Tag: harshabardhan shringla

  • Sadanandan Master: আরএসএস করার অপরাধে দুই পা কেটে নেয় সিপিএম, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কেরলের সদানন্দন মাস্টার

    Sadanandan Master: আরএসএস করার অপরাধে দুই পা কেটে নেয় সিপিএম, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কেরলের সদানন্দন মাস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) রাষ্ট্রপতি মনোনীত চার সদস্যের নাম ঘোষণা করল রাইসিনা হিলস। রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন। যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা হলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম, কেরলের সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ শ্রী সদানন্দন মাস্টার, প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈন। জাতীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চার জনের মনোনয়নের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তর ও ক্ষেত্রকে প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে কেরলের সদানন্দন মাস্টারের (Sadanandan Master) মনোনয়ন অনুপ্রেরণামূলক সিদ্ধান্ত। তাঁর জীবন আদর্শের জন্য সংঘর্ষ, সাহস ও দীর্ঘ সংকল্পে মোড়া।

    ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সদানন্দ মাস্টারের দুই পা কেটে নেয় সিপিএম

    ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সদানন্দন মাস্টারের (Sadanandan Master) বয়স তখন মাত্র ৩০ বছর। সেই সময়ে তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শ ত্যাগ করে যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। ঠিক এই কারণেই সিপিএমের সন্ত্রাসীরা তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ সেই হামলায় তাঁর দুটি পা কেটে ফেলা হয়। পরবর্তীকালে তিনি কৃত্রিম পায়ে হাঁটতে শেখেন। এই ঘটনার পর থেকে তিনি আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে। ২০১৬ সালে, সিপিএমের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই তিনি কেরালার কুথুপারাম্বা থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী হন। চরম রাজনৈতিক হিংসার পরিবেশে তিনি সমগ্র নির্বাচনী এলাকা জুড়ে প্রচার চালান। কেরলে কমিউনিস্টদের রাজনৈতিক সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। প্রায়ই আরএসএস-এর কার্যকর্তাদের উপর হামলা হয়, চলে হত্যা ও হিংসার রাজনীতি। এই হিংসার শিকার হওয়া আরএসএস সদস্যদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সদানন্দন মাস্টার (Sadanandan Master)। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আজ একটি প্রেরণার প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন, রাজনৈতিক হিংসার মুখেও আদর্শে অবিচল থাকা যায়।

    মানবতার বিরুদ্ধে সিপিএম

    ২০১৬ সালে যে এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, সেই এলাকায় একাধিক গ্রাম ‘কমিউনিস্ট পার্টি ভিলেজ’ নামে পরিচিত ছিল। অর্থাৎ, সিপিএমের গ্রাম। কান্নুর জেলায় এমন প্রায় চল্লিশটি গ্রাম পাওয়া যায়, যেখানে সিপিএম বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলকে কার্যত ঠাঁই দেয়নি। এসব গ্রামের মধ্যে কয়েকটির নাম—চকলি, পরাদ ইত্যাদি। এই এলাকাগুলিতে গেলে চোখে পড়ে বড় বড় সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা থাকে, “Welcome to Communist Party Village”।

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিরোধী দলকে টিকতে না দেওয়া এবং এমন সাইনবোর্ড টাঙানোই আসল ফ্যাসিবাদের পরিচয়। শুধু তাই নয়, এই গ্রামগুলিতে কোনও বিরোধী দলের পোস্টারও লাগানোর অনুমতি নেই। সিপিএমের এই ধরনের কার্যকলাপ মানবাধিকার এবং ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। এই রকম এক এলাকাতেই ২০১৬ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন সদানন্দন মাস্টার।

LinkedIn
Share