Tag: highcourt

highcourt

  • Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন ১০ হাজার ৩২৩ জন। তার জেরে কুর্সি খোয়াতে হয়েছিল ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারকে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। কেলেঙ্কারি হয়েছিল তাঁর আমলেই, দু’দফায়। তারই মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের। পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যায় বামেরা।

    দুর্নীতির পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে তৃণমূল! (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গেও সেই দুর্নীতির গন্ধ। যে পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। গরু পাচার, বালি পাচার, এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি – একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের কেষ্ট-বিষ্টুদের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘ঢাকি সমেত’ বিসর্জন হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার চাকরি। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গদি খোয়ানোর আশঙ্কায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে দেশের শীর্ষ আদালতকে যা-নয়-তা-ই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কয়েকজন তাঁবেদারও আস্থা হারিয়েছেন দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কেলেঙ্কারির জেরে গদিচ্যুত হতে হয়েছিল ত্রিপুরার বাম সরকারকে, সেই একই ‘পাপে’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। আর যদি তা হয় তাহলে দেশের আর কোথাওই অস্তিস্ত্ব থাকবে না তৃণমূলের।

    ত্রিপুরায় পালাবদল

    ‘শিবের গীত’ বন্ধ করে ফেরা যাক খবরে। ত্রিপুরায় তখন বাম শাসন। রাজ্যের যে দিকেই চোখ যায়, সর্বত্রই লালে লাল। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে সিপিএমের মানিক সরকার। ২০১০ ও ২০১৩ সালে দু’দফায় স্কুল শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক পদে ১০ হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগ করেছিল মানিকের সরকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ওই নিয়োগ নিয়ে মামলা হয় ত্রিপুরা হাইকোর্টে। গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে (Tripura) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ত্রিপুরার বাম সরকার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে হাইকোর্টের রায়ই। তার পরের বছরই ছিল ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটেই কার্যত ত্রিপুরা থেকে মুছে যায় বামেরা। লাল রং বদলে ত্রিপুরা হয়ে যায় পদ্মময়। সরকার গঠন করে বিজেপি।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি

    প্রসঙ্গত, ২০১০-’১৩ সালের মধ্যে কেবল মৌখিক (Supreme Court) পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ করেছিল ত্রিপুরার তৎকালীন বাম সরকার। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েকজন প্রার্থী হাইকোর্টে যান। রায় দিতে গিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি স্বপন দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ সামগ্রিক নিয়োগ পদ্ধতিকেই অবৈধ ঘোষণা করে নতুন ও স্বচ্ছ পদ্ধতি তৈরি করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, নিয়োগ করতে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে।

    তৃণমূলের লাফালাফি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের সেই রায়ের পর লাফালাফি করতে শুরু করে দেয় তৃণমূল। সর্বভারতীয় দল হওয়ার লক্ষ্যে তখন ত্রিপুরায় পায়ের নীচে মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। সেরকম একটা সময়ে চাকরি বাতিলের মতো একটা হাতিয়ার হাতে পেয়ে যারপরনাই উল্লিসিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের তৎকালীন (Tripura) চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। রাজ্যে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নীতি আদতে শাসক দলের দুর্নীতিকে এতদিন ধরে প্রশ্রয় দিয়েছে। আজ আদালতে সেটাই প্রমাণিত হল।”

    বাংলায় মুখ আমশি!

    ত্রিপুরায় একলপ্তে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলে হওয়ার পর তৃণমূল যেমন উল্লসিত হয়েছিল, তেমনি বাংলায় ২৬ হাজারের চাকরি যেতে মুখ আমশি হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের! ত্রিপুরার ক্ষেত্রে তারা বলেছিল, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আর বাংলায় তারা বিজেপি এবং আলাদতের ‘ষড়যন্ত্রের’ (ষড়যন্ত্র শব্দটি অবশ্য উল্লেখ করেননি তৃণমূল নেতারা, তবে তাঁদের আকার-ইঙ্গিতে তেমনই অনুযোগের জল্পনা) গন্ধ পাচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করেছিলেন। সেখানে ‘আমরা যোগ্য’ লেখা কার্ড ঝুলিয়ে অনেককে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সেই সভায় তিনি এবং তাঁর স্তাবকদের দল কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করেন এবং আদালতের নির্দেশের সমালোচনা করেন বলে অভিযোগ।

    কাজ করতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধিতা!

    উত্তর-পূর্বের (Supreme Court) পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁদের রাজ্যে বাম সরকার পতনে যেভাবে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল ১০ হাজার ৩২৩ জনের চাকরি বাতিল, সেই একই ঘটনা ঘটবে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গেও। ত্রিপুরা বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “বাংলা আর ত্রিপুরার মাটি আলাদা।” তবে একটা মৌলিক মিল রয়েছে। তা হল, দুই রাজ্যেই দীর্ঘ বামশাসনের পরে মানুষ সরকার বদলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে মানুষের ক্ষোভ হিমালয়সমান জায়গায় পৌঁছেছে। চাকরি বাতিল-সহ যা যা হচ্ছে, তাতে সামনের ভোটে তাদের বিদায় আসন্ন।”

    কী বলছেন ত্রিপুরার বাম নেতা?

    ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা আবার ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টিকে এক করে দেখতে চাননি। তিনি বলেন, “ত্রিপুরা আর বাংলার বিষয়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে। আমাদের রাজ্যে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়েছিল। কিন্তু বাংলায় টাকা-পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে। দুটো বিষয় এক নয়।” ত্রিপুরা সিপিএমের প্রবীণ নেতাদের একাংশের দাবি, শুধু চাকরি বাতিলের জন্য বাম সরকারের পতন হয়নি। দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও। বছর ঘুরলেই বাংলায়ও বিধানসভা নির্বাচন। তখন মমতা সরকারের ১৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই নিদারুণ উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে তলব করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী এবং সরকারি আমলাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন, এই মামলায় তো তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) জেলে রেখে দেওয়া হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল! একজনের অপরাধে কতজনের শাস্তি হয়?

    বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে? তাঁর দলের যেসব নেতা কিংবা তাঁদের (Supreme Court) নিয়োজিত এজেন্টরা টাকার বিনিময়ে চাকরি ‘বিক্রি’ করেছিলেন, পার্থকে বলি দিয়ে তাঁদের গায়ের কেলেঙ্কারির কালি মুছে ফেলতে চেয়েছেন মমতা! রাজনৈতিক মহলের অন্য অংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার নানা চেষ্টা করবে তৃণমূল সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো হয়তো ‘সিভিক শিক্ষক’ও নিয়োগ করে ফেলতে পারে মমতার সরকার! কিংবা ‘শ্রী’যুক্ত কোনও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারে রাজ্য সরকার। মোট কথা, যেন-তেন প্রকারে ফের ক্ষমতায় ফিরতে চাইবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একবার ক্ষমতায় আসার পর যে ‘রসে’র সন্ধান পেয়েছেন তৃণমূল নেতারা, সেই রসের ভাগ যাতে দীর্ঘদিন ঝোলায় পড়ে, সেই ব্যবস্থা করতে প্রাণপাত করবেন তৃণমূল নেতারা।

    তবে গণতন্ত্রে তো (Supreme Court) শেষ কথা বলে জনতা জনার্দন। তারা কী বলে, সেটাই দেখার (Tripura)!

  • Calcutta High Court: ভোট-পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের, কী রয়েছে তাতে?

    Calcutta High Court: ভোট-পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা রাজ্যের, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবছরের লোকসভা নির্বাচন। তবে ভোট শেষ হলেও শেষ হচ্ছে না ভোট পরবর্তী হিংসার (Bengal Post-Poll violence) ছবি। এবার ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। এখনও পর্যন্ত কতকগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে এবং কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়। একটি সংগঠন এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ নিয়ে মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। সেই মামলা দুটি নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের ডিজির তরফে ১৪ জুন এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলা আদালতে শুনানির জন্য উঠেছিল। কিন্তু সব পক্ষের কাছে রিপোর্ট না থাকায় শুনানি হয়নি। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে।

    ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মেনে নিচ্ছে রাজ্য (Bengal Post-Poll violence) 

    রাজ্য সরকারের পেশ করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে যা উল্লেখ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায়, ভোট পরবর্তী হিংসার কথা রাজ্য মেনে নিচ্ছে। এদিকে, অপর এক মামলাকারীর আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা তীব্রেওয়াল দাবি করেন, রাজ্যজুড়ে এখনও আড়াইশো জনের বেশি মানুষ ঘর ছাড়া রয়েছেন নির্বাচন পরবর্তী অশান্তির কারণে।  

    বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়লে আপত্তি নেই, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    অন্যদিকে, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আগেই জানিয়েছে যে, ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে হাইকোর্টে জানানো হল, রাজ্যে বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদ বাড়ানো হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। মঙ্গলবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে এমনটাই জানিয়েছেন এএসজি অশোক চক্রবর্তী। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম মন কি বাত, কী বার্তা থাকবে প্রধানমন্ত্রীর?

    বিরোধী দলনেতার দাবি 

    এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ভোটের পরে ‘হিংসা’ (Bengal Post-Poll violence) ছড়িয়েছে রাজ্যে। ‘আক্রান্ত’ হচ্ছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। আরও বেশি দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আবেদন জানিয়ে এবং ‘আক্রান্ত’-দের নিরাপত্তা চেয়ে ১০ জুন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। আর শুভেন্দুর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যে বাহিনী থাকার সেই সময়সীমা আরও দুদিন বৃদ্ধি করেছে হাইকোর্ট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: দম্পতির মৃত্যুকাণ্ডে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ

    TMC: দম্পতির মৃত্যুকাণ্ডে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান তথা জেলার যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। তাই তদন্তকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।

    যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁরা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। তাতে সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুর প্রতিনিধি সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনের নাম ছিল। এদিন সৈকত সহ আরও এক অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনার পর অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও সৈকতবাবু অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। শুক্রবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। শুক্রবার সৈকতবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না পুলিশের। এই মামলায় অভিযুক্ত আরও দুজন জেলে রয়েছেন। উল্লেখ্য, মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জলপাইগুড়ির ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেলে যে দুজন রয়েছেন, তার মধ্যে তিনি একজন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আদালতের নির্দেশ দেখার পর ভালোভাবে বুঝে এই ব্যাপারে মন্তব্য করব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, অহংকার আর ঔদ্ধত্যের পতন হল। আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা আশা করি, পুলিশ নিশ্চয়ই আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করবে। দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ! নির্দেশ হাইকোর্টের, ‘‘মান্থা ভগবান’’, প্রতিক্রিয়া নিহতের মায়ের

    NIA: দাড়িভিট কাণ্ডে এনআইএ! নির্দেশ হাইকোর্টের, ‘‘মান্থা ভগবান’’, প্রতিক্রিয়া নিহতের মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচবছর আগে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে, পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট হাইস্কুলে, বাংলার বদলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল ছাত্র-ছাত্রীরা, অভিযোগ সেসময় আচমকাই পুলিশের ছোড়া গুলিতে প্রাণ যায় দুই বিক্ষোভকারী ছাত্রনেতা রাজেশ সরকার (২০) এবং তাপস বর্মনের (২০)। সেসময় এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় নিহত ছাত্রদের পরিবার। জল গড়ায় হাইকোর্ট অবধি। কেন্দ্রীয় তদন্ত যদি কখনও হয় পাওয়া যাবে বিচার! এই আশায় ছাত্রদের দেহ দাহ করেনি পরিবার। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মালঞ্চ নদীর তীরে আজও শোয়ানো রয়েছে তাঁদের দেহ। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আসতেই বিচারের আশায় আরও একবার বুক বাঁধলেন নিহতদের পরিবার। সেদিন পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া রাজেশ সরকারের মা, ঝর্ণা সরকার এই প্রতিবেদককে ফোনে বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরে কাঁদছি, বিচারের আশায়। আসল সত্য উদঘাটিত হোক এটাই চাই। পুলিশি তদন্তে আমাদের ভরসা কখনও ছিলনা। রাজাশেখর মান্থার আমাদের কাছে ভগবানতুল্য।’’ প্রসঙ্গত পুলিশের গুলিতে কয়েকদিন আগেই উত্তরদিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নিহত হন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামের এক যুবক। সেই আবহে আজকে দাড়িভিট কান্ডে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ এতে আরও জোরালো হবে কালিয়াগঞ্জ গুলি কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেন।

    সেদিনের ঘটনাক্রম

    উত্তর দিনাজপুরে জেলার চিকেন নেকে বাস প্রায় ৭২ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষদের। সেখানের দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলার বদলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় উর্দুর। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, উর্দুভাষী পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও ওই ভাষায় শিক্ষক নিয়োগ করা হয় জোরপূর্বক। অথচ বাংলা ভাষার শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও সেই চাহিদা মেটানো হয়নি। এই দাবিতেই বিক্ষোভে নামে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। সেইমতো ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তরদিনাজপুর জেলার ডিএম স্কুলে এসে প্রতিশ্রুতি দেন, উর্দু শিক্ষক নিয়োগ করা হবেনা স্কুলে। পরের দিন ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্র-শিক্ষক প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়। এক আন্দেলনকারীর দাবি, হঠাৎই ২০ সেপ্টেম্বর দুগাড়ি পুলিশ, স্কুলে এসে উর্দু শিক্ষককে নামিয়ে দিয়ে যায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুরুষ পুলিশরা এইসময় নানা অশ্লীল মন্তব্য করতে থাকে ছাত্রীদের উদ্দেশে। সেইসময় স্থানীয়রা প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি ছোড়ে। মৃত্যু হয় রাজেশ তাপসের। পায়ে গুলি লেগে আহত হন বিপ্লব নামে অপর এক আন্দোলনকারী। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, গুলিবিদ্ধ রাজেশ তাপসকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে মাঝপথে হামলাও শুরু হয় ভ্যানে। কোনওক্রমে হাসপাতালে পৌঁছালে, রাজেশকে মৃত বলে ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর মারা যান তাপস বর্মন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ১১ দিন ধরে টানা কর্মবিরতিতে বারাকপুর কোর্টের আইনজীবীরা, কেন জানেন?

    Barrackpore: ১১ দিন ধরে টানা কর্মবিরতিতে বারাকপুর কোর্টের আইনজীবীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমা আদালতের কর্মবিরতি ১১ দিনে পড়ল। আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতির ফলে বিচার প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারের লোকদের যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গেট বন্ধ রেখে আইনজীবীরা আন্দোলন করছেন। এর আগে একাধিকবার মিছিলও করেছেন তাঁরা। যে দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তার কোনও সদুত্তর কর্তৃপক্ষের থেকে এখনও না পাওয়ায় কর্মবিরতি জারি রেখেছে।

    কেন আন্দোলনে আইনজীবীরা?

    সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশন কোর্ট বারাসত আদালত থেকে বারাকপুর (Barrackpore) কোর্টে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া পকসো আদালতে স্পেশাল বিচারক, এনডিপিএস-এর জন্য পৃথক কোর্ট, ক্যান্টিন, বিচার প্রার্থীর বাড়ির লোকদের জন্য শৌচালয়, পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ, আদালত চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানো সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আইনজীবীরা এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে টাইপিস্ট, ল ক্লার্করাও আন্দোলনের সামিল হয়েছেন।

    হাইকোর্টের বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হল?

    বারাকপুর (Barrackpore) আদালতের অবস্থা দেখতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তথা জোনাল জাজ অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় যান। তিনি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আইনজীবীদের দাবি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জোনাল জাজ জানিয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে বার অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সভা ডেকে সকলকে অবহিত করেন।

    কী বললেন বারাকপুর (Barrackpore) বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি?

    বারাকপুর (Barrackpore) বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত রায় বলেন, আমরা যে দাবির ভিত্তিতে কর্মবিরতি শুরু করেছি তা লিখিত আকারে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে জানিয়েছি। এদিনের বৈঠকে আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, এখনও কোনও আশ্বাস পাইনি। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আমরা এখনই পিছু হটছি না। আমরা শনিবার পর্যন্ত কর্মবিরতি চালাব। ওইদিন আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাজ্যে রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Ram Navami: রাজ্যে রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রামনবমীর শোভাযাত্রায় হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া-সহ রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় হামলার ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ সংক্রান্ত সমস্ত নথি এনআইএ-কে হস্তান্তর করতে হবে। ১০ এপ্রিল হাই কোর্টে এনআইএ জানিয়েছিল, তারা এই ঘটনায় তদন্ত করতে তৈরি। এর পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কারা এই অশান্তিতে জড়িত, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে অসম্ভব। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডালখোলা, শিবপুর এবং রিষড়া।

    শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা

    রামনবমীর শোভাযাত্রায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রামভক্তদের ওপর হামলার ঘটনায় তা প্রমানিত। এই দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ তদন্ত চেয়ে তখন হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করেছিলেন তিনি। গত ১০ এপ্রিল শুনানির দিন হাইকোর্টে এনআইএ জানিয়েছিল, তারা ওই অশান্তির ঘটনাগুলির তদন্ত করতে প্রস্তুত। এর পর আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত এবং কারা উস্কানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাই কোর্টের এ-ও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে, অশান্তি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের আলোতে পুকুর চুরির অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি জমিতে চলছে সবুজ ভুট্টার চাষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। এবং এই দুর্নীতিতে তৃণমূল (TMC) নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পুকুর চুরির এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায়। ১০০ দিনের কাজের এই দুর্নীতিতে উচ্চ আদালত আজকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী দুমাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। ১০০ দিনের কাজে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরই মামলা করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার এক ব্যক্তি। সেই মর্মে গত বছরের ৩১ অক্টোবর জেলাশাসককে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, তদন্ত সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজকে এই পর্যবেক্ষণ দিল। 
    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজের ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নবজোয়ার সভাতে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা বলে বারংবার অভিযোগ তুলছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ১০০ দিনের কাজে চুরি বন্ধ করলে তবেই কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে মিলবে টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিজেপি, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে চুরির যে অভিযোগ করে আসছে, এদিনের পুকুরচুরির ঘটনা বিজেপির অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল।

    কী বলল হাইকোর্ট

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করবেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তদন্তের ওপর নজরদারি চালাবেন পঞ্চায়েত সচিব। তদন্তের রিপোর্ট প্রতি সপ্তাহে পঞ্চায়েত সচিবকে দেবেন জেলাশাসক। ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এই তদন্ত। আদালতের আরও পর্যবেক্ষন, তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত প্রধানদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনিতেই আদালতে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে শাসক দল। এবার ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাইকোর্টের নির্দেশ ভেঙে লাঠিচার্জ করেছে সিভিক পুলিশ! ট্যুইটে অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাইকোর্টের নির্দেশ ভেঙে লাঠিচার্জ করেছে সিভিক পুলিশ! ট্যুইটে অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুরের ওসি রাজু কুণ্ডুর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীদের আন্দোলনে লাঠিচার্জ করেছে সিভিক পুলিশ, যা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধী। বুধবার এই মর্মে ট্যুইট করে রাজ্য পুলিশের ডিজিপিকে অভিযোগ জানালেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, আইন-শৃঙ্খলাজনিত কোনও কাজে লাগানো যাবেনা সিভিকদের, এমনটাই ছিল হাইকোর্টের নির্দেশ। উচ্চ আদালত বেঁধে দেয় কোন কোন ক্ষেত্রে সিভিক ব্যবহার করা যাবে, মাস কয়েক আগেই রাজ্য পুলিশের আইজিকে গাইডলাইন তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশ মোতাবেক রাজ্য সরকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করে। নির্দেশ অনুযায়ী, ভিড় নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং উৎসবের সময় ধর্মস্থানগুলিতে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করতে পারবে সিভিকরা এর পাশাপাশি গাড়ির পার্কিং দেখাশোনার কাজ করতে পারবে তারা। কিন্তু সিভিকদের দিয়ে আইনশৃঙ্খলার কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি, কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডেও এমন অভিযোগ তোলে তারা। দানা বাঁধে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলের বদান্যতায় কাজ পেয়েছেন সিভিকরা, কোথাও কোথাও তাদের নাম শাসকদলের কমিটিতেও দেখা যাচ্ছে। কোনও কোনও মহল বলছে, আসলে ইউনিফর্ম পরে শাসক দলের কর্মীর কাজই করে চলেছেন সিভিকরা।

    শুভেন্দুর(Suvendu Adhikari) অভিযোগ….

    বুধবার কোলাঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ট্যাপরপাড়া এলাকায় বিজেপি নেতা মোহনলালকে পশুর মতো পিটিয়েছে পটাশপুর থানার ওসি রাজু কুণ্ডু, সঙ্গে ছিল মাথায় হেলমেট পরা সিভিকরা। এরপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের নির্দেশের পর কীভাবে সিভিক পুলিশ লাঠিচার্জ করতে পারে। আইজি ওয়েলফেয়ারের পক্ষ থেকে একটি সার্কুলারও দেওয়া হয়েছে এই নিয়ে, তবে তা কোনওভাবেই মানা হচ্ছেনা বলেও অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে ট্যাগ করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিপিকে, এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আর্জিও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরইমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  বড়সড় অনিয়ম সামনে এসেছে। কাউন্সেলিং ছাড়াই নবম-দশমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আর সেটা অন্যজনের রোল নম্বর ব্যবহার করেই কাউন্সেলিং ছাড়াই একজন বহাল তবিয়তে ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। জানা গিয়েছে, ১২২১১৬৭৬০০০০০৩-এই রোল নম্বরটি সালমা সুলাতানার। তাঁর বাড়ি বোলপুর। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে কখনও ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর এই রোল নম্বরেই অন্য একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।  এসএসসি-র এই নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) বিষয়টি সামনে আসতেই খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এসএসসি এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজনের রোল নম্বরে অন্যজনকে কী করে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। ফলে, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। আর এই রোল নম্বর কারচুপি করে নিয়োগপত্র কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    নিজের রোল নম্বর চুরি হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন  সালমা সুলতানা? Scam

    সালমা সুলতানা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর পরীক্ষার যে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তাঁর অ্যাকাডেমিক নম্বর ছিল ৩৩। আর লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নম্বর ছিল ৪৯। ২০১৮ সালে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। তারপর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে আর ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এসএসসি-র কাছে ওএমআর শিট চেয়েছিল। তাতে দেখা যায় তাঁর নম্বর ৪৮। চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসএলএসটি-র যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। সালমা সুলতানা বলেন, কাউন্সেলিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি। তারজন্য আক্ষেপ নেই। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি আমার রোল নম্বরে অন্যজন চাকরি করছে। তাঁকে তো কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে? না হলে সে কী করে চাকরি পেল। আর ওই রোল নম্বর ধরে দপ্তর থেকে ডাকা হলে আমি জানতে পারব। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোনও কাউন্সেলিং না করেই নিজের মনের মতো কাউকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টি জানতে পারিনি। আমাকে অন্ধকারে রেখে আমার রোল নম্বর ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে একজন শিক্ষকতা করছেন এটা হতে পারে না। এই দুর্নীতির (Scam)  বিরুদ্ধেই আমি সরব হয়েছি। সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Teacher Transfer: সব শিক্ষক কলকাতায় এলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে তো! মন্তব্য বিচারপতির

    School Teacher Transfer: সব শিক্ষক কলকাতায় এলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে তো! মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব শিক্ষকরাই যদি বদলি নিয়ে কলকাতা বা আশপাশের স্কুলে কাজ করতে চান তাহলে তো গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে। শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় (Teachers Transfer Case) বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এব্যাপারে রাজ্যের নীতি কী তা স্পষ্ট করে জানতে চাইলেন বিচারপতি। এই বিষয়টা নিয়ে রাজ্য সরকারের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত বলে জানান বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    কী বললেন বিচারপতি

    আদালতে দাখিল হওয়া রাজ্যের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বসু এদিন অবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, “কলকাতায় ১১৫টি স্কুল আছে যেখানে ৫০০-র বেশি শিক্ষক আছেন, কিন্তু স্কুল প্রতি ৫০ জনের কম পড়ুয়া। ছাত্র রয়েছে এমন স্কুলে বদলির আবেদনও শুনতে হয়েছে !” পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ, “যদি রাজ্যের মনে হয় শিক্ষক বেশি হয়ে গেছে, তাহলে নতুন নিয়োগ কেন ? যেখানে ছাত্র নেই সেখানকার শিক্ষকদের অন্য স্কুলে পাঠানো হোক।’ এই বিষয়ে নীতি তৈরিতে রাজ্যের বাধা কোথায় ? রাজ্যকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি বসু। 

    আরও পড়ুন: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    বিচারপতি জানান, বদলি চেয়ে অনেকেই হাইকোর্টে আসছেন। বেশির ভাগ শিক্ষকই কলকাতা বা তার আশপাশের স্কুলে বদলি চাইছেন। বুধবারই এমন এক শিক্ষক আদালতে এসেছিলেন, যিনি একটি নির্দিষ্ট স্কুলে বদলি চাইছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য কী ভাবছে জানতে চান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে জানান হয়, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই বিস্তারিত জানিয়ে একটা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে কোথায় কী অবস্থা তার সব তথ্য সেখানে দেওয়া আছে। মামলাকারীকে রিপোর্ট পড়ে তাঁর মতামত জানাতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share