Tag: High Court

High Court

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার একটি মুখবন্ধ খামে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা করছে না রাজ্য।

    রাজ্যকে নির্দেশ আদালতের (Calcutta High Court)

    জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে তদন্তে দেরি হবে। এর পরেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে রাজ্যকে। রাজ্যের কাছে সিবিআই যেসব নথি চেয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে সেসব নথি তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেখানে হতাশ হতে হয়েছে রাজ্যকে। হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। রাজ্যকে সহযোগিতা করতে হবে এটাই কাম্য।” প্রধান বিচারপতি জানান, সিবিআই যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা অত্যন্ত গোপনীয়। তবে জমি দখলের তদন্তে রাজ্যকে যাবতীয় সাহায্য করতে হবে সিবিআইকে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআইকে সহযোগিতা করতে রাজ্য সরকারকে আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে হবে। নিজেদের কৌশল প্রয়োগ করে সন্দেশখালির ঘটনায় সাক্ষীদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য বের করে আনতে হবে। তার জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দায়িত্বও নিতে হবে সিবিআইকে। প্রয়োজনে মহিলা আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুন। সেদিনই সিবিআইকে ফের পরবর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে কংগ্রেসকে নিশানা মোদির, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকার রাস্তায় এলইডি লাইট ও সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে ব্যাপারে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ না করায় প্রধান বিচারপতির হুঁশিয়ারি, আগামী শুনানির আগে যদি রাজ্য প্রশাসন ওই বিষয়ে পদক্ষেপ না করে, তাহলে ইস্যু করা হবে আদালত অবমাননার রুল। এদিকে, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার সেই অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলায় যুক্ত হয়ে হলফনামা দিতে পারবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: রাতে শেষ মেট্রোর সময়সীমা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাতে শেষ মেট্রোর সময়সীমা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মেট্রোর(Kolkata Metro) সময় বাড়ানো নিয়ে কলকাতা মেট্রো রেলকে বিবেচনা করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ‘শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হোক’-কদিন আগে এই আবেদন জানিয়েই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আকাশ শর্মা নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল ডিভিশন বেঞ্চে। 

    প্রধান বিচারপতির নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court) জানায়, অন্য শহরে রাত ১১টা পর্যন্ত মেট্রো পাওয়া যায়। বিশাল সংখ্যক মানুষ কলকাতায় কাজ করেন। কিন্তু অনেকে শহর থেকে অনেক দূরে থাকেন। তাঁদের কথা ভেবে শেষ মেট্রোর (Kolkata Metro) সময় বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জনস্বার্থ মামলাকারীকে চার সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে বলেও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে।

    যাত্রীদের সমস্যা (Calcutta High Court)

    কলকাতা মেট্রোয়(Kolkata Metro) ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত শেষ মেট্রো ছাড়া রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ। তারপর আর আর কোনও মেট্রো না থাকায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে বিকল্প পথ ধরতে হয় যাত্রীদের। ফলে ঘুর পথে বাড়ি ফিরতে কার্যত অসুবিধায় পড়ে যাত্রীরা। আসলে মেট্রোরেলে যে রাস্তা এক ঘণ্টায় যাতায়াত করা যায়, সেই রাস্তাই অন্য যানে যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। তাই আরও একটু বেশি সময় মেট্রো রেলের পরিষেবা বাড়ানো গেলে অনেক যাত্রীই সুবিধ পাবেন, এই আবেদন রেখেই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে।  

    আরও পড়ুন: এপ্রিলে রেকর্ড কালেকশন জিএসটির! সরকারি কোষাগারে ঢুকল ২ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা

    মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য 

    যদিও এ প্রসঙ্গে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই কারণেই শেষ মেট্রোর সময় বাড়ানো হচ্ছে না। তবে আদালতের এই নির্দেশের (Calcutta High Court) পর মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ(Kolkata Metro) তাদের সিদ্ধান্ত বদলায় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের এসএসসির পর প্রকাশ্যে তৃণমূল জমানার আরও এক কেলেঙ্কারি! ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়মের ইঙ্গিত। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রকাশ (Calcutta High Court), নকল ওয়েবসাইট বানিয়ে বাইরের লোক নিয়োগ করে ফেল করাদের পাশ দেখিয়ে নিয়োগ-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। ওই টেটে কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে সবিস্তারে তার তথ্য সিবিআইয়ের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।

    চার দফায় নিয়োগ (Calcutta High Court)

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের (Calcutta High Court) টেট পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে। মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর ওপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে। আইনজীবীদের আশঙ্কা, গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আট সপ্তাহ পরে। তার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    কী বললেন বিচারপতি?

    ২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগে জনৈক রাহুল চক্রবর্তী-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, সিবিআইকে ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজতে হবে, নচেৎ বাতিল করে দেওয়া হবে ২০১৪ সালের টেট। এই মামলায় সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তখনই আদালত জানিয়েছিল, তথ্যের খোঁজে প্রয়োজনে সিবিআই ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে।

    আরও পড়ুুন: গোদরেজ পরিবারে ভাঙন, বাঁটোয়ারা হল সম্পত্তি, কার ভাগে কী?

    এদিন বিচারপতি মান্থার কড়া নির্দেশ, সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। ডিজিটাল ডেটা বের করার নির্দেশও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। ডিজিটাল ডেটা ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য সিবিআইকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়ার ছাড়পত্রও দেন বিচারপতি মান্থা। সিবিআই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজে আনতে পারে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, এই মামলায়ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে ডিজিটাল ভার্সান সংরক্ষিত রয়েছে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi High Court: স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তিতে নিরঙ্কুশ অধিকার নেই স্ত্রীর, রায় দিল্লি হাইকোর্টের

    Delhi High Court: স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তিতে নিরঙ্কুশ অধিকার নেই স্ত্রীর, রায় দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন কোনও হিন্দু মহিলা। কিন্তু সেই সম্পত্তির ওপর নিরঙ্কুশ অধিকার থাকবে না তাঁর। একটি মামলায় রায় দিতে গিয়ে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    কী বলছে আদালত? (Delhi High Court)

    আদালত জানিয়েছে, কোনও হিন্দু মহিলার নিজস্ব কোনও আয় না থাকলে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সেই সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন। তবে স্ত্রী ছাড়াও প্রয়াত ব্যক্তির অন্য কোনও উত্তরাধিকার থাকলে তাঁর সম্পত্তির ওপর স্ত্রীর নিরঙ্কুশ অধিকার থাকে না। তাই ওই সম্পত্তি তিনি বিক্রি কিংবা স্থানান্তর করতে পারেন না। প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রী কী কী করতে পারেন, আর কী কী করতে পারেন না, তাও জানিয়েছে আদালত (Delhi High Court)।

    অধিকার আইনস্বীকৃত হলেও নিরঙ্কুশ নয়

    দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তিতে হিন্দু মহিলার অধিকার আইনস্বীকৃত। তা ওই মহিলার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে যাতে সন্তানদের ওপর নির্ভর করতে না হয়, তাই এই আইন। এসব ক্ষেত্রে স্ত্রী মৃত স্বামীর সম্পত্তি ভোগ ও তা থেকে আয়ও করতে পারেন। কিন্তু এর অর্থ, ওই সম্পত্তিতে তাঁর নিরঙ্কুশ অধিকার নয়। যে মামলার বিচার করতে গিয়ে এহেন মন্তব্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট, তাতে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে তাঁর সম্পত্তি বিশদে উইল করে গিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী আমৃত্যু ওই সম্পত্তি ভোগ করবেন। এই উইলে স্ত্রীকে সম্পত্তি বিক্রি করার অধিকার দেননি তাঁর প্রয়াত স্বামী।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে”, চাকরি বাতিল ইস্যুতে তোপ মোদির

    ওই দম্পতির ছয় ছেলে, এক নাতনি। সম্পত্তির দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মামলার শুনানি শেষে দেওয়ানি আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, যেহেতু স্বামীর মৃত্যুর আগে একটি উইল ছিল, তাই তেইশ বছর ধরে সেখানে বসবাস করার কারণে তাঁর স্ত্রী সম্পত্তির নিরঙ্কুশ মালিক হয়েছিলেন। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তিতে ওই হিন্দু মহিলার কোনও অধিকার ছিল না। মৃত্যুর পরেও নিরঙ্কুশ অধিকার জন্মায় না (Delhi High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

      

  • Calcutta High Court: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    Calcutta High Court: “সন্দেহ মিলে গিয়েছে”, কাকুর স্বর-রিপোর্ট জমা দিয়ে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা সন্দেহ করা হয়েছিল, তা মিলে গিয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনই বলল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সন্দেহের স্বপক্ষেই রিপোর্ট এসেছে বলে দাবি ইডির।

    কী বলল আদালত? (Calcutta High Court)

    তবে কথোপকথনের সঙ্গে কার কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়েছে, তা জানায়নি ইডি। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা হাতে পেয়েছে ইডি। সেই রিপোর্টই জমা দেওয়া হল এদিন। যদিও ইডির জমা দেওয়া কণ্ঠস্বরের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ইডির রিপোর্ট সংক্ষিপ্ত বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এদিন ইডির তরফে আদালতে (Calcutta High Court) যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তা পাঁচ পাতার। এর মধ্যে তিন পাতাজুড়ে রয়েছে কাকুর কণ্ঠস্বর সংক্রান্ত তথ্য। বাকি দু’পাতায় ছিল এই মামলায় ইডির সার্বিক তদন্তের রিপোর্ট।

    বিচারপতির প্রশ্ন

    সেই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতির প্রশ্ন, “এত সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট কেন?” ইডির রিপোর্টের শেষ দু’পাতায় কাকুর ও প্রাথমিক মামলায় সার্বিকভাবে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তার হিসেব দেওয়া হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের ১৩৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “২০১৪ সাল থেকে যে দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ এত কম কেন? টাকার অঙ্কই বা এত কম কেন?” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুন।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    ইডির উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “অভিযোগ উঠেছে যে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা একটা স্ক্যাম। সত্যিই কি চাকরি বিক্রি হয়েছে? তার কি কোনও প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন? টাকার উৎস জানতে আপনারা কি কোনও পদক্ষেপ করেছেন?” ইডির তরফে জানানো হয়, নিত্য এগোচ্ছে তদন্ত। আদালতের তরফে ফের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইডিকে। এদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের নামও উঠে আসে। ইডির দাবি, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    SSC Recruitment Verdict: ফের শিরোনামে ‘সৎ রঞ্জন’, আদালতের রায়ে ‘আঁধার’ নামল মামাভাগিনা গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এসএসসি মামলার রায় (SSC Recruitment Verdict) দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার নাম উঠল ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলের। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন শিরোনামে ছিলেন চন্দন মণ্ডল। উল্লেখ্য তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস ভিডিয়ো বার্তায় ‘সৎ রঞ্জন’ নামে এক ব্যক্তির কথা জানান। মূল অভিযোগ হল, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে বহু চাকরি দিয়েছেন। পরে গ্রেফতার হন চন্দন মণ্ডল।

    বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে আধার (SSC Recruitment Verdict)

    জানা গিয়েছে সোমবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশের পরে যে ২৬ হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উত্তর ২৪ পরগনার চন্দনের গ্রামের আশপাশের এলাকার অনেকে। হাইকোর্টের রায়ের পরে মঙ্গলবার ভরা দুপুরেও যেন ‘আঁধার’ নেমে এসেছে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামে। চাকরি যাওয়া কারও ফোন বন্ধ, তো কেউ আবার বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    তবে কেবল মামাভাগিনা নয়, আশপাশের চড়ুইগাছি কুরুলিয়া, রামনগর-সহ গোটা বাগদা ব্লকের প্রচুর ছেলেমেয়ের চাকরি (SSC Recruitment Verdict) চলে গিয়েছে বলে গ্রামেরবাসিন্দারা জানিয়েছেন। চন্দনের প্রতিবেশী, স্থানীয় একটি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হারান বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের বেশ কয়েক জন অবৈধ ভাবে চন্দনকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলেই মনে হচ্ছে ।’’ সেই সঙ্গে আরও বলেন, “গ্রামের অনেকেই টাকা দিয়ে চাকরি পেলেও সকলে অবৈধভাবে নিযুক্ত হননি। কেউ কেউ নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন।”

    অনেকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছেন

    এদিন হাইকোর্টের রায়ের (SSC Recruitment Verdict) পরে এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছে। আরও গ্রামবাসীরা বলেন, “যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা সোমবারের পর থেকে আর বাড়ির বাইরে বের হননি। তেমনই এক যুবকের বাড়ি গিয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জানালেন, কোনও স্কুলে চাকরি করেন না তিনি। মাঠেঘাটে কাজ করেন। গ্রামের এক মহিলার মতে আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বাগদার (Bagda) প্রচুর যুবক-যুবতী পথে বসলেন। কারও বিয়ে হয়েছে। কারও সন্তান হয়েছে। কেউ কেউ আবার ঋণ নিয়ে বাড়ি করছেন। তাঁদের এ বার কী হবে!”

    আরও পড়ুনঃউস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে

    মামাভাগিনা (Mamabhagina) গ্রামে চাকরি যাওয়া এক যুবকের আত্মীয় এদিন বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে এখানে যখন চাকরি বিক্রি হচ্ছিল, তখন চন্দন মণ্ডলকে টাকা দিয়ে ছেলের চাকরি হয়েছিল।’’ এ দিন পুরনো স্মৃতি উস্কে বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দীর্ঘ লাইন পড়ত চন্দনের বাড়িতে। উদ্দেশ্য একটাই, চন্দন মণ্ডলের সাহায্য নিয়ে একটা সরকারি চাকরি (SSC Recruitment Verdict) জোটানো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের প্রশ্নপত্রে সত্যিই ভুল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ মোট তিনটি বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশ্ন ভুল থাকলে ওই একুশটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে তাঁদের।

    কী বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    আবেদনকারীদের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কমিটি গঠন করতে বলেছেন বিশ্বভারতীকে। আদালতের নির্দেশ, উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গড়বেন। সেই কমিটি সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে আগে চিহ্নিত করবে সঠিক উত্তরগুলি (Calcutta High Court)। পরে খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরও। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, সেটা নির্ধারণ করবেন এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মতামত দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। সেদিন বিশ্বভারতীর কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    মামলাকারীদের দাবি

    ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, ওই বছরের টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে যদি ভুল থাকে, তাহলে সবাইকে নম্বর দেওয়া হোক। এই মামলার আগের শুনানিতে কিছুটা অসন্তোষের সুরেই বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা প্রশ্নে এত ভুল থাকে কী করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন খুঁজে বের করে সঠিক উত্তর দেবেন? বুধবার এই মামলারই শুনানিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই ভুল খুঁজে বের করতেই বিশ্বভারতীকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। এঁরা সবাই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ওই হাজার চব্বিশেক মানুষ। সোমবারের সেই নজিরবিহীন রায়ের পর বুধবার ২০১৭-র টেটে ভুল প্রশ্ন নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ সেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।

    আবারও কি একবার মুখ পুড়বে এসএসসি কর্তৃপক্ষের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতা-ববিতার পর এবার চাকরি গেল অনামিকারও, হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার জায়গায় ববিতা, তার জায়গায় অনামিকা। মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো আদালতের নির্দেশে এবার অনামিকারও স্কুল শিক্ষিকার চাকরি গেল। নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় সোমবার হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার জনের নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছে। সেই তালিকায় শিলিগুড়ির অনামিকা রায়ের নাম রয়েছে। তিনি মনে করেন,  অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যাচ্ছে, বারবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এক বড় মানসিক ধাক্কা।

    কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন অনামিকা?(SSC Recruitment Scam)

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূল নেতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই পদে চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। ফের নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০২৩ সালে চাকরি যায় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া জলপাইগুড়ির জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের হরিহর হাইস্কুলে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। সোমবার তারও চাকরি গেল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

     হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ অনামিকা

    এদিন হাইকোর্টের রায় বের হওয়ার আগেই স্কুলে পৌঁছে গিয়েছিলেন অনামিকা। স্কুলে বসে চাকরি হারানোর খবর পান তিনি। চাকরি যাওয়ার খবর শোনার কিছুক্ষণ বাদেই ফিরে আসেন শিলিগুড়ির পূর্ব বিবেকানন্দ পল্লির বাড়িতে। তিনি বলেন, মামলা করেছিলাম। এদিন রায় বের হবে জানতাম। কিন্তু, এই ধরনের রায় হবে ভাবতেও পারিনি। বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে আস্থা ছিল তা কিছুটা ক্ষুন্ন হল। অযোগ্যদের জন্য এই রায়। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের চাকরি যাচ্ছে। বারবার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এভাবে চাকরি হারানোটা বড় মানসিক ধাক্কা। যারা অযোগ্য তাদের বাতিল করতে পারত। কেননা সিবিআই তদন্ত করে নিশ্চয় বের করেছে কাদের নিয়োগে অনিয়ম রয়েছে। হতাশ হলেও লড়াই ছাড়তে নারাজ অনামিকা। চাকরি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব। আমি চাকরি ফিরে পাব। কেননা আমার নিয়োগে কোথাও কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়নি। 

     তৃণমূল সরকারকে বরখাস্তের দাবি রাজু বিস্তার

    বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, যাদের চাকরি গেল তাদের কোনও দোষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে, আদালতের রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করা দরকার। কেননা তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী ও তাদের ‘চামচা’রা টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সবচেয়ে হাস্যকর বিষয়, যে সরকার নিয়োগ দুর্নীতি করেছে, সেই সরকারই আবার আদালতে গিয়ে বলছে নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে। তাই আগে তৃণমূল সরকারকে বরখাস্ত করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। রায় নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আর আদালতের এই রায় ঘোষণার পরই মুখ খুললেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) । এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রয়েছে তাঁর। রায় শোনার পরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন।

    বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি (Abhijit Ganguly)

    প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ (Abhijit  Ganguly) বলেন, “যাঁরা যোগ্য প্রার্থী তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের ঠকিয়েছেন এই মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী। বঞ্চিতদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান সকলে আছেন। সকলের উচিত মমতাকে বয়কট করা। ওঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। আমার খারাপ লাগছে, এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে আছি। তিনি জোচ্চুরিকে প্রশ্রয় দেন। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করা উচিত। যোগ্যদের বঞ্চিত করেছেন। তাতে হিন্দু-মুলসিম সকলেই ছিলেন। হিন্দু মুসলিম সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা। রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা সাধারণত অবিচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাও সেই কাজ করেছেন। এখন আমাদের আনন্দের দিন নয়। আমি যখন বিচার করছিলাম, অনাচার ধরা পড়েছিল। আবার ধরা পড়েছে। উপযুক্ত রায় দিয়েছে আদালত।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

     মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অভিজিৎ

    এসএসসি মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অভিজিতের (Abhijit Ganguly)। তিনিই প্রথম এই মামলা শোনেন এবং ৮১৬১টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল ছিল। পরে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখান থেকে এসএসসি মামলা আবার ফেরানো হয় হাই কোর্টে। বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে মে মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সাড়ে তিন মাসেই সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২০ মার্চ বিচার শেষে রায় স্থগিত রেখেছিল আদালত। এদিন আদালত রায় ঘোষণা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

    Ram Navami 2024: রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার জিটি রোড দিয়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। রাজ্যের সেই আপত্তি ধোপে টিকল না। উদ্যোক্তারা পরে শোভাযাত্রা বের করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) শোভাযাত্রা করার অনুমতি পেলেন উদ্যোক্তারা। আদালতের নির্দেশে দুদিন শোভাযাত্রা হবে হাওড়ায়।

    কী নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট? (Ram Navami 2024)

    রামনবমীর (Ram Navami 2024) মিছিল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জিটি রোড দিয়ে শোভাযাত্রার অনুমতি দিয়েছে সোমবার। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অঞ্জনিপুত্র সেনার পক্ষ থেকে কোর্টে আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেন বিচারপতি। ১৭ এপ্রিল রামনবমী দিন ও ২১ এপ্রিল মহাবীর জয়ন্তীর দিন শোভাযাত্রা বের করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরই রাম নবমীর শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শুরু করে দিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শিবপুর কাজীপাড়া থেকে ২০০ ভক্ত জিটি রোড দিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত শোভাযাত্রা করতে পারবেন। আগামী ১৭ এপ্রিল শিবপুর এবং হাওড়া থানা এলাকায় শোভাযাত্রা যাতে জিটি রোড দিয়ে যায় সে ব্যাপারে কোর্টের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: “তোলাবাজ ভাইপোকে উত্তরসূরি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র এজেন্ডা মমতার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    উদ্যোক্তাদের কী বক্তব্য?

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের হাওড়া জেলার সভাপতি ইন্দ্রদেও দুবে বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট ১০০ লোক নিয়ে শোভাযাত্রার (Ram Navami 2024) অনুমতি দিয়েছে। তবে, বেশি লোক হলে পুলিশের সাহায্যে বাকিদের ফরশোর রোড দিয়ে মিছিল করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তা প্রশাসনকে জানানোও হয়েছে।” অঞ্জনিপুত্র সেনার তরফে সুরেন্দ্র বর্মা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টে আমাদের মামলার শুনানি ছিল। আদালত জানিয়েছে ১৭ তারিখ ও ২১ তারিখ শোভাযাত্রা করতে পারবে। আমরা ২১ তারিখ শোভাযাত্রা করব। প্রশাসন আদালতে বলে, একদিনে তারা দু’টো শোভাযাত্রা মেনটেন করতে পারবে না। আদালতই বলেছে তাহলে দু’দিন করে দিন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে রবিবার চেয়ে নিই। অবনী মল থেকে হাওড়া ময়দান অবধি আমাদের শোভাযাত্রা যাবে। ২০০ জন অঞ্জনিপুত্র সেনার সদস্য এই শোভাযাত্রা করবেন। বাইরের লোক থাকবেন না। এ নিয়ে আমরা জিটি রোড দিয়ে যেতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share