Tag: HAL

HAL

  • Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    Tejas Mk-1A: ৬২ হাজার কোটি টাকায় ৯৭টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, হ্যালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু যুদ্ধে অংশ নেওয়া বুড়ো ঘোড়াদের অবসরের আগের দিনই নতুন অশ্ব কেনার বরাত দিল ভারত।

    বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান

    ভারতীয় বায়ুসেনায় মিগ যুগের অবসান হতে চলেছে৷ আর তার জায়গা নিচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজস৷ আজ শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর অবসর নিতে চলেছে বায়ুসেনার কিংবদন্তী মিগ-২১ (MiG-21) যুদ্ধবিমানগুলি। ঠিক তার আগের দিন, ৯৭টি মাল্টি-রোল সুপারসনিক লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)-এর সঙ্গে চুক্তি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি এই চুক্তিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল৷

    ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে ডেলিভারি!

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, হ্যাল ৯৭টি যুদ্ধবিমান তৈরি করবে। এর মধ্যে থাকবে ৬৮টি ফাইটার যুদ্ধবিমান। আর বাকি ২৯টি থাকবে টুইন সিটার প্রশিক্ষণ বিমান। ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ থেকে এই যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি শুরু করবে হিন্দুস্তান অ্যারনটিক্স লিমিটেড। বাকি যুদ্ধবিমানগুলি সরবরাহ করা হবে প্রথম ডেলিভারি থেকে শুরু করে ৬ বছরের মধ্যে। এর আগে হ্যালকে ৮৩টি তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমান তৈরির বরাত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    হাতে আসেনি প্রথম বরাতের প্রথম বিমান!

    এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ুসেনা ৪৮,০০০ কোটি টাকায় ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ বিমানের অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হওয়া সত্বেও সেই বিমান সরবরাহ শুরু হয়নি। এই নিয়ে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। উৎপাদনকারী সংস্থা হ্যালের তরফে জানানো হয়, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ার কারণেই এই বিলম্ব। সূত্রের খবর, প্রথম অর্ডারের প্রথম বিমান হাতে আসতে পারে ২০২৫ সালের অক্টোবরে। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে প্রথম এলসিএ মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) যুদ্ধবিমানটি শীঘ্রই আকাশে উড়বে। তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দ্বিতীয় অর্ডার চলে হল।

    মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ উৎপাদন

    নতুন বরাতের ফলে, ভারতীয় বায়ুসেনায় মোট ১৮০টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, হ্যালের বেঙ্গালুরুর কারখানা প্রতি বছর ১৬টি এবং নাসিকে ২৪টি তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk1A) বিমান তৈরি করতে পারে। সেই অনুযায়ী, ২০৩২ সাল নাগাদ ১৮০টি বিমান সরবরাহ হতে পারে বলে অনুমান। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, হ্যাল ভবিষ্যতে আরও ২০০টির বেশি তেজস মার্ক–২ এবং সমসংখ্যক পঞ্চম প্রজন্মের উন্নত মাঝারি যুদ্ধবিমান অ্যামকা তৈরির বড় অর্ডার পেতে চলেছে।

    ১১,৭৫০ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান

    ৪.৫ প্রজন্মের এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানগুলির ৬৪ শতাংশই তৈরি হবে দেশীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে। ফলত, প্রায় ৫০০টি দেশীয় শিল্প, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক ব্যবসার সুযোগ পাবে। বার্ষিক প্রায় ১১,৭৫০ জনের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্পটি ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অগ্রদূত হিসেবে ধরা হচ্ছে। এটি হতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম বড় প্রতীক।

    উত্তম আয়েসা, স্বয়ম রক্ষা কবচ

    এই ফাইটার জেটগুলিতে ৬৭টি অতিরিক্ত ইক্যুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। উত্তম অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে রেডার (UTTAM AESA), স্বয়ম রক্ষা কবচ এবং কন্ট্রোল সারফেস অ্যাকচুয়েটর্সের মতো ইক্যুইপমেন্ট থাকবে এই ধরনের যুদ্ধবিমানে। ইতিমধ্যেই জিই-৪০৪ ইঞ্জিন এসেছে হ্যালের হাতে। এই ধরনের যুদ্ধবিমানে তৈরির জন্য ওই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে। এই যুদ্ধবিমানে মিড-এয়ার রিফুয়েলিং ক্ষমতা থাকবে।

  • LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    LCH Prachand: বৃহত্তম চুক্তিতে ছাড়পত্র মোদি মন্ত্রিসভার, ৬২ হাজার কোটি টাকায় কেনা হবে ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় বিরাট বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার (Modi Government)। প্রতিরক্ষাকে আরও জোরদার করতে দেশে তৈরি ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) বা এলসিএইচ কেনায় চূড়ান্ত ছাড়পত্র (Defence Acquisition) দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (Hindusthan Aeronautics Limited) বা হ্যালের সঙ্গে এই মর্মে চুক্তি করতে চলেছে সরকার। চুক্তির মূল্য ৬২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মোদি মন্ত্রিসভা যে এই হেলিকপ্টার কেনায় ছাড়পত্র দিতে চলেছে, তা আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। সেই কথাই সত্যি হল।

    মার্চ মাসে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা কেনায় ছাড়পত্র

    এর আগে, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৬১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সমরাস্ত্র কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল মোদি সরকার (Modi Government)। একদিকে, ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল বা ডিএসি (DAC) ৫৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যার মধ্যে রয়েছে— সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসা টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের (T-90 Bhisma) জন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, নৌবাহিনীর জন্য অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পিডো (Anti-Submarine Torpedo) এবং বায়ুসেনার জন্য এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল (AEW&C) এয়ারক্রাফট সিস্টেম। এর আগে, একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস (CCS) প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (ATAGS) কেনার বিষয়ে অনুমোদন দেয়। এবার, ৬২ হাজার কোটি টাকার হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) কেনায় ছাড়পত্র দিল মোদি সরকার।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড (LCH Prachand) দেশের গর্ব

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদন পেল। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক এই সামরিক চপার (অ্যাটাক হেলিকপ্টার) তৈরি হবে কর্নাটকে হ্যালের বেঙ্গালুরু ও টুমকুরের কারখানায়। এটাই এখনও পর্যন্ত হ্যালের সবচেয়ে বড় মূল্যের প্রতিরক্ষা বরাত হতে চলেছে। এই ১৫৬টি ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে, একদিকে যেমন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র (LCH Prachand) বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    হ্যাল-নির্মিত ‘প্রচণ্ড’ বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় আনল তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk 1A)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের জন্য আমেরিকা থেকে চলে এল এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines)। ওই ইঞ্জিনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই) অ্যারোস্পেস। প্রথম ইঞ্জিনটি মঙ্গলবার পাঠিয়েছে বলে তেজস নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড) জানিয়েছে।

    চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ

    হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০টি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জিই-র সঙ্গে ৯০টি এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিনের (F404 IN20 Engines) জন্যে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬১৫০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিল হ্যাল। প্রাথমিক ভাবে ২০২৩ সালের শেষপর্ব থেকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে পুরো প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এমনকি, ভারতকে ইঞ্জিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার বিধিনিষেধ বলবৎ করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনার হাতে শীঘ্রই তেজস

    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (Tejas Mk 1A) সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যালের। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines) সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। আগামী কয়েক বছরে ৩০০-রও বেশি তেজস (Tejas Mk 1A) যুদ্ধবিমান শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলিতে। কিন্তু সরবরাহ থমকে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং।

  • LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    LCH Prachand: ৪৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৬টি দেশীয় অ্যাটাক হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে কেন্দ্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষাকে জোরদার করতে গত সপ্তাহেই ৬১ হাজার কোটি টাকার সামরাস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। শীঘ্রই আরও একটি চুক্তিতে অনুমোদন দিতে পারে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দেশে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’-র (LCH Prachand) ১৫৬টি ইউনিট কিনতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করতে পারে কেন্দ্র। এই হাল্কা অ্যাটাক হেলিকপ্টারগুলি (Light Combat Helicopters Deal) ভারতীয় স্থলসেনা ও ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে।

    দ্বিমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি!

    কয়েকদিন আগেই, ভারতীয় সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, বর্তমান সময়ে ভারতের সামনে দ্বিমুখী যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হওয়াটা কোনও কল্পনা নয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এর সম্ভাবনা যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। ফলে, ভারতকে দুই দিকেই (চিন ও পাকিস্তান) প্রতিরক্ষাকে জোরদার করে রাখতে হবে। সদা-সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে যে কোনও দিন দ্বিমুখী সংঘাত পরিস্থিতির জন্য। আর সেই জন্য, সামরিক দিকগুলোয় যেখানে যা দুর্বলতা বা ফাঁকফোকড় রয়েছে, তা দ্রুত ভরাট করতে হবে। সূত্রের দাবি, পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে নিরাপত্তা অভিযান বাড়ানোর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হেলিকপ্টারগুলি অধিগ্রহণের পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করছে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ড দেশের গর্ব (LCH Prachand)

    জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জুনে মাসে, হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Light Combat Helicopters Deal) নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র পেয়েছিল। সেই নিয়ে আলোচনা-পর্ব মেটার পর এখন তা চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। এই ১৫৬টি হেলিকপ্টারের মধ্যে ৯০টি ভারতীয় স্থলসেনার জন্য এবং ৬৬টি ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বরাদ্দ করা হবে। এই প্রস্তাব অনুমোদন পেলে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও সুরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে, প্রতিরক্ষা উৎপাদনে দেশে জোয়ার আসবে, যা মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর (Atmanirbhar Bharat) পক্ষে জোরালো সওয়াল হবে এবং একইসঙ্গে ভারতে কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

    এক নজরে হ্যাল এলসিএইচ প্রচণ্ড-র বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

    ‘প্রচণ্ড’ (LCH Prachand) বিশ্বের একমাত্র আক্রমণকারী বা অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা ৫,০০০ থেকে ১৬,৪০০ ফুট উচ্চতায় অবতরণ ও উড়তে সক্ষম। সিয়াচেন হিমবাহ ও পূর্ব লাদাখের মত অতি উচ্চ এলকায় যুদ্ধের জন্য এগুলি আদর্শ।

    অধিক উচ্চতার অভিযানে দক্ষতার পাশাপাশি, প্রচণ্ড হেলিকপ্টারগুলি আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত।

    প্রচণ্ড চপারগুলো ডেটা চিপ দিয়ে সংযুক্ত, যা তাদের নেটওয়ার্ক-কেন্দ্রিক অভিযানে অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়। ডেটা চিপগুলির জন্য এই কপ্টারগুলি সামরিক অভিযানে সমন্বয় গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে সহায়ক হয়ে ওঠে।

    এলসিএইচ প্রচণ্ডকে (LCH Prachand) ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া-য় জোর, গুরুত্ব আত্মনির্ভর ভারত-কে

    মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে এবং আত্মনির্ভর ভারত (Atmanirbhar Bharat) প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে ইতিমধ্যেই হ্যালকে ৮৩টি এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে এবং আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তার মধ্যেই, এবার ১৫৬টি এলসিএইচ-এর (LCH Prachand) বরাত পেতে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। কেন্দ্রের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার পরিষদ বা কেবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি ৩০৭টি অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম (এটিএজিএস) কেনার জন্য ৭ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তিও অনুমোদন করেছে, যা বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য প্রত্যাশিত। এই হাউইৎজারগুলি ভারত ফোর্জ এবং টাটা গ্রুপ দ্বারা উৎপাদিত হবে।

  • Prachand LCH: হ্যালের তৈরি ৪টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কিনছে নাইজিরিয়া

    Prachand LCH: হ্যালের তৈরি ৪টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কিনছে নাইজিরিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ক্রমশ ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠছে ভারত। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসার পর প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিক্রির উপরে ভারত বিশেষ নজর দিয়েছে। এবার ভারতীয় সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল (HAL) ‘প্রচণ্ড’ লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH) রফতানি করতে চলেছে। নাইজিরিয়ায় চারটি ‘প্রচণ্ড’ হেলিকপ্টার (Prachand LCH) প্রথম রফতানি করা হবে। শীঘ্রই এই বিষয়ে নাইজিরিয়ার (Nigeria) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে বলে, হ্যাল সূত্রে খবর।

    হ্যালের সঙ্গে চুক্তি সময়ের অপেক্ষা

    রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালের (HAL) এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, নাইজিরিয়ার সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। সম্প্রতি রোটারি উইং অ্যাকাডেমিতে নাইজিরিয়ার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ধ্রুব হেলিকপ্টারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ তাঁদের লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (Prachand LCH) চালনার জন্য প্রস্তুত করেছে। অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (এএলএইচ) ধ্রুব হেলিকপ্টারের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে এলসিএইচ প্রচণ্ড-কে। ধ্রুব মূলত ইউটিলিটি কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে এলসিএইচ প্রধানত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক এবং অ্যান্টি-পার্সোনেল হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই হেলিকপ্টারে সামনে রয়েছে ৭০ মিমি বন্দুক, যা মিনিটে ১ হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়তে সক্ষম। এছাড়া, দুদিকের ডানায় রয়েছে রকেট-পড। এর পাশাপাশি, এই হেলিকপ্টার থেকে আকাশ-থেকে ভূমি ‘ধ্রুবাস্ত্র’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করাও যায়।

    দেশে তৈরি প্রথম এলসিএইচ ‘প্রচণ্ড’ (Prachand LCH)

    দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি দেশের প্রথম লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার হল ‘প্রচণ্ড’ । ৫০০০ থেকে ৬০০০ হাজার মিটার উচ্চতায় এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার টেক অফ এবং ল্যান্ড করতে পারে। টুইন ইঞ্জিন সম্পন্ন ৫.৮ টন ক্লাসের এই লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৬৮ কিলোমিটার এবং রেঞ্জ ৫৫০ কিলোমিটার (Prachand LCH)। নাইজিরিয়ার (Nigeria) সশস্ত্র বাহিনী এই অ্যাটাক হেলিকপ্টারকে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম এবং উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য অঞ্চলে অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চায়।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার পর থেকে প্রথমবার! ভারতবাসীর খাদ্যশস্যের খরচে উল্লেখযোগ্য হ্রাস

    দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির অঙ্ক বাড়ছে

    কেন্দ্রে মোদি (PM Modi) সরকার আসার পর থেকেই ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির অঙ্ক বাড়ছে প্রতি বছরই। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি (Prachand LCH) করেছিল ভারত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ৩২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ভারতের লক্ষ্য ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই অঙ্ক ৩৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। হ্যাল (HAL) সেই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে চলেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL) সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কেনা হবে বায়ুসেনায় ব্য়বহৃত সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের জন্য ২৪০টি এরো-ইঞ্জিন। নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে, প্রতিরক্ষা উৎপাদন সচিব সঞ্জীব কুমার এবং বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং হ্যাল-এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  

    ভারতেই তৈরি হবে ইঞ্জিন

    সুখোই ভারতের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান যুদ্ধবিমান। তথ্য বলছে, বায়ুসেনায় এই মুহূর্তে রুশ-জাত সুখোইয়ের সংখ্যা ২৬০টি। এ বছরের শেষদিক থেকে এই বিমানগুলোর ইঞ্জিনের মেয়াদ ফুরনো শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের হাতে এখন যত সুখোই বিমান রয়েছে, সেগুলো পুরো পাল্টাতে সবমিলিয়ে ৯০০টি ইঞ্জিন লাগবে। গোড়ায় ২৪০টি ইঞ্জিনের বরাত পেল হ্যাল। এতদিন, সুখোইয়ের ইঞ্জিনের দরকার হলে আমাদের রাশিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। সেই পরিস্থিতি আর থাকছে না। এবার ওড়িশার কোরাপুটে হ্যালের কারখানাতেই তৈরি হবে সুখোইয়ের ইঞ্জিন। এই জন্য রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি দেবে। ইঞ্জিনের খুব সামান্য পরিমাণ যন্ত্রাংশই সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে।

    ৮ বছরের মধ্যে ডেলিভারি 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হ্যালের থেকে এই এরো ইঞ্জিন কেনার বিষয়টি, বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করবে, এছাড়াও সেনার অপারেশনগুলি বিনা বাধায় এরফলে এগোতে পারবে, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রস্তুতিকে চাঙ্গা করবে। এই ২৪০টি ইঞ্জিনের ডেলিভারি আগামী ৮ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: চারদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং, হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    Rajnath Singh: চারদিনের সফরে মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন রাজনাথ সিং, হতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার পোল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সেখান থেকে তিনি যাবেন ইউক্রেনে। এবার চার দিনের মার্কিন মুলুক (US) সফরে যাচ্ছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। চারদিনের সরকারি সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন রাজনাথ।

    আমেরিকা সফরে রাজনাথ (Rajnath Singh)

    ২৩ অগাস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। থাকবেন ২৬ তারিখ পর্যন্ত। রাজনাথের এই সফরে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজনাথ। একথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। এই সফরে রাজনাথ সাক্ষাৎ করবেন প্রেসিডেন্ট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট জ্যাক সুলিভানের সঙ্গেও। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন স্তরে প্রতিরক্ষা এনগেজমেন্টের ব্যকড্রপে হচ্ছে রাজনাথের এই সফর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-মার্কিন কম্প্রিহেনসিভ গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপকে আরও গভীর এবং চওড়া করা হবে বলে আশা।

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    মনে রাখতে হবে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে। গত বছর রাজনাথের (Rajnath Singh) সঙ্গে অস্টিনের বৈঠক হয়েছিল। তার আগে আগে হয়েছিল ভারত-মার্কিন ২+২ মিনিস্ট্রিয়াল ডায়লগ। জটিল ক্ষেত্রগুলিতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত টেকনোলজি কো-অপারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। এই সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করবেন। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন মার্কিন ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্তাদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    জানা গিয়েছে, মার্কিন মুলুকে কিছু মিলিটারি ফেসিলিটি ঘুরে দেখবেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর চলতি সফরে ৩১টি এমকিউ ৯বি প্রিডেটর ড্রোন কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতে জিই এফ ৪১৪ ইঞ্জিনের উৎপাদন নিয়ে কথা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে। জিই-হল চুক্তি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। গত বছর জুনে মোদি যখন বাইডেন সরকারের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউস সফরে গিয়েছিলেন তখনই স্বাক্ষরিত হয়েছিল জিই হাল চুক্তি (GE HAL Pact)। অস্টিন-রাজনাথের আগের বৈঠকেও উঠেছিল বিষয়টি। এবারও (Rajnath Singh) উঠবে বলেই আশাবাদী (US) বিশেষজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, জিই (GE) হল জেনারেল ইলেকট্রিক অ্যারোস্পেস এবং হাল (HAL) হল হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Guyana Relation: প্রতিরক্ষা সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! ভারত থেকে পণ্যবাহী বিমান কিনছে গায়ানা

    India Guyana Relation: প্রতিরক্ষা সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! ভারত থেকে পণ্যবাহী বিমান কিনছে গায়ানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ানাকে হিন্দুস্থান অ্যারোনোটিক্স লিমিটেড বা হ্যালের তৈরি দুটি ডর্নিয়ার-২২৮ সামরিক পণ্যবাহী বিমান সরবরাহ করেছে ভারত (India Guyana Relation)। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার একটি দল গায়ানায় রয়েছে। ওই দলই বিমান দুটি গায়ানার হাতে তুলে দেবে। ভারতের তরফে বার্তা, ডর্নিয়ার বিমান হস্তান্তর ভারত ও গায়ানার মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

    ভারতকে ধন্যবাদ

    ভারত থেকে বিমান নিয়ে গায়ানায় যাওয়া ভারতীয় বায়ুসেনার (India Guyana Relation) দলকে সেই দেশে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভারতের হাইকমিশন জানায়, “এই চুক্তির ফলে ভারত-গায়ানা দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।” এই বিমানগুলি গায়ানায় নানা কাজে ব্যবহার করা হবে। দূরবর্তী অঞ্চলে সংযোগ স্থাপন, চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া, দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য দানে ব্যবহার করা হবে ডর্নিয়ার বিমানগুলি।

    গায়ানার প্রেসিডেন্টের বার্তা

    গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি জানান এই বিমানগুলি রবিবারই পৌঁছে গিয়েছে। তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড গায়ানা প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দুটি ডর্নিয়ার-২২৮ প্লেন সরবরাহ করেছে। বিমান দুটি বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার সামরিক পরিবহণ বিমানে চড়ে গত সন্ধ্যায় চেড্ডি জগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।”

    প্রসঙ্গত, গায়ানার (India Guyana Relation) প্রেসিডেন্ট ইরফান আলির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক রয়েছে। ইন্দো-গুয়ানিজ মুসলিম পরিবারে জন্ম ইরফান আলির। ব্রিটিশ জমানায় তাঁর পূর্বপুরুষরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে গায়ানা যান। তাঁর কথায়, ভৌগোলিকভাবে দুটি দেশ আলাদা হলেও দুই দেশের ঔপনিবেশিক অতীত, প্রধানত কৃষি এবং গ্রামীণ-ভিত্তিক অর্থনীতি এবং বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ উভয়কে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রধান স্তম্ভ সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান। রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানের বড় আধুনিকীকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিমানে যেমন যুক্ত হতে চলেছে নতুন রেডার, মিশন কন্ট্রোল সিস্টেম। তেমনই এতে বাড়ানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা এবং আধুনিক ও পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্রবহণের ক্ষমতা। 

    ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

    সূত্রের খবর, এই বিশাল প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) — যৌথভাবে এই আধুনিকীকরণের কাজ করবে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হবে দেশের বেসরকারি সংস্থাও। 

    ২ পর্বে হবে আধুনিকীকরণ

    সম্প্রতি, দুদিকের শত্রু থেকে দেশের আকাশকে রক্ষা করতে এবং আধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে এই প্রকল্পকে দ্রুত সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। জানা গিয়েছে, মোট ২ পর্বে এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে যুদ্ধবিমানের (Sukhoi-30 MKI) এভিয়োনিক্স ও রেডার সিস্টেম উন্নত করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নত করা হবে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর

    প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর ফলে, দেশীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র-সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে কেনা ও ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের সিংহভাগে পুরনো সেকেলে রুশ সরঞ্জামকে সরিয়ে দেশীয় সিস্টেম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    দেশীয় রেডার ও ইডব্লু সিস্টেম

    যেমন, সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত রুশ রেডারের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম দেশীয় ‘উত্তম’ রেডার। এর পাল্লাও অনেকটাই বেশি। আধুনিকীকরণের প্রথম পর্যায়ে বিমানে নতুন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লু) সিস্টেম বসানো হবে। এর ফলে, শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অকেজো করা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল টার্গেট করতে বসানো হচ্ছে দেশে তৈরি অত্যাধুনিক মানের নতুন ইনফ্রা-রেড ট্র্যাক অ্যান্ড সার্চ সিস্টেম।

    দেশেই তৈরি হচ্ছে আরও সুখোই

    ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) ২৭০-এর বেশি সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা রাশিয়া থেকে কিনেছে ভারত। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯০টি বিমানের আধুনিকীকরণ হবে, যা শুরু হতে চলেছে চলতি বছরেই। পরের ধাপে ধীরে ধীরে সবকটি বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর পাশাপাশি, ১১ হাজার কোটি টাকায় আরও ১২টি যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি তৈরি হচ্ছে এদেশেই। হ্যাল-এর কারখানায় সেগুলি উৎপাদন হচ্ছে, যাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় যুদ্ধবিমান লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) সংস্করণের উৎপাদন জোরকদমে চলছে। প্রথম বিমানের নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হতে পারে, প্রথম তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানটি মার্চ মাসেই হস্তান্তর করা হবে। একইসঙ্গে, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে তেজসের সর্বাধুনিক সংস্করণ মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের (HAL Tejas Mk2) প্রথম প্রোটোটাইপের পূর্ব-প্রস্তুতি পর্ব। সূত্রের খবর, ২০২৭ সাল নাগাদ এই মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের উৎপাদন শুরু হতে পারে।

    প্রথম তেজস মার্ক-১এ মার্চ মাসেই?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় কমতে থাকা যুদ্ধবিমানের সংখ্যার মোকাবিলা করতে ২০২১ সালে তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) কেনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমানে ব্যবহৃত মার্ক-১ যুদ্ধবিমানগুলির তুলনায় মার্ক-১এ সংস্করণের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এছাড়া এতে রয়েছে নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক রেডার, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, মিড-এয়ার রিফুয়েলিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা। এমন ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছিল দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল-কে। জানা যাচ্ছে, প্রথম বিমানটি মার্চ মাসেই বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। অগাস্ট মাস নাগাদ বায়ুসেনার হাতে চলে আসতে পারে ৪টে তেজস মার্ক-১এ।

    উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর 

    সূত্রে খবর, প্রথমে বরাত দেওয়া ৮৩টি মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) ছাড়াও আরও অতিরিক্ত ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবছে বায়ুসেনা। বর্তমানে, দেশে যুদ্ধবিমান উৎপাদনের বার্ষিক ক্ষমতা ৮। অর্থাৎ, ফি-বছর ৮টি যুদ্ধবিমান উৎপাদনের ক্ষমতা ও পরিকাঠামো রয়েছে দেশে। সেটিকে বাড়িয়ে ১৬ করার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত, চলতি বছরেই সেই পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, বায়ুসেনায় নতুন বিমানের অন্তর্ভুক্তিকরণের সময় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ২০২৭ সালেই তেজস মার্ক-২

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, একবার উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে, তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমান (HAL Tejas Mk2) নিয়ে দ্রুত এগনো সম্ভব হবে। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তা হল— ২০২৫ সালের মধ্যে তেজসের এই মিডিয়াম কমব্যাট ভেরিয়েন্ট বা সংস্করণের প্রথম প্রোটোটাইপ উন্মোচিত হবে। সেটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ২০২৭ সাল নাগাদ এই বিমানের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) তুলনায় মার্ক-২ আরও অনেক বেশি ভারী ও শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, এটি এলসিএ শ্রেণিভুক্ত না হয়ে মিডিয়াম ক্যাটেগরিতে স্থান পেয়েছে। এটির ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা অনেক বেশি হতে চলেছে। পাশাপাশি, ক্ষেপণাস্ত্রের বৈচিত্র্যেও এটি পূর্বসূরিদের টেক্কা দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share