Tag: H-1B visa

H-1B visa

  • H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    H 1B Visa: এইচ-১বি ভিসার দাম এক ধাক্কায় এক লাখি, আত্মঘাতী গোল করল আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার এইচ-১বি ভিসার (H 1B Visa) দাম এক ধাক্কায় ১ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৮ লাখ টাকা) ধার্য করেছেন ৪৭তম মার্কিন (US) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য রেখে মার্কিন নাগরিকদের পেটের ভাত জোগাড় করতেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হল। ভারতীয় শিল্পপতি, রাজনৈতিক মহল এবং প্রবাসী ভারতীয় সমাজের প্রতিনিধিরা সবাই এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তাঁদের সতর্কবার্তা, এই পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে, যদিও ভারতের জন্য এটি লাভজনক হতে পারে। এদিন ট্রাম্প একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন যেখানে এইচ-১বি ভিসার ওপর ১ লাখ মার্কিন ডলার বাধ্যতামূলক ফি আরোপ করা হয়েছে। এটি কার্যকর হবে আজ, রবিবার থেকে।

    এইচ-১বি ফাইলিং ফি (H 1B Visa)

    বর্তমানে এইচ-১বি ফাইলিং ফি নিয়োগকর্তার ক্ষমতা অনুযায়ী ২,০০০ থেকে ৫,০০০ মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়ে থাকে। তিন বছরের জন্য বৈধ এবং নবায়নযোগ্য এই ভিসাগুলি আমেরিকান কোম্পানিগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে উচ্চ দক্ষ বিদেশি পেশাজীবীদের আনতে। এঁদের একটা বড় অংশই আসেন ভারত থেকে। ট্রাম্প তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমেরিকান চাকরি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানগুলি এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে মার্কিন শ্রমিকদের সস্তা বিদেশি কর্মী দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তিনি একে অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হিসেবেও বর্ণনা করেন।

    আমেরিকার সর্বনাশ, ভারতের পৌষমাস

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে আদতে আমেরিকার (US) সর্বনাশ হলেও, ভারতের পৌষমাস। প্রাক্তন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন (H 1B Visa), “ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১,০০,০০০ ডলারের এইচ-১বি ফি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ভাবনকে দমিয়ে দেবে এবং ভারতের উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবে। বৈশ্বিক প্রতিভার জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমেরিকা পরবর্তী প্রজন্মের ল্যাব, পেটেন্ট, উদ্ভাবন ও স্টার্টআপগুলোকে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” তাঁর মতে, ভারত এখন এমন একটি সুযোগ পেয়েছে যেখানে তারা চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট এবং বিজ্ঞানীদের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারে। ভারত এই সুযোগ না নিলে তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিকের বক্তব্য

    ইনফোসিসের প্রাক্তন আধিকারিক ও বিনিয়োগকারী মোহনদাস পাই জানান, খরচ বৃদ্ধি নতুন আবেদনকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, “এর ব্যবহার সীমিত। কারণ এটি ইতিমধ্যেই বিদ্যমান সব এইচ ১বি ভিসার (H 1B Visa) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই এর প্রভাব কেবল ভবিষ্যতের আবেদনকারীদের ওপর পড়বে। নতুন আবেদন কমে যাবে। কেউ এক লাখ মার্কিন ডলার দেবে না, এটাই সত্য।” তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলি ক্রমবর্ধমান হারে কাজকে বিদেশে সরিয়ে দেবে, যা ভারতের গ্লোবাল ক্যাপেবিলিটি সেন্টারগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাই বলেন, “এখন যা ঘটবে তা হল সবাই অফশোরিং বাড়াতে কাজ করবে। কারণ এর আর কোন মানে হয় না। প্রথমত, পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না, দ্বিতীয়ত, খরচ অত্যধিক। আগামী ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এটাই ঘটবে (US)।”

    কুনাল বাহলের বক্তব্য

    উদ্যোক্তা ও স্ন্যাপডিলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কুনাল বাহলেরও মতে, নয়া ভিসা নীতি অনেক দক্ষ পেশাজীবীকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করবে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “নতুন এইচ ১বি নিয়মের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ব্যক্তি ভারতে ফিরে আসবেন।” তিনি আরও লেখেন, “নিশ্চয়ই শুরুতে ভিত্তি পরিবর্তন করা কঠিন হবে। কিন্তু ভারতের বিপুল সুযোগ-সুবিধার কারণে তা তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে (US)। ভারতে প্রতিভার ঘনত্ব দ্রুত বাড়ছে (H 1B Visa)।” অন্য একটি পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি লেখেন, “২০০৭ সালে মাইক্রোসফটের ডেস্কে বসে আমি একটি ই-মেইল পেলাম যে আমার এইচ ১বি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। সেই মুহূর্তে তা ভীষণ ধাক্কা ও অসাড় করে দেওয়া অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন-পরিবর্তনকারী হয়ে উঠল যখন আমি ভারতে ফিরে এলাম। আজ যাঁদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে, তাঁরা ইতিবাচক থাকুন। আপনাদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।”

    ভারতের পক্ষে ইতিবাচক

    বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হতে পারে। ভিসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে যাতায়াত নিরুৎসাহিত হবে পেশাজীবীদের। ফলে কোম্পানিগুলি ভারতে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে। এর ফলে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, পুনে এবং গুরগাঁওয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে। ভারতের প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি (US) হয়ে উঠতে পারে সেই প্রয়োজনীয় ধাক্কা, যা তাকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনী কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরের গতি বাড়িয়ে দেবে (H 1B Visa)।

  • Layoffs: আমেরিকায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ধুম! ভিসার মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি না পেলে প্রবাসী ভারতীয়দের ছাড়তে হবে দেশ

    Layoffs: আমেরিকায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ধুম! ভিসার মেয়াদ শেষে নতুন চাকরি না পেলে প্রবাসী ভারতীয়দের ছাড়তে হবে দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের পর থেকে গণ ছাঁটাইয়ের পথে হেটেছে মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, গুগলের মত একাধিক সংস্থা। রাতারাতি কর্মী ছাঁটাইয়ে বেকার হয়ে পড়বেন বিপুল সংখ্যক কর্মী। তবে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মার্কিন মুলুকে চাকরি করা ভারতীয় কর্মীদের। আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়রা পাগলের মত চাকরি খুঁজছেন, কারণ চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরি না পেলে তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। ফলে তাঁদের কাজের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নতুন চাকরি খুঁজে পেতে বিদেশে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে। এমনকি আচমকাই চাকরি চলে যাওয়ায় আমেরিকার মত দেশে বাস করাও তাঁদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

    মার্কিন মুলুকে হাজার হাজার প্রবাসী ভারতীয় কর্মী ছাঁটাই

    কিছুদিন আগেই গুগল থেকে প্রায় ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মার্কিন মুলুকে মন্দার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি এই কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট, গুগলের মত টেক জায়ান্টগুলি। গুগলের ১২,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর সামনে আসতেই বিশ্বের প্রযুক্তি জগতে তৈরি হয়েছে আশঙ্কার পরিবেশ। বিশ্বজুড়ে কোম্পানির বিভিন্ন শাখায় এই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চলবে। এর মধ্যে অনেক কর্মীই ভারতীয়। ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, গত বছরের নভেম্বর থেকে প্রায় ২ লক্ষ আইটি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভারতীয় আইটি কর্মী এইচ-১বি এবং এল১ ভিসায় রয়েছেন। ফলে তাঁদের মেয়াদ শেষের আগে আমেরিকায় বা অন্য জায়গায়  চাকরি খুঁজতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন অনেক চাকরি হারানো প্রবাসী ভারতীয় কর্মী তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

    আরও পড়ুন: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    ভারতীয়দের ভিসার সমস্যা আমেরিকায়

    এইচ-১বি অধীনে থাকা প্রবাসী ভারতীয় কর্মীদের চাকরি যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে হবে। তা না হলে, তাঁদের দেশে ফিরে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামাজন কর্মী গীতা জানিয়েছেন, মাত্র তিন মাস আগে আমেরিকায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এই সপ্তাহে তাঁকে বলা হয় আগামী ২০ মার্চে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। তিনি এইচ-১বি ভিসায় রয়েছেন, ফলে তাঁকে ৬০ দিনের মধ্যে একটি নতুন চাকরি খুঁজতে হবে ,নয়তো তাঁকে ভারতে ফিরে আসতে হবে।

    আরও এক কর্মী সীতা জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি মাইক্রোসফট থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁকে। তিনি একজন ‘সিঙ্গল মাদার’। তাঁর ছেলে হাই স্কুল জুনিয়র ইয়ারে, কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেছেন, “এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য সত্যিই কঠিন।”

    ফলে এটি দুর্ভাগ্যজনক যে হাজার হাজার আইটি কর্মচারী ছাঁটাইয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে যারা এইচ-১বি ভিসায় রয়েছেন, তাঁদের বেশি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কারণ তাঁদের একটি নতুন চাকরি খুঁজে বের করতেই হবে নয়তো দেশ ছাড়তে হবে। 

     

  • H1B Visa: এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে বিল পেশ আমেরিকায়

    H1B Visa: এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে বিল পেশ আমেরিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা নীতি সরলীকরণ করতে চলেছে আমেরিকা। এইচওয়ানবি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রীদের ‘কাজের অধিকার’ নিয়ে মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিভস (House of Representatives)-এ পেশ হয়েছে নতুন এক বিল। যেখানে বলা হয়েছে, এইচ ফোর (H-4) ভিসা হোল্ডারদের কাজের অধিকারের কথা। এই ভিসা হোল্ডাররা এইচওয়ান বি (H-1B visa), এইচ টু এ (H-2A), এইচ টু বি (H-2B), এইচ থ্রি (H-3 visa) ভিসা হোল্ডারদের ওপর নির্ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখেন। অর্থাৎ ভিন দেশ থেকে আসা এই ভিসা হোল্ডারদের (visa holder)সন্তান ও স্ত্রীরা যাতে মার্কিন মুলুকে গিয়ে কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, তার পক্ষে সওয়াল করেছে এই বিল।
    মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিভে এই বিল পেশ করেছেন দুই কংগ্রেসের প্রতিনিধি মহিলা। উল্লেখ্য, বর্তমানে  এইচওয়ান ফোর ভিসা হোল্ডারদের মধ্যে কয়েকটি ক্যাটোগোরির ভিসা প্রাপকরাই কেবল এম্প্লয়মেন্ট অথরাইজেশন ডক্যুমেন্ট পেতে পারেন। H-4 Work Authorization Act নামাঙ্কিত এই বিল বর্তমান নিয়মকে কিছুটা পাল্টে দেওয়ার কথা বলেছে। যাতে এইচওয়ান বি ভিসার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের স্ত্রী বা স্বামীরা এইচফোর ভিসা পেয়ে মার্কিন মুলুকে চাকরি করার ‘স্বয়ংক্রিয়’ অধিকার পেয়ে যান, তার পক্ষে সওয়াল করছে এই নতুন আইনের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব পাশ হলে, Form I-765 এর জন্য আবেদন এইচওয়ান বি ভিসা হোল্ডারদের স্ত্রী বা স্বামীকে না করলেও চলবে।

     

LinkedIn
Share