Tag: High Court

High Court

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    Sharmistha Panoli: মমতার পুলিশকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের, শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার ভর্ৎসিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে তাদের আচরণের জন্য তিরস্কার করে আদালত। হাইকোর্টের মন্তব্য, “আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ এটি এক তরুণীর (Sharmistha Panoli) মর্যাদার বিষয়।” এদিন আদালতে শর্মিষ্ঠার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী ডিপি সিং। তিনি জানান, তাঁর (শর্মিষ্ঠার) গ্রেফতার অবৈধ ছিল। তিনি বলেন, “বিতর্কিত ভিডিওটি পরের দিনই মুছে ফেলা হয়েছিল।” তিনি এও বলেন, “মন্তব্যগুলি পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে করা হয়েছিল এবং তা মুহূর্তের উত্তেজনায় বলা হয়েছিল।”

    তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন (Sharmistha Panoli)

    এদিন তিনি শর্মিষ্ঠাকে খুন ও ধর্ষণের হুমকির প্রসঙ্গও আদালতে তোলেন। কীভাবে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল, তাও বর্ণনা করেন শর্মিষ্ঠার আইনজীবী। সেই সময় বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী রাজ্যকে জিজ্ঞেস করেন, “কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? এটি এক তরুণীর শালীনতার প্রশ্ন। এসব দেখলে আপনারা লজ্জিত হবেন। আমি এটা জনসমক্ষেই বলছি। সর্বোপরি, উনি একজন আইনের ছাত্রী।” রাজ্য পুলিশ যেভাবে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু চৌধুরী।

    আদালতের পাঠ

    তিনি বলেন, “সম্ভবত বা স্বাধীনতা শব্দগুলিকে কখনওই অনুমতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না।” আইনজ্ঞদের মতে, এর মাধ্যমে তিনি রাজ্যকে পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন, কাউকে গ্রেফতার করার স্বাধীনতা মানেই গ্রেফতার করার অনুমতি দেওয়া নয়। এর পরেই আদালত শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত। মামলার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি তুলে ধরে এবং ন্যায়বিচার ও মর্যাদার প্রতি আদালতের অঙ্গীকারকে ফের স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, (Sharmistha Panoli) মঙ্গলবারই শর্মিষ্ঠাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিতে অস্বীকার করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    গত মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন পুণের একটি আইন কলেজের ছাত্রী তথা নেটপ্রভাবী শর্মিষ্ঠা পানোলি। তার জেরে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে গুরগাঁও থেকে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে আনে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। অথচ যে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল, কলকাতার সেই মুসলিম যুবকটি হিন্দু ধর্ম, বিশেষত কামাখ্যা দেবীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেও পার পেয়ে যায় (Calcutta High Court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যাতে টোল না পড়ে, তাই তাঁকে গ্রেফতার না করে ধরা হয় শর্মিষ্ঠাকে (Sharmistha Panoli)।

  • Allahabad High Court: সম্ভল মসজিদ মামলায় কমিটির আবেদন খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Allahabad High Court: সম্ভল মসজিদ মামলায় কমিটির আবেদন খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসজিদ কমিটির আবেদন খারিজ করে দিল উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। সোমবার উত্তরপ্রদেশের সম্ভালে অবস্থিত শাহি জামে মসজিদের সমীক্ষার নির্দেশ বহাল রাখল তারা। গত নভেম্বরে ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন (Sambhal Survey Order) মসজিদ কমিটি। প্রসঙ্গত, হিন্দু পক্ষের দাবি, মুঘল যুগে একটি মন্দির ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছিল এই মসজিদ।

    সম্ভলে ব্যাপক হিংসা (Allahabad High Court)

    গত ২৪ নভেম্বর সম্ভলে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। সেদিন পাঁচশো বছরের পুরানো ওই মসজিদে সমীক্ষার কাজ চালাতে এসেছিল অ্যাডভোকেট কমিশনের দল। তাদের বাধা দেয় জনতার একাংশ। তার পরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের।ট্রায়াল কোর্টের সমীক্ষার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের করা আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।

    পুজো করার অধিকার দাবি

    প্রসঙ্গত, সিভিল কোর্টে মূল মামলাটি দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন এবং আরও সাতজন। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদটি গড়ে উঠেছে, সেখানে আগে ছিল হরিহর মন্দির। মূল মন্দিরের জায়গায় তাঁরা পুজো করার অধিকারও চান। জানা গিয়েছে, বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশের পর সমীক্ষা মামলাটি সম্ভল জেলা আদালতে চলবে।

    মসজিদ কমিটি একটি দেওয়ানি পুনর্বিবেচনার আবেদন দায়ের করেছে। এতে জেলা আদালতে চলা বর্তমান মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। তাদের দাবি, সমীক্ষার নির্দেশটি তড়িঘড়ি করে এবং আগে কোনও নোটিশ না দিয়েই জারি করা হয়েছিল। তারা আরও উল্লেখ করেছে, মসজিদটি ইতিমধ্যেই দু’বার সমীক্ষা করা হয়েছে – একবার নির্দেশের দিনই, আর একবার ২৪ নভেম্বর, যেদিন হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল (Allahabad High Court)।

    ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ আদালতে জানিয়েছে, মসজিদটিকে একটি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একে জনসাধারণের উপাসনার স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। কারণ এই দাবির স্বপক্ষে কোনও নথি মেলেনি।

    এদিকে, অ্যাডভোকেট কমিশনার রমেশ রাঘব, যিনি (Sambhal Survey Order) এই সমীক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি ইতিমধ্যেই সিল করা সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ট্রায়াল কোর্টে (Allahabad High Court)।

  • Gujarat High Court: গোধরাকাণ্ডে ৯ রেলপুলিশ কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট

    Gujarat High Court: গোধরাকাণ্ডে ৯ রেলপুলিশ কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগের (Godhra Carnage) ঘটনায় রেল পুলিশের ন’জন কনস্টেবলের বরখাস্তের নির্দেশ বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। সম্প্রতি এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নানাবতীর নেতৃত্বাধীন কমিশনের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সহমত পোষণ করে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

    কমিশনের পর্যবেক্ষণ (Gujarat High Court)

    ২০০২ সালের ওই ঘটনার দিন সবরমতী এক্সপ্রেসে ডিউটি ছিল ন’জন পুলিশ কনস্টেবলের। ট্রেনটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরা সবরমতী এক্সপ্রেসে না উঠে অন্য একটি ট্রেনে করে আহমেদাবাদে ফিরে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর উষ্মা গোপন করেনি নানাবতী কমিশন। কমিশন তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, “ওই পুলিশকর্মীরা যদি সেই দিন তাঁদের কর্তব্য পালন করতেন, তা হলে এত বড় ঘটনা (সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ) এড়ানো সম্ভব হত।” নানাবতী কমিশনের ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বরখাস্ত করা হয় অভিযুক্ত ৯ পুলিশ কনস্টেবলকে।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    আদালত জানিয়েছে, বরখাস্ত হওয়া পুলিশকর্মীরা যদি তাঁদের কর্তব্যে অবহেলা ও অসাবধান না হতেন, তাহলে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি এড়ানো যেত। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর ওই ন’জন কর্মীর সেই দুর্ভাগ্যজনক দিনে দাহোদ থেকে সবরমতী এক্সপ্রেসের ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। ট্রেনটি ছ’ঘণ্টা দেরিতে চলায় তাঁরা সেটির পরিবর্তে রাজিস্টারে মিথ্যা এন্ট্রি করে শান্তি এক্সপ্রেসে করে আমেদাবাদে ফিরে আসেন।”

    করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। ওই ট্রেনটির এস-৬ কোচে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। এঁদের অধিকাংশই ছিলেন করসেবক, ফিরছিলেন অযোধ্যা থেকে। ওই ঘটনার পরেই গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা। সেই হিংসার বলি হন হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের (Gujarat High Court) তরফেও গঠন করা হয় একাধিক কমিশন। তার মধ্যে ছিল নানাবতী কমিশনও। যে কমিশন জানিয়েছিল, ওই পুলিশকর্মীরা যদি সেই দিন তাঁদের কর্তব্য পালন করতেন, তা হলে এত বড় ঘটনা (সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ) এড়ানো সম্ভব হত। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয় ওই ৯ অভিযুক্তকে।

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা

    এর বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবলরা। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “যদি আবেদনকারীরা আমেদাবাদে পৌঁছনোর জন্য সবরমতী এক্সপ্রেস ট্রেনে করেই রওনা দিতেন, তাহলে গোধরায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি ঘটত না। ঘটনাটি রোধ করা যেত। আবেদনকারীরা তাঁদের কর্তব্য অবহেলা ও অসাবধানতা প্রদর্শন করেছেন (Godhra Carnage)। উল্লিখিত অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়েছে।” আদালত রায় দিয়েছে, ২০০৫ সালে ওই পুলিশ কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ন্যায্য ছিল। রায়ে আরও বলা হয়েছে, “সবরমতী এক্সপ্রেসে তাঁদের উপস্থিতি ২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি যা ঘটেছিল, তাতে পরিবর্তন আনতে পারত।”

    নানাবতী-মেহতা কমিশন গঠন

    গোধরাকাণ্ডের (Gujarat High Court) তদন্তে গুজরাট সরকার গঠন করে নানাবতী-মেহতা কমিশন। কমিশনের বক্তব্য ছিল, ট্রেনটির ওই কোচে আগুন লাগার ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নয়। এর নেপথ্যে ছিল ষড়যন্ত্র। ২০০২ সালে গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০১১ সালের ১ মার্চ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মধ্যে ১১ জনের ফাঁসির সাজা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ২০ জনের। মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ৬৩ জন অভিযুক্তকে। শাস্তির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা দায়ের করে গুজরাট হাইকোর্টে (Godhra Carnage)। ২০১৭ সালের অক্টোবরে গুজরাট হাইকোর্ট ১১ জনের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দিয়েছিল। ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছিল।

    গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা

    সবরমতীকাণ্ডের পরে পরে গুজরাটজুড়ে শুরু হয় হিংসা। সেই সময় মেহসানার বিজাপুর তহসিলের সর্দারপুরা গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীদের একটি দল। ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পাড়ারই একটি পাকাবাড়িতে আশ্রয় নেন অসহায় কিছু মানুষ। সেই বাড়িটিরই চারপাশে পেট্রল ঢেলে বাড়িটিকেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তাদের মৃত্যু হয় ২২ জন মহিলা-সহ মোট ৩৩ জনের (Gujarat High Court)। ওই ঘটনায় মোট ৭৬জনকে গ্রেফতার করেছিল বিশেষ তদন্তকারী দল। ২০০৯ সালের জুনে তাঁদের মধ্যে থেকে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ২০১২ সালে তাঁদের মধ্যে থেকে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। তার চার বছর পর ওই ৩১ জনের মধ্যে ১৪ জনকে বেকসুর খালাস (Godhra Carnage) করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)।

  • Sambhal Masjid: বড় জয় হিন্দুপক্ষের, সম্ভল মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার অনুমতি হাইকোর্টের

    Sambhal Masjid: বড় জয় হিন্দুপক্ষের, সম্ভল মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভল জামা মসজিদের (Sambhal Masjid) দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ উল্লেখ করার অনুমতি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। মুসলিম কমিটি ওই কাঠামোটি সাদা রং করা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল। তার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় মসজিদের দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ শব্দটি লিখে দেওয়ার।

    ‘বিতর্কিত কাঠামোলেখার নির্দেশ (Allahabad High Court)

    মুসলিম কমিটি আপত্তি তোলার পর ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়ে দেয়, তারা এই আপত্তির বিষয়ে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় চায়। এর পরেই হিন্দু পক্ষের দাবির ভিত্তিতে হাইকোর্ট মসজিদটির দেওয়ালে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ লেখার নির্দেশ দেয়। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ জানিয়েছে, মসজিদের (Sambhal Masjid) রং করার বিষয়ে অন্য পক্ষ তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা এও জানিয়েছে, মসজিদের দেওয়াল রং করার বিষয়ে মুসলিম পক্ষের চাপ সম্পর্কে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এর পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ মার্চ।

    হিন্দু পক্ষের দাবি

    এই মসজিদটিকে (Sambhal Masjid) ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দু পক্ষের দাবি, শাহি জামে মসজিদটি ঐতিহাসিক হরিহর মন্দির ধ্বংস করার পরে নির্মিত হয়েছিল। অনেকের বিশ্বাস, মন্দিরটি এই জায়গায়ই অবস্থিত ছিল। গত বছরের ২৪ নভেম্বর আদালতের নির্দেশে মসজিদে একটি সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষার পরেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে চারজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার জেরেই শুরু হয় তদন্ত। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির সময় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ টিম মসজিদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট জমা দেয়। এর আগে আদালত এএসআইকে মসজিদ (Sambhal Masjid) পরিদর্শন করতে এবং তার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল।

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর (Allahabad High Court) মাসে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ থাকা একটি প্রাচীন মন্দিরের দ্বার খোলা হয়। গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে মন্দিরটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দ্বার খোলার পর মন্দিরটিতে সকালে আরতিও অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে ভগবান হনুমানের একটি মূর্তি এবং একটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

    মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শাহি জামা মসজিদের (Sambhal Masjid) একদম কাছেই রয়েছে এই মন্দিরটি। প্রশাসন যখন অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানে নামে সেই সময় এই মন্দিরটি আবিষ্কার করে। স্থানীয়দের দাবি, ১৯৭৮ সালে গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর এলাকা ছেড়ে পালান স্থানীয় হিন্দুরা। সেই কারণেই বন্ধ ছিল মন্দিরটি (Allahabad High Court)।

  • Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভোর্সি কারুর পদবী নয়, তাহলে কেন বিবাহবিচ্ছেদের পর মহিলাদের নামের সঙ্গে বারবার ডিভোর্সি শব্দটি উচ্চারিত হবে, প্রশ্ন তুলল কাশ্মীর হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি শিশুর অভিভাবকত্ব মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা আবেদন খারিজ করে এই মত দেয় কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্ট। আদালত ডিভোর্সি শব্দটি আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করাকে কঠোরভাবে নিন্দা করেছে এবং এর ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    পারভেজ আহমদ খান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী আরীবের মধ্যে সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে একটি দীর্ঘকালীন বিতর্ক চলছিল। আরীবই তাদের ছোট ছেলের মূল অভিভাবক, বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বিনোদ চট্টোপাধ্যায়। পারভেজ খানকে ২০,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। পারভেজ খান তার পর্যালোচনা আবেদনপত্রে দাবি করেছিলেন যে, পূর্ববর্তী রায়টি তার আবেদনটির অধিকারিতা সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরাসরি মূল বিষয়ে রায় দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, তার মামলা শুধুমাত্র আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য রেখেছিল, কিন্তু মূল বিষয়ের উপর কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আদালত এই দাবি খারিজ করে দিয়ে জানায় যে, আবেদনটি শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ জুন রিজার্ভ করা হয়েছিল এবং আদালত ঠিকমতো মূল বিষয়টির উপরই রায় দিয়েছিল। বিচারপতি কৌল তার ৩৩ পৃষ্ঠার রায়ে উল্লেখ করেন, “মামলার মূল বিষয়টি খোলামেলা শুনানি হয়েছিল এবং আদালত অবশ্যই তার সিদ্ধান্তে স্বচ্ছ ছিল।”

    ডিভোর্সি শব্দটা অপমানজনক

    একই সাথে আদালত সাফ জানায়, যে কোনও মামলায় “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার একটি অত্যন্ত অবমাননাকর আচরণ। আদালত বলেন, “একজন নারীর নামের সঙ্গে তালাকপ্রাপ্তি শব্দ যুক্ত করা যেন তার পদবী বা জাতির অংশ হয়ে দাঁড়ায়—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অসঙ্গতিপূর্ণ। যদি একে সঠিক মনে করা হয়, তবে তালাক দেওয়া পুরুষের নামেও ‘তালাকদাতা’ শব্দ যুক্ত করা উচিত, যা অবশ্যই অশোভন হবে।” এই রায়ের পর আদালত নির্দেশ দেয় যে, কোনও আইনি নথিতে “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার করা হলে সেই নথি নিবন্ধন বা ডায়রি করা যাবে না।

  • Saif Ali Khan: ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! চ্যালেঞ্জের মুখে সইফ

    Saif Ali Khan: ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! চ্যালেঞ্জের মুখে সইফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! মূলত, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং রাইসেনে অবস্থিত পতৌদি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮-এর অধীনে বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট তাদের ওপর জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এই আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

    হাইকোর্টের কী বক্তব্য? (Saif Ali Khan)

    ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর যাঁরা পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন, তাঁদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি (Ancestral Property) ভারত সরকার “শত্রু সম্পত্তি” হিসেবে ঘোষণা করে। ভোপালে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) পৈতৃক সম্পত্তির একটি অংশ এই আইন অনুযায়ী শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানের বড় বোন আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ২০১৫ সালে সইফ আলি খানের সম্পত্তি নিয়ে শুরু হওয়া মামলায় সম্প্রতি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৯ সালে আদালত সইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানকে সম্পত্তির আইনি উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আবিদা সুলতানের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কারণে তাঁর অংশের জমি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে, তাঁর অংশের সম্পত্তি এই আইনের আওতায় পড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিচারপতি বিবেক আগরওয়ালের বেঞ্চ সইফের আবেদন খারিজ করে দেয় এবং তাঁকে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত সইফ বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সইফের পৈতৃক সম্পত্তি

    ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, হাবিবি কা বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস এবং কোহেফিজা এলাকা। সইফ (Saif Ali Khan) তাঁর শৈশব কাটিয়েছেন ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউসে। এসব সম্পত্তির মধ্যে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের রায় সইফের পক্ষে যায়নি। তাঁর পরিবার এখনও ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার সুযোগ পেতে পারে। তবে, বিষয়টি দ্রুত না মেটালে কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের পরিবার থেকে আসা সইফ আলি খান একদিকে যেমন বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন, তেমনই তাঁর রাজকীয় ঐতিহ্য ও পৈতৃক সম্পত্তি সবসময় আলোচনায় থেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা! বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আর নিষিদ্ধ নয় ইসকন। সে দেশের হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল রিট পিটিশন। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ইসকন নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

    কী বলল আদালত? (Bangladesh Crisis)

    রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শান্তিরক্ষায় সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কোনওভাবেই ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী মনিরউদ্দিন ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানান। তার পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না।

    গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

    দিন কয়েক আগেই ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ ইসকনের অন্যতম কর্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তার পর থেকেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয় বাংলাদেশে। চিন্ময়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীনই মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। তার পরেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম-সহ বাংলাদেশের একাধিক ইসলামি সংগঠন।

    প্রসঙ্গত, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন মনিরউজ্জামান নামের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশও দেওয়ার দাবি জানান ওই আইনজীবী। এ নিয়ে সেখানকার সরকার কী পদক্ষেপ করছে, আদালতে তা জানানোর আবেদনও করেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    সূত্রের খবর, এদিন এই বিষয়ে সরকারের মনোভাব ও পদক্ষেপ করার কথা আদালতকে জানান অ্যার্টনি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, চট্টগ্রামের ওই আইনজীবী হত্যার ঘটনায় দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৩ জনকে। ওই মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে, তাদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ইসকন (ISKCON) নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: কী কারণে গ্রেফতার? পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তপোব্রত, প্রতীকী অনশনে পুর-চিকিৎসকরা

    High Court: কী কারণে গ্রেফতার? পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে তপোব্রত, প্রতীকী অনশনে পুর-চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে পুজো কার্নিভালের দিন কলকাতা পুলিশ (Kolkata police) গ্রেফতার করছিল পুরসভার মেডিক্যাল টিমের প্রতিনিধি তপোব্রত রায়কে। তাঁর অপরাধ ছিল, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বুকে ব্যাজ পরে ডিউটি করছিলেন। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই ডাক্তার। ইতিমধ্যেই গ্রেফতারির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (High court) দ্বারস্থ হলেন প্রতিবাদী ওই ডাক্তার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High court)

    ১৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভালের দিন অনশনকারী চিকিৎসকদের সমর্থনে ব্যাজ পরে কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের (High court) হয়ে এমারজেন্সি ডিউটি করছিলেন তপোব্রত রায়। এর জেরে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীনই তাঁকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ময়দান থানায় তাঁকে নিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর সাধারণ মানুষও জড়ো হয়ে যান। পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে অনুমান করে গ্রেফতারির কয়েক ঘণ্টা বাদেই বাধ্য হয়ে তপোব্রত রায়কে ছেড়ে দেয় কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে সাধারণ মানুষ বিষয়টির প্রতিবাদ করলেও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কোনও দুঃখপ্রকাশ করা হয়নি। পদক্ষেপ নেয়নি কলকাতা পুরসভাও। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল পুরসভার চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। ওই ঘটনার বিচার এখন করবে আদালতই।

    আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা মমতাকে, না মানলে মঙ্গলে সর্বাত্মক ধর্মঘট, ঘোষণা ডাক্তারদের

    ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু

    তপোব্রতবাবুর মামলার (High court) আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে। অন্যদিকে, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও অন্যায় ছাড়াই তপোব্রত রায়কে গ্রেফতার করার জন্য কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পুরসভার চিকিৎসকরা। তপোব্রত রায়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার নিন্দা কেন করা হয়নি? কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপ কেন নেওয়া হয়নি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডেডলাইন দিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই সময়সীমা পেরিয়ে যেতেই ঘটনার প্রতিবাদে ‘প্রতীকী অনশন’ শুরু হয়। আর কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তোলা হয়। এক, চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে পুলিশের আটক করার ঘটনায় কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁদের নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা করতে হবে। দুই, পুলিশকে তপোব্রত রায়ের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে। তিন, কলকাতা পুরসভার চিকিৎসককে অপমান করা হয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভাকেই আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই তিন দাবি এখনও মানা হয়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুরকর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share