Tag: High Court

High Court

  • Central Force Deployment: ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Central Force Deployment: ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ২১ জুন পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে (Central Force Deployment) কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি শেষে বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High court)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের আদালতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। এর আগে ১৯ জুন পর্যন্ত বাহিনী থাকবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অভিযোগ ছিল বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা শাসকদলের হিংসার শিকার হচ্ছেন। অনেকে বাড়িছাড়া হয়েছেন, বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, মারধর করা হচ্ছে । এমতাবস্থায় যাতে রাজ্য থেকে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার না করা হয় সেই আর্জি ছিল তাঁদের।

    বিরোধীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ

    প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ফের শাসক দলের তাণ্ডব। বিরোধী দলগুলির, বিশেষ করে বিজেপি কর্মীদের ঘর ছাড়া করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় অবস্থিত মহেশ্বরী ভবনে কয়েকশো বিজেপি কর্মী ঠাঁই নিয়েছেন। তাঁরা যে কবে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন সেই নিশ্চয়তা নেই। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পরেও। প্রসঙ্গত কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল ১৯ জুন পর্যন্ত বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force Deployment) রাখা হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: নিটে খারাপ ফল হতেই বেপাত্তা সৌদীপ, দুর্নীতির অভিযোগে সরব পরিবারের লোকজন

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানিতে ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High court)। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মাত্র দুদিন অতিরিক্ত মোতায়েন নিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসা আদৌ কি কমবে এবং এই সিদ্ধান্তে বিরোধীদলের কর্মীরা কতটা উপকৃত হবেন তা নিয়ে সংশয় কিন্তু থাকছেই।

    মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন (Central Force Deployment)

    এই মামলায় বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে ১৪ই জুন আদালতে হলফনামা হিসেবে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে (High court)। তাতে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বহাল রাখার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে যাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কতজন রাজনৈতিক কর্মী অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাও জানাতে বলা হয়েছে। রাজ্যের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে  তা সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা করতে বলা হয়েছে। ১৮ জুন এই (Central Force Deployment) মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    Imran Khan: তিন মামলায় বেকসুর খালাস ইমরান খান, তবে ঘুচছে না বন্দিদশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বছর একাত্তরের ইমরান খান (Imran Khan)। সোমবার তাঁকে খালাস করে দেয় ইসালামাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না তাঁরা। কারণ এখনও তাঁদের মাথার ওপর ঝুলছে একাধিক মামলার খাঁড়া।

    বেকসুর খালাস (Imran Khan)

    ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়া যায় ইমরানের। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। গত অগাস্ট মাস থেকে (Imran Khan) পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এদিন যে তিনটি মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সাইফার মামলাও। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের ডিভিশন বেঞ্চ সাইফার মামলার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাঁকে (Imran Khan) বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    সাইফার মামলা

    উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে একটি নথি আনেন তিনি। এনিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। ইমরান দাবি করেছিলেন, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা ‘সাইফার’ অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।

    আর পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের

    এদিকে, ইসলামি শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অভিযুক্ত করা হয়। আবার এদিনই ৯ মে দাঙ্গার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুরেশিকে।প্রসঙ্গত, তোষাখানা-সহ একশোটিরও বেশি মামলার খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাথার ওপর (Imran Khan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    Suvendu Adhikari: আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু-হিরণ, কোলাঘাটকাণ্ডের কথা জানানো হল শাহকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই পুলিশ তাঁদের ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ এই দুই পদ্ম-নেতার।

    শাহকে ফোন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পুলিশি হানার কথা ফোনে শুভেন্দু জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। শুভেন্দু বলেন, “বিবরণ দিয়েছি গোটা ঘটনার।” আদালতে মামলা দায়ের করার পরে তাঁর হুঁশিয়ারি, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের বাড়িতে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলেও, পুলিশ তা দেখাতে পারেনি বলে দাবি শুভেন্দুর।

    সার্চ ওয়ারেন্ট কোথায়, পুলিশকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বলেন, “সার্চ ওয়ারেন্ট থাকলে, হাইকোর্টের অনুমোদন থাকলে আমি অভিযানের অনুমতি পুলিশকে দিতাম।” তিনি বলেন, “আমি আইন মেনে চলি। আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব। রাতের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে সিসিটিভির ফুটেজ পাঠাব। যে পুলিশকর্মীরা গিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাড়ির লোকের উপস্থিতি ছাড়া কীভাবে অভিযান হতে পারে? যদি দু’টো ভাঙা বন্দুক বা জাল নোট বা মাদক রেখে যায়, তার দায়িত্ব কে নেবে?”

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    কেবল শুভেন্দু নন, মঙ্গলবার মাঝরাতে পশ্চিম মেদিনীপুরেও কয়েকজন বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আপ্ত সহায়ক তমোঘ্ন দে-সহ দুই বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় ঘাটাল ও খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন মিশ্র ও মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও গভীর রাতে হানা দেয় পুলিশ। কী কারণে এই অভিযান, সে ব্যাপারে রা কাড়েনি পুলিশ। হিরণ বলেন, “আমার আপ্তসহায়কের মা অসুস্থ। রাতে তিনি যদি দরজা খুলে দিতেন, টাকা, পিস্তল, হেরোইন রেখে আসতে পারত ওরা। আমার পার্টির কারও নামে কেস দিত। আমাকে ফাঁসাত। এটাই তো এদের মোটিভ। মানুষ দেখছে (Suvendu Adhikari)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Abhijit Ganguly: কমিশনের সেন্সরে ক্ষুব্ধ অভিজিৎ কোর্টে যাবেন, বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রামচন্দ্র

    Abhijit Ganguly: কমিশনের সেন্সরে ক্ষুব্ধ অভিজিৎ কোর্টে যাবেন, বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রামচন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ বা গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) ২৪ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিজিৎ। কমিশনের এই নির্দেশে তাঁর মানহানি হয়েছে বলে মনে করছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনি।

    প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় কমিশনের নির্দেশে মানহানি হয়েছে (Abhijit Ganguly)

     মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিজিৎ (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘আমি কমিশনকে জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলাম, যদি কোনও পদক্ষেপ করা হয় তার আগে যেন অতিরিক্ত জবাব দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু, কোনও সুযোগ না দিয়ে কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছে। অন্য লোকের মান আছে, রেখা পাত্রের মান নেই, আমার মান নেই, তা তো হতে পারে না। প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় কমিশনের নির্দেশে আমার মানহানি হয়েছে। এরপর তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু  বলব না। তবে, বলব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো উচিত। সন্দেশখালির মা-বোনদের উদ্দেশে ভাইপো বলেছে, রেট কত? বিভিন্ন সভা-সমিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালির মা-বোনদের নিয়ে যা বলেছেন, সেটাও তো ইলেকশন কমিশন দেখতে পাচ্ছে। সাধুসন্তদের নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় যেভাবে কথা বলা হচ্ছে, তার জন্য আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখটা সেলাই করে দেওয়া উচিত।’ শাসকদলকে নিশানা করে অভিজিৎ আরও বলেন, ‘এভাবে বিজেপিকে ভয় দেখাতে পারবে না তৃণমূল। এতে বিজেপির লাভ হবে। ২৫ মে মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সেটা তাঁরা ঠিক করে ফেলেছেন।’ পাশাপাশি নাম না করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে শান্তিতে ঘুমোনোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে রামচন্দ্র!

    প্রাক্তন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) সমর্থনে বিরুলিয়া বাজার থেকে আমদাবাদ কলেজ পর্যন্ত রোড শো করলেন স্বয়ং শ্রীরাম চন্দ্র। ছবি দেখে এতক্ষণে নিশ্চয় ধরে ফেলেছেন অনেকেই। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে বিখ্যাত অভিনেতা অরুণ গোভিলকে নিয়ে। ১৯৯০ সালের বিখ্যাত রামায়ণ সিরিয়ালের রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্রী অরুণ গোভিল। অরুণ গোভিলকে দেখতে এদিন সন্ধ্যায় তমলুকে ভিড় ছিল একেবারে দেখার মতো। পদ্ম প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বয়ং রাম চন্দ্রকে দেখে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে দেখার মতো। এদিন তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    Calcutta High Court: “আরএসএসে ছিলাম, ফিরে যেতেও প্রস্তুত”, অবসর নিয়ে বললেন বিচারপতি দাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমার বিদায়ের দিন। শুনতে খারাপ লাগলেও একটা কথা আমি আপনাদের বলতে চাই, সেটা হল আমি আরএসএসে ছিলাম, সেই সংগঠনেই ফিরে যেতে প্রস্তুত। আমি আরএসএসের সদস্য ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।” অবসরের দিনে কথাগুলি বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ।

    ‘আমার যাবার সময় হল’… (Calcutta High Court)

    এদিন তাঁর সম্মানে আয়োজিত বিদায় সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরা, ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্যরাও। বিদায়ের দিনে সেখানেই তিনি তাঁর সঙ্গে আরএসএসের সম্পর্কের কথা জানান। কোনও কাজে অথবা কোনও সাহায্যের জন্য আরএসএস তাঁকে ডাকলে তিনি তা করতে সক্ষম বলেও জানান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি। গত ১৪ বছর ধরে তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। ওড়িশা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।

    আরএসএসের শিক্ষা

    আরএসএসে থেকে তিনি যে অনেক কিছু শিখেছেন, এদিন তাও জানাতে ভোলেননি ওড়িশা থেকে বাংলায় আসা এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বলেন, “আমি এই সংগঠনের (আরএসএস) কাছে বিভিন্নভাবে ঋণী…শৈশব থেকে আমি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, পুরো যৌবনও কেটেছে সংগঠনেই। এই সংগঠন আমায় সাহসী হতে শিখিয়েছে, শিখিয়েছে ন্যায়নিষ্ঠ হতে। সবার প্রতি সমদৃষ্টি দিতে শিখিয়েছে এবং সর্বোপরি পাঠ দিয়েছে দেশপ্রেমের, কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার।” তিনি জানান, যে পেশায় তিনি এতদিন ছিলেন, সেই পেশার কারণেই এতদিন সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাঁর।

    আর পড়ুন: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

    বলেন, “দীর্ঘ কেরিয়ারে কোনও সুবিধা নিতে সংগঠনের সদস্যপদ আমি ব্যবহার করিনি। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে আমি সমস্ত বিচারপ্রার্থীকে সমদৃষ্টিতে দেখেছি। বিচারের সময় কখনও ভাবিনি তিনি কমিউনিস্ট, না বিজেপি, না কংগ্রেস, না তৃণমূল।” তিনি বলেন, “আমার কাছে সবাই সমান। কারও প্রতি কখনও কোনও পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমি মনে করি, বিচার করতে গিয়ে আইনকে নত করা যায়, কিন্তু বিচারপতিকে নয়।”

    আরএসএস ডাকলে তিনি যে আবারও সংগঠনে ফিরে যেতে প্রস্তুত, তাও জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দাশ। বলেন (Calcutta High Court), “আমার জীবনে আমি কখনও কোনও অন্যায় কিছু করিনি। আমি যে ওই সংগঠন থেকে এসেছি, তা বলার মতো সাহস আমার রয়েছে। কারণ এটাও তো কোনও অন্যায় নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বিরুদ্ধে এখনই এগোবে না কোনও তদন্ত। তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআরের ওপরও কোনও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না বলে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

    গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর (Calcutta High Court)

    সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে গঙ্গাধরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন জনৈক শক্তিপদ রাউত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য মামলায় দায়ের করা হয় এফআইআর। এই এফআইআরের ওপর রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর। বিচারপতি সেনগুপ্তর মন্তব্য, “মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর তাতে থানায় এফআইআর রুজু করা হল কীসের ভিত্তিতে? ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে এই এফআইআর করার সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত ছিল।” তিনি জানান, সন্দেশখালি মামলার তদন্ত চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নজরদারিতে। সিবিআই তদন্ত করছে। এই আবেদনেরও শুনানি হওয়া উচিত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

    আরও পড়ুুন: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    আদালতে গঙ্গাধর

    বিজেপি নেতা গঙ্গাধর খবরে চলে আসেন সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে দু’টি স্টিং অপারেশন পর্ব-১ ও পর্ব-২ প্রকাশ্যে আসার পর। প্রথম পর্বে গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। দ্বিতীয় পর্বের ভিডিওয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ৭২ জন মহিলাকে দু’হাজার করে টাকা দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে। ভিডিও দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিও দু’টি ভাইরাল হতেই চাপে পড়ে যান গঙ্গাধর। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলার অনুমতি চান গঙ্গাধর। সেই অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরু চাকরিহারাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ, ‘অযোগ্য’দের সিবিআই তলব

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে শুরু চাকরিহারাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ, ‘অযোগ্য’দের সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তলব করতে শুরু করল সিবিআই। ‘কোথাও নাম নেই, কীভাবে চাকরি পেলেন?’, ‘কাকে টাকা দিলেন?’, এরকমই সিবিআইয়ের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ওই ব্যক্তিদের। আদালতের নির্দেশ মেনে প্রার্থীর পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ও বেতন পাওয়ার নথি যাচাই সহ নিজাম প্যালেসে ‘অযোগ্য’দের তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।  

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্য ও নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে সিবিআই। ‘দুর্নীতি’র (SSC Scam) অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেলটিই বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই পরীক্ষায় অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের খুঁজে বার করার কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত। তাই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই এবার তদন্ত শুরু করল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    উঠতে পারে কোনও নাম

    সূত্রের খবর, ওএমআর যাচাইকারী সংস্থা নাইসা থেকে সিবিআই যে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করেছে, সেখানেই রয়েছে কারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, কাদের ওএমআরে ম্যানুপুলেশন হয়েছে তার সম্পূর্ণ তালিকা রয়েছে এসএসসিও (SSC Scam) অনেককে চিহ্নিত করেছে। অনেকের চাকরি বাতিল হয়েছে। তবে অনেকে চাকরিও করছেন। এই অযোগ্যদেরই এবার তলব করেছে নিজাম প্য়ালেস। তালিকা ধরে ধরে প্রায় ৪৩২৭ জন ‘অযোগ্য’কে তলব করা শুরু করেছে সিবিআই। অযোগ্যদের মোট ৬টি তালিকা সিবিআইয়ের হাতে। প্রত্যেক তালিকা থেকেই বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে বলে খবর। এদেরকে জেরা করে কোনও বড় নামও মিলতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: যে আদালতে ছিলেন ধর্মাবতার, এখন সেখানেই বিচারপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: যে আদালতে ছিলেন ধর্মাবতার, এখন সেখানেই বিচারপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেও তিনি ছিলেন বিচারক। এখন তিনিই বিচারপ্রার্থী। ভোটের আবহে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশের তরফে দেওয়া হয়েছে কঠিন কঠিন ধারা। দ্রুত এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এতদিন যেখানে ধর্মাবতার ছিলেন তিনি, সেখানে মামলাকারী হয়ে হাজির হলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ।

    কেন মামলা হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে

    বিচারকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) । যেদিন তিনি মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন সেদিন তাদের পথে পড়ে যায় তৃণমূল সমর্থিত প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি। পাশ দিয়ে ভাল ভাবেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ তাঁকে এবং শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু হয় মঞ্চ থেকে। পাল্টা তেড়ে যান বিজেপি সমর্থকরা। সেই সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থক আহত হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নামে তমলুক (Tamluk) থানায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফ থেকে এফআইআর করেন মইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দাবি বিজেপির (Abhijit Gangopadhyay)

    প্রসঙ্গত কোন রুটে মনোনয়ন দিতে যাবেন তা আগে থেকেই জানানো ছিল পুলিশকে। বিজেপির দাবি পুলিশ চাইলে অশান্তি এড়াতে পারত। পুলিশ জেনেও প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Teachers) ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে অনুমতি দিয়েছিল। নির্ধারিত রুটের পাশে আরেকটি কর্মসূচিকে জায়গা দেওয়ার কারণে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গোলমাল পাকানো হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।  প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। ৫ মে মইদুল ইসলামের দায়ের করা এফআইআর এর ভিত্তিতে অস্ত্র আইনেও মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) অভিযোগ প্রচারে বাধা দেওয়ার জন্যই এই এফআইআর করা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাসক দল তাকে মামলা দিয়ে তদন্তের নামে প্রচার থেকে আটকে রাখতে চায়। তার আরও অভিযোগ শাসকদলের আঙ্গুলেহেলনেই বাড়তি ধারা দেওয়া হয়েছে। আদালতে ফের প্রমাণিত হবে পুলিশ যে ধারা গুলি দিয়েছে তা উপযুক্ত নয়। সূত্রের খবর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মঙ্গলবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার একটি মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা করছে না রাজ্য।

    রাজ্যকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে তদন্তে দেরি হবে। এর পরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের কাছে সিবিআই যেসব নথি চেয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে সেসব নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেখানে হতাশ হতে হয়েছে রাজ্যকে। হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। রাজ্যকে সহযোগিতা করতে হবে এটাই কাম্য।” প্রধান বিচারপতি জানান, সিবিআই যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা অত্যন্ত গোপনীয়। তবে জমি দখলের তদন্তে রাজ্যকে যাবতীয় সাহায্য করতে হবে সিবিআইকে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজ্য সরকারকে আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে হবে। নিজেদের কৌশল প্রয়োগ করে সন্দেশখালির ঘটনায় সাক্ষীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য বের করে আনতে হবে। তার জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দায়িত্বও নিতে হবে সিবিআইকে। প্রয়োজনে মহিলা আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিনই সিবিআইকে ফের পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকার রাস্তায় এলইডি লাইট ও সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে ব্যাপারে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ না করায় প্রধান বিচারপতির হুঁশিয়ারি, আগামী শুনানির আগে যদি রাজ্য প্রশাসন ওই বিষয়ে পদক্ষেপ না করে, তাহলে ইস্যু করা হবে আদালত অবমাননার রুল। এদিকে, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলায় যুক্ত হয়ে হলফনামা দিতে পারবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: রাতে শেষ মেট্রোর সময়সীমা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাতে শেষ মেট্রোর সময়সীমা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মেট্রোর(Kolkata Metro) সময় বাড়ানো নিয়ে কলকাতা মেট্রো রেলকে বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ‘শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হোক’-কদিন আগে এই আবেদন জানিয়েই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আকাশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল ডিভিশন বেঞ্চে। 

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানায়, অন্য শহরে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যায়। বিশাল সংখ্যক মানুষ কলকাতায় কাজ করেন। কিন্তু অনেকে শহর থেকে অনেক দূরে থাকেন। তাঁদের কথা ভেবে শেষ মেট্রোর (Kolkata Metro) সময় বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জনস্বার্থ মামলাকারীকে চার সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে বলেও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে।

    যাত্রীদের সমস্যা (Calcutta High Court)

    কলকাতা মেট্রোয়(Kolkata Metro) ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়া রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ। তারপর আর আর কোনও মেট্রো না থাকায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে বিকল্প পথ ধরতে হয় যাত্রীদের। ফলে ঘুর পথে বাড়ি ফিরতে কার্যত অসুবিধায় পড়ে যাত্রীরা। আসলে মেট্রোরেলে যে রাস্তা এক ঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়, সেই রাস্তাই অন্য যানে যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। তাই আরও একটু বেশি সময় মেট্রো রেলের পরিষেবা বাড়ানো গেলে অনেক যাত্রীই সুবিধ পাবেন, এই আবেদন রেখেই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে।  

    আরও পড়ুন: এপ্রিলে রেকর্ড কালেকশন জিএসটির! সরকারি কোষাগারে ঢুকল ২ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা

    মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য 

    যদিও এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হচ্ছে না। তবে আদালতের এই নির্দেশের (Calcutta High Court) পর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ(Kolkata Metro) তাদের সিদ্ধান্ত বদলায় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share