পথে? সেনাপ্রধান থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হলেন আসিম মুনির (Asim Munir)। প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক আয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসেবে মুনির ‘পাঁচ তারা জেনারেল’ পদ পেলেন। এই পদোন্নতি মূলত প্রতীকী। তবুও মুনিরকে এই পদে বসানোয় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা পাক মুলুকে অতীত সামরিক শাসনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতন্ত্রে সেনাবাহিনীর আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করতে পারে।

    কেন এই পদে মুনির

    মঙ্গলবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে (Asim Munir) ফিল্ড মর্শাল পদে বসালেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ। বস্তুত, ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়ায় জল, স্থল এবং নৌ-তিন সেনারই নিয়ন্ত্রণ চলে এল মুনিরের হাতে। এমনিতে মুনির শাহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ। ইমরান খানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফকে পাক প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর নেপথ্যেও এই মুনিরের হাত রয়েছে বলে শোনা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সফলভাবে’ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুনিরের পদোন্নতি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর ‘অনুকরণীয় ভূমিকা’ পালনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিফ মন্ত্রিসভা। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে জয়ের দাবি করলেও, ভারত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে প্রমাণ-সহ ইসলামাবাদের মিথ্যাচার ফাঁস করেছে।

    ইতিহাসের ছায়া, আয়ুব খান ও সামরিক শাসনের শুরু

    ১৯৫৯ সালে যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেন, তখন পাকিস্তান প্রবেশ করেছিল সামরিক শাসনের এক নতুন অধ্যায়ে। মাত্র এক দশকেই দেশটির সাতজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, কেউই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা সংসদ ভেঙে মার্শাল ল’ ঘোষণা করেন এবং আয়ুব খানকে চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিযুক্ত করেন। কিন্তু খুব অল্প সময়েই আয়ুব খান তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। আয়ুবের ‘ফিল্ড মার্শাল’ উপাধি গ্রহণ ছিল কৌশলগত—তিনি চেয়েছিলেন সামরিক ও অসামরিক উভয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে। তাঁর শাসনকাল (১৯৫৮-১৯৬৯) ছিল কঠোর নিয়ন্ত্রণ, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

    বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসিম মুনির ও আঞ্চলিক উত্তেজনা

    ২০২৫ সালে আসিম মুনিরের (Asim Munir) এই পদোন্নতি এসেছে এক জটিল পরিস্থিতিতে। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি শেষ করার জন্য ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ভারত তাদের বিমান ঘাঁটি ও সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বিরোধী পাক জেনারেল মুনির, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহানুভূতি দেখান। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ উল্লেখ করে ভারতের প্রতি কড়া বার্তা দেন। ফিল্ড মার্শালের পদ, যদিও এখন আর কার্যকরী সেনা পদ নয়, তবে এর প্রতীকী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। অনেকেই বলছেন, এটি সেনাবাহিনীর আরও কর্তৃত্ব প্রদর্শনের সংকেত। যা পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

    বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা

    পহেলগাঁও হামলার পরই অবশ্য বিভিন্নভাবে মুনিরের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ৯ মে সেনাপ্রধানের হাত শক্ত করতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার থেকে সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকদের মামলারও শুনানি করা যাবে। যার অর্থ, দেশের বিচারব্যবস্থা এবং সামরিক শক্তি পুরোটাই এখন মুনিরের হাতে।

    রাজনৈতিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

    পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর প্রভাবাধীন। পাক সরকার, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রায়শই সামরিক চাপের মুখে পড়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মুনিরের পদোন্নতি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “এটা একটি বিপজ্জনক বার্তা। ‘ফিল্ড মার্শাল’ কেবল একটি পদ নয়—এটা অবারিত ক্ষমতার প্রতীক। পাকিস্তান আরেকটি স্বৈরাচারী অধ্যায় সহ্য করতে পারবে না।” পহেলগাঁও হামলার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মুনিরের পদোন্নতি ও তাঁর কট্টর অবস্থান এই উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জেনারেল আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদোন্নতি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। আয়ুব খানের মতো, তাঁর পদোন্নতি এমন এক সময় এসেছে যখন দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সংকটে রয়েছে।

LinkedIn
Share