Tag: health tips

health tips

  • Diabetes: ডায়াবেটিস আছে? সুস্থ থাকতে বেছে নিন প্রোটিন-জাত খাবার, বলছে গবেষণা

    Diabetes: ডায়াবেটিস আছে? সুস্থ থাকতে বেছে নিন প্রোটিন-জাত খাবার, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস (Diabetes) হলে ভাত-রুটি খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। কারণ তারা মনে করেন, কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) খেলে রক্তে শর্করার (Blood Sugar) পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনটি ভাবা মোটেও ঠিক নয়। কারণ কর্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবারের মধ্যেও ভালোমন্দ রয়েছে। যদি আপনি ভালো খাবারটি বেছে নেন, তবে আপনি উপকারী হবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কম কার্বস-যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এ ছাড়াও দিনে কতটুকু কার্বস গ্রহণ করবেন, তা নির্ভর করবে আপনার ডায়াবেটিস ওঠা-নামার উপর। ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়েটে অনেক কিছুই করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। আপনি যদি এই জিনিসগুলি থেকে বিরত থাকেন তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন খুব সহজেই।

    আরও পড়ুন: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    আইসিএমআর (ICMR) থেকে বলা হয়েছে যদি কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট ডায়েটে রাখা হয় তবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রেণে সহজেই রাখা যায়। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশে নামিয়ে আনা যায় এবং প্রোটিন ১৯ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে বৃদ্ধি পায় এবং ফ্যাট ২১ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশের কাছাকাছি রাখা যায়, তবে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপযুক্ত কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ থেকে ৫৭ শতাংশ, প্রোটিন ১৬ শতাংশ থেকে ২০শতাংশ এবং ফ্যাট ২০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ।  

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার 

    রক্তে শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই ডায়েটে সব ধরণের খাবার খাওয়া উচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Health Tips: ব্রেকফাস্টে ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলো, নয়তো হতে পারে বিপদ

    Health Tips: ব্রেকফাস্টে ভুল করেও খাবেন না এই খাবারগুলো, নয়তো হতে পারে বিপদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি আপনার ব্রেকফাস্টে বিভিন্ন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন- রুটি, বিস্কুট, ভাত জাতীয় খাবার খান? তবে কিন্তু আপনি অনেক বড় ভুল করছেন। কারণ দিনের শুরু করতে হয় কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার দিয়ে। শুধু ওজন কমাতেই নয়, বরং আপনার মেজাজ ভালো রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং অসময়ে খিদে পাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে জলখাবারে কী খাচ্ছেন, সেটি খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ।

    পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পরই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে ডোপামিন, ইনসুলিন এবং কর্টিসলের মতো হরমোনকে প্রভাবিত করে। যার কারণে আপনি মেজাজী এবং ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। দিন শুরু করার জন্য আপনার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জিনিস খাওয়া উচিত। তবেই দীর্ঘক্ষণ আপনার খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই রুটি, বিস্কুট বা ভাতের পরিবর্তে বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার বেছে নিন। ওটমিলের চেয়ে ডিম বেছে নিন।

    আরও পড়ুন: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে

    কার্বোহাইড্রেট দিয়ে আপনার দিন শুরু করা উচিত নয় কেন?

    • কার্বোহাইড্রেট ইনসুলিনের মাত্রা কমিয়ে দেয় যার ফলে পেটের চর্বি বেড়ে যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেটজ জাতীয় খাবারই ভুঁড়ি হওয়ার অন্যতম কারণ।
    • এগুলি লেপটিন প্রভাবকেও হ্রাস করে। যার ফলে আপনার খিদে পেতেই থাকে।
    • এর ফলে সারা দিন ধরেই খিদে পেতে থাকে। যার ফলে দিনের দ্বিতীয় ভাগে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে।
    • এটি গ্লাইসেমিক প্রতিক্রিয়া হ্রাস করে, যা শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে।
    • এর ফলে অন্ত্রের ডিসবায়োসিস হতে পারে। যা থেকে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    সকালে ওঠার পর কী কী খাবেন?

    • ঘুম থেকে ওঠার পর তামার পাত্র থেকে ৪০০ মিলিলিটার জল খান।
    • স্বাস্থ্যকর তেল জাতীয় খাবার বাদাম, আখরোট, আমন্ড দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন।
    • আপনার সকালের ডায়েটে মোরিঙ্গা জল, মেথি বীজ ভেজানো জলের মতো পুষ্টিকর পানীয় যোগ করুন।
    • জলখাবারের আগে কলা বা পেঁপের মতো ফল খান।
    • একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট করুন। যাতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খিদে না পায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Heart Disease: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন? 

    Heart Disease: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন হৃদরোগের (Heart Disease) জন্যে আর কোনও বয়স লাগে না। ৩৫-৪৫ বছর বয়সীরাও এই রোগে ব্যাপকহারে প্রাণ হারাচ্ছেন। চিকিৎসকদের মতে এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা, খাওয়াদাওয়া! সময় মতো অনেকেই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না। তাতেও ঝুঁকি বেড়ে যায়। কাজের চাপ বা ডাক্তার দেখানোয় অনীহাও এর অন্যতম কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে। আবার অনেকে সমস্যা আছে সেটাও বুঝতে পারেন না। তখন দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসকদের হাতেও তখন আর কিছু থাকে না। তাই সময় থাকতেই সাবধান হোন। কয়েকটি বিষয়ে (Early Signs) লক্ষ্য রাখলেই বুঝতে পারবেন, আপনার হার্টে সমস্যা আছে কী না। 

    আরও পড়ুন: বর্ষায় মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ? উপদ্রব কমাতে জানুন কিছু ঘরোয়া উপায়

    শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে জল জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। 

    অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।

    গোড়ালি ফুলে যাওয়া: হার্ট ঠিক মতো পাম্প না করলে গোড়ালিতে ফ্লুইড জমা হয়। এটা হার্টের সমস্যার বড় লক্ষণ। 

    তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছু ক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।

    হজমে সমস্যা: পাক যন্ত্রে রক্ত কম পৌঁছলে হজমের সমস্যা হয়। সেই ক্ষেত্রে হার্টের সমস্যা হলে ঘন ঘন বদহজম হতে পারে। 

    হার্ট রেট বেড়ে যাওয়া: বুক ধড়ফড় করতে পারে। হার্টের রেট বেড়ে যেতে পারে। এরকম কইছু হলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Weight Loss Tips: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    Weight Loss Tips: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ওজন কমানোর জন্য বর্তমানে সবাই ব্যস্ত। আর সামনেই পুজো আসছে যার জন্য ছোট থেকে বড় সবাই ওজন কমাতে মরিয়া। ফলে ওজন কমানোর জন্য অনেকেই না খেয়ে থাকেন, বা দিনের একবেলার খাবার স্কিপ করে দেন। আর সবথেকে বড় ভুল করে বসে সবাই। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, দিনের তিন বেলার খাবারের সঙ্গে কিছু ড্রিঙ্কস খাওয়া উচিত যেগুলো পুষ্টিকর তো বটেই, তবে খাবার হজমে এমনকি ওজন কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা করে থাকে।

    সকালের খাবার (ডিম ও ব্ল্যাক কফি)- ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফির জুড়ি মেলা ভার। ডিম প্রোটিন যুক্ত খাবার ও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী, অন্যদিকে ব্ল্যাক কফি মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও কফি বেশ সাহায্য করে। তবে দুধ, চিনি দেওয়া কফি নয় ওজন কমে ব্ল্যাক কফিতে। এছাড়াও আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয় কফি।

    আরও পড়ুন: বর্ষায় বদহজম! জানেন এই মরসুমে সুস্থ থাকতে কী খাবেন

    দুপুরের খাবার (মাছ ও গ্রিন টি)- ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মাছ ও গ্রিন টি-এর এই জুটি বিশেষ উপকারী। ডিমের মত মাছও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ড্রিঙ্কস হিসেবে খান গ্রিন টি। গ্রিন টি র মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই নিয়মিত গ্রিন টি খেলে হজম ভালো হয় সেই সঙ্গে ওজনও কমে।

    রাতের খাবার (বাদাম, বীজ, কালো মটরশুটি, এবং ছোলা দিয়ে স্যালাড ও আদা দিয়ে চা)- প্রোটিনে ভরপুর এই স্যালাডের সঙ্গে আদা চা, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এই স্যালাড খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরে শক্তির জোগান দেয়। ফলে খিদেও কমায়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই স্যালাডের সঙ্গে আদা চা জুটি হিসেবে উপযুক্ত। আদাও মেটাবলিজম বাড়ায় ও খিদে কমায়।

    স্ন্যাকস (প্লেইন গ্রীক দইয়ের সঙ্গে বেরি ও জল)- গ্রীক দই প্রোটিনে ভরপুর ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো, আর ওজন কমাতেও সাহায্য করে।। অন্যদিকে বেরিও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ফলে এই খাবারের সঙ্গে জল খেলে ওজন কমার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য হয়। জলে কিছু ফ্লেভার অ্যাড করতে শশা বা পুদিনা পাতা দিতে পারেন।

     

  • Heart Attack: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Heart Attack: অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট কী হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়াচ্ছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ১০ অগাস্ট জিমে ওয়ার্ক আউট করার সময় হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব (Raju Srivastava)। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর তিনি ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় অসহ্য ব্যথা অনুভব করেন। তারপরেই পড়ে যান। এরপরেই তাঁকে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে ৫৮ বছর বয়সী কমেডিয়ানের অবস্থা এখন খানিকটা স্থিতিশীল।  

    শুধু এটাই নয়। কলকাতার ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীও ওয়ার্ক আউট (Workout)করার সময় হঠাতই পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও সমস্যার ইতিহাস ছিল না।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    একের পর এক এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনায় বেশ চিন্তিত স্বাস্থ্য মহল। তাহলে কী গোড়াতেই গলদ? আমরা বুঝতেই পারছি না আমাদের শরীরের চাহিদা কী?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টেকনোলজির অত্যাধিক ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবন ভয়ঙ্করভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। সবার শরীর ভিন্ন। এক একজনের শরীরের এক একরকমের ব্যায়ামের প্রয়োজন। 

    আজকাল আমরা ফিট থাকার জন্যে স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট ফোনের ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আমরা যদি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া মাপ ১০ কিলোমিটার হাঁটতে না পারি, তাহলে শরীরের ওপর চাপ দিতে শুরু করি। এমনকি সেটা আমাদের শরীর না চাইলেও। আমাদের সবার শরীরের গঠন আলাদা। তাই আমাদের ক্ষেত্রে ব্যায়ামও আলাদাই হবে। 

    আরও পড়ুন: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    চিকিৎসকদের মতে, এখন ১৮-২০ বছর বয়সীরাও হৃদরোগের শিকার হচ্ছেন। কার্ডিওলজি সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদেশে ৩৫-৫০ বয়সীদের মধ্যে প্রতি মিনিটে ৪ জনের মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে যাদের মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের মধ্যে ২৫% – এর বয়সই ৩৫ বছরের নীচে। 

    আগে মনে করা হত এই রোগ শুধু বয়স্কদেরই হয়। যারা একদমই ওয়ার্ক আউট করেন না, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। কিন্তু যারা অতিরিক্ত ওয়ার্ক আউট করেন, তাঁদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রবল। স্টেরয়েডের ব্যবহারও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। অ্যাসোসিয়েটেড এশিয়া রিসার্চ ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে যারা জিমে যান, তাঁদের মধ্যে ৩০ লক্ষ মানুষই স্টেরয়েড নেন। এদের মধ্যে ৭৩% – এর বয়স ১৬-৩৫ – এর মধ্যে। এরা পরিশ্রম করে নয়, কম সময়ে ইনজেকশন নিয়ে সুঠাম শরীর তৈরি করতে চান। 

     

     

     

  • Health Tips: সুন্দর ত্বকের জন্য ডায়েটে রাখুন এই ১০টি প্রয়োজনীয় খাবার

    Health Tips: সুন্দর ত্বকের জন্য ডায়েটে রাখুন এই ১০টি প্রয়োজনীয় খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বল আর কোমল ত্বক কে না চায়! সুন্দর ত্বক পেতে আমরা কত রকমের জিনিসই ব্যবহার করে থাকি। যেমন- স্কিন ট্রিটমেন্ট, স্কিন কেয়ার রুটিনে কত রকমের স্টেপ, ঘরোয়া টোটকা, ফেসিয়াল, দামি দামি ক্রিম আরও কত কী! পারফেক্ট স্কিনের জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা। তবে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে শুধু বাইরের রূপচর্চাই যথেষ্ট নয়। ভেতর থেকেও পুষ্টির যাতে ঘাটতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেলেই ত্বক হয়ে উঠবে দাগহীন। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ডায়েটে রাখুন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার। কোন খাবারগুলো ত্বকের জন্য কার্যকরী, চলুন জেনে জেনে নেওয়া যাক-

    ক্যাপসিকাম

    এটি আপনার ত্বকের জন্য বিশেষ কার্যকরী কারণ এটি ত্বকের টিস্যু তৈরির জন্য অপরিহার্য এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। এছাড়াও ক্যাপসিকামে উচ্চ ফাইবার, কম শক্তি এবং ভিটামিন এ, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য উপকারী।

    চর্বিযুক্ত মাছ

    স্যামনের মতো মাছ যাতে ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ উচ্চ মানের প্রোটিন, ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে পারে এবং আপনার ত্বককে কোমল রাখতে পারে।

    আখরোট

    আখরোট হল প্রয়োজনীয় চর্বি, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং প্রোটিনের একটি বড় উৎস- এগুলি সবই আপনার ত্বককে ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।

    ব্রকলি

    ব্রকলি ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি দুর্দান্ত উৎস যা ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করতে পারে।

    আরও পড়ুন: এই ছটি ফল খান, আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক

    ডার্ক চকোলেট

    কোকোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের গঠন, বলিরেখা এবং রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে।

    বেরি

    স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি বা ব্লুবেরি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

    অ্যাভোকাডো

    অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভালো চর্বি, ভিটামিন ই এবং সি থাকে যা স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    সূর্যমুখী বীজ

    সূর্যমুখী বীজে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার।

    গ্রিন টি

    গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াও ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

    টোম্যাটো

    ত্বক ভালো রাখতে উজ্জ্বল রঙের সবজি, টকজাতীয় খাবার (ভিটামিন সি), প্রোটিন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেশ কার্যকর। তবে ত্বকের জন্য হিসেবে আলাদা করে লাল টোম্যাটোর কথা বলতেই হয়। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম ও ভিটামিন সি, যা উজ্জ্বল ত্বকের মূল রহস্য। এতে লাইকোপিন নামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা এবং শুষ্কভাব দূর করে ত্বক মসৃণ করে।

     

  • Healthy Diet Tips: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে

    Healthy Diet Tips: সারাক্ষণ খেতে ইচ্ছে করে? এই পাঁচটি খাবার খেলে কমবে খিদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবসময়ই কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে? আরও বিশেষ করে ডায়েটের সময় তো খিদে খিদে ভাব লেগেই থাকে। তাই তো! এর ফলে অনেকের মেজাজ খিটখিটে স্বভাবের হয়ে থাকে, আর এমন সময়ে যা সামনে পড়ে তা-ই খেতে শুরু করা, সারাক্ষণ তেলে ভাজা বা শর্করা-জাতীয় খাবার খাওয়া শুরু করলেই তখনই নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এতে একদিকে যেমন ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে নানা রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

    তবে কি খিদে লাগলে না খেয়ে থাকবেন? অবশ্যই না। খেতে ইচ্ছে করলে এমন কিছু খান, যা শরীরের জন্য ভালো হবে। আবার তা আপনার জন্য ক্ষতিকরও হবে না। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, এমন সময়ে কী কী খাবার খাবেন তা জেনে নিন।

    আমন্ড বাদাম

    আমন্ডকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়। এই বাদাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম, উপকারী ফ্যাট, প্রোটিন ও ফ্যাটে সমৃদ্ধ। ফলে আমন্ড যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী তেমনই খিদে পেলে এটি খেলে খিদেও কমে যায়।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ওজন কমাতে চান? খাবারের সঙ্গে রাখুন এই ড্রিঙ্কসগুলো

    নারকেল

    পুষ্টিবিদদরা জানিয়েছেন, নারকেল দেহের ফ্যাট দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও নারকেল খেলে খিদেও কমে ও এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।

    স্প্রাউট

    ছোলার স্প্রাউট বা অঙ্কুর প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এই প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে হজম হতে সময় লাগে। ফলে খুব সহজে খিদে পায় না।

    বাটারমিল্ক

    প্রোবায়োটিক উপাদানে সমৃদ্ধ খাবার হল বাটারমিল্ক। এছাড়াও এটি প্রোটিন, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ তাই এটি খিদে কমানোর পাশাপাশি সারাদিন শরীরকে হাইড্রেটেড ও এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করে।

    তিসি বীজের সঙ্গে ভেজিটেবিল জুস

    ভেজিটেবিল জুস ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আর তিসি বীজ স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ। এই জুসের সঙ্গে তিসি বীজ মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায় ও খিদেও কম পায়। 

     

  • HIV Prevention: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    HIV Prevention: ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি, কী করে এই রোগ থেকে দূরে থাকবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ। সম্প্রতি স্থানীয় পার্লার থেকে ট্যাটু করার পরে ১৪ জনের শরীরে এইচআইভির হদিশ মিলেছে। উত্তরপ্রদেশের বারানসীতে ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী খরচ বাঁচানোর জন্যে একই সূচ ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই ট্যাটু করার আগে সবাইকে খেয়াল করতে হবে যে নতুন সূচ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    এইচআইভি এক অন্যতম মারণ ভাইরাস। এর পুরো নাম হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস। এই ভাইরাস থেকেই জন্ম দেয় এইডস (AIDS) রোগ। এইচআইভি মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর আঘাত করে। সময়মত চিকিৎসা না হলে এই ভাইরাসের আক্রমণে শরীরের টি সেল কমে যায়। এই টি সেলই রোগের সঙ্গে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিশ্চিন্তে বাসা বাঁধে শরীরের আনাচে কানাচে। 

    পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগগুলির মধ্যে এটি একটি। এবং এই রোগের এখনও অবধি কোনও চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ থেকে কী করে নিজেকে দূরে রাখা যায়, সেদিকে নজর রাখাই সব থেকে জরুরী। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    কী ভাবে দূরে থাকবেন এইচআইভি থেকে?  

    ১। শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ছড়ায় এই রোগ। তাই শারীরিক সম্পর্কের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। শারীরিক সম্পর্কের আগে নিজের এবং সঙ্গীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে নিন। কন্ডোমের ব্যবহার সেক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন। 

    ২। রক্তের মাধ্যমেও দ্রুত ছড়ায় এই রোগ। যদি রক্ত দেওয়া বা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেক্ষেত্রে দাতা এবং গ্রহীতা দুজনকেই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষা না করে রক্ত নেওয়া যাবে না। এছাড়া একই সূচের ব্যবহারেও এই রোগ ছড়ায়। সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একই সূচ, ব্লেড একাধিক ব্যক্তির শরীরে ঠেকানো যাবে না। নতুন সূচ বা ব্লেড ব্যবহার করতে হবে। 

    ৩। মায়ের থেকে সন্তানের শরীরেও ছড়ায় এইচআইভি। তাই যে মায়েরা এই রোগে আক্রান্ত তাঁরা শিশুকে স্তন্যপান করাবেন না। গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

    ৪। বডিলি ফ্লুইডের মাধ্যমেও ছড়ায় এই রোগ। তাই সতর্ক থাকুন। মাঝে মাঝেই এই রোগের পরীক্ষা করান। তাহলেই রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। 

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? উপসর্গ কী? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লিভার শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সেই লিভারের অসুখ হল “হেপাটাইটিস”। মূলত লিভারের প্রদাহ। লিভারের প্রদাহ দেখা দিলে, একটা সময় ক্ষতর সৃষ্টি হয় এবং লিভার তার কার্যক্ষমতা হারায়। অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান, টক্সিন, ওষুধ এইসব হেপাটাটাইটিসের কারণ হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণেও হেপাটাইটিস হতে পারে। তবে, হেপাটাইটিসের প্রধান কারণ হল ভাইরাল সংক্রমণ। ভারতে সবথেকে বেশী যে ভাইরাল হেপাটাইটিস (Viral Hepatitis) দেখা যায়, সেগুলি হল, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, হেপাটাইটিস ডি ও হেপাটাইটিস ই।  

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভাইরাল হেপাটাইটিস কী? 

    ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।  

    এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?

    • ভাইরাল হেপাটাইটিসের উপসর্গগুলি (Symptoms) অনেকটাই ফ্লুয়ের মতো। 
    • এছাড়াও রয়েছে ক্লান্তি, গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের প্রস্রাব, জ্বর, বমি ও জণ্ডিসের (ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায় ) মতো উপসর্গ। 
    • তবে, এই ভাইরাসগুলির সংক্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত উপসর্গ দেখা যায় না এবং অনেক সময় বুঝতেও পারা যায় না। 
    • বিরল ক্ষেত্রে, তীব্র ভাইরাস হেপাটাইটিসের ফলে লিভারের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে লিভারের কার্যকারিতার চরম অবনতি ঘটে। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    শারীরিক সম্পর্কে কী হেপাটাইটিস ছড়ায়?

    সবচেয়ে বেশি যে সংক্রমণ ছড়ায় তা হল হেপাটাইটিস এ। এই হেপাটাইটিস এ শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। স্পর্শে সবসময় হেপাটাইটিস না ছড়ালেও বডি ফ্লুইডের আদানপ্রদানে ছড়াতে পারে এই রোগ। যারা ড্রাগ নেন, একই সূচের ব্যবহারে তাঁদের শরীরে ছড়াতে পারে এই রোগ। 

     

  • Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    Viral Hepatitis: ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে দূরে থাকতে চান? বদল আনুন জীবনশৈলীতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে। এর ফলে লিভারের টিস্যুর আকার বৃদ্ধি পায়। শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করতে পারে এই হেপাটাইটিস। পরবর্তীতে এই সংক্রমণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, এ, বি, সি, ডি এবং ই – এই পাঁচ রকমের হেপাটাইটিসেই সাধারণত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন ভারতীয়রা। খাবার, পানীয় জল থেকেও এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কম সিদ্ধ মাংস থেকেও হতে পারে এই রোগ। আক্রান্তের রক্ত এবং বডি ফ্লুইড থেকে ছড়াতে পারে হেপাটাইটিস বি,সি এবং ডি।

    আরও পড়ুন: ভাইরাল হেপাটাইটিস মূলত এক রকমের ভাইরাল সংক্রমণ, যা সরাসরি লিভারে আক্রমণ করে।  

    ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে কী কী করবেন (Prevention)?

    পরিষ্কার জল পান করুন 

    পানীয় জল যেন পরিষ্কার হয়। ভালো ব্র্যান্ডের ইউভি, ক্যান্ডেল যুক্ত ফিল্টার ব্যবহার করুন। বাড়ির বাইরে গেলে ভালো ব্র্যান্ডের ও বিশ্বাসযোগ্য রিটেলারের জল পান করুন।   

    রাস্তার ধারের খাবার এড়িয়ে চলুন 

    রাস্তার ধারের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ফলের রস, মিল্কশেক। 

    স্যালনে গেলে সাবধান থাকুন 

    নাপিতের দোকান, বিউটি স্যালনে যেন ভালোভাবে স্টেরিলাইজ না করে একই ক্ষুর, মেটাল স্ক্র্যাপার একাধিক ব্যক্তির ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। সেদিকে খেয়াল রাখুন। এর ফলে সংক্রমণের উচ্চ সম্ভাবনা থাকে।  

    সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস

    এইচসিভির তুলনায় হেপাটাইটিস বি-এর ক্ষেত্রে যৌন সংক্রমণ বেশী হয়। সুরক্ষিতভাবে যৌন অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। 

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ থেকে সচেতনতা  

    ইনট্রাভেনাস ড্রাগ ব্যবহার ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একই সূচ দিয়ে ড্রাগ নেন একাধিক ব্যক্তি। এর ঝুঁকি সম্পর্কে নিজের সন্তানদের সচেতন করুন। 

    আরও পড়ুন: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    টিকা  

    হেপাটাইটিস এ ও বি টিকার দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব। টিকার দ্বারা প্রতিরোধক্ষম একমাত্র ক্যান্সার হল হেপাটাইটিস বি-র ফলে হওয়া লিভার ক্যান্সার। 
     
    শনাক্তকরণ

    এইচবিভি ও এইচসিভিকে প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্ত করতে হবে। উভয় ভাইরাসের জন্যই কার্যকরী চিকিৎসা উপলব্ধ আছে। ঠিক সময় শনাক্ত করা না গেলে, এর থেকে লিভার ক্যানসার ও লিভার সিরোসিস ঘটতে পারে। 
     

LinkedIn
Share