Tag: High Court

High Court

  • CBI: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই সিটের প্রধান হলেন কল্যাণ ভট্টাচার্য

    CBI: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই সিটের প্রধান হলেন কল্যাণ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান ছিলেন এতদিন ধরমবীর সিংহ। সোমবার তাঁকে সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরিবর্তে দায়িত্ব পেলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিক কল্যাণ ভট্টাচার্য, যিনি একজন বাঙালি। প্রসঙ্গত এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি যখন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছিল তখনই সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরতে চেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিক ধরমবীর সিং। শুধু তাই নয় তিনি সিবিআইয়ের (CBI) চাকরিও ছাড়তে চান বলে আদালতে তখন জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর মতো অভিজ্ঞ গোয়েন্দার চাকরি ছাড়ার কারণ এখনও অবধি সুষ্পষ্ট নয় কারও কাছে। তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্রের খবর, ধরমবীরবাবু তাঁর এই আর্জি যখন আদালতে জানিয়েছিলেন, তখনই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাঙালি কোনও আধিকারিককে এই গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে আনার বিষয়ে। সম্প্রতি, টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম নির্দেশে এসেছেন নতুন বিচারপতি। তবে জানা যাচ্ছে, বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসেও এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত কান্ডের প্রধান থেকে সরে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ধরমবীর। অন্তত সিবিআইয়ের আইনজীবীরা, সেটাই জানিয়েছেন কোর্টে। আর সেই কারণেই হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।

    গত বছর থেকেই চলছে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তদন্ত

    প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা। প্রথম শুরু হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হওয়া থেকে, এখনও অবধি সর্বশেষ সংযোজন তৃণমূলের বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। অভিজ্ঞমহল বলছে, তদন্তের নির্দেশ যেমন কোর্ট দিয়েছে, তেমনি দ্রুত গতিতে তদন্ত করে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছে সিবিআই (CBI)। এবার প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার গেল এক বাঙালির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bombay High Court: দখল হয়েছিল কিশোরীবেলায়, নবতিপর বৃদ্ধাকে ফ্ল্যাট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

    Bombay High Court: দখল হয়েছিল কিশোরীবেলায়, নবতিপর বৃদ্ধাকে ফ্ল্যাট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ বম্বে হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ আট দশক পরে ফিরে পেতে চলেছেন হারানো অধিকার। যখন তাঁর ফ্ল্যাট দুটি দখল হয়ে যায় তখন তিনি ছিলেন বছর তেরোর কিশোরী। বর্তমানে তাঁর বয়স ৯৩। এতদিনে মিলল বিচার। আট সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ মুম্বইয়ের (Mumbai) রুবি ম্যানসনের দুটি ফ্ল্যাট তার মালিক অ্যালিস ডিসুজাকে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারকে দখলদার হটিয়ে ফ্ল্যাট দুটি ডিসুজার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) নির্দেশ…

    রুবি ম্যানসনের প্রথম তলায় রয়েছে ৫০০ ও ৬০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট। ২৯৪২ সালের ২৪ মার্চ ভারতের প্রতিরক্ষা আইনে ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখলের নির্দেশ জারি করে ব্রিটিশ সরকার। সেই আইন বলে ডি-সুজার ফ্ল্যাট দুটি অধিগ্রহণ করে সরকার। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয় ভারত। ফ্ল্যাটের মালিকানা ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু হয় ডি-সুজার। তার পর আরব সাগর দিয়ে বয়ে গিয়েছে লোনা জলের রাশি। সময় গড়িয়েছে। ফ্ল্যাটের দখল ফিরে পাননি ডিসুজা। শেষমেশ বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতি আরডি ধানুকা এবং এমএম সাথয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে ডি-রিকুইজিশন আদেশ দেওয়া সত্ত্বেও ফ্ল্যাটগুলির মালিকানা ডিসুজাকে হস্তান্তর করা হয়নি।

    আরও পড়ুুন: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হত্যার ছক কষছে রাশিয়া?

    দুটি ফ্ল্যাটই প্রাক্তন এক সরকারি কর্মীর উত্তরাধিকারীরা দখলে রেখেছেন। আদালতে পেশ করা পিটিশনে ডিসুজা জানিয়েছেন, রিকুইজিশন আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ফ্ল্যাটের দখল সঠিক মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। বিল্ডিংয়ের অন্যান্য ফ্ল্যাটের দখল তাদের মালিকদের হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি তাঁর ফ্ল্যাট দুটি। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র সরকারকে আদালতের (Bombay High Court) নির্দেশ, আট সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান দখলদারদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট দুটি নিয়ে হস্তান্তর করতে হবে মালিক ডিসুজাকে।

    তিরানব্বইয়ে তাহলে শেষ হাসি হাসলেন ডিসুজাই!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অষ্টম পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) তথ্য এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিপি-কে ৮ মে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজভবনে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন তাঁরা। রাজ্যপাল ১৪ মে এবং ১৫ মে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকা শীতলকুচি, আলিপুরদুয়ার, অসমের রিলিফ ক্যাম্প এবং নন্দীগ্রাম অঞ্চল পরিদর্শন করেন। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে নির্বাচনে একটাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নব নির্বাচিত শাসকদলের তরফে কোনও রক্তক্ষয়ী আক্রমণ করা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার অপরাধেই নবনির্বাচিত শাসকদলের হিংসাত্মক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট চেয়ে ৮ জুন নবনিযুক্ত তৎকালীন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, মুখ্যসচিবও নিজে কোনও প্রকার তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন।

    মানবিক ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও 

    ২ জুলাই হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে হিংসার (Post Poll Violence) সঠিক তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ কমিটি গঠন করে। কমিশন ২০ দিনে ৩১১টি স্থান পরিদর্শন করে। মোট পঁচিশ হাজার মানুষের প্রায় ১৬৫০টি অভিযোগ জমা পড়ে। সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রায় ৯৯৪৯ জনের ৩১৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। মানবাধিকার কমিশন বলে, মহিলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৭টি। ২ মে-র পর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা উচ্চস্বরে ডিজে বাজিয়ে লাঠি, বাঁশ, কাঠ, রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সর্বত্র লুটপাট, ধর্ষণ, হত্যা ভাঙচুর চালায়। কমিশন বলে, যাদবপুর, মালদা, চাপড়া, কোচবিহারে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের উপরও হামলা করে। সবথেকে বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা হয় কোচবিহার, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ২৩টি জেলায় মোট ১৯৭৯টি হিংসার ঘটনা ঘটে। তথ্য দিয়ে কমিশন বলে, পুলিশ ৯৩০৪ জন অভিযুক্তের নামে এফআইআর দায়ের করেছিল। এর মধ্যে ১৩৫৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আবার অভিযুক্তদের ১০৮৬ জন জামিনে মুক্ত হয়েছিল। খুব স্পষ্ট করে কমিশন বলে, মোট অভিযুক্তদের ১৪ শতাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার মধ্যে ৮০ শতাংশ জামিনে মুক্ত হয়। কমিশন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। কমিশনের সদস্যা ডঃ শ্রীমতী রাজুলবেন দেশাই ৭ জেলা পরিদর্শন করে মোট ৪২৫ জন আক্রান্ত মহিলার চরম ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

    হাইকোর্টের আদেশে তদন্তে সিবিআই ও সিট

    পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন, শিশু সুরক্ষা, নারী সুরক্ষা, তফশিলি জাতি-উপজাতি কমিশন এবং আদালতের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট ১৯ অগাস্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বলেছিল, এই তদন্ত হবে দ্বিমুখী। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলার তদন্ত করবে সিবিআই, আর বাকি মামলার তদন্ত করবে সিট। ৩৩৮৮৭টি মামলার মধ্যে ১০০০ মামলায় রাজ্য পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। ধর্ষণ, খুন, লুট মামলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও খবরই নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনও রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মন্তব্য করেছিলেন “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা হয়। তার মানে এই নয় যে সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পুলিশ বন্ধ করে দেবে’’।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, “যে সময়কার অত্যাচারের (Post Poll Violence) কথা বলা হচ্ছে, তখনও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল প্রশাসন, আমার অধীনে ছিল না। গত তিনমাস ধরে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।” বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, হিংসার দায়ভার সম্পর্কে তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো এক চিঠির মধ্যেও রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, হিংসা ঠেকাতে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রাজ্য থেকে দ্রুত রিপোর্ট না পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, এতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা কতটা নিষ্ক্রিয় ছিল। আজ পশ্চিমবঙ্গের ভোট-পরবর্তী হিংসার দু-বছর পার হয়ে গেল। অনেক হিংসার ঘটনাই বিচারাধীন। অনেক বিরোধী রাজনৈতিক সমর্থক ঘরছাড়া। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, হিংসা, হানাহানি, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট কিন্তু এখনও রোজ খবরের শিরোনামে।  (শেষ)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ), উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে তলব করল জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশন। সাত দিনের মধ্যে এই তিন জনকে দিল্লিতে কমিশনের দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার, কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি এবং এই মামলার তদন্তকারী অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করারও সুপারিশ করেছে তারা।

    রাজ্যের অসহযোগিতা

    নাবালিকার মৃত্যু ও পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকভাবে ওই কন্যার দেহ উদ্ধার নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশনের উপাধ্যক্ষ অরুণ হালদার ঘটনাস্থলে যান। রবিবার যখন ওখানে অরুণ হালদার এসেছিলেন, তখন কোনও পদস্থ অফিসার ছিল না। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অরুণ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা অসহযোগিতা করেছেন। জেলাশাসক, এসপি তো দূরের কথা, তদন্তকারী অফিসারও দেখা করেননি। তাঁরা যে ব্যাখ্যা ঘটনাস্থলেই দিতে পারতেন, তা না করায় এখন দিল্লিতে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে। নোটিসে সাড়া দিয়ে না এলে, কমিশনের সমন পাঠানো এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা রয়েছে।’’ রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) ঘটনার আসল তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে অরুণ বলেন, তাঁরা এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের ৫ জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু ১৫ জনের, আজ আকাশ থাকবে কেমন?

    ‘রহস্য’ দেখছে হাইকোর্টও

    কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের বক্তব্যে ‘রহস্য’ দেখছে কলকাতা হাইকোর্টও। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকার শেষকৃত্য নিয়ে পরিবার যা জানিয়েছে, তার সঙ্গে মিলছে না রাজ্য সরকারের বক্তব্য। রাজ্যের দাবি, ওই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। তাই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয়েছে। যদিও নাবালিকার মা হাইকোর্টে জানান, রাজ্য সঠিক কথা বলছে না। ওই কিশোরীর দেহ এখনও পোড়ানো হয়নি। পরিবারের তরফে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে ওই নাবালিকার দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানানো হয়। এতেই ‘রহস্য’ দেখছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঁচ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। জমা দিতে হবে কেস ডায়েরি। রাজ্যকে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন, বলে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গত এক সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে টিভিতে বিচারপতির সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে হলফনামাও জমা দিতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দুপুর ২টোর সময় এজলাসে এসেছিলেন বিচারপতি। সেখানে বসেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘শুনছি কেউ কেউ রটাচ্ছে আমি নাকি ইস্তফা দিচ্ছি…! আমি পদত্যাগ করছি না। যে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই লড়াই চলবে।’’

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিমত

    মঙ্গলবার প্রথমে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা চলবে। যত মিথ্যা কথা বলা হয়েছে, সেগুলির ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমি হয়তো সব দিন থাকব না। কিন্তু আমি থাকি বা না থাকি লড়াই বন্ধ হবে না।’’তাঁর টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে  বিচারপতি বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ যখন আমি দিয়েছি, তখন উত্তরও আমাকেই দিতে হবে।’’ তবে একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি এখনও আপলোড হয়নি শুনলাম। অর্ডার আসুক। উত্তর দেব।’’

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এদিন সকালে হাইকোর্টে পৌঁছলেও প্রথমার্ধ্বে এজলাসে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই হাইকোর্ট পাড়ায় রটে যায় যে তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে শুক্রবার মধ্যে সর্বোচ্চ আদলতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা বিষয়ক মামলাগুলো দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, আদৌ কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের এজলাসের মামলা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করে বলেছে, “কোনও বিচারপতি তাঁর এজলাসের মামলা নিয়ে কখনওই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। এমনটা যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে সেই সব মামলা তাঁর এজলাস থেকে অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়াই ভাল।” এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে বেশ কিছু আইনজীবী ভুল বোঝাচ্ছেন, যা কাম্য নয়”। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে (Police) নিয়োগ না করা। শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না। সরশুনা থানার বিরুদ্ধে ওঠা একটি মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে নিয়োগ না করা। ফলে এক্ষেত্রে চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের ওপরে ভরসা করতে হচ্ছে। পুলিশের কাজ সিভিক ভলান্টিয়াররা করছে। কনস্টেবল, এসআই এবং এএসআই নিয়োগ করা না হলে উপায়ও নেই।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বলেন…

    বিচারপতি মান্থা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায়ও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশের ঘাটতি মেটাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই পুলিশে নিয়োগ না করলে এভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে নিচুতলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার চেষ্টা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, যতদিন না সরকার পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হবে, ততদিন এই এক বছরের চুক্তি ভিত্তিক লোকদের দিয়েই নিচুতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে।

    প্রসঙ্গত, ২১ মার্চের শুনানিতে এই মামলায়ই রাজ্যের আইজিকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মান্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আদালতে এদিন এই বিষয়টিই স্পষ্ট করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    কয়েক দিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, দু জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল পুলিশও। তার পর থেকে আর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার। এর পরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব বেঁধে দিয়ে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে, কোন কোন কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হয়, সে প্রসঙ্গেও রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত।

    উল্লেখ্য, গত বছরই আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, রাতে পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকেছিল কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররাও ছিলেন। তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজ্যের তরফে আনিসকাণ্ডে পুলিশি গাফিলতির কথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্নজনকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে অভিযোগ জানান। তারপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এটিও দেখার ভার দেওয়া হল সেই সিবিআইকেই। একইসঙ্গে মূল মামলার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১ লা মে।

    বোঝাই যায়, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির ওই শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ঘটনা। স্থান বীরভূমের মল্লারপুর। চোর সন্দেহে আটক করা এক নাবালককে থানার মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পথে নেমেছিল বিজেপি। চাপে পড়ে থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল ওসিকে। বিষয়টি যায় হাইকোর্ট (High Court) পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কত দিনের মধ্যে পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

    মঙ্গলবার এই মামলায় মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ যে ওই ঘটনায় আইন মেনে কাজ করেনি, এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভবিষ্যতে যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, তা যেন জুভেনাইল জাস্টিস আইন মেনেই করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। রেলপাড়ের খালাসিপাড়ার বাসিন্দা এক নাবালককে চোর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে থানার মধ্যেই একটি ঘরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন। তাদের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রথমে ওই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল। ইতিমধ্যে ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  বিজেপি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আসরে নামে শাসকদল। তাদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করছে। কিন্তু মঙ্গলবারের রায়ে বিজেপির অভিযোগই কার্যত মান্যতা পেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রাজ্যে ঘটেই চলেছে। সেসব ঘিরে অশান্তিও কম হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাওড়ার ঘটনার পরই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সেই আবেদনের জেরেই কড়া পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ব্যাপারে ৫ এপ্রিল, বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিসিটিভি এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিও ফুটেজও জমা করতে হবে বলে হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তবে শুধু রিপোর্ট তলব করেই আদালত থেমে থাকেনি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনও মামলাকারী অবশ্য ঘটনার এনআইএ তদন্ত এবং অশান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার কী বললেন?

    সোমবার শুভেন্দুবাবুর আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের সাফ কথা, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলায় রামনবমীর (Ram Navami) যে মিছিল করা হয়েছিল, তাতে পুলিশের অনুমতি আগেভাগেই নেওয়া ছিল। তাহলে সেইসব মিছিলে হামলা হল কী করে? রাজ্য সরকারের উদাসীনতার পাশাপাশি  রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এতকিছুর পরেও রবিবার হুগলির রিষড়াতেও যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, জানিয়ে দেন সেকথাও। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। 

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জবাব—

    হাইকোর্টের একের পর এক প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা পুলিশের সেই নির্দেশ মানেনি। তারা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। হাওড়ার পরিস্থিতি আপাতত পুলিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে তিনি জানান, ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালত এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কী বলল সিবিআই?

    CBI: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কী বলল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI)। মূলত, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সিবিআই (CBI) । যদিও এর আগেই কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার পর পরই পুলিশ মামলা রুজু করে। জানা গিয়েছে, পুলিশের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় নাম রয়েছে কোচবিহারের জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিজেপি সহ সভাপতি, দিনহাটা ব্লকের বিজেপি সভাপতি-সহ মোট ২৮ জনের। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়। বেছে বেছে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের ইতিমধ্যেই রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সিবিআইকে (CBI)  নথি হস্তান্তর নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

    আদালতে কী জানাল সিবিআই? CBI

    ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেই এই হামলার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের ওপর দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। পাশাপাশি কনভয় হামলার ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, এই ঘটনায় তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না সরকারের পুলিশ। এমনকী মামলার নথিও হস্তান্তর করছে না বলেও অভিযোগ। সিবিআই (CBI) বৃহস্পতিবার আদালতে জানায়, সব ক্ষেত্রে অসহযোগিতা কাম্য নয়। এই মামলায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যেহেতু এখনও সিবিআই (CBI) তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায় যে তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share