Tag: Hindus

Hindus

  • Hindus Helpline Numbers: পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    Hindus Helpline Numbers: পরপর জেহাদি হামলার জের! হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু ভিএইচপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে (Amaravati Murder) উমেশ কোলহে এবং রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur killing) কানহাইয়া লালকে (Kanhaiya Lal) নৃশংসভাবে খুন করেছে উগ্র মৌলবাদীরা। এই হত্যাকাণ্ডের পর, হিন্দুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হিন্দুদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad) এবং বজরং দল (Bajrang Dal)। এক ট্যুইট বার্তায় ভিএইচপি-র (VHP) তরফে জানানো হয়েছে, ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা ইসলামিক মৌলবাদীদের (Islamic fundamentalism) বিরুদ্ধে হিন্দু (Hindu) সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে।

    ট্যুইটবার্তায় জানানো হয়, হিন্দুরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে কোনও ‘হুমকিমূলক’ বার্তা বা কল পায় তবে তাঁদের পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে সহায়তা করার জন্য ট্যুইটারে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হল। হিন্দু সংগঠনগুলি কর্নাটক, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, বিহার, ওড়িশা এবং অন্যান্য রাজ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। ভিএইচপি হেল্পলাইন নম্বরের তালিকাও ট্যুইট করে। যদিও পরে ট্যুইটটি মুছে দেওয়া হয়।

    উত্তরপ্রদেশের কাশীপ্রান্তের ১৮ টি জেলার হিন্দুদের সহায়তার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর (9198942004) জারি করা হয়েছে এই দুই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে। ভিএইচপির কাশী (Kashi) প্রদেশের নেতা অশ্বনী কুমার (Ashwani Kumar) বলেছেন, ‘ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা কাশী লাগোয়া জেলাগুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করেছে৷ যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পোস্টের জন্য “ইসলামী মৌলবাদীদের” কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছেন, তাঁরা দেরি না করে স্থানীয় থানায় বা জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করুন।’ তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের অমরাবতী এবং রাজস্থানের উদয়পুরে হত্যাকাণ্ডগুলি হিংসা ছড়ানোর জন্য এবং দেশে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা যদি ভিএইচপি বা বজরং দলের কাছ থেকে কোনও ধরনের সহায়তা চায় তবে আমরা তাদের সর্বাত্মক সাহায্য করব।’

     

  • Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু? ‘নির্দিষ্ট’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে সব রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু (Hindu Minority), অথচ তাঁদের সেই মর্যাদা দেওয়া হয়নি, তার ‘পোক্ত’ উদাহরণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতের (India) যেসব রাজ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা (Hindu population) কম, সেখানে সংখ্যালঘু মর্যাদার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মামলায় এবার ‘কংক্রিট’ উদাহরণ চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ইউইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং শুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ সাফ জানাল, কোন কোন রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু, এবং সেখানে তাঁরা উপেক্ষিত কি না, তা আমাদের জানান।

    মাসকয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা দয়ের করেছিলেন মথুরার এক ধর্মীয় নেতা দেবকীনন্দন ঠাকুর। তিনি ১৯৯২ সালের ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ অ্যাক্ট এবং ন্যাশনাল কমিশন অফ মাইনরিটিজ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন অ্যাক্ট ২০০৪ কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের। এতদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তকমা পেয়ে আসছেন এ দেশের পাঁচ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা হলেন— মুসলমান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন দেশের শীর্ষ আদালত জানান, আদালতের সামনে কংক্রিট উদাহরণ থাকলে তবেই এ ব্যাপারে বিবেচনা করা যাবে।

    আরও পড়ুন : নূপুরকে ভর্ৎসনা! সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের সমালোচনায় আদালত অবমাননা হয়নি, মত অ্যাটর্নি জেনারেলের

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের চেয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার এদেশে অনেক বেশি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা আগের আদমসুমারির চেয়ে এক লপ্তে বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। সমীক্ষকদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বদলে যাবে ভারতবর্ষের ধর্মীয় মানচিত্র। আবেদনকারীদেরও দাবি, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে হিন্দুরাই সংখ্যালঘু। তাই ওই রাজ্যগুলিতে তাদের সংখ্যালঘুর জন্য সংবিধানকৃত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য।  সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট উদাহরণ চাই। এদিন আবেদনকারীর পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী অরবিন্দ দাতার এ ব্যাপারে আদালতের কাছে সময় চান। তিনি বলেন, সমস্যাটা হিন্দুদের সংখ্যালঘু বলা যাবে কিনা, তা নিয়ে। দাতার বলেন, বুঝতে পারছি আদালত কী জানতে চায়। এ ব্যাপারে প্রামাণ্য উদাহরণ থাকতে হবে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদার বৈধ দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : জামিন নিয়ে নয়া আইন! জানুন কী বলল সুপ্রিম কোর্ট

    এদিন বেঞ্চ দাতারকে বলে, আসলে আমরা বলতে চাইছি ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ব্যাপারে। এ দেশের যে কোনও ব্যক্তিই সংখ্যালঘু হতে পারেন। মহারাষ্ট্রের বাইরে মারাঠারা সংখ্যালঘু। একই রকমভাবে প্রতিটি রাজ্যে ভাষাগত মাইনরিটিও রয়েছে। আইন করে একে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।

LinkedIn
Share