Tag: Heavy Rainfall

Heavy Rainfall

  • Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    Kolkata Waterlogging: শহরের বিভিন্ন রাস্তা এখনও জলমগ্ন! কলকাতার আকাশে কখনও রোদ, কখনও মেঘ, পঞ্চমীতে ফের বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের শুরুতেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। শহরের কোণায় কোণায় জলযন্ত্রণার ছবি চোখে পড়েছে মঙ্গলবার। বুধবার সকাল থেকে শরতের আকাশে চলছে রৌদ্র-ছায়ার লুকোচুরি। আকাশ কখনও পরিষ্কার, কখনও মেঘলা। তবে বৃষ্টি এখনও শুরু হয়নি। কিন্তু এখনও শহরের বহু রাস্তা জলের তলায়। অলি-গলির ভিতর জল জমে রয়েছে। গতকাল জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও জলে ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আজ আবহাওয়া কেমন থাকে তার ওপর নির্ভর করবে শহরের জলছবি।

    শহরের কোথায় কোথায় এখনও জল

    রোদ উঠেছে কলকাতার আকাশে। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে নতুন করে সেভাবে বৃষ্টি হয়নি কলকাতা এবং শহরতলিতে। তবে রাতেও জল জমেছিল কলকাতার বহু অঞ্চলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একটি অংশে এখনও রয়েছে জল। গতকাল পার্ক সার্কাসের রাস্তায় জল থইথই করছিল। পার্ক সার্কাসের একটা অংশে জল এখনও নামেনি। এদিকে পাটুলিতেও জল রয়েছে রাস্তায়। এছাড়া মুকুন্দপুরের চিত্রটাও প্রায় এক। গতকাল মিন্টো পার্ক অঞ্চলে এজেসি বোস রোড জলের তলায় চলে গিয়েছিল। সেখানে কোনও গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। আজও সেখানে জল পুরোপুরি নামেনি সকালের দিকে। এদিকে চিংড়িঘাটা বা সল্টলেকের বেশ কিছু জায়গায় জল নেমেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উত্তরের শহরতলিতেও বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় জল জমেছিল গতকাল। সেই জল নেমেছে। এদিকে অঘটন এড়াতে জল না-নামা পর্যন্ত বিধাননগর পুর এলাকায় পথবাতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গতকাল। এছাড়া স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রেবোর্ন রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ (এমজি রোড ক্রসিং থেকে গিরিশ পার্ক), বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, জেএম অ্যাভিনিউতে জল নেমেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।

    জল না নামায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

    বুধবার সকালেও পাটুলিতে দেখা গেল, হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে জল ডিঙিয়ে হেঁটে চলেছেন বাসিন্দারা। জল কতক্ষণে নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কলকাতা পৌরনিগম জানায়, দিনরাত কাজ করছেন পৌরনিগমের কর্মীরা। পাম্পের সাহায্যে জল নামানোর কাজ চলছে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এমন জলযন্ত্রণার ছবি তাঁরা আগে দেখেননি। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও জল না কমায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। পুজোর মুখে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। আজ ফের বৃষ্টি হলে শহরের পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবেই শঙ্কায় শহরবাসী।

    পুজোর আগে আবার বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় বুধবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা অবশ্য সেই পাঁচ জেলার মধ্যে নেই। কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। শনিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে বাঁকুড়া পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও। প্রায় ৪৭ বছর আগে, ১৯৭৮ সালের এই সেপ্টেম্বর মাসেই ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ৩৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।তার জেরে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশে । ১৯৮৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরে ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় প্রায় ২৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ২০০৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হওয়া বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৭৪.৪ মিলিমিটার। আর সোমবার রাতে বৃষ্টির পরিমাণ ২৫১.৪ মিলিমিটার।

    শহরবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন দুর্গাপুজোর মুখে অসুররূপী বৃষ্টি কি সব আনন্দ মাটি করে দেবে?

  • Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    Heavy Rainfall in Kolkata: রাতভর নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডুবল কলকাতা! পুজোর মুখে চরম ভোগান্তি, বিপর্যস্ত ট্রেন-মেট্রো চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতভর নিরবচ্ছিন্ন অতিবৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত কলকাতা (Kolkata Heavy Rain)। একটানা পাঁচ ঘণ্টা বৃষ্টি! শেষ কবে এরকম দেখেছিল, ভাবছে কলকাতাবাসী। এক ধাক্কায় শহরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে গলি, চত্বর, সব জায়গায় হাঁটুজল (Kolkata Flooded)। কলকাতা ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু বাড়ির একতলা ভেসে গিয়েছে জলে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। কোথাও মণ্ডপ ভেঙে পড়েছে, কোথাও ভেসে গিয়েছে সাজসজ্জার সামগ্রী। অনেকেই বলছেন, সাম্প্রতিক কালে এমন দুর্যোগের সাক্ষী হননি তাঁরা। ফলে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে কি না (Kolkata Weather), তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

    রাতভর তুমুল বৃষ্টি

    রাতভর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা এবং শহরতলির স্বাভাবিক জনজীবন। শহরের বহু জায়গা জলের তলায়। ব্যাহত যান চলাচল। অধিকাংশ রাস্তায় যানজটে ভোগান্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, ষষ্ঠীর দু’দিন আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ তৃতীয়া থেকেই সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রযেছে। তার আগেই সোমবার রাতভর অতিভারী বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরবাসী। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এক রাতে কলকাতায় প্রায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগে এই বৃষ্টি দেখে আতঙ্কিত শহরবাসী। সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও মধ্যরাতের পর তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টিতে দ্রুতই নীচু এলাকাগুলি ডুবে যায়।

    জেলায় জেলায় বৃষ্টি

    হাওয়া অফিস তরফে আরও জানা গিয়েছে, এদিনের বৃষ্টির মূল প্রভাব পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সেই সংলগ্ন জেলায়। প্রভাব পড়েছিল হাওড়া, হুগলিতেও। এছাড়াও দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের আর জেলাগুলিতে জারি হয়েছে হলদু সতর্কতা। এদিকে আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই ওই সাতটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    দক্ষিণে বেশি বৃষ্টি

    পুর প্রশাসনের হিসাবে, দক্ষিণ কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতার তুলনায় বেশি। তাই দক্ষিণ শহরতলির জীবনযাত্রা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। মঙ্গলবারও সারাদিন আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলেই অনুমান। তবে ভারী বৃষ্টি নামলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে কলকাতার মানুষের। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। গত তিন ঘণ্টায় কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দেখা গিয়েছে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাত। সঙ্গী হয়েছে প্রবল বজ্রবিদুৎ। তার সঙ্গে আবার ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়েছে দমকা হাওয়াও। পুরসভার একটি সূত্রের বক্তব্য, ভোর ৪টে থেকে লকগেট খোলা হয়েছে। তাতে জল নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পুরসভাস লকগেটগুলি বন্ধ থাকবে গঙ্গায় জোয়ার আসার কারণে। ওই সময়ে আবার এমন ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

    ব্যাহত রেল-মেট্রো পরিষেবা

    রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। লাইনে জল জমে থাকার কারণে চক্ররেলের আপ এবং ডাউন লাইনের পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা। একই ভাবে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীরাও। ভারী বৃষ্টির জেরে হাওড়াতেও বেশি রাতের দিকে বেশ কিছু জায়গায় রেল লাইনে জল জমে গিয়েছে। কলকাতার মেট্রো পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে মহানায়ক উত্তম কুমার এবং রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনের মাঝে জল জমে গিয়েছে। সেই কারণে আপাতত শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাঙাপথে দক্ষিণেশ্বর থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করছে।

    শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা

    সকালের আলো ফোটার পরে বৃষ্টির বেগ কমেছে। কিন্তু বৃষ্টি একেবারে থেমে যায়নি। আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে যে এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই বানভাসি, সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পুর-প্রশাসন ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা শুরু করেছে। কিন্তু জমা জলের পরিমাণ এত বেশি যে, পাম্প চালিয়েও দ্রুত সে জল নামানোর পরিস্থিতি নেই। সময় লাগবে বলে পুর প্রশাসকেরাই জানাচ্ছেন। ফলে বৃষ্টি একেবারে না থামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনেককেই অতীতের বন্যার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। অনেকেই ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বানভাসি পরিস্থিতির সঙ্গে সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে নাজেহাল শহরের তুলনাও করতে শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, কলকাতার অনেক এলাকায় সেই বন্যার সময়েও জল জমেনি। এ বার জমেছে। যার প্রেক্ষিতে আবার শহরের নিকাশিব‍্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

    ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরের কোথায় কত বৃষ্টি হয়েছে  

    কামডহরি(গড়িয়া)- ৩৩২ মিলিমিটারে

    যোধপুর পার্ক- ২৮৫ মিলিমিটার

    কালিঘাট- ২৮০.২ মিলিমিটার

    তপসিয়া- ২৭৫ লিমিমিটার

    বালিগঞ্জ- ২৬৪ মিলিমিটার

    চেতলা- ২৬২ মিলিমিটার

    মোমিনপুর- ২৩৪ মিলিমিটার

    চিংড়িহাটা- ২৩৭ মিলিমিটার

    পামার বাজার- ২১৭ মিলিমিটার

    ধাপা- ২১২ মিলিমিটার

    সিপিটি ক্যানেল- ২০৯.৪ মি.মি

    উল্টোডাঙ্গা- ২০৭ মিলিমিটার

    কুদঘাট- ২০৩.৪ মিলিমিটার

    পাগলাডাঙ্গা‌ (ট্যাংরা)- ২০১ মি. মি

    কুলিয়া (ট্যাংরা)- ১৯৬মি.মি

    ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার

  • Weather Update: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    Weather Update: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে সপ্তাহভর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update)। নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ, বুধবার থেকে তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়াও। দক্ষিণের পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গেও।

    নিম্নচাপ অঞ্চল (Weather Update)

    হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। সক্রিয় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্তও। বঠিন্ডা, রোহতক, কানপুর, ডালটনগঞ্জ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের নিম্নচাপ অঞ্চলের কেন্দ্র বরাবর দক্ষিণপূর্বে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি মৌসুমি অক্ষরেখাও। রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ুও। এ সবের জেরে সপ্তাহভর ঝড়বৃষ্টি চলবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণও।

    ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। দক্ষিণের অন্যান্য জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার বিশেষ কোনও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপের জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলেও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে (Weather Update)।

    সপ্তাহব্যাপী ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। রবি ও সোমবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং  কালিম্পংয়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মাঝে কমবেশি ঝড়বৃষ্টি চলবেই।

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতার বেশিরভাগ রাস্তাই জলমগ্ন। জল জমেছে হাওড়ারও কিছু অংশে। টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়তে পারে শিলাবতী, কংসাবতীতে। ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। ফলে জল ছাড়তে পারে ডিভিসি (Heavy Rainfall)। ডিভিসির ছাড়া জলে বিপদ বাড়তে পারে হাওড়া ও হুগলিতে (Weather Update)।

  • Weather Update: ভরা বর্ষায় ফের নিম্নচাপ সাগরে! সকাল থেকে বৃষ্টি শহরে, চলবে কত দিন?

    Weather Update: ভরা বর্ষায় ফের নিম্নচাপ সাগরে! সকাল থেকে বৃষ্টি শহরে, চলবে কত দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল গভীর নিম্নচাপ। তারই জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিল হাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহে কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। ভিজেছে শহরতলিও। সপ্তাহের প্রথম দিনে বৃষ্টিতে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাসে-ট্রেনে ভোগান্তি চরমে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সকাল থেকে জলমগ্ন।

    কলকাতায় ধারাপাত

    সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Rain in Kolkata) হচ্ছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। এদিন, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি বেশি। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। এদিনও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে।

    মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আর তারফলে আপাতত বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গের বহু জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে থাকা উচ্চ ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের উপরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাংলা, ওড়িশার সমুদ্র উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। সমুদ্রও এর প্রভাবে উত্তাল থাকতে পারে ১ জুলাই পর্যন্ত। মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকতে পরমার্শ দিয়েছে আলিপুর।

    ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা

    আগামী ৭ দিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই কম বা বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে সোমবার অর্থাৎ আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণ চলতে পারে বলে পূর্বাভাস। ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জন্য উপকূলবর্তী এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। সপ্তাহের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মেজাজে থাকতে পারে বৃষ্টি। সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতায়, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কেবল তিন জেলায়— দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়ায়। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার থেকে আবার কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টি বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ চলতে পারে রবিবার পর্যন্ত।

    উত্তরেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, কোচবিহারে ভারী বর্ষণ চলতে পারে আগামী কয়েক দিন। জলপাইগুড়িতে শুক্রবার পর্যন্ত এবং আলিপুরদুয়ারে রবিবার পর্যন্ত সতর্কতা জারি রয়েছে। উত্তরের বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবে। তবে আর কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা জারি নেই আপাতত।

  • Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির (Heavy Rainfall) জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং জেলায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের নানা এলাকায় ধস (Landslide) নামে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিকদারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারের পাথর জাতীয় সড়কের ওপরে নামার জেরে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় লাল সতার্কতা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শনিবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টি। ফলে আরও দুর্ভোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা পাহাড়ে। পর্যটকরা উদ্বেগে। কারণ, যারা ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরতে গিয়ে চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। 

    কোথায় লাল সতর্কতা? (Darjeeling)

    গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, তিস্তাবাজার থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং জেলার পাশাপাশি সিকিমের গ্যাংটক, মংগন, নামচি-সহ একাধিক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ওই সব জায়গায় ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকাতেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। গত অক্টোবর থেকেই বিপর্যস্ত সিকিম। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপর্যস্ত হয়। নতুন করে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তাঁর প্রভাব কালিম্পং জেলাতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের।

    কালিম্পঙে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন

    শুক্রবার সিকিম, কালিম্পং এবং মিরিকে নতুন করে ধস (Landslide) নেমেছে। সিকিমের মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ধসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মিরিকের ডাডা গ্রাম পঞ্চায়েতের থরবু গ্রামে ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। বেশ কিছু বাড়ি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন। আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পঙের ইয়াংমাকুম গ্রামে ট্রান্সফর্মার ধসের কবলে পড়ায় গোটা এলাকা এখন বিদ্যুৎহীন। আগামী সাত দিনেও ওই পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। সেবক থেকে কালিঝোরা যাওয়ার রাস্তার একাংশ ধসে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। তিস্তায় জল বৃদ্ধির ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) প্রভাবে বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও (Darjeeling)। মহানন্দা নদী ছাড়াও ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীতেও হুহু করে জল বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুলবাড়িতে সেচ দফতরের আধিকারিকরা মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট খুলে দেন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে বিপদ এড়ানো গেলেও দুপুরে মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে গরুর দুধ আনার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক গোয়ালা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেসে যেতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রবল জলের তোড়ে উদ্ধার কাজে নামা সম্ভব হয়নি। বাগডোগরায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে।

    ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ

    পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা পূর্ত দফতরের। কোথায় ধস মেরামতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই নাকাল হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক ছাড়াও ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিং কলেজ, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ, ইয়ামাকুম, বিজনবাড়ির কাছে রিম্বিক, সুখিয়াপোখরি এলাকাতেও। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কয়েক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। বিশেষ করে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি চললেও সমতলে তার প্রকোপ কমে আসতে পারে।” কালিম্পংয়ের জেলাশাসক টি সুব্রহ্মণ্যম সকলকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monsoon 2024: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    Monsoon 2024: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কেরলে বর্ষা প্রবেশ করল। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (IMD) জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতেও মৌসুমী বায়ু (Monsoon 2024) ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে টানা বৃষ্টিপাতের (Heavy Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ মে পর্যন্ত বৃষ্টি দক্ষিণ আরব সাগর এবং মালদ্বীপ অঞ্চলে পৌঁছেছিল।

    যেসব অঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হবে (Monsoon 2024)

    “বর্ষার (Monsoon 2024) অনুকূল পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ আরব সাগরের আরও বেশি এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অগ্রগতি, মালদ্বীপের অবশিষ্ট অংশ এবং কমোরিন অঞ্চল, লক্ষদ্বীপ এলাকার কিছু অংশ, কেরালা, দক্ষিণ-পশ্চিমের অতিরিক্ত অঞ্চল এবং আগামী তিন বা চার দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির কিছু অংশে টানা বর্ষা হবে” আইএমডি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কেরলে প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে রাস্তাগুলি প্লাবিত হয়। যার ফলে স্থানীয়দের বাড়ির বাইরে পা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল।

    আরও পড়ুন: হঠাৎ বিস্ফোরণ! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ঝলসে গেলেন একাধিক ভক্ত

    কাক্কানাদ-ইনফোপার্ক এবং আলুভা-এডাপ্পল্লি এলাকায় ব্যাপক জলমগ্ন ছিল। সোমবার রাত থেকে তিরুবনন্তপুরম জেলায় প্রবল বর্ষণ চলছে। বর্তমানে, মধ্যম ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তরে একটি ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ তামিলনাড়ু এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে অবস্থান করছে। এর ফলে কেরল, লক্ষদ্বীপ এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝড়, বজ্রপাত এবং দমকা হাওয়া (৩০-৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা) সহ বিস্তৃত এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কারাইকাল, উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রায়ালসীমা এবং কর্নাটকের মত রাজ্যগুলিতেও আগামী সাত দিন বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    বহু অংশে বৃষ্টি কম হবে

    আইএমডি-র পূর্বাভাস, জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত (Monsoon 2024) প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সারা দেশে মৌসুমী বৃষ্টিপাত গড় বৃষ্টিপাতের ১০৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে উত্তর-পশ্চিম ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্য ভারতের পূর্ব অংশ এবং পূর্ব ভারতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অনেক জায়গায় স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir weather: লাগাতার তুষারপাতে যেন ধ্বংসপুরী ভূ-স্বর্গ! বন্ধ হল স্কুল, জাতীয় সড়ক

    Jammu and Kashmir weather: লাগাতার তুষারপাতে যেন ধ্বংসপুরী ভূ-স্বর্গ! বন্ধ হল স্কুল, জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সত্যিই বৈচিত্র্যময় দেশ। এদিকে যখন ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাংলায় নাজেহাল পরিস্থিতি, ঠিক তখনই  দেশের উত্তরের চেহারাটা একদম বিপরীত। টানা বৃষ্টি চলছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir weather)। সঙ্গে তুষারপাত। তার জেরে সোমবার কাশ্মীরের (kashmir) সোনমার্গে নেমেছে বরফধস। বরফে ঢেকে রয়েছে গুলমার্গও। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির (Heavy rainfall) কারণে জম্মু এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে নেমেছে ধস। ধসের কারণে সোমবার বন্ধ হয়ে যায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় বিপাকে বহু মানুষ। এক কথায় ভূ-স্বর্গের চিত্র ধ্বংসপুরীর চেহারা নিয়েছে।

    সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল (Jammu and Kashmir weather)

    বেশ কিছু দিন ধরেই পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। কোথাও ভারী, কোথাও আবার হালকা তুষারপাত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ধসও (landslides) নেমেছে। তুষারপাতের মধ্যেই আবার ভারী বৃষ্টি জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে আরও সঙ্কটময় করে তুলেছে। যার জেরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাশ্মীর উপত্যকা (Jammu and Kashmir weather) এবং রিয়াসি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    জলমগ্ন বহু এলাকা

    সিলু কুপওয়ারায় পোহরু নালা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এই নালা উপচে পড়ায় সিলু কুপওয়ারার (Jammu and Kashmir weather) বহু গ্রামে জল ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে কুপওয়ারা হাইওয়ের (kupwara national highway) একাংশ। প্রশাসন সূত্রে খবর জলস্তর বাড়তে থাকায় ৩৩৬টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ২ মহিলা সহ ৭ মাওবাদী

    ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই শয়ে শয়ে কাশ্মীরির

    কাশ্মীরি ভূমিধস, তুষারধসে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। ফলে সর্বস্ব খুইয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ফলে বর্তমানে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরে (Relife camp)। জানা যাচ্ছে, জম্মু কাশ্মীরের দোদা, রিয়াসি, কিশতওয়াড় এবং রামবান জেলায় সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হড়পা বানে (Harpa Ban) ভেসে গিয়ে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে উপত্যকার বিপর্যয় ১২ জন শিশু সহ মোট ২২ জনের প্রাণ কেড়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: বানভাসি চেন্নাইয়ের রাস্তায় কুমির! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু

    Cyclone Michaung: বানভাসি চেন্নাইয়ের রাস্তায় কুমির! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর (Cyclone Michaung) প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে অন্ধ্র এবং তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির তাণ্ডবে গাছগাছালি উপড়ে সমগ্র উপকূলীয় এলাকাগুলি এখন প্রায় বিদ্যুৎবিহীন। ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির জেরে বানভাসি চেন্নাইয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। চেন্নাইয়ের নিচু এলাকাগুলোতে জল ঢুকছে। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চেন্নাইয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় বহাল তবিয়তে হেঁটে-চলে যেতে দেখা গেল একটি কুমিরকে। রাস্তা না নদী বোঝা দায়।

    অন্ধকার রাস্তায় কুমির 

    ভাইরাল ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের পেরুনগালাতুর এলাকায় রাস্তার উপরেই একটি কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাতের অন্ধকারে রাস্তার ওপর দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে কুমির। গাড়ির আলোয় সেটি চোখে পড়তেই গাড়ি থামিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করতে শুরু করেন চালক। সোশ্যাল মিডিয়ায় শহরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চেন্নাই শহরের বাসিন্দারা। অনেকে ভিডিওর নীচে কমেন্ট করেছেন, “আগে ছিল সাপ, মাছ। এখন এসে গেছে কুমিরও। চেন্নাই শহর এখন পুরোপুরি একটা অ্যাকোয়ারিয়াম।” তবে, ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তামিলনাড়ুর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং বন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুপ্রিয়া সাহু মানুষজনকে অনুরোধ করেছেন যে, সরীসৃপটিকে দেখতে পেলে কেউ যেন তার কাছে না যান। 

    বিপর্যস্ত চেন্নাই

    ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের জেরে সোমবার থেকেই চেন্নাই (Chennai) এবং সংলগ্ন জেলাগুলোতে সরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী দুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বেসরকারি অফিসগুলোও কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। বিধ্বস্ত চেন্নাই বিমানবন্দরও। জলের তলায় চলে গিয়েছে রানওয়ে। রাত ১১টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ১২টি অভ্যন্তরীণ বিমান এবং ৪টি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি বিমান বেঙ্গালুরুতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে বহু ট্রেনও।

    রাতভর ভারী বৃষ্টির দাপটে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবাও। চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। ঝুঁকি এড়াতে শহরের অন্যতম বাসিন ব্রিজে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। চেন্নাইয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনার মাদ্রাজ ইউনিট। মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও (এনডিআরএফ)। নদীতে পরিণত হয়েছে শহরের বিভিন্ন রাস্তা। কোথাও জল দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও আবার জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। না বলে দিলে মনে হবে যেন বয়ে যাচ্ছে কোনও নদী। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে উপড়ে গিয়েছে গাছ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লন্ডভন্ড চেন্নাই, মৃত ৫

    Cyclone Michaung: নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লন্ডভন্ড চেন্নাই, মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরেই অন্ধকার। সকাল থেকে আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার দাপট। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব শহর কলকাতাতেও। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল করার কথা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের।  ইতিমধ্যেই মিগজাউম পেরিয়ে গিয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল এলাকা। নেল্লোর এবং মছলিপট্টনমের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

    অন্ধ্র প্রদেশে জারি সতর্কতা

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক করে একের পর এক পোস্ট করেছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। পূর্বাভাস রয়েছে, দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের সমান্তরাল ভাবে উত্তর দিকে এই ঘূর্ণিঝড় এগোবে। ইতিমধ্যেই সমুদ্র উথাল-পাতাল শুরু হয়েছে। বেড়ে গিয়েছে জলস্তর। ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অন্ধ্রের একাধিক এলাকায় ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

    তাণ্ডব চেন্নাইয়ে

    ল্যান্ডফলের আগে সোমবার এই ঝড় তাণ্ডব চলল চেন্নাই-সহ আশপাশের এলাকায়। বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দর। ভারী বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ের বহু এলাকা জলমগ্ন। চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে শহরে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে তারা। বৈদ্যনাথন উড়ালপুলের কাছে ৭০ বছরের এক প্রবীণের দেহ মিলেছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ফোরশোর এস্টেট বাস ডিপোর কাছে ৬০ বছরের এক মহিলার দেহ মিলেছে। তাঁরও পরিচয় জানা যায়নি। দিণ্ডিগুল জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। তাঁর নাম পদ্মনাভন। পাণ্ডিয়ান নগরেও নিজের বাড়ির কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মৃতের নাম গণেশন (৭০)। বেসান্ত নগরে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছরের এক যুবকের। নাম মুরুগান।

    আরও পড়ুন: মোদি ঝড়ের প্রভাব পড়ল দালাল স্ট্রিটেও! সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় বন্ধ হল বাজার

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। নিম্নচাপের প্রভাবে চলছে ঝড়ো হাওয়া। পারদ আপাতত না নামলেও মেঘলা থাকায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। শীতের মিঠে-কড়া রোদ উধাও। অকাল বর্ষণের পূর্বাভাস শহরে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। শুক্রবারের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। সপ্তাহান্তে পারদ নামার ইঙ্গিত রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Flood: জলমগ্ন লালকেল্লা, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর! যমুনার জলে ডুবল রাজঘাট, উদ্বেগে দিল্লি সরকার

    Delhi Flood: জলমগ্ন লালকেল্লা, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর! যমুনার জলে ডুবল রাজঘাট, উদ্বেগে দিল্লি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি, ধস, বন্যা! বিপর্যস্ত প্রায় গোটা উত্তর ভারত। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের অবস্থা ভয়াবহ। দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি (Delhi Flood)। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ১৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। বৃষ্টির জেরে বন্যা এবং দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। সেখানে মারা গিয়েছেন ৯১ জন। বৃষ্টির জেরে উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ১৪ জন, উত্তরাখণ্ডে মারা গিয়েছেন ১৬ জন, পঞ্জাবে ১১ জন, হরিয়ানায় ১৬ জন।  হিমাচলের লাহৌল, স্পিতিতে পাঁচ দিন আটকে থাকার পর বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয়েছে ২৫৬ জন পর্যটককে। সাংলা এবং কিন্নরে আটকে থাকা ১০০ জন পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে তুলে আনা হয়েছে।

    বন্যা পরিস্থিতি দিল্লিতে

    ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। লালকেল্লা, রাজঘাট জলমগ্ন। জল ঢুকেছে সুপ্রিম কোর্টেও। যার জেরে উদ্বিগ্ন দিল্লির প্রশাসন। দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের একটি যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে যমুনার জল শহরের দিকে বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির (Delhi Flood) কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেনার সাহায্য চেয়েছেন। রাজধানীর কোথাও কোমর পর্যন্ত আবার কোথাও বুক পর্যন্ত জল। রাস্তাঘাটে জল জমায় যানচলাচলও বন্ধ হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির (Delhi Flood)  উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বৃহস্পতিবার ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে দিল্লির পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। ১৬ জুলাই, রবিবার পর্যন্ত রাজধানীর সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। বেসরকারি সংস্থাগুলিতে বাড়ি থেকে কাজের (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) পরামর্শ দিয়েছেন কেজরিওয়াল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share