Tag: Himanta Biswa Sarma

Himanta Biswa Sarma

  • NRC: “এনআরসি হবেই, নাম না থাকলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে”, বললেন হিমন্ত

    NRC: “এনআরসি হবেই, নাম না থাকলে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি(NRC) চালু হবে বলে ঠিক চারদিন আগে আশ্বাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। চারদিন পরে আজ শনিবার একই কথা বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।

    কী বলেছিলেন শিবরাজ (NRC)

    শিবরাজ বলেছিলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে এসে আধার কার্ড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি তৈরি করে ফেলছে। ভোটার কার্ডও তৈরি হচ্ছে। সেসব রুখতেই রাজ্যে এনআরসি চালু করবে বিজেপি। আর এদিন হিমন্ত বললেন, “এনআরসি হবে। তাতে যাদের নাম থাকবে না, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর জেরে বদলে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের জনবিন্যাস।”

    কী বললেন হিমন্ত

    সে প্রসঙ্গেই এক প্রশ্নের উত্তরে হিমন্ত বলেন, “এনআরসি হবেই। তাতে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে না, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এটাই আমাদের নীতি।” তিনি বলেন, “এনআরসি কার্যকর হলে সবাইকে তাদের বক্তব্য এবং নথি পেশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।” তিনি বলেন, “সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এবং আপনি যদি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে আমরা আইনি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব।” হিমন্ত বলেন, “অসমে আমরা ১৪ লাখ লোককে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছি, যারা ভারতীয় নয়।”

    আরও পড়ুন: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে আমাদের একটি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছি, যাতে এটা আর একবার করতে পারি। যদি সুপ্রিম কোর্ট আমাদের দ্বিতীয়বার সংশোধনের অনুমতি দেয়, তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে (NRC)।” বিজেপির অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা, পাকুড়, দেওঘর, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় বাড়ছে অনুপ্রবেশ। যার ফলে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। ঝাড়খণ্ড যখন বিহার থেকে আলাদা হল তখন এর জনসংখ্যার ৩৬ শতাংশ ছিল আদিবাসী। এখন সেটা কমে গিয়ে হয়েছে ২৪ শতাংশ। সেই কারণেই অনুপ্রবেশ রোখা দরকার। আর তা করতে গিয়েই এনআরসি (NRC) চালু করতে চায় বিজেপি (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।  

     

  • Himanta biswa Sarma: “এনআরসি’তে আবেদন না করলে মিলবে না আধার”, বড় ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta biswa Sarma: “এনআরসি’তে আবেদন না করলে মিলবে না আধার”, বড় ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড ইস্যু করার নিয়মে বড় ঘোষণা করল অসমের বিজেপি সরকার। এনআরসিতে আবেদন না করলে আধার নয়, এমনই ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।অনুপ্রবেশকারী শনাক্তকরণের লক্ষ্যে সে রাজ্যে আধার কার্ড পেতে হলে এনআরসিতে আবেদন করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল। শনিবারই সাংবাদিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta biswa Sarma)।

    কী বলছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta biswa Sarma) 

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta biswa Sarma) বলেছেন, ‘‘আধার কার্ডের জন্য আবেদন করাটা শুধু নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার আবেদন করা নয়। এর মধ্যে বহু সন্দেহভাজন নাগরিক আছেন। সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার থেকে আধার কার্ডের জন্য এনআরসিতে আবেদনের রিসিপ্ট নম্বর দিতে হবে।’’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অনুপ্রবেশকারী বিদেশিদের চিহ্নিত করতে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অসমে আর আধার কার্ড পাওয়াটা সহজ হবে না।’’

    জনসংখ্যার চেয়েও আধারের আবেদনের সংখ্যা বেশি

    অসম সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যের চার জেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক আধার কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে, যা সেখানকার মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এই চার জেলা হল, বরপেটা-১০৩.৭৪ শতাংশ, ধুবরি-১০৩ শতাংশ, মরিগাঁও এবং নগাঁও-১০১ শতাংশ করে। কাকে আধার কার্ড দেওয়া হবে, আর কাকে নয়, তা ঠিক করার ক্ষমতা রাজ্যের হাতেই আছে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত।

    নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের পরেই নতুন আধার কার্ড দেওয়া হবে

    হিমন্ত (Himanta biswa Sarma) বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, অসমে জেলার কমিশনার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিলে, তবেই নতুন আধার কার্ড দেওয়া হবে। ওই নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও খতিয়ে দেখবে রাজ্য সরকার। আবেদনকারীর কাছে যদি এনআরসি-র আবেদনপত্রের নম্বর থাকে এবং ২০১৪ সালের আগে থেকে যদি রাজ্যের বাসিন্দা হওয়ার নথি থাকে, তবেই তাঁকে আধার কার্ড দেওয়া হবে।’’

    বেআইনি অনুপ্রবেশের খবর সরকারকে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

    প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে পড়শি দেশ বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভারতে ঢুকে পড়েছেন বলে খবর। সেই বিদেশি নাগরিকদের চিহ্নিত করতে সরকার কোনও খামতি রাখবে না বলে জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পাশাপাশি, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের বেআইনি অনুপ্রবেশের খবর সরকারকে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    Himanta Biswa Sarma: আর নমাজ বিরতি পাবেন না অসমের মুসলমান বিধায়করা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়েছিল ইংরেজ জমানায়। আর তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে তাকে জারি রেখেছিল কংগ্রেস। ফি শুক্রবার অসম বিধানসভায় থাকত দু’ঘণ্টার নমাজ বিরতি (Namaz Break)। এবার তাতেই কাঁচি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।

    নমাজ বিরতিতে কোপ (Himanta Biswa Sarma)

    বিধানসভায় ঘোষণা করে দিলেন, জুম্মাবারের নমাজ আদায়ের বিরতি আর মিলবে না। তাঁর সাফ কথা, ঔপনিবেশিক আমলের অভ্যাসে বদল আনতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি ও বিধায়কদের ধন্যবাদও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুসলমানদের কাছে শুক্রবার হল জুম্মাবার। এদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত নমাজ পাঠের বিরতি পেতেন অসমের মুসলমান বিধায়ক ও কর্মীরা। ইংরেজ আমল থেকে চলে আসা এই প্রথায়ই এবার ইতি টানলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: হিন্দু-নির্যাতনের নয়া ভিডিও ভাইরাল, মৌলবীর কীর্তিতে অবাক দুনিয়া

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তিনি বলেন, “হিন্দু ও মুসলমান বিধায়করা মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। আমাদের বিধানসভার হিন্দু ও মুসলমানরা বিধায়কের রুলিং কমিটিতে বসে এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দু’ঘণ্টা বিরতি ঠিক নয়। আমাদের এই সময়ও কাজ করা উচিত।” তিনি বলেন, “এই প্রথাটি ১৯৩৭ সালে শুরু হয়েছিল। গতকাল থেকে বন্ধ করা হয়েছে (Himanta Biswa Sarma)।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালে অসম বিধানসভায় এই প্রথা চালু করেছিল মুসলিম লিগ। সেই সময় থেকেই রাজ্যের মুসলিম বিধায়করা প্রতি শুক্রবার দু’ঘণ্টার জন্য নমাজ আদায়ের বিরতি পেতেন। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুক্রবারও (Namaz Break) বিধানসভার কাজ হবে স্বাভাবিকভাবে। প্রতিদিনই বিধানসভায় কাজ শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায় (Himanta Biswa Sarma)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Himanta Biswa Sarma: মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ-বিচ্ছেদে আসছে রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা অসম সরকারের

    Himanta Biswa Sarma: মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ-বিচ্ছেদে আসছে রেজিস্ট্রেশন, বড় ঘোষণা অসম সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে আরও একটি বড় পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এবার মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদে (Muslim Marriages and Divorces) রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা আনতে চলেছে অসম সরকার। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শীঘ্রই রাজ্য সরকারের তরফে নতুন একটি বিল আনা হবে। পরবর্তী অধিবেশনে এই বিল আনা হবে। সেখানে মুসলিমদের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হবে।”

    ঠিক কী বলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)?

    অসমে এই বিলের নামকরণ করা হবে অসম কমপালসরি রেজিস্ট্রেশন অব ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স। বিলের খসড়া মোটামুটি ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “রাজ্যের বাল্যবিবাহের হার কামাতেই এই বিল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবাহ-বিচ্ছেদের (Muslim Marriages and Divorces) রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হলে, ১৮ বছরের কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে বন্ধ করা আরও সহজ হবে। বিলে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্ক না হলে, বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। তবে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বিলের পাশাপাশি আরেকটি নতুন বিল আনা হবে, যেখানে লাভ জিহাদ-কে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। অপরাধ প্রমাণ হলে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হবে। একই ভাবে ভিন্ন ধর্মে জমি হস্তান্তর আটকাতে বিশেষ ভাবনাচিন্তা করছে সরকার।”

    আরও পড়ুনঃ ধর্মান্তরণে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা, রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    বাল্য বিবাহের রেজিস্ট্রেশন বাতিল

    বুধবার অসম ক্যাবিনেটের পক্ষ থেকে মুসলিম রেজিস্ট্রেশন বিল ২০২৪ অনুমোদন করা হয়েছে। এই বিলে বলা হয় মুসলমানদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশনে কাজিদের হাত থাকবে না। রাজ্য সরকার এবার থেকে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে। এই বিল আইনে পরিণত হলে বাল্য বিবাহের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। উল্লেখ্য ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেছিলেন, খুব দ্রুত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা হবে। রাজ্য সরকার, অসম রিপিলিং বিল ২০২৪-এর মাধ্যমে অসম মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ (Muslim Marriages and Divorces) নিবন্ধন আইন এবং বিধি ১৯৩৫ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাবিত নতুন আইনের সঙ্গে এই বাতিলের ঘোষণা রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীরা পাবেন মাসিক উপবৃত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব উদ্যোগ অসমে

    Himanta Biswa Sarma: উচ্চশিক্ষায় ছাত্রীরা পাবেন মাসিক উপবৃত্তি, বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিনব উদ্যোগ অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিল অসম সরকার। উচ্চ শিক্ষা নেওয়া মেয়েদের মাসিক উপবৃত্তি ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সরকারি-চালিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রীদের জন্য মাসিক আর্থিক সহায়তা দিতে নতুন প্রকল্প চালু করল অসম সরকার।

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? (Himanta Biswa Sarma)

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “নতুন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিজুত ময়না’। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে এই গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অসম পুলিশ বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে দুটি বড় অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনার এক বছর পর এই প্রকল্প চালু করা হল। এই প্রকল্পটি সকলের জন্য করা হয়েছে। তবে, যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান না, তারা স্বেচ্ছায় এই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    ছাত্রীরা কত টাকা করে পাবেন?

    অসম (Assam) সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষাবর্ষের ১০ মাস ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একজন ছাত্রী ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। স্নাতক স্তরে একজন ছাত্রী প্রতি মাসে ১২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্রী ১০ মাসের জন্য প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা পাবে। এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি প্রাথমিকভাবে ছাত্রীদের প্রথম বছরের জন্য হবে। এই প্রকল্পের দুটি শর্ত রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর উপস্থিতি এবং তার “চরিত্র”-এর রেকর্ড বজায় রাখতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বা স্নাতক স্তরে থাকাকালীন বিবাহিত মেয়েদের জন্য বা মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদদের কন্যাদের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি প্রযোজ্য হবে না। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রথম বিভাগ পাওয়ার জন্য যারা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে স্কুটার পাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে না।

    অসমে বাল্যবিবাহ কোথায় বেশি?

    জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, অসমে (Assam) ৩১.৮ শতাংশ মেয়ে ২০-২৪ বছর বয়সের মধ্যে মা হয়েছেন। তার মানে তাঁদের বিয়ে হয়েছে ১৮ বছরের আগে। মূলত ৩০ শতাংশ মেয়ের ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়। ফলে তাঁরা অপুষ্টিতে ভোগেন। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন এবং পারিবারিক হিংসার শিকার হন। মধ্য ও নিম্ন অসমে বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বেশি।

    ১০ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন!

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”দক্ষিণ সালমারা এবং ধুবরি জেলায় ৫০ শতাংশেরও বেশি মেয়ের ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। আমরা প্রায়ই দেখি যে তারা ১২-১৩ বছরের মধ্যে মা হয়ে যায়। আমরা বিশ্বাস করি, বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে শিক্ষাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বিবাহের বয়স যদি আমরা আরও এক বা দুই বছর বাড়াতে পারি, তাহলে আমরা বাল্যবিবাহ এবং কিশোরী বয়সে গর্ভাধারণ বন্ধ করতে সক্ষম হব। সরকার ১০ লক্ষ ছাত্রীকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে চায়। এই প্রকল্পে পরবর্তী চার বছরের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা প্রস্তাবিত খরচ ধরা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’-এর মামলায় দোষীকে যাবজ্জীবন, এবার নতুন আইন আনছে অসম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহেই ‘লাভ জিহাদ’ রোধে কঠোর আইন আনার ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) মামলায় আরও কড়া অসম সরকার। দোষীকে দেওয়া হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা। নয়া আইন আনছে অসমের বিজেপি সরকার। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এদিন তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচনের সময় ‘লাভ জিহাদ’-এর কথা বলেছিলাম। শীঘ্রই সেই আইন আনা হচ্ছে, যাতে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় দোষীর।” একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসমে ‘জমি জেহাদ’ রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর সহজ হবে না।

    ঠিক কী জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা? (Himanta Biswa Sarma) 

    রবিবার গুয়াহাটিতে ছিল রাজ্য বিজেপির বৈঠক। সেখানেই নিজের বক্তৃতায় ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। লাভ জিহাদ ছাড়াও অসম সরকার আরও বেশ কিছু বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে বলেও এদিন জানান তিনি। এরমধ্যে অন্যতম হল হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সম্পত্তি বিক্রি। এবার থেকে রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনাবেচা করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে আগে অনুমোদন নিতে হবে। 

    হিমন্ত বলেন, ”সরকার এই ধরনের লেনদেনে বাধা দিতে পারে না। তবে সরকার ঠিক করেছে এই ধরনের লেনদেনের আগে সরকারি অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে।” অর্থাৎ সরকার অনুমতি দিলে তবেই একজন হিন্দু তাঁর জমি একজন মুসলিমকে অথবা একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর জমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়াও অসমের সরকারি চাকরি কারা পাবেন তা নিয়েও সরকার একটি নতুন নীতি (Assam law) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে বলে জানান হিমন্ত।

    আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে সেবাভারতীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ চার্চের পুরোহিতরা 

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা  

    এদিন এই বক্তৃতার মাঝেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অসমের মানুষ সুসংবাদ পাচ্ছে। কংগ্রেসের কাছে ছাড়াইদেও মৈদামকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা তা করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ছাড়াইদেও মৈদাম বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অসম নতুন ইতিহাস গড়তে সক্ষম হয়েছে।” এছাড়াও তিনি বলেন, ”বিজেপি রাজ্যের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তিনি সবসময় অসমের উন্নতির চিন্তা করেন। সামনেই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করি যে আমরা ৫টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিতব। গত ৩ বছর ধরে আমরা অসমের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৬ সালে অসমে বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসবেই, কেউ এটা আটকাতে পারবে না।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Highway: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে ৫০,০০০ কোটি টাকার ৮টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন মোদির

    National Highway: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে ৫০,০০০ কোটি টাকার ৮টি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগকে আরও উন্নত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ৮টি জাতীয় মহাসড়ক (National Highway) প্রকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য ছাড়পত্রের কথা জানিয়েছে শুক্রবার। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশের জন্য আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সরকার বিশ্বাস করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে আনুমানিক ৪.৪২ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

    কী বলেলেন মোদি (National Highway)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর মোদি (Narendra Modi) বলেছেন, “মোট ৯৩৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আটটি জাতীয় মহাসড়ক (National Highway) উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সড়ক প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির উপর বহুগুণ প্রভাব ফেলবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে। ভারতের যোগাযোগ পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৫০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে জাতীয় হাই-স্পিড রোড করিডর নির্মিত হবে। সরকার ন্যূনতম জমি অধিগ্রহণ করে প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করবে।”

    ৮ টি জাতীয় মহাসড়কের নাম

    কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে সরকারের এই ৮টি জাতীয় সড়ক (National Highway) প্রকল্পের বিষয়ে বিশদ জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের জাতীয় সড়কগুলি হল, ৬-লেনের আগ্রা-গোয়ালিয়র মহাসড়ক, ৪-লেনের খড়্গপুর-মোরগ্রাম, ৬-লেনের থারাদ-দিসা-মেহসানা-আমেদাবাদ, ৪-লেনের পথালগা-রায়পুর-রাঁচির গুমলা, ৬-লেন কানপুর রিং রোড, ৪-লেন উত্তর গুয়াহাটি বাইপাস, এবং পুনের কাছে ৮-লেন এলিভেটেড নাসিক ফাটা–খেদ করিডোর।”

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ঘোষণা, সেনা-গোয়েন্দাদের তথ্য দিলে মিলবে ৩ হাজার, আগে ছিল ৫০ টাকা

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মার অভিনন্দন

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দ্বারা অনুমোদিত গুয়াহাটি রিং রোড (National Highway) প্রকল্পের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “খুব চমৎকার খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদ ৫৭২৯ কোটি টাকার গুয়াহাটি রিং রোড প্রকল্পকে অনুমোদন করেছে। তাই অসমবাসীর পক্ষ থেকে এই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করিজিকে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই।”

    উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হল গুয়াহাটি। এখানে ১২১ কিমি একটি রিং রোড তৈরি করা হবে। ৪ লেন উত্তর গুয়াহাটি বাইপাস ৫৬ কিলোমিটার হবে। এনএইচ ২৭কে ৪ লেনের এবং বাইপাসকে ৬ লেন করা হবে। একই ভাবে প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর একটি বড় সেতুও নির্মাণ করা হবে। গুয়াহাটি রিং রোড জাতীয় মহাসড়ক ২-এর যানজটকে নির্মূল করে নির্বিঘ্ন সংযোগ প্রদান করবে। এই রিং রোডটি গুয়াহাটির আশেপাশের প্রধান জাতীয় মহাসড়কগুলির যানজট কমিয়ে দেবে। আর সেইসঙ্গে শিলিগুড়ি, শিলচর, শিলং, জোড়হাট, তেজপুর, জোগিগোফা এবং বারপেটাড় মতো শহরগুলিকে সংযুক্ত করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    Assam: অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা, চোখ কপালে তুলবে পরিসংখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সিংহভাগই মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত। অসমকেও (Assam) সিংহভাগ দেশবাসী সেরকমই একটি রাজ্য হিসেবে চেনেন। তবে তাঁদের ধারণা ভুল। এক সময় অসম উপজাতি অধ্যুষিত (Muslim Population) একটি রাজ্য হলেও, বর্তমানে আর তা নয়। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যার গ্রাফ। ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। আগামী তিন দশকের মধ্যে অসম মুসলমানরাই হয়ে পড়বেন সংখ্যাগুরু। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কিছু দিন আগেই বলেছিলেন, “দু’দশকের মধ্যেই অসমে হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় সমান সমান হয়ে যাবে।”

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Assam)

    জানা গিয়েছে, মুসলমান জনসংখ্যার এই ‘হাইপে’র নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। গত শতাব্দীতে দলে দলে বাংলাদেশি মুসলমান ঢুকেছে এ দেশে। তাই এ রাজ্যে তাদের জনসংখ্যাই বাড়ছে হু হু করে। প্রতিটি জনগণনায়ই দেখা যাচ্ছে, অসমে কমছে অসমিয়া ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা। দ্রুত কমছে তারা। এই জায়গাটা দখল করছে বাংলাভাষী মুসলমানরা। প্রতিটি দশকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাদের সংখ্যা। যাঁরা বামপন্থী ঘরানার, তাঁরা বলবেন এর কারণ অনুপ্রবেশ নয়। তবে বাস্তব বলছে অন্য কথা (Assam)। জানা গিয়েছে, এ দেশে যত অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশ থেকে ঢোকে, তার সিংহভাগই ঢোকে অসম দিয়ে।

    আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ বন্ধে কঠোর আইন আনছে যোগী সরকার, কী আছে বিলে জানেন?

    মুসলমান জনবিস্ফোরণ আতঙ্কের কারণ

    অসমে যে ক্রমেই মুসলমান জনবিস্ফোরণ আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়েছে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। দিন কয়েক আগে তিনি বলেছিলেন, “এই মুহূর্তে অসমের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই মুসলিম। ২০৪১ সালে মুসলিম প্রধান রাজ্য হয়ে উঠবে অসম। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেছিলেন, “১০ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে।” তিনি বলেন, “মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে কংগ্রেসের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাহুল গান্ধী যদি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্র্যান্ড অ্যাস্বাসাডর হন, তাহলে তা সম্ভব হবে। কারণ এই ধর্মের মানুষ কেবল তাঁর কথা শোনে।” অসমের মতোই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা ঘেঁষা রাজ্য ঝাড়খণ্ডেরও। বাংলা হয়ে সেখানেও ঢুকছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। উপজাতি সম্প্রদায়ের তরুণীদের বিয়ে করে দখল করছে জমি-জিরেত। যার জেরে ঝাড়খণ্ডেও বদলে যাচ্ছে ডেমোগ্রাফি। মাটি হারাচ্ছেন উপজাতির লোকজন। ঘাঁটি গাড়ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। সেই ঝাড়খণ্ডের মাটিতেই দাঁড়িয়ে অসমের ভয়ঙ্কর ছবিটা তুলে ধরেছেন হিমন্ত।

    সেনসাসের রিপোর্ট

    মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মেলে গত কয়েকটি সেনসাসের রিপোর্ট দেখলেই। ২০১১ সালে অসমে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১,৯১,৮০,৭৫৯। মুসলমান ছিল ১.০৬,৭৯,৩৪৫। ২০২১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ২,১২,৬৯,৫৪৩। মুসলমান জনসংখ্যা ১,৩৮,৩৯,৩৬৩। ২০৩১ সালে এটা হতে পারে হিন্দু ২,৩৫,৮৫,৭৬৯। মুসলমান হতে পারে ২,৭৯,৩৪,৪৩১। ২০৪১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা হতে পারে ২,৬১,৫৪,২৯০। মুসলমান জনসংখ্যা হবে ২,৩২,৪১,২২২। ২০৫১ সালে এটাই হবে হিন্দু ২,৯০,০২,৪৯২। মুসলমান ৩,০১,১৮৩০৮। ১৯৫১ সালে ১৬ শতাংশ জনসংখ্যা বেড়ে  অসমে হিন্দু জনসংখ্যা হবে ২ কোটি ৯০ লাখ। এই সময় ৩০ শতাংশ মুসলমান বেড়ে হবে ৩ কোটি। যার অর্থ, এ রাজ্যে মুসলমানরাই (Assam) হবে সংখ্যাগুরু। মুসলমানদের এই জনসংখ্যার (Muslim Population) একটা বড় অংশই অনুপ্রবেশকারী। যার জেরে ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে অসমিয়া ভাষা। গত কয়েক দশকে এর আকার হয়েছে ভয়ঙ্কর।

    বিপন্ন অসমিয়া ভাষা

    অসমের দুটি অংশ। দক্ষিণাংশটি পরিচিত বরাক ভ্যালি নামে। এখানে হিন্দু রয়েছেন ১২ লাখ। ব্রহ্মপুত্র ভ্যালিতে রয়েছে প্রায় ২৮ লাখ বাঙালি। ২০১১ সালের জনগণনায় দেখা গেল, ৯০ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিজেদের বাংলাভাষী বলে দাবি করেছে। যার অর্থ হল, ৫০ লাখ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি, তাদের মাতৃভাষা বাংলা বলে জানিয়েছিলেন জনগণনাকর্মীদের। ১৯৯১ সালে ভাষাভিত্তিক জনগণনায় দেখা গিয়েছিল অসমিয়া ভাষায় কথা বলেন রাজ্যটির ৫৭.৮১ শতাংশ মানুষ। এর পরের দুদশকে দেখা গিয়েছে এই সংখ্যাটা বাড়ে তো নিই, উল্টে কমেছে। হয়েছে ৪৮.৩৭ শতাংশ। ওই সেনসাসেই জানা গিয়েছিল বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা ছিল ২১.৬৭ শতাংশ। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৮.৯৩ শতাংশ।  

    মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে

    ভাষা বদলের এই ছবি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে নামনি অসমের বরপেটা, ধুবড়ি-সহ মুসলমান অধ্যুষিত ৭ জেলায়। ১৯৯১ সালের জনগণনায় দেখা গিয়েছে, ওই সাত জেলায় অসমিয়া ভাষায় কথা বলতেন ৫৩ লাখ ২৯ হাজার ২৯ জন। ২০১১ সালে এটাই বেড়ে হয়েছে ৫৭ লাখ ২০ হাজার ৪৬৬ জন। মাত্র ২০ বছরের ব্যবধানে ওই জেলাগুলিতেই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫.৯৯ শতাংশ। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, অসমে (Muslim Population) বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “সরকারি কর্মসূচিতে নিরামিষ খাবার”, ভিআইপি সংস্কৃতির অবসানে বিরাট ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি সোমবার একটি প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। সরকারি কর্মসূচিতে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হবে।” একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ের গাড়ি সংখ্যা কমিয়ে এবার থেকে ১০ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। তাঁর এই ঘোষণা অসমের জন্য যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বলেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam)?

    অসমের (Assam) দিসপুরে সোমাবার জেলা শাসকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) । তিনি বলেন, “আমি সরকারি অনুষ্ঠানগুলিতে অতিরিক্ত খাবার ব্যবস্থা সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তাই আমরা কড়া অবস্থান নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করব। আমাদের সরকার ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাবে। এখন থেকে কেবল মাত্র নিরামিষ এবং সাত্ত্বিক আহার পরিবেশন করা হবে সব অনুষ্ঠানে। সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের কাছে আমার স্পষ্ট বার্তা যে কোনও সরকারি কাজের জন্য অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে হবে। কোনও মন্ত্রী বা পদাধিকারী জেলা বা মহকুমায় গেলে তাঁদেরকে নিজের খরচে হোটেল খাবার খেতে হবে। আমি সম্প্রতি ডিব্রুগড়ে গিয়েছিলাম, সেখানে নিজের খরচে একটি ধাবায় খাবার খেয়েছিলেম। সরকারি অনুষ্ঠানে এবার থেকে সকলের জন্য নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে অন্যরাজ্য বা বিদেশি অতিথিদের জন্য আমিষ আহারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।”

    আরও পড়ুনঃ পাইন গাছের বর্জ্য ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জনের সুযোগ, পথ দেখাচ্ছেন দুই বোন

    ভিআইপি কালচার নিয়ে কী বলেন

    মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Assam) নিজের এক্স হ্যান্ডলে ভিআইপি সংস্কৃতি নিয়ে একটি পোস্টে বলেছেন, “আমাদের সরকার ভিআইপি কালচারকে শেষ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যারিকেডের সংখ্যা কমিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের গাড়ির সংখ্যা কম করতে হবে। মোট ১০টি গাড়ির বেশি যেন না রাখা হয়। একই ভাবে অন্য মন্ত্রী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জন্য গাড়ির সংখ্যায় সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তাঁদের কনভয়ে থাকবে একটি করে গাড়ি।”

    তিনি আরও বলেন, “দেশের জিডিপিতে অংশ নেওয়া আমাদের রাজ্যের জেলাগুলির উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। রাজ্যের রিপোর্টের সঙ্গে এবার থেকে জেলার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ করে নতুন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ করাতে হবে। একই ভাবে বন্যা কবলিত এলাকায় ১২ অগাস্টের মধ্যে পুনর্বাসন অনুদান পৌঁছে দিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান জনসংখ্যা। আর এটাই অসমিয়াদের কাছে জীবন-মরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি জানান, অসমে মুসলমান জনসংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে (Changing Demography)। ১৯৫১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, অসমে মুসলমান ছিলেন মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্তের কারণে বদলে গিয়েছে অসমের ডেমোগ্রাফি। এনিয়ে ওই বৈঠকে উদ্বেগও প্রকাশ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদল উদ্বেগের বই কি! এটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়, বরং আমার কাছে এটি জীবন-মরণের সমস্যা।”

    অসমের ডেমোগ্রাফি বদল (Himanta Biswa Sarma)

    গত কয়েক দশকে কীভাবে অসমের ডেমোগ্রাফি বদলে গিয়েছে, সেই ছবিও তুলে ধরেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “১৯৫১ সালে অসমে মুসলিম জনসংখ্যার হার ছিল ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। এখন এটাই বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ।” তিনি বলেন, “আমরা অনেকগুলো জেলা হারিয়েছি (এই জেলাগুলিতে বর্তমানে মুসলমানরাই সংখ্যাগুরু। বোধহয় এই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছে হিমন্ত)। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়াটা আমার কাছে একটা বড় ইস্যু।” ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই যে রাজ্যে মুসলমানদের এই বাড়বাড়ন্ত, তাও মনে করিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বাংলাদেশের মুসলমানদের ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশের ফলেই মুসলমানদের সংখ্যা এত বেড়ে গিয়েছে। আমাদের সরকার প্রতিদিন প্রচুর অনুপ্রবেশকারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।”

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    ডেমোগ্রাফি বদলে যাওয়ার নেপথ্যেও যে তুষ্টিকরণের রাজনীতি রয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন হিমন্ত। বলেন, “আমি মনে করি, অসমের জনসংখ্যার সমস্যার সমাধান করা কংগ্রেসের দায়িত্ব। কারণ রাজ্যের সংখ্যালঘুরা কংগ্রেস নেতাদের কথা শোনেন। তাঁরা নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে রাহুলকেই বেছে নেবেন। তাঁরা আমায় শত্রু মনে করেন।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “রাহুল গান্ধী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অভিযানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলে, আগামিকাল থেকেই অসমের জনসংখ্যা বৃদ্ধি কমবে ব্যাপকভাবে।”

    হু হু করে বাড়ছে মুসলমান

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রাজ্যে প্রতি দশ বছরে মুসলমান জনসংখ্যা বাড়ছে ৩০ শতাংশ করে। সেই হিসেবে ২০৪১ সালে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে উঠবেন মুসলিমরাই। এটাই বাস্তব। কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি বলেন, “দশ বছরে ১৬ শতাংশ করে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যে। আমাদের সরকার মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসংখ্যা কমাতে পদক্ষেপও করছে।”

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ

    বাংলাদেশি মুসলমানদের অনুপ্রবেশের ফলে যে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, দিন কয়েক আগেই সে সংবাদ পরিবেশন করেছিল মাধ্যম। সেই প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে পশ্চিমবাংলা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জাল নথি বানিয়ে বাংলার সীমানায় থাকা ঝাড়খণ্ডে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। সেখানকার আদিবাসী মহিলাদের বিয়ে করে তারা জমি হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল ওই প্রতিবেদনে। এই অনুপ্রবেশের ফলেই যে ঝাড়খণ্ডের ডেমোগ্রাফিও বদলে যাচ্ছে, তারও খতিয়ান পেশ করা হয়েছিল মাধ্যমের ওই প্রতিবেদনে।

    হিমন্তর আশ্বাস

    অসমের মতো ঝাড়খণ্ডেও যে অনুপ্রবেশকারীরাই মাথাব্যথার কারণ, তা ভালোই বুঝেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “রাজ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার রয়েছে। অনুপ্রবেশ রুখতে তারা কোনও কঠোর পদক্ষেপ করছে না। উপজাতির তরুণীদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছে তারা। পরে করছে ধর্মান্তকরণ। সরকার এসব জেনেশুনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।” ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সরকার বদলের ডাকও দেন হিমন্ত। আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ করবে বলেও আশ্বাস দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    ঝাড়খণ্ড সরকার হাত গুটিয়ে কেন?

    তিনি বলেন, “এ রাজ্যেও ঝাড়খণ্ডের বাইরে থেকে আসছে অনুপ্রবেশকারীরা। আদিবাসী তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করছে। এসবই ঘটছে জেএমএম-কংগ্রেস জোট শাসকের ছত্রছায়ায়। অসমও সীমান্ত ঘেঁষা রাজ্য। সেখানেও আমি প্রতিদিন লড়াই করছি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে। তাহলে লাগাতার অনুপ্রবেশ চলতে থাকলেও ঝাড়খণ্ড সরকার কেন হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে?” অনুপ্রবেশকারীদের স্বদেশে ফেরানোটা যে রাজ্য সরকারেরই কর্তব্য, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাকিস্তানের প্রাক্তন এসএসজি কমান্ডোরা!

    প্রসঙ্গত, পয়লা জুলাইও কোনও ধর্মের নাম না করেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের এক শ্রেণির মানুষকে নিশানা করেছিলেন (Changing Demography) অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, অসমের অপরাধমূলক কাজকর্মকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এরাই। তিনি অবশ্য এ-ও বলেছিলেন, “আমি বলছি না যে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষই কেবল অপরাধ করছে। যদিও অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পরে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয় (Himanta Biswa Sarma)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share