Tag: IAF

IAF

  • Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার হলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বুধবার হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমানে একটি সর্টি উড়ানে অংশ নেন। সামরিক পোশাক পরেই রাফাল যুদ্ধবিমানে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। রাফাল যুদ্ধবিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং-এর সঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন রাষ্ট্রপতি। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় সমাজমাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তান এই পাইলট শিবঙ্গী সিংকে বন্দি করেছে। হাস্যকর সেই দাবি উড়িয়ে বুধবার সিঁদুর যোদ্ধা শিবঙ্গীর সঙ্গে ছবি তুললেন মুর্মু।

    রাষ্ট্রপতির ঐতিহাসিক উড়ান

    এর আগে ২০২৩ সালে ‘সুখোই ৩০ এমকেআই’ যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu on Rafale)। হরিয়ানার অম্বালার বায়ু সেনাঘাঁটি থেকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়েছিল। বুধবার সেই বিমানঘাঁটিই পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখান থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান উড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন। এই বিশেষ অভিযানে বিমানঘাঁটিতে উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। রাষ্ট্রপতির এই ঐতিহাসিক উড়ানকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য গর্ব এবং দেশের মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক পোশাক এবং চোখে সানগ্লাস পরে রাফালের পাইলটের সঙ্গে ছবি তোলেন মুর্মু। তাঁর হাতে ধরা ছিল হেলমেট। এদিন, বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তাঁকে নিয়ে উড়ে যায় একটি রাফাল। বিমানের ভিতরে বসে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতিকে।

    রাফাল ভারতের সামরিক সাফল্যের প্রতীক

    প্রসঙ্গত, পদাধিকারবলে রাষ্ট্রপতি ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন মুর্মু। তার আগেই অবশ্য মুর্মুর দুই পূর্বসূরি এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাটিল ওই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কালাম এবং ২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিল যথাক্রমে পুণের লোহেগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে উড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই ঐতিহ্যের আধুনিক অধ্যায় খুলে দিলেন রাফাল যুগে। রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এপ্রিলের পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ এই যুদ্ধবিমানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন অভিযানে ভারতীয় সেনার দাপুটে ‘অপারেশন সিঁদুর’র পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে রাফাল। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধুলিসাৎ হয়ে যায় জঙ্গিদের ঘাঁটি। পাকিস্তান এবং পাকঅধিকৃত কাশ্মীরে মোট নয় জায়গায় হামলা চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিটের হামলায় ভারত মূলত রাফাল যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করেছে।

    প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে

    উল্লেখ্য, প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালের যাত্রী হলেন মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বিশ্বের প্রথম সারির অতি উন্নত যুদ্ধবিমান হিসাবে খ্যাতি রয়েছে রাফালের। এটির প্রস্তুতকারক সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন। ফ্রান্সের কাছ থেকে এর আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০১৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করছে বায়ুসেনা। ২০২০ সালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পর অপারেশন সিঁদুর ছিল প্রথম বড় রাফাল-নেতৃত্বাধীন অভিযান। সম্প্রতি ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারত।

  • IAF: রাওয়ালপিন্ডিকে ‘রোস্ট’ করে খেল ভারত! প্রতীকী মেনুতে পাকিস্তানকে কটাক্ষ বায়ুসেনার, নেটদুনিয়ায় প্রশংসার বন্যা

    IAF: রাওয়ালপিন্ডিকে ‘রোস্ট’ করে খেল ভারত! প্রতীকী মেনুতে পাকিস্তানকে কটাক্ষ বায়ুসেনার, নেটদুনিয়ায় প্রশংসার বন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ার ফোর্স ডে ডিনার পার্টিতে পাকিস্তানকেই ‘রোস্ট’ করে খেয়ে নিলেন এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংয়ের ছেলেরা। মেনুর শুরুতে ‘রাওয়ালপিন্ডি চিকেন টিক্কা মশলা’, একেবারে শেষে ‘মুরিদকে মিষ্টি পান’। উপলক্ষ্য ভারতীয় বায়ুসেনার ৯৩-তম প্রতিষ্ঠা দিবস। আর এই বিশেষ দিনটিতে বায়ুসেনার নৈশভোজের মেনুকার্ড এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেনুকার্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ‘কটাক্ষ’ করা হয়েছে। বায়ু সেনার এই মেনু বুঝিয়ে দিয়েছে, ভারত কোনও আক্রমণ ভোলে না, প্রয়োজনে জবাব দেয় নিজের মতো করে। “ইনফ্যালিবল, ইম্পারভিয়াস অ্যান্ড প্রিসাইস” স্লোগানের নিচে সাজানো এই মেনু সেই আত্মবিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

    বায়ুসেনার মেনু নজরকাড়া

    ৮ অক্টোবর ছিল বায়ুসেনা দিবস। এদিন বায়ুসেনার বিশেষ ভোজে পরিবেশিত খাবারের নামগুলি যেন ছিল একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রের গল্প বলার মতো — ‘রাওয়ালপিন্ডি চিকেন টিক্কা মাসালা’ থেকে শুরু করে ‘ভোলারি পনির মেথি মালাই’, ‘মুজাফফরাবাদ কুলফি ফালুদা’ এবং ‘বালাকোট টিরামিসু’। শোনা যাচ্ছে, ভারতের সামরিক সাফল্যের প্রতীক হিসেবেই এই মেনুর প্রতিটি পদ রাখা হয়েছিল। প্রথম নজরে এটি হয়তো এক সাধারণ উৎসবের ভোজ মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এই মেনু ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক অভিযানের সাফল্যের এক রসিক উপস্থাপনা। বিশেষত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তানের ভেতরে বায়ুসেনার সফল আঘাতগুলিকে যেন থালায় সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে ভারতের বীর বায়ুসেনা সদস্যদের সামনে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও পহেলগাঁও হামলার পর দেশ জুড়ে এক অদম্য মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাক বিরোধিতা চোখে পড়েছে ক্রিকেটের ময়দানেও। ভারত পাক দ্বন্দ্বের আবহে অনেকে এই মেনুকে দেখছেন প্রতিশোধ ও আত্মগর্বের এক নীরব প্রতীক হিসেবে। ৯৩ বছরে এসে বায়ু সেনার বার্তা স্পষ্ট – “আমরা নির্ভুল, অদম্য ও অনমনীয়।”

    পাকিস্তানকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা

    অপারেশন সিঁদুর-এ পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করার পর এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাকিস্তানকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করেছে ভারতের বায়ুসেনা। মেনুতে খাবারের নাম- ‘রফিকি রাড়া মটন’, ‘ভোলারি পনির মেথি মালাই’, ‘সুক্কুর শাম সবেরা কোফতা’, ‘সারগোধা ডাল মাখানি’, ‘জ্যাকোবাবাদ মেওয়া পোলাও’, ‘বাহাওয়ালপুর নান’। মেনুতে সেই সব জায়গার নামের সঙ্গে ভারতীয় খাবারের নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যেগুলি ভারতের সেনা পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতের সময় পাকিস্তানে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়ে এসেছে। পাক সেনা বা সরকার তা স্বীকার না করলেও রীতিমতো স্যাটেলাইট ইমেজ দেখিয়ে বিদেশমন্ত্রক, দেশের সেনা প্রধান, বায়ুসেনা প্রধানরা সে সবের প্রমাণ দিয়েছেন। ‘ভোলারি পনির মেথি মালাই’ নামটি সরাসরি পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ভোলারি বিমানঘাঁটি-র প্রতি ইঙ্গিত করছে, যেখানে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় বড় ক্ষতি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। আর মিষ্টান্নে পরিবেশিত ‘বালাকোট টিরামিসু’ যেন ২০১৯ সালের সেই ঐতিহাসিক বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক-এর প্রতীক — যেখানে ভারত জয়ীভাবে জবাব দিয়েছিল সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থলকে। এই প্রতীকী পদগুলির মাধ্যমে বায়ুসেনা দিবসের ভোজ যেন হয়ে উঠেছিল ভারতের সামরিক সাহসিকতা ও কৌশলের এক সৃজনশীল উদযাপন।

  • Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    Smart Anti Airfield Weapon: শত্রুর সীমান্তে না গিয়েই ১০০ কিমি দূরে বিমানঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতের ‘স্মার্ট দেশি বোমা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মুকুটে যুক্ত হল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির আরও এক গর্বের সংযোজন। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্র (Smart Anti Airfield Weapon)। এর ওজন ১২৫ কেজি। ১.৮৫ মিটার লম্বা এই গ্লাইড বোমা, ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের রানওয়ে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ধ্বংস করতে সক্ষম।

    বিমানঘাঁটি অচল করতে বিশেষভাবে নির্মিত

    স্মার্ট অ্যান্টি-এয়ারফিল্ড অস্ত্রের (SAAW) মধ্যে রয়েছে ৮০ কেজির উচ্চ বিস্ফোরক ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়ারহেড, যা রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, বাঙ্কার এবং জ্বালানির ডিপোগুলি অচল করে দিতে পারে। এটি রকেট চালিত নয় বরং গ্লাইড করে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছয়, ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কম। এই স্মার্ট বোমাটিতে ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল (GPS ও NavIC) সংযুক্ত করা হয়েছে, যা লক্ষ্যভ্রান্তি মাত্র সাত মিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ও ইমেজিং-ইনফ্রারেড সিকার, যার ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিশানার ভুলত্রুটি তিন মিটারের নিচে নেমে আসে।

    ঝুঁকির বাইরে থেকেই আঘাত

    এই বোমা ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে আক্রমণ চালাতে পারে। এর ফলে যুদ্ধবিমানগুলি শত্রু অঞ্চলের এয়ার ডিফেন্স জোনে প্রবেশ না করে বাইরে থেকেই আঘাত হনতে পারে। কম ওজনের কারণে এটি বিভিন্ন ধরণের ভারতীয় যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা যায়, ওড়ার ক্ষমতাতেও কোনও প্রভাব ফেলে না। ২০১৬ সাল থেকে জাগুয়ার, মিরাজ, মিগ-২৯, এসইউ-৩০, এলসিএ তেজস, হক (Jaguar, Mirage 2000, MiG‑29, Su‑30 MKI, LCA Tejas, Hawk) সহ বিভিন্ন বিমানে এটি সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। এমনকি হ্যাল-এর ভবিষ্যতের ড্রোন যুদ্ধে ব্যবহৃত হবে এমন ক্যাটস ওয়ারিয়র (CATS Warrior) প্ল্যাটফর্মের জন্যও এটি উপযুক্ত।

    উৎপাদন ও রফতানি

    ২০১৩ সালে অনুমোদনের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে এর উৎপাদন শুরু হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বায়ুসেনা হাতে এর প্রথম সংস্করণ তুলে দেন। চলতি মাসেই স্যাটেলাইট-নির্ভর সংস্করণ কেনার প্রস্তাব পাঠিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন মিললেই অর্ডার চূড়ান্ত হবে। এই স্মার্ট দেশি বোমা উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড। এই অস্ত্র বিদেশে রফতানির কথাও ভাবা হচ্ছে।

  • I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    I-STAR Spy Planes: ১০ হাজার কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনা পাচ্ছে ৩টি ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমান, কী বিশেষত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলমান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আবহেই ভারতীয় বায়ুসেনাকে (Indian Air Force) আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হল মোদি সরকার। সেই মর্মে মার্কিন রেথিয়ন ‘আই-স্টার’ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) ধাঁচে বায়ুসেনার জন্য তিনটি অত্যাধুনিক গোয়েন্দা বিমান কেনার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব বিবেচনা করতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    এলিট গ্রুপে প্রবেশ করবে ভারত

    জানা যাচ্ছে, এই বিমানগুলি এলে আকাশ থেকে ভূমির নির্ভুল, পরিষ্কার ছবি হাতে চলে আসবে বায়ুসেনার। সেই চিত্র ব্যবহার করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রেডার স্টেশন, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও কমান্ড পোস্টের মত শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে আরও নিখুঁত ভাবে টার্গেট করে হামলা চালাতে পারবে ভারত। সূত্রের খবর, বর্তমানে এই প্রস্তাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ-পর্যায়ের কমিটির চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত মিললেই এই বিমান (I-STAR Spy Planes) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। একবার তা হয়ে গেলেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইজরায়েলের মতো হাতে গোনা কয়েকটি দেশের এলিট তালিকায় স্থান করে নেবে ভারত। যা খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে এর অনুমোদন মিলতে পারে।

    ডিআরডিও-র তৈরি প্রযুক্তি আই-স্টার

    আই-স্টার (I-STAR Spy Planes) শব্দগুচ্ছের পুরো অর্থ হল— ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেল্যান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেস্যান্স। তবে ভারত যে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চলেছে তার একটা বড় অংশ দেশীয়। এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র অধিনস্থ সেন্টার ফর এয়ারবোর্ন সিস্টেম (ক্যাবস্)। এই প্রযুক্তি মোতায়েন করা হতে পারে বিদেশি বোম্বার্ডিয়ার বা বোয়িং বিমানে। যে কারণে, একাধিক বিদেশি বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক স্তরের আলোচনা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এমনকি, ইতিমধ্যে বিদেশি নির্মাতাদের কাছ থেকে উন্মুক্ত দরপত্রও ডাকা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ গুপ্তচর বিমানের (I-STAR Spy Planes) মাধ্যমে শত্রুর সামরিক বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে গোয়েন্দা তথ্য, থেকে শুরু করে লক্ষ্য অর্জন এবং রেকি করতে পারবে ভারত। এক কথায়, এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) নজরদারি ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এগুলো এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ইন্টেলিজেন্স সরবরাহ করবে। এর ফলে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আক্রমণ করা সম্ভব হবে।

    দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোর আধুনিকীকরণ

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, আই-স্টার সিস্টেমে (I-STAR Spy Planes) এমন সক্ষমতা থাকবে যা দিন-রাত উভয় সময়েই এবং দুর্গম ভূখণ্ডেও শত্রুদের অবস্থান নির্ভুলভাবে শনাক্ত, খুঁজে বের করতে ও ট্র্যাক করতে সাহায্য করবে। এই বিমানগুলি অধিক উচ্চতা এবং নিরাপদ দূরত্ব থেকেও কাজ করতে পারবে। যার ফলে শত্রু দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ না করেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। একবার চালু হলে, এই বিমানগুলি যুদ্ধক্ষেত্রের একটি গতিশীল এবং রিয়েল-টাইম চিত্র সরবরাহ করবে। যা সামরিক কমান্ডারদের (Indian Air Force) দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। এটি দেশের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে আধুনিকীকরণ করবে এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় ভারতকে আরও প্রস্তুত করে তুলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। শীঘ্রই এক বিশেষ প্রতিরক্ষা সক্ষমতার অধিকারী (I-STAR Spy Planes) হতে চলেছে ভারত, অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    Gujarat Man Arrested: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে গুজরাটে গ্রেফতার স্বাস্থ্যকর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Gujarat Man Arrested) অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। পড়শি দেশে পাকিস্তানের চরের জাল যে সর্বত্র বিছানো, তার প্রমাণ মিলল ফের। শনিবার গুজরাটের কচ্ছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Pakistan) স্থানীয় যুবক সহদেব সিং গিলকে। এটিএসের (সন্ত্রাস দমন) হাতে ধৃত সহদেব পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।

    মহিলাকে তথ্য পাচার করত ওই স্বাস্থ্যকর্মী! (Gujarat Man Arrested)

    আরও অভিযোগ, এক তরুণী চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য পাচার করত সে। গুজরাট এটিএসের এসপি কে সিদ্ধার্থ জানান, পাক চরকে বিএসএফ এবং ভারতীয় নৌসেনার বিষয়ে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ মে সহদেবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে জানিয়েছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাই মাস নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে অদিতি ভরদ্বাজ নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে সে জানতে পেরেছিল ওই মহিলা আদতে পাকিস্তানি গুপ্তচর। তার পরেও তার সঙ্গে সে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল

    জেরায় সহদেব দাবি করেছে, বিএসএফ এবং নৌসেনার ঘাঁটি, অন্যান্য নির্মাণের ছবি, ভিডিও তুলে তাকে পাঠাতে বলেছিল অদিতি, বিশেষত নতুন তৈরি হওয়া বা নির্মীয়মাণ ঘাঁটির ছবি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সে অদিতিকে ওই সব ছবি, ভিডিও পাঠাত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ২০২৫ সালের শুরুতে নিজের আধার কার্ডের নথি দিয়ে মোবাইলের একটি সিমকার্ড কিনেছিল সহদেব। পরে হোয়াটসঅ্যাপও চালু করেছিল (Gujarat Man Arrested)। সেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই সে অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। পাঠাত ছবি, ভিডিও-ও। অপরিচিত একজনের কাছ থেকে এজন্য সে ৪০ হাজার টাকাও পেয়েছিল। সহদেবকে কে টাকা দিয়েছিল, তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সহদেবের মোবাইল।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে (Pakistan)। এদের বেশিরভাগই হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল গুজরাটের নামও (Gujarat Man Arrested)।

  • HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    HAPS Pseudo Satellites: আকাশসীমা প্রতিরক্ষায় বায়ুসেনার হাতে আসছে ‘ছদ্ম উপগ্রহ’! কীভাবে কাজ করে এই সিস্টেম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিক যুদ্ধকৌশলে সামরিক যোগাযোগ ও নজরদারি ব্যবস্থা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। ফলে, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে এই দুই ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত, আরও আধুনিক করতে এবার নতুন ঘরানার সামরিক উপগ্রহ মোতায়েন করতে চলেছে ভারত।

    ভবিষ্যতের প্রস্তুতি শুরু…

    জানা যাচ্ছে, এর ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে এক বিশেষ ধরনের ‘সিউডো স্যাটেলাইট’ বা ছদ্ম উপগ্রহ (HAPS Pseudo Satellites)। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি এই বিশেষ উপগ্রহগুলির কাজ হবে যুদ্ধবিমান ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও তথ্য বিনিময় করা। এর পাশাপাশি, দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তাকে আরও বলিষ্ঠ করতে বায়ুসেনার হাতে আসতে চলেছে ভেরি শর্ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (VSHORADS) ৪৮টি লঞ্চার। এরই অংশ হিসেবে সেনা কিনতে চলেছে ৮৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪৫টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন নাইট-ভিশন ডিভাইস। ভারত-পাক তীব্র সংঘাতের আবহে এই সরঞ্জামগুলি কেনার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ হলেও, বর্তমান সামরিক প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে এগুলির অন্তর্ভুক্তি সম্ভব নয় বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। কারণ, বাহিনীর হাতে এগুলি আসতে আরও কয়েকমাস লেগে যাবে। ফলে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এগুলিকে কেনা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    সৌরশক্তিচালিত ছদ্ম উপগ্রহ

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিশেষ ধরনের ছদ্ম উপগ্রহগুলির খোঁজ চালাচ্ছে, যাদেরকে পরিভাষায় হাই-অলটিচিউড প্ল্যাটফর্ম সিস্টেম (হাপ্স) বলা হচ্ছে। এই সিস্টেমগুলি (HAPS Pseudo Satellites) দীর্ঘসময় ধরে নজরদারি চালাতে সক্ষম ইউএভি বা ড্রোন হিসাবে কাজ করে এবং সৌরশক্তিচালিত হওয়ায় এতে জ্বালানি ভরার প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত সৌর প্যানেলের জায়গায় এই ছদ্ম-উপগ্রহ বা ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত প্যানেলগুলি অত্যন্ত পাতলা সৌর ফিল্ম দিয়ে তৈরি। সাধারণ ড্রোনের তুলনায় অধিক অথচ লো-আর্থ অরবিটে মোতায়েন কৃত্রিম উপগ্রহের তুলনায় কম উচ্চতায় কাজ করে এই হাপ্স ড্রোনগুলি। সৌরচালিত হওয়ায় টানা বহু মাস ধরে আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম হাপ্স। ফলে, প্রায় মহাকাশ থেকে নজরদারি চালাতে পারে এই সিস্টেম। যে কারণে একে সিউডো-স্যাটেলাইট (HAPS Pseudo Satellites) বলা হয়ে থাকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এ জোর

    বায়ুসেনার জন্য এরকম তিনটি প্ল্যাটফর্ম কেনার জন্য রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন (আরএফআই) জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা টেন্ডার প্রক্রিয়ার একটি ধাপ। কেবলমাত্র দেশীয় সংস্থাগুলি থেকেই তথ্য চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-কে তুলে ধরতে চেয়েছে মোদি সরকার। দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের গুণমান কতটা ভালো, তা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) প্রমাণিত। ফলে, ফের একবার, দেশীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামেই আস্থা রাখছে কেন্দ্র। আরএফআই-তে বলা হয়েছে— প্ল্যাটফর্মগুলিতে একদিকে যেমন নিরন্তর গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ (সামরিক পরিভাষায় ISR) করা এবং অন্য ড্রোনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে, শত্রুযানের সিগন্যালও জ্যাম করার সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites)।

    ১৬ কিমি উচ্চতায় মোতায়েন!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আরএফআই-তে বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, ১৬ কিমি উচ্চতাতেও সমানভাবে কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে সিস্টেমগুলিতে। এখানে উল্লেখ্য, পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৯ মিটার। দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমানগুলি সাধারণত ১০ হাজার মিটার বা ১০ কিমি উচ্চতা দিয়ে যাতায়াত করে। শর্ত অনুযায়ী, হাপ্স সিস্টেমগুলিতে (HAPS Pseudo Satellites) উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকতে হবে। লাইন-অফ-সাইট-এর সাপেক্ষে ন্যূনতম ১৫০ কিমি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০০ কিমি দূরত্বে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষমতা থাকতে হবে এই সিস্টেমে।

    বাকেট-লিস্টে ভিশোরাড…

    হাপ্স সিস্টেমের পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের অতি স্বল্প পাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম (VSHORADS) কেনার বিষয়েও রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল (আরএফপি) আহ্বান করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এগুলি হল ম্যান-পোর্টবেল বা কাঁধে বসিয়ে নিক্ষেপযোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। মূলত, রেডার সীমার নীচ দিয়ে আকাশপথে হামলা চালানো শত্রুপক্ষের হেলিকপ্টার বা বিমান বা ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রের মতো যে কোনও উড়ুক্কু যানকে ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই ভিশোরাড-এর। এই সিস্টেমগুলি হবে বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্সের সবচেয়ে অভ্যন্তরীণ বর্ম। বর্তমানে, রুশ-নির্মিত ইগলা-পি ও আরও উন্নত ইগলা-এস ম্যানপ্যাড ব্যবহার করে ভারত। এবার ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই সিস্টেম কিনতে চাইছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের শর্ত, এগুলির পাল্লা হতে হবে ৬ হাজার মিটার এবং এগুলিকে দিনে ও রাতে সমান কার্যকর হতে হবে।

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • IAF: রাজপথ হয়ে গেল রানওয়ে, পর পর নামল সুখোই, রাফাল, মিরাজ! যুদ্ধের প্রস্তুতি?

    IAF: রাজপথ হয়ে গেল রানওয়ে, পর পর নামল সুখোই, রাফাল, মিরাজ! যুদ্ধের প্রস্তুতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন যুদ্ধের প্রস্তুতি। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে (Ganga Expressway) মহড়া চালাল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড পরবর্তী সংঘাতের আবহে জাতীয় সড়কের উপর তৈরি করা এফ ফালি রানওয়েতেই জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ ও উড়ানের মহড়া দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। লক্ষ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আপৎকালীন ব্যবহার।

    এই এয়ারস্ট্রিপের বিশেষত্ব

    উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলায় গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের (Ganga Expressway) ওপর তৈরি হল এমন এক এয়ারস্ট্রিপ, যেখানে শুধু দিনে নয়, রাতেও নামতে পারবে বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। শুক্রবার এই এয়ারস্ট্রিপের উদ্বোধন করল ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এটি এক নতুন অধ্যায়। কারণ এই প্রথমবার, কোনও রাস্তার ওপর তৈরি রানওয়েতে দিন-রাত নির্বিঘ্নে নামল যুদ্ধবিমান। এই এয়ারস্ট্রিপটি তৈরি হয়েছে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের অন্তর্গত জলালাবাদ এলাকায়। মেরঠ থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত প্রায় ৫৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের ৮৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। এর আগে উত্তরপ্রদেশেই আরও তিনটি এক্সপ্রেসওয়েতে এমন সামরিক উদ্দেশ্যে তৈরি রানওয়ে চালু হয়েছে— আগরা-লখনউ, পূর্বাঞ্চল (পুর্বাঞ্চল) এবং বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়েতে। তবে এই শাহজাহানপুরের এয়ারস্ট্রিপই প্রথম, যেখানে রাতে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে।

    যুদ্ধের সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ

    সাধারণত বিমান ওঠা-নামার জন্য আলাদা এয়ারবেস বা বিমানঘাঁটি দরকার হয়। কিন্তু যুদ্ধ বা জাতীয় বিপর্যয়ের সময়ে যদি কোনও বিমানঘাঁটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে, তখন রাস্তার ওপর এই ধরনের বিকল্প রানওয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভীষণই কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। এই সাময়িক রানওয়েতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক আলো ও ন্যাভিগেশন সিস্টেম। ‘ক্যাট-২’ যোগ্যতাসম্পন্ন ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (ILS) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে ঘন কুয়াশা বা রাতের অন্ধকারেও সঠিক ভাবে বিমান নামানো যাবে। বিশেষভাবে তৈরি কংক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে যাতে ভারী ও দ্রুতগতির যুদ্ধবিমানও অনায়াসে অবতরণ করতে পারে।

    মহড়ায় কোন কোন যুদ্ধবিমান

    ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) সূত্রে খবর, এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল, মিরাজ ২০০০, সুখোই সু-৩০ এমকেআই-সহ একাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে আসা হয় এই মহড়ার জন্য। এছাড়াও ছিল সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস, এএন-৩২ এবং মি-১৭ভি৫ সেনা চপার। দিনে ও রাতে — দুই পর্যায়েই অবতরণ ও উড়ানের মহড়া হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতেই যাতে ভারতীয় বায়ুসেনাকে রোখা না যায়, তা পরীক্ষা করে দেখে নিতেই এই সামরিক মহড়া। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে যাওয়ার পর থেকেই একের পর এক মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। এবার গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে রাজধানী লখনউকে সংযোগকারী গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন।

  • Operation Brahma: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন মাঝ আকাশে সাইবার হামলা, মোকাবিলা বায়ুসেনার

    Operation Brahma: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা চলাকালীন মাঝ আকাশে সাইবার হামলা, মোকাবিলা বায়ুসেনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma) চলাকালীন ‘জিপিএস-স্পুফিং’ সাইবার হামলার (Cyber Attack) শিকার ভারতীয় বায়ুসেনার C-130J এয়ারক্রাফট। স্পুফিংয়ের ফলে বদলে যায় রিয়েল-টাইম কোয়ার্ডিনেটস। বদলের ফলে মাঝ আকাশে উড়ানের সময় বিমানের নেভিগেশন সিস্টেম বিভ্রান্ত হয়। তবে হার মানেনি বায়ুসেনা। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে বিপদ বুঝতেই সঙ্গে সঙ্গে ইন্টার্নাল নেভিগেশন সিস্টেমে (আইএনএস) সুইচ করে ফেলে এয়ার ফোর্স পাইলটরা। নিরাপদ ভাবে নেভিগেট করতেই পাইলটদের এই পদক্ষেপ সফল হয়।

    কীভাবে ঘটে সাইবার হামলা

    গত ২৮ মার্চ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমার। রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পের জেরে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় মায়ানমারের একাধিক শহর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ানমারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তার পরেই ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারফ্রাফ্ট (IAF Aircraft Faces Cyberattack) ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যায় মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে। সি-১৩০ জে এবং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার এয়ারক্রাফ্টের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় ত্রাণ। মোট ৬টি মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট মায়ানমারে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, ২৯ মার্চ সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফ্টেই সাইবার হানা হয়েছিল। ওই এয়ারক্রাফ্ট মায়ানমারের আকাশসীমায় ঢোকার পরেই জিপিএস সিগন্যাল নষ্ট করার চেষ্টা করে সাইবার ক্রিমিনালরা। সে সময়ে ইন্টারনাল নেভিগেশন সিস্টেমসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল এবং বাকি এয়ারক্রাফ্টগুলিকেও এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছিল।

    জিপিএস-স্পুফিং কাকে বলে?

    এটি এক ধরনের সাইবার হামলা যেখানে আসল স্যাটেলাইট ডেটাকে মুছে দেয় ভুয়ো সিগনাল। একই ধাঁচের স্পুফিংয়ের ঘটনা আগে কয়েকবার ঘটেছে ভারত-পাকিস্তান বর্ডারে। নভেম্বর ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত অমৃতসর এবং জম্মুর কাছে প্রায় ৪৬৫ টি স্পুফিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটল মায়ানমারে। এই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘জিপিএস স্পুফিংয়ের মাধ্যমে লোকেশনের ব্যাপারে পাইলটদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। অন্য দেশের আকাশসীমায় ঘটা এই ধরনের ঘটনার তদন্তও যথেষ্ট সমস্যার। জিপিএস স্পুফিংয়ের জেরে ফ্লাইট দুর্ঘটনার মুখে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়।’

     

     

     

     

  • Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    Tejas Mk 1A: তেজস-মার্ক ১এ যুদ্ধবিমানের প্রথম এফ৪০৪ ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দিল জিই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে নয়া মোড় আনল তেজস মার্ক-১এ (Tejas Mk 1A)। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের জন্য আমেরিকা থেকে চলে এল এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines)। ওই ইঞ্জিনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকস (জিই) অ্যারোস্পেস। প্রথম ইঞ্জিনটি মঙ্গলবার পাঠিয়েছে বলে তেজস নির্মাণকারী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘হ্যাল’ (হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড) জানিয়েছে।

    চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ

    হ্যাল-এর তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে মোট ১২টি এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। এরপর থেকে প্রতি বছর ২০টি করে ইঞ্জিন সরবরাহ করতে পারে জিই। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জিই-র সঙ্গে ৯০টি এফ৪০৪ আইএন২০ ইঞ্জিনের (F404 IN20 Engines) জন্যে ৭১৬ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৬১৫০ কোটি টাকা) চুক্তি করেছিল হ্যাল। প্রাথমিক ভাবে ২০২৩ সালের শেষপর্ব থেকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের আবহে পুরো প্রক্রিয়া ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এমনকি, ভারতকে ইঞ্জিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার বিধিনিষেধ বলবৎ করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতা কেটে গিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনার হাতে শীঘ্রই তেজস

    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (Tejas Mk 1A) সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যালের। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন (F404 IN20 Engines) সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। আগামী কয়েক বছরে ৩০০-রও বেশি তেজস (Tejas Mk 1A) যুদ্ধবিমান শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বায়ুসেনার ফাইটার স্কোয়াড্রনগুলিতে। কিন্তু সরবরাহ থমকে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং।

LinkedIn
Share