Tag: Healthy Foods

Healthy Foods

  • Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    Heart Attack: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে রাশ টানা দরকার কোন চার খাবারে? কতখানি কার্যকরী এই পথ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি (Heart Attack)। বয়স মাত্র কুড়ির চৌকাঠ পেরনোর পরেই দেখা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। অনেকেই খুব কম বয়স থেকেই ডায়াবেটিসেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে হৃদপিণ্ডের নানান সমস্যা (Health Problems)। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও বাড়ছে। ভারতেও কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। গত কয়েক বছরে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষত, কমবয়সি ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই হৃদরোগের জেরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগের জেরে কর্ম জীবনেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাই প্রথম থেকেই জীবন‌ যাপনে, বিশেষত খাদ্যাভাসে রাশ টানার পরামর্শ (Health Tips) দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হৃদরোগ নিয়ে আয়োজিত এক সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এমনটা জানালেন চিকিৎসকদের একাংশ। কোন চার খাবারে রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফ্যাট জাতীয় খাবারে রাশ টানা জরুরি (Foods To Avoid)। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের নিয়মিত খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ মারাত্মক বেশি থাকে। অনেকেই নিয়মিত বার্গার, পিৎজা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জাতীয় খাবার খান। এই ধরনের খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। বরং থাকে ক্ষতিকারক ফ্যাট। যার জেরে শরীরে চর্বি জমতে থাকে। প্রভাব পড়ে হৃদপিণ্ডে। বিশেষত রক্তসঞ্চালনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। দেহে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে যাওয়ার জেরে হৃদপিণ্ডে ঠিকমতো রক্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে (Heart Attack)।

    পেস্ট্রি হোক বা রসগোল্লা, মিষ্টিতে থাকুক নিয়ন্ত্রণ…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি বিশেষত চিনি শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই তাঁদের পরামর্শ, পেস্ট্রি, কেক বা রসগোল্লা, যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ জরুরি (Foods To Avoid)। নিয়মিত রান্নায় চিনির ব্যবহারেও লাগাম দেওয়া দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একদিকে শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয়। আরেকদিকে মিষ্টি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। বয়স চল্লিশ পেরোলে (Diet After 40), আরও বেশি খাবার নিয়ে সচেতনতা জরুরি। বিশেষত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি।

    অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন নয়…

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত প্রাণীজ প্রোটিনে অভ্যস্থ। অনেক সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাবারের মেনুতে ভিটামিন কিংবা কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল একেবারেই থাকছে না। শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন থাকছে। এর ফলে নানান শারীরিক সমস্যা (Health Problems) হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে হৃদপিণ্ডে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই প্রাণীজ প্রোটিন নির্ভর খাবার খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে (Foods To Avoid)। এর ফলে রক্তচাপ ওঠানামা করছে। আবার অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার জেরে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ছে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। রক্তে চাপ বাড়ছে। তার ফলে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই নিয়মিত খাবারে পরিমিত পরিমাণে প্রাণীজ প্রোটিন জরুরি। তার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং মিনারেল জাতীয় খাবার দরকার (Health Tips)। অর্থাৎ, সবুজ সব্জি, বাদাম জাতীয় খাবার এবং দানাশস্য নিয়মিত জরুরি। তবেই হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ঠিকমতো থাকে।

    মদ্যপান এবং ধূমপানে না…

    বিশেষজ্ঞদের মতে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মদ‌্যপান এবং ধূমপানের প্রবণতা মারাত্মক ভাবে বেড়েছে। এই প্রবণতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ। ওই সম্মেলনে চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ নিয়মিত মদ্যপানে অভ্যস্ত। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক (Foods To Avoid)। পাশপাশি অনেকেই বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। হৃদপিণ্ডের উপরে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান এবং মদ্যপানে না বলা জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের (Health Tips)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Nutrition for kids: শিশু কি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ হবে কোন পাঁচ খাবারে?

    Nutrition for kids: শিশু কি পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছে? সন্তানের বুদ্ধির বিকাশ হবে কোন পাঁচ খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ থাকতে জরুরি সঠিক খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টি ঠিকমতো না হলে শিশুর বিকাশ সম্ভব নয়। আর স্বাস্থ্যকর খাবার আর পুষ্টি ঠিকমতো না পেলে শিশুর একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত বুদ্ধির বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পড়ে! কারণ, শিশু কী খাবার খাচ্ছে, তার উপরে অনেকটাই তার মস্তিষ্কের বিকাশ নির্ভর করে। তাই ঠিকমতো পুষ্টিগুণ (Nutrition for kids) না পেলে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ হয় না। যার প্রভাব সরাসরি তার পড়াশোনার উপরেই পড়ে। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য, সন্তানের বুদ্ধির বিকাশের জন্য পুষ্টির দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে, ৩ থেকে ৫ বছর বয়সি শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।‌ কারণ, এটা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের আদর্শ সময়। এই সময়ে তাই তার খাবারেও‌ বিশেষ‌ নজরদারি প্রয়োজন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন পাঁচ খাবারে বুদ্ধির বিকাশের পথ সহজ হবে? এবার সেই বিষয়েই আলোচনা করা যাক।

    জলখাবারে থাকুক বাদাম (Nutrition for kids)

    বছর তিনেক বয়স থেকেই জলখাবারে বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার নিয়মিত দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদাম, কাজু কিংবা পেস্তা যে কোনও ধরনের বাদাম জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি থাকে। এই উপাদান শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই জলখাবারে নিয়মিত যে কোনও এক ধরনের বাদাম খাওয়া জরুরি। এর ফলে শিশুর বিভিন্ন বিষয় মনে রাখতে সুবিধা হয়।

    দিনে অন্তত এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় শিশুদের অন্তত এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল (Nutrition for kids) দিতে হবে। স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি বা যে কোনও বেরি জাতীয় ফল নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের বিকাশে বাড়তি সাহায্য হয়। কারণ, যে কোনও বেরি জাতীয় ফলে ভিটামিন সি পর্যাপ্ত থাকে।‌ এর পাশপাশি থাকে ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস। এই উপাদানগুলি মস্তিষ্কের গঠনে বিশেষ সাহায্য করে। আবার স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    দুপুরের মেনুতে থাকুক মাছ এবং ডিম (Nutrition for kids)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বিকাশের জন্য মাছ এবং ডিম, এই দুই খাবারের পুষ্টিগুণ অত‌্যন্ত জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের বিভিন্ন পেশি মজবুত করতে, রক্তে আয়রনের অভাব মেটাতে এবং শরীরে ভিটামিন‌-ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে মাছ এবং ডিম সাহায্য করে। তেমনি, মস্তিষ্কের বিকাশেও মাছ এবং ডিম-এই দুই খাবার‌ বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই শিশুকে নিয়মিত দুপুরে মাছ অথবা ডিম দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছ এবং ডিম এই দুই খাবারেই থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে‌ বিশেষত স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই দুই খাবার শিশুকে দিলে তার বিশেষ উপকার হবে।

    রাতের খাবারে থাকুক ‘রামধনু’ সব্জি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সব্জি খাওয়ায় (Nutrition for kids) শিশুদের অভ্যস্ত করা জরুরি।‌ টমেটো, কুমড়ো, পটল কিংবা পালং শাক, বিভিন্ন রঙের সব্জি, সবুজ সব্জি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।‌ কিন্তু অধিকাংশ শিশুই এখন নিয়মিত সবুজ সব্জি খায় না।‌ এর জেরে নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মস্তিষ্কের বিকাশে এই সবুজ সব্জি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিট, মূলা, পটল কিংবা গাজর-এই বিভিন্ন রঙের সব্জিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদান মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। তাই একসঙ্গে বিভিন্ন রঙের সব্জি খাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি। একেই ‘রামধনু’ সব্জি বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সব সব্জি (Nutritious food) খেলে একদিকে শরীরের বিকাশ ঠিকমতো হবে, আবার মস্তিষ্কও সক্রিয় থাকবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share