Tag: High Court

High Court

  • Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যানজট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। তার পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্ধমান (Burdwan) শহরের ভিতর দিয়ে বাইরের বাস চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কড়া জেলা প্রশাসন। চলছে অভিযান। অন্যদিকে এই ধরনের ব্যবস্থার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল শহরবাসী, যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে।

    আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান (Burdwan) শহরের মূল অংশের ভিতর টাউন সার্ভিস আর স্কুল বাসই শুধু চলবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি (সিঙ্গল বেঞ্চ) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বড়শুল, মেমারি, খণ্ডঘোষের বাস মালিকদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়কেই বহাল রাখে। এই নির্দেশের ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া আরামবাগ, বাঁকুড়া, মেমারি, বড়শুল, খণ্ডঘোষ, রায়নার বিভিন্ন ছোট ও বড় রুটের বাস আর ঢুকবে না। সেই রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবারই পরিবহণ দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে উল্লাসের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায়।

    কী ব্যবস্থা নিল জেলা পরিবহণ দফতর (Burdwan)?

    জেলা (Burdwan) পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সুপ্রভাত দাস বলেন, শহরের যানজট মোকাবিলায় পূর্বেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবারও পাল্টা কেস হয়। গত ২৬ শে জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়ই বহাল রাখে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ও রুট ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আজ অভিযান চালানো হয়। বাসগুলি যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করে, সেটাই বলা হচ্ছে।

    বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Burdwan) 

    এদিকে, শহরের (Burdwan) ভিতর বাস ঢোকায় বাধা পড়তেই ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নির্দেশের ফলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও অপচয় হবে।। বাসকর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই নির্দেশের ফলে বাসের রুট ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাই খরচ উঠবে না, লোকসান হবে। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। যদিও যানজট মোকাবিলায় আদালতের দেওয়া নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের একাংশ। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, যানজট মোকাবিলায় ও দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: খড়্গপুরে শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনই বেকসুর খালাস!

    Paschim Medinipur: খড়্গপুরে শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনই বেকসুর খালাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়্গপুরের (Paschim Medinipur) এক সময়ের ত্রাস শ্রীনু নাইডু খুনের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিলেন বিচারক। বিচারকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সরকারি পক্ষের আইনজীবী সমরকুমার নায়েকের। শ্রীনু নাইডুর স্ত্রী পূজা নাইডু বলেন, আইনের প্রতি বিশ্বাস আমার চলে গেল। হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন করব।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য, রেল শহরের (Paschim Medinipur) এক সময়ের ‘ত্রাস’ শ্রীনু নাইডু খুনের রায় ঘোষণা হল দীর্ঘ ছয় বছর পর। ২০১৭ সালের ১১ই জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন শ্রীনু। দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হন শ্রীনুর ডান হাত ধর্মা রাও। জখম হন আরও তিনজন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বছরই ২৮ শে ফেব্রুয়ারি অন্ধপ্রদেশের তানুকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাসব রামবাবুকে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়েছিল মেদিনীপুর আদালতে। খড়্গপুরে এক সময়ের রেল মাফিয়া বাসব রামবাবু সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয় এই মামলায়। দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ঘোষণা হল রেল শহরের অন্যতম মাফিয়া শ্রীনু নাইডু হত্যা মামলার রায়। অপর দিকে রায় অপ্রত্যাশিত বলে দাবি সরকারি পক্ষের আইনজীবীর।

    স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের বক্তব্য

    স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সমরকুমার নায়ক বলেন, কোর্টের আদেশকে প্রভাবিত করা হয়েছে। এই মামলায় (Paschim Medinipur) সাক্ষী, প্রত্যক্ষদর্শী এবং উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের বিষয়কে উপেক্ষা করে রায় ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত অনভিপ্রেত এই রায়। যেখান থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তার তথ্য, যাঁরা গুলি খেয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাঁরা সবাই দোষীদের চিহ্নিত করেছেন। ফলে, এই আদেশে বিচারক প্রভাবিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী। তিনি বলেন, আমরা বিচারে খুশি নই। এসপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা হাইকোর্টে কেস ফাইল করব।

    আসামি পক্ষের উকিলের বক্তব্য

    আসামি পক্ষের আইনজীবী (Paschim Medinipur) অজয়কুমার ঘোষের বক্তব্য, ১৩ জন আসামি যারা ছিল, তাদের সকলকেই এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারক। মুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অজয়বাবু বলেন, যদি দোষীরা কেউ অন্য মামলায় গ্রেফতার না হয়ে থাকেন, তাহলে মুক্তি পাবেন। আর যদি গ্রেফতার হয়ে থাকেন তাহলে মুক্তি পাবেন না। কিন্তু এই মামলায় ১৩ জন সকলেই অব্যাহতি পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বড়ঞায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত আফ্রিকা হিমঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দলীয় কার্যালয় ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। অবশেষে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। সবটাই আইন মেনে, প্রশাসনের উপস্থিতিতে হয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই অবৈধ ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। 

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অভিযোগ কী ছিল?

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বড়ঞায় আফ্রিকা মোড়ে এই ভবনটি মূলত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, যা বেআইনিভাবে পূর্ত দফতরের (Murshidabad) সরকারি জায়গায় তৈরি হয়েছিল। এই অবৈধ নির্মাণের বিষয়কে সমানে রেখে স্থানীয়রা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা হয়। এরপর কোর্টের রায় ঘোষণা হলে বেআইনি তৃণমূল ভবনটি ভাঙা হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বেআইনিভাবে এখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস গড়ে তুলেছিলেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই তৃণমূল বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বিধায়কের অফিস ভাঙাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ভাঙা হয়েছে?

    গত ২৪ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য! সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভবন ভাঙার জন্য আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও রক্ষা হয়নি ভবন নির্মাণকারীর আবেদন। অবৈধ এই নির্মাণটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ৫ টি বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি কোনও দলীয় কার্যালয় ছিল না, তবে এখানে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, দলের কার্যালয় বলে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্মাণ এবং ভেঙে ফেলার বিষয় থেকে নিজেরা রক্ষা পেতে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, অবৈধ ভবনটি দলীয় কার্যালয় নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের, হতাশ জেলার বাসিন্দারা

    West Bengal Health: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের, হতাশ জেলার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুরের। আপাতত এই জেলায় মেডিক্যাল কলেজ করা যাচ্ছে না বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর স্পষ্ট করে হাইকোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে। আর তারপরই এ নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলাটি ইতিমধ্যে খারিজ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। ফলে জেলার বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় (West Bengal Health) বদল আনার জন্য মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের যে দাবি উঠেছিল, তাও আপাতত থমকে গিয়েছে।

    একাধিকবার দাবি উঠেছে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের 

    দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্ত হিসেবে বরাবরই পিছিয়ে পড়া জেলা। এই জেলার সদর হাসপাতালে বহু রোগের চিকিৎসা হয় না। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সামান্য জটিলতা দেখা দিলে ভিন জেলা বা রাজ্যসদরে ছুটতে হয়। এছাড়া জেলা থেকে প্রতিবার বহু ছেলেমেয়ে বাইরে ডাক্তারি পড়তে যায়। এই জেলায় শুধুমাত্র চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলার হিলি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ কলকাতা বা চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করতে যায়। মেডিক্যাল কলেজ হলে বাংলাদেশীরাও চিকিৎসা করতে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে ৩৩.৭২ একর জমি রয়েছে, যা মেডিক্যাল কলেজের জন্য পর্যাপ্ত বলেই জানা গিয়েছে। তবে জেলার স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতর থেকেও দীর্ঘদিন আগে মেডিক্যাল কলেজের প্রস্তাব পাঠানো হয়। এছাড়া জেলার বিধায়ক, এমপিরাও একাধিকবার মেডিক্যাল কলেজের দাবি তোলেন।

    হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় কী হল?

    এদিকে গত বছর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য হাইকোর্টে জেলার এক সমাজসেবী জনস্বার্থ মামলা করেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ রাজ্যকে দিয়েছিলেন বিচারপতি। এই নির্দেশ ঘিরে জেলায় খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসে আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী অশোক হালদারকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মেডিক্যাল কলেজ আপাতত স্থাপন করা সম্ভব নয়। আইনজীবী অশোক হালদার বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশেই বিষয়টি চিঠি দিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। রাজ্যে আপাতত ৩৩টি মেডিক্যাল কলেজ চলছে এবং গত বছর যেহেতু নতুন ছ-টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন হয়েছে রাজ্যে, তাই সেগুলির পরিকাঠামো গড়ার কাজে আপাতত মনোনিবেশ করতে চায় রাজ্য। আর দক্ষিণ দিনাজপুরে যেহেতু বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মিলিয়ে দুটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে, তাই আপাতত দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন। 

    নতুন করে মামলা হতে পারে

    কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কল্যাণকুমার চক্রবর্তী বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মেডিক্যাল কলেজের ভীষণ দরকার। কারণ এই জেলায় ২০ লক্ষ মানুষ একটা জেলা হাসপাতালের উপর নির্ভর করে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা অত্যাধুনিক পরিকাঠামো নেই। আপাতত রাজ্য স্বাস্থ্য (West Bengal Health) দফতর বিষয়টি বিবেচনা না করলেও আগামী দিনে আমরা নতুন করে মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র?

    Congress: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী । সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে কংগ্রেসের (Congress)  ওই নেতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।  পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্টও তলব করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর মন্তব্য ছিল, কোনও নোটিস না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে পুলিশ কৌস্তভের বাড়ি গেল তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে। কেস ডায়েরিও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট তলব করার পাশাপাশি সিআরপিএফের কাছে বিচারক জানতে চান, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আজ, সোমবার সমস্ত রিপোর্টই জমা পড়ে। সেখানেই কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, সিআরপিএফ-নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়।

    কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানাল কেন্দ্র? Congress

    কংগ্রেস নেতার বাড়ি সিআরপিএফ মোতায়েন নিয়ে আদালতে শুনানি ছিল। সেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়,কৌস্তভের বাড়িতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সিআরপিএফ-এর অফিস থেকে কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির দূরত্ব বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত বলে আদালতে জানায় কেন্দ্র। অন্যদিকে, এদিন আদালতে রিপোর্টও পেশ করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পরামর্শ দেন, এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র বের করা সম্ভব কি না তা নিয়ে আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন। একইসঙ্গে বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেন, কৌস্তভ বাগচী একজন আইনজীবী। মুখ্যমন্ত্রীও সকলের মুখ্যমন্ত্রী। এই দুর্ভাগ্যজনক বিতর্কের শেষ হওয়া দরকার।

    গত ৩ মার্চ মধ্যরাতে আইনজীবী তথা কংগ্রেস (Congress)  নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে কোনওরকম নোটিস ছাড়াই হানা দেয় পুলিশ। ৪ মার্চ সকালে কৌস্তভকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের ৮ ঘণ্টার মধ্যে জামিনও পেয়ে যান তিনি। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কৌস্তভ। তাঁর বিরুদ্ধে চলা পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় কোর্ট। কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও থানা কৌস্তভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। এর আগে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে কংগ্রেস নেতার বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

    Scam: তৃণমূলের মন্ত্রীর স্ত্রীও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। বড়সড় এই দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়িয়েছে খোদ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না রানি বর্মনের। দলেরই এক নেতা এই অভিযোগ করেছিলেন। যা নিয়ে উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। তবে, এখন আর এটা শুধু অভিযোগ নেই, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হতেই তাঁকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর অঞ্চলের খাঁড়ি সরিয়াবাদ এলাকায় পুকুর খনন নিয়ে মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শনিবারই ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির (Scam)  অভিযোগের তদন্তে জেলায় এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এদিন জেলার ইটাহার ব্লকে যান। সেখানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন। অনেক জবকার্ডধারীর সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।

    মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে? Scam

    একশো দিনের প্রকল্পে জগদীশপুর পঞ্চায়েতে ২১ টি পুকুর খনন করা হয়। তারজন্য প্রায় ২২ লক্ষ টাকা সরকারি অর্থ খরচ দেখানো হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে পুকুর না কেটেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এই আর্থিক তছরূপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যুক্ত রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী জ্যোৎস্না রানি বর্মন। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি। তিনি জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। প্রশাসন সেই অভিযোগের গুরুত্ব না দেওয়ায়, তিনি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।  আদালত উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। জেলা প্রশাসন খাড়ি সরিয়াবাদ গ্রামের তিনটি পুকুর খননের তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেন। আদালত সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত প্রধানকে ৪ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

    তৃণমূলের  জগদীশপুর অঞ্চলের মাইনোরিটি সেলের সভাপতি মেহেতাব আলি বলেন, তিনটি পুকুর নয়, আরও ১৮টি পুকুরে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে। প্রশাসনের সব পুকুর খতিয়ে দেখে যে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে তার সঠিক বিচার করা দরকার। আর টাকা ফেরতের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে,জগদীশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান জ্যোৎস্নারানির স্বামী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তবে, জগদীশপুর অঞ্চলটি বন্যা প্রবণ এলাকা। ২০১৮ সালে পুকুর খনন করা হয়েছিল। পুকুর মাপা হল ২০২৩। বন্যার সময় পলি জমে পুকুরের নাব্যতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘ কয়েক বছর পর পুকুরের মাপ হওয়ায় সঠিক তথ্য না পাওয়ায় আদালত এধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযোগকারী মেহেতাবের চরিত্র এবং  দলে তার অবস্থান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা! মামলা দায়েরের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    Nisith Pramanik: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা! মামলা দায়েরের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপিকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হয়। বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পরেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গেরুয়া শিবির। বিজেপির তরফে আইনজীবী সূর্যনীল দাস প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারপতি শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। 

    সাধারণের নিরাপত্তা কোথায়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী থাকার পরেও, তার উপর হামলা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন মামলাকারী আইনজীবীর। আর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে বলে আবেদন করা হয়েছে। দিনহাটায় সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করার আবেদনও জানানো হয়েছে। এই নিয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    বিজেপির অভিযোগ, নিশীথের কনভয়ে হামলা আসলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের চক্রান্ত। অন্য দিকে, পুরো ঘটনার দায় নিশীথের ঘাড়েই চাপিয়েছেন উদয়ন। শনিবার সন্ধ্যার হামলার ঘটনাকে ‘শোচনীয়’ আখ্যা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। 

    দিনহাটা যাচ্ছেন সুকান্ত!

    ইতিমধ্যেই দিনহাটা যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার রাতেই তিনি দিনহাটার উদ্দেশে রওনা দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দিনভর দিনহাটার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরব, দেখি তৃণমূলের কত দুষ্কৃতী আছে।’’মঙ্গলবার সকালেই দিনহাটায় পৌঁছে যাওয়ার কথা সুকান্তের। নিশীথকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দিনহাটায় ঘুরবেন। শনিবারের ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, সেই সব বিজেপি কর্মীদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন সুকান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?”, সিআইডিকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে (Calcutta High Court) ফের ভর্ৎসিত পুলিশ। তিন বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের তোপের মুখে পড়লেন এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক।

    শাহজাহানের নাম বাদ কেন? (Calcutta High Court)

    বিচারপতির প্রশ্ন, “চার্জশিটে কেন বাদ শেখ শাহজাহানের নাম?” ১ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের প্রশ্ন, “মামলায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান, সাক্ষীরা তাঁর নামই জানিয়েছেন। তাও কেন চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ দিল পুলিশ?” সাক্ষীরা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর পরেই বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, “আপনিই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন যে, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য নয়!”

    সন্দেশখালিতে বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল

    এদিকে, শুক্রবার (Calcutta High Court) ফের সন্দেশখালিতে গেল বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধি দল। এদিন তাঁরা গিয়েছেন জেলিয়াখালিতে। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। আদালতের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপির তিন কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল। ওই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। শুরু হয় তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে জামিন সংক্রান্ত মামলায় নোটিশ রাজ্যের মুখ্যসচিবকে

    সাক্ষীদের গোপন জবানবন্দি নেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও মামলার চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দেওয়ার পর দেখা যায়, সেখানে প্রধান অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের বয়ানে সবার ওপরে থাকা শেখ শাহজাহানের নাম বাদ গিয়েছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “রাজ্য অনেক দিন সময় নিয়েছে। আর সময় দেওয়া যায় না। প্রত্যক্ষদর্শী শাহজাহানের নাম নিয়েছে। তার পরেও নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁর।”

    এদিন রাজ্যের তরফে এক আইনজীবী বলেন, “চার্জশিট জমা পড়েছে। তবে চার্জ ফ্রেম হয়নি এখনও। কেস ডায়েরি হাজির করতে রাজ্যকে আরও কয়েকদিন সময় দেওয়া হোক।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১ এপ্রিল (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    SSC Recruitment Case: শুনানি শেষ এসএসসি নিয়োগ মামলার, কী বললেন বিচারপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে চলা শুনানি শেষ হল বুধবার। প্রতিদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এসএসসি নিয়োগ মামলার (SSC Recruitment Case)। শুনানি শেষ হলেও, স্থগিত রয়েছে রায় ঘোষণা।

    ‘অতিরিক্ত নিয়োগ বাতিল হওয়া উচিত’ (SSC Recruitment Case)

    সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এদিন আদালত যে মন্তব্য করেছে, তাতেই রায়ের ইঙ্গিত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি বসাক বলেন, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন। অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হওয়া উচিত।” প্রসঙ্গত, এসএসসিতে বহু বেআইনি নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment Case) সংক্রান্ত একাধিক মামলা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চে ঘোরাফেরা করছে।

    রায় ঘোষণা মুলতুবি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (অধুনা অবসরপ্রাপ্ত), বিচারপতি অমৃতা সিনহা সহ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়েছে এই মামলার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ। বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যেই শুনানি শেষ করতে বলেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার পর থেকে প্রতিদিনই শুনানি হয়েছে এই মামলার। এই বেঞ্চেই এদিন শেষ হয় শুনানি। যদিও রায় ঘোষণা মুলতুবি রেখেছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    এদিন মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, “এটি একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ। শূন্যপদের চেয়েও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই বেআইনি নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিত। ওই সব দুর্নীতির টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।” বিকাশের বক্তব্য, “এই দুর্নীতির ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত আদালতের। তা না হলে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে।”

    এদিন মামলাকারীদের আইনজীবীরা অতিরিক্ত নিয়োগের খতিয়ানও প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের তরফে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল ১১ হাজার ৪২৫ জনের। সেবার পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল ১২ হাজার ৯৬৪টি। যার অর্থ, বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১ হাজার ৫৩৯ জনের। ওই বছরই একাদশ-দ্বাদশে বাড়তি নিয়োগ হয়েছে ১৯৯ জনের। গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬৬৯ জনকে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়। গ্রুপ-সি পদে বাড়তি নিয়োগ হয়েছিল ৪১৬জন (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: “অবৈধ বাড়ি ভাঙার নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ নয়”, বললেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেআইনিভাবে নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার নির্দেশের ওপর কোনওরকম স্থগিতাদেশ নয়। স্থগিতাদেশের কোনও আবেদনই শুনব না। যে আদালতই নির্দেশ দিক, সেটাই বহাল থাকবে।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালত জানিয়েছে, আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক, আদালত এই ধরনের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপই করবে না। বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতিও নয়। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন এসেছিল। একটি মামলাও গৃহীত হয়নি।

    বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এই মামলায় পুরসভা ৩০ দিন সময় চেয়েছিল। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে? বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে কিনা, তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব করেছে আদালত। ৯ এপ্রিল ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?”

    বহুতল বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর ছবি

    গার্ডেনরিচে (Calcutta High Court) বহুতল বিপর্যয়ের পর উঠে আসছে ভয়ঙ্কর সব ছবি। একটি বহুতলের ওপর হেলে পড়েছে আর একটি বহুতল। দুই বহুতলের মাঝে ফাঁক মাত্র এক আঙুলের। ৯টি প্রাণের বিনিময়ে নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভাও। থানাগুলিকেও নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের হেড কোয়ার্টার লালবাজার। এহেন আবহেই এমন পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার। বিচারপতি বলেন, “বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া ছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময়! কেন? প্রশ্ন বিচারপতি সিনহার। তার পরেই তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে, আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?

    আরও পড়ুুন: সিএএ-তে স্থগিতাদেশ নয়, তিন সপ্তাহে কেন্দ্রের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share