Tag: hindu custom

hindu custom

  • Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    Jamai Sasthi: জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন খাবারে রাশ জরুরি? সুস্থ থাকার কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন! আর সেই উৎসবের তালিকায় অন্যতম হলো জামাই ষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। বাঙালির আর পাঁচটা উৎসবের মতোই এই উৎসবেও থাকে দেদার খানাপিনা! ভুরিভোজ বাদ দিয়ে বাঙালির কোনো উৎসবের উদযাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে সুস্থ শরীরের জন্য খাবারে বিশেষ রাশ জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবারের সময়ে পরিমাণে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তবেই সুস্থ ভাবে উৎসব উপভোগ সম্ভব।

    জামাই ষষ্ঠীর ভুরিভোজে কোন দিকে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    পরিমাণে বাড়তি রাশ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ খাবার খেয়ে নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক বেশি পরিমাণ খাবার একসঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই বারবার অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, যত সুস্বাদু খাবার থাকুক না কেন, একসঙ্গে না খেয়ে, সারাদিনে ভাগ করে খেলেই সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে।

    কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বাঙালির ভুরিভোজে লুচি, পোলাও, ভাত আর আলুর দম, এগুলো‌ বাদ দেওয়া খুব মুশকিল (Jamai Sasthi)। বেশিরভাগ বাঙালির পছন্দের এই খাবার কিন্তু বিপদ ডাকতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থুলতা এই তিন সমস্যা এখন প্রায় দেখা যায়। তাই খাদ্যাভাস নিয়ে মানুষের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস, ডায়েবেটিস এবং স্থুলতার মতো সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই লুচি, ভাত কিংবা পোলাওয়ের মতো‌ খাবার একসঙ্গে একেবারেই খাওয়া চলবে না বলে‌ই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, উৎসবের দিনে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যেকোনও একটি পদ অত্যন্ত কম পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে।

    প্রাণীজ প্রোটিনের দিকে নজরদারি জরুরি!

    হরেক পদের মাছ কিংবা মাংস ছাড়া বাঙালির খাওয়া-দাওয়া অসম্পূর্ণ! তবে এক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জামাইষষ্ঠীর মেনুতে ইলিশ (Jamai Sasthi), চিংড়ির মতো মাছের পাশপাশি মটন কারির মতো পদ রাখেন। আর এর জেরেই বড় সমস্যা হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ইলিশ মাছ খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার মটনে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট (Jamai Sasthi Special)। একসঙ্গে এত রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ বাড়তে পারে, বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। পরিমিত পরিমাণে যেকোনও এক রকমের প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া যেতে পারে। তবে কখনোই যথেচ্ছ নয়।

    মিষ্টির ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন! (Jamai Sasthi)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে নজরদারি প্রয়োজন। ডায়বেটিস এবং স্থুলতার মতো রোগ রুখতে নিয়মিত মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ জরুরি। বাঙালির ভুরিভোজে মিষ্টি থাকেই। শেষ পাতে মিষ্টি দই থেকে রসগোল্লা, সন্দেশের নানান পদ। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, ডায়বেটিস আক্রান্ত হলে মিষ্টি একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। ফলে, মারাত্মক বিপদ হতে পারে। তবে ডায়বেটিস না থাকলেও‌ মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়বেটিস। তাই কমবেশি সকলের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই মিষ্টি খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকলে সমস্যা জটিল হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    স্বাস্থ্যকর কোন পদের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবারেও উৎসব উদযাপন সম্ভব। তাঁরা জানাচ্ছেন, জামাই ষষ্ঠীতে (Jamai Sasthi) নানান রকমের পদ তৈরি করে সাজিয়ে খাবার দেওয়ার রেওয়াজ জারি থাকুক। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার। তাঁদের পরামর্শ, নানান রকমের মিষ্টিতে প্লেট সাজানোর পরিবর্তে, নানান রকমের ফল দেওয়া যেতে পারে। আপেল, আম, বেদানা, জামের মতো নানান রঙের ফল একসঙ্গে সাজিয়ে দিলে, দেখতেও ভালো লাগবে আবার সবগুলোই স্বাস্থ্যকর। ফলে সমস্যা হবে না।
    দুপুরের ভুরিভোজে ময়দার তৈরি লুচির পরিবর্তে বাজরা কিংবা মিলেটের মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাগি, মিলেট কিংবা বাজরার তৈরি রুটির ভিতরে বিভিন্ন সব্জির পুর ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে নানান স্বাদ এবং রঙের খাবার হবে। এগুলো স্বাস্থ্যকর। শরীরে বাড়তি কার্বোহাইড্রেট যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। বরং এই সব দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি বা পরোটা শরীরের জন্য উপকারি। পেশি মজবুত করতে, হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আবার রকমারি পদ ও হবে।
    মটন কিংবা চিকেনের অতিরিক্ত মশলা দেওয়া পদের পরিবর্তে গ্রিলড‌ কিংবা বেকড করা পদ‌ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে তেল ও মশলা কম লাগবে। আবার প্রাণীজ প্রোটিনের গুণ শরীরে পৌঁছবে। হজমের গোলমালের ঝুঁকিও কমবে।

  • Falharini Kali Puja: মেলে দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি! জানুন ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য

    Falharini Kali Puja: মেলে দুঃখ-দুর্দশা থেকে মুক্তি! জানুন ফলহারিণী কালীপুজোর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার ফলহারিণী কালীপুজো। বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ।

    কখন লাগছে তিথি?

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে এবছর ফলহারিণী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে সোমবার সকাল ১১টা বেজে ৭মিনিট ১৯ সেকেন্ডে। চলবে মঙ্গলবার ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৪৪মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত। অন্যদিকে, বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে, অমাবস্যা শুরু হবে ২৬ মে সোমবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে। ছেড়ে যাবে পরের দিন ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে।

    ফলের মালা পরানোর রীতি দেখা যায়

    ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। ফলহারিণী অমাবস্যায় দেবীকে বিভিন্ন মরশুমি ফল দিয়ে পুজো দিলে দেবী সন্তুষ্ট হন বলে বিশ্বাস। আম, জাম, কলা, লিচু-সহ বিভিন্ন ফলের মালা তৈরি করে দেবীকে পরানোর রীতি দেখা যায়।

    এই দিনেই সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ

    জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

  • Lighting Lamp: প্রদীপ জ্বালানোর একাধিক সুফল! গৃহে আসে লক্ষ্মী, দূর হয় রাহুর দোষ

    Lighting Lamp: প্রদীপ জ্বালানোর একাধিক সুফল! গৃহে আসে লক্ষ্মী, দূর হয় রাহুর দোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে (Hindu Dharma) পুজো পার্বণ, শুভ অনুষ্ঠান, যে কোনও উৎসবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত (Lighting Lamp) করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত না-করলে পুজো সম্পন্ন হয় না। একইসঙ্গে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী বাড়িতে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে নিয়মিত প্রদীপ জ্বালালে ধনদেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। মনে করা হয়, এই প্রদীপ জ্বালালে সমস্ত ধরনের নেতিবাচক শক্তির প্রভাব সমাপ্ত হয়। আবার বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় বাড়ি থেকে। পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে প্রদীপের আলো। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রদীপের শিখা রাখা উচিত উত্তর বা পূর্ব দিকে। পশ্চিম দিকে কখনও প্রদীপ জ্বালাতে নেই।

    বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানোর সুফল-

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ (Lighting Lamp) জ্বালালে বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন হয়। এর ফলে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।

    বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে সমৃদ্ধির আগমনের পথের সমস্ত বাধা দূর হয়।

    বাড়ির প্রবেশদ্বারে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করলে রাহু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। রাহু দোষে জীবন জর্জরিত থাকলে কোনও মন্দির বা তুলসী গাছে প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। এতে সুফল মিলবে।

    প্রদীপ জ্বালানোর সময় কোনগুলি মাথায় রাখবেন?

    জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ভাঙা প্রদীপ (Lighting Lamp) বাড়িতে কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রদীপ নষ্ট হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে ফেলতে বলছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা। ভাঙা প্রদীপ ঘরে অশান্তি, নেতিবাচকতা নিয়ে আসে।

    শাস্ত্র অনুসারে, মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর (Lighting Lamp) সময় প্রদীপ শিখার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এতে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে।

    সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালানোর সময় জপ করতে পারেন এই মন্ত্র

    শুভং করোতি কল্যাণম্ আরোগ্যম্ ধনসম্পদা।

    শত্রুবুদ্ধিবিনাশায় দীপকায় নমোস্তুতে।।

    দীপো জ্যোতি পরংব্রহ্ম দীপো জ্যোতির্জনার্দনঃ।

    দীপো হরতু মে পাপং সন্ধ্যাদীপ নমোস্তুতে।।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Akash Pradip: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    Akash Pradip: আকাশ প্রদীপ জ্বালালে সন্তুষ্ট হন ভগবান বিষ্ণু, পূরণ করেন ভক্তের মনস্কামনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া, ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’-গানটি বাঙালির কাছে আজও নস্টালজিয়া হয়ে রয়েছে। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (Akash Pradip) কয়েক বছর আগেও কার্তিক মাসে, বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসে, হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায়, সন্ধান মেলে ‘আকাশ প্রদীপ’-এর।

    পৌরাণিক আখ্যান

    পুরাণ মতে, দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে কার্তিক (Kartik) মাসে জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu)। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপ ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের ওপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    অন্য প্রচলিত বিশ্বাস কী রয়েছে?

    অন্য একটি কিংবদন্তি মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশে গমন করেন কালীপুজোর অমাবস্যায়। এই প্রদীপ (Akash Pradip) জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    আকাশ প্রদীপের ধরন

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা (Lord Vishnu) করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ‘আকাশ প্রদীপ’ (Akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনবাসনা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরনগুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    আকাশ প্রদীপ দেওয়ার মন্ত্র

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌। পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয়, ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশপ্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হল-“আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ। “আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ। ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিতরা দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ-প্রদীপও (Akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এই পঞ্চভূতে তৈরি। ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh 2025: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    Mahakumbh 2025: মিলবে একাধিক সুবিধা থেকে পৌরাণিক জ্ঞান, জানুন মহাকুম্ভের ৩০ রত্নদ্বার সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান হল ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। কুম্ভ মেলা প্রতি চার বছর অন্তর পালন করা হলেও প্রতি বারো বছর অন্তর পালিত হয় মহাকুম্ভ বা পূর্ণকুম্ভ (Mahakumbh 2025)। এছাড়া প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার ও প্রয়াগরাজে পালিত হয় অর্ধকুম্ভ। ২০১৩ সালে শেষবার মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়েছিল প্রয়াগরাজে। ১২ বছর পর ফের অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মহাকুম্ভ। প্রসঙ্গত, হিন্দুধর্মে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারেও এই অনুষ্ঠানের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। এই মহাকুম্ভের সঙ্গে মিশে রয়েছে জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভারতীয় সংস্কৃতি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুাসের, মেষ রাশির চক্রে বৃহস্পতি, সূর্য ও চন্দ্র মকর রাশিতে প্রবেশ করলে মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলা শুরু হচ্ছে ১৩ জানুয়ারি থেকে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলাকে সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্য-ধর্মীয়-ঐতিহাসিক-পৌরাণিকভাবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা শুরু করেছে যোগী সরকার।

    মহাকুম্ভে থাকবে ৩০টি বড় দ্বার

    এবারের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) তৈরি করা হবে ৩০টি বড় দ্বার। মেলা প্রাঙ্গণের প্রবেশদ্বারের মুখগুলিতেই তৈরি করা হচ্ছে প্রত্যেকটি গেট। সমুদ্রমন্থনের বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনা লিপিবদ্ধ করা থাকবে এই দ্বারগুলিতে। এই দ্বারগুলি দিয়ে — যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকবে। পুণ্যার্থীরা সহজেই প্রবেশ-প্রস্থান করতে পারবেন। আবার, দিক-নির্দেশের চিহ্ন বা দিশা দেখানোর কাজ করতে পারবে এই দ্বারগুলি। একই সঙ্গে, তথ্য আদানপ্রদানেরও ব্যবস্থা থাকবে এই দ্বারগুলিতে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি দ্বার পুরাণ বা পৌরাণিক আখ্যানের নিদর্শন বহন করবে। ৩০ দ্বার ৩০ রত্নের থিম নিয়ে নির্মিত হবে। প্রতিটি রত্নদ্বার ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে।

    ৫০ কোটি তীর্থযাত্রী আসতে পারেন বলে অনুমান (Pilgrims)

    যদি কোনও তীর্থযাত্রী কুম্ভ প্রাঙ্গণে হারিয়ে যান তাহলে এই গেটে পৌঁছানো মাত্রই, সেখানে থাকা কর্মীরা তাঁকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন। এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পর্যটন এবং সংস্কৃতি মন্ত্রী জয়বীর সিং জানিয়েছেন, এই গেটগুলি শুধুমাত্র প্রবেশদ্বার হিসেবেই গড়ে উঠছে না। এগুলি ভারতবর্ষের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস ও পৌরাণিক ঘটনাগুলির প্রতিফলনও ঘটাবে। এর ফলে  মহাকুম্ভ মেলায় আসা তীর্থযাত্রীরা নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক নানা ঘটনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারই হয়ে উঠবে একটি করে তথ্যভাণ্ডার। এখানেই তীর্থযাত্রীরা নিজেদের খাদ্য পানীয় ও বাসস্থানের বিষয়ে তথ্য পাবেন। শুধু তাই নয়, এগুলির মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের প্রতিদিনকার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানও করতে পারবেন। কত সংখ্যা হতে পারে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে? এ নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের বক্তব্য হল, ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে ৫০ কোটি তীর্থযাত্রীর ভিড় হতে পারে।

    ৩০টি গেটে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোট ছোট পুস্তিকা সরবরাহ করা হবে

    জানা গিয়েছে, ওই ৩০টি গেটে মহাকুম্ভ মেলা সংক্রান্ত বিভিন্ন ছোট ছোট পুস্তিকা সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকেই তা দেওয়া হবে। এগুলি, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষাতে হবে। এই পুস্তিকাগুলিতে লেখা থাকবে, প্রয়াগরাজের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটনস্থান সম্পর্কে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে এ বিষয়ে গাইডবুকও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় প্রয়াগরাজের বিভিন্ন গেস্ট হাউসে কীভাবে থাকা যাবে, কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে- তাও এই গাইড বুকগুলির মাধ্যমে জানতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, যোগী সরকার তীর্থযাত্রীদের সমস্ত রকমের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকল তীর্থযাত্রীকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে যোগী সরকার।

    তীর্থযাত্রীদের যোগী সরকার দেবে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা

    জানা গিয়েছে, প্রতিটি গেট বা প্রবেশদ্বারে কর্মীও মোতায়েন করা হবে এবং তাঁরা প্রতিদিনকার তথ্য সরবরাহ করবেন তীর্থযাত্রীদের। স্থানীয় পর্যটন শিল্পের প্রচারেরও কাজ করবেন তাঁরা। ওই ৩০টি প্রবেশদ্বারকে রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্বে থাকবেন বিশেষ প্রশিক্ষিত কর্মীরা। গেটগুলিতে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ কর্মীরা মহাকুম্ভ মেলার বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে তীর্থযাত্রী তথা ভক্তদেরকে গাইড করবেন। তাঁদেরকে বিশদে বর্ণনা করবেন মহাকুম্ভ মেলায় পুণ্য স্নানের গুরুত্ব ঠিক কতখানি?  ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ মেলাকে সবদিক থেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে যোগী সরকার। যাতে আগত তীর্থযাত্রীদের সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়। তাদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীরও আটটি রূপ! জানুন কোন রূপের কী মাহাত্ম্য

    Lakshmi Puja 2024: দেবী লক্ষ্মীরও আটটি রূপ! জানুন কোন রূপের কী মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরাণে দেবী লক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2024) আবির্ভাবের কথা বিশদে উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ অনুসারে দেব ও অসুরের ক্ষীরসাগর মন্থন কালে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) উঠে আসেন। হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে দেবী লক্ষ্মীর আটটি রূপের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রূপই পার্থিব এবং অপার্থিব আট ধরনের সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা যায়। নীচে আট রূপের বর্ণনা দেওয়া হল-

    আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মী:

    পুরাণ অনুসারে দেবী আদিলক্ষ্মী বা মহালক্ষ্মীর (Maa Lakshmi) চারটি হাত। এক হাতে থাকে পদ্ম, এক হাতে থাকে সাদা পতাকা, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় ও বরদা মুদ্রা। জ্যোতিষরা বলেন, আদিলক্ষ্মী (Lakshmi Puja 2024) বা মহালক্ষ্মীর সঙ্গে বৃহস্পতি গ্রহের সম্পর্ক রয়েছে।

    ধনলক্ষ্মী:

    লালবসনা দেবী ধনলক্ষ্মীর (Lakshmi Puja 2024) ছয় হাতে ছয়টি জিনিস থাকে। সেগুলি হল— চক্র, আম্রপল্লব ও নারকেল বসানো কলসি, তির-ধনুক, পদ্ম, সোনার মুদ্রা এবং অভয় মুদ্রা। দেবী ধনলক্ষ্মীর শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমনটাই মনে করেন জ্যোতিষীরা। 

    ধান্যলক্ষ্মী:

    সবুজ বসনা দেবী ধান্যলক্ষ্মীর আটটি হাত রয়েছে। আট হাতের দু’টি হাতে থাকে পদ্ম। অন্যান্য হাতগুলিতে থাকে গদা, ধান, আখ গাছ, কলা, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা। দেবী ধান্যলক্ষ্মীর সূর্য এবং চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, বলেই মনে করেন জ্যোতিষীরা।

    গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মী:

    গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মী লাল বসনা। দেবীর চারটি হাতের দুই হাতে থাকে পদ্ম, অন্য দুই হাতে থাকে অভয় এবং বরদা মুদ্রা। দেবীর দুই পাশে দুই হাতি কলসি দিয়ে দেবীকে জল অর্পণ করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, গজলক্ষ্মী বা ভাগ্যলক্ষ্মীর সূর্যের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

    সন্তানলক্ষ্মী:

    সন্তানলক্ষ্মীর ছয় হাতের ওপরের দু’টি হাতে থাকে আম্রপল্লব ও নারকেল বসানো কলসি, নীচের হাতগুলিতে থাকে ঢাল ও তরোয়াল। মাঝের হাত দু’টির একটি হাত কোলে বসানো শিশুকে ধরে রাখে, শিশুর হাতে থাকে একটি পদ্ম। দেবীর অপর হাতে থাকে অভয় মুদ্রা। দেবী সন্তানলক্ষ্মীর বৃহস্পতি এবং শুক্র গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী:

    বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী লাল বসনা। দেবীর আট হাতে যথাক্রমে চক্র, শঙ্খ, তির, ধনুক, ত্রিশূল, তালপাতার ধর্মগ্রন্থ, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা থাকে। বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মীর মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মী:

    বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মী হলেন লালবসনা। দেবীর আটটি হাতে আট রকমের জিনিস থাকে। সেগুলি হল— চক্র, শঙ্খ, তরোয়াল, ঢাল, পদ্ম, পাশ, অভয় মুদ্রা এবং বরদা মুদ্রা। বিজয়লক্ষ্মী বা জায়ালক্ষ্মীর সূর্য এবং মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করা হয়।

    বিদ্যালক্ষ্মী:

    দেবী বিদ্যালক্ষ্মী শুভ্রবসনা। দেবীর চার হাতের দু’টিতে থাকে পদ্ম, অন্য দুই হাতে থাকে বরদা মুদ্রা এবং আভাস মুদ্রা। দেবী বিদ্যালক্ষ্মীর সঙ্গে দেবী সরস্বতীর অনেকটাই মিল আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Maa Lakshmi: এই পাঁচটি কাজ করুন প্রতিদিন, মা লক্ষ্মী হবেন প্রসন্না, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি

    Maa Lakshmi: এই পাঁচটি কাজ করুন প্রতিদিন, মা লক্ষ্মী হবেন প্রসন্না, আসবে সুখ-সমৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্মে মা লক্ষ্মীকে (Maa Lakshmi) ধন, সম্পদ, গৌরব, সুখ প্রদানকারী দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জীবনে ধন-সম্পদ ও সুখ-সমৃদ্ধি লাভের জন্য দেবী লক্ষ্মীর পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, দেবী লক্ষ্মীর (Maa Lakshmi) আশীর্বাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কখনও সম্পদ এবং সুখ ও খ্যাতির অভাব হয় না। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এবং তাঁকে খুশি করার জন্য শাস্ত্রে অনেক কিছু বলা হয়েছে। মা লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্য অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। কীভাবে প্রতিনিয়ত কাজের মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করা যায়-এরকমই ৫টি কাজ আমরা জানব।

    সকালে বাড়ির প্রবেশদ্বার ধুতে হবে: ভক্তদের  বিশ্বাস রয়েছে, যে বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকে, সেখানেই দেবী লক্ষ্মী বাস করেন। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী জানা যায়, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারটি খুবই পরিষ্কার রাখা উচিত। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ভগবানকে স্মরণ করে বাড়ির মূল দরজা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। এতে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) দ্রুত প্রসন্না হন এবং বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি প্রবেশ করে। 

    দরজায় প্রদীপ জ্বালাতে হবে: বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারটিকে বাস্তুশাস্ত্রে খুবই বিশেষ বলে বিবেচনা করা হয়। প্রত্যহ সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান দরজায় একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। ভক্তদের বিশ্বাস, এইভাবে দেবী লক্ষ্মী (Maa Lakshmi) খুব দ্রুত প্রসন্না হন এবং সুখ ও সৌভাগ্য দিয়ে ঘর পূর্ণ করেন।

    তুলসী পূজন করতে হবে: মা লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর কাছে তুলসী খুবই প্রিয় বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস রয়েছে, যে বাড়িতে তুলসী গাছের নিয়মিত পুজো হয়, সেখানে দেবী লক্ষ্মী অবশ্যই বাস করেন। প্রতিদিন সকালে তুলসীতলায় জল নিবেদন এবং সন্ধ্যায় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি আসে বলেই বিশ্বাস।

    সূর্যদেবকে জল নিবেদন করতে হবে: শাস্ত্র অনুযায়ী (Hindu Custom), যে ব্যক্তি সূর্যদেবকে জল নিবেদন করেন এবং তাঁর ঘর সুখ, সমৃদ্ধি এবং গৌরবে পরিপূর্ণ থাকে। প্রতিদিন সূর্যদেবকে জল নিবেদন করলে রাশিতে সূর্যের অবস্থান মজবুত হয় বলেও জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা।

    তিলক লাগাতে হবে: শাস্ত্রবিদরা নিয়মিত কপালে চন্দনের তিলক লাগানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন। ধর্মীয় বিশ্বাস (Hindu Custom) অনুসারে, সকালে পুজোর পর কপালে তিলক লাগালে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    Durga Puja 2024: দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে দশানন রাবণবধ রামের, জানুন দশেরার মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে বাংলার ঘরের মেয়ে উমা বাপের বাড়ি থেকে স্বামীগৃহে রওনা দেন। মন যখন আমাদের ভারাক্রান্ত হয়, ঠিক তখনই দেশের অন্যান্য প্রান্তে ধুমধাম করে পালিত হয় দশেরা উৎসব (Durga Puja 2024)। দশটি মাথার বড় প্রতীকী অসুরকে অগ্নি-সংযোগের দ্বারা জ্বালানোর নামই দশেরা। পোশাকি একটা নাম অবশ্য রয়েছে, রামলীলা। দিল্লির রামলীলা ময়দান তো আমাদের অতি পরিচিত। দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও রামলীলা ময়দানে দশেরা উৎসব পালন করতে দেখা যায়। তিনিই তির নিক্ষেপ করে দশমাথার প্রতীকী অসুরকে অগ্নিসংযোগ দ্বারা দহন করেন (Dashera)। দশমাথার অসুর বললে নিশ্চিতভাবে আমাদের আর বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সেটি দশানন রাবণ। রাবণকে বধ করতেই (Dashera) আশ্বিন মাসে মা দুর্গার (Durga Puja 2024) অকাল বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। বিল্ববৃক্ষ তলায় মা দুর্গার পুজো করেছিলেন, তারপরেই রাবণবধ করেছিলেন দশমী তিথিতে। অন্য একটি বিশ্বাস মতে, ন’দিন ন’রাত্রি ব্যাপী যুদ্ধের পর মহিষাসুরকে দশমী তিথিতে বধ করেন দেবী দুর্গা। মহিষাসুর এবং রাবণ-দুই অসুর-ই অত্যাচার, অধর্ম, পাপ, অশুভ শক্তির প্রতীক। দশমী তিথি (Durga Puja 2024) তাই পবিত্র-পুণ্য এক তিথি, যেদিন আসুরিক শক্তির বিনাশ হয়েছিল। অশুভ শক্তি পরাস্ত হয়েছিল শুভ শক্তির কাছে। দেবতারা সেদিন পুষ্পবৃষ্টি করেছিলেন মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার ওপর এবং রাবণ বধের জন্য ভগবান রামচন্দ্রের ওপর।

    অজ্ঞাতবাস থেকে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ পাণ্ডবদের

    অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দশেরার সঙ্গে পাণ্ডবরাও সম্পর্কিত। দশেরার দিন দেশের নানা প্রান্তে অস্ত্রপূজন দেখতে পাই আমরা। দশমী তিথির এই অস্ত্রপূজন পাণ্ডবদের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে অনেকে মনে করেন। পৌরাণিক আখ্যানটি জেনে নেওয়া যাক। পাশা খেলায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছরের অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। বনবাসের পর অজ্ঞাতবাস শুরু করার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তাঁরা বিরাট রাজ্যে প্রবেশ করার আগে একটি শমীবৃক্ষের কোটরে তাঁদের সঙ্গে থাকা সমস্ত অস্ত্র লুকিয়ে রেখে যান। আবার ঠিক এক বছর পরে এই বিজয়া দশমীর দিনটিতে ওই কোটর থেকে অস্ত্র বের করে নিজেদের আসল পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা। তাই তার পর থেকে দেশের সমস্ত প্রান্তে দশমীর দিনটিতে অস্ত্রের পুজো প্রচলিত আছে। এদিন অনেক জায়গায় পরস্পরকে শমীবৃক্ষের পাতা দিয়ে দুষ্টের উপর বিজয়ের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার চলও রয়েছে।

    অযোধ্যায় ধনবৃষ্টি কুবেরের

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক মত অনুযায়ী, রামের জন্মের বহু আগে থেকেই নাকি রঘুবংশে পালিত হয় দশেরা। রামের পূর্বপুরুষ রাজা রঘুর আমলের একটি ঘটনা এক্ষেত্রে প্রচলিত রয়েছে। রঘুর রাজ্যে ছিলেন দেবদত্ত নামে এক ঋষি, যাঁর পুত্র কৌৎস শিক্ষালাভে গিয়েছিলেন ঋষি বরতনুর কাছে। শিক্ষা শেষে ১৪টি বিষয়ে সুশিক্ষিত কৌৎস যখন গুরুকে জিজ্ঞেস করেন, গুরুদক্ষিণা হিসেবে কী চান তিনি, বরতনু তখন উত্তর দেন, তাঁর কিছুই চাই না, ছাত্রের সুশিক্ষাই তাঁর কাছে গুরুদক্ষিণার সমান! কিন্তু কৌৎস গুরুদক্ষিণা না দিয়ে যাবেন না। বাধ্য হয়ে একটি অসম্ভব ইচ্ছে প্রকাশ করেন বরতনু। তিনি বলেন, ১৪টি বিষয়ে শিক্ষার দক্ষিণা হিসেবে তিনি ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চান। গুরুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে কৌৎস যান অযোধ্যার রাজা রঘুর কাছে। কিন্তু সেদিনই ব্রাহ্মণদের দানে সব সোনা দিয়ে দেওয়ার কারণে রঘু কৌৎসর কাছে তিন দিন সময় চান। কৌৎস সেই কথা শুনে বিদায় নেওয়ার পর রঘু চলে যান দেবরাজ ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্র সব শুনে ডেকে পাঠান ধনের দেবতা কুবেরকে। ইন্দ্রের কথামতো কুবের অযোধ্যা রাজ্যে সেদিন ধনবৃষ্টি শুরু করেন। শোনু এবং আপতি গাছের পাতাগুলি থেকে ঝরতে থাকে সোনার মোহর! সেই মোহর একত্রিত করে কৌৎসকে দেন রাজা রঘু। ছাত্রের কাছ থেকে শুধু ১৪০ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা চেয়েছিলেন বরতনু, বাকিটা তিনি ফিরিয়ে দেন কৌৎসকে। কৌৎস তা আবার ফিরিয়ে দেন রঘুকে। দানবীর রঘু তা বিলিয়ে দেন তাঁর প্রজাদের মধ্যে। সেই দিনটি ছিল বিজয়া দশমীর দিন। অর্থাৎ দেবী মাহাত্ম্য, রামায়ণ, মহাভারত সহ সমস্ত পৌরাণিক আখ্যানে পাওয়া যায় দশেরার মাহাত্ম্য, বাংলায় দশমীর মাহাত্ম্য। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: ঘটের জল কীসের প্রতিরূপ? ঘট ছাড়া কেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না?

    Durga Puja 2024: ঘটের জল কীসের প্রতিরূপ? ঘট ছাড়া কেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণ হয় না?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও পুজোতে ঘট অপরিহার্য। ঘট ছাড়া কোনও পুজো হয় না। ঘট (Ghot Puja) বিসর্জন হলেই দেবতার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হয়। ঘট এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? সমস্ত ধরনের পুজো (Durga Puja 2024), যে দেবতার উদ্দেশে পুজো, সবটাই ধারণ করে থাকে ঘট। বলা হয় ঘটই হল আমাদের দেহের প্রতিরূপ। দেহকে তাই দেহ ঘট বলা হয়ে থাকে। ঘটের বিভিন্ন অংশের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের আগে, জেনে নেওয়া যাক ঘটের প্রথম ব্যবহার সম্পর্কে প্রচলিত এক পৌরাণিক গল্প। সমুদ্র মন্থনের কথা কমবেশি সকলেই জানি আমরা। ক্ষীরসাগরে সমুদ্রমন্থনের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল। এক্ষেত্রে মন্দর পর্বত মন্থনদণ্ড হিসেবে এবং নাগরাজ বাসুকী মন্থনের দড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। মণি, মাণিক্য, রত্ন সবকিছুর সঙ্গে উঠেছিল তীব্র বিষ। যাকে হলাহল বলা হয়ে থাকে। এই বিষকে রাখার জন্য একটি বড় ঘটের আকৃতির পাত্র তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা। সেই থেকেই নাকি ঘটের প্রচলন শুরু। এবার ঘটের বিশ্লেষণ করা যাক।

    ঘটের বিশ্লেষণ (Durga Puja 2024)

    পঞ্চগুড়ির দ্বারা ঘটের পিঠ (Durga Puja 2024) তৈরি করা হয়। এই পঞ্চগুড়ি হল ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এর প্রতীক। এক কথায় পঞ্চ মহাভূত। মৃত্তিকা পিঠের উপরে দেওয়া হয় পঞ্চশস্য। এগুলি হল মানুষের পাঁচটা বৃত্তি-কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ ও মৎসর্য্য-এর প্রতীক। ঘটের ভিতরে দেওয়া হয় পঞ্চরত্ন। এগুলি চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা-এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রতীক। এর ওপরে ঘটটি স্থাপন করা হয়।

    প্রথমেই বলা হয়েছে, ঘটকে দেহের প্রতিরূপ মানা হয়। তাই দেহ গঠনে যা যা উপাদানের প্রয়োজন হয়, সবটাই ঘটে রাখতে হয় প্রতীক হিসেবে। ঘটকে জল পূর্ণ করে রাখতে হয়। জল হল এখানে দেহরস বা রক্তের  প্রতিরূপ।
    আমাদের নজর নিশ্চয়ই এড়িয়ে যায় না, যখন ঘটের ওপর আমরা পঞ্চপত্র বা পাঁচটি পাতা দেখতে পাই। এই পাতা হল মানবদেহের গ্রীবার প্রতীক।

    ঘটের (Ghot Puja) শীর্ষে থাকে নারকেল। অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন, মানবদেহের মুখের আকৃতির মতো হয় নারকেল। নারকেলেও চোখ-নাকের আকৃতি থাকে। ঘটের শীর্ষে নারকেল দেওয়া হয় মুখমণ্ডলের প্রতীক হিসেবে। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীরা মনে করেন, ঘটে স্বয়ং দেব-দেবীরা অবস্থান করেন। প্রতিমার প্রতীক হিসেবে ঘট পুজো করা হয়। সাকার রূপে থাকে দেবদেবীর প্রতিমা এবং নিরাকার রূপে থাকে ঘট। অনেক বাড়িতেই প্রতিমা ছাড়া দুর্গাপুজো বা যে কোনও পুজো হয় শুধুমাত্র ঘট স্থাপনের দ্বারা।

    এবার জেনে নেওয়া যাক ঘট স্থাপনের রীতি বা আচার

    -ঘট স্থাপনে দরকার হয় মাটি। গঙ্গা মাটি হলে ভালো হয় বলে মনে করেন হিন্দু পণ্ডিতরা। গঙ্গা মাটি না পেলে পবিত্র কোনও পুকুরের মাটি লাগে।

    -ঘটের মধ্যে দেওয়ার জন্য দরকার পঞ্চপাতা (Durga Puja 2024)। পাতাগুলি যেন একত্রে পাঁচটি বা সাতটি থাকে। 

    -পণ্ডিতদের মতে তেল, ঘি এবং সিঁদুরের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে দেওয়ার পরে সেই মিশ্রণের ফোঁটা লাগিয়ে দিতে হয় প্রত্যেক পাতায়। ডাবের ওপর স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে হয়। ডাবের ওপরে রাখতে হয় একটি নতুন গামছা। চারদিকে চারটি তীর কাঠি পুঁতে কাঠিগুলিতে বাঁধতে হয় লাল ধাগা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    Panchmukhi Hanuman: আসবে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি! বাড়ির এই দিকে রাখুন পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবনপুত্র ও রামভক্ত বজরঙ্গবলির আরাধনা করার বিশেষ দিন হল মঙ্গলবার। প্রতিদিনকার জীবন সংগ্রামে আমরা সবাই যোদ্ধা। মাঝে মাঝে জীবনে এমন সঙ্কট আসে, যেখান থেকে বের হওয়া খুব কঠিন বলে মনে হয় আমাদের। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট দূর করতে সাহায্য করেন রামভক্ত হনুমানজি। তাই মঙ্গলবারে হনুমানজির (Hanuman) আরাধনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেকে। হনুমানজিকে জাগ্রত দেবতা মনে করা হয়। বজরঙ্গবলিকে খুব অল্পতেই প্রসন্নও করা যায়। বজরঙ্গবলির সাধনা জীবনের সঙ্কট দূর করে, আসে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি। ভক্তদের বিশ্বাস, বজরঙ্গবলির সাধনা করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা লাভ করা যায়। যে বাড়িতে বজরঙ্গবলির ছবি থাকে এবং নিয়মিত তাঁর পুজো করা হয়, সেখানে শনিদোষ, পিতৃদোষ ও ভূত-পিশাচের ভয় ও দোষ থাকে না। বাড়িতে সর্বদাই শান্তি বিরাজ করে। বজরঙ্গবলির অনেক ধরনের ছবিই আমরা দেখি। বাড়িতে কোথায় এবং ক,ভাবে কোন ধরনের বজরঙ্গবলির (Hanuman) ছবি লাগানো উচিত, তারও কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি। শাস্ত্রবিদরা বলছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে সবদিক থেকে সুফল মেলে। 

    নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে

    বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি যে বাড়িতে থাকে, সেখানে উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয় এবং ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়, বাস্তুদোষ কেটে যায়। এর ফলে পরিবার শত্রু বাধা, অসুস্থতা ও বিবাদ থেকে মুক্তি পায়। জ্যোতিষীরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন, বাড়িতে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি লাগানো উচিত। মনে করা হয়, হনুমানজি এই পৃথিবীতেই থাকেন। তাই তাঁকে ডাকলে সহজেই আবির্ভূত হন তিনি। ভক্তদের সমস্ত কষ্ট দূর করেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে সঙ্কটমোচনও বলা হয়। হনুমানের আরাধনা করলে সব কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় জীবনে। পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি বা মূর্তি সব দিক থেকে আসা নেতিবাচক শক্তিকে পরাভূত করে ভক্তের সঙ্কটমোচন করেন বলেই বিশ্বাস। ভক্তদের বিশ্বাস, ঘরে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে পরিবারের সকলের সমস্যা দূর হয়। বজরঙ্গবলিকে স্মরণ করলেই সকল প্রকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শাস্ত্র বিশারদদের মতে, গৃহস্থের কল্যাণের জন্য ঘরে রাখা দরকার হনুমানের পঞ্চমুখী ছবি। 

    হনুমানজির পঞ্চমুখী (Panchmukhi Hanuman) ছবির গুরুত্ব

    বাড়িতে হনুমানজির পঞ্চমুখী ছবি রাখলে ঘরের সমস্ত সমস্যা দূর হয় এবং নেতিবাচক শক্তি চলে যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির চতুর্দিকে তৈরি হয় ইতিবাচক শক্তির বলয়। শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্চমুখী হনুমানের পাঁচটি মুখের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। পঞ্চমুখী হনুমানজির প্রতিকৃতিতে সকল মুখ ভিন্ন ভিন্ন দিকে রয়েছে। পূর্ব দিকে ভগবান হনুমানের বানরের মুখ রয়েছে যা শত্রুদের উপর বিজয় প্রদান করে। পশ্চিম দিকে ঈশ্বরের গরুড় মুখ, যা জীবনের বাধা এবং ঝামেলা দূর করে। উত্তর দিকে রয়েছে ভগবান হনুমানের বরাহা মুখ, যা খ্যাতি এবং শক্তির কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। হনুমানজির সিংহ মুখ দক্ষিণ দিকে, যা জীবন থেকে ভয় একেবারে চিরতরে দূর করে। আকাশের দিকে ভগবানের একটি ঘোড়া মুখ রয়েছে যা ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করে বলেই বিশ্বাস ভক্তদের।

    পঞ্চমুখী হনুমানের (Panchmukhi Hanuman) ছবি বসানোর সঠিক দিক

    বাস্তুবিদরা বলছেন, পঞ্চমুখী হনুমানজির (Panchmukhi Hanuman) ছবি বাড়িতে বসানোর সময় সঠিক দিকটি মাথায় রাখা খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে, শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখা সবচেয়ে শুভ। এই স্থানে ছবি রাখলে যে কোনও  ধরনের অশুভ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। নেতিবাচক শক্তি ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ বাস্তু অনুসারে, বেশিরভাগ নেতিবাচক শক্তি দক্ষিণ দিক থেকে আসে। এই দিকে পঞ্চমুখী হনুমানের ছবি রাখলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এর পাশাপাশি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে পঞ্চমুখী হনুমানজির ছবি রাখলে সব ধরনের বাস্তু দোষ দূর হয় বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা।

    ভগবান হনুমান কেন পঞ্চমুখী অবতার নিলেন? জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, যখন ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন রাবণ নিজের পরাজয় সামনে দেখে, ভাই অহিরাবণের কাছে সাহায্য চান। রাবণের ভ্রাতা অহিরাবণ ছিলেন মা ভবানীর একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ও তন্ত্রবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী। অহিরাবণ মায়া করে রামের বাহিনীকে ঘুম পাড়িয়ে দেন এবং রাম-লক্ষ্মণকে অপহরণ করে পাতালে নিয়ে চলে যান। অহিরাবণ ছিলেন দেবী ভবানীর পরম ভক্ত, তাই তিনি মা ভবানীর নামে পাঁচটি দিকে পাঁচটি প্রদীপ জ্বালিয়েছিলেন। অহিরাবণকে বধ করা খুব সহজ ছিল না। তাঁকে তখনই বধ করা সম্ভব হত, যদি কেউ এই পাঁচ প্রদীপ এক সঙ্গে নিভিয়ে দিতে পারতেন। রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধারের জন্য তাই অহিরাবণকে পরাজিত করতে হনুমানজি পঞ্চমুখীরূপ (Panchmukhi Hanuman) ধারণ করেছিলেন বলে জানা যায়। হনুমানজি পাঁচটি মুখের সাহায্যে  একসঙ্গে পাঁচ দিকের প্রদীপ নিভিয়ে দেন এবং অহিরাবণকে হত্যা করে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share