Tag: Great Nicobar Project

  • Amit Shah: গ্রেট নিকোবর প্রকল্প ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করবে, দাবি অমিত শাহের

    Amit Shah: গ্রেট নিকোবর প্রকল্প ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করবে, দাবি অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেট নিকোবর প্রকল্প (Great Nicobar Project) ভারতের বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। মুম্বইতে সোমবার ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক—২০২৫’ সম্মেলনে (India Maritime Week 2025) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ইন্ডিয়ান মেরিটাইম উইক ২০২৫ সম্মেলনে জাহাজ মন্ত্রকের ডাকে সাড়া দিয়েছে দেশের সমুদ্র তীরবর্তী বিভিন্ন রাজ্য। এই অনুষ্ঠানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নানা বিরোধিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার গ্রেট নিকোবর আইল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির মহাসাগার নীতি

    শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সামুদ্রিক নীতি বর্তমানে মহাসাগার-এ (‘MAHASAGAR’: Mutual and Holistic Advancement for Security and Growth Across Regions)–এ রূপান্তরিত হয়েছে, যা ভারতের বৈশ্বিক উপস্থিতির প্রতীক। তাঁর কথায়, “মোদিজির দৃষ্টিভঙ্গি হল ‘সাগর’কে ‘মহাসাগর’-এ রূপ দেওয়া, যাতে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বনেতা হয়ে ওঠে। এই লক্ষ্যে সরকার বাজেট ছয়গুণ বৃদ্ধি করেছে—৪০ মিলিয়ন ডলার থেকে আজ ২৩০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।”

    সাগরমালা প্রকল্পের গুরুত্ব

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) আরও জানান, সাগরমালা প্রকল্পের অধীনে ৮৩৯টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মোট মূল্য প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যেই ১৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২৭২টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। শাহ বলেন, “৫ বিলিয়ন ডলারের গ্রেট নিকোবর প্রকল্প (Great Nicobar Project) এখন নির্মাণাধীন, যা ভারতের সামুদ্রিক বাণিজ্যে বিপুল গতি আনবে।” তিনি জানান, ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে কোচি শিপইয়ার্ডে দেশের সবচেয়ে বড় ডক নির্মিত হচ্ছে। পাশাপাশি, গুজরাটে গড়ে উঠছে একটি মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পুরনো ভারতীয় আইন সংস্কার করা হয়েছে। ২০২৫ সালে সংসদ ১১৭ বছরের পুরনো ইন্ডিয়ান পোর্টস বিল সংশোধন করে আধুনিক প্রেক্ষাপটে আনা হয়েছে।” শাহের কথায়, “মেজর পোর্ট অথরিটিজ অ্যাক্ট, ২০২১-এর মাধ্যমে বন্দরগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ন্যাশনাল ওয়াটারওয়েজ অ্যাক্ট অনুযায়ী ১০৬টি নতুন জলপথ ঘোষণা করা হয়েছে।”

    ব্লু ইকোনমির উন্নয়ন-ই লক্ষ্য

    অমিত শাহ বলেন, “মোদি সরকার ব্লু ইকোনমির উন্নয়ন, উপকূলীয় নিরাপত্তা ও জেলেদের সুরক্ষার জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত এক দশকে উপকূলীয় নৌপরিবহণ বেড়েছে ১১৮ শতাংশ, কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। টার্ন-অ্যারাউন্ড টাইম বা জাহাজ পরিষেবার সময়সীমা এখন বৈশ্বিক মানের কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের লক্ষ্য একটি গ্রিন মেরিটাইম ফিউচার তৈরি করা—যেখানে উন্নয়ন ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে। ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র ও গ্লোবাল সাউথের বহু দেশ সাগরের ওপর নির্ভরশীল; তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নেও ভারত দায়বদ্ধ। তাই আমরা এক সবুজ, সমৃদ্ধ ও যৌথ মহাসাগর গড়ে তোলার পথে এগোচ্ছি।”

    ভারতের সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা

    ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫ (India Maritime Week 2025) সোমবার মুম্বইয়ে শুরু হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে এই বিশেষ অনুষ্ঠানটি চলবে। পরিবহণ, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রক এবং ইন্ডিয়ান পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন–এর যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে। এই বৃহৎ অনুষ্ঠানে ভারতের সমুদ্র অর্থনীতি, স্থিতিশীল সামুদ্রিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরা হবে। দেশ ও বিদেশের নৌ পরিবহণ ক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক এবং বিভিন্ন অংশীদাররা এতে যোগ দিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, এবং প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস, উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পওয়ার, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত, এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি।

    আন্দামানের উন্নয়নে এই প্রকল্পে ভূমিকা 

    বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম সমুদ্রপথ মালাক্কা প্রণালীর কাছে অবস্থিত গ্রেট নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (জিএনআই) ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সংযোগমূলক কর্মসূচিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে। ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস বাজ (গ্রেট নিকোবর) ঘাঁটি থাকার কারণে এই অঞ্চলটি পূর্ব ভারত মহাসাগরে প্রতিরক্ষা ও নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এর অবস্থানগত সুবিধা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক যোগাযোগ গড়ে তোলে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভারত সরকার জিএনআই-তে ৮০,০০০ কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন করেছে। নীতি আয়োগের নেতৃত্বে হলিস্টিক ডেভেলপমেন্ট অফ আইল্যান্ডস প্রোগ্রাম-এর (দ্বীপপুঞ্জের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মসূচির) অংশ হিসেবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে একটি সামুদ্রিক, বাণিজ্য ও পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চলেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে গ্যালাথিয়া উপসাগরে একটি ট্রান্সশিপমেন্ট টার্মিনাল, একটি বিমানবন্দর, একটি গ্রিনফিল্ড টাউনশিপ, একটি পর্যটন প্রকল্প ও একটি গ্যাস-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সরকার এই প্রকল্পকে (Great Nicobar Project) “ভারতের সামুদ্রিক উন্নয়নের চালিকা শক্তি” বললেও পরিবেশবিদদের একাংশের মতে এই প্রকল্পে ১৩০ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি অরণ্য ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিকোবরিজ ও শম্পেন উপজাতির জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রের দাবি, আন্দামানের উন্নয়নে ও কৌশলগত প্রতিরক্ষা উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বড় ভূমিকা নেবে।

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

LinkedIn
Share