Tag: Heavy Rain

Heavy Rain

  • Cyclone Remal Update: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    Cyclone Remal Update: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটবঙ্গে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে রেমাল (Cyclone Remal Update)। শনিবার রাতেই বঙ্গোপসাগরের ওপরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। ধীরে ধীরে তা এগিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলার দিকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সাগরদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে। অন্যদিকে ক্যানিং থেকে এই দূরত্ব ৩৬০ কিলোমিটার বলে জানা গিয়েছে। ২৬ মে রবিবারে মধ্য রাত্রিতে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।

    রবিবার ভোর থেকেই শুরু বৃষ্টি

    রবিবার ভোর থেকেই সুন্দরবন সহ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা সহ একাধিক জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, বেলা বাড়তেই দুর্যোগও বাড়তে থাকবে। সন্ধ্যা থেকে দুর্যোগের পরিমাণ প্রবল হবে। তখন থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব টের পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিকাল পাঁচটার পর অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Remal Update) আসার আগে সকাল থেকে দুর্যোগের কালো মেঘে ঢেকেছে সুন্দরবনের আকাশ। সেখানে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। এর মধ্যেই চলছে ফেরি সার্ভিস। কারণ প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য ফেরিই সুন্দরবনের একমাত্র ভরসা। তবে রাত থেকেই তা বন্ধ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এদিক-ওদিক যেতে শুরু করেছেন।

    ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আজ ভারী বৃষ্টিপাত (Cyclone Remal Update) হতে পারে। এর সঙ্গে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চরমভাবে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই জেলাগুলিতে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। এর পাশাপাশি নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রেমালের প্রভাবে সোমবারও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান ও বীরভূমে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেখানে জারি করা হয়েছে কমলা সর্তকতা। এর পাশাপাশি ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ও বইতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: পুজোর আগে অতি বর্ষণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি! দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা

    North Bengal: পুজোর আগে অতি বর্ষণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি! দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু এর মধ্যে নিম্নচাপের কারণে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে বিপর্যয়ের মুখে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের জীবন। পুজোর প্যান্ডেল থেকে শুরু করে পুজোর কেনাকাটাকে ঘিরে ব্যবসায় মন্দার প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি উৎসবের সময়ে ধাক্কা খেতে পারে পর্যটন শিল্পও। টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) তিস্তা-তোর্সা, জলঢাকা, রায়ডাক, সঙ্কোশের মতো পাহাড়ি নদীগুলিতে জলের স্তর বেড়েছে। ফুঁসছে নদীগুলি। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, তিস্তায় সম্ভব হচ্ছে না জল ধরে রাখা।

    জলপাইগুড়িতে বন্যা সতর্কতা (North Bengal)

    জলপাইগুড়ি জেলা (North Bengal) প্রশাসন ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরাতে শুরু করেছে। সিকিম পাহাড়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দু-কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা। নদীর পাড়ের এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। নদীর চর এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।  তিস্তা নদীতে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। 

    গাজলডোবা ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল

    তিস্তার (North Bengal) গতিপথের দু পাশে পড়ছে গাজলডোবা ব্যারাজ, দোমহনি, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর। তিস্তার বৃদ্ধি পাওয়া জলস্তরের জেরে ওই সব এলাকাই প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশেরও বিস্তীর্ণ এলাকাও। সকাল সাতটা নাগাদ গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত এ বছরে পরিমাণের অঙ্কে সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

    অপর দিকে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে মৃতদেহ। এখন পর্যন্ত ২টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।তিস্তার জলে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে জীবজন্তু, গাড়ি, সিন্দুক, গ্যাস সিলিন্ডার। সেইসব জিনিস উদ্ধার করতে ব্যস্ত এলকার মানুষ। গজোলডোবা ব্যারেজে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে। 

    জলমগ্ন দার্জিলিং

    শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং (North Bengal) যাওয়ার বিকল্প রাস্তার উপর থেকেই বইছে জল। প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা গিয়েছে, রাতে হু হু করে জল ঢুকে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন যে, আচমকাই জলস্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে গিয়েছে। এলাকার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেই কারণেই জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলির মধ্যে বুধবার কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই তিনটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।

     প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজু বিস্তা

    সিকিমের বিপর্যয় নিয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা৷ চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীকে। চিঠিতে বলেন, “সিকিমের হড়পা বানের প্রভাব উত্তরবঙ্গেও পড়বে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর প্রভাব পড়তে চলেছে দার্জিলিং, সিকিম ও কালিম্পং জেলায়৷” তিনি আরও বলেন, “সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকে আরও জানিয়েছি বুধবার সকাল ছ’টা থেকেই বিপদসীমার ৩ মিটার উপরে বইছে জল৷ কালিম্পং জেলার ডিএম-এর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, এ ছাড়া ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তৈরি আছে বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা দল৷ এই তিন পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু অংশ হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে৷ শিলিগুড়িতেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল অপেক্ষা করছে, যদি কোনও বড় প্রয়োজন হয়, তা হলে অবশ্যই দল দ্রুত পৌঁছে যাবে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: হড়পা বান, ভূমিধসের কারণে হিমাচলে মৃত্যু বেড়ে ৫০, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও

    Himachal Pradesh: হড়পা বান, ভূমিধসের কারণে হিমাচলে মৃত্যু বেড়ে ৫০, বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে। কোথাও হড়পা বান, কোথাও প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস, প্রকৃতির এই প্রলয়ে হিমাচলের (Himachal Pradesh) জীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সিমলা-কালকা রেলপথের একাংশ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে জলের তোড়ে। পাশের রাজ্য উত্তরাখণ্ডেরও অনেকটাই একই অবস্থা। প্রবল ভূমিধসের কারণে সেখানে আপাতত স্থগিত রয়েছে চারধাম যাত্রা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিমাচলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। 

    রবিবার রাতেই সোলান জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সিমলা শহরের একটি শিব মন্দির ধসে পড়েছে অতি বৃষ্টির কারণে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ মনে করা হচ্ছে যে কংক্রিটের নিচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকজন। এর পাশাপাশি হিমাচল (Himachal Pradesh) এর মান্ডি জেলায় সম্বল গ্রামে হড়পা বানে সোমবার ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

    কী বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?

    হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, দুর্যোগের মোকাবিলায় সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে হিমাচলে (Himachal Pradesh) একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সমস্ত নদীর। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনই নামছে ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সড়ক। জানা গিয়েছে হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড মিলিয়ে প্রায় ৭০০ রাস্তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। চলছে মেরামতির কাজ। তবে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে রেহাই এখনই মিলবে না বলে জানা যাচ্ছে।

    মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ১১ 

    রবিবার রাতে সোলান জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচণ্ড গর্জন শুনতে পান। কিছু বুঝে ওঠার আগে এই মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রবল জলস্রোত আছড়ে পড়ে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেশ কিছু বাড়িঘর। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তার মধ্যে জানা গিয়েছে একটি পরিবারের সাত সদস্যই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন। 

    টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড

    অন্যদিকে একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডও। সেখানকার একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির জেরে চলছে ভূমিধস। এখনও পর্যন্ত বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১৭ জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ১,১৭৯ টি বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: ফের সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    West Bengal Weather: ফের সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার ও উত্তর প্রদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather) হয় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিসের মতে, ফের নতুন করে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, আর এর জেরে বুধবার থেকেই ফের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। জানা গিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার বর্তমান অবস্থান হল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, বিহারের ভাগলপুর হয়ে মালদা এবং সেখান থেকে মণিপুর পর্যন্ত। অন্যদিকে সিকিম থেকে একটি অক্ষরেখা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে সরাসরি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর (West Bengal Weather) পর্যন্ত গিয়েছে।

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া  (West Bengal Weather)

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ। অন্যদিকে ঘূর্ণাবর্তের জেরে বুধ-বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে ১৫ অগাস্ট থেকে উত্তরবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে চলবে ভারী বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather)। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর রয়েছে হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গে হড়পা বানের সতর্কতা

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতে থাকলেও উত্তরবঙ্গে এ বছরের বর্ষাকালে বেশ ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর জেরে লাল সতর্কতা জারি করা হল তিস্তা, জলঢাকার মতো একাধিক উত্তরবঙ্গের নদীতে (West Bengal Weather)। প্রায় প্রতিটি নদীরই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩৫০৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ভুটানেও লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার জেরে জলঢাকা নদীতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে এবং কিছু জায়গায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই পাঁচ জেলা হড়পাবানের (West Bengal Weather) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবারই সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে চেল নদীতে নেমেছিল একটি ট্রাক্টর এবং নদীর জলস্রোত ওই ট্রাক্টরকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীকালে ক্রেনের সাহায্যে তা তোলা হয়। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমা প্রায় ১০০ বাড়ি জলবন্দী হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থার ঠিক না থাকার কারণে এই জল জমার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে দেখা গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা নামার (Heavy Rain) পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরাখণ্ডের জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। একই অবস্থা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অপর রাজ্য হিমাচলেরও। বিগত একমাস ধরে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম একাধিক রাজ্য বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘরের বদলে দিন কাটছে ত্রাণ শিবিরে। রাজ্যে রাজ্যে বেড়েই চলেছে বন্যায় মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারও দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় বন্যার কারণে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। নতুন করে আবার ভারী বর্ষণ (Heavy Rain) শুরু হয়েছে দিল্লিতে। যার জেরে রীতিমতো উদ্ধিগ্ন রাজধানীর বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তর পূর্বে অসম রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতি তেরি হয়েছে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে ধসের খবর প্রতিদিনই মিলছে দেবভূমিতে। শুক্রবার জলের প্রবল দাপটে ভেসে গেল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে চামোলি জেলায়।  শুক্রবার সকালেও উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় ধস নামার খবর আসতে থাকে। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের জেরে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে হিমাচলেও। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেই চলেছে এই রাজ্যে। শুক্রবার সিমলার ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধসের কারণে। পাশাপাশি চলছে মেঘভাঙা বৃষ্টি। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rain) হয়। যার জেরে দুটো সেতু ভেঙে পড়ে। পাঁচটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি! দিল্লিবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে

    শনিবাকর সকাল থেকেই দিল্লিতে চলছে অতিভারী বর্ষণ (Heavy Rain)। যার জেরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় জল জমার খবর মিলেছে। আগামী কয়েক দিন এমন বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। অন্য দিকে এখনও বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। তবে নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন বলছে, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৬ মিটার। যমুনার বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। ফলে বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। 

    তেলেঙ্গানাতে শুক্রবার বন্যার কারণে ১১ জনের মৃত্যু

    উত্তর ভারতের মতোই এখন বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা। জেলায় জেলায় একাধিক এলাকায় জল ঢুকেছে (Heavy Rain) বাড়িতে। এরমাঝে আবার বিপদ বাড়িয়েছে হড়পা বান। এর আগে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। শুক্রবারে আরও ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা (NDRF)। জানা গিয়েছে, আচমকা হড়পা বান চলে আসে বেশ কিছু এলাকায়। আর তাতেই জলের তোড়ে ভেসে যান একাধিক গ্রামের মানুষজন। এরমধ্যে ৩ জন নিঁখোজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছে প্রশাসন। তেলঙ্গানার একটি গ্রাম ফুট জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রাণ বাঁচাতে গাছের ডালেও আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ফের ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি দিল্লি সমেত উত্তর ভারতে! বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ মহারাষ্ট্রে

    Heavy Rain: ফের ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি দিল্লি সমেত উত্তর ভারতে! বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ মহারাষ্ট্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যায় নাজেহাল ছিল দিল্লিবাসী। ফের বৃষ্টি হলে যমুনার জলস্তর আরও বাড়তে পারে। বুধবারও ভারী বৃষ্টি হয় দিল্লিতে। এর ফলে রাজধানীর বহু এলাকায় ফের জল জমতে শুরু করে। সমস্যা দেখা দেয় দিল্লির ট্রাফিকে। সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবারের জন্যও আগাম হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে শুধু বৃহস্পতিবার নয়, দিল্লিতে বৃষ্টি চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    দিল্লিতে ফের ফুঁসছে যমুনা, গ্রেটার নয়ডা প্লাবিত হিন্দনের জলোচ্ছ্বাসে

    টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে ফের একবার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনার জলস্তর। রাজধানীর নিচু এলাকাগুলি এর ফলে ডুবতে শুরু করেছে। যার জন্য সেখানে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সরানো হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার মানুষকে। যমুনার পাশাপাশি ফুঁসছে যোগী রাজ্যের হিন্দন নদীও। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডাতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সূত্রের খবর, যমুনা এবং হিন্দন নদীর জলোচ্ছ্বাসের ফলে ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, ৩১ হাজার দুর্গতকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে প্রশাসন। যমুনার জলোচ্ছ্বাসে ইতিমধ্যে নাংলি ওয়াজিদপুর, শাহপুর গোবর্ধনপুর খাদার, চকবসন্তপুর, বসন্তপুর, ইয়াকুতপুর-সহ বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।

    মহারাষ্ট্রে বন্ধ স্কুল-কলেজ

    উত্তর ভারতের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রিপোর্ট বলছে, মুম্বই, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গের বহু এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হবে। জানা গিয়েছে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা বর্তমানে জলের তলায় রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে একনাথ শিন্ডে সরকার। মহরাষ্ট্রে রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে নাগপুরেও।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের জনজীবন বন্যায় একেবারে বিপর্যস্ত। বর্ষা নামার পর থেকেই হিমালয়ের কোলে এই দুই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিত তৈরি হয়। অতিবৃষ্টি (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের জেরে দুই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জেলায় বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ধসের জেরে উত্তরাখণ্ডের ২৪১টি সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঋষিকেষ-যমুনেত্রী সড়ক। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে ২০০ জেসিবি। পাশাপাশি হিমাচলের  ৯টি জেলায় বৃষ্টির কারণে কমলা সতর্কতা (Heavy Rain) জারি করেছে মৌসম ভবন। এগুলি হল, শিমলা, সোলান, মান্ডি, সিরমুর, বিলাসপুর, কাংড়া, চম্বা, হামিরপুর এবং উনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। সোমবারই উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। বাতিল করা হয় ১৭টি ট্রেন। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমেছে। এছাড়াও  জলমগ্ন হয়ে রয়েছে একাধিক শহর। জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ সর্বত্র এক চিত্র। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে সোমবার পর্যন্ত চলে গিয়েছে ২৪টি তরতাজা প্রাণ। মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাব বলছে মৃতের সংখ্যা ৩৯। মধ্যপ্রদেশে ফুঁসছে নর্মদা, হিমাচলে বিপাশা, দিল্লিতে যমুনা। অনেক পরিবার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে আটকে পড়েছে। তাদের ড্রোনের মাধ্যমে খাবার সমেত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক রাস্তা। হিমাচলের প্রশাসন বলছে, সে রাজ্যের ছোট-বড় সাতশো রাস্তা বর্তমানে জলের তলায়। হিমালয় ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে ধস নেমেছে জায়গায় জায়গায়। ঘরবাড়ি, গাড়ি সব কিছুই জলের স্রোতে ভাসছে একাধিক জায়গায়। আপাতত কয়েকদিন একনাগাড়ে এমন বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    ফুঁসছে যমুনা ও বিপাশা… 

    রাজধানী দিল্লিতে যমুনা নদী বিপদসীমা পার করে বইছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৩ মিটারে, মঙ্গলবার সকালে তা ২০৬.২৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) হরিয়ানাতেও বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ার ফলেই ফুঁসছে যমুনা। সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হিমাচল প্রদেশের। সেখানে বিপাশা নদীর স্রোতে সব কিছু ভেসে যাচ্ছে। বিপাশার গ্রাসে জলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, জাতীয় সড়ক। একাধিক জায়গায় বিপাশার রোষে খেলনার মতো ভাসছে ঘরবাড়ি, গাড়ি। জনবহুল এলাকাতেও জল ঢুকে গিয়েছে। হিমাচলে বেড়ে চলেছে হড়পা বানের তাণ্ডব। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধসে গিয়েছে বাড়ি। মানালি, কুলু, কিন্নৌর, চাম্বা এই শহরগুলির অবস্থা খুব খারাপ। বিপাশা ছাড়াও ইরাবতী, শতদ্রু, চন্দ্রভাগা, সব নদীর জলস্তরই পার করে গিয়েছে বিপদসীমা। 

    খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    হিমাচলের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এরকম অবস্থায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নিলেন পরিস্থিতির। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা সমস্ত নাগরিককে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে আপদকালীন হেল্পলাইন নম্বর ১১০০, ১০৭০ এবং ১০৭৭ চালু করা হয়েছে।

    দিল্লিতে কন্ট্রোল রুম

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীতে ১৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হরিয়ানার পরিস্থিতি খারাপ (Heavy Rain) হওয়ায় হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে যমুনার ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর। এনিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে দিল্লি সরকার।

    বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর

    লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। কাঠুয়া, সাম্বা সহ একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পর পর তিন দিন বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। রবিবার অমরনাথ যাত্রা ফের শুরু হয়েছিল, তবে তা আবারও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এখনও। সেখানে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লির (Delhi Rain) জনজীবন। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির বিরাম ছিল না শনিবারও। রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন অংশ। বহু এলাকায় বাড়িতে ও দোকানের ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। ভোগান্তির শিকার শহরবাসী। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুজল। সেই জল পেরিয়েই কর্মক্ষেত্রে গিয়েছেন বহু মানুষ।

    শহরের জলছবি

    শহরের জলছবির দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর একাধিক রাস্তায় জল থইথই করছে। শহরের অনেক জায়গাই কোমর সমান জল। তার মধ্যেও শহরবাসী সারছেন নিত্যদিনের কাজ। কোমর সমান জল উজিয়েই রিক্সা টানছেন চালক। চলতে চলতে জলের কারণে কোথাও আবার মাঝ রাস্তায়ই অচল হয়ে গিয়েছে গাড়ি।

    জলযন্ত্রণা (Delhi Rain) সহ্য করেই মানুষ গিয়েছেন কাজে। জলের কারণে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গিয়েছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হন স্কুল-কলেজ-অফিসযাত্রীরা। জমা জলের কারণে মিন্টো ব্রিজের আন্ডারপাসে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। যান চলাচল বন্ধ করতে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।

    লুদ সতর্কতা

    শনিবার কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে সারাদিনই। কোথাও কম, কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর। হাওয়া অফিসের তরফে কোনও কোনও এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে, করোল বাগের টিব্বা কলেজ সোসাইটি এলাকায় (Delhi Rain) দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর আঠান্নর মহিলা রঞ্জিত কাউরের। কালকাজি এলাকায় দেশবন্ধু কলেজের পিছনের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫টি সৌখিন গাড়ি ও ১২টি বাইক ভেঙে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধারাপাত চলবে আরও দু-তিন দিন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের পর ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে এত বৃষ্টি হয়নি দিল্লিতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৬ মিলিমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফ থেকে বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি বাপটলা থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে ১০০ কিমি ও খাম্মার থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে আরও দুর্বল হবে।

    দুর্যোগের সম্ভাবনা

    শক্তি কমলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে বুধবারেও দেশের কিছু অংশে দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকছে। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে মিগজাউম। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশা, দক্ষিণ ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায়। মঙ্গলবারই ওড়িশা প্রশাসনের তরফে দক্ষিণের জেলাগুলিকে ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

    মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতি

    মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। সোমবারের পর বৃষ্টি খানিক কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে। মঙ্গলবার চেন্নাই পুলিশ একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, শহরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্যার ফলে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশও। ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৪টি গ্রামের ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত ২৫টি গ্রাম।

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    দুর্যোগের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবারের মতোই বুধবারও শহরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং কলকাতায়। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও ৪-৫ দিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির মতো হবে। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় চার ডিগ্রি বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে বৃষ্টিপাত (Weather Update)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,  বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবার রাঁচি থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখাও তৈরি হয়েছে। এই জোড়া নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার মিলিত ফলেই আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি (Weather Update) হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার বর্তমান অবস্থান ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছেই। অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতও যেমন হবে তেমন হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতও দেখা যাবে। শুক্রবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিগত কয়েক দিনে নিম্নচাপের জেরেই বৃষ্টি হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায়। আবহাওয়া দপফতর এরই মধ্যে জানিয়ে দিল আপাতত ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিম্নচাপ। চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পূজা ও গণেশ পূজোটা বাঙালির বৃষ্টিতেই কেটে গেল।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এই সমস্ত জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং এ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, মঙ্গল ও বুধবার উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাত হবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share