Tag: Himachal Pradesh

Himachal Pradesh

  • Narendra Modi: প্রতি বছর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন প্রধানমন্ত্রী, এবার হাজির হিমাচলের লেপচায়

    Narendra Modi: প্রতি বছর জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন প্রধানমন্ত্রী, এবার হাজির হিমাচলের লেপচায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে মনমোহন সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে বছর থেকেই জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির উৎসব পালন করে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছরও তার ব্যতিক্রম দেখা গেল না। চলতি বছরের দীপাবলিতে হিমাচল প্রদেশের লেপচায় হাজির প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দেশের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করবেন নমো (Narendra Modi)। এদিন হিমাচল প্রদেশের লেপচায় পৌঁছানোর পরেই প্রধানমন্ত্রী  ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেছেন। ওই ট্যুইটে দেখা যাচ্ছে, সেনার উর্দি পড়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলছেন। গত বছরই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, তাতে দেখা যায়, এক জওয়ান দীপাবলির পুণ্যলগ্নে প্রধানমন্ত্রীকে গান গেয়ে শোনাচ্ছেন এবং পাশে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে উৎসাহ দিচ্ছেন।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    চলতি বছরের দীপাবলি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) লেখেন, ‘‘আমাদের সাহসী নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে হিমাচল প্রদেশের লেপচায় এসেছি।’’ প্রসঙ্গত, লেপচা বর্ডার হল একেবারে চিন সীমান্তের কাছে।

    ২০১৪ সাল থেকে দীপাবলি কোথায় কোথায় পালন করেন প্রধানমন্ত্রী

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দীপাবলি সিয়াচেনে উদযাপন করেছিলেন। ২০১৫ সালে দীপাবলির সময় পঞ্জাব সীমান্তে ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের দীপাবলিতে হিমাচল প্রদেশের চিন সীমান্তে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৭ সালের দীপাবলিতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল কাশ্মীরে। ২০১৮ সালের দীপাবলিতে উত্তরাখণ্ডে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরিতে দীপাবলির উদযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালে তিনি হাজির ছিলেন রাজস্থানের জয়সলমেরের লঙ্গেওয়ালাতে। ২০২১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের নওসেরাতে হাজির ছিলেন মোদি। ২০২২ সালে দীপাবলির দিন কার্গিলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধস, আটকে আপেলের গাড়ি, বিপাকে পর্যটকরা

    Landslide: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধস, আটকে আপেলের গাড়ি, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধসে (Landslide) অবরুদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় আটকে পড়েছে প্রচুর ফলের গাড়ি। চরম দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন অ্যাপেল ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, এই বছর বর্ষার অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ব্যাপক প্রকৃতিক বিপর্যয় নামে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, দোকান, হোটেল এবং গাছপালা ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ফের একবার ধসের কবলে হিমাচলের সড়ক পথ। চরম দুর্ভোগে অ্যাপেল চাষিরা।

    রাস্তায় ফের ধস (Landslide)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার হিন্দুস্থান-তিব্বত সড়ক, হিমাচলের শিমাল থেকে কিন্নর যাওয়ার জাতীয় সড়ক ৫ নম্বর ধসের (Landslide) কবলে পড়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছে সারিসারি গাড়ি। সূত্রে আরও জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কিন্নর প্রবেশের মুখে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গের কাছেই পাহাড় ভেঙে পাথরের বড় বড় চাঁই পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আগত পর্যটকরা ধস জনিত কারণে আটকে পড়েছেন রাস্তায়। হিমাচলে এই সময়টা অ্যাপেলের মরসুম, তাই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বাগানের অ্যাপেল দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে বাধার (Landslide) মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে অ্যাপেল চাষকে কেন্দ্র করে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত মুশকিলের মধ্যে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

    আগেও নেমেছিল ধস

    গত ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে চৌরার কয়েক কিলোমিটার আগে জাতীয় সড়ক ৫ নম্বরে ধস (Landslide) নেমেছিল। এই ধসের স্তূপ অপসারণ করতে প্রশাসনের সময় লেগেছিল দশ দিন। সেই সময়ও পর্যটকরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। এই কিন্নর জেলায় জনজাতি সমাজের মানুষের সংখ্যায় বেশি। এখানে মূলত অ্যাপেল চাষ হল প্রধান ফসল। এই এলাকার অ্যাপেল সারা ভারতে বিখ্যাত। ধস নামলে রাস্তা অবরোধে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়। 

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কিন্নরের কৃষি বিভাগের ডেপুটি নির্দেশক অজয় কুমার ধিমান বলেন, “২০২২ সালে ৪০ থেকে ৪২ লক্ষ বাক্স অ্যাপেল উত্তোলন করা হয়। এই বছর অতি বৃষ্টিপাতের জন্য উৎপাদন কমে গেছে। এই বছরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আনুমানিক ৩০ লক্ষ বাক্স অ্যাপেল উত্তোলন করা হতে পারে। এই ধসের কারণে ফল বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যা (Landslide) তৈরি হয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Himachal Pradesh: অতিভারী বৃষ্টিতে তিনদিনে ৭১ জন মৃত হিমাচলে, ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত তিনদিনে কম করে ৭১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। অতিভারী বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) এখনও পর্যন্ত ১৩ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে রাজ্যের প্রশাসন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এই বিপর্যয়কে ‘পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ’ বলে অভিহিত করেছেন। বৃষ্টি, ভূমিধস, হড়পাবান, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে নাজেহাল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মানুষ। ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। বর্ষার পর থেকেই হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। গত রবিবার থেকে একনাগারে বৃষ্টি শুরু হয় রাজ্যে এবং পাশাপাশি চলতে থাকে ভূমিধস। 

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ

    পরিসংখ্যান বলছে, বিগত তিনদিনে বৃষ্টির কারণে ১ হাজার ২২০ টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছরের মরশুমে ১৭০টি মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে ৯,৬০০ বাড়ি ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে সে রাজ্যের কৃষ্ণনগর, সামার হিল এই সমস্ত এলাকাতে ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়েছে ভূমিধসের কারণে। রবিবার রাতেই উদ্ধার হয় ৫৭টি মৃতদেহ। ১৭ অগাস্ট রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে সরকার (Himachal Pradesh)।

    অন্যদিকে পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশে বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে

    জানা গিয়েছে, ভাকরা এবং পঙ-ড্যাম এই বাঁধগুলিও খুলে দেওয়া হবে আগামী চার পাঁচ দিনের জন্য। কারণ অতি ভারী বৃষ্টির কারণে ব্যাপক চাপ পড়ছে এগুলোতে। বেড়ে গেছে জলস্তর। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত বাঁধগুলির জল ছাড়ার ফলে পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী 

    হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয় আমাদের। কিন্তু চলতি বছরে তা যেন পর্বত সমান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন চলতি বছরে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহে অতি ভারী বৃষ্টির ফলে একাধিক সড়ক বন্ধ হয়ে রয়েছে সে রাজ্যে। বাড়িও তলিয়ে গেছে জলোর তোড়ে। এই সময়ে রাজ্যে খোলা হয়েছে একাধিক ত্রাণ শিবির। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। বিপর্যস্ত ফতেপুর অঞ্চলে ৫৩৯ জনকে রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে (Himachal Pradesh)। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও আকাশ পথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। নিম্নবর্তী অঞ্চল গুলি থেকে প্রায় ৮০০ মানুষকে সরানো হয়েছে কাংড়া জেলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফ-এর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, মঙ্গলবারই বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এবং হিমাচল প্রদেশের সরকার একসঙ্গে চেষ্টা করছে সমস্ত রকম ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার।’’ এনডিআরএফের পাশাপাশি ভারতীয় বিমান বাহিনীও প্রয়োজন মতো কাজ চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: এই বর্ষায় হিমাচলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু ২৫৭ জনের, সম্পত্তি নষ্ট  ৭০০০ কোটির

    Himachal Pradesh: এই বর্ষায় হিমাচলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু ২৫৭ জনের, সম্পত্তি নষ্ট ৭০০০ কোটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) এই বছরে মৃত্যু হয়েছে ২৫৭ জনের এবং মোট সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭০০০ কোটি টাকা। গতকাল রবিবারে হিমাচল প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছর উত্তর ভারতে অধিক বৃষ্টিপাত এবং প্রাকৃতিক ধসের কারণে এই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    সরকারি ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ (Himachal Pradesh)?

    গত ২৪ জুন থেকে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিভিন্ন অঞ্চল অধিক বৃষ্টিপাত এবং ধসজনিত সমস্যায় বিপর্যয়ের শিকার হয়ে চলেছে। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে আনুমানিক ৭০২০.২৮ কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। বর্ষার এই বৃষ্টিপাতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড়ি অঞ্চলে ধসের কারণে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৯১ জন মানুষের রাস্তায় বিপর্যয়ের কারণে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। এই বর্ষার প্রবহমান বিপর্যয়ে নিখোঁজ হয়েছেন ৩২ জন। বিশেষ ভাবে আহত হয়েছেন ২৯০ জন মানুষ। এছাড়াও ১৩৭৬ টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৭৯৩৫টি বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় ২৭০ টি দোকান সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে। ২৭২৭ টি গরু রাখার গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। পরিসংখ্যানে বলা হয়, ৯০ টি ধসের ঘটনা ঘটেছে। ৫৫ টি বৃষ্টির জলে বন্যার ঘটনা ঘটেছে। ৪৫০ টির মতো রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ২টি জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৮১৪ টি স্থানে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটেছে। ৫৯ টি স্থানে জল সরবরাহ সংযোগ চ্যুত হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকৃতির মারে হিমাচলের জনজীবন নাজেহাল অবস্থা।

    মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন

    মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু (Himachal Pradesh) জানান, রাজ্যের বর্ষা কবলিত পরিবেশের কথা ভেবে শিক্ষা দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলকলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের সব জেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিপর্যয়ের বিষয়ে জেলা শাসকদের তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিশেষ ভাবে বিপর্যয়কে মোকাবিলা করার জন্য সংযোগ রক্ষার কথা বলা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    Heavy Rain: অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল! তেলেঙ্গানায় মৃত ১১, দিল্লিতে ফের শুরু বৃষ্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা নামার (Heavy Rain) পর থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে উত্তরাখণ্ডের জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। একই অবস্থা হিমালয়ের কোলে অবস্থিত অপর রাজ্য হিমাচলেরও। বিগত একমাস ধরে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম একাধিক রাজ্য বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘরের বদলে দিন কাটছে ত্রাণ শিবিরে। রাজ্যে রাজ্যে বেড়েই চলেছে বন্যায় মৃতের সংখ্যা। শুক্রবারও দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় বন্যার কারণে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। নতুন করে আবার ভারী বর্ষণ (Heavy Rain) শুরু হয়েছে দিল্লিতে। যার জেরে রীতিমতো উদ্ধিগ্ন রাজধানীর বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তর পূর্বে অসম রাজ্যেও বন্যা পরিস্থিতি তেরি হয়েছে।

    বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) কারণে ধসের খবর প্রতিদিনই মিলছে দেবভূমিতে। শুক্রবার জলের প্রবল দাপটে ভেসে গেল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাংশ। যার জেরে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবার রাত থেকে আবারও অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে চামোলি জেলায়।  শুক্রবার সকালেও উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায় ধস নামার খবর আসতে থাকে। গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় ধসের জেরে। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলছে হিমাচলেও। সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেই চলেছে এই রাজ্যে। শুক্রবার সিমলার ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ধসের কারণে। পাশাপাশি চলছে মেঘভাঙা বৃষ্টি। গত মঙ্গলবার কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rain) হয়। যার জেরে দুটো সেতু ভেঙে পড়ে। পাঁচটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি! দিল্লিবাসীর উদ্বেগ বাড়ছে

    শনিবাকর সকাল থেকেই দিল্লিতে চলছে অতিভারী বর্ষণ (Heavy Rain)। যার জেরে রাজধানীর একাধিক এলাকায় জল জমার খবর মিলেছে। আগামী কয়েক দিন এমন বৃষ্টিপাত চলবে বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। অন্য দিকে এখনও বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। তবে নদীর জলস্তর ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশন বলছে, শনিবার সকাল ৬টায় যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৬ মিটার। যমুনার বিপদসীমা ২০৫.৩৩ মিটার। ফলে বিপদসীমার উপরেই বইছে যমুনা। 

    তেলেঙ্গানাতে শুক্রবার বন্যার কারণে ১১ জনের মৃত্যু

    উত্তর ভারতের মতোই এখন বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত তেলেঙ্গানা। জেলায় জেলায় একাধিক এলাকায় জল ঢুকেছে (Heavy Rain) বাড়িতে। এরমাঝে আবার বিপদ বাড়িয়েছে হড়পা বান। এর আগে ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। শুক্রবারে আরও ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা (NDRF)। জানা গিয়েছে, আচমকা হড়পা বান চলে আসে বেশ কিছু এলাকায়। আর তাতেই জলের তোড়ে ভেসে যান একাধিক গ্রামের মানুষজন। এরমধ্যে ৩ জন নিঁখোজ ব্যক্তির সন্ধান চালাচ্ছে প্রশাসন। তেলঙ্গানার একটি গ্রাম ফুট জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রাণ বাঁচাতে গাছের ডালেও আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhwinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার জল্পনা ওড়ালেন সুখবিন্দর, কী বললেন জানেন?

    Sukhwinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার জল্পনা ওড়ালেন সুখবিন্দর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে বিপদ আঁচ করে মঙ্গলবার রাতেই পদত্যাগ করেছিলেন কংগ্রেস মন্ত্রিসভার সদস্য বিক্রমাদিত্য সিংহ। বুধবার সকালে রটে যায় পদত্যাগ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। (Sukhwinder Singh Sukhu)।  তার পরেই তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহলে। সুখবিন্দর কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন, কখনই বা পাঠালেন, তা জানা যায়নি। সুখবিন্দরের পদত্যাগের গুজবের জেরে যখন সরগরম হিমাচলের রাজনীতি, তখন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলেন, “পদত্যাগ করিনি। হাল ছাড়ব না। আমি যোদ্ধা। আমার সম্পূর্ণ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত পদেই থাকব।”   

    হার কংগ্রেস প্রার্থীর 

    হিমাচল প্রদেশ বিজেপির হাতছাড়া হয় বছর দেড়েক আগে, বিধানসভা নির্বাচনে। ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছিল ৪০টিতে। তাদের সঙ্গে ছিল তিন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনও। বিজেপির বিধায়ক ছিলেন ২৫জন। এ রাজ্যে রাজ্যসভার একটি মাত্র আসন। কংগ্রেসের প্রার্থী হন আইনজীবী নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে এই আসনে জেতার কথা ছিল কংগ্রেস প্রার্থীরই। সিংভির প্রতিপক্ষ ছিলেন (Sukhwinder Singh Sukhu) বিজেপির হর্ষ মহাজন। তিনি জিতবেন, এমন আসা অনেকেই করেননি। যদিও ক্রসভোটিংয়ের জেরে হইহই করে জিতে যান হর্ষ। এর পরেই প্রমাদ গোণে কংগ্রেস। খেলা যে ঘুরতে চলেছে তা আঁচ করে ফেলেন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্করা।

    পদত্যাগ মন্ত্রীর

    পরিস্থিতি আরও ঘোরলো হয় যখন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ। বিক্রমাদিত্যের আরও একটি পরিচয় হল তিনি হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভার সাংসদ প্রতিভা সিংহের ছেলে। দলে বিধায়কদের সঠিক মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিক্রমাদিত্য। হিমাচলের রাজনীতির আকাশে যখন অশনি সঙ্কেত, ঠিক তখনই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন পদ্ম নেতারা। তাঁরা আস্থাভোটের দাবি জানান। গুজব ছড়ায়, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন সুখবিন্দর। যদি তিনি বলেন, “আমায় কেউ পদত্যাগ করতে বলেননি। আমিও পদত্যাগ করিনি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেব। আমরা জিতবও। হিমাচলের মানুষ জিতবেন।”

    আরও পড়ুুন: ১০০ টাকায় ক্যান্সারের ওষুধ! গবেষণায় নয়া দিশা দেখাল মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল

    সুখবিন্দরের বিরুদ্ধে ইদানিং যাঁরা সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ধর্মশালার বিধায়ক সুধীর শর্মা, সুজনপুরের বিধায়ক রাজেন্দ্র রানা। জানা গিয়েছে, এঁরা ছাড়াও ক্রসভোটিং করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক ইন্দ্রদত্ত লখনপাল, দেবেন্দ্রকুমার ভুট্টো, রবি ঠাকুর এবং চৈতন্য শর্মা। বিজেপি প্রার্থী হর্ষকে ভোট দিয়েছেন নির্দল তিন বিধায়কও।

    হিমাচলে সরকার বাঁচাতে মরিয়া কংগ্রেস হাইকমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী বদল করে হলেও গদি ধরে রাখতে চাইছেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। এহেন আবহে সুখবিন্দরের পদত্যাগের গুজব ছড়ায়। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস ও নির্দলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করা তাতে রাজি হবেন কিনা, তা বলবে সময়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Himachal Pradesh: আস্থা ভোটের দাবি বিজেপির, হিমাচলে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেসের মন্ত্রী

    Himachal Pradesh: আস্থা ভোটের দাবি বিজেপির, হিমাচলে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেসের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) টলমল কংগ্রেস সরকার। এ রাজ্যের একটি মাত্র রাজ্যসভা আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তার পরেই পদ্মশিবির দেখা করেছে রাজ্যপাল শিবপ্রতাপ শুক্লর সঙ্গে। দাবি জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখার বিরুদ্ধে আস্থাভোটের। এদিকে, রাজ্যসভায় বিজেপি প্রার্থী জয়ী হতেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, “জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকা সত্ত্বেও আমাদের প্রার্থী হর্ষ মহাজন রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। নীতিগতভাবে কংগ্রেসের এই রাজ্যে আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিজেপি (Himachal Pradesh) দাবি করেছিল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার।

    জয়ী বিজেপি প্রার্থী

    মঙ্গলবার রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন। তিনি পরাস্ত করেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা  তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিকে। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। দু পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত হয় জয়-পরাজয়। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪০টি আসন। তিন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনও রয়েছে কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে রাজ্যসভার নির্বাচনে ক্রসভোটিং হয়। কংগ্রেসের ছ জন সহ অন্তত নজন বিধায়কের ক্রসভোটিংয়ের জেরে জয় অনায়াস হয় বিজেপি প্রার্থীর। কারণ এ রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন মাত্র ২৫ জন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    বিজেপির বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী (Himachal Pradesh) সুখবিন্দর বলেন, “আমাদের পাঁচ-ছ জন বিধায়ককে অপহরণ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং বিজেপি শাসিত হরিয়ানার পুলিশ।”

    এদিকে, এদিন মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে বিক্রমাদিত্য বলেন, “মন্ত্রিত্ব আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হিমাচলের মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক।” তিনি বলেন, “সরকার বিধায়কদের উপেক্ষা করেই কাজ করছে। তাঁদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে (Himachal Pradesh)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    BJP: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে হিমাচলের কংগ্রেস সরকার”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন হিমাচল প্রদেশের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) জয়রাম ঠাকুর। গত নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন সুখবিন্দর সিং সুখু। সুখবিন্দরের নেতৃত্বে সরকারই সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে বলে দাবি বিজেপির।

    সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সরকার

    বুধবার বাজেটে পেশ হবে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল বাজেট পেশ হবে। আমরা বাজেট নিয়ে আলোচনা করব। তখনই আমরা পরিস্থিতি বিচার করব। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।” মঙ্গলবার রাজ্যসভার নির্বাচন হয় হিমাচল প্রদেশে। বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবেন বলে আশা কেন্দ্রের শাসক দলের। রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। তার মধ্যে ৬৭ জন বিধায়ক শিমলায় রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। অসুস্থতার কারণে (BJP) তিনি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাই ভোট দিতে আসেননি বিধায়ক কংগ্রেসের সুদর্শন সিং বাবলু।

    রাজ্যসভায় লড়াই

    হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভার প্রার্থী নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভি। পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন হর্ষ মহাজন। হর্ষ কংগ্রেসের প্রতীকে দাঁড়িয়ে তিনবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন মন্ত্রীও। বাইশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। যোগ দেন বিজেপিতে। কংগ্রেস বধে রাজ্যসভায় তাঁকেই লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বিধানসভার ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৪০টি। তিন নির্দলের সমর্থনও রয়েছে সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে হিমাচল প্রদেশে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ২৫ জন। তাই কংগ্রেসকে হারানো সম্ভব নয় বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দলীয় প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভিকে জেতাতে রবিবারই বিধায়কদের হুইপ জারি করে কংগ্রেস। হুইপ মেনে কংগ্রেসের প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁদের অথরাইজড এজেন্টকে ব্যালট দেখাতে হবে। কোনও বিধায়ক যদি ব্যালট প্রদর্শন করতে না চায়, তাহলে তাঁর ভোট অবৈধ বলে গণ্য হবে। সোমবারই বিজেপির প্রার্থী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে কংগ্রেসের জারি করা তিন লাইনের হুইপের বিষয়ে অভিযোগ জানান। বিজেপির মতে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে হুইপ জারি করাটা অনৈতিক। হর্ষ বলেন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনতর হুইপ জারি করা যে কেবল অনৈতিক তা নয়, এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আচরণের বিরোধীও। কারণ হুইপ জারি করা হলে তা প্রভাব ফেলবে বিধায়কদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Weather Update: ঘন কুয়াশায় দেরিতে চলছে শতাধিক বিমান-ট্রেন, শীতে কাঁপছে উত্তর ভারত

    Weather Update: ঘন কুয়াশায় দেরিতে চলছে শতাধিক বিমান-ট্রেন, শীতে কাঁপছে উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে রেল-বিমান পরিষেবায়। মোট ১৫০টি বিমান খারাপ আবহাওয়ার (Weather Update) কারণে বিলম্বিত হয়েছে। বেশ কিছু বিমানের গতিপথও বদল করা হয়েছে। একই ভাবে বহু দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। অনেক ট্রেন একটি জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে। এদিকে, উত্তর ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পশ্চিম হিমালয়ের জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং লাদাখে তুষারপাত এবং হালাকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন।

    ব্যাহত বিমান পরিষেবা (Weather Update)

    ঘন কুয়াশার কারণে এখনও পর্যন্ত ১৬৮টি উড়ানের নির্ধারিত গতিপথের বদল করা হয়েছে। ৮৪টি উড়ান খারাপ আবহাওয়ার (Weather Update) কারণে বাতিল করা হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরের তরফ থেকে যাত্রীদের উদ্দেশে ঘন কুয়াশার কারণে বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। যাত্রীদের পরিবর্তিত সময় সূচির দিকে নজর রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। দিল্লি থেকে গোয়াগামী এক যাত্রীকে ১৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং ভিস্তারার মতো প্রধান বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিল্লি এবং কলকাতায় বিমানগুলির ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে। দিল্লি-কলকাতার বিমানকে কুয়াশার জন্য হায়দরাবাদে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেরিতে চলছে ট্রেন

    পাশাপাশি ট্রেন পরিষেবাতেও ব্যাপাক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ১৮টি ট্রেন তার নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে চলছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। রেল স্টেশন প্রচুর যাত্রী আটকে পড়েছেন। আজ দিল্লিতে এই বছরের শীতলতম দিন। সকালে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। গত দুই সপ্তাহ ধরে অতরিক্ত শীতের (Weather Update) কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও আজ থেকে আংশিক ভাবে স্কুল খুলছে বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৩.৯ ডিগ্রি।

    কী জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর

    মৌসম ভবনের (আইএমডি) সর্বশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে উল্লেখ করেছে যে, আগামী ৪ থেক ৫ দিনের মধ্যে উত্তর ভারতের কিছু অংশে তীব্র শীতের প্রভাব থাকবে। সেই সঙ্গে আকাশ ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন (Weather Update) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় অতিরিক্ত শৈত্যপ্রবাহ চলবে। পাশপাশি উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে কুয়াশার প্রভাব থাকবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Scrub Typhus: নয়া আতঙ্ক স্ক্রাব টাইফাস! ওড়িশায় মৃত ৫, হিমাচলে আক্রান্ত ৯

    Scrub Typhus: নয়া আতঙ্ক স্ক্রাব টাইফাস! ওড়িশায় মৃত ৫, হিমাচলে আক্রান্ত ৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আতঙ্কের নতুন নাম স্ক্রাব টাইফাস। একাধিক রাজ্য়ে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। ওড়িশায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশের শিমলায় স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে ন’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    ওড়িশার বরগড় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সাধু চরণ দাস জানান, রাজ্যে স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তরা সকলেই বরগড় জেলার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে দুইজন সোহেলা ব্লকের বাসিন্দা ও বাকি তিনজন আট্টাবিরা, ভেদেন ও বারপালির বাসিন্দা। আক্রান্তরা সকলেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হিমাচল প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২৯৫ জন বাসিন্দা স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত বলে প্রমাণ মিলেছে।

    স্ক্রাব টাইফাস কী?

    স্ক্রাব টাইফাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ টাইফাস থেকে যার অর্থ হল ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট। এঁটুলি পোকার মতো দেখতে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা টিক-এর মতো পরজীবী পোকার কামড় থেকে এই রোগের জীবাণু মানবদেহে ছড়ায়। এই পোকাগুলির আকার ০.২ মিলিমিটার থেকে ০.৪ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। সাধারণত গ্রামের কৃষিজমিতে এই ধরনের পোকা দেখা যায়। যদিও শহুরে এলাকায় বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টে ছোট ঝোপঝাড়, গাছপালা কিংবা পোষ্যের গায়ে এই ধরনের পোকার দেখা হামেশাই মেলে। সাধারণত বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। 

    আরও পড়ুুন: “এটা চোরেদের জোট”, ‘ইন্ডিয়া’-কে ফের নিশানা শুভেন্দুর

    স্ক্রাব টাইফাস সংক্রমণের উপসর্গ

    এই রোগের উপসর্গগুলি হল তীব্র মাথাব্যথা, অত্যধিক জ্বর, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, সর্দি কাশি, গলা ব্যথা, পিঠে ও বুকে র‌্যাশ, পেটের সমস্যা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আক্রান্তের চোখ লাল হয়ে যায়। দেখা দিতে পারে গ্রাস্ট্রোইন্টেসটিনাল সমস্য়া,মেনিনজাইটিস। লিভার বেড়েও যেতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে অঙ্গপ্রতঙ্গ কাজ বন্ধ করে দিতে পারে এবং মৃত্যুও হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share