Tag: Himanta Biswa Sarma

Himanta Biswa Sarma

  • Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: “জন্মনিয়ন্ত্রণও করতে হবে”, মিয়াদের গুচ্ছ শর্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়ে গিয়েছে সিএএ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অনেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করেছে। এ দেশে ঠাঁই হবে, নাকি স্বদেশে ফিরে যেতে হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় কাঁটা এরা। অসমে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানরা ‘মিয়া’ নামে পরিচিত।

    হিমন্তের শর্ত (Himanta Biswa Sarma)

    শনিবার তাদের অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার গুচ্ছ শর্ত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “মিয়া সম্প্রদায়কে অসমের আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে গেলে কিছু সাংস্কৃতিক অনুশীলন ও নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।” পরিবার সীমাবদ্ধ রাখতে হবে দুই সন্তানের মধ্যে। বহুবিবাহ না করা, নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার শর্তও আরোপ করা হয়েছে।

    কী বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী? 

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “মিয়ারা অসমের আদি বাসিন্দা কিনা, সেটা ভিন্ন বিষয়। আমরা বলতে চাই, তারা যদি অসমের আদি বাসিন্দা হয়ে ওঠার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এজন্য তাদের ত্যাগ করতে হবে বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহের অনুশীলন। উৎসাহ দিতে হবে নারী শিক্ষায়। আমি সব সময় বলি, মিয়াদের অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের দু’-তিনজন করে স্ত্রী থাকতে পারে না। এটা অহমিয়া সংস্কৃতি নয়। বৈষ্ণব মঠের জমি দখল করে কীভাবে কেউ অসমের আদি বাসিন্দা হওয়ার দাবি জানায়?”

    আরও পড়ুুন: “আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত”, সেনাদের সঙ্গে হোলি খেলে বললেন রাজনাথ

    মিয়াদের ছেলেমেয়েরা সচরাচর সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা না করে মাদ্রাসা বোর্ডে শিক্ষা গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মিয়াদের মাদ্রাসা বোর্ডে পড়াশোনা করার বদলে সরকারি বোর্ডে পড়াশোনা করা উচিত। ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো প্রয়োজন। মিয়ারা মহিলাদের শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে জোর দিক।” পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারও মহিলাদের পাওয়া উচিত বলে সাফ জানিয়ে দেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    প্রসঙ্গত, অসমের মুসলমানদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ অহমিয়াভাষী। বাকিরা সবাই মিয়া। রাজ্যের ১২৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টিতেই নির্ণায়ক শক্তি মিয়ারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) এহেন মন্তব্যের প্রভাব বিজেপির ঝুলিতে পড়ে কিনা, এখন তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Himanta Biswa Sarma: “অসমে ৩-৬ লাখ মানুষ আবেদন করবেন সিএএতে”, বললেন হিমন্ত

    Himanta Biswa Sarma: “অসমে ৩-৬ লাখ মানুষ আবেদন করবেন সিএএতে”, বললেন হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অসমে ৩ থেকে ৬ লাখ মানুষ সিএএ-র জন্য আবেদন করবেন।” জানিয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। সপ্তাহখানেক আগেই দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। নাগরিকত্ব সংশোধনী এই আইনকে হাতিয়ার করেই ভোট কুড়োতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে সিএএ যে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, তা বারংবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তার পরেও সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    প্রসঙ্গ এনআরসি (Himanta Biswa Sarma)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “অন্ততঃ পক্ষে পাঁচ লাখ বাংলাভাষী হিন্দু, দু’লাখ আদিবাসী অসমিয়া এবং দেড় লাখ গোর্খা এনআরসিতে বাদ পড়েছেন। এঁদের মধ্যে তিন থেকে ছ’লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পেতে সিএএতে আবেদন করবেন।” তিনি জানান, এনআরসিতে অনেকেই বাদ পড়েছেন। নাগরিকত্ব প্রমাণে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না পারায় বাদ পড়েছেন তাঁরা। তাই সিএএতে আবেদন করার বদলে তাঁরা যাবেন ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে।

    প্রসঙ্গ সিএএ

    হিমন্ত জানান, সিএএ লাগু হয়েছে গত সপ্তাহে। ১৯ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আমাদের হাতে প্রায় ৪০ দিন সময় রয়েছে। প্রকৃত ছবিটা বুঝতে এই সময়টা যথেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যেই সিএএতে গুজরাটে নাগরিকত্ব পেয়েছে ১৩টি হিন্দু পরিবার। কিন্তু অসমে এখনও পর্যন্ত খুব বেশি মানুষ আবেদন করেননি। অনেক পরিবার, বিশেষত হিন্দু বাঙালি, বাংলাদেশ থেকে অসমে ঢুকেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরেও। তাঁদের মধ্যেই অনেকে ফিরে গিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরে যাঁরা অসমে এসেছেন, তাঁদের শরণার্থী বলে গণ্য করছে না অসম সরকার।

    আরও পড়ুুন: গ্যাস, জ্বালানির পর এবার ডালের দাম কমাতেও উদ্যোগী মোদি সরকার

    হিমন্ত বলেন, “এরকম অনেক পরিবার রেশন কার্ড নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তাই তাঁদের কাছে নথি বলতে রয়েছে কেবল রিফিউজি রেজিস্ট্রেশন কার্ড, যেটা ইস্যু করেছিলেন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতীক হাজেলা (প্রাক্তন এনআরসি কো-অর্ডিনেটর) এনআরসি আপডেট করার সময় এই কার্ড গ্রহণ করেননি। তাই অনেক নাম বাদ গিয়েছে, প্রায় ১৬ লাখ। এনআরসির ফাইনাল ড্রাফট যা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে, তাতে এঁদের নাম ছিল না।” তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “তাই আমার মনে হয় সিএএতে আবেদন করবেন এ রাজ্যের ৩ থেকে ৬ লাখ মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Uniform Civil Code: মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ইউসিসি-র দিকে এগোচ্ছে অসম?

    Uniform Civil Code: মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ইউসিসি-র দিকে এগোচ্ছে অসম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্সের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি শাসিত অসম। মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যে নাবালিকা বিয়ের প্রথা রয়েছে, তা বন্ধেই এই আইন আনছে সরকার। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত (Uniform Civil Code) করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

    কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, “২৩.০২.২৩ তারিখে অমমের মন্ত্রিসভা একটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি হল বহু পুরানো অসম মুসলিম ম্যারেজস অ্যান্ড ডিভোর্সেস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বাতিল করা।” তিনি জানান, আইনটি চালু হলে মেয়েদের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের বয়স ২১ না হলে বিয়ে করা যাবে না। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই আইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অসম সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালুর দিকে একধাপ এগোল।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আমরা অপেক্ষা করছি উত্তরাখণ্ড বিলের দিকে। কয়েকটি অতিরিক্ত ধারা যোগ করে অসম এটি অনুসরণ করবে।” তিনি বলেন, “আমরা উত্তরাখণ্ডের বিলটি খুঁটিয়ে দেখব। জনগণের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলব। কথা বলব বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও। তার পরেই বিলটিকে নিজেদের মতো করে ফ্রেম করব।”

    অসমের মন্ত্রী জয়ন্ত মল্লবরুয়া বলেন, “দ্য অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫ এর অধীনে ৯৪ জন মুসলিম রেজিস্ট্রার এখনও বিয়ে দিচ্ছেন। আজই তাঁদের বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় আইনটির মৃত্যু হয়েছে। এই আইনে আর কোনও মুসলমানের বিয়ে কিংবা ডিভোর্স নথিভুক্ত হবে না। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টি স্থির করা হবে।” যে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারদের বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে এককালীন দু’লাখ করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    আরও পড়ুুন: জায়গা হয়নি নিরাপত্তা পরিষদে, অনুদানে রাশ টানল ভারত

    ‘এক দেশ, এক আইনে’র ধুয়ো তুলেছিল বিজেপি। সেই মতো তারা দেশজুড়ে লাগু করতে চায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। কেন্দ্র এ ব্যাপারে এখনও সেভাবে উদ্যোগী না হলেও, বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই এই আইন লাগু করতে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, অসমেও এই আইন চালু হতে খুব বেশি দিন বাকি নেই। যার প্রথম ধাপটি হল, অসম মুসলিম ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্সের রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৯৩৫ বাতিল করার সিদ্ধান্ত (Uniform Civil Code)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • UCC: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    UCC: উত্তরাখণ্ডের পর এবার অসম, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পেশ হচ্ছে বিধানসভায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগীরথ হয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলেছে অসমের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রাজ্যে যে বাজেট অধিবেশন হবে, তখনই পেশ করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC)। উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। পাশ হয়েছে অসম মন্ত্রিসভায়ও। এবার সেটি পেশ করা হবে বিধানসভায় অনুমোদনের জন্য।

    মন্ত্রিসভায় পাশ

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, বহুবিবাহ বিল ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি দুটি বিলই পাশ হয়েছে মন্ত্রিসভায়। এবার এই দুটি বিলকে আইনে পরিণত করতে বিধানসভায় পাশ করানো হবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে বহু বিবাহকারী ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লঙ্ঘনকারীকে সিভিল অফেন্স হিসেবে গণ্য করা হবে। হিমন্ত বলেন, “দেশের প্রয়োজন একটিই নীতি। তাই আমরা বিধানসভা বহু বিবাহ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করাব। বহু বিবাহ বিল ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মধ্যে ঐক্যসাধন করতে অসম সরকার একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিল দুটি চূড়ান্ত করলে, চলতি বাজেট অধিবেশনেই তা পেশ করা হবে। তা না হলে এই বিল দুটি পেশ করা হবে পরবর্তী অধিবেশনে।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (UCC) পক্ষে সওয়াল করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। তিনি বলেছিলেন, “সব মুসলমান মহিলাদের ন্যায় বিচার দেওয়ার জন্য এই আইন প্রবর্তন করা প্রয়োজন। কারণ প্রতিটি মুসলিম মহিলা চান অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হোক। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আমার কোনও ইস্যু নয়, এটা মুসলমান মহিলাদের চাহিদা। কারণ কোনও মুসলমান মহিলাই চাইবেন না যে তাঁর স্বামী ঘরে আরও তিনটি স্ত্রী নিয়ে আসুক।” তিনি বলেন, ‘যদি তাঁদের ন্যায় বিচার দিতে হয়, তাহলে তিন তালাক বাতিল করার পরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: আবু ধাবিতে হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধনে মৈত্রীর বার্তা, দ্বারোদঘাটন করবেন মোদি

    বহু বিবাহ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ করার আগেই অসমের মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে আরও একটি বিল। এটি হল, ম্যাজিক্যাল হিলিং প্র্যাকটিসেস। এই পদ্ধতিতে রোগ সারানোর নামে খ্রিস্টান মিশনারিরা ধর্মান্তরিত করেন বলে অভিযোগ (UCC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস! কোচবিহারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অসমে, দাবি হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস! কোচবিহারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অসমে, দাবি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই হিংসা ও অশান্তির (Panchayat election chaos) ঘটনা লেগেই ছিল কোচবিহারে (Cooch Behar)। ভোটের দিন কোচবিহার জেলায় বুথের মধ্যেই খুন হয়েছেন স্থানীয় যুবক। এরপরই নাকি ভয়ে বহু মানুষ অসমে পৌঁছে গিয়েছেন। এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। 

    ট্যুইটবার্তা হিমন্তের

    হিমন্ত বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের জন্য প্রাণের ভয়ে গতকাল ১৩৩ জন অসমের ধুবরি জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাঁদের ত্রাণশিবিরে রাখার ব্যবস্থা করেছি। খাবার ওষুধ ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে।” ধুবরির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঝাপুসাবারির রণপাগলি এমভি স্কুলে ১৩৩ জনকে রাখা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তীব্র অশান্তিতে বিধ্বস্ত বাংলা। একের পর এক রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি, কাটাকাটি, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় প্রত্যেক জেলায় জেলায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও ব্যাপকভাবে এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন। তাঁদেরকেই আশ্রয় দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    ট্যুইটবার্তা শুভেন্দুর

    বিজেপি সমর্থকদের এই সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    তিনি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “আমি অসমের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের অত্যাচারিত বিরোধী দল কর্মকর্তাদের ত্রাণ প্রদানের জন্য, বিশেষ করে বিজেপির যে সমর্থকরা, যাঁরা বারবার নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার হন এবং অসম রাজ্যের কাছাকাছি থাকার কারণে, তাঁরা নিজেদের পরিবারের সাথে সেই রাজ্যে পাড়ি দেওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দয়া করে আমার কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “৬০০ বন্ধ করেছি, আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব”, বললেন হিমন্ত  

    Himanta Biswa Sarma: “৬০০ বন্ধ করেছি, আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব”, বললেন হিমন্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দু বছরে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছি। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করে দেব।” রবিবার কথাগুলি বললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এদিন তেলঙ্গনায় হিন্দু একতা যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন হিমন্ত। এআইএমআইএমের (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসির উদ্দেশে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ওয়াইসিকে বলতে চাই, চলতি বছর আমি আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব।”

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) দাবি… 

    তিনি বলেন, “অসমে লাভ জেহাদি বন্ধে আমরা কাজ করছি। মাদ্রাসা বন্ধেও কাজ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অসমে ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ওয়াইসিকে বলতে চাই, চলতি বছর আরও ৩০০ মাদ্রাসা বন্ধ করব অসমে।” ভারতে বহু বিবাহ প্রথাও যে বন্ধের মুখে, এদিন তাও জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, “ভারতে কিছু লোক বাস করেন, তাঁরা ভাবেন, তাঁরা চারটি বিয়ে করতে পারেন। এটা তাঁদের চিন্তাভাবনা। কিন্তু আমি বলি, আপনারা আর চারটি বিয়ে করতে পারবেন না। সেই দিনের শেষ হতে চলেছে।”

    হিমন্ত বলেন, “ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হচ্ছে। তার পরেই দেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ।” এদিন তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরকেও নিশানা করেন হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma)। বলেন, “এ রাজ্যে রাজার শাসন রয়েছে আর মাত্র পাঁচ মাস। আমরা তেলঙ্গানায় রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। হিন্দু সভ্যতার ওপর ভিত্তি করে আমরা তেলঙ্গানায় রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Himanta Biswa Sarma: আদানি ইস্যুতে রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা?

    Himanta Biswa Sarma: আদানি ইস্যুতে রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলিয়নিয়র গৌতম আদানিকে জড়িয়ে ট্যুইট করেছিলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, সৌজন্যের কারণে বফর্স ও ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারিকাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। শনিবার রাহুল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ তীব্রতর করেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে যা বলা হচ্ছে, তা আসলে বিভ্রান্তি।

    হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)…

    ট্যুইট-বার্তায় রাহুল বলেন, তারা (বিজেপি) সত্যকে চাপা দিচ্ছে। সেই কারণে প্রতিদিন তারা বিপথে চালিত করছে। রাহুল বলেন, আদানির কোম্পানিতে ২০ হাজার কোটি বেনামি টাকা কার? রীতিমতো গ্রাফিক্স দিয়ে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পাঁচ কংগ্রেস নেতার নামোল্লেখ করেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও (Himanta Biswa Sarma)। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন হিমন্ত।

    ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, সৌজন্যের খাতিরে আমরা আপনাকে কখনও জিজ্ঞাসা করিনি বফর্স কিংবা ন্যাশনাল হেরাল্ড কেলেঙ্কারির ব্যাপারে। কীভাবে আপনি ওট্টাভিও কোয়াত্রোচ্চিকে ভারতের বিচার ব্যবস্থার নাগাল এড়িয়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। যাইহোক, আমাদের এবার দেখা হবে আদালতে। বিলিয়নিয়র গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে কেলেঙ্কারির গল্প রটিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফয়দা তুলতে চাইছে কংগ্রেস। তাতেই এবার জল ঢেলে দিলেন হিমন্ত।

    আরও পড়ুুন: সাত রাজ্যে টেক্সটাইল পার্ক গড়বে কেন্দ্র, কর্মসংস্থান হবে ২০ লক্ষ তরুণের

    মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গুজরাটের সুরাট আদালতে দু বছরের কারাদণ্ড হয় রাহুলের। তার জেরে খারিজ হয়ে যায় তাঁর লোকসভার সদস্য পদ। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, তিনি বারংবার জিজ্ঞাসা করবেন আদানি গ্রুপে ২০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করেছেন কে। গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কই বা কি। রাহুল বলেন, বোঝার (Himanta Biswa Sarma) চেষ্টা করুন, আদানিকে নিয়ে মন্তব্য করায় কেড়ে নেওয়া হয়েছে আমার লোকসভার সদস্যপদ। তারা আমার বক্তব্য শুনতে চায় না। তিনি বলেন, মোদির সঙ্গে আদানির সম্পর্ক বেশ গভীর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Himanta Biswa Sarma: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সমান ডিএ (DA) দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। বেশ কিছুদিন অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীদের কয়েকজন। পরে অনশন তুলে নেওয়া হলেও, জারি রয়েছে আন্দোলন। এই আবহে সরকারি কর্মীদের ডিএর হার ৪ শতাংশ বাড়িয়ে কেন্দ্রের সমান করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আমাদের সরকার তার কর্মচারীদের প্রতি যত্নশীল। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে রাজ্যের বেতনভোগী ও পেনশনভোগীদের এখন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির হিসেবে তাঁরা এই নতুন হারে ডিএ পাবেন। বর্তমানে নতুন ডিএর হার ৪২ শতাংশ।

    হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) ট্যুইট-বার্তার উল্লেখ শুভেন্দুর…

    পড়শি রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ায় নয়া অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) ট্যুইট-বার্তার উল্লেখ করে অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, দুঃখজনক যে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকারি কর্মীদের চোর এবং ডাকাত বলে সম্বোধন করে।

    অন্য দিকে, আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে গেরুয়া অভিনন্দন জানাচ্ছি। যিনি সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৪ শতাংশ হারে বাড়িয়ে তা কেন্দ্রের দেওয়া ডিএর সমান করে দিয়েছেন। এগিয়ে বাংলা, না বঞ্চিত বাংলা?

    আরও পড়ুুন: ‘হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, শিলিগুড়িতে বললেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্র ডিএ দিচ্ছে ৪২ শতাংশ হারে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ডিএর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে সরকারি কর্মীরা। বকেয়া ডিএর দাবিতেই দু মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে আন্দোলন। 

    এদিকে, বকেয়া ডিএর (Himanta Biswa Sarma) দাবিতে যে ধর্না চলছে, রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াতে এবার তা দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের তরফে অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, টানা তিন দিন ধরে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসছেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে হবে ওই ধর্না। তিনি জানান, ধর্নায় যৌথমঞ্চের অন্তত ১২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    Himanta Biswa Sarma: ‘৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব’, ঘোষণা অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলোও করব। বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। কর্নাটকে বিজেপির (BJP) সভায় তিনি জানান, ধাপে ধাপে রাজ্যের সবকটি মাদ্রাসা (Madrasa) বন্ধ করা হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা অসমের সংস্কৃতি নষ্ট করছে। ওই মাদ্রাসাগুলির পরিবর্তে তিনি যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চান, এদিন তাও জানান হিমন্ত।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন…

    এদিন ভোটমুখী কর্নাটকে বিজেপি আয়োজিত সভায় যোগ দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বেলগাভিজ শিবাজি মহারাজ গার্ডেনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে হিমন্ত বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা অসমে এসেছে, তারা অসমের সংস্কৃতি ও সভ্যতা নষ্ট করছে। এর পরেই তিনি বলেন, আমি ৬০০ মাদ্রাসা বন্ধ করেছি। আমি চাই বাকি মাদ্রাসাগুলোও বন্ধ করতে। কারণ আমরা মাদ্রাসা চাই না। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

    গত বছরই হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) দাবি করেছিলেন, অসম জেহাদিদের হটবেডে পরিণত হয়েছে। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলা পাঁচজন জেহাদি গ্রেফতার হওয়ার পর একথা বলেছিলেন তিনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অন্ততঃ পক্ষে ছ জন জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। স্থানীয় যুবকদের জেহাদি মন্ত্রে দীক্ষিত করতেই তারা এ দেশে প্রবেশ করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দা রিপোর্টে।

    কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি এদিন নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, এক সময় দিল্লির শাসকরা মন্দির ধ্বংসের কথা বলতেন। আর আজ, নরেন্দ্র মোদির শাসনে আমি মন্দির নির্মাণ নিয়ে কথা বলছি। তিনি বলেন, এটাই হল নতুন ভারত। কংগ্রেস এই নতুন ভারতকেই দুর্বল করতে চাইছে। হিমন্ত বলেন, কংগ্রেস নয়া মুঘলদের প্রতিনিধিত্ব করছে।

    আরও পড়ুুন: মিড ডে মিলের হিসেব খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় অডিট দল, ট্যুইট শুভেন্দুর

    এদিন কংগ্রেস ও বামপন্থীদের একযোগে নিশানা করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma)। তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা ভারতের ইতিহাসকে বাবর, ঔরঙ্গজেব এবং শাজাহানের ইতিহাস বলে দেখিয়েছে। আর আমি বলতে চাই, ভারতের ইতিহাস কেবল এঁদের সম্পর্কেই নয়, বরং ছত্রপতি শিবাজি, গুরু গোবিন্দ সিংহের সম্পর্কেও। হিমন্ত বলেন, ঔরঙ্গজেব সনাতন সংস্কৃতি নষ্টের চেষ্টা করেছিলেন। বহু মানুষকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়া উচিত এই যুক্তিতে রাজ্যের সব মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন পবন খেরা! ট্যুইট করে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন পবন খেরা! ট্যুইট করে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চেয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলে দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আজ, শুক্রবার এই দাবি করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস নেতা পবন খেরার বিরুদ্ধে। ফলে এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় অসমের হাফলং থানায়। বৃহস্পতিবার অসম পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল তাঁকে। তবে আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন পবন খেরা। আর এর পরেই পবন খেরাকে নিয়ে বলতে দেখা গেল হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে। এদিন তিনি ট্যুইট করে এও জানান যে, অসমের পুলিশ এই মামলায় ‘যৌক্তিক পরিণতি’ নিয়ে আসবে।

    কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকাণ্ডে মোদিকে কটাক্ষ করেন পবন। প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির বদলে ‘নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদি’ বলে কটাক্ষ করেন। এর পরেই পবনের গ্রেফতারির দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে অসমের ১৫টি জেলায় পবনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর যাওয়ার পথে বিমান থেকে নামিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পবন ও বৃহস্পতিবারই জামিন পান এই কংগ্রেস নেতা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পবন খেরাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ ফেব্রুয়ারি।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন?

    এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী রিট পিটিশনের একটি কপি শেয়ার করে ট্যুইট করে লিখেছেন, “অভিযুক্ত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা আশা করি , ‘পাবলিক স্পেসের’ পবিত্রতা বজায় রেখে পরবর্তীকালে কেউ রাজনৈতিক আলোচনায় অসভ্য ভাষা ব্যবহার করবেন না। অসম পুলিশ যুক্তিপূর্ণভাবে এই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”

    ক্ষমা চেয়েছেন পবন খেরা!

    গতকাল আবার সুপ্রিম কোর্টে পবন খেরার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন পবন খেরা। পবন খেরা জানিয়েছেন, এটা ভুল এবং ‘স্লিপ অফ টাং’। পবন খেরা আরও জানিয়েছেন এই জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। আগামী দিনে এই রকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন তিনি।

LinkedIn
Share