Tag: hindu

hindu

  • Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আরএসএসের মূল ভাবনা হল আত্মীয়তা বোধ,” বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসের (RSS) মূল ভাবনা হল সম্পর্কের অনুভূতি বা আত্মীয়তা বোধ।” পুণেয় প্রয়াত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক তথা সংঘ নেতা দাদা খাড়িওয়ালের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে এক কথায় বর্ণনা করতে হয়, তবে সেই শব্দটি হবে ‘আত্মীয়তা’ বা ‘সম্পর্কের অনুভূতি’। এই অনুভূতি সমাজে আরও দৃঢ় হওয়া উচিত।” ভাগবত বলেন, “সংঘ কী করে? এটি হিন্দুদের সংগঠিত করে। এই আত্মীয়তার অনুভূতি আরও গভীর হওয়া উচিত, কারণ পুরো বিশ্ব এই অনুভূতির ওপরই নির্ভর করে।” তিনি বলেন, “প্রকৃত ঐক্য আসে সেই সাধারণ সূত্রকে চেনার মাধ্যমে যা সকলকে এক সঙ্গে যুক্ত করে। মানুষ, পশুদের মতো নয়। কারণ তারা স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে উঠতে সক্ষম। যে এই আত্মীয়তার বোধকে বোঝে, সেই-ই প্রকৃত মানুষ।”

    আরএসএসের ভূমিকা (Mohan Bhagwat)

    আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “সংঘ কী করে? এটি তার সমস্ত কর্মসূচি, শৃঙ্খলা, শারীরিক সক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাজকে বারবার সেই অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয়, যা তারা ভুলে গিয়েছে — ‘আপনত্ব’ বা একাত্মতা।” ভাগবত বলেন, “সংঘের প্রকৃত কাজই হল সমস্ত হিন্দু সমাজকে এই ‘আপনত্বের’ সূতোয় গাঁথা। এবং হিন্দু সমাজও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিষয়টি মেনে নিয়েছে যে, সারা বিশ্বকে এই আপনত্বের বন্ধনে বাঁধা তাদের কর্তব্য।”

    স্বয়ংসেবকের কর্তব্য

    প্রাক্তন আরএসএস প্রধান মাধব সদাশিবরাও গোলওয়ালকর (গুরুজি নামে পরিচিত)-এর কথাও স্মরণ করেন তিনি। পরে বলেন, “একজন স্বয়ংসেবকের কর্তব্য হল নিয়মিত শাখায় যোগ দেওয়া, শিক্ষা গ্রহণ করা এবং নিঃস্বার্থভাবে সবার সেবা করা।” আধুনিক কিছু শব্দগুচ্ছ, যেমন “গিভিং ব্যাক” (ফিরিয়ে দেওয়া) প্রসঙ্গে ভাগবত বলেন, “এই ধারণা তো ভারতীয় সংস্কৃতিতে বরাবরই ছিল। এটি হল অন্যদের সেবা করার এবং একত্রে বসবাস করার কর্তব্যের অংশ।” কোনও কাজ শুরু করতে দেরি না করতে মানুষকে আহ্বান জানান ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বলেন, “সংঘে (RSS) আমরাও এভাবেই কাজ করি। যদি কিছু করার দরকার হয়, আমরা সেটি করেই ফেলি।”

  • Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরাসরি ভাবে মৌলবাদীরা সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে বেশ কিছু ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগও আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা থেকে এমনই এক খবর সামনে এসেছে।

    বাবা-ছেলেকে নির্যাতন (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ধর্ম অবমাননার (Bangladesh) মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিন্দু পরিবারের বাবা ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক নির্যাতন করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিত হওয়া ওই বাবার নাম পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলের নাম বিষ্ণুচন্দ্র শীল। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মৌলবাদী গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হযরত মহম্মদ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন ওই বাবা এবং ছেলে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীরা বাজারে জড়ো হয় এবং বাবা ও ছেলেকে নির্যাতন শুরু করে।

    ২২ জুন রবিবার ঘটে এই ঘটনা (Bangladesh)

    স্থানীয় একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত ২২ জুন মৌলবাদীরা ওই বাবা ও ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর শুরু করে। পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল দুজনেই মৌলবাদীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা এই ধরনের কাজ করেননি। কিন্তু মৌলবাদীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আধঘণ্টা ধরে এভাবেই মারধর চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে মৌলবাদীদের কবল থেকে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এর পরে স্থানীয় এক মৌলবাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে হিন্দু (Hindu) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অজস্র সংখ্যালঘু হিন্দুকে টার্গেট বানানো হচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে আসছে এমন সব ঘটনা।

  • Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    Pakistan: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলামে দীক্ষিতকরণ পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দুদের ধরে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিতকরণ করা হল পাকিস্তানে (Pakistan)। সিন্ধ অঞ্চলের একটি পরিবারের তিন বোন ও তাদের এক ভাইকে (Hindu Siblings) অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়। যাদের ধর্মারিত করা হয়েছে, তারা হল বছর বাইশের জিয়া বাই, বছর কুড়ির দিয়া বাই, বছর ষোলোর দিশা বাই এবং তাদের বছর তেরোর ভাই হরজিত কুমার। এদের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় কম্পিউটার শিক্ষক ফারহান খাসখেলি তাঁর সন্তানদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। তিনি বলেন,  “আমার তিনটি মেয়ে ছিল। ফারহান সবাইকে নিয়ে গিয়েছে।” তিনি তাঁর ছেলেমেয়েদের ফেরত পেতে চান। এজন্য তিনি পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির হস্তক্ষেপও দাবি করেন। পঞ্চায়েতের হিন্দু প্রধান রাজেশ কুমার একে পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন।

    ধর্মান্তকরণ (Pakistan)

    এদিকে, পরিবারের প্রতিবাদের পর পুলিশ ভাইবোনদের শাহদাদপুর আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে দুই প্রাপ্তবয়স্ক বোন জিয়া ও দিয়া (যারা মেডিকেল শিক্ষার্থী), তাদের করাচির একটি শেল্টার হোমে পাঠানো হয়। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক দিশা ও হরজিৎকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাকে স্বেচ্ছায় ধর্মান্তকরণ বলে দাবি করেছে। যদিও অপহৃতদের পরিবার ও তাদের আইনজীবী এই দাবি খারিজ করে দেন। তাঁরা জানান, ওই শিশুদের শাহদাদপুর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। জোরপূর্বক তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে করাচি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, আদালতে অপহৃতরা পুলিশের চাপে কথা বলছিল। তাই দুই অভিযুক্ত জুলফিকার খাসখেলি এবং ফরহান অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় (Pakistan)।

    মানবাধিকার সংস্থাগুলির রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থাগুলি যেসব তথ্য নথিভুক্ত করেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই হাজারেরও বেশি হিন্দু কন্যাকে অপহরণ করে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ ও বিয়েতে বাধ্য করা হয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ধর্ম অবমাননার আইন ব্যবহৃত হয়। প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলি পরিকল্পিতভাবে (Hindu Siblings) হিন্দু পরিবারগুলিকে জমি দখল করে উচ্ছেদ করে। যদিও পাক সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও সংরক্ষিত আসন রয়েছে, বাস্তবে এসব সুরক্ষা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ (Pakistan)।

  • Khalistani Extremists: কানাডা এখন ভারত-বিরোধী উপাদানের নিরাপদ আশ্রয়, অবশেষে কবুল সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার

    Khalistani Extremists: কানাডা এখন ভারত-বিরোধী উপাদানের নিরাপদ আশ্রয়, অবশেষে কবুল সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের দাবিকেই মান্যতা দিল কানাডার (Canada) নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা। নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিল, কানাডা এখন ভারতবিরোধী উপাদানের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে ভারতকে লক্ষ্য করে হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রচার, তহবিল সংগ্রহ এবং পরিকল্পনার জন্য কানাডার মাটি ব্যবহার করছে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা (Khalistani Extremists)। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, “খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা এখনও কানাডাকে একটি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হিংসার প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং পরিকল্পনার জন্য, যার প্রধান লক্ষ্য হল ভারত।”

    নয়াদিল্লির অভিযোগ (Khalistani Extremists)

    সিএসআইএসের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনেই এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। কানাডার এই প্রতিবেদন ভারতের দীর্ঘদিনের অভিযোগকে সমর্থন করে। নয়াদিল্লির অভিযোগ, কানাডা থেকে পরিচালিত খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলির উপস্থিতি ও কার্যকলাপ ভারতবিরোধী। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, “১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে কানাডায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিংসাত্মক উগ্রপন্থীদের (PMVE) হুমকি প্রধানত কানাডা-ভিত্তিক খালিস্তানি উগ্রপন্থীদের (CBKEs) মাধ্যমেই দেখা যাচ্ছে, যারা ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলের মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের লক্ষ্যে হিংসাত্মক উপায় অবলম্বন ও সমর্থন করে চলেছে।”

    সিএসআইএসের প্রতিবেদন

    সিএসআইএসের প্রতিবেদনে কানাডাভিত্তিক খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীদের একটি ছোট গোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে, যারা এখনও তাদের লক্ষ্য পূরণে হিংসার পথ অবলম্বন করে চলেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “একটি ছোট গোষ্ঠীর মানুষকে খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ তারা এখনও কানাডাকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করছে ভারতের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক প্রচার এবং অর্থসংগ্রহের জন্য। বিশেষভাবে, কানাডা থেকে উদ্ভূত প্রকৃত ও কল্পিত খালিস্তানপন্থী চরমপন্থীরা ভারতে বিদেশি হস্তক্ষেপ কার্যকলাপকে কানাডা থেকে পরিচালিত করে চলেছে।” রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, হিংসায় বিশ্বাসী এই গোষ্ঠীগুলি কানাডাকে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে ভারতে হামলার পরিকল্পনা ও প্রচার করে চলেছে।

    কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার ‘স্বীকারোক্তি’

    বস্তুত, কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার এই ‘স্বীকারোক্তি’ এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন নয়াদিল্লি ও অটোয়ার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে, বিশেষ করে ২০২৩ সালে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি (Canada) হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে (Khalistani Extremists)। কানাডা প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারত সরকারের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেছে। যদিও নয়াদিল্লি তা অস্বীকার করে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কানাডার দাবি অযৌক্তিক। কানাডার বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে নয়াদিল্লি। সিএসআইএসের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সরকার খালিস্তানপন্থীদের আন্দোলন দমন করতে বিদেশে হস্তক্ষেপমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকায় কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করাও।

    কানাডা সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সম্প্রতি দু’দিনের জন্য কানাডা সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য, জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়া। এবার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল কানাডা। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সম্মেলনেই যোগ দিতে কানাডায় গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এই বৈঠকের সময়ই ফাঁস হয়ে যায় কানাডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েন কার্নি। মুখের হাসি চওড়া হয় মোদির (Khalistani Extremists)। জানা গিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীই নয়া হাইকমিশনার নিয়োগ ও বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরুর মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে রাজি হন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ফলে ভারত-কানাডা তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্ক ফের মজবুত হতে পারে।

    ভারতের প্রাসঙ্গিকতা 

    শিখ অধিকারকর্মী ও কিছু কানাডীয় সাংসদের সমালোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে কার্নি বলেন, “ভারতের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও গঠনমূলক সংলাপের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না (Canada)।” সিএসআইএসের প্রতিবেদনে এও জানানো হয়েছে, চরমপন্থী খালিস্তানপন্থীরা কানাডার জাতীয় নিরাপত্তার ওপর বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করছে। যদিও ২০২৪ সালে কানাডার মাটিতে কোনও খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী হামলার ঘটনা ঘটেনি, তবুও বিদেশে এসব গোষ্ঠীর হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্ত থাকা কানাডিয়ান নিরাপত্তা সংস্থাগুলির জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে রয়ে গিয়েছে (Khalistani Extremists)।

    খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী সংগঠন

    প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে কানাডার মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে প্রায় ৫টি খালিস্তানপন্থী চরমপন্থী সংগঠন। কানাডার মাটি থেকেই তারা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বিরোধী নানা কার্যকলাপ। কানাডায় একাধিক মন্দিরে ভারত বিরোধী স্লোগানও লিখেছিল খালিস্তানপন্থীরা। সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ভারতে ফিরে যেতেও বলেছিল খালিস্তানপন্থীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জমানায় এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি (Canada)।

    এখন দেখার, কার্নি এদের মুখে লাগাম পরাতে পারেন কি না (Khalistani Extremists)!

  • Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মই হল ভারতবর্ষের আত্মা, শুধু পুজো পদ্ধতি নয়, ধর্মের সংজ্ঞা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত

    Sanatan Dharma: সনাতন ধর্মই হল ভারতবর্ষের আত্মা, শুধু পুজো পদ্ধতি নয়, ধর্মের সংজ্ঞা আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম হল ভারতের (Bharat) আত্মা। ধর্ম শাশ্বত, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতীক। এটি কোনও নির্দিষ্ট পুজো-পদ্ধতি নয় বরং একটি জীবনবোধ। কর্তব্য, দায়িত্ব ও উৎসর্গের প্রতীক। ধর্ম ও সংস্কৃতি একে অপরকে প্রতিফলিত করে এবং এই সংস্কৃতি হল যে কোনও সভ্যতার ভিত্তিপ্রস্তর। সংস্কৃতি থেকেই জন্ম নেয় মানুষের মর্যাদা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং জাতির পরিচয়।

    ধর্ম আসলে কী? (Sanatan Dharma)

    প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্রগুলিতে উল্লেখ আছে ধারয়তি ইতি ধর্মঃ —অর্থাৎ যা ধারণ করে, সেটাই ধর্ম। ধর্ম ব্যক্তি, সমাজ, প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। সনাতন ধর্ম কোনও বিশেষ জাতি বা সম্প্রদায়কে বোঝায় না এটি শাশ্বত এবং এর দর্শন বিজ্ঞানসম্মত। ধর্ম পরিবর্তিত হয় মানুষের জীবনধারা, সময় এবং পরিস্থিতির উপর। পরিবারের প্রতি কর্তব্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক কর্তব্য, এসবই ধর্মের অংশ।

    ভারত একটি সনাতন রাষ্ট্র (Sanatan Dharma)

    জাতি, সমাজ বা আধ্যাত্মিকতার সংকটের সময় মানুষের কর্তব্যই হয়ে ওঠে ধর্ম। যে কোনও সংকট মোকাবিলায় সমাজকে জাগ্রত হতে হয়, সংঘবদ্ধ হতে হয়, শক্তিশালী হতে হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সনাতন ধর্মকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করা মানেই দেশের ঐক্য ও সংহতিকে রক্ষা করা। সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসব, যা বর্তমানে (Sanatan Dharma) গোয়াতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানেই স্বামী গোবিন্দ দেবগিরি মহারাজ বলেন, ‘‘ভারত একটি সনাতন রাষ্ট্র। আমাদের প্রয়োজন একে স্বীকৃতি দেওয়া ও পুনরায় গঠন করা। তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম কোনও বিশেষ সম্প্রদায় নয়, এটি জীবনের (Bharat) মূল্যবোধ।’’

    শাস্ত্র এবং শস্ত্র দিয়ে করতে হবে ধর্ম রক্ষা

    তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে শাস্ত্র এবং শস্ত্র, এই উভয় দিয়েই আমাদের সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। অর্জুনের মতো আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি জাতি গড়ে ওঠে ভূমি, সমাজ এবং প্রচলিত প্রথার ভিত্তিতে আর এইগুলিই সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) ভিত্তিপ্রস্তর এবং মূল্যবোধ।’’

  • TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    TMC: প্রতি ৫জন হিন্দুর একজন ভোট দেয় তৃণমূলে, তার পরেও রাজ্যে কীভাবে মমতার সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি ৫জন হিন্দুর মধ্যে একজন ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)! তার পরেও কীভাবে ১৪ বছর গদি আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আসুন, জেনে নেওয়া যাক বছরের পর বছর তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকার গুঢ় মন্ত্র।

    দমনমূলক আচরণের শিকার হিন্দুরা (TMC)

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা যে বৈষম্য ও দমনমূলক আচরণের শিকার হন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। এ রাজ্যে ইসলামপন্থীদের হাতে হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন জায়গায় হামলার শিকার হয়েছে। হিন্দু (Hindus) উৎসব পালনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মুসলিম তোষণের কারণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই অনেক এলাকায় হিন্দুরা কার্যত ‘দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে’ পরিণত হয়েছেন। তার পরেও এ রাজ্যের এক উল্লেখযোগ্য অংশের হিন্দু ভোটার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএমে ঘাসফুল আঁকা বোতামে চাপ দেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের যেসব এলাকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং যেখানে হিন্দুরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, সেখানেও হিন্দুদের একটা বড় অংশই ভোট দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। পশ্চিমবঙ্গে ৭.৬৩ কোটি ভোটারের মধ্যে হিন্দু প্রায় ৫.১৯ কোটি। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৬৮।

    ভোটের অঙ্ক

    রাজ্যে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার। হিন্দু ভোটারদের উপস্থিতি ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি ৯০ থেকে ৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৩.৩৭ কোটি হিন্দু ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এঁদের এক-পঞ্চমাংশেরও কম ভোটার তৃণমূলকে ভোট দেন। অন্তত পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। ওই ভোটের ফল থেকে জানা যায়, বিজেপি প্রায় ২.৩৩ কোটি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হিসেবে ৩৮.৭৩। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা প্রায় সবাই হিন্দু। মুসলিমরা যে বিজেপিকে ভোট দেননি, তা নয়। তবে তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। এর অর্থ হল, হিন্দুদের প্রায় ৬৯ শতাংশ ((TMC)) – ৩.৩৭ কোটির মধ্যে ২.৩৩ কোটি – ছাপ দিয়েছেন পদ্মফুলে।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস ও বাম জোটের ঝুলিতে যে ৬৬.৪৫ লাখ ভোট পড়েছে, তার প্রায় ৭০ শতাংশই হিন্দুদের দেওয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৪৬.৫১ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩.৭৭ শতাংশ) কংগ্রেস ও বামপন্থী জোটকে ভোট দিয়েছেন। এভাবে, প্রায় ২.৭৯ কোটি হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন) (Hindus)  তাঁদের ৮২.৭৭ শতাংশ হয় বিজেপি নয়তো কংগ্রেস-বাম জোটকে সমর্থন করেছেন। এর অর্থ হল, মাত্র ৫৭.৮৭ লাখ হিন্দু (যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ১৭.২৩ শতাংশ) তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন।

    কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়?

    প্রশ্ন হল, তার পরেও কীভাবে তৃণমূল জয়ী হয়? কীভাবেই বা পর পর তিনটি টার্মে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে তোষণের রাজনীতি নামক চাবিকাঠিতে। কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্মানো তৃণমূল জন্মলগ্ন থেকেই হাতিয়ার করেছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মেঠো খয়রাতির রাজনীতি। এই দুই কৌশলে জয় অনায়াস হয়েছে তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হল মুসলিম ভোটার। এ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই ছাপ দেয় ঘাসফুলে (TMC)। অনুমান, ভোট কেন্দ্রে আসা মুসলমান ভোটারদের প্রায় ৯৩ শতাংশই ভোট দেন মমতার দলকে।

    তৃণমূলের ভোটার কারা? 

    গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৫৮ লাখ ভোট পেয়েছিল। প্রশ্ন হল, এই ৫৮ লাখ হিন্দু ভোটার কেন এমন একটি দলকে সমর্থন করল, যার সরকার তাদের প্রতি নিরাসক্ত এবং হিন্দুদের উদ্বেগের প্রতি বৈরী মনোভাব পোষণ করে? এই ভোটাররা কারা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দু (Hindus)  সম্প্রদায়ের যে অংশ তৃণমূলে ভোট দেয়, তাদের দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এক, প্রান্তিক এলাকার গরিব মানুষ এবং দুই, শহরের ভদ্রলোক শ্রেণি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে উন্নয়নের ঢাক বাজায়, তবে আদতে রাজ্যটি দারিদ্র্য ও বেকারত্বে পরিপূর্ণ। জীবিকার উপায় খুবই সীমিত। কৃষি আয়ের হ্রাস এবং শিল্প ও পরিষেবা খাতে চাকরির অভাবে তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে (TMC)।

    বেঁচে থাকার সংগ্রাম

    গ্রামাঞ্চল এবং আধা-শহরাঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণকে জীবিকার সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হচ্ছে। অথবা রাজ্যেই কোনওরকমে বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়াই করে চলেছেন। সমাজবিজ্ঞানী অমিয় বসু বলেন, “চা বা পকোড়া বিক্রির দোকান বসানো, রিকশা বা অটোরিকশা চালানো, বাজারে ছোট জায়গা নিয়ে মাছের দোকান চালানো, ছোটখাটো কন্ট্রাক্ট পাওয়া — এ রকম কাজই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র জীবিকার উপায়, যা কেবলমাত্র ‘দিন আনা দিন খাওয়া’র মতো অবস্থা তৈরি করে। আর এসবের জন্য দরিদ্র জনগণ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল স্থানীয় তৃণমূল নেতার দয়ার ওপর।” অর্থনীতিবিদ কৌশিক ব্যানার্জীর বক্তব্যও মোটামুটি এক।

    ‘চিল্লার অর্থনীতি’

    তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে বলি ‘চিল্লার অর্থনীতি’। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এবং শহরের একটা বড় অংশ নগণ্য আয় করে ছোটোখাটো ব্যবসার মাধ্যমে অথবা রিকশা চালিয়ে। রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে দোকান বসানো, রিকশা চালানো কিংবা ক্ষুদ্র সরবরাহকারী হওয়ার অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাই এই নেতাকে খুশি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Hindus)। সেই কারণেই দরিদ্র্যদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে (TMC) ভোট দেয়।” কৌশিক বলেন, “এর সঙ্গে যুক্ত করুন ছোট অথচ প্রভাবশালী অনুদানগুলোর প্রভাব—যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। মহিলাদের ও বিধবাদের অ্যাকাউন্টে যে ১,০০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, বা ছাত্রীদের বছরে দেওয়া ১,০০০ টাকা—এই অঙ্কগুলো হয়তো ছোট মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার মতো দরিদ্র রাজ্যে এই টাকাগুলো দরিদ্র মানুষের জীবনে বিশাল পরিবর্তন এনে দেয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হন তৃণমূলকে ভোট দিতে।”

    কুণাল সেনগুপ্তের বক্তব্য

    রাজনৈতিক বিশ্লেষক কুণাল সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্যের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথাই শেষ কথা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মানুষকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দেন। অনেকেই নীরবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গোপনে সেই নির্দেশ মানেন না, কিন্তু অনেক দুর্বল মানুষ সেই সাহস দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে সেই সব বুথে, যেখানে তৃণমূলের এজেন্টরা রাজ্য সরকারের কর্মচারী (যেমন ভোটকর্মী)-দের সঙ্গে মিলে ইভিএমের ওপর কঠোর নজর রাখেন। তার ওপরে তো রয়েছে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ, যা বাংলায় প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা দেবাংশু ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেন (TMC), “বাংলায় বুথের ভেতরে যেভাবে গোপনে কারচুপি হয়, তা কল্পনাতীত।”

    ভদ্রলোকের ভোট

    শহুরে মধ্যবিত্ত ও শিক্ষিত বাঙালি হিন্দু, যাদের সাধারণত ‘ভদ্রলোক’ বলা হয়, তাঁরা এক দশক আগেও বামফ্রন্টকে ভোট (Hindus) দিতেন। বাম জমানার অবসানের পর তাঁরাই এখন ঝুঁকেছেন তৃণমূলের দিকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক দেবপ্রতিম রায় বলেন, “ভদ্রলোকরা নিজেদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক প্রতিরোধশক্তি হিসেবে ভাবেন। তিনি আদর্শগতভাবে বামফ্রন্টকে ভোট দিতে চাইতেন। কিন্তু জানেন বাম এখন খুব দুর্বল এবং অপ্রাসঙ্গিক। তাই বামেদের ভোট দিয়ে তিনি তাঁর ভোট নষ্ট করতে চান না। সেই কারণেই তিনি ভোট দেন তৃণমূলকে (TMC)।”

  • Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ধর্মে হিন্দু। বর্ণে ব্রাহ্মণ। দেব-দ্বিজে তাঁর ভক্তির কথাও সুবিদিত (স্ব-উদ্যোগে বাড়িতে কালীপুজো, জগন্নাথের পুজো করেন ঘটা করে)। সেই তিনিই মুসলমানদের ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ আদায় করেন। নিন্দকরা বলেন, তাঁর এহেন ‘ছলাকলা’র এক এবং একমাত্র কারণ পশ্চিমবঙ্গের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট ঘাসফুল আঁকা (Reservations) ঝুলিতে পুরে যতদিন পারা যায়, ততদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে বসে থাকা যায়। তিনি এ (Anti Hindu Conspiracy) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন ‘হিন্দু’রই মুখোশ খুলে গেল ওবিসি সংরক্ষণকে ঘিরে। তিনি যে আদতে হিন্দু-বিরোধী, তাঁর ধমনীতে যে বইছে ‘মুসলিম প্রীতি’র লাল রক্ত, তা প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকারেরই একটি তথ্য।

    তোষণের রাজনীতি (Reservations)

    আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অতএব, ফের ক্ষমতায় ফিরতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অস্ত্র? সেই মুসলিম ভোটে শান দেওয়া। লক্ষ্য? তোষণের রাজনীতি করে ভোট বৈতরণী পার হয়ে নবান্নের তথা রাজ্যের সব চেয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ চেয়ারটি দখল করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় নয়া সংযোজনের ৮৬ শতাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক ও আইনসম্মত বলে সাফাই গাইলেও, বিজেপির অভিযোগ, এটি আদতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার ছক। পদ্ম শিবির একে ‘পেছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের সাফ কথা, ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিভিত্তিক কোটাকে তৃণমূল ব্যবহার করছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। গেরুয়া শিবিরের মতে, মুসলমানদের ওবিসি শ্রেণিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছেন তৃণমূলের ‘দিদি’। তারা একে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছে।

    কী বললেন মমতা

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটি অংশ মানুষকে ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নিয়ে (Reservations) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নতুন ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, যা পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (WBCBC) পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।” সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের পুনর্গঠিত ওবিসি তালিকায় ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওবিসি-এ বিভাগে ৪৯টি এবং ওবিসি-বি বিভাগে ৯১টি সম্প্রদায় রয়েছে। আরও ৫০টি সম্প্রদায়ের ওপর সমীক্ষা চলছে (Anti Hindu Conspiracy)।

    বিজেপির অভিযোগ

    এতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাজ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিকল্পিতভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নতুন ওবিসি অন্তর্ভুক্তিগুলি মূলত মুসলিমদের পক্ষে গিয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১০ সালের আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসে তখন পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি ওবিসি শ্রেণি ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১১টি মুসলিম (২০ শতাংশ)। আর ২০২৫ সালে নতুন যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৬৭টি মুসলিম, যা মোট নতুন অন্তর্ভুক্তির প্রায় ৮৮ শতাংশ (Reservations)। নয়া যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাতে রয়েছে দুটি ভাগ। একটি পার্ট এ। এতে রয়েছে ৫১টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ৪৬টি মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। শতাংশের বিচারে প্রায় ৯০ শতাংশ। আর পার্ট বি-তে রয়েছে ২৫টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ২১টিই মুসলমান। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৮৪ (Anti Hindu Conspiracy)।

    ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ!

    মালব্যর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচনী স্বার্থে ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ দিচ্ছে। তাঁর দাবি, ওবিসি তালিকায় এমন একটি বিধান রয়েছে যার ফলে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওবিসি মর্যাদার যোগ্য হয়ে পড়েন। তিনি এই বিধানকে বিপজ্জনক নজির বলে বর্ণনা করেন এবং একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিজার্ভেশন ব্যবস্থাকে ধর্মান্তরের পুরস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনী লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কৌশল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি স্পষ্টভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” মালব্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও তোলেন। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়কে বাড়তি সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, অথচ প্রকৃতপক্ষে পিছিয়ে পড়া হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের মধ্যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিরাও রয়েছেন, তাঁদের উপেক্ষা করা হচ্ছে (Reservations)।

    সুবিধা পাচ্ছে মুসলিমরা

    বিতর্ক আরও বাড়িয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃদ্ধির সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে নয়া সংযোজিত মুসলিম সম্প্রদায়গুলি। যার ফলে তারা রাজ্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও অনুপাতিক হারে বেশি সুযোগ পাচ্ছে। বিজেপির দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সংবিধানের সেই মূলনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, যেখানে বলা হয়েছে সংরক্ষণ শুধুমাত্র সবচেয়ে বঞ্চিতদের জন্যই প্রযোজ্য, রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্য নয় (Anti Hindu Conspiracy)। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করছে এবং সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। সংশোধিত ওবিসি সুপারিশগুলিতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ বা ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নেই। বিজেপির মুখপাত্রদের দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয় (Reservations)।

    একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্ব

    যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করে এসেছেন যে ওবিসি তালিকাটি ধর্মনিরপেক্ষ, তখন সমালোচকরা পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলিম হলেও, সম্প্রতি তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ৮৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এমন একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্বকে কেবলমাত্র কাকতালীয় ঘটনা বা পরিসংখ্যানগত বিচ্যুতি হিসেবে দেখানো যায় না। তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপটি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁদের অভিযোগ, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের ছদ্মবেশে মুসলিম গোষ্ঠীগুলিকে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হল হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির (Anti Hindu Conspiracy) প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করা।

    রাজ্যের মৌরসিপাট্টা

    বিজেপির মতে, এই সব ঘটনা কেবল রাজনৈতিক তোষণ নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ কাঠামোর মধ্যে হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির অবস্থান দুর্বল করার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে ভর করেই পর পর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বস্তুত, রাজ্যের মৌরসিপাট্টা এখন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাতে। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ফের তৃণমূল নেত্রী হাতে তুলে নিলেন তোষণের রাজনীতি নামক অস্ত্র। বরাবর যে অস্ত্রে শান দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে তাঁর ‘মাদার’ দল কংগ্রেস। যে দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের জন্ম দিয়েছেন তিনি (Reservations)।

  • Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    Shri Ram Swabhiman Parishad: এবার শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli) পাশে দাঁড়াল শ্রীরাম স্বাভিমান পরিষদ (Shri Ram Swabhiman Parishad)। পরিষদের সম্পাদক সুরজ কুমার সিং এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “পরিষদ শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে সুরজ বলেন, “শর্মিষ্ঠা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। পরে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হয়েছে।”

    গ্রেফতারের দাবি (Shri Ram Swabhiman Parishad)

    তিনি বলেন, “স্কাই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা – যাদের দফতর পাকিস্তানের করাচিতে – তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। এমনকী তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে, সার তন সে জুদা স্লোগান তোলা হয়েছে।” রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদি তিনি বিএনএসের ২৯৫এ ধারায় দোষী হন, তাহলে আইনের নিজস্ব গতিতে বিচার হোক। কিন্তু একজন হিন্দু হিসেবে এবং আমাদের সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমরা শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। তাঁর কিছু হলে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ দায়ী থাকবে। আজকের পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু ধর্মকে অপমানকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে, আর নিজের লোকেরা হচ্ছে নিশানা।”

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি

    স্কাই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিও জানান সুরজ। তিনি বলেন, “এই সংস্থাটি করাচিতে রেজিস্ট্রার্ড, যদিও এখানে (ভারতে) তাদের কাজকর্ম চালাচ্ছে। তাদের কার্যকলাপের তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা শর্মিষ্ঠার নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং তাঁর পরিবার ও লিগ্যাল টিমের পাশে থাকব (Sharmistha Panoli)।” প্রসঙ্গত, ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে।

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণ

    সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করেনি। এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিল। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, সে গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর (Shri Ram Swabhiman Parishad) জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে (Sharmistha Panoli)।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    এই ওয়াজাহাতই অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিল। ট্যুইটবার্তায় সে লিখেছিল, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুশকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও সে রয়েছে বহাল তবিয়তে (Shri Ram Swabhiman Parishad)।

    শাস্তিযোগ্য অপরাধ! 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি (Shri Ram Swabhiman Parishad)। বিজেপির এক নেতা বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে (Sharmistha Panoli)। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

  • Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    Wazahat Khan: হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে ভুরিভুরি কুমন্তব্য শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে এফআইআর করা যুবকের, চুপ মমতার পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে গিয়ে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পোস্টও। তার (Anti Hindu) পরেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে কলকাতা পুলিশ। অথচ, ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামে কলকাতার এক উগ্র মুসলমান সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষণও দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করেনি।

    ওয়াজাহাত খানের কীর্তি (Wazahat Khan)

    এই ওয়াজাহাত খানই অভিযুক্ত আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি দায়ের করেছিলেন। কলকাতার রাশিদি ফাউন্ডেশন পরিচালনাকারী ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি গুরগাঁও থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ওই হিন্দু তরুণীর গ্রেফতারি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গত, সেশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টের পরেই শর্মিষ্ঠাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গ্রেফতার করার পর জামিনের আবেদন করেন শর্মিষ্ঠা। তবে জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে দু’সপ্তাহের জন্য পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই কিছু মুসলমান যুবককে নিয়ে শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারি উদযাপন করতে দেখা যায় ওয়াজাহাতকে।

    কামাখ্যা মন্দির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য

    অসমের কামাখ্যা মন্দির নিয়ে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, “কামাখ্যা দেবী মন্দিরে ব্রাহ্মণ পুজো করেন যোনির। এটা অন্ধ ভক্তি নাকি মানসিক সমস্যা, তা বোঝা মুসকিল। অসুস্থ লোকজন। সৌভাগ্যের আশায় ভারতীয় হিন্দুরা নারীর যৌনাঙ্গ পূজা করে।” কুরুচিপূর্ণ এমন মন্তব্য করার পর ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানান অনেকে। তার পরেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় বিশ্বাস বা প্রতীকের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ভারতের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এবং সাইবার ভলান্টিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করেছেন ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে। তাঁরা জানান, বাকস্বাধীনতার নামে এ ধরনের অবমাননাকর মন্তব্য বরদাস্ত করা যায় না। জানা গিয়েছে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তার লক্ষ্য ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং হিন্দু-মুসলিম এই দুই ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, এখনও পর্যন্ত (Wazahat Khan) কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির এক নেতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “শুধু সনাতনীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা হয়। এখানে সবাই সনাতন ধর্মকে গালাগালি (Anti Hindu) দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে গিয়েছে। এটি তোষণমূলক রাজনীতির উদাহরণ।”

    ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    এদিকে নেটিজেনরা ওয়াজাহাতের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, যে হজরত মহম্মদ ও ইসলামের বিরুদ্ধে তথাকথিত অবমাননা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল, সে নিয়মিত হিন্দুধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করে। তার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভিন্ন হিন্দু দেবতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, যার অনেকগুলি সে পরবর্তীকালে মুছে ফেলেছে। এই অবমাননাকর পোস্টগুলির উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তার বিরুদ্ধে বিএনএসের ধারা ১৯৪, ১৯৫, ৩৫৬ এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৬, ৬৭ ও ৬৯ অনুযায়ী এফআইআর নথিভুক্ত করার অনুরোধ জানান। ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে দিল্লিতে। দিল্লির সাকেত পুলিশের সাইবার ক্রাইমে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন (Wazahat Khan) আইনজীবী অমিতা সচদেবা।

    আইনজীবীদের অভিযোগ

    দিল্লির দুই আইনজীবী ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃতীয় অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে অসমের গুয়াহাটিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু দেবদেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার কারণেই দায়ের হয়েছে এই অভিযোগও। জানা গিয়েছে, এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন ভয়েস অফ অসম নামের এক্স হ্যান্ডেলের অ্যাকাউন্টের পরিচালনাকারী তথা হিন্দু আইটি সেলের নেতা শান্তনু শইকিয়া। অভিযোগটি দায়ের হয়েছে ১ জুন গুয়াহাটির পানবাজার থানার সাইবার ক্রাইম শাখায় (Anti Hindu)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওয়াজাহাত খান কাদরী রাশিদি তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরের দেবী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। ভক্তদের “মানসিকভাবে বিকৃত” বলে অপমানও করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, “তার প্রকাশ্য টুইটার হ্যান্ডেলে রাশিদি ওয়াজাহাতে কামাখ্যা দেবী মন্দিরের পবিত্র ঐতিহ্যকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যেখানে শক্তিপীঠকে ‘কাটা যোনি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং উপাসকদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সে আরও বেশ কয়েকটি টুইটে হিন্দুদের ব্যঙ্গ করেছেন। এই ধরনের ভাষা শুধু অশ্লীল ও অসম্মানজনক নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে (Wazahat Khan)।”

    শর্মিষ্ঠার পাশে বার কাউন্সিলও

    অভিযোগকারীরা এফআইআর দায়ের এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয় (Anti Hindu)। এর আগে শর্মিষ্ঠার পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ পবণ কল্যাণ, কঙ্গনা রানাউতরা। এবার রীতিমতো বিবৃতি জারি করে ধৃত শর্মিষ্ঠাকে সমর্থন করলেন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁর মতে, এই গ্রেফতারি দুর্ভাগ্যজনক, মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন। বিবৃতিতে মনন লিখেছেন, “সব রকমভাবে শর্মিষ্ঠার পাশে আছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে ডিলিট করে দিয়েছিলেন, এমনকী ক্ষমাও চেয়েছিলেন। তার জন্য গ্রেফতার ও জেল হেফাজত ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ।”

    কী বলছেন চেয়ারম্যান?

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কলকাতা পুলিশের দিকে সরাসরি আঙুল তুলেছেন তিনি। মননের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। উপেক্ষা করা হচ্ছে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সব অপরাধ। তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে (Wazahat Khan)। নন্দীগ্রামের হিংসা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও সাম্প্রতিককালে মুর্শিদাবাদের হিংসায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মনন। তাঁর অভিযোগ, প্রায় সব ক্ষেত্রেই হয় রাজ্য জড়িত ছিল, নয়তো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল (Anti Hindu)। তিনি অবিলম্বে শর্মিষ্ঠার মুক্তি দাবি করেছেন।

    কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও সমর্থন পেয়েছেন শর্মিষ্ঠা। তাঁকে সমর্থন করেছেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স। তিনি লিখেছেন, “সাহসী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে মুক্তি দিন! তাঁকে গ্রেফতার করা বাক স্বাধীনতার জন্য লজ্জাজনক। পাকিস্তান এবং মহম্মদ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য তাঁকে শাস্তি দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওঁকে সাহায্য করুন।” শর্মিষ্ঠার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অল আইজ অন শর্মিষ্ঠা (Wazahat Khan)।”

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

LinkedIn
Share