Tag: heavy debt

  • CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    CAG Report: দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে দেনায় ডুবে যাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal)। ঋণের বোঝার বহর দিনের পর দিন চাপছে পাঞ্জাবের আপ পরিচালিত সরকারের ঘাড়ে। ভারতের দ্য কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ) সম্প্রতি এক অভিনব রিপোর্ট (CAG Report) প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য কীভাবে তাদের আর্থিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। শুক্রবার রাজ্যের অর্থসচিব সম্মেলনে সিএজি কে সঞ্জয় মূর্তি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক দশকে ভারতের ২৮টি রাজ্যের মোট সরকারি ঋণ তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যেখানে এই দেনার পরিমাণ ১৭.৫৭ লাখ কোটি টাকা, সেখানে ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬০ লাখ কোটি টাকায়। ভারতের রাজ্যগুলির ঋণ থেকে রাজ্যের জিডিপির (GSDP) অনুপাত সবচেয়ে বেশি। এর অর্থ হল ওই রাজ্যগুলির অর্থনীতির আকারের তুলনায় ঋণের বোঝা ভয়ঙ্করভাবে বড়।

    পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা (CAG Report)

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আটটি রাজ্যের সরকারি ঋণের দায় তাদের জিএসডিপির ৩০ শতাংশেরও বেশি ছিল। ছটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এই দায় জিএসডিপির ২০ শতাংশের কম ছিল। আর বাকি ১৪টি রাজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি ঋণের দায় তাদের নিজ নিজ জিএসডিপির ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে ছিল।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ। এ রাজ্যে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকার। রাজ্যের ঋণ-টু-জিএসডিপির অনুপাত এখন ৩৩.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের সর্বোচ্চগুলির মধ্যে একটি (CAG Report)। পশ্চিমবঙ্গের মতো অবস্থা আর এক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য পাঞ্জাবেরও।

    করুণ অবস্থা পাঞ্জাবের

    দীর্ঘ দিন ধরেই পাঞ্জাব সীমিত রাজস্বভিত্তি এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। সিএজির রিপোর্টে নিশ্চিত করা হয়েছে যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পাঞ্জাব এমন এক রাজ্য যেখানে ইতিমধ্যেই বেকারত্ব, কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট, এবং শিল্পোন্নয়নের কম সুযোগ রয়েছে। তার ওপর এত বিপুল ঋণ উন্নয়নে লগ্নি করার ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে (West Bengal)। মূলধনী ব্যয়, যেমন পরিকাঠামো নির্মাণ, যা ভবিষ্যতে প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার বদলে পাঞ্জাব এখন বাধ্য হচ্ছে ঋণ করা অর্থের বড় অংশ শুধু দৈনন্দিন খরচ চালাতে। প্রায় একই দশা পশ্চিমবঙ্গেরও। গত দশকে পশ্চিমবঙ্গের ঋণের বোঝা দারুনভাবে বেড়েছে। পাঞ্জাবের মতো পশ্চিমবঙ্গও সেই ১১টি রাজ্যের মধ্যে পড়ে, যারা ঋণ করে জোগাড় করা অর্থ ব্যবহার করছে দৈনন্দিন খরচ চালাতে। এর মধ্যে রয়েছে বেতন, ভর্তুকি ও প্রশাসনিক খরচ। অথচ এই টাকা খরচ করা যেতে পারত দীর্ঘমেয়াদে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে (CAG Report)।

    রাজস্ব প্রাপ্তি

    রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “গড়ে রাজ্যগুলির সরকারি ঋণ তাদের রাজস্ব প্রাপ্তি বা মোট অঋণ প্রাপ্তির প্রায় ১৫০ শতাংশ। একইভাবে, সরকারি ঋণ রাজ্যগুলির মোট রাজ্য ডোমেস্টিক উৎপাদনের ১৭ থেকে ২৫ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে এবং গড়ে জিএসডিপির ২০ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিএসডিপির ২১ শতাংশ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২৫ শতাংশে ৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল ২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পর্বের কারণে জিএসডিপির পতন হয়। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ ছিল ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণ, যা রাজ্যগুলিকে পুঁজি ব্যয়ের জন্য দেওয়া বিশেষ সহায়তা ও জিএসটি ক্ষতিপূরণের ঘাটতির পরিবর্তে ছিল (CAG Report)।”

    ঋণের অর্থ ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই

    সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও নাগাল্যান্ডের। তবে অধিকাংশ অন্যান্য রাজ্যও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। উল্টো দিকে, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মতো কিছু রাজ্য তাদের ঋণের অনুপাত তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, যা আর্থিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একেবারেই উল্টো একটি ছবি তুলে ধরে (West Bengal)। রিপোর্টে উত্থাপিত আর একটি উদ্বেগজনক সূচক হল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও নাগাল্যান্ড-সহ ১১টি রাজ্যে পুঁজি ব্যয় তাদের নিট ঋণের চেয়ে কম ছিল। উদাহরণস্বরূপ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পাঞ্জাবে যথাক্রমে তাদের নিট ঋণের মাত্র ১৭ শতাংশ এবং ২৬ শতাংশ ছিল পুঁজি ব্যয়। এর মানে হল, ঋণ নেওয়া অধিকাংশ অর্থ নতুন সম্পদ তৈরিতে (West Bengal) নয়, বরং ব্যয় হয়েছে ঘাটতি পূরণেই (CAG Report)।

LinkedIn
Share