Tag: Heavy Rain

Heavy Rain

  • Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা নামার (Heavy Rain) পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরাখণ্ডের জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। একই অবস্থা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অপর রাজ্য হিমাচলেরও। বিগত একমাস ধরে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম একাধিক রাজ্য বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘরের বদলে দিন কাটছে ত্রাণ শিবিরে। রাজ্যে রাজ্যে বেড়েই চলেছে বন্যায় মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারও দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় বন্যার কারণে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। নতুন করে আবার ভারী বর্ষণ (Heavy Rain) শুরু হয়েছে দিল্লিতে। যার জেরে রীতিমতো উদ্ধিগ্ন রাজধানীর বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তর পূর্বে অসম রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতি তেরি হয়েছে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে ধসের খবর প্রতিদিনই মিলছে দেবভূমিতে। শুক্রবার জলের প্রবল দাপটে ভেসে গেল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে চামোলি জেলায়।  শুক্রবার সকালেও উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় ধস নামার খবর আসতে থাকে। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের জেরে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে হিমাচলেও। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেই চলেছে এই রাজ্যে। শুক্রবার সিমলার ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধসের কারণে। পাশাপাশি চলছে মেঘভাঙা বৃষ্টি। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rain) হয়। যার জেরে দুটো সেতু ভেঙে পড়ে। পাঁচটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি! দিল্লিবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে

    শনিবাকর সকাল থেকেই দিল্লিতে চলছে অতিভারী বর্ষণ (Heavy Rain)। যার জেরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় জল জমার খবর মিলেছে। আগামী কয়েক দিন এমন বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। অন্য দিকে এখনও বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। তবে নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন বলছে, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৬ মিটার। যমুনার বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। ফলে বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। 

    তেলেঙ্গানাতে শুক্রবার বন্যার কারণে ১১ জনের মৃত্যু

    উত্তর ভারতের মতোই এখন বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা। জেলায় জেলায় একাধিক এলাকায় জল ঢুকেছে (Heavy Rain) বাড়িতে। এরমাঝে আবার বিপদ বাড়িয়েছে হড়পা বান। এর আগে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। শুক্রবারে আরও ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা (NDRF)। জানা গিয়েছে, আচমকা হড়পা বান চলে আসে বেশ কিছু এলাকায়। আর তাতেই জলের তোড়ে ভেসে যান একাধিক গ্রামের মানুষজন। এরমধ্যে ৩ জন নিঁখোজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছে প্রশাসন। তেলঙ্গানার একটি গ্রাম ফুট জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রাণ বাঁচাতে গাছের ডালেও আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ফের ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি দিল্লি সমেত উত্তর ভারতে! বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ মহারাষ্ট্রে

    Heavy Rain: ফের ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি দিল্লি সমেত উত্তর ভারতে! বৃষ্টিতে স্কুল বন্ধ মহারাষ্ট্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দিল্লিতে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যায় নাজেহাল ছিল দিল্লিবাসী। ফের বৃষ্টি হলে যমুনার জলস্তর আরও বাড়তে পারে। বুধবারও ভারী বৃষ্টি হয় দিল্লিতে। এর ফলে রাজধানীর বহু এলাকায় ফের জল জমতে শুরু করে। সমস্যা দেখা দেয় দিল্লির ট্রাফিকে। সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭.১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। বৃহস্পতিবারের জন্যও আগাম হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে শুধু বৃহস্পতিবার নয়, দিল্লিতে বৃষ্টি চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    দিল্লিতে ফের ফুঁসছে যমুনা, গ্রেটার নয়ডা প্লাবিত হিন্দনের জলোচ্ছ্বাসে

    টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে ফের একবার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনার জলস্তর। রাজধানীর নিচু এলাকাগুলি এর ফলে ডুবতে শুরু করেছে। যার জন্য সেখানে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। সরানো হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার মানুষকে। যমুনার পাশাপাশি ফুঁসছে যোগী রাজ্যের হিন্দন নদীও। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডাতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সূত্রের খবর, যমুনা এবং হিন্দন নদীর জলোচ্ছ্বাসের ফলে ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে ইতিমধ্যে। জানা গিয়েছে, ৩১ হাজার দুর্গতকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়েছে প্রশাসন। যমুনার জলোচ্ছ্বাসে ইতিমধ্যে নাংলি ওয়াজিদপুর, শাহপুর গোবর্ধনপুর খাদার, চকবসন্তপুর, বসন্তপুর, ইয়াকুতপুর-সহ বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে।

    মহারাষ্ট্রে বন্ধ স্কুল-কলেজ

    উত্তর ভারতের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রিপোর্ট বলছে, মুম্বই, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গের বহু এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হবে। জানা গিয়েছে দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে ভারী বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন এলাকা বর্তমানে জলের তলায় রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্কুল, কলেজগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে একনাথ শিন্ডে সরকার। মহরাষ্ট্রে রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে নাগপুরেও।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের জনজীবন বন্যায় একেবারে বিপর্যস্ত। বর্ষা নামার পর থেকেই হিমালয়ের কোলে এই দুই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিত তৈরি হয়। অতিবৃষ্টি (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের জেরে দুই রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থাও কার্যত ভেঙে পড়েছে। উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু জেলায় বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। ধসের জেরে উত্তরাখণ্ডের ২৪১টি সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঋষিকেষ-যমুনেত্রী সড়ক। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে ২০০ জেসিবি। পাশাপাশি হিমাচলের  ৯টি জেলায় বৃষ্টির কারণে কমলা সতর্কতা (Heavy Rain) জারি করেছে মৌসম ভবন। এগুলি হল, শিমলা, সোলান, মান্ডি, সিরমুর, বিলাসপুর, কাংড়া, চম্বা, হামিরপুর এবং উনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। সোমবারই উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। বাতিল করা হয় ১৭টি ট্রেন। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমেছে। এছাড়াও  জলমগ্ন হয়ে রয়েছে একাধিক শহর। জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ সর্বত্র এক চিত্র। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে সোমবার পর্যন্ত চলে গিয়েছে ২৪টি তরতাজা প্রাণ। মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাব বলছে মৃতের সংখ্যা ৩৯। মধ্যপ্রদেশে ফুঁসছে নর্মদা, হিমাচলে বিপাশা, দিল্লিতে যমুনা। অনেক পরিবার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে আটকে পড়েছে। তাদের ড্রোনের মাধ্যমে খাবার সমেত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক রাস্তা। হিমাচলের প্রশাসন বলছে, সে রাজ্যের ছোট-বড় সাতশো রাস্তা বর্তমানে জলের তলায়। হিমালয় ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে ধস নেমেছে জায়গায় জায়গায়। ঘরবাড়ি, গাড়ি সব কিছুই জলের স্রোতে ভাসছে একাধিক জায়গায়। আপাতত কয়েকদিন একনাগাড়ে এমন বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    ফুঁসছে যমুনা ও বিপাশা… 

    রাজধানী দিল্লিতে যমুনা নদী বিপদসীমা পার করে বইছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৩ মিটারে, মঙ্গলবার সকালে তা ২০৬.২৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) হরিয়ানাতেও বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ার ফলেই ফুঁসছে যমুনা। সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হিমাচল প্রদেশের। সেখানে বিপাশা নদীর স্রোতে সব কিছু ভেসে যাচ্ছে। বিপাশার গ্রাসে জলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, জাতীয় সড়ক। একাধিক জায়গায় বিপাশার রোষে খেলনার মতো ভাসছে ঘরবাড়ি, গাড়ি। জনবহুল এলাকাতেও জল ঢুকে গিয়েছে। হিমাচলে বেড়ে চলেছে হড়পা বানের তাণ্ডব। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধসে গিয়েছে বাড়ি। মানালি, কুলু, কিন্নৌর, চাম্বা এই শহরগুলির অবস্থা খুব খারাপ। বিপাশা ছাড়াও ইরাবতী, শতদ্রু, চন্দ্রভাগা, সব নদীর জলস্তরই পার করে গিয়েছে বিপদসীমা। 

    খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    হিমাচলের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এরকম অবস্থায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নিলেন পরিস্থিতির। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা সমস্ত নাগরিককে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে আপদকালীন হেল্পলাইন নম্বর ১১০০, ১০৭০ এবং ১০৭৭ চালু করা হয়েছে।

    দিল্লিতে কন্ট্রোল রুম

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীতে ১৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হরিয়ানার পরিস্থিতি খারাপ (Heavy Rain) হওয়ায় হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে যমুনার ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর। এনিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে দিল্লি সরকার।

    বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর

    লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। কাঠুয়া, সাম্বা সহ একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পর পর তিন দিন বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। রবিবার অমরনাথ যাত্রা ফের শুরু হয়েছিল, তবে তা আবারও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এখনও। সেখানে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    Delhi Rain: টানা বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি, দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লির (Delhi Rain) জনজীবন। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির বিরাম ছিল না শনিবারও। রাতভর ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন অংশ। বহু এলাকায় বাড়িতে ও দোকানের ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। ভোগান্তির শিকার শহরবাসী। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুজল। সেই জল পেরিয়েই কর্মক্ষেত্রে গিয়েছেন বহু মানুষ।

    শহরের জলছবি

    শহরের জলছবির দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রাজধানীর একাধিক রাস্তায় জল থইথই করছে। শহরের অনেক জায়গাই কোমর সমান জল। তার মধ্যেও শহরবাসী সারছেন নিত্যদিনের কাজ। কোমর সমান জল উজিয়েই রিক্সা টানছেন চালক। চলতে চলতে জলের কারণে কোথাও আবার মাঝ রাস্তায়ই অচল হয়ে গিয়েছে গাড়ি।

    জলযন্ত্রণা (Delhi Rain) সহ্য করেই মানুষ গিয়েছেন কাজে। জলের কারণে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গিয়েছে যানজট। ভোগান্তির শিকার হন স্কুল-কলেজ-অফিসযাত্রীরা। জমা জলের কারণে মিন্টো ব্রিজের আন্ডারপাসে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। যান চলাচল বন্ধ করতে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড।

    লুদ সতর্কতা

    শনিবার কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে সারাদিনই। কোথাও কম, কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজেছে শহর। হাওয়া অফিসের তরফে কোনও কোনও এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এদিকে, করোল বাগের টিব্বা কলেজ সোসাইটি এলাকায় (Delhi Rain) দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর আঠান্নর মহিলা রঞ্জিত কাউরের। কালকাজি এলাকায় দেশবন্ধু কলেজের পিছনের দেওয়াল ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫টি সৌখিন গাড়ি ও ১২টি বাইক ভেঙে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধারাপাত চলবে আরও দু-তিন দিন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারি কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালের পর ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে এত বৃষ্টি হয়নি দিল্লিতে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২৬ মিলিমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফ থেকে বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি বাপটলা থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে ১০০ কিমি ও খাম্মার থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে আরও দুর্বল হবে।

    দুর্যোগের সম্ভাবনা

    শক্তি কমলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে বুধবারেও দেশের কিছু অংশে দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকছে। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে মিগজাউম। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশা, দক্ষিণ ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায়। মঙ্গলবারই ওড়িশা প্রশাসনের তরফে দক্ষিণের জেলাগুলিকে ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

    মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতি

    মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। সোমবারের পর বৃষ্টি খানিক কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে। মঙ্গলবার চেন্নাই পুলিশ একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, শহরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্যার ফলে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশও। ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৪টি গ্রামের ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত ২৫টি গ্রাম।

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    দুর্যোগের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবারের মতোই বুধবারও শহরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং কলকাতায়। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও ৪-৫ দিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির মতো হবে। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় চার ডিগ্রি বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে বৃষ্টিপাত (Weather Update)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,  বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবার রাঁচি থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখাও তৈরি হয়েছে। এই জোড়া নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার মিলিত ফলেই আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি (Weather Update) হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার বর্তমান অবস্থান ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছেই। অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতও যেমন হবে তেমন হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতও দেখা যাবে। শুক্রবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিগত কয়েক দিনে নিম্নচাপের জেরেই বৃষ্টি হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায়। আবহাওয়া দপফতর এরই মধ্যে জানিয়ে দিল আপাতত ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিম্নচাপ। চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পূজা ও গণেশ পূজোটা বাঙালির বৃষ্টিতেই কেটে গেল।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এই সমস্ত জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং এ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, মঙ্গল ও বুধবার উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাত হবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই সূর্য লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টি (Weather Update)। শহর কলকাতাতেও একই পরিস্থিতি রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে এবং এর প্রভাবেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই চিত্র দেখা যায় রাজ্য জুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বুধবার থেকেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। হাওয়া অফিস বলছে যে শনিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তরবঙ্গে নদীগুলিতে বাড়ছে জলস্তর। 

    উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা

    ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কারণে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদি জেলায় বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহার এবং দার্জিলিং-এর মতো জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ১০০ মিলি লিটার। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস এবং রবিবার থেকে বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ কমবে বলেও জানা গিয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে চলবে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত (Weather Update)

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update) হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কম কমবে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলাতে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির (Weather Update) সতর্কতা জারি করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। অন্যদিকে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও হুগলিতেও চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতার ক্ষেত্রেও শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্র থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি বর্ষণ (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে, এই বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উত্তরাখণ্ড। পাশাপাশি দিল্লিতে ফের বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    হিমাচলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে (Heavy Rain)

    হিমাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) কত সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কত মানুষ হতাহত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানের কথা গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য সরকার সরকারি ভাবে জানিয়েছেন। শুক্রবারের আপডেট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে নতুন করে শিমলায় শিব মন্দিরে ভূমিধসের ফলে চারজন মাটির নিচে আটকে পড়েছেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত অধিক হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছে গিয়েছে।

    বেহাল উত্তরাখণ্ড

    অপর দিকে তেহরি-গাড়োয়াল জেলার টোটাঘাটি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে, সেখানেও যানবাহন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তেহেরি গাড়োয়ালের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত জানিয়েছেন যে, টোটাঘাটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) ব্যাপক ধস নেমেছে। এমনকী, প্রধান সড়ক পথ অবরুদ্ধ। রাস্তাকে দ্রুত সচল করার জন্য প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি নিজে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। ঋষিকেশে গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধি নিয়েও ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে।

    ফের বন্যার সম্ভাবনা দিল্লিতে

    গত জুন মাসে অধিক বৃষ্টিপাতের (Heavy Rain) ফলে দেশের রাজধানী জলমগ্ন হয়ে সাধারণ জীবন অত্যন্ত বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিল। অগাস্ট মাসেও এই প্রবল বৃষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফের নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গার জল। বৃষ্টিজনিত নানা দুর্ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন জনের। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন প্রায় ১২ জন। ধসের কারণে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। জখম হয়েছে একজন। গৌরীকুণ্ড এলাকার ওই ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া।

    গৌরীকুণ্ডে ধস 

    প্রসঙ্গত, এই গৌরীকুণ্ড থেকেই শুরু হয় কেদারনাথ যাত্রা। গত পাঁচ দিনে এ নিয়ে ধস নামল দ্বিতীয়বার। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দেবপ্রয়াগে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। হরিদ্বারেও গঙ্গার জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে। অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে সাত নম্বর জাতীয় সড়কও। 

    সঙ্কট বিদ্যুৎ, পানীয় জলের

    বৃষ্টি ও ধসের কারণে নানা জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের। বিপন্নদের উদ্ধার করতে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হাত মিলিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গৌরীকুণ্ডের যে এলাকায় এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মেরেকেটে আধ কিলোমিটার হবে ৪ অগাস্ট যেখানে ধস নেমেছিল, সেই জায়গাটি। সেই ধসে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। নিখোঁজ ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের পউরি জেলায় পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে জলবন্দি হয়েছেন হৃষিকেশের (Uttarakhand) ধালওলা ও খারার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। হৃষিকেশে বহু বাড়ি ডুবে গিয়েছে জলে। দুর্গতদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তারা উদ্ধার করেছেন ৫০ জন দুর্গতকে।

    আরও পড়ুুন: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি বলেন, “রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে আমরা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছিলাম। দিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছি। উদ্ধার কাজ করছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধারকাজে আমরা কোনও খামতি রাখতে চাই না।” তিনি বলেন, আমি তীর্থযাত্রীদের অনুরোধ করব, আবহাওয়ার খবর নিয়েই যেন বাড়ির বাইরে বের হন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত জনজীবনের চিত্র যেন কিছুতেই বদলাচ্ছেনা। শুক্রবার সকালেও দেবভূমির বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার খবর মিলেছে। ধসের কারণে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একই চিত্র হিমাচলেরও। সেখানেও ধস নেমেছে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের তেলঙ্গানা রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। একাধিক নদী সেখানে বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে। ইতিমধ্যে সেখানে ১৯০০ বন্যা (Heavy Rain) দুর্গতকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সবমিলিয়ে তেলঙ্গানার পরিস্থিতি বেশ খারাপ।

    ধসের কারণে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে বন্ধ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক

    উত্তরাখণ্ডে ধস ক্রমশই সেখানকার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে সে রাজ্য়ের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ধস নামায় এবং রাস্তার উপর ধ্বংসস্তূপ এসে পড়ায় শুক্রবার সকালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। ধ্বংসস্তূপ পড়ায় ধরসু এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক।’’ ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain), ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যার জেরে একেবারে বিপর্যস্ত দেবভূমি। অন্যদিকে একই ছবি হিমাচলপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি সংবাদ সংস্থার দাবি, ভারী বৃষ্টিতে ধস নামছে ব্যাপক। যার জেরে শিমলা এবং কিন্নর জেলায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে দু’টি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর মেলেনি।

    বন্যায় বিপর্যস্ত তেলঙ্গানা

    ভারী বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে তেলঙ্গানার বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদী বিপদসীমা পেরিয়ে জনপদে চলে এসেছে। রাজ্যের কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে রাজ্যের জয়শঙ্কর ভূপালপল্লি জেলাতে। এই জেলার স্থানীয় গ্রাম মোরাঞ্চাপল্লি বর্তমানে ১৫ ফুট জলের নিচে চলে গিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ গাছের উপরে, বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার কারণে গতকাল থেকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। সে রাজ্যে হনুমানকোণ্ডায় বি প্রেম সাগর নামে এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। জলমগ্ন রাস্তা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতেই এনডিআরএফ এর দল উদ্ধারের কাজে নামে মোরাঞ্চাপল্লি গ্রামে। বায়ুসেনার দু’টি হেলিকপ্টারও নামাতে হয় দুর্গতদের উদ্ধার (Heavy Rain) করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share