Tag: High Court

High Court

  • Jalpaiguri: সার্কিট বেঞ্চে জোর ধাক্কা খেলেন মমতার ভাই, নির্বাচনে দেওয়া হল স্থগিতাদেশ

    Jalpaiguri: সার্কিট বেঞ্চে জোর ধাক্কা খেলেন মমতার ভাই, নির্বাচনে দেওয়া হল স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চে ধাক্কা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন। সভাপতি হিসেবে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধভাবে বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের নোটিশ জারি করেছেন। এমনই অভিযোগ তুলে গ্রেটার শিলিগুড়ি টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন  মামলা দায়ের করে। সেই মামলাতে সংস্থার সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের নোটিশ জারি করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তার প্রেক্ষিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনেন নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।

    কেন মামলা? (Jalpaiguri) 

    বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ অর্জুন মান্তু ঘোষের স্বামী সুব্রত রায় শুক্রবার শিলিগুড়িতে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বাংলার তিনটি রাজ্য টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনকে এক ছাতার তলায় আনার ফলে উত্তরবঙ্গ রাজ্য টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মিশে যায়। এই সংযুক্তিকরণের সময় টেবিল টেনিস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার অভিভাবকত্বে সিদ্ধান্ত হয়েছিল একজন সভাপতি ও দুজন যুগ্ম-সম্পাদক থাকবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধিত্বের জন্যে একজন যুগ্ম সম্পাদক উত্তরবঙ্গ থেকে থাকবে। উত্তরবঙ্গ চ্যাপ্টারে যুগ্ম সম্পাদক হন অর্জুন মান্তু ঘোষ। সংবিধান অনুযায়ী, যুগ্ম সম্পাদকরাই  সভা ডাকবেন, নির্বাচনের নোটিশ জারি করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় তা না মানায় আমরা মামলা করি। বুধবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অর্পিতা সিনহা সভাপতির নির্বাচন ডাকার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি ৭ ফেব্রুয়ারি স্বপনবাবুর ডাকা বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দেন।

    সংগঠনের ভিতরে দাদাগিরি চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই!

    বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্টস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন উত্তবঙ্গ নিয়ে এই অভিযোগ করেন সুব্রত রায়।  তিনি বলেন, প্রথমে যুগ্ম সম্পাদকের পদ নিস্ক্রিয় করতে বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনে সচিব পদ তৈরি উদ্যোগ নেন স্বপন বাবু। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই হওয়ায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের রেজিস্ট্রারকে দিয়ে আমাদের সচিব পদ তৈরির জন্য নোটিশ পাঠান। সচিব পদে নির্বাচন  হলে কম ভোট থাকায় উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি জিততে পারবে না জেনেই এই ষড়যন্ত্র। আমরা এই নির্দেশিকারও প্রতিবাদ জানিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছি। স্বপনবাবু সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যুগ্ম সম্পাদককে ঠুঁঠো জগন্নাথ করে সংগঠন নিজের মর্জি মতো চালাতে শুরু করেন। রীতিমতো দাদাগিরি চালাচ্ছেন তিনি। রাজ্য দল গঠনেও তাঁর পছন্দ শেষ কথা হয়ে উঠেছিল। যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে মান্তু ঘোষ ও আমরা এটা মেনে নিতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মক্কা থেকে মনোনয়ন, অবিলম্বে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    North 24 Parganas: মক্কা থেকে মনোনয়ন, অবিলম্বে ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি। বিডিও পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া আদালতে ঝুলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অমৃত সিনহা মামলার শুনানিতে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।

    কেন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হয়নি? (North 24 Parganas)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে মক্কায় বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর মনোনয়ন পরীক্ষায় পাশও হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। আদালত মনোনয়ন বাতিল করে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। যার জেরে বোর্ড গঠন হয়নি ওই পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত চালাচ্ছিলেন বিডিও। আর সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েতে এখনও ভোটগ্রহণ হয়নি শুনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তিনি বলেন, এতদিনে শূন্য আসনে ভোট করাননি কেন? অবিলম্বে ভোটগ্রহণ করে ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন তিনি। বিচারপতি বলেন, বিডিও কেন পঞ্চায়েত চালাবেন? এটা তাঁর কাজ না কি? বিডিওর আরও অনেক কাজ আছে।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের পরঅভিযোগ ওঠে মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতেরএকটি সংসদে তৃণমূলের টিকিটে মইনুদ্দিন গাজি নামে একব্যক্তি যখন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তখন তিনি সৌদিআরবের মক্কায়। ৪ জুন হজ করতে দেশ ছাড়েন মইনুদ্দিন। ১২ জুন তাঁর নামে জমা পড়ে মনোনয়ন। ১৬ জুলাই দেশে ফেরেন তিনি। হজ কমিটি মইনুদ্দিনের হজে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর পরই বিডিওর সঙ্গে যোগসাজসে বিদেশ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ারঅভিযোগ প্রমাণিত হয় মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। তাঁর মনোয়ন খারিজ করে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে খুঁটিপুজোয় মন্ত্রী-পুত্র

    East Medinipur: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে খুঁটিপুজোয় মন্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) কাঁথি শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের এক ছাত্র নেতা। এমনকী মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে সরস্বতী পুজো খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। আর এতেই আতঙ্কিত নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।

    আদালতের কী নির্দেশ রয়েছে? (East Medinipur)  

    গত বছর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) কাঁথির শাসকদলের এক ছাত্র নেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে। পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। প্রথমে অভিযুক্ত অধরা থাকলেও হাই কোর্টের নির্দেশে কাঁথি মহকুমা আদালতে ওই ছাত্র নেতা আত্মসমর্পণ করেন। পরে জামিনে ছাড়া পান। তবে তাঁকে জেলার বাইরে থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশকে অমান্য করে সোমবার কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি ক্লাবের সরস্বতী পুজোর খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভদীপ। আর তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। অভিযুক্ত ছাত্র নেতার মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আতঙ্কিত নির্যাতিতা পরিবারের লোকজন

    নির্যাতিতার বাবা বলেন, অভিযুক্ত যুবক বহাল তবিয়তে কাঁথিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা করছেন। বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি জানানোর পরও পুলিশ কিছু করেনি। খুব আতঙ্কে রয়েছি।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ছাত্র নেতার সঙ্গে থাকা ছবি ফেসবুকেও পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ। আদলতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে যে এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁকে সমর্থন করছেন? প্রশ্ন করা হলে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন,আইনি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। কোনও মন্তব্য করব না।

    অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বিজেপি-র

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, তৃণমূল করে বলে সাত খুন মাফ। আদালতের নির্দেশকে মানছেন না। আসলে তৃণমূলের দৌলতে গোটা রাজ্য অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: জোড়া খুনের ঘটনায় উধাও সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Uttar Dinajpur: জোড়া খুনের ঘটনায় উধাও সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উধাও হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ! পুলিশের ভূমিকায় অত্যন্ত বিরক্ত প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রের বুথে লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি। নজরদারিতে হয়েছে ভোট গ্রহণ পর্ব। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে (Uttar Dinajpur) ভোটের দিনেই খুন হয়েছিলেন দুই রাজনৈতিক কর্মী। আজ সোমবারে হাইকোর্টে এই জোড়া খুনের মামলায় আদতে সিসিটিভির ফুটেজ দিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। এর ফলেই পুলিশকে আদলাতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। উল্লেখ্য, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় মনোনয়ন থেকে ভোটদান এবং ফলাফলের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু খুন, হত্যা এবং ভোট লুটের মামলা হাইকোর্টে গেছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Uttar Dinajpur)?

    আদলাত সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) জগির বস্তিতে ভোটের দিন খুন হয়েছিল দুই ভাই। একজন ছিলেন জমির উদ্দিন তৃণমূল কর্মী এবং অপর আরেক জন ছিলেন সামসুর হক কংগ্রেস সমর্থক। ভোটের দিনে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁদের। এই খুনের ঘটনায় আদালতে পুলিশ জানিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ হারিয়ে গিয়েছে। অথচ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে পুলিশের তদন্ত করার নির্দেশ ছিল। পুলিশ নামে মাত্র তদন্ত করেছে। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার কথা বললেও পুলিশ তা করতে পারেনি। আদলাতের বক্তব্য ঠিক এমনটাই। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আদালত মামলায় গোপন জবানবন্দী নেওয়ার কথা বললেও খুনে যারা অভিযুক্ত তাদেরকেই সাক্ষী করেছে পুলিশ। রাজনীতির একাংশের মানুষের বক্তব্য পুলিশ দুষ্কৃতীদের হয়ে কাজ করছে।

    আদলাত কী বলেছে?

    ইসলামপুরের গোয়ালপুকুরের (Uttar Dinajpur) নির্বাচনের দিনে খুনের ঘটনায় পুলিশকে তীব্র সমালোচনা করে হাইকোর্টের বিচারপতি বলেন, “ভোটের দিনে দুই ভাইয়ের খুন হতে হয়েছিল। আর পুলিশ বলছেন দুই পক্ষের মধ্যে গোলমালে মারা গিয়েছেন! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” বিচারপতি আরও জিজ্ঞেস করেন, “গোপন জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে কিনা?” উত্তরে উকিল বলেন বয়ান নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পালটা বিচারপতি বলেন, “মৃত পরিবারের বক্তব্যকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য কাজ করছে পুলিশ। পুলিশ নিজের ইচ্ছেতে গল্প সাজিয়েছেন।” বর্তমানে পুলিশ সুপারকে তদন্তের ভার দিলেও সিসিটিভি ফুটেজ আদৌ উদ্ধার হবে কিনা তা এখনও সংশয়ের বিষয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতি এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। কিন্তু, বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নতুন নির্দেশ মেনে আগামী ৮ ডিসেম্বর পুরসভায় আস্থাভোট হচ্ছে না। 

    আস্থাভোট নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের কী পর্যবেক্ষণ? (Jhalda)

    ঝালদা (Jhalda) পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুও। পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলার পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোট করাতে হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বুধবার বিচারপতি সিংহের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানায়, চেয়ারপার্সন অপসারণের পৃথক এবং নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চেয়ারপার্সনকে অপসারণের ক্ষেত্রে সেই নিয়মই মেনে চলতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত এই বিষয়ে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দিতে পারে না। পুরসভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা যদি মনে করে, আস্থাভোট করানো প্রয়োজন, তা হলে তা-ই হবে।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যানকে  সরাতে চেয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই আদালতে যায়। তবে, এবার আস্থাভোট না করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: গ্রামে জল নেই! আসন ছেড়ে মামলাকারীদের কথা শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: গ্রামে জল নেই! আসন ছেড়ে মামলাকারীদের কথা শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর গ্রামবাসীদের সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের এজলাসে। আর বিচারের দায়িত্ব পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) ওপর। স্বাভাবিকভাবে তাঁর উপর আস্থা ছিল মামলাকারীদের। কিন্তু, বিচারপতির ব্যবহারেই আপ্লুত মামলাকারীরা।

    বিচারপতি আসন ছেড়়ে মামলাকারীদের সঙ্গে কথা বললেন (Abhijeet Ganguly)

    আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে পানীয় জলের অভাবের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বহু আবেদন এবং নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় জলকষ্টে থাকা কিছু পরিবার। মামলাকরীদের অধিকাংশই আদিবাসী চা-শ্রমিক পরিবারের। সোমবার ওই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে। সমস্যা বুঝতে অভিযোগকারীদের এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি। কিন্তু, শুনানির শুরুতেই গ্রামবাসীদের বক্তব্য ভালো করে শুনতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই বিচারপতির আসন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। শুনানির দিন কলে জল পড়ে। অন্য সময় আর জলে বের হয় না। অভিযোগ শুনলেন বিচারপতি। একজন বিচারপতির এমন ব্যবহারে মামলাকারীরা আপ্লুত। মামলাকারীদের কাছে সব শোনার পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতর, প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার-সহ আরও কয়েক জনকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।

    মামলাকারীদের কী বক্তব্য?

    মামলাকারীদের বক্তব্য, আদালতে মামলা করার পর অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করা যায়, ওই মামলার যখনই শুনানির দিন আসে, তখনই কল দিয়ে জল পড়তে শুরু করে। যেই শুনানি হয়ে যায় আবার জল বন্ধ হয়ে যায়। দীপু হালদার নামে এক মামলাকারী বলেন, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্ট। আমরা পিএইচই দফতরে আবেদন করলে আমাদের গ্রামে কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। জল সমস্যা মিটে যায়। বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। আমার বাড়িতেও সংযোগ দেওয়া হয়। তার পর আমার বাড়ির কল দিয়ে জল পড়ছে দেখিয়ে দিয়ে আমার থেকে আধার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে আর জল পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে দরবার করে সুরাহা না হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    সরকারি আইনজীবী হীরক বর্মণ বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। মাঝেমধ্যে হাতির হানা কিংবা ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য পাইপ ফেটে জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচারপতি (Abhijit Ganguly) মামলাকারীদের ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে পাঁচ জন জানিয়েছেন যে তাঁরা জল পাচ্ছেন। ফলে, মামলাকারীরা জল না পাওয়ার যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সভা হলেই তাতে অনুমতি না দেওয়া এবং শেষমেশ হাইকোর্টের (High Court) গুঁতোয় অনুমতি দিতে বাধ্য হওয়া। তৃণমূল শাসনে এটাই যেন দস্তুর। মাত্র কদিন আগে ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়েও সেই হাইকোর্টের থাপ্পড় খেল সরকার। কিন্তু এত ঘটনা ঘটে গেলেও বোধোদয় তাদের হয়নি। তাই একের পর এক সভায় বাধা দিয়েই চলেছে পুলিশ এবং প্রশাসন। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ অন্তত তেমনই। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনটাই তারা করেছিল খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা নিয়ে। কিন্তু এখানেও একই পরিণতি। হাইকোর্ট দিয়ে দিল সভার অনুমতি। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করার কৌশল কাজে দিল না মমতার সরকারের। শুধু অনুমতি দেওয়াই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাইকোর্ট এমন সব মন্তব্য করেছে, যা যে কোনও প্রশাসনের পক্ষেই লজ্জাজনক। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাইকোর্ট প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, শাসক দলের ক্ষেত্রে কি একই নিয়ম মেনে চলা হয়, যা বিজেপির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে? হাইকোর্টের বিচারপতি রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলকে সভার অনুমতি পেতে এভাবে বারবার হাইকোর্টেই বা আসতে হবে কেন?

    অনুমতি দিতে টালবাহানা

    উল্লেখ্য, আগামীকাল, রবিবার খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। এই সভার জন্য অনেক আগেই পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম টালবাহানা শুরু করে। অনুমতি তো দেয়ইনি, আবেদন খারিজও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়। মামলাটি এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাশে উঠেছিল শুনানির জন্য। সেখানেই রাজ্যের কাছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘শাসকদল কি কর্মসূচির ১৫ দিন আগে পুলিশকে জানায়? সব সময় কেন বিরোধী দলকে অনুমতির জন্য আদালতে আসতে হবে?

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা (High Court)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কতখানি এলাকা জুড়ে এই সভা করা হবে, তা রাজ্য জানতে চেয়েছিল। বিষয়টি উত্থাপন করে বিচারপতি (High Court) রাজ্যকে বলেন, ‘মঞ্চের আয়তন জানতে চাইছেন কেন? শেষবার যখন শাসকদল সভা করেছিল, তখন মঞ্চের আয়তন জানতে চেয়েছিলেন?’ তবে এদিন অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শব্দ দূষণ যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বজায় রাখতে হবে শান্তি। তাছাড়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা ভোট শেষ হওয়ার এতদিন পরও ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। পুরসভায় বোর্ড গঠন এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে এদিন দিনক্ষণও ঠিক করে দিয়েছেন।

    কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক? (Jhalda)  

    বিচারক অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আস্থাভোট করাতে হবে ঝালদায় (Jhalda)। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা ভোট করতে হবে। জেলাশাসককেই এই ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে। আস্থাভোট করানোর পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যতদিন না আস্থাভোট মিটছে, ততদিন যেমন পুরসভার কাজ চলছে তেমন চলবে।’ জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার শীলাকেই সরাতে চাইছে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই। তাই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের ৬ নম্বর দিতে হবে। এবার সেই নির্দেশেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীকালে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। পরীক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এএস বেপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম মামলা দায়ের হয় ২০১৮ সালে

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার এই মামলাটি উঠেছিল ২০১৮ সালে। তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলিকে যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি জানায় যে সেখানে ছয়টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে  চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০১৪ সালে যারা টেট দিয়েছিলেন, সেই সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে। পরবর্তীকালে একই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এই ৬ নম্বর পাওয়ার ফলে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরাও এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার জন। ২০১৪ সালের সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    High Court: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম থেকে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের বিরুদ্ধে। অপহরণের পাশাপাশি নাবালিকা ওই ছাত্রীকে বিয়ের আগে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, নাবালিকাকে সাবালিকা প্রমাণ করতে জন্ম শংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টেও (High Court)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High Court)

    মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসুর বক্তব্য, পিংলা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫ র নাবালিকা যখন রোজ স্কুলে যেত‌, তখন প্রায়ই তাকে উত্তপ্ত করত অসিউর রহমান নামে এক যুবক। সে পিংলার অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নে। বেশ কয়েকবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েই মেয়েকে পিংলা থেকে সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ, সিকিম থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। গত ১৮ জুন অপহরণের অভিযোগ আনা হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু, তিন মাসেও হারানো মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    এক সপ্তাহের মধ্যে ওই নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে সিডব্লিউসি-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের (High Court) আরও নির্দেশ, নাবালিকার পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। নাবালিকা ও তার পরিবারের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে পিংলা থানার পুলিশ। মামলাতেই হাইকোর্টের কোপে পড়তে হয় পিংলা থানার পুলিশকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কি কাউকে আড়াল করছে! নাকি কাউকে বাঁচাতে চুপ রয়েছে! না হলে, তিন মাস কোনও তদন্ত হয়নি কেন? আদালতে পুলিশের নতুন তথ্য জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায়, পনেরো বছরের নাবালিকাকে সাবালিকা করতে তার জন্মশংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করা হয়েছে। আগামী শুনানিতে এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share