মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু শরীরচর্চা নয়, প্রকৃত শক্তি আসে অন্তরের গভীর থেকে। মন, আত্মা এবং ঈশ্বরের উপর আস্থা—এই তিনটির মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলেই জীবনে স্থিতি আসে। প্রেমানন্দ মহারাজ (Premanand Ji Maharaj) মনে করেন, জীবনের ভারসাম্য ধরে রাখার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে সঠিক অভ্যাস ও আত্মিক চর্চায়। তাঁর মতে, নিয়মমাফিক জীবনযাপন শুধু শরীর নয়, মনকেও রাখে সুস্থ ও স্থির। কী সেই অভ্যাসগুলি যা আমাদের ভিতরকার শক্তিকে জাগিয়ে তোলে? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১. ব্রহ্ম মুহূর্তে জাগরণ
সূর্যোদয়ের আগের সময়কে বলা হয় ‘ব্রহ্ম মুহূর্ত’। এই সময় প্রকৃতিতে এক বিশেষ পবিত্র শক্তির উপস্থিতি থাকে। মহারাজের (Premanand Ji Maharaj) মতে, এই সময় ঘুম থেকে উঠলে মন থাকে শান্ত, চিন্তাভাবনায় আসে স্বচ্ছতা এবং সারাদিন কাটে মনঃসংযোগ ও ইতিবাচকতায়।
২. প্রতিদিন ধ্যান ও জপের অভ্যাস
প্রতিদিন ঈশ্বরের নাম জপ ও ধ্যান করলে মন শান্ত হয়, বাড়ে একাগ্রতা। যেমন শরীর সুস্থ রাখতে দরকার ব্যায়াম, তেমনই আত্মিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন ধ্যান ও জপ। এর মাধ্যমে মন থেকে নেতিবাচক ভাবনা দূর হয়।
৩. সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ
“আমরা যা খাই, তাই আমাদের মন ও চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে,” এমনটাই বলেন মহারাজ (Premanand Ji Maharaj)। তাই নিরামিষ, ঘরোয়া ও সহজপাচ্য খাদ্য যেমন—শাকসবজি, ফলমূল, দুধ ও শস্য গ্রহণ করলে শরীরের পুষ্টির পাশাপাশি মনও থাকে পরিষ্কার ও স্থিত।
৪. ব্রহ্মচর্য বা সংযম পালন (Healthy Life)
নিজের ইচ্ছা, ভাবনা ও কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণ রাখাই ব্রহ্মচর্য। মহারাজের মতে, এই আত্মসংযমই ধীরে ধীরে গড়ে তোলে মনের জোর ও শারীরিক বল। এতে জীবনে আসে লক্ষ্যভেদী দৃষ্টিভঙ্গি ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
৫. নিঃস্বার্থ সেবা (Healthy Life)
অপরকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করলে হৃদয় হয় উদার, আর অহংকার কমে যায়। মহারাজ বলেন, “শক্তি শুধু শরীরের পেশিতে নয় বরং সত্যিকারের শক্তি নিহিত থাকে সহানুভূতি, সহিষ্ণুতা ও বিনয়ের মধ্যে।”
৬. সাধু-সঙ্গ ও ধর্মগ্রন্থ পাঠ
প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যয় করুন ঈশ্বরচিন্তা, ধর্মীয় আলোচনা বা শাস্ত্র পাঠে। মহারাজের (Premanand Ji Maharaj) ভাষায়, “এটি যেন প্রতিদিনের এক ‘আত্মিক চার্জিং পয়েন্ট’, যা মনকে নির্মল ও সংকল্পকে দৃঢ় করে তোলে।”
প্রেমানন্দ মহারাজের মতে, বাহ্যিক শক্তির থেকেও অনেক বেশি মূল্যবান হল অন্তরের বল। এই শক্তিই মানুষকে সত্যিকারের শান্তি, স্থিতি ও সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই শক্তির উৎস—নিয়ম, সংযম, সদাচরণ ও আধ্যাত্মিক সাধনা।