Tag: Heavy Rain

Heavy Rain

  • Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফ থেকে বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি বাপটলা থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে ১০০ কিমি ও খাম্মার থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে আরও দুর্বল হবে।

    দুর্যোগের সম্ভাবনা

    শক্তি কমলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে বুধবারেও দেশের কিছু অংশে দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকছে। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে মিগজাউম। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশা, দক্ষিণ ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায়। মঙ্গলবারই ওড়িশা প্রশাসনের তরফে দক্ষিণের জেলাগুলিকে ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

    মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতি

    মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। সোমবারের পর বৃষ্টি খানিক কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে। মঙ্গলবার চেন্নাই পুলিশ একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, শহরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্যার ফলে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশও। ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৪টি গ্রামের ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত ২৫টি গ্রাম।

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    দুর্যোগের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবারের মতোই বুধবারও শহরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং কলকাতায়। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও ৪-৫ দিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির মতো হবে। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় চার ডিগ্রি বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    Weather Update: ফের সক্রিয় নিম্নচাপ, টানা তিন দিন বৃষ্টি চলবে বঙ্গের জেলাগুলিতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনে নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলছে বৃষ্টিপাত (Weather Update)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন,  বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবার রাঁচি থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখাও তৈরি হয়েছে। এই জোড়া নিম্নচাপ এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার মিলিত ফলেই আগামী তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি (Weather Update) হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা মঙ্গলবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার বর্তমান অবস্থান ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছেই। অন্যদিকে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ রাজ্যের কয়েকটি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতও যেমন হবে তেমন হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতও দেখা যাবে। শুক্রবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাতের (Weather Update) সম্ভাবনা রয়েছে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় অন্যদিকে উত্তরবঙ্গেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বিগত কয়েক দিনে নিম্নচাপের জেরেই বৃষ্টি হচ্ছিল দক্ষিণবঙ্গে বিভিন্ন জেলায়। আবহাওয়া দপফতর এরই মধ্যে জানিয়ে দিল আপাতত ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিম্নচাপ। চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পূজা ও গণেশ পূজোটা বাঙালির বৃষ্টিতেই কেটে গেল।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বুধবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এই সমস্ত জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং এ অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, মঙ্গল ও বুধবার উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাত হবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই সূর্য লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টি (Weather Update)। শহর কলকাতাতেও একই পরিস্থিতি রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে এবং এর প্রভাবেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই চিত্র দেখা যায় রাজ্য জুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বুধবার থেকেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। হাওয়া অফিস বলছে যে শনিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তরবঙ্গে নদীগুলিতে বাড়ছে জলস্তর। 

    উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা

    ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কারণে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদি জেলায় বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহার এবং দার্জিলিং-এর মতো জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ১০০ মিলি লিটার। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস এবং রবিবার থেকে বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ কমবে বলেও জানা গিয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে চলবে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত (Weather Update)

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update) হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কম কমবে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলাতে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির (Weather Update) সতর্কতা জারি করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। অন্যদিকে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও হুগলিতেও চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতার ক্ষেত্রেও শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্র থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি বর্ষণ (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে, এই বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উত্তরাখণ্ড। পাশাপাশি দিল্লিতে ফের বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    হিমাচলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে (Heavy Rain)

    হিমাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) কত সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কত মানুষ হতাহত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানের কথা গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য সরকার সরকারি ভাবে জানিয়েছেন। শুক্রবারের আপডেট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে নতুন করে শিমলায় শিব মন্দিরে ভূমিধসের ফলে চারজন মাটির নিচে আটকে পড়েছেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত অধিক হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছে গিয়েছে।

    বেহাল উত্তরাখণ্ড

    অপর দিকে তেহরি-গাড়োয়াল জেলার টোটাঘাটি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে, সেখানেও যানবাহন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তেহেরি গাড়োয়ালের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত জানিয়েছেন যে, টোটাঘাটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) ব্যাপক ধস নেমেছে। এমনকী, প্রধান সড়ক পথ অবরুদ্ধ। রাস্তাকে দ্রুত সচল করার জন্য প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি নিজে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। ঋষিকেশে গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধি নিয়েও ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে।

    ফের বন্যার সম্ভাবনা দিল্লিতে

    গত জুন মাসে অধিক বৃষ্টিপাতের (Heavy Rain) ফলে দেশের রাজধানী জলমগ্ন হয়ে সাধারণ জীবন অত্যন্ত বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিল। অগাস্ট মাসেও এই প্রবল বৃষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফের নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    Uttarakhand: প্রবল বৃষ্টি, ধস, পৃথক ঘটনায় উত্তরাখণ্ডে মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে গঙ্গার জল। বৃষ্টিজনিত নানা দুর্ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন জনের। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। একজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। জখম হয়েছেন প্রায় ১২ জন। ধসের কারণে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। জখম হয়েছে একজন। গৌরীকুণ্ড এলাকার ওই ঘটনায় নেমেছে শোকের ছায়া।

    গৌরীকুণ্ডে ধস 

    প্রসঙ্গত, এই গৌরীকুণ্ড থেকেই শুরু হয় কেদারনাথ যাত্রা। গত পাঁচ দিনে এ নিয়ে ধস নামল দ্বিতীয়বার। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দেবপ্রয়াগে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। হরিদ্বারেও গঙ্গার জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে। অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে সাত নম্বর জাতীয় সড়কও। 

    সঙ্কট বিদ্যুৎ, পানীয় জলের

    বৃষ্টি ও ধসের কারণে নানা জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ। সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের। বিপন্নদের উদ্ধার করতে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। হাত মিলিয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। গৌরীকুণ্ডের যে এলাকায় এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখান থেকে মেরেকেটে আধ কিলোমিটার হবে ৪ অগাস্ট যেখানে ধস নেমেছিল, সেই জায়গাটি। সেই ধসে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। নিখোঁজ ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডের পউরি জেলায় পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে জলবন্দি হয়েছেন হৃষিকেশের (Uttarakhand) ধালওলা ও খারার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। হৃষিকেশে বহু বাড়ি ডুবে গিয়েছে জলে। দুর্গতদের উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তারা উদ্ধার করেছেন ৫০ জন দুর্গতকে।

    আরও পড়ুুন: সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক! পকসোতে অভিযুক্তকে জামিন দিল্লি হাইকোর্টের, অভিযোগ খারিজ কর্নাটকে

    মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি বলেন, “রাজ্যের বহু এলাকা জলমগ্ন। বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে আমরা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছিলাম। দিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছি। উদ্ধার কাজ করছে রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। উদ্ধারকাজে আমরা কোনও খামতি রাখতে চাই না।” তিনি বলেন, আমি তীর্থযাত্রীদের অনুরোধ করব, আবহাওয়ার খবর নিয়েই যেন বাড়ির বাইরে বের হন তাঁরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    Heavy Rain: ভারী বৃষ্টির জের! বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল, তেলঙ্গানায় মৃত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত জনজীবনের চিত্র যেন কিছুতেই বদলাচ্ছেনা। শুক্রবার সকালেও দেবভূমির বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার খবর মিলেছে। ধসের কারণে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একই চিত্র হিমাচলেরও। সেখানেও ধস নেমেছে। যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের তেলঙ্গানা রাজ্যেও একই পরিস্থিতি। একাধিক নদী সেখানে বিপদসীমা অতিক্রম করে বইছে। ইতিমধ্যে সেখানে ১৯০০ বন্যা (Heavy Rain) দুর্গতকে উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সবমিলিয়ে তেলঙ্গানার পরিস্থিতি বেশ খারাপ।

    ধসের কারণে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলে বন্ধ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক

    উত্তরাখণ্ডে ধস ক্রমশই সেখানকার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে সে রাজ্য়ের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় ধস নামায় এবং রাস্তার উপর ধ্বংসস্তূপ এসে পড়ায় শুক্রবার সকালে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক। ধ্বংসস্তূপ পড়ায় ধরসু এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক।’’ ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain), ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যার জেরে একেবারে বিপর্যস্ত দেবভূমি। অন্যদিকে একই ছবি হিমাচলপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি সংবাদ সংস্থার দাবি, ভারী বৃষ্টিতে ধস নামছে ব্যাপক। যার জেরে শিমলা এবং কিন্নর জেলায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে দু’টি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর মেলেনি।

    বন্যায় বিপর্যস্ত তেলঙ্গানা

    ভারী বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে তেলঙ্গানার বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক নদী বিপদসীমা পেরিয়ে জনপদে চলে এসেছে। রাজ্যের কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে রাজ্যের জয়শঙ্কর ভূপালপল্লি জেলাতে। এই জেলার স্থানীয় গ্রাম মোরাঞ্চাপল্লি বর্তমানে ১৫ ফুট জলের নিচে চলে গিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে বহু মানুষ গাছের উপরে, বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার কারণে গতকাল থেকে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে এই নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। সে রাজ্যে হনুমানকোণ্ডায় বি প্রেম সাগর নামে এক কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে বলে খবর। জলমগ্ন রাস্তা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতেই এনডিআরএফ এর দল উদ্ধারের কাজে নামে মোরাঞ্চাপল্লি গ্রামে। বায়ুসেনার দু’টি হেলিকপ্টারও নামাতে হয় দুর্গতদের উদ্ধার (Heavy Rain) করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rainfall: অতিভারী বৃষ্টির জেরে কেরলে বন্ধ স্কুল! গুজরাটে কমলা সতর্কতা

    Heavy Rainfall: অতিভারী বৃষ্টির জেরে কেরলে বন্ধ স্কুল! গুজরাটে কমলা সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি ভারী বৃষ্টিতে কয়েক সপ্তাহ আগেই নাজেহাল হয়েছিল উত্তর ভারতে জনজীবন। তার রেশ এখনও চলছে। বেশ কয়েক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও জল জমেই রয়েছে। কিন্তু উত্তর ভারতের বাসিন্দাদের চিন্তা এবং উদ্বেগ বাড়িয়েছে হাওয়া অফিসের ঘোষণা। ভারতের আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে উত্তর ভারতে ফের ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে রবিবার ফের বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনার জল। অন্যদিকে, বন্যায় হিমাচলে রবিবারে ৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। মৌসম ভবন, গুজরাট ও কেরলে ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে।

    গুজরাটে জারি কমলা সর্তকতা…

    গুজরাটে ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) কারণে দ্বারকার সিনহন এবং ঘি ড্যামে জলস্তর ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, জুনাগড়, সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের বন্যার জলস্তর নামতে শুরু করেছে। প্রশাসন দুর্গতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে বলে খবর। এরই মাঝে রবিবার গুজরাটের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে হাওয়া অফিসের ঘোষণা, ‘‘২৪ জুলাই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে গুজরাটে। পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যের দ্বারকা, রাজকোট, ভাবনগর প্রভৃতি জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্যাপক বৃষ্টি হবে।’’ গুজরাটের পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সেরাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জুনাগড়ের এলাকায় জলস্তর প্রতিটি বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে খবর।   

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) জেরে কেরলে বন্ধ স্কুল

    সোমবার অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) পূর্বাভাস রয়েছে কেরলে। এর জেরে কেরলের কুন্নুর, ওয়ানাদ, কোঝিকোড় জেলায় স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেরলের এই জেলাগুলিতে যেমন কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে তেমনি হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এর্নাকুলাম, পালাক্কাদ, ত্রিশূর, মালাপ্পুরাম জেলায়। ত্রিশূর জেলায় পিএসসি পরীক্ষার সূচি অপরিবর্তিত থাকবে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। কেরলের এই পরিস্থিতির কারণে মৎস্যজীবীদের আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্র যাত্রায় নিষেধ করা হয়েছে। মৌসম ভবন বলছে, ‘‘ ২৪ থেকে ২৭ জুলাই অতিভারী বৃষ্টি হবে কেরলে। পাশাপাশি উপকূল এলাকায় ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Heavy Rain: প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত মুম্বই, ইঁদুর জ্বরের সতর্কতা, ভাসল গুজরাটও

    Heavy Rain: প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত মুম্বই, ইঁদুর জ্বরের সতর্কতা, ভাসল গুজরাটও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার প্রবল বর্ষণের (Heavy Rain) পর রবিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে মুম্বইয়ে। সেই কারণে এদিনের জন্য মৌসম ভবনের তরফে কমলা সতর্কতা থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাল সতর্কতা থেকে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঠানে এবং পালঘরে। তবে রাইগাড জেলায় জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা।

    শোচনীয় পরিস্থিতি গুজরাটে

    এদিকে, শোচনীয় পরিস্থিতি গুজরাটের। রাজ্যের দক্ষিণ অংশ এবং সৌরাষ্ট্রে শনিবারও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে শহরাঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। কয়েকটি নদীর জল বইছে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে। মহারাষ্ট্রের থানের গ্রাম (Heavy Rain) ভিওন্ডি, শাহাপুর এবং ভাসাই তালুক এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার তানসা জলাধারে জল উপচে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির বিরাম নেই মহারাষ্ট্রে। রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিতে বৃহন্মুম্বই পুরসভা লেপ্টোসপিরোসিস (ইঁদুর জ্বর) সম্পর্কে শহরবাসীকে সতর্ক করে জারি করেছে নির্দেশিকা।

    ধসে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

    এদিকে, শনিবার নদীতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বছর উনিশের এক তরুণের। মৃতের নাম দীপক কুমার পাশোয়ান। উত্তর প্রদেশ থেকে আসা এই তরুণ একটি মিডিয়া কোম্পানিতে কাজ করতেন। রাইগাড প্রশাসন (Heavy Rain) ইরসালওয়াদি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

    ধসের কারণে এই এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। ২৩ জুলাই জারি হওয়া এই ধারা বহাল থাকবে অগাস্টের ৬ তারিখ পর্যন্ত। প্রবল ধারাপাতের জেরে বিপর্যস্ত গুজরাটের নবসারি এলাকাও। জাতীয় সড়কে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। পরে আহমেদাবাদ ও মুম্বই যাওয়ার রাস্তার মুখ খুলে দেওয়া হয়। তার পরেই জ্যাম কিছুটা কমতে শুরু করে।

    আরও পড়ুুন: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    প্রবল বৃষ্টির জেরে নবসারি এলাকায় ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কেও ব্যাপক ট্রাফিক জ্যাম। সৌরাষ্ট্র ও কুটজ এলাকায় ২৪ জুলাই পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সেই কারণেই জুনাগড়, জামনগর, দেবভূমি দ্বারকা, কুটজ, সুরাট, ভালসাদ ও নবসারি এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। নবসারি এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    Uttarakhand: টানা বর্ষণ, মেঘভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণ, তার ওপর আবার  মেঘভাঙা বৃষ্টি। জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দেবভূমি (Uttarakhand)। ভাঙন দেখা দিয়েছে উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন নদীতে। ধসের কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু এলাকা। দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। প্রবল জলের তোড়ে একটি সড়কের ১৫০ মিটার এলাকা ভেসে গিয়েছে। এই সড়ক ধরেই বঙ্গপানি থকে জরাজিবালি যাওয়া যায়। এদিকে, শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের সাতটি জেলায় ২৪ ঘণ্টার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। শনিবার বিকেল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে হরিদ্বার, উত্তরকাশী, তেহরি, পাউরি, দেরাদুন, পিথোরগড়, বাগেশ্বর এবং চম্পাওয়ায়। প্রবল বর্ষণের জেরে উত্তরকাশীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বারকোটের কাছে রাজতার গাংনানী এলাকায় বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানা যায়নি।

    বন্ধ বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা

    প্রবল ধারাপাতের (Uttarakhand) জেরে ধস নেমেছে বদ্রীনাথ ধামে যাওয়ার রাস্তায়। তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বদ্রীনাথ ধাম যাত্রা। চামোলি জেলার কাছে ধস নামায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির জেরে চামোলি জেলার কালিমতির কাছে ১০৯ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কর্ণপ্রয়াগ ও নৈনিতাল।

    বিপর্যয়-প্রবণ

    এদিকে, এদিন রাজ্যের (Uttarakhand) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। হরিদ্বারে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। জলমগ্ন এলাকাগুলিকে বিপর্যয়-প্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়। সরকারের তরফে আগামী তিন মাসের জন্য বিদ্যুতের বিল, জলের বিল সহ অন্য সরকারি পরিষেবার জন্য প্রদত্ত বকেয়া বিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে বন্যা রুখতে নদীগুলির গতিপথ পরিষ্কার ও অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হবে। স্থায়ী ত্রাণ শিবিরও তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

    ভারী বর্ষণের জেরে উত্তরকাশী জেলার কস্তুরবা ইন্টার কলেজ স্কুল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রেসিডেন্সিয়াল এই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের উদ্ধারের কাজ করছে স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের লোকজন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই স্কুলটির সব পড়ুয়াকেই উদ্ধার করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, স্কুলটিতে আটকে পড়েছিলেন ১৫০ পড়ুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দিল্লিবাসী (Delhi Flood)। অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে যমুনা নদী। দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনার জলস্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয় ২০৮.৪৬ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার চিঠিতে বলেছেন-হাথনিকুন্ড থেকে সীমিত পরিমাণে জল ছাড়তে হবে, যাতে যমুনার জলস্তর আরও না বাড়ে। 

    বিপদের মুখে রাজধানী

    আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ (Delhi Flood) এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বড় বিপদের মুখে রাজধানী। বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য় হরিয়ানা। সে রাজ্য় থেকে জল ছাড়তেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নদীর জল রাস্তায় উঠে এসেছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

    ভাসছে নীচু এলাকা

    জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে তাই দিল্লিতে বন্যা (Delhi Flood) হলে তা বিশ্বের কাছে ভালো বার্তা যাবে না, বলে মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল। জমা জলের কারণে ব্য়াপক যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লির রাজপথে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share