Tag: Grenade Attack

Grenade Attack

  • FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    FBI Arrested Punjab Terrorist: এফবিআইয়ের জালে পাঞ্জাবে গ্রেনেড হামলার চক্রী খালিস্তানি জঙ্গি হরপ্রিত সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি পাসিয়াকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে আমেরিকা (FBI Arrested Punjab Terrorist)। পাঞ্জাবে গত ৬ মাসে অন্তত ১৪টি গ্রেনেড হামলার চক্রী হ্যাপি কানাডা থেকে অবৈধভাবে আমেরিকায় ঢুকেছিল। তাকে খুঁজছিল এনআইএ-ও। অবশেষে সেই হ্যাপি পাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় পাঞ্জাবে হামলা চালিয়েছিল হরপ্রীত সিং। তাকে ধরার জন্য ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই গ্যাংস্টার সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হলেই ওই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনআইএ।

    হরপ্রিত সিং এর পরিচয়

    পাঞ্জাবের অমৃতসরের আজনালা তহসিলের বাসিন্দা হরপ্রিত সিং (Harpreet Singh) ওরফে হ্যাপি। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর, একটি মামলায় তাকে ফেরার আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এদেশে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, মাদক আইন ও অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাসিয়া পাকিস্তানি গ্যাংস্টার থেকে জঙ্গি হওয়া হরবিন্দর সিং সাঁধু ওরফে রিন্ডার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআই এবং নিষিদ্ধি জঙ্গি সংগঠন বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের যোগাযোগ ছিল। তাদের হয়েও বেশ কয়েকটি অপারেশন চালিয়েছিল পাসিয়া। গোড়ার দিকে ছিল গ্যাংস্টার, পরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় পাসিয়া।

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক

    বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই) খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন, যারা ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এই সংগঠনটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০-এর দশকে পাঞ্জাবে জঙ্গি কার্যকলাপে সক্রিয় ছিল। ১৯৮৫ সালে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২-এর বোমা হামলা, যাতে ৩২৯ জন নিহত হয়েছিল, বিকেআই-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। সংগঠনটি বর্তমানে পাকিস্তান, আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে সক্রিয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনে কাজ করে।

    পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে শত্রুতা

    ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে চণ্ডীগড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত পাঞ্জাব পুলিশ অফিসারের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ছিল পাসিয়া। হরপ্রিত এবং রিন্ডা মিলে এই গ্রেনেড হামলার লজিস্টিক সহযোগিতা, তহবিল এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবে পুলিশের উপরেও একাধিক হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ওই হামলা করার পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার দায় স্বীকার করত হ্যাপি পাসিয়া। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে অমৃতসর এবং অন্যান্য এলাকায় পুলিশ এবং পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়। সেখানে কোথাও গ্রেনেড হামলা হয়। আবার, একাধিক থানার সামনে গ্রেনেড বিস্ফোরণও হয়। এই হামলার পিছনে হরপ্রীত সিং আছে বলে জানতে পারে পুলিশ। তখন থেকেই তার খোঁজ করতে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

    পাঞ্জাবে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি

    গত মার্চ মাসেই অমৃতসরে একটি মোটর সাইকেল লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে দুই জন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মারা যায়। পাঞ্জাবের এক বিজেপির নেতার বাড়ি ছাড়াও এক ইউটিউবারের বাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এর সঙ্গেও ওই গ্যাংস্টার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। আগামী দিনে পাঞ্জাবে আরও বড় হামলা এবং বিস্ফোরণ ঘটানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল হ্যাপি।

    এফবিআই-এর উদ্যোগ

    এফবিআই-এর (FBI Arrested Punjab Terrorist) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “আজ, ভারতের পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার জন্য অভিযুক্ত জঙ্গি হরপ্রীত সিংকে এফবিআই এবং ইআরও স্যাক্রামেন্টোতে গ্রেফতার করেছে। দুটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করেছিল এবং ধরা এড়াতে বার্নার ফোন ব্যবহার করছিল।” বার্নার ফোন মূলত আত্মগোপনের কাজে ব্যবহৃত অত্যন্ত পুরনো ধাঁচের ফোন। আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের আত্মগোপনকারী গুপ্তচর, জঙ্গি, পাচারকারীরা এই ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকে। এই ফোনের কয়েকটি বিশেষত্ব হল, এতে ডিটাচেবল ব্যাটারি থাকে। ফলে ব্যাটারি খুলে নিলে এই ফোনকে ট্র্যাক করা যায় না। এছাড়াও সুইচ বন্ধ করে রাখলেও লোকেশন বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত কোনও তথ্যও এতে সংগৃহীত থাকে না।

    হরপ্রীত-এর গ্রেফতারির গুরুত্ব

    ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিশ্বাস করে যে হরপ্রীত সিং-এর (Harpreet Singh) গ্রেফতার বিকেআই-এর আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারে। হরপ্রীত সিং-এর গ্রেফতার খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা এবং আইএসআই-এর সমর্থনে বিকেআই-এর ক্রিয়াকলাপ ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রেফতার ভারত-আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে এবং পাঞ্জাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।

    ভারতে ফেরানোর তোড়জোড়

    এফবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হ্যাপি পাঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ। ভারতের তরফে এনআইএ এবং পাঞ্জাব পুলিশ তার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার মামলা করে। আমেরিকাকে জানানো হয় যে, সে কানাডা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছে। অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে তার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিসও বের হয়। গ্রেফতারির পর ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে পাসিয়াকে ভারতে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হবে।

  • Jammu and Kashmir: উপত্যকায় পরপর গ্রেনেড হামলায় জড়িত দুই মূলচক্রী গ্রেফতার, অর্থ দিত পাকিস্তান!

    Jammu and Kashmir: উপত্যকায় পরপর গ্রেনেড হামলায় জড়িত দুই মূলচক্রী গ্রেফতার, অর্থ দিত পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) পরপর গ্রেনেড হামলায় জড়িত দুই মূলচক্রীকে গ্রেফতার করল নিরাপত্তা বাহিনী। ধৃতদের জেরায় জানা গিয়েছে, টাকা আসত সরাসরি পাকিস্তান (Pakistan) থেকে। সীমান্তে হামলা চালানোর একটি ছকও করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক অস্ত্র এবং গোলাবারুদও। সম্প্রতি এই কেন্দ্রশাসিত রাজ্যের বিধানসভায় নির্বাচন শেষ হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোট সরকার গঠন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওমর আব্দুল্লা। ফলে গ্রেনেড হামলা ও গ্রেফতারের ব্যাপারে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্যে।

    বাড়ি থেকে গ্রেনেড উদ্ধার (Jammu and Kashmir)

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ আনন্দ জৈন বলেন, “পুঞ্চ জেলায় অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে আব্দুল আজিজ এবং মানওয়ার হুসেন নামে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেই হরি গ্রামের বাসিন্দা। বড়সড় ষড়যন্ত্র রোধে সাফল্য এসেছে।”

    অপর দিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং সিআরপিএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার প্রথমে আব্দুলকে গ্রেফতার করে। এই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে মানওয়ারের নাম। তিনি আব্দুলের সহযোগী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়ি থেকেও একটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। একইভাবে একটি পিস্তল এবং নয় রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ওড়িশার আদিবাসী রমণী মোদিকে দিলেন ১০০ টাকা! প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘নারী শক্তির আশীর্বাদ’

    পাকিস্তান থেকে অর্থ সরবরাহ হয়েছে

    আবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় (Jammu and Kashmir) দুই ধৃতই একাধিক সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। হামলায় অর্থ জোগান দেওয়া, দেশবিরোধী কার্যকলাপ, অস্ত্রগুলির চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা। ধৃতরা আরও কোনও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে অবৈধ কাজের জন্য অর্থ সরবরাহ করা হয়। এমনকী তাঁদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হয় সীমান্তের ওপার (Pakistan) থেকে। গত কয়েক মাস ধরে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি কার্যকলাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর উপত্যকা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajouri Terror Attack: আধার কার্ড দেখে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর জঙ্গি হামলা কাশ্মীরের রাজৌরিতে! নিহত অন্তত ৪

    Rajouri Terror Attack: আধার কার্ড দেখে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর জঙ্গি হামলা কাশ্মীরের রাজৌরিতে! নিহত অন্তত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে (Rajouri terror attack) সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ফের হামলা চালাল জঙ্গিরা। নতুন বছরের শুরুতেই রক্তাক্ত হল ভূস্বর্গ। রবিবার বিকালে জোড়া জঙ্গি হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল উপত্যকা।  প্রায় একইসঙ্গে শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা এবং রাজৌরিতে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। দুটি ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪ জনের (Death Count Climbs To 4)। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

    পরিচয় নিশ্চিত করে হামলা

    আধার কার্ড দেখে গ্রামবাসীদের পরিচয় জেনে, টার্গেট স্থির করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রাজৌরির ডাংরি এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা সওয়া ৭টা নাগাদ একটি হাইস্কুল এবং নাগরিকদের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ২ জন জঙ্গি।  চার জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত আরও ছয় জন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিহতরা কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। গত কয়েক মাসে কখনও কাশ্মীরি পণ্ডিত, কখনও আবার ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের নিশানা করে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। আপার ডাংরি এলাকার এই জঙ্গি হামলাও একটি ভাবে টার্গেট বেছে করা হয়েছে। কারা এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ, সিআইপিএফ এবং সেনা।

    এই ঘটনায় প্রীতম লাল, শীশু পাল, সতীশ কুমার ও দীপক কুমার নামে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয় গ্রামবাসী। উদ্ধার করে তাঁদের প্রথম রাজৌরির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দু’জনকে জম্মুতে রেফার করা হয়। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজৌরির বিভিন্ন এলাকায়। জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে আজ সোমবার এলাকায় বন‍্‍ধ ডেকেছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। বন‍্‍ধকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। এদিন ঘটনার পর রাজৌরির হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, এবং জঙ্গিদের নিরীহ মানুষের উপর হামলার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। 

    জঙ্গি দমনে তৎপরতা

    এরপর রাত পৌনে আটটা নাগাদ ফের শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলা (Shrinagar Grenade attack) চালায় জঙ্গিরা। মির্জা কামিল চকে সিআরপিএফ বাঙ্কার লক্ষ্য করে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিবাহিনী। জম্মু জোনের ADGP মুকেশ সিং ( Mukesh Singh, ADGP Jammu Zone) জানিয়েছেন, “জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ, সিআইপিএফ এবং সেনা গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই এই সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজ মিলবে।”

    আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় মায়ের দেহ নিজের কাঁধে তুলে নিলেন, মুখাগ্নি করলেন মোদি

    একই দিনে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা থেকে। গ্রেফতার হয়েছে দু’জন। এগুলি জঙ্গিদের জোগান দেওয়া হচ্ছিল বলেই প্রাথমিক জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ। রবিবার আগাম খবর অনুযায়ী কুপওয়ারার চাটকাদি এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানেই এই বিপুল অস্ত্রশস্ত্র-সহ ধরা পড়ে দু’জন। তাদের মধ্যে একজন, উমর আজিজ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে বহুদিন ধরেই এই কাজ করছে। সূত্রের খবর, ৫টি পিস্তল, ১০টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৭৭টি রাউন্ড গুলি, একটি পিস্তল পরিষ্কারের রড, চারটি হাতবোমা, প্রায় ১০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে রবিবারের অভিযানে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    Jammu Kashmir: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে (Grenade Attack) প্রাণ হারালেন এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker)। ওই হামলায় গুরুতর জখমও হয়েছেন দুজন। কাশ্মীরের (Kashmir) পুলওয়ামার ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য উপত্যকায়। জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার গদুরা এলাকায়, যেখানে ছিলেন ওই শ্রমিকরা, তার বাইরে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ মুমতাজ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    জানা গিয়েছে, বিহারের শাকওয়া পারসা এলাকার এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারের ছেলে মুমতাজ। রোজগারের আশায় এসেছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন বিহারেরই দুজন। পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা হলেন মহম্মদ আরিফ ও তাঁর ছেলে মহম্মদ মকবুল। বিহারের রামপুরের এই দুই বাসিন্দাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈইবার ছায়া সংগঠন দ্য রেসিসটেন্স ফ্রন্টের হাত দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, পুলওয়ামায় কাপুরুষোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই দুঃখের সময় মহম্মদ মুমতাজের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাই। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ঘটনার নেপথ্যে যারা, তারা শাস্তি পাবেই। আজ, ৫ অগাস্ট। তিন বছর আগে এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা। তার ঠিক আগের দিন পরিকল্পিতভাবেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। উপত্যকা জুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা।

    এই প্রথম নয়, এর আগেও জঙ্গিরা উপত্যকায় বিচ্ছিন্নভাবে অশান্তি পাকিয়ে গিয়েছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন চারজন পরিযায়ী শ্রমিক। এপ্রিলেরই চার তারিখে পুলওয়ামায়াতেই জঙ্গিরা তিনটি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেই হামলায় প্রাণ হারান একজন সিআরপিএফ জওয়ান। ওই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন চারজন। যাঁদের মধ্যে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিক ও এক কাশ্মীর পণ্ডিতও ছিলেন। এপ্রিলেরই পাঁচ তারিখে জঙ্গিরা সিআরপিএফের দুই জওয়ানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্র মইসুমা চক এলাকায়। চলতি বছরেরই ১৯ মার্চ পুলওয়ামায় জঙ্গিদের গুলিতে জখম হন এক পরিযায়ী কাঠের মিস্ত্রি।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

LinkedIn
Share