Tag: Health News

Health News

  • Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    Tooth decay: দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই কি বিপদ এড়ানো যাবে? দাঁতের ক্ষয়রোগ রুখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    চকলেট, আইসক্রিম বা ঘরের তৈরি ডাল-ভাত, যে কোনও খাবারেই হতে পারে দাঁতের ক্ষয়রোগ। তবে আধুনিক খাদ্যাভ্যাসে এমন নানান জিনিস খাবারের তালিকায় যোগ হচ্ছে, যাতে দাঁতের ক্ষয়রোগের (Tooth decay) ঝুঁকি বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনে এক-দুবার দাঁত ব্রাশ করলেই সেই ঝুঁকি কমবে না। বরং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দাঁত পরিষ্কার না করলে, বিপদ বাড়তে পারে। শিশুদের প্রথম থেকেই নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে দাঁত ও মুখের ভিতর পরিষ্কার করার অভ্যাস রপ্ত করানো জরুরি। তাহলে তাদের দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি কমবে। মুখের ভিতরে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে। কিন্তু দাঁত পরিষ্কারের কোন পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি?

    কখন দাঁত ব্রাশ করতে হবে? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা রাতে খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই ব্রাশ করা উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রাশ করার সময় অত্যন্ত জরুরি। রাতে খাবার খাওয়ার পরেই ব্রাশ করলে অনেক সময়েই তা ক্ষতি হতে পারে। কারণ, খাবার খাওয়ার পরে প্রায় এক ঘণ্টা মুখের ভিতরে নানান ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড সক্রিয় থাকে। সেই সময়ে দাঁতে ব্রাশ ঘষলে কার্যত ব্যাকটেরিয়া ঘষা হয়। তাছাড়া ওই অ্যাসিড আর টুথপেস্ট একসঙ্গে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে। আর কিছুই উপকার হয় না। তাই খাওয়ার অন্তত একঘণ্টা পরে ব্রাশ করা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনিট পনেরো পরেই ব্রাশ করা যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শুধু ব্রাশ করলেই জীবাণুমুক্ত হয় না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু ব্রাশ করলেই মুখ জীবাণুমুক্ত হয় না‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, মুখের ভিতরে এমন নানান জায়গা থাকে, যেখানে ব্রাশ করলেও জীবাণু থেকে যায়। মুখের ভিতরের সব জায়গায় ব্রাশ পৌঁছতে পারে না। তাই ব্রাশ করার পাশপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু দাঁত ব্রাশ যথেষ্ট নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্লাগ বা ক্ষতিকারক উপাদান জমে থাকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে। তাই ব্রাশ করার সময়ে সেই জায়গা পরিষ্কার করা জরুরি। না হলে মুখের ভিতর জীবাণুমুক্ত হবে না।‌ দাঁতের নানান সমস্যাও (Tooth decay) দেখা দিতে পারে।

    কতক্ষণ ব্রাশ করা উচিত? (Tooth decay)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করতে কত সময় লাগবে, এই নিয়ে নানান সংশয় রয়েছে‌। দাঁত ব্রাশ করতে মিনিট তিনেক সময় লাগে। তবে দাঁত ব্রাশ করার নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জোরে জোরে উপর-নীচে ব্রাশ চালিয়ে দাঁত পরিষ্কার করেন। এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল। দাঁত ব্রাশ করতে হবে গোল গোল করে। অর্থাৎ, একসঙ্গে দুই বা তিনটি দাঁতের উপরে ব্রাশ রেখে, গোল গোল করে দাঁত ঘষতে হবে। তাহলেই দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার হবে। দাঁতও ভালো থাকবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁত ব্রাশ করার পাশপাশি মুখ ধোয়ার অভ্যাস জরুরি। বিশেষত শিশুরা অনেক সময়েই দিনে একাধিকবার মিষ্টিজাতীয় খাবার খায়। বারবার তাদের ব্রাশ করা হয় না। কিন্তু মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই মুখের ভিতরে ভালো করে জল দিয়ে ধোওয়া জরুরি। এতে দাঁতের ক্ষয়রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো‌ যায়।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    Muscle cramps: হঠাৎ পায়ে-কোমরে খিঁচ! কেন হচ্ছে এই সমস্যা? কীভাবে মোকাবিলা করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘুম থেকে উঠে‌ কিংবা নিত্যদিনের ঘরোয়া কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পা কিংবা কোমরে যন্ত্রণা অনুভব হয়। অনেকেই হঠাৎ এই পা, ঘাড় কিংবা কোমরের পেশিতে খিঁচ (Muscle cramps) অনুভব করেন। যার ফলে দিন কয়েক ধরে ভোগান্তি চলে। স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হয়। এমনকী মারাত্মক ব্যথার জন্য অনেক সময় হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের ঘন ঘন এই ধরনের পেশিতে টানের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আর তখন বাড়তি সতর্কতা জরুরি। বারবার দেহের বিভিন্ন পেশিতে টান, জানান দেয় শরীরে একধিক ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। সতর্ক না হলে বড় বিপদ হতে পারে।

    কেন‌ বারবার পেশিতে খিঁচ ধরে? (Muscle cramps)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেশিতে খিঁচ বা টান অনুভব হয় মূলত দূর্বলতার কারণে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের ক্ষমতার বাইরে একটানা পরিশ্রম করলে, পেশি দুর্বল হয়ে যায়। আর তখন পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হয়। আর তার জেরেই পেশিতে টান বা খিঁচের মতো সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়ে খেলোয়াড়দের প্র্যাক্টিসের সময় পেশিতে টান ধরে। লাগাতার অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই এই সমস্যা হয়। দুর্বলতার পাশপাশি শরীরে জলের অভাব পেশিতে খিঁচের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশ জল থাকে। সেই জলের সাহায্যেই মানুষের শরীরের একাধিক অঙ্গ সক্রিয় থাকে। পেশির সচলতা বাড়াতেও শরীরের ভিতরের জল সাহায্য করে। শরীরে এই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না থাকলেই পেশিতে নানান সমস্যা দেখা যায়। তার জেরেই কোমর, ঘাড় কিংবা হাতে-পায়ে খিঁচের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    তবে, এর পাশপাশি শরীরে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিনের ঘাটতি হচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে এই উপাদানের ঘাটতি হলেই দুর্বলতা দেখা দেয়। পেশি শক্তি কমে এবং খিঁচ হতে পারে (Muscle cramps)।

    কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, লাগাতার কাজ করবেন না। দিনে যতই কাজের চাপ থাকুক না কেন, কাজের ফাঁকে অন্তত আধ ঘণ্টা অন্তর কিছুটা সময় বিশ্রাম জরুরি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরুর আগে কিছুটা সময় শারীরিক কসরত জরুরি। তবেই পেশি সচল থাকবে। পেশিতে টান ধরার (Muscle cramps) সমস্যাও কমবে।
    নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে জলের ঘাটতি না হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকিও কমে।
    জল খাওয়ার পাশপাশি ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত লেবুর রস, ডিম খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যায়। দুর্বলতা কম হয়‌। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়। ফলে, পেশিতে টান ধরার সমস্যাও কমে।
    নিয়মিত যে কোনও ধরনের বাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের খাবার থেকে শরীর সহজেই পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে‌। এর ফলে শরীরের পেশি মজবুত হয়। খিঁচের ঝুঁকিও কমে (Muscle cramps)।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    Hypertension: নাক থেকে রক্তপাত, ঝাপসা দৃষ্টি! কোন রোগের লক্ষণ? কোন দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়লে হানা দেয় নানা রোগ। বিশেষত জীবন যাপন সংক্রান্ত নানা রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের সমস্যা কিংবা উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কম বয়সে অনেকেই এই রোগ নিয়ে বিশেষ নজর দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। দেশের তরুণ প্রজন্মের একাংশ ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বয়সের সীমারেখায় আর রোগ আটকে থাকছে না। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) ভুগছেন। কিন্তু উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক না থাকার জেরে নানান বিপদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

    কেন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি? (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ একাধিক জটিল রোগের কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১২০/৮০ হল যে কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ। ১৪০/৯০ রক্তচাপ ছাড়ালেই তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বলা যেতে পারে।
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা মারাত্মক ভাবে বাড়ছে‌। আর তার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। বিশেষত কম বয়সীদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতনতা একেবারেই তলানিতে। তাই অনেক সময়েই স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদ এড়ানো কঠিন হয়ে যায়। কম বয়স থেকেই অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। এর ফলে অবসাদ এবং মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
    এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। এদেশে ডিমেনশিয়া একটি মহামারির আকার ধারণ করছে। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ব্যহত হচ্ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কীভাবে বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় (Hypertension) আক্রান্ত হলে ক্লান্তিবোধ, বমি ভাবের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ জানান দেয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা।

    নাক থেকে রক্তক্ষরণ

    লাগাতার সর্দি-কাশি কিংবা সাইনাসের মতো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ নাক থেকে রক্তপাত (Nosebleeds) হলে সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নাক থেকে রক্তপাত উচ্চ রক্তচাপের (Hypertension) লক্ষণ। মাঝেমধ্যে নাক থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্তপাত হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়।

    তীব্র মাথার যন্ত্রণা

    নানান কাজের চাপে অনেকের প্রায় মাথার যন্ত্রণা হয়। বিশেষত যারা দিনের দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাথার যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই মাথা যন্ত্রণার কারণ উচ্চ রক্তচাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বারবার মাথা যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা যায়। তীব্র মাথার যন্ত্রণা হলে, বিশেষত মাথার পিছনের অংশে যন্ত্রণা অনুভব হলে সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    ঝাপসা দৃষ্টিতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি (Hypertension)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখেন। হয়তো চোখে জল দিয়ে ধুয়ে সাময়িক সমস্যা মেটান। কিন্তু বারবার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে রেটিনা ও তার আশপাশের রক্তনালীতে চাপ বাড়ে। এর ফলেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়, তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

    শ্বাসকষ্টের সমস্যা

    শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা করলে ফুসফুসের উপরে মারাত্মক চাপ পড়ে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো জীবন যাপন জরুরি। ধুমপান কিংবা মদ্যপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কারণ এগুলো এদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সময় মতো পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা (Hypertension) নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে আরেকটি মহামারি, যার নাম আত্মহত্যা (Suicide)! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে এই সমস্যা। অধিকাংশ সময়েই অসাবধানতার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বাড়ালেই সমস্যা কমতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদ ঘটার আগে অসচেতনতার কারণে কিছুই টের পাওয়া যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এখনও তলানিতে। পরিবারের পাশে থাকা মানসিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক সমস্যা হলে পরিবারকেই আগে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার আক্রান্তের সমস্যা বুঝতেই পারে না। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়। তাই আত্মহত্যা আরেকটি মহামারির আকার ধারণ করছে।

    ভারতের পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক? (Suicide)

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতোই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি।‌ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। পাশপাশি, উদ্বেগজনকভাবে কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন ভারতে আত্মহত্যা বেড়েছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ খারাপ ব্যবহার এবং একাকিত্ব। কর্মক্ষেত্রে কিংবা পরিবারের কাছের মানুষের লাগাতার খারাপ ব্যবহারের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত হেনস্থার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবসাদগ্রস্ত হলেও তাঁরা অধিকাংশ সময়, তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকছেন না। এর ফলে তাঁরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না। বরং, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

    কীভাবে চিহ্নিত করবেন? (Suicide)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতোই আত্মহত্যার প্রবণতারও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সে সম্পর্কে সতর্ক আর সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই অভ্যাস বদলে যাওয়া, এর প্রথম লক্ষণ! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেল। নিজের মতোই সময় কাটাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে কোনও বিষয়েই কথা বলা বা আলোচনা করছেন না। তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের আচরণ দেখা দিলে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ১২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর বন্ধ করে নিজেদের মতো থাকে। অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, নিজের মতো থাকার অভ্যাসে একাকিত্ব গ্রাস করছে কিনা (Suffering)!

    নানান ওষুধে অভ্যস্ত?

    পরিবারের কেউ হঠাৎ করেই নানান ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ নানা রকমের ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুঝতে হবে, তাঁর মধ্যে নানা রকম অ্যাংজাইটি কাজ করছে। তাই সতর্কতা জরুরি। ভীষণ রকমের উদ্বেগ থেকেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    আলোচনা করা জরুরি

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা বলে, ‘আমাকে নিয়ে বেশি দিন‌ সমস্যা থাকবে না!’ কিংবা ‘এই রকম সমস্যায় তোমাদের আর পড়তে হবে না’, এই ধরনের কথা! এগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অভিভাবকদের অনেকেই এই ধরনের মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সন্তান এই রকম কথা বললে, তার সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সময় দেওয়া দরকার। তার নানান কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তবেই বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারের জেরে কার্যক্ষমতা কমছে কোন অঙ্গের? কীভাবে অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে?

    Fatty Liver: ফ্যাটি লিভারের জেরে কার্যক্ষমতা কমছে কোন অঙ্গের? কীভাবে অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    লিভারে বাড়তি মেদ জমার জেরেই বাড়ছে বিপদ! কম বয়সি ছেলেমেয়ে থেকে বয়স্ক-অনেকেই এখন ফ্যাটি লিভারের (Fatty Liver) সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারে অতিরিক্ত মেদ জমার সমস্যা মূলত দুটি কারণে হচ্ছে, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অতিরিক্ত পরিমাণে তেলমশলা যুক্ত চটজলদি খাবার খাওয়া। তবে, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, নন অ্যালকোলহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্তদের সংখ্যা উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপান না করলেও অনেকের শরীরে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যা তৈরি করছে। তবে এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে শুধুই লিভার নয়, শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে। যার ফলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন‌যাপন কঠিন হয়ে যায়। জানেন কি, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে কোন কোন অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে?

    পেটের সমস্যা বাড়ে (Fatty Liver) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হলে পেটে ব্যথা হয়। এটি ফ্যাটি লিভারের অন্যতম উপসর্গ। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে হজমের গোলমাল হয়। অনেক সময়েই বমি ভাবের সমস্যাও দেখা যায়। অনেক সময়েই আক্রান্ত লাগাতার পেটের অসুখে কাবু হন।‌

    কিডনির কার্যকারিতা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লিভারের এই সমস্যার জেরে (Fatty Liver) কিডনির উপরে চাপ পড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তদের হাত-পা অনেক সময়েই ফুলে যায়। শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে। যার ফলেই হাত কিংবা পা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু কিডনি শরীরের এই অতিরিক্ত তরল নির্গত করতে সক্ষম হয় না। এর ফলে কিডনির কার্যকারিতা বাধা পায়।

    বুকের পেশি ফুলে যায়, যন্ত্রণা অনুভব হয়

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই অনেক সময়েই পেশির সক্রিয়তা নিয়েও নানান সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময়েই দেখা যায়, ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদপিণ্ডের আশপাশের পেশির সংকোচন-প্রসারন স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। এর ফলে বুকে মাঝেমধ্যেই যন্ত্রণা অনুভব হয়।

    ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমাবে কোন ‘সুপারফুড’? (Fatty Liver) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নন অ্যালকোলহলিক ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে ভারতীয় খাবার। নিয়মিত কয়েকটি ভারতীয় খাবার খেলেই ‘ম্যাজিকের’ মতো শরীরে কাজ করবে। কমবে রোগের ঝুঁকি।

    আপেল লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত একটি আপেল খেলে লিভারের একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। বিশেষত ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমবে। তাঁরা জানাচ্ছেন , আপেলে থাকে পটাশিয়াম, ভিটামিন কে, কপারের মতো উপাদান। এই উপাদানগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    বাজরার রুটি শর্করা নিয়ন্ত্রণ করবে

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাজরার রুটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, লিভার সুস্থ রাখতে, শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমাতে এবং লিভারে মেদ না জমতে দেওয়ার জন্য বাজরার রুটি বিশেষ সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজরা শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। তাই নিয়মিত বাজরা কিংবা রাগীর মতো দানাশস্যের তৈরি রুটি খেলে লিভারে ফ্যাট জমার ঝুঁকিও (Fatty Liver) কমে।

    নিয়মিত ছোলা খেলে রোগের ঝুঁকি কমবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ছোলা লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, ছোলা নিয়মিত খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ে। ছোলা হজম শক্তি বাড়াতেও বিশেষ সাহায্য করে। ফলে ছোলা নিয়মিত খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে।

    রামধনু সবজি বাড়তি সাহায্য করবে

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত রামধনু সবজি খাওয়া জরুরি। অর্থাৎ, নিয়মিত পাতে বিট, গাজর, পটল, কুমরো, পালং শাকের মতো নানান রঙের সবজি থাকুক। এতে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো সব ধরনের উপাদান সহজেই পাবে। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। হজমের সমস্যা কমবে। আবার লিভারে বাড়তি ফ্যাট জমার আশঙ্কাও কমবে (Fatty Liver) ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Vitamin deficiency: শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে বমি বমি ভাব! কোন ভিটামিনের অভাবে বাড়ছে শারীরিক জটিলতা? 

    Vitamin deficiency: শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে বমি বমি ভাব! কোন ভিটামিনের অভাবে বাড়ছে শারীরিক জটিলতা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হঠাৎ করেই বুকের মাঝে চিনচিনে ব্যথা। তার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট! কিংবা ঘরের ভিতরে কাজ করতে করতে হঠাৎ মাথা ঘুরতে শুরু করল। দিনভর বমি বমি ভাব! এমন নানান শারীরিক সমস্যায় অনেকেই ভোগেন‌। এই ধরনের সমস্যায় স্বাভাবিক জীবন যাপনও ব্যাহত হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিনের অভাবেই এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি (Vitamin deficiency) দেখা দিলে এই ধরনের নানান উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই ভিটামিনের অভাবে সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাহলে জানা দরকার, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়?

    শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি দেখা দিলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হতে পারে। কারণ, ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি হলে রক্তে লোহিত কণিকার মাত্রা কমে যায়। এর ফলে রক্তকোষে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিকমতো হয় না। এর জেরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা যায়।

    হৃদস্পন্দন ওঠানামা করে (Vitamin deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকের হঠাৎ বুক ধড়ফড় করে! শরীরে অস্বস্তি অনুভব হয়। এই ধরনের সমস্যার অন্যতম কারণ হৃদস্পন্দনের অনিয়মিত ওঠানামা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে শরীরে লোহিত কণিকার ঘাটতি হয়। এর ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়।

    স্নায়ুর সমস্যা দেখা দেয়

    অনেক সময়েই ভিটামিন বি ১২ এর অভাবের জেরে (Vitamin deficiency) হাঁটাচলা এবং পেশির সক্রিয়তা কমে যায়। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভিটামিনের অভাবে স্নায়ুর সক্রিয়তা কমতে থাকে। এর ফলেই স্বাভাবিক হাঁটাচলায় সমস্যা দেখা যায়। পেশির শক্তিও কমতে থাকে।

    দিনভর বমি ভাব

    ভিটামিন বি ১২ অভাবে বমি ভাব দেখা যায়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে ভিটামিন বি ১২ ঘাটতি হলে পাচনতন্ত্রের উপরে তার প্রভাব পড়ে। তার ফলে হজম সংক্রান্ত নানান সমস্যা তৈরি হতে থাকে। এর ফলে বমি ভাব দেখা যায়। তাছাড়া খাবারের প্রতি অনিহা তৈরি হয়। যা শরীরকে আরও দূর্বল করে দেয়।

    মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হয় (Vitamin deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন বি ১২ অভাব শরীরের পাশপাশি মনের স্বাস্থ্যের পক্ষেও জোরালো প্রভাব ফেলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ভিটামিনের অভাবে দিনভর ক্লান্তি বোধ থাকে। শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। তাই যে কোনও কাজেই আগ্রহ কমে। মেজাজ খিটখিটে থাকে। সবমিলিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে‌।

    কীভাবে সহজেই ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি মেটানো সম্ভব?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত কিছু ঘরোয়া খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন বি ১২ চাহিদা (Vitamin deficiency) পূরণ করতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডিম বিশেষত ডিমের কুসুম খেলে সহজেই ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে। তাই নিয়মিত ডিমের কুসুম খেলে সহজেই ভিটামিন বি ১২ জোগান পাওয়া যাবে।
    দুধ, পনীর এবং দই এই তিনটি খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ করতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত দুগ্ধজাত খাবার খেলে ভিটামিন বি ১২ চাহিদা পূরণ হয়‌।
    আপেল এবং বেরি জাতীয় ফলেও থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২। তাই নিয়মিত এই জাতীয় ফল খেলেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ জোগান বজায় থাকে।
    এছাড়াও মাশরুম এবং মাংস ভিটামিন বি ১২ জোগান বজায় রাখে। সপ্তাহে অন্তত একদিন মাংস কিংবা মাশরুমের পদ খাদ্যতালিকায় রাখলে ভিটামিন বি ১২ জোগান সহজ হয়।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Digestive problems: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে সমস্যা কমবে?

    Digestive problems: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে সমস্যা কমবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়ছে অস্বস্তি! গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। নানান শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই এই আবহাওয়ায় হজমের সমস্যায় (Digestive problems) ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের খাবারে অনীহা দেখা দিচ্ছে। আবার অনেক সময় সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেই বমি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হজমের গোলমাল দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলেই হজমের সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেরই এই আবহাওয়ায় হজম নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত পাতে থাকুক কিছু নির্দিষ্ট খাবার। আবার কয়েকটি খাবার এই সময় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আসুন, দেখে নিই, হজমের সমস্যা মেটাতে কোন খাবার বাড়তি সাহায্য করবে?

    আদার রস মেশানো এক গ্লাস জল (Digestive problems) 

    গরমে হজমের গোলমাল কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ বারবার দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে জলে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে আরও বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় এক গ্লাস জলে তিন থেকে চার ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদা হজমশক্তি বাড়াতে বাড়তি সাহায্য করে। আদায় থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। যা হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদার রস মেশানো জল নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যার সহজেই সমাধান করা যায়।

    নিয়মিত একটি আপেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারের সঙ্গে থাকুক একটি আপেল। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের জন্য এই ফল বাড়তি উপকার দেবে। আপেলের নানান স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে আপেল হজম শক্তি বাড়াতেও খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান হজম শক্তি (Digestive problems) বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত একটি আপেল খেলে হজমের সমস্যা কমবে।

    শেষ পাতে টক দই (Digestive problems) 

    দুপুরে তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বেড়ে যায়। দিন কয়েক ধরেই দুপুরে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অফিসের লাঞ্চ ব্রেক হোক কিংবা বাড়ির মধ্যাহ্ন ভোজ, শেষ পাতে এই সময় টক দই থাকা জরুরি। শিশুদেরও নিয়মিত টক দই খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। তাই টক দই অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে হজম শক্তি বাড়ে। পেটের গোলমালের ঝুঁকিও কমে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি বা মিষ্টি মিশিয়ে টক দই খেলে চলবে না। এতে পুষ্টিগুণ কমে যায়।

    শিশুদের হজমের সমস্যা কমাতে বাড়তি কোন দিকে নজর দেওয়া জরুরি?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়তেই হজমের সমস্যা (Digestive problems) ও পেটের গোলমালের জেরে অনেক শিশুর ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। শিশুদের সুস্থ রাখতে চটজলদি খাবার একেবারেই দেওয়া যাবে না‌ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজারের চটজলদি খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। এর ফলে হজমের সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেস খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা অন্ত্রের বিশেষ ক্ষতি করে।
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় (Summer) শিশুদের প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস কিংবা ডিম খেলে অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, হজমের সমস্যা কমাতে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ‌ সবজি নিয়মিত দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটল, ঝিঙে, উচ্ছের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এই সবজিগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এগুলি হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Child Health: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা কমবে?

    Child Health: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে শিশুদের সমস্যা কমবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়ছে অস্বস্তি! গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। নানান শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই এই আবহাওয়ায় হজমের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের (Child Health) খাবারে অনীহা দেখা দিচ্ছে। আবার অনেক সময় সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেই বমি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হজমের গোলমাল দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলেই হজমের সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেরই এই আবহাওয়ায় হজম নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরম আবহাওয়ায় পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত পাতে থাকুক কিছু নির্দিষ্ট খাবার। আবার কয়েকটি খাবার এই সময় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এবার দেখে নেওয়া যাক, হজমের সমস্যা মেটাতে কোন খাবার বাড়তি সাহায্য করবে?

    আদার রস মেশানো এক গ্লাস জল (Child Health)

    গরমে হজমের গোলমাল কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ বারবার দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে জলে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় এক গ্লাস জলে তিন থেকে চার ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে। আদা হজম শক্তি বাড়াতে বাড়তি সাহায্য করে। আদায় থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। যা হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদার রস মেশানো জল নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা সহজেই সমাধান করা যায়।

    নিয়মিত একটি আপেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারের সঙ্গে থাকুক একটি আপেল। শিশু (Child Health) থেকে বয়স্ক, সকলের জন্য এই ফল বাড়তি উপকার দেবে। আপেলের নানান স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে আপেল হজম শক্তি বাড়াতেও খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত একটি আপেল খেলে হজমের সমস্যা কমবে।

    শেষ পাতে টক দই

    দুপুরে তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বেড়ে যায়। দিন কয়েক ধরেই দুপুরে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অফিসের লাঞ্চ ব্রেক হোক কিংবা বাড়ির মধ্যাহ্ন ভোজ, শেষ পাতে এই সময় টক দই থাকা জরুরি। শিশুদেরও (Child Health) নিয়মিত টক দই খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। তাই টক দই অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে হজম শক্তি বাড়ে। পেটের গোলমালের ঝুঁকিও কমে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি বা মিষ্টি মিশিয়ে টক দই খেলে চলবে না। এতে পুষ্টিগুণ কমে যায়।

    শিশুদের হজমের সমস্যা কমাতে বাড়তি কোন দিকে নজর দেওয়া জরুরি?

    শিশুরোগ (Child Health) বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম (Summer) বাড়তেই হজমের সমস্যা ও পেটের গোলমালের জেরে অনেক শিশুর ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। শিশুদের সুস্থ রাখতে চটজলদি খাবার একেবারেই দেওয়া যাবে না‌ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজারের চটজলদি খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। এর ফলে হজমের সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেসড খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা অন্ত্রের জন্য বিশেষ ক্ষতি করে।

    সবুজ‌ সবজি নিয়মিত খেতে হবে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের (Child Health) প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস কিংবা ডিম খেলে অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, হজমের সমস্যা কমাতে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ‌ সবজি নিয়মিত দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটল, ঝিঙে, উচ্ছের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এই সবজি হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Temperature: বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ! হঠাৎ করেই জ্বরের প্রকোপ? সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোন খাবার জরুরি?

    Temperature: বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ! হঠাৎ করেই জ্বরের প্রকোপ? সন্তানকে সুস্থ রাখতে কোন খাবার জরুরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরুতেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। রোদের তাপে বাইরে থাকা যথেষ্ট কষ্টকর।‌ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। আর এই আবহাওয়ায় (Temperature) শিশুদের জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে, যা অভিভাবকদের একাংশের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশুর শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুকে সুস্থ রাখতে ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে (Temperature)?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে। কিন্তু জলীয় বাষ্প বাড়ছে না। অর্থাৎ, গরম লাগলেও সেরকম ঘাম হচ্ছে না। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে গরম হাওয়া দিচ্ছে। আর এই আবহাওয়া শরীরকে শুকিয়ে দিচ্ছে। শরীরে জলের ভাব কমে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শিশুদের শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধছে। দেখা দিচ্ছে নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ। যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আবার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরের সোয়েট গ্ল্যান্ড অর্থাৎ, যেখান থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়, তা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সক্রিয় হয় না। এর ফলে বাইরের তাপমাত্রা বাড়লে শরীর নিজের তাপমাত্রার সঙ্গে সেটা মানিয়ে নিতে পারে না। এর ফলে হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পারদ চড়লে, শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি। কিন্তু সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও উপসর্গ নেই। অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে। আবহাওয়ার কারণেই শিশুদের এই ভোগান্তি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা বিশেষজ্ঞ মহলের?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি মাসে গরম আরও বাড়বে। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়া দরকার। সাধারণত নিয়মিত শিশুদের তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার। কিন্তু এই শুকনো আবহাওয়ায় জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অন্তত দিনে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। তাতে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমবে। আবার শরীরের তাপমাত্রাও (Temperature) স্বাভাবিক থাকবে।

    লেবুর রস নিয়মিত খাওয়ান (Temperature)

    শিশুদের জলের পাশপাশি শশা, তরমুজ, লেবু জাতীয় রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে। পাশপাশি এই ধরনের ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। আবার লেবুর রস নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। প্রচণ্ড গরমে এতে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে মোকাবিলাও সহজ হয়।

    ডাবের জল খাওয়া জরুরি

    এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই এই আবহাওয়ায় ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকে। আবার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ উপাদান শরীরের ক্লান্তি দূর করে। তাই শিশুদের (Child Health) নিয়মিত একটি ডাবের জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল অন্ত্রের জন্য ভালো

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের গরমে (Temperature) মৌরি এবং মিছরি মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে খালি পেটে ওই ভেজানো জল খেলে শরীরে একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এই আবহাওয়ায় শিশুদের হজমের সমস্যা হয়। তাই জল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। হজমের গোলমাল কমে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু স্য়ালাইন (Saline Incident) নয়, দোসর অক্সিটোসিনও। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অবস্থা যে কতটা শোচনীয় তা ফের একবার প্রমাণ করেছে মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা। এই ছবি, রাজ্যের আরও বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজেরও বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। বিষাক্ত স্যালাইনে তিন প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস-কিডনিও। এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিং। প্রসূতিদের এই পরিস্থিতির জন্য এবার দায়ী করা হল অক্সিটোসিনকে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে। 

    অক্সিটোসিন কী?

    প্রসবের সময় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়। সেই রক্তক্ষরণে বন্ধ করে অক্সিটোসিন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অনেক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই মৃত্যু রোধ করতেই দেওয়া হয়ে থাকে অক্সিটোসিন।

    কীভাবে দায়ী অক্সিটোসিন

    স্বাস্থ্য ভবনের তৈরি করে দেওয়া তদন্ত বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছিল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক সেই কারণেই। কিন্তু ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল। শুধু বিষাক্ত স্যালাইন নয় দোসর অক্সিটোসিনও। এই অক্সিটোসিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্টে এও নাকি বলা হচ্ছে যে, কোনও প্রোটোকল না মেনেই পাঁচ রোগীকে অক্সিটোসিনের হাই ডোজ দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত ১০ ইউনিটের বদলে সবাইকে ১৫ থেকে ২৫ ইউনিট অক্সিটোসিন দেওয়া হয়। যার কারণে হু হু করে রোগীদের রক্তচাপ কমে যায়।

    চিকিৎসকদের দাবি

    স্যালাইনের গুণগত মান (Saline Incident) নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য উত্তাল। এর মধ্যেই চিকিৎসকমহলে প্রশ্ন উঠেছে অক্সিটোসিন নিয়েও। অক্সিটোসিনের গুণগত মানের জেরে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হয় বলে দাবি সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তাদের দাবি, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে সাপ্লাই করা অক্সিটোসিনের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। এতটাই যে, কিছু হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে অক্সিটোসিন কিনে আনতে বলা হয়। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগে স্বাস্থ্যসচিবের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব সময় দিতে পারেননি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসচিব?

    স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এই ধরনের মৃত্যু তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তাররা কবে কথা বলতে চেয়েছেন, তা তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।

    স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি

    সংক্রমিত স্যালাইন (Saline Incident) ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তাও সেই সংস্থার স্যালাইনেই এবার প্রসূতি মৃত্যু হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের এই গাফিলতি কেন প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই?

    আরও পড়ুন: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    প্রসূতি মৃত্যুর পরিসংখ্যান

    সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সুস্থ মা। কিন্তু এর পরেই একাধিক অঙ্গ বিকল। যার জেরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু (Saline Incident)। চমকে ওঠার মতো মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান। দৃশ্যটি শুধু যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তা নয়। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছর বয়সের কমবয়সি প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। গত কয়েক মাসে শহর এবং প্রত্যেক জেলার কোনও না কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা সদর হাসপাতালে সিজারের পরে অনেক প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুও ঘটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share