Tag: health tips

health tips

  • Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    Children Foods: দুধ থেকে সন্ধ্যার খাবার, সব শিশু খাদ্যেই মিষ্টির পরিমাণ বেশি! কতটা ক্ষতিকারক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের দুধের গ্লাস কিংবা সন্ধ্যার জলখাবারের পদ, বাড়ির একরত্তির জন্য তৈরি করা, যেকোনও খাবারেই মিষ্টির পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে (Children Foods)। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুরা ছোটো থেকেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে শর্করা (High Sugar Content) জাতীয় খাবার গ্রহণ করে। এর ফলে পরবর্তী কালে তাদের নানান রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    কী বলছে সমীক্ষার তথ্য?

    সম্প্রতি, এক আর্ন্তজাতিক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় শিশুরা নিয়মিত প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি শর্করা জাতীয় উপাদান গ্রহণ করে। অধিকাংশ শিশু খাদ্যে (Children Foods) প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় উপাদান থাকছে। যার শরীরে গভীর প্রভাব পড়ছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয় শিশুদের স্থুলতা এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ার জেরেই এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার কেন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়বেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ছে (Children Health Risks)। স্কুল স্তর পেরনোর আগেই শিশুরা ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন‌ যাপন‌ এবং পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে। ছোটো থেকে ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে, দীর্ঘকাল রোগের প্রকোপ শরীরে আরও গভীর ভাবে পড়ছে। কিডনি এবং স্নায়ুর জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই শিশুদের ডায়বেটিস বাড়তি উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবারের (Children Foods) জেরেই আরো বেশি এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

    স্থূলতা ভারতীয় শিশুদের অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা।‌ স্কুল স্তর থেকেই অধিকাংশ ভারতীয় শিশু অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভোগে। দেহে অতিরিক্ত মেদের জেরে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। এমনকি বয়ঃসন্ধিকালে নানান হরমোন ঘটিত সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (High Sugar Content) খাওয়ার জেরেই স্থুলতার সমস্যা বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। শিশুর শরীরের বিকাশের জন্য শর্করার পাশপাশি কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সমান প্রয়োজন (Children Foods)। বিশেষত শিশুদের শরীরের বাড়তির এনার্জির জোগান দিতে এবং হাড়, পেশি মজবুত করতে প্রোটিন, ভিটামিনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সবরকম উপাদানের জোগান ঠিকমতো না হলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর খাবারে বাড়তি চিনির ব্যবহার একেবারেই চলবে না।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের মিষ্টি কিংবা চকলেট জাতীয় খাবার প্রায় খাওয়া হয়। তাই নিয়মিত খাবারে বাড়তি মিষ্টি দেওয়া উচিত নয় (Children Foods)। প্রথম থেকেই দুধ বা অন্য যেকোনও খাবারে বাড়তি মিষ্টি দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত নয়। প্যাকেটজাত হেলথ ড্রিঙ্কস কিংবা খাবারের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি খিচুড়ি, ডাল, সব্জি জাতীয় খাবার নিয়মিত মেনুতে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তাতে শরীরে ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন সরাবরাহ ঠিকমতো হয়। আবার বাড়তি শর্করা যাওয়ার ঝুঁকিও কমে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস (High Sugar Content) বর্জন করতে পারলে শিশুর একাধিক রোগের ঝুঁকি (Children Health Risks) সহজেই কমানো‌ যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তবে মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানা জরুরি। নিয়মিত চকলেট, আইসক্রিম, লাড্ডু কিংবা কেক জাতীয় খাবার যাতে শিশু না খায়, সেদিকে নজরদারি জরুরি (Children Foods)। কারণ এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ বিশেষ নেই। বরং এগুলো শরীরে বাড়তি ওজন তৈরি করে। যা পরবর্তীতে নানান রোগের কারণ হয়ে ওঠে। এমনটাই জানাচ্ছেন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলার মাঝেই কিংবা বাড়িতে নানান কাজে ব্যস্ততার মধ্যে বারবার পেটের ভিতরে অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথা হয়। আবার অনেক সময়েই দিনের একাধিকবার মলত্যাগ হয়। পেটের গোলমালে জেরবার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। পেটে ব্যথা, বারবার মলত্যাগের প্রবণতা এমন নানান উপসর্গের জন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক সময়েই নানান অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable Bowel Syndrome) আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই রোগ সাধারণত দেখা যেত। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বয়সিদের মধ্যে ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বেড়েছে। এর ফলে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশপাশি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাড়ছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের ধরনের জেরেই খুব কম বয়সিদের মধ্যেও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা বাড়ছে। লাগাতার পেটের এই অসুখের জেরে আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই শারীরিক সমস্যা দেখা যেত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম শক্তি কমে। তার জেরেই পেটের এই সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাদ্যতালিকায় সহজ পাচ‌্য খাবার থাকে না। আবার অনেক সময়েই কম বয়সিদের খাবারের সময় অনিয়মিত থাকে। খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পাচনতন্ত্রের উপরে। তার ফলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কোন ছয় খাবার এড়িয়ে চললে বিপদ কমানো‌ যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের এই লাগাতার সমস্যা (IBS Treatment) নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ছয়টি খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ক্যাফিন জাতীয় খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অতিরিক্ত কফি-প্রেমী! যা অনেক সময়েই‌ শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে বারবার কফি খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। পেটের সমস্যা থাকলে তাই ক্যাফিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কফি পানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তার পাশপাশি চকোলেট এবং সোডা খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ এগুলোতেও ক্যাফিন থাকে।

    চিনি এড়িয়ে চলা দরকার!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা রুখতে চিনি একদম বর্জন করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। চিনি হলো প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি। এটা শরীরের উপরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত হজমের সমস্যা তৈরি করে। অন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই চিনি এড়িয়ে চলা দরকার।

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। যা লিভার, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বার্গার, পিৎজা, হটডগ‌ বা কোনও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।

    অ্যালকোহল পান চলবে না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহলে অভ্যস্ত হলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা বাড়ে। তার ফলে পেটের একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    ফাইবার জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত সময় লাগে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে। তবে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, অনেক সময়েই তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তার উপরে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) থাকলে আরও ভোগান্তি বাড়ায়। তাই মটর, ছোলা বা যেকোনও দানা শস্য খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    দুগ্ধজাত খাবারে রাশ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবার বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই জৈব উপাদানের জেরেই হজমের সমস্যা থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ভোগান্তি বাড়ায় (IBS Treatment)। পেটের সমস্যাও‌ তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে দুধ, টক দই কিংবা পনীরের মতো খাবারে রাশ জরুরি। তার পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা বাদাম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?

    Vitamin D: আমাদের শরীরে কতটা ভিটামিন-ডি প্রয়োজন? এর উৎস কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবজনিত সমস্যায় অনেক মানুষই ভোগেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন-ডি মূলত ক্যালসিয়ামকে শরীরে শোষণ করতে প্রয়োজন হয়। আমরা সবাই জানি, ক্যালসিয়াম হাড়কে শক্ত করে। এ ছাড়া ক্যালসিয়ামের আরও অনেক কাজ মানবদেহে রয়েছে। ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে শিশুদের রিকেট রোগ হয়। শিশুদের পা ধনুকের মতো বেঁকে যায় এবং মাথার খুলি বড় হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগলে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়। এর পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যায়। দেহে ভিটামিন-ডি এর অভাবে চোয়ালের গঠনও ঠিকঠাক হয় না, অসময়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। বড়দের অস্টিওম্যালেসিয়া নামের এক প্রকার রোগ হয় ভিটামিন-ডি এর অভাবে। এই রোগে বয়স্কদের হাড় থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ক্ষয় হয়ে পড়ে। কখনও কখনও কোমরে ও মেরুদণ্ডে বাতের ব্যথার মতো ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডও বেঁকে যায়।

    চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১৯ থেকে ৭০ বছর বয়সি প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন নিয়মিত (Health Tips) করে ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-ডি গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন খাদ্যের মাধ্যমে, পিলের মাধ্যমে ভিটামিন-ডি নেওয়া যেতেই পারে। এর পাশাপাশি রোদেও প্রচুর ভিটামিন-ডি থাকে। তবে ভিটামিন-ডি এর পরিমাণ শরীরে বেড়ে যাওয়াও ঠিক নয়, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ এর প্রভাবে হাইপারক্যালসেমিয়া রোগ হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দৈনিক ছোট ছোট ভিটামিন-ডি এর ডোজ আপনারা নিতেই পারেন। ডি-২, ডি-৩ সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু অবশ্যই তা যে কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে হবে। কারণ এর সঙ্গে অনেক কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যেমন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন, আপনি কোন পরিবেশে থাকেন- এ সমস্ত কিছুই। তবে শরীরে মারাত্মক পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি হলে সাপ্তাহিক বড় ডোজ নেওয়া যেতে পারে।

    উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি (Vitamin D) নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে

    ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুহার কমিয়ে দিয়েছে ভিটামিন-ডি এর বড় পরিমাণের সাপ্তাহিক ডোজ (Health Tips)। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে বেশিরভাগ আমেরিকার নাগরিকই ভিটামিন-ডি (Vitamin D) এর অভাবে ভোগেন বা পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি তাঁরা পান না। ২০২২ সালে এই সমীক্ষাটি হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৪১ শতাংশ আমেরিকার নাগরিকের শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই বয়স ২০ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। ভিটামিন-ডি এর অভাবে ক্লান্তি দেখা যায় শরীরে, কাজে অনীহা থাকে, হাড়ের ব্যথার মতো নানা রকমের উপসর্গও দেখা যায়। তবে কখনও আপনি বুঝতে পারবেন না যে আপনার ভিটামিন-ডি এর অভাবের জন্য শরীরে এইগুলি রোগগুলি হচ্ছে। আপনার শরীরে ভিটামিন-ডি এর অভাব রয়েছে কিনা তা জানতে আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করতেই হবে। তবে প্রতিবেদনে শুরুতেই যেমন বলা হয়েছে, শরীরে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন-ডি নিলে হাইপারক্যালসেমিয়া হতে পারে। এই হাইপারক্যালসেমিয়া রোগে ঘনঘন প্রস্রাব, দুর্বলতা ভাব, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা যায়।  ভিটামিন-ডি এর অত্যধিক পরিমাণের ফলে কিডনিতে পাথরও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি নানা রকমের কিডনির জটিলতাও হতে পারে।

    ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে

    ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ অনেক খাবারই রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে আপনি নিতে পারেন পনির, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত যে কোনও মাছ, যেমন ম্যাকরাল, স্যামন, টুনা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি প্রাতঃরাশের টেবিল আপনি রাখতে পারেন দুধ, কমলার রস, মাশরুম ইত্যাদি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাভোকাডো এবং বাদামেও ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি থাকে। অনেক মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে শোবার আগে ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্ট নিতে বেশি পছন্দ করেন। তবে এর ফলে ভিটামিন-ডি এর কার্যকারিতা বাড়ে নাকি, তা নিয়ে চিকিৎসকরা কিছু বলতে পারছেন না।

    সূর্যালোক থেকে কীভাবে নেবেন ভিটামিন-ডি

    ১) চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোদে আপনার ছায়া আপনার তুলনায় যখন ছোট হেব সেসময়ই আপনার ত্বক সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে পারবে। 

    ২) অতিবেগুনি রশ্মি কাচ ভেদ করতে পারে না। তাই গাড়ি বা ঘরের ভেতর জানালা বন্ধ অবস্থায় রোদ এলেও লাভ নেই, পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি মিলবে না।

    ৩) পোশাক ও সানস্ক্রিন ত্বকে সরাসরি ভিটামিন-ডি লাগতে বাধা দেয়। তাই আপাদমস্তক ঢেকে বাইরে বের হয়ে লাভ নেই। অন্তত হাত-পা বা মুখের কিছু অংশ খোলা রাখুন।

    ৪) বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে  ত্বকের ভিটামিন-ডি তৈরি করার ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই বয়স্কদের বেশি পরিমাণে ভিটামিন-ডি এর প্রয়োজন হয়। সূর্যালোকে দিনে অন্তত ২০ মিনিট কাটাতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Good Sleep Benefits: বসে কাজ নয়! প্রতিদিন ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমই সুস্থ থাকার রসায়ন

    Good Sleep Benefits: বসে কাজ নয়! প্রতিদিন ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমই সুস্থ থাকার রসায়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতায় পর্যাপ্ত ঘুমের গুরুত্ব (Good Sleep Benefits) অপরিসীম। এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতি দিন অন্তত ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। প্রতিটি মানুষের সুস্থ জীবন ও দীর্ঘ জীবনীশক্তির জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। বলা হয়ে থাকে ঘুম আর ব্যায়াম যথার্থ শয্যাসঙ্গী। ভালো ঘুম শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। আর ব্যায়াম শরীর এবং পেশী মজবুত রাখে। ঘুম কম হলে একজনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে।

    ঘুম ও ব্যায়াম

    ব্রেন বা মস্তিষ্কে বেশি পরিমাণে অ্যাডনোসিন তৈরির ক্ষেত্রে ব্যায়ামের একটি রাসায়নিক প্রভাব রয়েছে, আর অ্যাডেনোসিন আমাদের মধ্যে  ঘুমের ভাব (Good Sleep Benefits) তৈরি করে। কয়েকটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চ-তীব্রতার (হাই ইনটেনসিটি)ব্যায়ামের ফলে ঘুমবর্ধনকারী হরমোন অ্যাডেনোসিন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় প্রমাণিত, ব্যায়াম শরীরকে ক্লান্ত করে দেয় আর ঘুম বাড়ায়। শরীর সক্রিয় থাকলে সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ওয়ার্কআউট করলে আর পরিমিত ঘুমোলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও কমে যায়।

    বসে থেকে কাজ নয়

    দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস এখন সবার মধ্যেই তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কর্মজীবীরা বাধ্য হয়েই বসে কাজ করেন। শুধু অফিসের কারণেই নয়, অনেক তরুণরাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করেন। একটানা বা দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকার ফলে নিজের অজান্তেই নানা রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন অনেকেই। জানলে অবাক হবেন, মাত্রাতিরিক্ত বসে থাকার কারণে আয়ু কমে যেতে পারে। এ ছাড়াও আক্রান্ত হতে পারেন হৃদরোগ, ডায়াবেটি-সহ স্থূলতায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত বসে থাকার কারণে আয়ু অনেকখানি কমে যায়। এর মূল কারণ হলো কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়া। এটা ঠিক নয় যে, ওয়ার্ক আউট বা এক্সারসাইজ করলে আয়ু বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে শরীর সুস্থ রাখতে অনেকখানি সাহায্য করে শরীরচর্চা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা বসে থাকার কারণে অনেকেরই ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়ার রোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এসব রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘক্ষণ না বসে একটু হাঁটাচলা করুন। টানা বসে থাকায় আপনার মেরুদণ্ড, পিঠ ও ঘাড়ে চাপ পড়ে। তাই পিঠ ও কোমরে ব্যথা শুরু হয়। এক্ষেত্রে যতো আরামদায়ক চেয়ারই বেছে নেওয়া হোক না কেন, দিন শেষে এই ব্যথা থাকবেই। তাই চেষ্টা করুন টানা বসে না থেকে আধা ঘণ্টা পরপর উঠে হাঁটাচলা করা।

    কতক্ষণ ওয়ার্কআউট করবেন

     সারা দিনে আপনার ঘুমনোর সময়, বসে থাকার সময় হিসেব করে সেই অনুপাতে ওয়ার্কআউট করুন। বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে সবার মধ্যেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সঙ্গে একটানা বসে থাকার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এর কারণ হলো শরীর থেকে কোনো ক্যালরি বা ফ্যাট না ঝরানো। যে কারণে ইনসুলিন হরমোন ক্ষরণ কম হয় ও রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম প্রয়োজন। আপনার যদি টানা বসে থাকেন; তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও শরীরের নিম্নাঙ্গে মেদ জমে। এজন্য অতিরিক্ত ওজন যাতে না বেড়ে যায়, এজন্য নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করুন। পাশাপাশি বসে থাকার পরিমাণ কমাতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত বসে কাজ করার কারণে অনেকেরই ঠিকমতো ঘুম হয় না। এক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে দুশ্চিন্তার মাত্রা বেড়ে যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা বার্ধক্য ঠেকাতে পারে।

    আরও পড়ুন: শিক্ষকদের আদর্শ আচরণবিধি নিয়ে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    কতক্ষণ ঘুমোবেন

    যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের (Good Sleep Benefits) সময়টাও ভিন্ন হবে। শৈশবে, কৈশোরে, তারুণ্যে, যৌবনে আর বার্ধক্যে ঘুমের চাহিদাও আলাদা আলাদা। যেমন শিশুদের একটু বেশি ঘুমাতে হয় প্রবীণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায়। শূন্য থেকে ৩ মাস বয়সি শিশুদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ৪ মাস থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের জন্য ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়।  ১ থেকে ২ বছর বয়সি শিশুদের দরকার হয় ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টার ঘুম। ৩ থেকে ৫ বছর বয়সিদের জন্য ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা। ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সি শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে।  ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সি মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সি মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সিদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, অনশনে মানুষ ১৪ দিন বাঁচতে পারে। না ঘুমিয়ে ১০ দিনের বেশি বাঁচা যায় না। তাই শরীর সুস্থ রাখতে, কাজ ভালো করতে ও মগজকে রিচার্জ করতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “আত্মোৎসর্গ থেকেই শক্তি পাই”, গেটসের কাছে ‘রহস্য’ ফাঁস করলেন মোদি

    PM Modi: “আত্মোৎসর্গ থেকেই শক্তি পাই”, গেটসের কাছে ‘রহস্য’ ফাঁস করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অল্প বিশ্রামেই চাঙা হয়ে যাই। আমার শরীর তৈরি এভাবেই।” হাসতে হাসতে জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যাঁকে জবাবটা দিলেন, তিনিও বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব, মাইক্রেসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

    ফিট থাকার কৌশল (PM Modi)

    বিশ্বের সব চেয়ে পরিশ্রমী নেতাদের একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিল গেটসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্বে প্রধানমন্ত্রীর ফিট থাকার কৌশল জানতে চান মাইক্রেসফট কর্তা। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অটোপাইলট মোডে বিশ্রাম নিয়ে নিই। শারীরিক শক্তি থেকে এই এনার্জি আসে না। আত্মোৎসর্গ ও আবেগ থেকে আসে এই এনার্জি। আমার কাজই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার শরীর সেই ভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করি। তারপর ভোরে উঠে পড়ি। বিশ্রামের জন্য আলাদা করে আর সময় বের করতে হয় না।” এর পরেই তিনি (PM Modi) বলেন, “অটোপাইলট মোডেই বিশ্রাম হয়ে যায়।”

    প্রধানমন্ত্রীর ডেইলি রুটিন

    শরীরের ফিটনেস প্রসঙ্গে তাঁর হিমালয়ে কাটানো দিনগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হিমালয়ে কাটানোর সময় ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করতাম আমি। এখনও সেই অভ্যাসই রয়ে গিয়েছে আমার। ভোর ৩টে ২০ থেকে ৩টে ৪০ মিনিটের মধ্যে স্নান করে সারাদিনের জন্য তৈরি হয়ে যাই। এই নিয়মানুবর্তিতাই আমার শরীরকে মজবুত করেছে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে মিলেট প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “মিলেট স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। আন্তর্জাতিক মানের সংস্থাও এই ধরনের শস্য দিয়ে তৈরি খাবার বিক্রি করছে। মিলেট জাতীয় শস্য শুষ্ক মাটিতেও চাষ করা যায়। এজন্য সার লাগে না। ফলে চাষের দিক থেকেও সুবিধাজনক মিলেট।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, প্রতিপক্ষ হিসাবে কাউকে ভাবছি না”, বললেন অমৃতা রায়

    কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা (এআই) নিয়েও কথা হয় মোদি ও গেটসের মধ্যে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জি২০ সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতাকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করায় সুবিধা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ছবি তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই প্রযুক্তির অপব্যবহারের মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। বিশ্বে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য কিছু নিয়ম নির্ধারণ করা উচিত বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

       

  • Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে হানা দেয় পেটের অসুখ (Monsoon Stomach Problem)। এছাড়া জলবাহিত রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়। এ সময় বৃষ্টির কারণে চারদিকেই জমতে থাকে জল। বর্ষাকালেই শরীরে সবথেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া (Monsoon Stomach Problem) বা ভাইরাস প্রবেশ করে, যা খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। পেটের অসুখ, লিভারে সংক্রমণ সব কিছুই হয় বর্ষাকালে। গ্রামাঞ্চলে ভোট যায় ভোট আসে। কিন্তু পানীয় জলের সমস্যার সমাধান যেন কোনওভাবেই হয় না। এখনও পর্যন্ত পুকুর, নদীর দূষিত জল (Monsoon Stomach Problem) অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জনসাধারণের ব্যবহার করার জন্য যে টিউবয়েলগুলি বসানো হয় সেগুলি অন্তত ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত থাকা উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই বিধি মানা হয় না। যার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে বেশিরভাগ বাসিন্দা আজ অপরিশোধ পানীয় জল খাচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করছে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস (Monsoon Stomach Problem)।

    পেটের রোগ (Monsoon Stomach Problem) হলে কী করবেন?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্ষাকালে পেটের রোগ হলেই বাড়িতে বসে না থেকে একেবারে চিকিৎসকের কাছে চলে যান। বর্ষাকালে ইঁদুর, ছুঁচো বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকেও রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় প্রাণীগুলি মাটিতে থাকে এবং বর্ষাকালে এই প্রাণীগুলির ত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থ জলে (Monsoon Stomach Problem) মিশে যায় এবং সেই জমা জল থেকেই ছড়ায় নানা রকমের রোগ। যদি জল জমে যায় রাস্তাঘাটে তাহলে খালি পায়ে যেন কখনও সেই জলের ছোঁয়া (Monsoon Stomach Problem) না লাগে। সর্বদাই বর্ষাকালে জুতো পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গ্রামাঞ্চলের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বাসিন্দারা পুকুরের জল ব্যবহার করেন। বদ্ধ পুকুরের জল বর্ষাকালে আরও বেশি দূষিত হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেসিলারি এবং অ্যামিবার্ড নামক জীবাণু থেকে আমাশয় হয়। অন্যদিকে সালমানেলা টাইফি নামে জীবাণু সংক্রমণে হয় টাইফয়েড।

    কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখবেন বর্ষাকালে (Monsoon Stomach Problem)?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময় খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডায়েটে (Monsoon Stomach Problem) রাখতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার বর্ষাকালে ঈষদুষ্ণ গরম জল খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    ১) কাঁচা খাবারে সংক্রমণের (Monsoon Stomach Problem) ঝুঁকি বেশি থাকে। এজন্য খাবার রান্না করে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ২) রাস্তার ধারের খাবার (Monsoon Stomach Problem) বর্ষাকালে একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ খাবারের জীবাণু তথা ছত্রাকের সংক্রমণ খুব বেড়ে যায়।

    ৩) খাবার আগে যেমন হাত ভালো করে ধোয়া উচিত, ঠিক একইভাবে সবজি, মাছ, মাংস এগুলো ভাল করে ধুয়ে নেবেন (Monsoon Stomach Problem)।

    ৫) নিজের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। কারণ জমা জলে সব থেকে বেশি মশার বংশবৃদ্ধি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Yoga for Asthma: যোগব্যায়ামে সারতে পারে হাঁপানি, বলছে গবেষণা

    Yoga for Asthma: যোগব্যায়ামে সারতে পারে হাঁপানি, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি আজকালকার জীবনে একটি দৈনন্দিন সমস্যা। দূষণ যত বাড়ছে, একই হারে বাড়ছে শ্বাসজনিত সমস্যা। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হাঁপানি, সিওপিডি এবং শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পেতে নানা ওষুধ পত্তর দিয়ে থাকেন ডাক্তাররা। সেসবের পরেও দীর্ঘমেয়াদী সুস্থ জীবনের জন্য যোগাসনের (Yoga for Asthma) ওপর জোর দিতে বলছেন চিকিৎসকেরাই। প্রাণায়ামের সঠিক নিয়ম  না জেনে করবেন না। একজন উপযুক্ত প্রশিক্ষকের কাছ থেকে শিখুন। অনুলোম-বিলোম বা কপাল-ভাতি যে কোনও ধরনের প্রাণায়াম আপনাকে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। এটি দীর্ঘ দিন অভ্যাস করলে ভবিষ্যতে হাঁপানি থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে। এমনটাই দাবি গবেষকদের।

    কী বলছে গবেষণা?

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাঁপানি সারানোর (Yoga for Asthma) সবথেকে ভাল উপায় হল ব্রেথিং এক্সারসাইজ এবং যোগব্যায়াম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে মেডিসিন জার্নালে। সেখানে হাঁপানি সারিয়ে তোলার নানা রকম উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে যে হাঁপানি (Yoga for Asthma) থেকে সেরে ওঠার জন্য ঠিক কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।  হেনান নরমাল ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনের সহকারী অধ্যাপক শুয়াংতাও জিং এই গবেষণার অন্যতম গবেষক। তিনি বলছেন, ‘‘ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ানোর সবথেকে ভাল উপায় হল যোগ ব্যায়াম।’’

    ৩০ কোটিরও বেশি হাঁপানি রোগী রয়েছে বিশ্বজুড়ে

    বিশ্বজুড়ে এই সংস্থা এনিয়ে সমীক্ষাও চালিয়েছে এবং তাতে দেখা গিয়েছে প্রায় ৩০ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে হাঁপানিতে ভুগছেন। এই রোগ হল ফুসফুসের অসুস্থতা যেখানে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুক শক্ত হয়ে যাওয়া এ সমস্ত লক্ষণগুলি দেখা যায়। আগে আগে মনে করা হতো যে ব্যায়াম হয়তো হাঁপানির প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম (Yoga for Asthma) শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতাকে বাড়ায়। মোট ২,১৫৫ জন হাঁপানি রোগীর ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এবং সেখানে দেখা যায় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এ সমস্ত ফুসফুসের কার্যকারিতা কে উন্নত করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ ধরনের খাবার

    High Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে ডায়েটে রাখুন এই ৫ ধরনের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে (High Uric Acid) যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের  স্বাভাবিক মাত্রা হল ৬.৮ mg/dl’’ এর থেকে যখন মাত্রা বেড়ে যায় তখন নানা রকমের রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। রয়েছে ক্যান্সারে ঝুঁকিও। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়। এছাড়া কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

    আজকে আমরা আলোচনা করব এমন পাঁচটি খাবার নিয়ে যা আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখা উচিত ইউরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য রক্ষায়

    ১) নিয়মিত কলা খেলে কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিড (High Uric Acid) 

    প্রথমেই আসে কলা। চিকিৎসকদের মতে, কলা হল এক ধরনের কম পিউরাইন ফুড। এছাড়াও কলাতে ভরপুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন সি যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে কম করতে সাহায্য করে।

    ২) কম ফ্যাটের দুধ রাখুন ডায়েটে

    এরপরে আসে কম ফ্যাটের দুধ। যা ইউরিক অ্যাসিড কমানোর মোক্ষম ঔষধ, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। টক দইও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে ঠিকঠাক রাখে শরীরে।

    ৩) নিয়মিত কফি খান 

    কাজ করতে করতে কফির নেশা তো অনেকেরই আছে। সকালে তরতাজা থাকতেও কফি অনেকেই খান। চিকিৎসকরা বলছেন কফির মধ্যে এক ধরনের এনজাইম থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের (High Uric Acid) উৎপাদনকে শরীরে কম করে দেয়।

    ৪) সাইট্রাস জাতীয় ফল খান

    সাইট্রাস জাতীয় যেকোনও ফল যেমন, আমলা,পাতিলেবু, কমলালেবু এই ফলগুলি ভিটামিন সি এ ভরপুর। চিকিৎসকরা বলছেন, এই জাতীয় ফলগুলো খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে শরীরে।

    ৫) ফাইবার জাতীয় খাবার খান

     ফাইবারে ভরপুর থাকে যেমন ওটস, চেরি, আপেল, স্ট্রবেরি ব্লুবেরী, শসা, বার্লি। এই জাতীয় খাবারগুলি শরীরের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডের (High Uric Acid) মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Breakfast Mistakes: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা 

    Breakfast Mistakes: ব্রেকফাস্টে এগুলো ভুলেও খাবেন না! নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রেকফাস্টের (Breakfast Mistakes) পুষ্টিগুণে সারাদিন সক্রিয় থাকার শক্তি মেলে। রাতের ডিনার যেমন স্বল্প পরিমাণে করতে হয় তেমনি ব্রেকফাস্টে ভারী খাবারই খেতে হয়। ব্যস্ততার জীবনে অনেকে একেবারে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ সারেন। বিশেষত হোস্টেল এবং মেসে থাকা ছাত্ররা তো জানেই না ব্রেকফাস্ট (Breakfast Mistakes) কী জিনিস! শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্রেকফাস্ট যেমন অপরিহার্য তেমনি কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলিকে ব্রেকফাস্টে রাখতে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    কোন কোন খাবার ব্রেকফাস্ট (Breakfast Mistakes) এড়িয়ে যাবেন?

    ১) অত্যধিক চিনিযুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে নিষেধ করছেন পুষ্টিবিদরা

    চিনির পরিমাণ অনেকটা আছে এমন খাবার খেতে ব্রেকফাস্টে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। পুষ্টিবিদদের মতে, এই খাবারগুলি ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি করে এবং বাড়তি ওজন যে কোন রোগকে ডেকে আনে। এছাড়া চিনিযুক্ত অত্যধিক খাবারে খিদেও নষ্ট হয়ে যায়।

    ২) ফ্যাটযুক্ত খাবার বর্জন করুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্যাটযুক্ত খাবার ব্রেকফাস্টে বর্জন করতে। তার পরিবর্তে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে রাখতে বলছেন।

    ৩) ব্রেকফাস্টে ভাজাভুজি একেবারেই চলবে না

    চিকিৎসকদের মতে, ব্রেকফাস্টে ভাজাভুজি খেলে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে এবং বাড়তে পারে ক্যান্সারে ঝুঁকিও।

    ৪) প্যাকেট করা জুস একেবারেই খাবেন না

    পুষ্টিবিদদের মতে বোতলবন্দী এই জুস শরীরে অত্যধিক ক্ষতি করে। কারণ এই জাতীয় পানীয়গুলোতে মেশানো থাকে কৃত্রিম চিনি যা ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে।

    ৫) ফুলকো লুচিতেও না করছেন পুষ্টিবিদরা

    ফুলকো লুচি, আলুর দম জলখাবারে পেলে তো কথাই নেই! জমে যায় সকালটা। কিন্তু এমন খাবার খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এতে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে।

    ৬) সাম্বার বড়াও চলবে না ব্রেকফাস্টে (Breakfast Mistakes)

    এটি এক ধরনের দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। এখন আমাদের রাজ্যেও বহুল প্রচলিত। মুখের স্বাদ বদলাতে অনেকেই মাঝে মধ্যে দোকান থেকে এই খাবার কিনে খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় খাবার ডিপ ফ্রাই করা হয়। তাই সহজে হজম হয় না।

    ৭)  ব্রেকফাস্টে (Breakfast Mistakes) কর্নফ্লেক্সও খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা

    পুষ্টিবিদরা বলছেন, কর্নফ্লেক্সকে উপকারী মনে হলেও এতে দ্রুত সুগার বাড়ে। তাই ব্রেকফাস্টে এই খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

    ৮) সাদা পাউরুটিতেও না করছেন পুষ্টিবিদরা

    সকালে বাটার মেশানো পাউরুটি খেতে তো অনেকেই ভালোবাসেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এতে গুরুতর অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। তাই এগুলোকে এড়িয়ে যেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Omega-3: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়! কোন কোন খাবারে মেলে ওমেগা-৩?  

    Omega-3: দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়! কোন কোন খাবারে মেলে ওমেগা-৩?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ওমেগা-৩ (Omega-3) এর অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। ঝুঁকি দেখা যায় হার্ট অ্যাটাকের। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে, দৃষ্টিশক্তি কমে যাচ্ছে, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথায় কষ্ট পাওয়া এসবই হল ওমেগা-৩ এর ঘাটতির লক্ষণ। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত ভাবে যদি শরীরে ওমেগা-৩ প্রবেশ করানো যায়, তবে ব্রেস্ট ক্যান্সারকেও প্রতিহত করা যায়। যে কোনও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ওমেগা-৩ খুব প্রয়োজনীয়। দৈনন্দিন অনেক খাবারেই ওমেগা-৩ থাকে। এর জন্য বাইরে থেকে সাপ্লিমেন্ট এর কোন প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি? কীভাবে সুস্থ থাকবেন?

    আজকে আমরা আলোচনা করব কিছু খাবার নিয়ে যেগুলি ওমেগা-৩ তে ভরপুর থাকে

    ১) কড লিভার তেল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঙরের যকৃত নিঃসৃত তেল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে ভরপুর পরিমাণে থাকে ওমেগা-৩ (Omega-3)।

    ২) স্যামন মাছ

    পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রামের একটি স্যামন মাছের পিসে চার গ্রাম ওমেগা-৩ (Omega-3) ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। বাজারে খোঁজ করলেই মিলতে পারে এই মাছ। এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    ৩) সার্ডিন মাছ

    আকারে ছোট এই মাছ ওমেগা-৩ তে ভরপুর। পুষ্টিবিদরা বলছেন, আটলান্টিক সার্ডিন নামের এই ধরনের দেড়শ গ্রাম মাছে, আড়াই গ্রাম ওমেগা-৩ (Omega-3) থাকে।

    ৪) আখরোট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমেগা-৩ (Omega-3) এর একটি ভালো উৎস হল আখরোট। যাঁরা মাছ খান না, তাঁরা আখরোট বেছে নিতেই পারেন। ম্যাঙ্গানিজ, কপারও এতে ভরপুর পরিমাণে থাকে।

    ৫) সামুদ্রিক মাছের ডিম

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামুদ্রিক মাছ হল ওমেগা-৩ এর ভাণ্ডার। ঠিক তেমনই সামুদ্রিক মাছের ডিমেও প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে।

    ৬) সয়াবিন 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সয়াবিন একটি ফাইবারসম্মত খাবার যাতে ওমেগা-৩ অতি প্রয়োজনীয় উপাদানটি পাওয়া যায়। ৮৬ গ্রাম সয়াবিনে দেড় গ্রাম মতো ওমেগা-৩ পাওয়া যায়।

    ৭) ম্যাকেরেল মাছ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যাকেরেল মাছে ভরপুর পরিমাণে থাকে ওমেগা-৩।

    ৮) চিয়া বীজ

    পুষ্টিবিদদের মতে, চিয়া বীজ হল পুষ্টিতে ভরপুর। এতে ওমেগা-৩ ছাড়াও থাকে সেলেনিয়াম এবং ৮ রকমের প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share