Tag: Hindus

Hindus

  • Hindus: দেশে-বিদেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus: দেশে-বিদেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু (Hindus) এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দশকের পর দশক (Roundup Week) ধরে চলা এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা এবং বিস্তার অগ্রাহ্য করে চলেছে বিশ্ব। তার জেরেই বাড়ছে হিন্দু নিধন কিংবা নির্যাতন। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ-বিদেশের ছবিটা।

    প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল (Hindus)

    সম্প্রতি অনুষ্ঠিত থিরুভোনমের দিনে উত্তর কেরালার কন্নুর জেলায় এক দল তরুণী প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল করে। মিছিলটি আবার নিয়ে যাওয়া হয় কয়েকটি মন্দিরের সামনে দিয়ে। কেরালার কমিউনিস্ট শাসক এবং উন্মুক্ত চিন্তাবাদী অনুসারীরা ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী প্রচার করলেও, নিজের রাজ্যে ওড়ায় প্যালেস্তাইনের পতাকা, হামাস জঙ্গিদের সমর্থনে মিছিল হয়, যাহিয়া সিনওয়ার মতো ব্যক্তিদের জন্য জানাজা পড়া হয়, অথচ সেখানে পিনরাই বিজয়ন সরকার একটি ওনম পুক্কোলামে অপারেশন সিন্দুর লেখা শব্দটি কেটে দেয়। এদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বজরং দল জেনেছে, এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে হিন্দু নামধারী এক মুসলমান যুবক। মনীশ চৌধুরী নাম নিয়ে সে ওই মহিলাকে প্রতারণা করে।

    গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর

    মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার ভিরোদা গ্রামে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ইসলামি উগ্রবাদীরা পাথর ছোড়ে। পাথরের ঘায়ে জখম হন বেশ কয়েকজন। প্রেমিকার বাড়িতে গণেশপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা আলি গোনি। তাঁর অমুসলিম প্রেমিকা গণপতি বাপ্পা মোরিয়া বললেও, তিনি ছিলেন নীরব। তা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। প্রত্যুত্তরে আলি বলেন, “আমার ধর্মে পূজা করা নিষেধ। কোরআনেও এটি বলা হয়েছে। আমি প্রথমবার গণেশ পূজায় গিয়েছিলাম। আমাকে টার্গেট করা হয়েছে কারণ আমি মুসলিম। তবে কেউ যদি আমার সামনে গালাগালি করে, আমি তার গলা কেটে ফেলব।” তাঁর এই বক্তব্য ইসলামিক ফান্ডামেন্টালিজমের মানসিকতারই পরিচয় দেয়। কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। কোথাও মূর্তির ওপর থুতু ফেলা হয়, কোথাও আবার পাথর ছোড়া হয় মসজিদ থেকে। ওই ঘটনাগুলিতে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২১জনকে। ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নেওয়া হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে অভিযোগ (Roundup Week)। মহারাষ্ট্রের কেশব নগরের গোদরেজ ইনফিনিটি হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত শিব মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র শিবলিঙ্গটি গাছের গোড়ায় উল্টে ফেলা হয়। তার ওপর ফেলা হয় নোংরা আবর্জনা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় (Roundup Week)।

    এক মাসে নিখোঁজ ৫৬ জন মেয়ে

    অম্বেদকর নগর জেলায় মাত্র এক মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ৫৬ জন মেয়ে। এঁদের অধিকাংশই হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক, তফশিলি জাতি ও দরিদ্র পরিবারের। পুলিশি রেকর্ড থেকেই জানা গিয়েছে, ১৮টি থানায় মোট ৫৬টি অপহরণের ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অভিযোগ দায়ের করেনি। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় এক হিন্দু মহিলাকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইহসান হুসেন। পরে তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। চেন্নাই থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলাকে (Hindus)।গোরখপুরের রামগড়তল এলাকায় বছর ছাব্বিশের এক হিন্দু মহিলাকে যৌন নিপীড়ন ও প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শামশাদ আলম নামে এক ব্যক্তি। ওই মহিলার অভিযোগ, শামশাদ বিহারের বেতিয়া জেলার বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামে সে নিজেকে রাকেশ নিশাদ পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শামশাদ তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ও পরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আরও ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় (Hindus)। অন্যদিকে, কেরল হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ কমিশনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাচীন শবরীমালা মন্দিরের ভেতরে মণ্ডপের দু’পাশে যে দুজন দ্বারপাল রয়েছেন, আগাম অনুমতি ছাড়াই তাঁদের গা থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার মোড়ক।

    লাভ জিহাদ

    ইনস্টাগ্রামে সানি বলে পরিচয় দিয়েছিল শানু নামের এক মুসলমান যুবক। সে তফশিলি জাতির এক মহিলাকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে ধর্ষণ করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, শানু হিন্দু নামে নকল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করত মহিলাদের। কথা বলার সময় সে এমন ভান করত যে সে যেন ওই মহিলার জাতি ও সম্প্রদায়ের লোক। এভাবে সে তাদের আস্থা অর্জন করে ফাঁদে ফেলত (Hindus)।মুম্বইয়ের বিক্রোলি পার্কসাইট এলাকায় এক অটোরিকশা চালক নীরজ উপাধ্যায়কে মুসলমানরা ‘সর তন থেকে জুয়া’ হুমকি দেয়। তিনি ছত্রপতি সাম্ভাজির নামফলক ঈদের পোস্টার দিয়ে ঢেকে ফেলার প্রতিবাদ করেন। তাই এই হুমকি।

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গিকে নিরাপত্তা

    এবার তাকানো যাক বিশ্বের দিকে। ভারতের পড়শি দেশ নেপালে পশুপতিনাথ দর্শনে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক তীর্থযাত্রী দল। হামলাকারীরা বাসে পাথর ছোড়ে। যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ব্যাগ, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন (Roundup Week)। কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই খালিস্তানপন্থীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। সম্প্রতি সে দেশের সরকার খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ইন্দরজিৎ গোসলকে সুরক্ষা দিয়েছে। সে ব্র্যাম্পটন হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল (Hindus)।

  • Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    Hindus: দেশে-বিদেশে অব্যাহত হিন্দু-হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর হামলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই এই নির্যাতন পরিণত হচ্ছে গণহত্যায়। দশকের (Roundup Week) পর দশক ধরে বিশ্ব এই হামলাগুলির প্রকৃত গভীরতা ও বিস্তৃতি উপেক্ষা করে এসেছে। হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তির অবমাননা, হিংসাত্মক বক্তব্য, যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে সংবিধানগত ও আইনি বৈষম্য এসব হামলার মাধ্যমে হিন্দুরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্রমশ কঠোর প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এ সপ্তাহে বিশ্বের ছবিটা।

    ভারত (Hindus)

    কোলাপুরে ২২ অগাস্ট রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জখম হয়েছেন ১০ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি যানবাহন। কোলাপুরের এই হিংসা কেবল দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ নয়, এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। এখানে ইসলামি উগ্রপন্থীরা এসসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। সাঙ্গলির মিরাজ থানা পুলিশ বৈভব রাজারাম অবলের বিরুদ্ধে বরাহ জয়ন্তী মিছিল আয়োজনের অভিযোগে মামলা করেছে। যদিও বৈভবের কাছে মিছিলের জন্য পুলিশের অনুমতি ছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বরেলি থানা একটি আন্তঃরাজ্য ধর্মান্তর চক্র ভেঙে দিয়েছে। এই চক্রের মূল লক্ষ্য কন্যা নয়, যুবক। তদন্তকারীরা একে লাভ জিহাদ ২.০ বলে উল্লেখ করেছেন। এই চক্র হিন্দু পুরুষদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করত বিবাহ, মনস্তাত্ত্বিক প্রলোভন এবং এমনকি মাদকাসক্তির মাধ্যমে।

    লাভ জিহাদ

    সাধ্বী প্রাচী জানান, মুসলিম বিউটি পার্লার, স্কুল, কলেজ, সেলাইয়ের দোকান এবং দরগাগুলি এখন লাভ জিহাদ কার্যক্রমের আখড়া হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে, যতক্ষণ না ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদে উৎসাহদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকারি পদক্ষেপ করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই কার্যকলাপ চলতেই থাকবে (Hindus)। এদিকে, ইসলামি জোরপূর্বক ধর্মান্তরের পরে নিখোঁজ এসসি পরিবারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে মহাপঞ্চায়েত ডাকা হয়েছে হরিয়ানার নুহে। উত্তরপ্রদেশের দেউরিয়া থেকে ধর্মীয় প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি উদ্বেগজনক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। অভিযুক্ত গহ্বর আনসারি জনৈক লক্ষ্মী সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গহ্বর মেয়েটিকে প্রলোভিত করে একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করে (Roundup Week)।

    মুসলমানদের ওপর হামলা

    মহারাষ্ট্রের কোলাপুর জেলার কানওয়াদ গ্রামে অক্ষয় কোলি ও তাঁর পরিবারের ওপর প্রায় ১৫ জন মুসলমান হামলা চালায়। এক দম্পতিকে কানওয়াদ থেকে পালাতে সাহায্য করায় অক্ষয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই অভিযোগ তুলে মুসলিমদের একটি দল অক্ষয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার মউ থানার আহিরি গ্রামে খ্রিস্টান ধর্মান্তরিতকরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগ, ফুলচন্দ্র নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে খ্রিস্টান ধর্মান্তর কার্যকলাপ চলছিল। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে। আগ্রার শাহগঞ্জ থানা একটি বড় ধর্মান্তকরণ চক্রের চাঁই রাজকুমার লালওয়ানির বাড়িতে অভিযান চালায়। লালওয়ানি নিয়মিত রবিবার প্রার্থনা সভার আয়োজন করত। সেখানে লোকদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হতে উদ্বুদ্ধ করা হত (Hindus)।

    হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা

    উত্তরপ্রদেশের বাগপতে এক হিন্দু কিশোরীকে বোরখা পরতে বাধ্য করা, ধর্ষণ করা এবং তাকে বিয়ে করতে ব্ল্যাকমেল করার ঘটনা সামনে এসেছে। প্রতিবেশী হাসিম কিশোরীটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশেরই মৈনপুরিতে উবেশ খান নামে এক মুসলিম যুবক এক হিন্দু কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। কিশোরীটি তার ঘর থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ অর্থ নিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, কর্ণাটকের ডেপুটি চিফ মিনিস্টার ডিকে শিবকুমার ঘোষণা করেছেন, চামুন্ডি পাহাড় শুধু হিন্দুদের (Roundup Week) সম্পত্তি নয়। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম পবিত্র শক্তি পীঠের মর্যাদা হানি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। মন্দিরে চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার করেছে মহম্মদ রাব্বি, মহম্মদ ইউসুফ ও মহম্মদ বাবুকে। উদ্ধার করা হয়েছে ২২টি মূর্তি, মন্দিরের জিনিসপত্র এবং প্রায় ৬.৫ লক্ষ টাকার একটি অটোরিকশা।

    বাংলাদেশ

    গাইবান্ধা জেলায় দুর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, মূর্তি ভাঙচুর। সদরুলপুর উপজেলার হামিন্দপুর গ্রামের একটি সংখ্যালঘু হিন্দু ব্যক্তি দুর্গা মন্দিরের মধ্যে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা ছুটে আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় মূর্তিগুলি। যশোর জেলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিচিত মুখ ছিলেন বিজন কুমার দে। দিন দুয়েক আগে একটি ভেড়িতে মেলে তাঁর মৃতদেহ (Hindus)।

    বিশ্বের ছবি

    নেপালের মধেশ প্রদেশের রাজধানী জনকপুরধাম শহরে গণেশের মূর্তি বিসর্জনের সময় হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের (Roundup Week) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমেরিকার পিটার নাভারো সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক প্রণয়নের জন্য ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রম্যাট’ আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ব্রাহ্মণরা ভারতীয় জনগণের শোষণে মুনাফা অর্জন করছে (Hindus)।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    Hindus Under Attack: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার, দেখে নিন সাপ্তাহিক ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু ধর্মের ওপর অত্যাচার। ভারত তো বটেই, বিদেশেও চলছে হিন্দু ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণ। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি অপবিত্রকরণ, ঘৃণামূলক বক্তব্য (Roundup Week), যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য — হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত (Hindus Under Attack) চলছেই।

    সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদের বক্তব্য (Hindus Under Attack)

    এক ঝলকে দেখে নিই গত এক সপ্তাহের ঘটনা। প্রথমে আসা যাক দেশের খবরে। মানবাধিকারকর্মী সাইয়েদা সাইয়িদাইন হামিদ, যিনি মনমোহন সিং সরকারের সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ছিলেন, তিনি বলেন, “বাংলাদেশিদের ভারতে থাকার অধিকার রয়েছে।” তাঁর যুক্তি, “আল্লাহ মানুষের জন্য পৃথিবী তৈরি করেছেন এবং তারাও মানুষ।” ইভিআর (পেরিয়ার) আয়াপ্পা ভক্তদের অপবিত্রতা ও রোগের এজেন্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। উদয়নিধি আবার সনাতন ধর্মকে উচ্ছেদ করার ডাক দিয়েছিলেন। কর্নাটকের অন্যতম বড় উৎসব মাইসুরু দশরা কেবল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময় থেকে চলে আসা একটি হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য। মুসলিম কর্মী বানু মুস্তাককে দশরা উদ্বোধনের দায়িত্ব দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস সরকার।

    গণেশ মূর্তি লক্ষ্য করে ছোড়া হল ডিম

    গুজরাটের ভাদোদরায় গণেশের মূর্তি ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকায় মূর্তি লক্ষ্য করে ডিম ছোঁড়া হয়। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বেটমার কাছে দৌলতাবাদ গ্রামের রবিদাস সম্প্রদায়ের এক যুবককে একদল চরমপন্থী মুসলমান যুবক মাথা কেটে ফেলার হুমকি দেয়। উত্তরপ্রদেশের বেয়ারেলি থেকে একটি বিশাল বেআইনি ইসলামিক ধর্মান্তর চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছিল (Hindus Under Attack) বছর পঁয়ত্রিশের মাদ্রাসা পরিচালক আবদুল মাজিদ। অন্তত দশ বছর ধরে তারা সক্রিয় এবং ১৩টি রাজ্য ও ২০টিরও বেশি ভারতীয় শহরে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। ভান্নিয়ারাসুর ভগবান রাম ও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পর, আরও এক দ্রাবিড়বাদী কণ্ঠ আক্রমণ শুরু করেছে। দ্রাবিড় নাত্পু কাজগম – দ্রাবিড় বন্ধু সংঘের বক্তা শ্রীবিদ্যার দাবি, সনাতন ধর্ম পথভোলা কুকুরের চেয়েও বিপজ্জনক।

    তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রের বচন

    তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ঘোষণা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শিরশ্ছেদ করা উচিত। তাঁর কাটা মাথা প্রদর্শনের জন্য টেবিলে রাখা উচিত। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ অবৈধ বাইবেল কলেজের মাধ্যমে এক বৃহৎ শিক্ষাগত জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন কমিশনের প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, জেসুইট প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন ছাড়াই (Roundup Week) চেন্নাইয়ের থিরুভানমিয়ূরের সৎয নিলয়ম জেসুইট সেন্টারে তাদের এমএ দর্শনশাস্ত্র পড়াচ্ছিল।

    লাভ জিহাদের খবর

    উত্তরাখণ্ডের উদ্যম সিং নগরে লাভ জিহাদের খবর (Hindus Under Attack) মিলেছে। এখানে এক মুসলমান যুবক কাশেম, নিজেকে হিন্দু যুবক ভিকি হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু মহিলাকে টার্গেট করে। দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেল করার পর সে তাকে জোর করে ইসলামি বিয়েতে আবদ্ধ করার চেষ্টা করে। উত্তর প্রদেশের রামপুরেও লাভ জিহাদের খবর মিলেছে। এখানে আমান সিদ্দিকি নামের এক মুসলিম যুবক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো হিন্দু পরিচয় তৈরি করে এক হিন্দু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে সে মেয়েটিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে শেষমেশ তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।

    অত্যাচার বাংলাদেশেও

    হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে বাংলাদেশেও। পটুয়াখালি জেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে নিখিল কর্মকারের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতরা হামলা চালায়। ডাকাতরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বেঁধে ফেলে সব লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ২৫০ গ্রাম সোনা ও ৫০,০০০ টাকা (বাংলাদেশি টাকা) লুট হয়। ডাকাতরা বাড়ির মহিলাদেরও মারধর এবং নির্যাতন করে। মারধর করা হয় নিখিলের স্ত্রী ও কন্যাকেও (Roundup Week)।

    শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ ছবি

    উত্তর জাফনার একটি শান্ত গ্রাম বর্তমানে শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্বল ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার প্রমাণ সামনে আনছে। এই ঘটনাগুলি দীর্ঘদিন ধরে চাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। জাফনার তামিল অধ্যুষিত অঞ্চলের চেম্মানিতে একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। এই গণকবরগুলি সংঘর্ষের বছরগুলিতে নিহত ও কবর দেওয়া শ্রীলঙ্কান হিন্দুদের (Hindus Under Attack)।

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ পরিচালিত হয় হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা, যা কিছু ধর্মীয় শিক্ষায় ও রাজনৈতিক মতাদর্শে সযত্নে প্রোথিত। ইসলামিক দেশগুলিতে হিন্দুবিদ্বেষ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হলেও, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন ভারত) প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে আরও সূক্ষ্ম এক ধরনের হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে, যা (Roundup Week) হিন্দুফোবিয়া ও ঘৃণাজনিত অপরাধের পরিবেশ তৈরি করে। এই সূক্ষ্ম প্রতিদিনের বৈষম্য অনেক সময় ধরা পড়ে না, যদি না প্রচলিত আইন ও প্রবণতাগুলি খুঁটিয়ে দেখা হয় (Hindus Under Attack)।

  • Hindus Under Attack: অব্যাহত ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দুধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা, দেখুন এক সপ্তাহের ছবি

    Hindus Under Attack: অব্যাহত ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দুধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা, দেখুন এক সপ্তাহের ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দুধর্মের ওপর আক্রমণ। পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে এই নির্যাতন ধীরে ধীরে এক প্রকার গণহত্যার রূপ নিচ্ছে (Hindus Under Attack)। দশকের পর দশক ধরে বিশ্ববাসী এই আক্রমণগুলির প্রকৃত গভীরতা ও ব্যাপকতাকে উপেক্ষা করেছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে হিন্দুদের। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবে হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত – সব ক্ষেত্রেই বিদ্বেষের শিকার হিন্দুরা। গত ১৭ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে আমরা এক ঝলকে দেখে নিই বিশ্বজুড়ে ‘ধর্মসংকটে’র ছবিটা (Roundup Week)।

    ছেলেকে খুন (Hindus Under Attack)

    প্রথমেই আসা যাক ভারতের ক্ষেত্রে। পুলিশ বারাণসীর রামনগর এলাকায় ১০ বছর বয়সি একটি ছেলের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর্দা ফাঁস করেছে। অভিযোগ, প্রেমিক ফয়জানের সাহায্যে ছেলেটিকে খুন করেছে ছেলেটিরই নিজের মা। বাংলাদেশি লেখক আহমেদ হোসেনের একটি লেখায় পাকিস্তানের আন্দোলনকে ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদ নয়, বরং কৃষক ও নিপীড়িত শ্রেণির জমিদার ও ঔপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে “শ্রেণিসংগ্রাম” হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের পুলিশ কনস্টেবল সোহেল খানের একটি ভিডিও ফুটেজের জেরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। জন্মাষ্টমীতে একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সেলফি তুলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আপলোড করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, “আল্লাহ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই, তিনিই একমাত্র উপাসনার যোগ্য।”

    হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ

    সকাল হিন্দু সমাজ এক হিন্দু কন্যার দুর্দশার ছবি তুলে ধরেছে, যাকে তার মুসলিম মহিলা ‘বন্ধু’ ওকিনাওয়া ফিটনেসে যোগ দিতে রাজি করিয়েছিল। জনৈক শিফা শেখ ওই হিন্দু মেয়েটিকে জিমে ভর্তি করিয়েছিল। এরপর জিম ট্রেনার জামিল খান মেয়েটির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। জিম ট্রেনিং দেওয়ার পাশাপাশি সে তাকে মার্শাল আর্টও শেখাত। অভিযোগ, একদিন ট্রেনিংয়ের সময় জামিল মেয়েটিকে চেঞ্জিং রুমে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য চাপও দেওয়া হয়েছিল। অসমের শ্রীভূমি জেলায় এক নাবালিকা বধির ও বোবা হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে চারজন মুসলিম যুবক। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ইসলাম উদ্দিন, মোনির উদ্দিন, দিলাওয়ার হোসেন এবং এক নাবালক মুসলিম ছেলে। বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে, রাষ্ট্র জ্যোতি একটি ফিল্ড তদন্ত চালায়। সেখানে একটি অবৈধ খ্রিস্টান ধর্মান্তর চক্রের হদিশ মেলে। এরা কোচিং সেন্টার চালানোর ছদ্মবেশে গ্রামে ঢুকেছিল (Roundup Week)।

    লাভ জিহাদের  ঘটনা

    হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় প্রকাশ্যে লাভ জিহাদের  ঘটনা। এখানে ফাহাদ নামে এক পাক বংশোদ্ভূত ব্যক্তি ভুয়ো নথি ব্যবহার করে কীর্তি নামে এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে (Hindus Under Attack)। বারাণসীর সারনাথ পুলিশ  গ্রেফতার করেছে বছর সাতাশের এক মুসলিম যুবককে। তার নাম মহম্মদ শরাফ রিজভি। অভিযোগ, সে বিয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলত, পরে তাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করত এবং শেষে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করত। সে সম্রাট সিংহ  নামে ভুয়ো প্রোফাইল বানিয়ে ফাঁদ পেতেছিল। আহমেদাবাদের সেভেন্থ-ডে অ্যাডভেন্টিস্ট স্কুলে  সিন্ধি সম্প্রদায়ের দশম শ্রেণির ছাত্র নয়নকে ছুরি দিয়ে খুন করে অষ্টম শ্রেণির এক মুসলিম ছাত্র। খোদ দিল্লিতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই মহিলাকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার বছর ছাব্বিশের মহম্মদ সোহিল ওরফে সোনুকে গ্রেফতার করেছে। শুধু তাই নয়, সে ওই মহিলার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তুলে তা ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাটিকে “লাভ জিহাদের” দৃষ্টিকোণ থেকেও তদন্ত করছে (Roundup Week)।

    হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা ও মর্যাদা লঙ্ঘিত

    বারাণসীর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আবারও এক হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা ও মর্যাদা লঙ্ঘিত হয়েছে। রাউনক আলি নামের এক মুসলিম যুবক যে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করার জন্য কুখ্যাত, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ফের একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও সে এক কিশোরীকে অপহরণের দায়ে গ্রেফতার ও জেল খেটেছিল। এদিকে, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়ায়। এলাকায় ব্যাপক পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় পার্ক করা একাধিক গাড়িতে (Hindus Under Attack)।

    পড়শি দেশ বাংলাদেশেও অব্যাহত হিন্দুদের ওপর হামলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও সংগঠিত নিপীড়নের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দুই অবশিষ্ট থাকবে না। বাংলাদেশে একটি উগ্র ইসলামি গোষ্ঠী পবিত্র সীতাকুণ্ড পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের কথা ঘোষণা করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। মুন্সিগঞ্জ জেলার মেঘনা নদী থেকে জনপ্রিয় (Roundup Week) হিন্দু সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে (Hindus Under Attack)।

  • Hindus Under Attack: দেশ তো বটেই, বিদেশেও বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা

    Hindus Under Attack: দেশ তো বটেই, বিদেশেও বাড়ছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও বিদেশে হিন্দু এবং হিন্দু ধর্মের ওপর অবিরাম চলছে হামলা। বিশ্বের বহু অঞ্চলে এই নির্যাতন আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে চলতে থাকা এক গণহত্যার মতো। কয়েক দশক ধরে বিশ্ব এই হামলার আসল গভীরতা ও বিস্তৃতিকে উপেক্ষা করেছে চলছে। যা ভয়াবহ হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষ দ্বারা পরিচালিত। খুন, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, জমি দখল, উৎসবের ওপর হামলা, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য – হিন্দুরা (Hindus Under Attack) এখন তাঁদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও এক নজিরবিহীন হিন্দু বিদ্বেষের মুখোমুখি হয়েছেন (Roundup Week)।

    অপরাধের সংক্ষিপ্ত ছবি (Hindus Under Attack)

    ২০২৫ সালের ৩ অগাস্ট থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি সংক্ষিপ্ত ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছি, যাতে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন। প্রথমেই তাকানো যাক ভারতের দিকে। নাঈম কাদরি ওরফে পীর নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে এক হিন্দু মহিলাকে চাপ দিচ্ছিল যাতে তিনি তাঁর নাবালিকা মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে তার সঙ্গে বিয়ে দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি আসলে একজন প্রতারক, যার কোনও বৈধ চিকিৎসা ডিগ্রি নেই এবং সে গোপনে তন্ত্র, কালাজাদু ও তথাকথিত ‘বিশ্বাসভিত্তিক চিকিৎসা’ ব্যবহার করে নারীদের প্রভাবিত করত। উত্তরপ্রদেশে এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সালাউদ্দিনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি হিন্দু শিক্ষার্থীদের জোর করে উর্দু শেখাতেন এবং তাঁদের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাপ দিতেন। ঘটনাটি বিজনোর জেলার হরবংশপুর ধর্মের একটি কম্পোজিট স্কুলের। উত্তরপ্রদেশের চৌবেপুরের বারাণসীতে এক হিন্দু ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী এবং প্রয়াগরাজের এক ইসলামপন্থী যুবক মহম্মদ আফজল, একটি ধর্মান্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর স্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আফজলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত এবং প্রেমের ফাঁদে ফেলে আফজল সম্ভবত তাকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছিল। দেওরিয়া জেলায় ‘লাভ জিহাদ’ ষড়যন্ত্রের চক্রী সন্দেহভাজন সামির আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বলছেন বিধায়ক

    সদর বিধায়ক ডা. শলভ মণি ত্রিপাঠীর জরুরি অভিযোগের ভিত্তিতে, গৌরিবাজার থানার বিভিন্ন ঘটনার পর পুলিশ তৎপর হয়। তামিল অভিনেতা কমল হাসন যিনি একসময় খ্রিস্টধর্ম প্রচারের কথা স্বীকার করেছিলেন, তিনিই এখন সনাতন ধর্মের শৃঙ্খল ভাঙার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কর্নাটকের চামরাজনগরের এক মঠে হিন্দু সন্ন্যাসী সেজে থাকত বছর বাইশের এক মুসলিম। স্থানীয়রা তার মুসলিম পরিচয় জানতে পারার (Hindus Under Attack) পরেই মঠ ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ‘লাভ জিহাদের’ একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অপহৃত এক হিন্দু কিশোরীকে উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্ত সাইনুল শাহকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, সে ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে প্রলুব্ধ করেছিল।

    আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কের অংশ

    দেওরিয়া থেকে মুম্বাই পর্যন্ত বিস্তৃত এই পুলিশ অভিযান ক্রমবর্ধমান এই বিপদের গুরুত্বকে প্রমাণ করে। এদিকে, ইডি কর্নাটকের ঐতিহ্যবাহী ধর্মস্থল মঞ্জুনাথ স্বামী মন্দিরকে লক্ষ্য করে একটি গুরুতর জঙ্গি ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে, যা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় এক আইএসআইএসের সঙ্গে যুক্ত নেটওয়ার্কের অংশ। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ‘লাভ জিহাদে’র ভয়াবহতার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মালওয়া-নিমার অঞ্চল, যা একসময় সিমির মতো জঙ্গি নেটওয়ার্কের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখানে ২৮৩ জন হিন্দু মেয়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়েছে, যাদের মধ্যে ৭৩ জনই আবার নাবালিকা (Roundup Week)।

    বাংলাদেশের ছবিটা

    এবার দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের (Hindus Under Attack) ছবিটা। সেখানে হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের হামলা অব্যাহত। এর উদ্দেশ্য হল ধীরে ধীরে দেশ থেকে এই ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নির্মূল করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বরকতের একটি গবেষণা অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও হিন্দু আর অবশিষ্ট থাকবেন না। কারণ তাঁরা পদ্ধতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। মন্দির ভাঙচুর, ভূমি দখল, মিথ্যা ধর্মনিন্দার অভিযোগে গণপ্রহার, নারীদের ধর্ষণ বা জোরপূর্বক ধর্মান্তর, এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা – এসবই হিন্দুদের ভয় দেখানো সে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘ধর্মনিন্দা’র অজুহাতে মুসলিম দাঙ্গাবাজদের হামলার শিকার সংখ্যালঘু ভুক্তভোগীদের জন্য নির্ধারিত ত্রাণ বিলি বন্ধ করে দেয় এবং আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী গোপীনাথ দাস ব্রহ্মচারীকে অপমান করে (Roundup Week)।

    তামাম বিশ্বের ছবিটাও এর ব্যতিক্রম নয়। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডে কেরালার এক দম্পতির ছয় বছরের কন্যা নিয়া তার বাড়ির বাইরেই হামলার শিকার হয়। তার ওপর ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি তারা তাকে ‘নোংরা ইন্ডিয়ান’ বলে গালাগালি দেয়। চিৎকার করে বলতে থাকে ‘ভারতে ফিরে যাও’ (Hindus Under Attack)।

  • Hindus under Attack: ভারত-বাংলাদেশে গত ১ সপ্তাহে হিন্দু নির্যাতনের কতগুলি ঘটনা

    Hindus under Attack: ভারত-বাংলাদেশে গত ১ সপ্তাহে হিন্দু নির্যাতনের কতগুলি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ ও দেশের বাইরে হিন্দু ধর্মের (Hindus under Attack) উপর আঘাত ক্রমাগত বাড়ছে। হিন্দু হত্যা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ, জমি দখল, হিন্দু উৎসবে আক্রমণ, হিন্দু নারীদের উপর নির্যাতন—এই সব ঘটনা নানা প্রান্তে ঘটেই চলেছে। ২৭ জুলাই থেকে ২ অগাস্ট পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া এমন কিছু ঘটনার একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন নিচে তুলে ধরা হল।

    ভারতের ঘটনাগুলি (Hindus under Attack)

    বিহার

    সীতামারহির এক মন্দিরে কাশিম নামে এক ব্যক্তি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে পুরোহিত সেজে ছিলেন। তিনি নিজেকে “কৃষ্ণ” নামে পরিচয় দিতেন এবং হিন্দু পূজারী সেজে আসল পরিচয় গোপন রেখেছিলেন।

    উত্তরপ্রদেশ, আগ্রা

    অগাস্ট মাসের শুরুতেই (Hindus under Attack) আগ্রা পুলিশ একটি বড়সড় ধর্মান্তরণ চক্র ফাঁস করে, যার আন্তর্জাতিক যোগসূত্র থাকার প্রমাণ মিলেছে।

    পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা

    ২৬ বছর বয়সি এক হিন্দু মহিলা বাগুইআটি থেকে সল্টলেক যাওয়ার পথে এক ক্যাব চালকের দ্বারা লাঞ্ছিত হন (Hindus under Attack)। সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিবাদ করে তিনি চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

    উত্তরাখণ্ড

    রানিখেত অঞ্চলে হিন্দু মহিলাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার একটি বড় চক্র ফাঁস করেছে পুলিশ (Hindus under Attack)।

    হায়দরাবাদ

    ২৪ জুলাই, পবিত্র পেদ্দাম্মা থাল্লি মন্দির প্রশাসনের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ, মূর্তিগুলিকে গোপনে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

    মহারাষ্ট্র

    কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান “সনাতনী সন্ত্রাস” নামক নতুন একটি শব্দ ব্যবহার করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। গেরুয়া সন্ত্রাসের ব্যর্থ তত্ত্বের পর, এটি কংগ্রেসের নতুন রাজনৈতিক কৌশল বলেই অনেকে মনে করছেন।

    মণিপুর

    ৩১ জুলাই এনআইএ-র একটি বড় সফলতা—জিরিবাম গণহত্যার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার। এই হামলায় এক মেইতেই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন (Bangladesh)

    রংপুর, গঙ্গাচড়া

    রঞ্জন রায় নামে এক হিন্দু যুবককে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
    পরবর্তীতে, ৫০০ থেকে ৬০০ জন মৌলবাদী একত্রিত হয়ে ওই উপজেলার তের বেতগাড়ি ইউনিয়নের ১৫টিরও বেশি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায়।

    নেপালে বাড়ছে মৌলবাদী তৎপরতা

    ভারতের বাইরে একমাত্র হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নেপালে মৌলবাদী সংগঠনগুলি “তাবলীগ” নামের কর্মসূচি চালিয়ে ধর্মীয় জনসংখ্যা পরিবর্তনের অপচেষ্টা করছে। এতে জেহাদি কার্যকলাপ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

  • Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু, বৌদ্ধ অথবা শিখ ধর্ম ছাড়া অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেয়ে থাকেন, তবে তা বাতিল করে দেওয়া হবে।” আইন পরিষদে এমনই মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। তিনি বলেন, “এমনকি কেউ যদি এই জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি এই ধরনের ভুয়ো তফশিলি জাতির শংসাপত্র ব্যবহার করে কোনও নির্বাচনে জিতে থাকেন, তাহলে তাঁর সেই জয়ও বাতিল বলে গণ্য করা হবে।” মনোযোগ আকর্ষণের মোশনের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার জোরপূর্বক ও প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরের ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনার পরিকল্পনা করছে (Supreme Court)।”

    ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার (Devendra Fadnavis)

    প্রসঙ্গত, বিজেপির অমিত গোরখে দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান”দের দিয়ে। তাঁর কথায়, “কিছু মানুষ তফশিলি জাতি শ্রেণির অধীনে সংরক্ষণের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ তাঁরা অন্য ধর্মের অনুসারী।” প্রসঙ্গত, “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান” বলতে বোঝানো হয় এমন লোকদের, যাঁরা বাইরে থেকে অন্য কোনও ধর্মের অনুসারী বলে পরিচিত, কিন্তু গোপনে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে দেখতে গেলে তাঁরা এসসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং সেই হিসেবে তাঁরা সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন।”

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ

    ফড়নবীস বলেন, “২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে তফশিলি জাতিভুক্ত (SC) সংরক্ষণের সুবিধা পেতে পারেন কেবলমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মাবলম্বীরাই। অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “যদি হিন্দু, বৌদ্ধ বা শিখ ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের কেউ তফশিলিভুক্ত জাতির শংসাপত্র বা সংরক্ষণ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাঁদের বৈধ শংসাপত্র ও জাতি শংসাপত্র বাতিল করা হবে। কেউ যদি এই মিথ্যা শংসাপত্র ব্যবহার করে সরকারি চাকরির সুবিধাও পেয়ে থাকেন, তাহলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Devendra Fadnavis)।”

    ভুয়ো জাতি শংসাপত্র

    তিনি বলেন, “যাঁরা ভুয়ো জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকেও সেই অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।” বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াঘ বলেন, “এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে স্বামীর ধর্ম গোপন করে নারীদের প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করা হয়েছে।” সাঙ্গলির একটি ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “সেখানে এক নারী এমন একটি পরিবারে বিয়ে করেছেন যাঁরা গোপনে খ্রিস্টধর্ম পালন করত। ওই নারীকে নির্যাতন করা হয় এবং ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। যার ফলে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর (Supreme Court)।”

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজন ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম অনুসরণ করতে পারেন। তিনি অন্য কাউকে সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরিতও করতে পারেন, তবে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মান্তর করার অনুমতি আইন আমাদের দেয়নি।” তিনি বলেন, “ধর্মান্তরের জন্য জোরজবরদস্তি বা প্রলোভনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশের ডিজিপি-র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সরকার সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে এবং এমন নতুন আইন আনবে, যাতে জোর করে বা প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তর করা না হয় (Devendra Fadnavis)।

    ফড়নবীশের বক্তব্য

    ফড়নবীশ বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় ‘ভারতীয় বিচার সংহিতা’-র আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে কঠোর আইন প্রস্তাবের জন্যই একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। রাজ্য সরকার এরকম ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনতে চায় এবং আমরা এই বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।” প্রসঙ্গত, সোমবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ ভোয়ার বলেছিলেন, “আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য সরকার একটি ধর্মান্তর-বিরোধী আইন আনবে, যা অন্যান্য রাজ্যের অনুরূপ আইনগুলির চেয়ে কঠোর হবে।” বিজেপি বিধায়ক প্রবীণ দারেকারের দাবি, দরিদ্র বস্তি ও অনুন্নত এলাকায় মানুষকে গোপনে ধর্মান্তরিত করার প্রচার চালানো হচ্ছে (Supreme Court)। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, এই ধরনের ঘটনা বস্তিতে ঘটে থাকে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনও ইচ্ছেই নেই (Devendra Fadnavis)।

  • Operation Kalanemi: সাধুবেশে লুকিয়ে বাংলাদেশি! ভেকধারীদের ধরতে ‘অপারেশন কালনেমি’ শুরু উত্তরাখণ্ডে

    Operation Kalanemi: সাধুবেশে লুকিয়ে বাংলাদেশি! ভেকধারীদের ধরতে ‘অপারেশন কালনেমি’ শুরু উত্তরাখণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধু সেজে ভারতে আত্মগোপন করেছিল বেশ কিছু বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে কয়েকজন আবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী। হিন্দু সাধুর ভেক ধরে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছিল ইসলামে দীক্ষিতকরণের কাজ। এবার তাদের মুখোশও খুলে দিল উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সরকার। ভণ্ড এই সাধুদের ধরতে শুরু হয় অভিযান। নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন কালনেমি’ (Operation Kalanemi)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ধামির এই পদক্ষেপ ভারতের ধর্মীয় ছদ্মবেশ, সীমান্ত পারাপারের অনুপ্রবেশ এবং আদর্শিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই উত্তরাখণ্ড পুলিশ ৩০০ জনের বেশি ছদ্মবেশীকে গ্রেফতার করেছে।

    চলছে অভিযান (Operation Kalanemi)

    দেরাদুন ও হরিদ্বারেই মূলত এই অভিযান চালানো হচ্ছে। এটি শুধু একটি আইনি পদক্ষেপ নয়, একে দেখা হচ্ছে সাংস্কৃতিক ও সভ্যতার যুদ্ধ হিসেবে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন শাহ আলম ওরফে রুকন রকম। সে বাংলাদেশের নাগরিক। উত্তরাখণ্ডে ঢুকে পড়ে সাধুর ভেক ধরেছিল। তার কাছে মিলেছে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র। সে দেরাদুনে কাঁওয়ার যাত্রীদের কাছ থেকে ভিক্ষা নিচ্ছিল ও প্রতারণা করছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভণ্ড সাধু একটি বড় নেটওয়ার্কের সদস্য, যারা কাঁওয়ার যাত্রার ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে শুধু অর্থ লুঠ নয়, বরং গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানোর কাজও করে যাচ্ছিল। দেরাদুনের এসএসপি অজয় সিং বলনে, “উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে। সাধু সেজে জনগণের বিশ্বাসভঙ্গ করছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Operation Kalanemi)।”

    অপারেশন কালনেমি

    কেন এই অভিযানের নাম দেওয়া হল অপারেশন কালনেমি? এর উত্তর দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি স্বয়ং। তিনি বলেন, “যেভাবে অসুর কালনেমি সাধু সেজে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, তেমনই আজকের সমাজে এমন অনেক কালনেমি আছে যারা ধর্মের নামে অপরাধ করছে।” প্রসঙ্গত, কালনেমি একজন পৌরাণিক অসুর। ত্রেতা যুগে হনুমান যখন সঞ্জীবনী আনতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় অসুর কালনেমি সাধু সেজে তাঁকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন (Uttarakhand)। স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী, সমুদ্রমন্থনের সময় ভগবান বিষ্ণু নিধন করেছিলেন কালনেমিকে। দ্বাপর যুগে তিনিই জন্ম নিয়েছিলেন মথুরার রাজা কংস হয়ে। বস্তুত, কালনেমি হল অন্ধকার সময়ের প্রতিনিধি (Operation Kalanemi)।

    ভণ্ড সাধুর রমরমা

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিগত কয়েক দিনে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮২জন ভণ্ড সাধুকে। তার মধ্যে রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৪জনকে। দেরাদুনের এসএসপি জানান, অপারেশন কালনেমি এখন জারি থাকবে। বিশেষ করে চারধাম যাত্রা এবং কাঁওয়ার যাত্রার কথা মাথায় রেখে এই অভিযান চালু রাখা হবে। কারণ এগুলি মূলত সাধু এবং আধ্যাত্মিক গুরুদের সমাগমের জায়গা। এসএসপি বলেন, “যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কোনও ধর্মীয় পটভূমি ছিল না। ছিল না কোনও আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যও। তারা স্থানীয়ও নয়। তাদের যা ছিল, তা হল বিশ্বাসকে কাজে লাগানোর পরিকল্পিত কৌশল, সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করা এবং হিন্দু প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করার চক্রান্ত।” প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা আবেগ ও আর্থিকভাবে দুর্বল ভক্তদের,  বিশেষ করে মহিলা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের টার্গেট করেছিল। তারা অলৌকিক ঘটনা, রোগমুক্তি ও ঈশ্বরীয় হস্তক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করত (Uttarakhand)। এর আড়ালে মানসিক প্রভাব বিস্তার, অর্থ আদায় এমনকি কিছু ক্ষেত্রে যৌন হয়রানিতেও লিপ্ত ছিল (Operation Kalanemi)।

    বিজেপির বক্তব্য

    উত্তরাখণ্ড বিজেপির সভাপতি মহেন্দ্র ভাট বলেন, “গেরুয়া বসনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অপরাধী ও অনুপ্রবেশকারীরা বিশ্বাসের শত্রু। আইন তাদের সেভাবেই বিবেচনা করবে। ভারতবাসী তাদের মন্দির ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোনও মতাদর্শিক যুদ্ধ সহ্য করবে না।” তিনি জানান, অপারেশন কালনেমি হবে হরিদ্বার, হৃষিকেশ, কেদারনাথ ও বদ্রীনাথেও। এবং ভবিষ্যতে এটি অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির জন্যও একটি আদর্শ মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে।

    কুমায়ুনে গ্রেফতার ৩০০

    এদিকে, উত্তরাখণ্ড পুলিশ অপারেশন কালনেমির অধীনে কুমায়ন বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক দিনে ৩০০-এরও বেশি ভুয়ো সাধুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল, ধর্মের নামে মানুষকে বিভ্রান্তকারী ভণ্ড ধর্মগুরুদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া (Uttarakhand)। কুমায়ুনের পুলিশের আইজি ঋদ্ধিম আগরওয়াল বলেন, “কুমায়ুন বিভাগের ছ’টি জেলায়ই এই অভিযান চালানো হয়েছে। এতে ৩০০-এরও বেশি ব্যক্তি, যারা সাধুবাবা বা আধ্যাত্মিক গুরু সেজে প্রতারণা করছিল (Operation Kalanemi), তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে এফআইআর, চালান ও সতর্কতামূলকভাবে আটক করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই ব্যক্তিরা অন্ধবিশ্বাস, প্রতারণা এবং ভুয়ো অলৌকিক ক্ষমতার দাবি করে মানুষের বিশ্বাসের অপব্যবহার করছিল। তাদের কারও কাছেই বৈধ পরিচয়পত্র বা প্রমাণপত্র ছিল না।”

  • Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার (Roundup Week)। ভারত তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বারবার হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। কোথাও কোথাও হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন রূপ নিচ্ছে গণহত্যার। বহু দশক ধরে এই নির্যাতন চললেও, ঘটনাগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি তামাম বিশ্ব। তাই ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, জোর করে ধর্মান্তর, জমিজমা দখল, হিন্দুদের উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত চলছেই। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই ছ’দিনে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যাতে করে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন।

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতন (Hindus)

    প্রথমে ধরা যাক ভারতের কথাই। কাশ্মীরের মাগামে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ইসলামপন্থী একদল জনতা এক ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আক্রমণ করে। শিবমোগার রাগিগুড়ার বাঙ্গারাপ্পা লেআউট এলাকায় কয়েকজন মুসলমান ভাঙচুর করে গণেশ ও নাগ দেবতার মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একটি রথযাত্রার শোভাযাত্রায় হামলা চালায় মুসলমানরা। শোভাযাত্রা চলাকালীনই হঠাৎ করে একদল মুসলিম যুবক ওই রথযাত্রায় হামলা চালায়। বিহারের পূর্ব চম্পারণের মেহসি ব্লকের কানক্তি গ্রামে মহরমের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনায় অজয় যাদবকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন। গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে (Hindus) মহরম উপলক্ষে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্যের একাধিক জেলায় মুসলমানরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায় মহরমের মতো শোকাবহ অনুষ্ঠানকে উসকানিমূলক আচরণ এবং মন্দিরের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুর থেকে হাজারিবাগ পর্যন্ত একাধিক অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

    নির্যাতন বিহারেও

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় ইসলামপন্থীদের (Roundup Week) অসহিষ্ণুতার বর্বর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে গৌরব কুমার সিংকে এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ‘তালিবানি’ কায়দায় তার চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয়। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ রাজশেখর বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি নিয়মিতভাবে পুট্টুরে তাঁর নিজের শহরে ফি রবিবার গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। এটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার শামিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরে মহরমের আগেই চাঁদা না দেওয়ায় মুসলিম জনতা বেধড়ক মারধর করে টোটো চালক বেদন ঘোষকে। উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে। এর মূলহোতা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    বাদ নেই উত্তরপ্রদেশও

    উত্তরপ্রদেশের লখনউতে লুলু মলের এক হিন্দু মহিলা কর্মচারীকে তাঁর ম্যানেজার ফারহাজ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। ফারহাজ তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্যও করেছিল (Hindus)। তিনি (Roundup Week) জানান, ফারহাজ তাঁকে মাদকমিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশেরই মুজফফরনগরে কাওর যাত্রা চলাকালীন একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মহম্মদ শেহজাদ নামে একজন এক মহিলা ভক্তের কাঁধে থাকা ‘কাঁওর’-এর ওপর থুতু ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। অসমের গোয়ালপাড়া শহরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতকারীরা দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্সে একাধিক মূর্তি ভাঙচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিব, মনসা ও দেবী দুর্গার মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে শান খান নামে এক মুসলিম যুবক নিজের নাম শান শর্মা বলে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে। প্রায় দুবছর ধরে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    পাকিস্তানের ছবি

    এ তো গেল ভারতের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের ছবিটা। পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে হিন্দু সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। শুধুমাত্র সিন্ধ প্রদেশেই প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই যৌন দাসত্বের শিকার হন (Roundup Week)। পাকিস্তানি হিন্দুরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবহেলার শিকারও হন সে দেশে। হিন্দু মন্দিরে বারংবার আক্রমণ, পাঠ্যসূচিতে হিন্দুদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এমনকি ছোঁয়াছুঁয়ির মতো জাতিগত বৈষম্যও বজায় রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে একজন ভিল নারীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এই পরিস্থিতিরই আর একটি প্রমাণ। গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে সিন্ধ প্রদেশের শাহদাদপুরের একটি আদালত দুটি হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক দশিনা বাই (১৫) ও হরজিত কুমার (Hindus) ওরফে হানি (১৩)-এর হেফাজতের বিষয়ে একটি বিতর্কিত রায় দেয়। আদালত তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রত্যেকের জন্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ব্যক্তিগত জামিন বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে শিশুদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা চালিত হয়, যা কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ দেখা যায়, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন, ভারত) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে এক প্রকার সূক্ষ্ম হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে। এসবই হিন্দুবিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)। এই সূক্ষ্ম ও দৈনন্দিন বৈষম্য চোখে পড়ে না, যদি না কেউ প্রচলিত আইন ও সামাজিক ধারা পর্যবেক্ষণ করে। দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তার একটি উদাহরণ। দূষণজনিত কারণে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও, সেটা প্রযোজ্য শুধু হিন্দু উৎসবগুলির ওপর। সবেবরাতের মতো মুসলমানদের অনুষ্ঠানের সময় দেদার শব্দবাজি এবং আতশবাজি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ (Hindus)।

    বাদ নেই বাংলাদেশও

    পাকিস্তানের পাশাপাশি নির্বিচারে হিন্দু নির্যাতন চলছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরেই সে দেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠে। হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের ভার তুলে দেন বাংলাদেশিরা। সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয় বলে অভিযোগ। মন্দির-মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিন্দুদের জমিজমা দখল, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগও উঠেছে। মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মগুরুদের। নানা অছিলায়, কখনও আবার মিথ্যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে হিন্দু পদাধিকারীদের। বাদ যাননি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কিংবা অধ্যাপকও (Hindus)।

    তার পরেও অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বনেতাদের একটা বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই নির্বিচারে চলছে হিন্দু নির্যাতন (Roundup Week)।

  • Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    Bangladeshi Hindus: ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’! মে মাসে ওপার বাংলায় হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাপ্রবাহ – শেষ পর্ব

    (বাংলাদেশে লাগাতার চলছে হিন্দু নির্যাতন। ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত মে মাসে ইউনূস জমানার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এগুলি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতেও। মে মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়েই আমাদের এই সিরিজ ‘বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু’)

    চতুর্থ পর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ২০২৫ সালের মে মাসে সংখ্যালঘু (Bangladeshi Hindus) ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর ৪৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে হত্যাকাণ্ড ৪টি, ধর্ষণ ৪টি, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ৬টি, ভূমি দখল ৬টি, এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ঢাকার প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলিতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনাগুলো।

    সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবিরোধী হামলা

    কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি পাবনায়। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০ মে ২০২৫ তারিখে ‘সুচিত্রা সেন গার্লস হোস্টেল’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-৩৬ হোস্টেল’ রাখে। সুচিত্রা সেনের ভক্তরা সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে তার নাম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সভাপতি ও আমেরিকা প্রবাসী সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল সান্যাল তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের “সুচিত্রা সেন ছাত্রীনিবাস”–এর নাম পাল্টে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাবনার সংস্কৃতিপ্রেমী জনতা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

    ভূমি দখল ও আদিবাসী নিপীড়ন

    রাজশাহীর পুঠিয়ায় কয়েকজন হিন্দু (Bangladeshi Hindus) কৃষকের জমি ‘জোরপূর্বক’ দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করতে গেলে স্থানীয় কৃষকরা বাধা দেয়। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি হিন্দুপাড়ায় (Hindus Under Attack) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পুঠিয়া থানার ওসি কবির হোসেন। পরে গ্রামের লোকজন জোট বাঁধলে পুকুর খননকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এসময় একটি মাটি কাটার যন্ত্র (এস্কাভেটর বা ভেকু) ভাঙচুর করা হয়। সেখান থেকে বেশ কিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন অবৈধ খনন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণের সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের ছয়টি পরিবারকে তাদের ২৫০ বছরের পুরনো জমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। ‘উচ্ছেদের শিকার’ রাখাইন পরিবারের সদস্য চিং ধামো রাখাইন বলেন, “পায়রা বন্দর নির্মাণের জন্য আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা কোনো আলোচনা ছাড়াই অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণের পর গাছপালা ও বসতবাড়ির ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমরা কিছু টাকা পেয়েছি। কিন্তু ভোগদখলকৃত জমির ক্ষতিপূরণ এখনও পায়নি।”

    বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে খুন করা হয়। মাছের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার জেরে ওই গ্রামের অন্তত ২০টি নিরীহ হিন্দু পরিবারের (Bangladeshi Hindus) বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া সাগর বিশ্বাস নামের এক হিন্দু কিশোরকে অপহরন করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীপুরের মাগুরাতে একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যদের রাতের খাবারের পর অজ্ঞান করে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনা লুট করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে, তবে এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ

    গত ২৮ মে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালী মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার যুগল চন্দ্র দাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দিরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভালেও অনেক কিছু পুড়ে গিয়েছে। মন্দিরটি স্থাপনের ৫০ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে।

    ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে থিয়েটার শিল্পী প্রশান্ত হালদারের বাড়িতে গত ২৪ মে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রশান্ত ঢাকার নাট্যদল অনুস্বর এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। প্রায় চার দশক ধরে তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত আছেন। নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও তার পরিচিতি আছে। তার বাড়িতে আগুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাট্যদল অনুস্বর এবং থিয়েটার বিষয়ক পত্রিকা ‘ক্ষ্যাপা’। ৬২ জন সাংস্কৃতিক কর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    অপহরণ ও ধর্ষণ

    ঢাকার ধামরাইতে  ১৬ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা রাজবংশীকে ১৯ মার্চ অপহরণ করা হয়। ২৬ এপ্রিল মামলা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি আদিবাসী পরিবারের বাড়ি ৪ মে উচ্ছেদ করা হয়। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। হাইমচর, চাঁদপুরে একটি হিন্দু পরিবারের ২৫০ বছরের পুরনো জমি দখল করে ভূমিদস্যুরা। পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ভূমি রক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

     

    (শেষ)

LinkedIn
Share