Tag: Govt

Govt

  • Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    Assam Govt. “১৯৫০ সালে পাশ হওয়া আইন প্রয়োগ করেই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো যাবে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) তাড়াতে অসম সরকারকে (Assam Govt.) ফি বার আদালতে যেতে হবে না। ১৯৫০ সালে পাশ হওয়া একটি পুরানো আইন ব্যবহার করেই এটি করা সম্ভব। শনিবার নলবাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ কথাই বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি জানান,

    ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ (Assam Govt)

    সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে “ইমিগ্র্যান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) অ্যাক্ট, ১৯৫০” এখনও বৈধ এবং এই আইন ব্যবহার করে রাজ্য সরকার আদালতের দ্বারস্থ না হয়েই অবৈধ বিদেশিদের বিতাড়ন করতে পারে। তিনি বলেন, “একটি পুরনো আইন আছে যার নাম ‘ইমিগ্র্যান্টস এক্সপালশন অর্ডার (১৯৫০)’, এবং নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা সম্পর্কিত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে এই আইন এখনও কার্যকর। এই আইনের আওতায় এমনকি একজন জেলাশাসকও অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর আদেশ দিতে পারেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনও এক কারণে এই বিধানটি ভুলে যাওয়া হয়েছিল এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরাও এর উল্লেখ করেননি। সম্প্রতি এই আইনের অস্তিত্বের বিষয়টি সামনে আসে। তাই এখন রাজ্য সরকার এই আইন ব্যবহার করেই অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেবে।” তিনি বলেন, “এখন থেকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার পর আর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর দরকার হবে না, আমরা সরাসরি সীমান্তে তাদের তাড়িয়ে দেব (Illegal Immigrants)।”

    কী বললেন হিমন্ত?

    হিমন্ত বলেন, “অসমে এনআরসির কারণে যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া একেবারে ধীরগতিতে চলছিল, এখন তা দ্রুত গতিতে হবে। একবার শনাক্ত হলে, আমরা তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাব।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান (Assam Govt.), অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে শুরু করা হবে এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। তিনি বলেন, “এখন এসব বিষয় ট্রাইবুনালে পাঠানোর প্রয়োজন পড়বে না। ফলে প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত হবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেসব ব্যক্তি তাঁদের নির্বাসনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন, আদালত সেই বিষয় নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তাঁদের নির্বাসন দেওয়া হবে না।

    অসমের নাগরিকত্ব আইন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ঘোষিত রায়ে অসমের নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-র বৈধতা সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’-এর বিধানসমূহকেও ধারা ৬এ-র অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পড়া হবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হবে।” সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ‘ইমিগ্রান্টস এক্সপালশন’ আইনটি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় এবং দুটি আইন একসঙ্গে চলতে পারে (Illegal Immigrants)। শীর্ষ আদালত বলেছে, সংসদ যখন এই আইন প্রণয়ন করেছে, সেটিই প্রমাণ করে যে “বাংলাদেশ থেকে অসমে বিপুল সংখ্যক অভিবাসীর অনুপ্রবেশ সবসময়ই একটি ‘উদ্বেগের কারণ’ ছিল এবং এই সমস্যার সমাধানে সংসদ ইতিপূর্বেও পদক্ষেপ করেছে।”

    কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা

    উল্লেখযোগ্যভাবে, পশ্চিম সীমান্তের জন্য প্রণীত অনুরূপ আইন—“পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ (নিয়ন্ত্রণ) আইন”—১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে বাতিল করা হয়। কিন্তু শুধুমাত্র অসমে প্রযোজ্য পূর্ব সীমান্তের আইনটি কার্যকর ছিল। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে যে, ১৯৫০ সালের ‘অসম থেকে অভিবাসী বহিষ্কার আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছিল। কারণ তৎকালীন ‘ফরেনার্স অ্যাক্টে’ পাকিস্তান থেকে আগত অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি (Assam Govt.)। অসমবাসী বহিরাগত (বহিষ্কার) আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে অসমের বাইরে থেকে আগত কোনও ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি ভারতের সাধারণ জনগণের বা জনগণের কোনও নির্দিষ্ট অংশের বা অসমের কোনও নির্ধারিত জনজাতির স্বার্থের পরিপন্থী হয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার তাদের অসম ত্যাগ করার নির্দেশ দিতে পারে এবং তাদের অসম থেকে অপসারণের আদেশ জারি করতে পারে (Illegal Immigrants)।

    কেন্দ্রের ক্ষমতা

    যদিও এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়েছে, আইনটি কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও আধিকারিক অথবা অসম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড রাজ্য সরকারের কোনও আধিকারিকের ওপর ন্যস্ত করার অনুমতি দেয় (Assam Govt.)। প্রসঙ্গত, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরাতে কাঠখড় পোড়াতে হয় বিস্তর। তাই বিএসএফ রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছে দুটো। এক, আগের তুলনায় অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা কমেছে। আর দুই, শনাক্ত করার পরেই অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Immigrants) দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হচ্ছে (Assam Govt.)।

  • BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    BJP: বেঙ্গালুরুর স্টেডিয়ামে পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ১১, কংগ্রেস সরকারকে নিশানা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট (Bengaluru Stampede) হয়ে মৃত অন্তত ১১। বুধবারের ওই ঘটনায় জখমও হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই ঘটনায় কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, এত বড় জমায়েতের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্য লেখেন, “চিন্নাস্বামী থেকে আসা মর্মান্তিক খবরে ভীষণ শোকাহত। এটি আনন্দ ও অনুগত ভক্তির এক উৎসব হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এক মর্মান্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজ্য সরকার ও নেতৃত্ব যখন আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নেওয়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত, মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন উৎসবে খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানাচ্ছিলেন, তখন মাটিতে কোনও প্রস্তুতিরই ব্যবস্থা ছিল না।” তিনি লেখেন, “সরকার এই পুরো পরিকল্পনাটি ব্যর্থ করেছে এবং শেষ মুহূর্তে উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    আরসিবির জয় (BJP)

    ১৮ বছর পর শেষমেশ আইপিএল ট্রফি জিতেছে আরসিবি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু)। দলের জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বেঙ্গালুরু শহর। তার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির জয় সেলিব্রেট করতে কোহলিদের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। সেই স্টেডিয়ামের গেটেই দর্শকদের হুড়োহুড়ির জেরে ঘটল দুর্ঘটনা। ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছিল পুলিশকে। এই ঘটনায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। জখম হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাঁদের সকলকেই ভর্তি করা হয়েছে শিবাজি নগরের বাউরিং হাসপাতালে (BJP)।

    সেলিব্রেশনের আগেই বিপত্তি

    এদিন সকালে আরসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ট্রফি নিয়ে দল শহরে পৌঁছতেই সেলিব্রেশন হবে। সেই হিসেবে ছকে ফেলা হয় বিরাটদের গোটা দিনের পরিকল্পনা। বিমানবন্দরে নামার পর থেকে ভিক্ট্রি প্যারেড, চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করা হয়। সেই পরিকল্পনার কথা সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করতেই বেঙ্গালুরুতে ভিড় বাড়তে থাকে। একটা সময়ে বাসে করে রাস্তায় ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা বাতিল করা হলেও, পরে ফের করা হয়। এই সময়ে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায় তারা পরিস্থিতি (Bengaluru Stampede) সামাল দিতে তৈরি। ফলে সমর্থকরা বেরতে থাকেন রাস্তায়। তার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা (BJP)।

  • BJP Government: রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ! আপ জমানার ১৭৭ জনের চাকরি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

    BJP Government: রাজনৈতিক স্বার্থে নিয়োগ! আপ জমানার ১৭৭ জনের চাকরি বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক যোগ্যতার বদলে রাজনৈতিক লাভের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁদের (BJP Government)। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের (AAP Govt) জমানায় নিয়োগ হওয়া এমন ১৭৭ জনের নিয়োগ বাতিল করে দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্তা। বুধবারই এই নিয়োগ বাতিলের কথা ঘোষণা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি সরকারের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বাতিলকরণ কার্যকর করা হবে অবিলম্বে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি অধীন বোর্ড, কমিটি এবং অ্যাকাডেমি।

    স্বজনপোষণ! (BJP Government)

    এই মনোনয়নগুলির মধ্যে অনেকেই বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য এবং পদস্থ দলীয় কর্তারা। জানা গিয়েছে, এই নিয়োগপ্রাপ্তদের দিল্লি জল বোর্ড, কল্যাণ বোর্ড, তীর্থযাত্রা উন্নয়ন কমিটি, হজ কমিটি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভাষা অ্যাকাডেমির মতো সংস্থাগুলিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। এদিন যাঁদের নিয়োগ বাতিল হল তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আপ বিধায়ক পবন রানা, বিধায়ক বিনয় মিশ্র এবং আপ মন্ত্রিসভার সদস্য জিতেন্দ্র তোমরের স্ত্রী প্রীতি তোমরও। পবনকে নিয়োগ করা হয়েছিল দিল্লির জল বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে। ওই বোর্ডেরই ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বিধায়ক বিনয় মিশ্রকে। প্রীতি তোমর ছিলেন ওই বোর্ডের সদস্য।

    বিজেপির দাবি

    বর্তমান বিধায়কদের পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাক্তন বিধায়কদেরও। আবদুল রেহমান ও হাজি ইউনূসকে নিয়োগ করা হয়েছিল হজ কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে। পাঞ্জাবি অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল আপেরই প্রাক্তন বিধায়ক জারনাইল সিংকে। বিজেপির দাবি (BJP Government), প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধারের জন্য পদ্ম-নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল। বিজেপি সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং সংস্থাগুলির নির্দলীয় কার্যকারিতা নিশ্চিত করার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে আরও কঠোরভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝাড়াই (AAP Govt) বাছাই পর্ব চালাবে সরকার। যেখানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার চেয়ে যোগ্যতা এবং পেশাদারি দক্ষতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে (BJP Government)।

  • CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতির কারণে দুর্বল নীতিগত কাঠামো থেকে শুরু করে অপর্যাপ্ত বাস্তবায়নের মতো বিভিন্ন কারণে দিল্লি সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্মিলিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report) পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report)

    রিপোর্টটি আগের আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৪টি রিপোর্টের একটি। প্রতিটি রিপোর্ট উপস্থাপিত করবে নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন (Delhi Govt)। এতে লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ উপেক্ষা করেছিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোচিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসা কথিত মদ কেলেঙ্কারির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা। এতে দাবি করা হয়েছে যে “বিধিসম্মত নয় এমন পুরসভা ওয়ার্ডে”ও মদের দোকান খোলার জন্য সময় মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।

    জমি ব্যবহারের নিয়মাবলী

    আবার এমন অনেক এলাকায় মদ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবহারের নিয়মাবলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই এলাকাগুলি থেকে তাদের লাইসেন্স ফি জমা না হওয়া এবং পুনঃনিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যর্থতার কারণে আবগারি বিভাগ প্রায় ৮৯০.১৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” এছাড়াও, কোভিড অতিমারীর কারণে দোকান বন্ধ থাকায় লাইসেন্সধারীদের যে “অনিয়মিত ছাড়” দেওয়ার হয়েছে, তার ফলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব (Delhi Govt)।

    বিভিন্ন অনিয়ম

    নীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মগুলি (CAG Report) ২০২২ সালের জুলাই মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন, তখন তা রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং, মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাস্টার প্ল্যান দিল্লি-২০২১ অনুসারে অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আবগারি নীতি ২০২১-২২ অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র খোলার কথা বলা হয়েছিল।

    কী বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন দোকান খোলার জন্য দরপত্র নথিতে উল্লেখ ছিল যে কোনও অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান থাকবে না। তবে, যদি কোনও দোকান অননুমোদিত এলাকায় থাকে, তবে তা সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। ক্যাগের রিপোর্ট জানিয়েছে, ” অননুমোদিত এলাকায় প্রস্তাবিত বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আবগারি বিভাগ যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DDA) এবং কর্পোরেশন (MCD)-এর মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল (Delhi Govt)।”

    লাইসেন্স বরাদ্দ

    লাইসেন্সগুলি ২০২১ সালের (CAG Report) অগাস্টে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই, এবং দোকানগুলি ১৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যেই, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ঠিক আগের দিনই একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে অননুমোদিত এলাকায় দোকান চালানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর লাইসেন্সধারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ আদালত ৬৭টি অননুমোদিত ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক দোকানগুলির জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। এর ফলে প্রতি মাসে ১১৪.৫০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি মকুব হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, “নোটিশ ইনভাইটিং টেন্ডার প্রকাশের আগে এই সমস্যার সমাধান না করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য ক্ষতি হয় প্রায় ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা।”

    লাইসেন্স জমা দেওয়ার হিড়িক

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯টি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারী তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের লাইসেন্স জমা দেন। এর মধ্যে মার্চেই জমা দেন চারজন, মে মাসে পাঁচজন এবং জুলাই মাসে ১০ জন। তবে মদের দোকান চালু রাখতে আবগারি দফতর কোনও পুনঃটেন্ডারিং প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে লাইসেন্স ফি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অঞ্চলগুলিতে মদের খুচরা বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। লাইসেন্সধারীরা ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আবগারি দফতরের কাছে ফি মকুবের আবেদন জানান। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের রায়ে দফতরকে এই বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    আবগারি এবং অর্থ দফতর (CAG Report) বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর প্রস্তাব দেয় যে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইসেন্স ফির আনুপাতিক মকুব বিবেচনা করা যাবে না। কারণ টেন্ডার নথিতে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারা এই প্রস্তাব খারিজ করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকা দোকানগুলির জন্য প্রতিটি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারীকে ফি মকুবের অনুমোদন দেওয়া হয় (Delhi Govt)।”

  • Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা,” বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টা দেশের সমবায় ক্ষেত্রকে গতি দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে এই ক্ষেত্রের গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।” শনিবার কথাগুলি বললেন (Modi Govt) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    কী বললেন শাহ (Amit Shah)

    এদিন পুণেতে জনতা সহকারী ব্যাংক লিমিটেডের হীরক জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সমবায় ক্ষেত্রকে বাজারের উপযোগী করে তুলেছে।” সমবায় সেক্টরকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার অনুরোধও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত তিন বছরে কেন্দ্র দেশজুড়ে সমবায় আন্দোলনকে গতি দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। আমরা ভারতের সমবায় খাতের মডেলটিকে বাজারজাত করার উপযোগী করে তুলেছি। আমরা একটি সমবায় বিশ্ববিদ্যালয় বিল আনার মাধ্যমে সমবায় শিক্ষাকে শক্তিশালী করছি।”

    সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন মোদি

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী সমবায় খাতকে দিশা দেখিয়েছেন এবং সমবায় ক্ষেত্রে নতুনত্ব আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন (Amit Shah)।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি জাতির সামনে দুটি সংকল্প নিয়েছেন – ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি সম্পূর্ণ উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলা এবং ২০২৭ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। সমবায় খাতের উন্নয়ন ছাড়া এই সংকল্পগুলি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তির উন্নয়ন এবং প্রতিটি ঘরের সমৃদ্ধি না হলে, এই দুটি সংকল্প বাস্তবায়িত নাও হতে পারে।”

    শাহ বলেন, “প্রতিটি ব্যক্তিকে তাদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেওয়া এবং দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাদের সংযুক্ত করা, যাতে প্রতিটি পরিবার সমৃদ্ধ হয়, তা কেবলমাত্র সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমেই সম্ভব।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত ১০ বছরে (Modi Govt) দেশের কোটি কোটি মানুষকে অনেক মৌলিক সুবিধা দিয়েছেন। এখন, এই মানুষগুলো ভারতের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান (Amit Shah)।”

  • Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, জানেন কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ?

    Jammu and Kashmir: জম্মু-কাশ্মীরে ফের পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, জানেন কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শান্তি ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র। উপত্যকাকে বিচ্ছিন্নভাবে না রেখে মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে মোদি সরকার। এর জন্যই লোকসভা ভোটের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে ‘তৎপরতা’ শুরু করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রকের তরফে ‘বেআইনি কার্যকলাপে’ জড়়িত থাকার অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্ট (Jammu Kashmir National Front) নামে একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    কেন নিষিদ্ধ জেকেএনএফ

    নঈম আহমেদ খানের নেতৃত্বাধীন জেকেএনএফ-কে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ভারত-বিরোধী জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার কারণেই ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ) অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। উপত্যকায় (Jammu Kashmir) আপাতত, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রণ্ট (JKNF)-কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সংগঠন বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। যা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য অনুকূল নয়। 

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ‘মোদি সরকার আজ জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (Jammu Kashmir National Front) বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই দল জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করতে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, জাতির সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। আমরা ভারতের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাস বাহিনীকে নির্মূল করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share