Tag: High Court

High Court

  • Panchayat Election 2023: রাজভবনে জমা সব হিংসার অভিযোগ পাঠাতে হবে হাইকোর্টে, নির্দেশ রাজ্যপালের

    Panchayat Election 2023: রাজভবনে জমা সব হিংসার অভিযোগ পাঠাতে হবে হাইকোর্টে, নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্রাবাচনের সময় (Panchayat Election 2023) রাজভবনে জমা হওয়া সব অভিযোগ আদালতে জমা দেওয়ার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, ভোটে হিংসা সংক্রান্ত প্রায় সাড়ে সাত হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল রাজভবনের পিস রুমে। ভোটে অনিয়ম ও সন্ত্রাস নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় রাজভবনে জমা পড়া সব অভিযোগ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালের নির্দেশ 

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) নির্ঘন্ট প্রকাশের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু হয়ে ভোটের দিন ও তার পর পর্যন্ত জারি রয়েছে অশান্তি। অসমর্থিত সূত্র বলছে, সবমিলিয়ে মোট পঞ্চাশের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সেন্ট্রাল ফোর্সকে এনেও বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তার ফলেই ভোটের দিনে এত মৃত্যু। রাজভবন থেকে নির্বাচনে হিংসা সংক্রান্ত নানা অভিযোগ একসঙ্গে করে সিল খামে কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। তার সঙ্গে রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) একটি নোটও পাঠান কমিশনে। সূত্রের খবর সেই নোটে লেখা হয় ওইসব অভিযোগের যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত ও বিচার হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যেন নির্বাচনের ফল স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু তা হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, বিচার বিভাগীয় স্ক্রুটিনি করার জন্য রাজভবনে জমা পড়া অভিযোগগুলো আদালতের সামনে পেশ করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই রায়ের প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যপালের এই নির্দেশ প্রত্যাশিতই ছিল। 

    আরও পড়ুুন: “ভারতীয় গণতন্ত্রকে আমি অন্তর থেকে কুর্নিস করি,” বললেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ কর্তা

    বিএসএফের স্পেশাল ডিজির রিপোর্ট

    কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। ভোটপর্ব (Panchayat Election 2023) মিটতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন বিএসএফের স্পেশাল ডিজি। সূত্রের খবর, ভোটে কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে, রাজ্যপালকে তা নিয়ে রিপোর্ট দেবেন তিনি। এর আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিএসএফ। রাজভবন সূত্রে খবর, ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে কী ভূমিকা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর? সেই বিষয়েও রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট দেবেন বিএসএফের স্পেশাল ডিজি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে শীঘ্রই! চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    Panchayat Election 2023: বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে শীঘ্রই! চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শীঘ্র বাকি কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে বলে সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিষয়টা হলফনামা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও জানিয়েছে কেন্দ্রের আইনজীবী। এর আগে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পরে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল রাজ্যে। তৃতীয় দফায় ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে রাজ্যে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ঘোষণা

    পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। অর্থাৎ কম করে ৮০০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করতে হবে পঞ্চায়েত ভোটে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের পর মোট ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েই মূলত আদালত অবমাননার একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। শুনানি চলাকালীনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বাকি ৪৮৫ কেন্দ্রীয় বাহিনীও পাঠানো হবে। এরপরই ওই মামলার সওয়াল-জবাব এদিনের মতো স্থগিত করে দেয় উচ্চ আদালত। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই নিয়ে শুনানি হবে ডিভিশন বেঞ্চে। 

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

    এক দফা ভোটের জন্যই ৮২২ কোম্পানি

    এবার এক দফা ভোটের জন্যই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বাংলায়। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) যা বিরল শুধু নয়, এক কথায় বেনজির। এই ব্যবস্থা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটেও ৮২০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন হয়েছিল। কিন্তু সেবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মাত্র ২৬০ কোম্পানি বাহিনী পাঠিয়েছিল। যেহেতু ভোটগ্রহণ পাঁচ দফায় হয়েছিল, তাই ওই ২৬০ কোম্পানি বাহিনীকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হয়।  আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ওই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর জওয়ানরা ধাপে ধাপে রাজ্যে আসতেও শুরু করে দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৩২৩ কোম্পানির মধ্যে বিএসএফ থেকে ১০০ কোম্পানি, সিআরপিএফ থেকে ৭৩ কোম্পানি, এসএসবি থেকে ৫০ কোম্পানি, সিআইএসএফ থেকে ৪০ কোম্পানি আরপিএফ থেকে ৩০ কোম্পানি এবং আইটিপিবি থেকে ৩০ কোম্পানি বাহিনী আসবে। এ ছাড়াও ২০টি রাজ্য থেকে আসবে ১৬২ কোম্পানি বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    Panchayat Election 2023: শুক্রতেও মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বসিরহাটের ৬০ বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হিংসার জেরে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) মনোয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন করেছিলেন বসিরহাটের ৬০ জন বিজেপি প্রার্থী। ওই ৬০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সিনহা। আদালতের নির্দেশ, ‘‘সময় নেই! তাই নির্দেশনামার জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। আদালতে শুনানির ভার্চুয়াল লিঙ্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। এই লিঙ্কে নির্দেশ শুনেই পদক্ষেপ করতে হবে।’’

    আদালতের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জেরে বসিরহাটের চারটি ব্লকের বিজেপি প্রার্থীরা পুলিশ নিয়ে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। তাই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর্জি ছিল মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হোক। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, বসিরহাটের ৪টি ব্লক— সন্দেশখালি-১ এবং ২, মিনাখা, ন্যাজাট এবং হাড়োয়ার ৬০ জন প্রার্থীর জন্য মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বসিরহাট মহকুমাশাসকের দফতরের বিপরীতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থীরা উপস্থিত রয়েছেন। তাঁরা শুধু রাস্তা টপকে এ পারে আসবেন। পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে প্রার্থীদের মহকুমা শাসকের দফতরে ঢোকাবেন। নির্দেশ বিচারপতির।

    আরও পড়ুন: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    শুক্রবার শুনানি শেষে বিচারপতি সিনহা বলেন, যাঁরা মনোয়ন (Panchayat Election 2023) জমা দিতে পারেননি, তাঁদের পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মনোয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার এবং বসিরহাটের সাব ডিভিশনাল অফিসার উপস্থিতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করবেন বিজেপি প্রার্থীরা। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত যাঁরা মনোয়ন দেবেন তাঁদের মনোয়ন জমা নিতে হবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিক্ষাবন্ধু ও ভলেন্টিয়ারদের মনোয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন বাড়াতে হবে। সেই মর্মেই এইদিন বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে রায় দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) মনোনয়নের শেষ দিনেও উত্তাল রাজ্য। চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই কর্মীর। ভাঙড় ২ তে যেসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। একই ঘটনা ঘটে মিনাখাঁতে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি প্রার্থীদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করতে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাঁদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।

    কী হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না করতে পারলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করাতে নিয়ে যাবে। রাজ্য পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে গাড়িতে করে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নিয়ে যায়। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। বিজেপির অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে এবং আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা করতে দিল না রাজ্যর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    বিজেপির জেলা ইনচার্জের বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির ইন চার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে থানা থেকে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নমিনেশন (panchayat election 2023) দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় হঠাৎই আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। এর ফলে গাড়ির কাচ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তারপর বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। বেশ কিছু মহিলা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শোর বেশি। দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড ইত্যাদি ছিল। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, পুরো জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে জীবন সঙ্কটের কারণে আর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভবপর হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: অভিষেক-কুন্তল মামলায় অর্ধেক তদন্ত বাকি, হাইকোর্টে জানাল সিবিআই

    Kuntal Ghosh: অভিষেক-কুন্তল মামলায় অর্ধেক তদন্ত বাকি, হাইকোর্টে জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক – কুন্তলের (Kuntal Ghosh) চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ হয়েছে বলে হাইকোর্টে দাবি করল সিবিআই (CBI)। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ওই মামলায় এখনও তাঁদের কিছুটা সময় প্রয়োজন। যা শুনে আদালত সিবিআইকে পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘‘সত্য খুঁজতে আর কত দিন সময় লাগবে?’’

    সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

    এদিন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার বেঞ্চে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তলের চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত কতটা এগিয়েছে সিবিআই-এর কাছে তা জানতে চায় আদালত। তখনই  সিবিআই  জানায়, ইতিমধ্যে অভিষেক এবং কুন্তলের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তদন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ বাকি আছে। তাই তাদের কিছুটা অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। এর পাল্টা হিসেবে বিচারপতি বলেন, ‘‘সত্য খুঁজতে আর কত দিন সময় লাগবে? এই তদন্তের অগ্রগতি কোথায়? অভিযুক্ত সব তথ্য স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু তদন্ত তো সঠিক পদ্ধতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার!’’ 

    সিবিআই-এর নির্দেশ

    সিবিআই এদিন আদালতকে জানায়, প্রেসিডেন্সি জেলের একটি সিসিক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়াতেই তদন্তে দেরি হচ্ছে। তারপরই আদালত নির্দেশ দেয় জেল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ওই ফুটেজ জমা দিতে হবে। সিবিআইয়ের টেকনিক্যাল টিম রেজিস্ট্রার জেনালেরের কাছে বসে তাদের টিম এনে সেই ফুটেজ কপি করবে। রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে জানানো হয়েছে, ২৫ দিন সময় লাগবে সিসিটিভি ফুটেজ দিতে। এরপর এই মামলায় সার্বিক তদন্ত কতদূর এগিয়েছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে সিবিআইকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের মণীশ জৈনকে তলব সিবিআই-এর

    ইডিকে নির্দেশ আদালতের

    পরে কুন্তলের মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘‘কুন্তল ঘোষের উপর নজর রাখবেন জেল সুপার। তিনি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করবেন। আদালত চাইলেই সেই ফুটেজ পেশ করতে হবে।’’ বুধবার প্রাথমিকের নিয়োগ মামলা নিয়ে ইডিকেও বিচারপতি সিন্‌হার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে বিচারপতি জানতে চান, ‘‘তদন্তে যুক্ত ইডি অফিসাররা দক্ষ তো?’’ এর জবাবে ইডি বলে, ‘‘নিশ্চয়ই! তারা যোগ্য।’’ শুনে বিচারপতি সিন্‌হা ইডিকে নির্দেশ দেন,  এক মাস পরে নিয়োগের তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ-দুর্নীতিতেও সিবিআই তদন্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ-দুর্নীতি (Municipal Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। উল্লেখ্য, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এজলাশ বদল হলেও সেই নির্দেশই বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টেরই অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু তাতে কোনও সুবিধা হয়নি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এখনই তদন্তে (Municipal Recruitment Scam) কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয় ৬ জুন। একই সঙ্গে ইডি-কেও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, তারই জেরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে ওই তদন্তকারী সংস্থা। গত ৮ বছরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় কী পদ্ধতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, কতজনের চাকরি হয়েছে, এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি।

    আগেও মামলা (Municipal Recruitment Scam) ফেরত পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

    স্কুলের নিয়োগে যে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে তোলপাড় চলছে গোটা রাজ্যে। ওই তদন্ত চলাকালীনই ধরা পড়ে, পুরসভার নিয়োগেও মারাত্মক রকমের দুর্নীতি (Municipal Recruitment Scam) হয়েছে। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে তল্লাশিতে উদ্ধার হয় এই সংক্রান্ত বহু নথি, হার্ডডিস্ক। গত ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Municipal Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা নতুন করে এফআইআর দায়ের করতে পারবে বলেও হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়। এমনকী সিবিআইকে প্রয়োজনে যাবতীয় সাহায্য করার জন্যও রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য গেলেও কিছুই সুবিধা হয়নি। মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

    কোথায় কোথায় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে (Municipal Recruitment Scam) টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নবজোয়ার’-এ পুলিশের খরচ মেটাচ্ছে কে? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নবজোয়ার’-এ পুলিশের খরচ মেটাচ্ছে কে? হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে যে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে, তার খরচ কারা দিচ্ছে? কেনই বা দলীয় ভোটে রাজ্য পুলিশকে (Police) ব্যবহার করা হচ্ছে? এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    শুভেন্দুর প্রশ্ন একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ভোটে কীভাবে সরকারি সাহায্য যেতে পারে? পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান, জানতে চেয়ে ভোটের আয়োজন করেছে একটি আঞ্চলিক দল। নাম না করে তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করেন শুভেন্দু। পুলিশ ব্যবহারের জন্য সরকারি খাতে ওই দল টাকা জমা করেছে কিনা সেই প্রশ্নের জবাব চান বিরোধী দলনেতা। এই নিয়ে ডিজিকে চিঠি দিয়ে উত্তর মেলেনি। এবার তাই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    মামলার শুনানি

    আগামী ৭ জুন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন গত ১৯ মে। ডিজিপি কে চিঠি দিয়ে কোনও উত্তর না পাওয়ার ১৮ দিন পরে আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। বিরোধী দলনেতার আইনজীবী সূর্যনীল দাস জানান, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ৭ জুন মামলাটি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞনম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য আসতে পারে। ওইদিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ইটাহার ও মালদহে মিছিলের অনুমতি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটিরও শুনানি হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না অভিষেক! জেরা করতে পারবে সিবিআই

    গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি। ভোটাভুটি শুরুর দিনেই গণ্ডগোল দেখা যায় সেখানে। ব্যালট বক্স চুরি থেকে হাতাহাতি কোনওটাই বাদ যায়নি। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই অশান্তির ছবি চোখে পড়েছে।  সেই সময় শক্ত হাতে পরিস্থিতির সামাল দেয় পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    Uttar Dinajpur: পর্ষদ তালিকা ও শিক্ষকের নম্বরে ব্যাপক গরমিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশিত তালিকায় তথ্যের ভুলে কাঠগড়ায় এক প্রাথমিক শিক্ষক। আর এমনই অভিযোগে বুধবারে শোরগোল উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলায়। পাল্টা পর্ষদের প্রকাশিত তথ্যকে ভুল বলে দাবী করেন ঐ প্রাথমিক শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষক কর্ণজোড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে দ্বারস্থ হলে, তথ্য যাচাই করে হতবাক স্কুল পরিদর্শক।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কে সেই শিক্ষক?

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-এর দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদে কর্মরত ওই শিক্ষকের নাম বরুন চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করণদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur)  শিক্ষক কেন গেলেন স্কুল পরিদর্শকের কাছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই খবর পেতেই সেই শিক্ষক বুধবার সন্ধ্যায় জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের কাছে তাঁর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সহ ডিএলএড ট্রেনিং এর যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক বরুণ চন্দ্র রায় এই বিষয়ে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে,পর্ষদ তাতে আমার তথ্য ভুল প্রকাশ করেছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর পাশ, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক (Uttar Dinajpur)। আর তারপরেও কী ভাবে ওই তালিকায় তাঁর নাম এলো, তাই স্পষ্ট নয় তাঁর কাছে, এই কথাই জানান বরুণবাবু।

    উত্তর দিনাজপুর জেলা (Uttar Dinajpur) পরিদর্শকের বক্তব্য

    অপর দিকে জেলা বিদ্যালয় (Uttar Dinajpur) পরিদর্শক দুলাল সরকার এই শিক্ষকের মার্কশিট, সার্টিফিকেট দেখার পর বিষয়টি নিয়ে হতবাক হয়ে যান। দুলাল বাবু বলেন, বিষয়টি পর্ষদকে ফোন করে আমি জানিয়েছি। তবে প্রকাশিত তালিকায় যা তথ্য বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয় বলে জানান তিনিও। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, এখনো পর্যন্ত সেই তালিকা প্রশাসনিক ভাবে তাঁর কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে প্রকাশিত তালিকার তথ্য কি আদৌ সঠিক? যদি ভুল হয় তাহলে কিভাবে এই ভ্রান্তিবিলাস? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে? তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হল তৃণমূল ভবন

    TMC: হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হল তৃণমূল ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মত বুধবার ভেঙে ফেলা হল বড়ঞার বিতর্কিত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) কার্যালয়। সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণ এবং অবৈধভাবে জায়গা দখলের অভিযোগ ছিল বলে কোর্টের নির্দেশে জানা গেছে। কোর্টের নির্দেশে খুশি নন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। 

    কেন তৃণমূল (TMC) ভবন ভেঙে ফেলা হল?

    উল্লেখ্য ২০২১ সালে বড়ঞা ব্লকের আফ্রিকা মোড়ে নির্মিত করা হয়েছিল এই তৃণমূলের (TMC) ভবনটি। তারপরে স্থানীয় বাসিন্দা শফিউর রহমান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। উনি কোর্টে জানান, তৃণমূলের ভবনটি সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি ছিল, জায়গাটা বেআইনিভাবে জবরদস্তি দখল করে নেওয়া হয়েছিল। আর এই অভিযোগে তদন্তে নেমে, দফায় দফায় তদন্তের পর, অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হল তৃণমূলের ভবনটিকে। ভবনটি ভাঙতে যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খলার ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে বড়ঞা থানার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকাকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ কান্দি মহকুমা শাসক, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বুধবার ভেঙে ফেলা হল বড়ঞার তৃণমূলের ভবনটিকে।

    তৃণমূল (TMC) সমর্থকদের বক্তব্য

    এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রবিন কুমার ঘোষ বলেন, এই ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। তবে তৃণমূল কর্মীদের মাঝে মাঝে মিটিং হতো। তিনি আরও বলেন, বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা মাঝে মাঝে আসতেন, কিন্তু ভবনটি তাঁর অফিস কখনই ছিল না। ফলে ভবন সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতার বক্তব্যের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এলাকার স্থানীয় জ্যোৎস্না খাতুন বলেন, পুলিশ ভাঙছে ৪৫ দাগের বিল্ডিং, কিন্তু আমি জানি ভাঙার কথা ৪৩, ৪৪ দাগের উপর নির্মিত বিল্ডিং। এটা ঠিক হচ্ছে না। উনি জানান, এরপর আমি আইনের সাহায্য নেবো। কোর্টের নির্দেশ পালন করায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষের ছাপ দেখা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা,” রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা,” রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য (Health Services) সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। কীভাবে এবং কী পরিষেবা দিতে হবে রাজ্যকে তা মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আদালতের নয়”। আদালত জানিয়েছে, পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির মন্তব্য…

    যদি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে তাহলে সেটা সরকারের ব্যর্থতা এবং এটা ধরে নিতে হবে যে সরকার তার জনগণকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের আপৎকালীন সমস্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা উচিত”।

    নদিয়ার তাহেরপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের করুণ ও ভগ্নপ্রায় দশা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। তাঁদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এই মর্মে ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নবীন চাকি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও

    এদিন রাজ্যের সব প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করার জন্য স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশিকায় বলতে হবে, রাজ্যের কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত বা কর্মীর অভাব থাকলে তা যেন স্বাস্থ্য সচিবকে জানানো হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া রিপোর্টের নির্যাস রাজ্যকে জানাবেন সচিব এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাধান করতে হবে সমস্যার। তাহেরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত সব চাহিদা মেটানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ঠিকঠাক চলছে কিনা বা পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করার নির্দেশও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    মার্চ মাসেই জানা গিয়েছিল, রাজ্যে আরও ২৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ জন্য স্বাস্থ্য দফতর বরাদ্দ করেছে ২৩ কোটি টাকা। রাজ্যের তরফে ১৭টি জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি তৈরির ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, কোচবিহার, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, ডায়মন্ড হারবার ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি নির্মাণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share