মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীনগরের হযরত বাল দরগায় সম্প্রতি একটি ফলক (স্মারক পাথর) স্থাপন করা হয়, যেখানে ভারতের জাতীয় প্রতীক ‘অশোক স্তম্ভ’ (অশোক চিহ্ন) ছিল (Ashoka Emblem)। শুক্রবার ওই ফলকটিতে একদল মৌলবাদী হামলা চালায় এবং তা ভেঙে ফেলে। তাদের দাবি, এই জাতীয় প্রতীকের ইসলামের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এবং জাতীয় প্রতীকের ব্যবহার করে ইসলামের ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শ্রীনগরে।
ঘটনাকে সমর্থন করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তানভীর সাদিক
ন্যাশনাল কনফারেন্সের (Srinagar) নেতা তানভীর সাদিক সংবাদমাধ্যমে জানান, ইসলামে মূর্তি পুজো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং ওই ফলকে ব্যবহৃত প্রতীক ইসলামের বিশ্বাসের পরিপন্থী (Ashoka Emblem)। নিজের সমাজ মাধ্যমে তানভীর আরও লেখেন, “ইসলামের পবিত্র স্থানগুলিতে শুধু ‘তাওহীদের পবিত্রতা’ প্রতিফলিত হওয়া উচিত, অন্য কিছু নয়।” অনেকেই বলছেন, বোঝাই যাচ্ছে, নিজের হাতে তানভীর ওই জাতীয় প্রতীক না ভাঙলেও, তাঁর ভয়ঙ্কর উস্কানি ছিল। এই জাতীয় প্রতীক ভাঙার ঘটনায় তিনি নিন্দা তো জানাননি, উল্টে যারা ভেঙেছে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে নিজের বাড়িতে ডেকে জঙ্গিদের খাওয়ানোর।
বাড়িতে ডেকে জঙ্গিদের খাওয়ায় তানভীর সাদিক, অভিযোগ ডঃ আন্ধ্রাবির
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারপার্সন ডঃ দরখশান আন্ধ্রাবি। তিনি এটিকে একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে।যদিও তিনি সরাসরি নাম করেননি, তবে তানভীর সাদিকের ভূমিকা প্রসঙ্গে ডঃ আন্ধ্রাবি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, তানভীর সাদিকই দরগায় অশোক স্তম্ভ (Ashoka Emblem) বসানোর বিরোধিতা করেছিলেন, এবং তিনিই এই হামলার মদতদাতা। তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, “ওই বিধায়ক (তানভীর) নিজের বাড়িতে জঙ্গিদের খাওয়ান, আর জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে (Srinagar)।”