Tag: IAF

IAF

  • Indian Air Force: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, ১২টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, বরাত হ্যালকে

    Indian Air Force: আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা, ১২টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত, বরাত হ্যালকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ১২টি সুখোই-৩০ এমকেআই (SU-30 MKIs) যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারত। সেজন্য হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল) সঙ্গে ১৩,৫০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ভারতীয় বায়ুসেনাকে ১২টি যুদ্ধবিমান দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও দেবে হ্যাল। আপাতত ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হাতে ২৬০টি সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান আছে। এবার যে ১২টি নতুন সুখোই-৩০ কেনা হচ্ছে, সেগুলি দুর্ঘটনায় পড়া যুদ্ধবিমানের শূন্যস্থান পূরণ করবে।

    আরও শক্তিশালী বায়ুসনা

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘এই যুদ্ধবিমানগুলি হাতে পেলে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান চালানোর দক্ষতা আরও বাড়বে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দেশের প্রস্তুতি আরও মজবুত হবে।’’ অতীতে লাইসেন্স নিয়ে বিভিন্ন মিগ এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে নাসিকের ‘এয়ারক্রাফট ম্যানফ্যাকচারিং ডিভিশন’। ১৯৬৪ সালে সেটি তৈরি হয়েছিল। আর এবার হ্যালের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করবে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র। ফলে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর পথে আরও একটা বড় পদক্ষেপ ফেলা হল বলে মনে করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত

    গত সেপ্টেম্বরেই সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের ২৩০টি অ্যারো-ইঞ্জিনের জন্য হ্যালের সঙ্গে ২৬,০০০ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতি বছর ৩০টি এএল-৩১এফপি ইঞ্জিন দেবে হ্যাল। সবমিলিয়ে আট বছরের মধ্যে সবগুলি পেয়ে যাবে বায়ুসেনা। যেগুলি ওড়িশার কোরাপুটে তৈরি করা হবে। প্রযুক্তি সরবরাহ করবে রাশিয়া। হাতেগোনা কয়েকটি সরঞ্জাম আনা হবে বিদেশ থেকে। সেইসঙ্গে ৬৫,০০০ কোটি টাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানকে আরও আধুনিক করে তোলা হবে। সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানে দেশীয় উত্তর অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রেডার, ওয়েপন কন্ট্রোল সিস্টেম, নয়া অস্ত্রশস্ত্র যোগ করা হবে বলে সূত্রের খবর। এই নতুন আপগ্রেড করা সুখোই-৩০ বিমানগুলিতে মোতায়েন করা হবে বিমান থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ‘ব্রহ্মোস-এ’ সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, যা ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পরিসরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। আর তার ফলে সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। যা ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষমতা আরও বাড়াবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Vice Admiral Arti Sarin: নারী শক্তির বিকাশ, সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রথম মহিলা ডিজি পেল দেশ

    Vice Admiral Arti Sarin: নারী শক্তির বিকাশ, সশস্ত্র বাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রথম মহিলা ডিজি পেল দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের নারী শক্তির বিকাশ। সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষপদগুলির মধ্যে একটিতে আবারও বসলেন এক মহিলা। সশস্ত্র বাহিনী মেডিক্যাল সার্ভিসের ডিজি হলেন ভাইস অ্যাডমিরাল আরতি সারিন (Vice Admiral Arti Sarin)। ভাইস অ্যাডমিরাল সারিন, বর্তমানে ভারতের নৌসেনা, বায়ুসেনা এবং স্থলসেনা তিন বিভাগেরই মেডিক্যাল সার্ভিসের ডিজি হিসেবে কাজ করছেন। এই প্রথম কোনও মহিলা এই বিরল সম্মান লাভ করলেন।

    নারী শক্তির প্রতীক

    আরতি নৌবাহিনীর প্রথম তিন-চারজন ভাইস অ্যাডমিরালদের (Vice Admiral Arti Sarin) একজন। ডিজি, এএফএমএস, সশস্ত্র বাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কাজ করছেন। তিনি জেনারেল অনিল চৌহান, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে কথা বলবেন। সারিন দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। ১৯৮৫ সালে একজন সেনা অফিসার হিসেবে নিজের কাজ শুরু করেন আরতি। এরপর তিনি ভারতীয় বায়ুসেনায় এয়ার মর্শাল হিসেবে কাজ করেন। 

    আরতি একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর থেকে তিনি বিশেষ সেনা সম্মান লাভ করেন। দেশে নারী শক্তির প্রতীক হলেন আরতি (Vice Admiral Arti Sarin)। সশস্ত্র বাহিনীতে একজন মহিলা থ্রি-স্টার অফিসার এখনও খুব বিরল। সেখানে আরতির এই সম্মান বা নয়া দায়িত্ব, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এক নিদর্শন।

    আরও পড়ুন: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Air Force: ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৯২তম বার্ষিকী উদযাপন, সাত হাজার কিমি কার র‍্যালির আয়োজন!

    Indian Air Force: ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৯২তম বার্ষিকী উদযাপন, সাত হাজার কিমি কার র‍্যালির আয়োজন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত হাজার কিমি দীর্ঘ কার র‍্যালির আয়োজন করছে ভারতীয় বিমান বাহিনী (Indian Air Force)। র‍্যালি শুরু হবে লাদাখের থোইসে। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ এয়ারফোর্স স্টেশনগুলির একটি (Anniversary)। র‍্যালি গিয়ে শেষ হবে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে।

    কার র‍্যালি (Indian Air Force)

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর ৯২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই র‍্যালি হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। থোইসে থেকে ‘বায়ু বীর বিজেতা’ র‍্যালির আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। তার আগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ১লা অক্টোবর এখানে জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ থেকে র‍্যালিকে বিদায় জানাবেন। প্রসঙ্গত, ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৩২ সালের ৮ অক্টোবর।

    কী বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তরাখণ্ড যুদ্ধ স্মারকের প্রাক্তন যোদ্ধাদের সমন্বয়ে বায়ুসেনা আয়োজিত র‍্যালির উদ্দেশ্য হল জনগণের মধ্যে বায়ুসেনার গৌরবময় ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিভিন্ন যুদ্ধ ও উদ্ধার অভিযানে বায়ুসেনার যোদ্ধাদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরা। যুবসমাজকে দেশসেবায় উৎসাহিত করাও এই র‍্যালির উদ্দেশ্য (Indian Air Force)। থোইসে র‍্যালিটি শুরু হবে ৮ অক্টোবর। ২৯ অক্টোবর সেটি গিয়ে পৌঁছবে তাওয়াংয়ে। র‍্যালিতে অংশ নিচ্ছেন ৫২ জন বায়ু সেনা। এঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন। র‍্যালির বিভিন্ন পর্বে অংশ নেবেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধানরাও।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বকে আর সন্ত্রস্ত্র করতে পারবে না”, নাসরাল্লাহকে খতম করে দাবি ইজরায়েলের

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বায়ুসেনারা তাঁদের যাত্রাপথে ১৬টি জায়গায় থামবেন। যোগাযোগ করবেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যায়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে। বিবৃতিদের জানানো হয়েছে, আইএএফের অ্যাডভেঞ্চার সেল (Anniversary) নেতৃত্ব দিচ্ছে র‍্যালিটির। সমন্বয় সাধনও করছে তারাই (Indian Air Force)।

    আরও পড়ুন: “সনাতন ধর্মকে মুছতে” চাওয়া ছেলেকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন এমকে স্ট্যালিন!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dassault: ভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    Dassault: ভারতে মিরাজ-রাফাল রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চায় ফরাসি সংস্থা দাসোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতকে উন্নত অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল ফ্রান্স। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে। সম্প্রতি ভারতকে হাতিয়ার বিক্রির পাশাপাশি ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রস্তাব দিয়েছে ইমানুয়েল মাক্রঁর (Emmanuel Macron) দেশ। এবার ফ্রান্সের দাসোল অ্যাভিয়েশন (Dassault) ঘোষণা করল যে তারা উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। এই কেন্দ্রতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ব্যবহৃত ফরাসি যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। 

    ফ্রান্সের সহায়তা

    ভারতীয় বায়ুসেনা প্রায় ৫০টি মিরাজ-২০০০ একক ইঞ্জিন মাল্টি-রোল যুদ্ধবিমান এবং ৩৬টি রাফাল বিমান ব্যবহার করে। দাসোলের (Dassault) প্রস্তাবিত নতুন কেন্দ্র থেকে দুই ধরনের বিমানেরই কাজ করা যাবে। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই নয়াদিল্লির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছে ফরাসি প্রশাসন। যা ভারতের সামরিক ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দেবে। ভারতীয় নৌবাহিনী দাসোলের (Dassault) সঙ্গে আরেকটি ২৬টি রাফাল-মেরিন যুদ্ধবিমান কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এই বিমানগুলি আইএনএস বিক্রান্তের ডেক থেকে পরিচালিত হবে। এই বিমানগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণ নতুন কেন্দ্র থেকে হবে। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন মাক্রঁ। সম্পূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভারতকে ১১০ কিলোনিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন জেট ইঞ্জিন দিতে রাজি হয়েছে ফ্রান্স। এছাড়া, নতুন প্রযুক্তি সম্বলিত চারটি অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন এবং মানববিহীন ডুবোযান (আনম্যানড্ আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যল) দিতেও রাজি প্যারিস।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিকে জোরালো সমর্থন ফ্রান্সের

    নয়া কেন্দ্র স্থাপন

    দাসোলের (Dassault) আধিকারিকরা জানান, ফরাসি সংস্থাটি ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে নতুন ভারতীয় কোম্পানি, দাসোল অ্যাভিয়েশন মেইনটেনেন্স রিপেয়ার অ্যান্ড ওভারহোল ইন্ডিয়া (ডিএমআরওআই) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের জেট ইঞ্জিন নির্মাণের কলাকৌশল শেখানোর কথাও বলেছে এই ফরাসি সংস্থা। উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর কূটনৈতিক উপদেষ্টা ইমানুয়েল বানের সঙ্গে ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে বৈঠক করার কথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের। এর জন্য প্যারিস যাচ্ছেন তিনি। ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ওই বৈঠক।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    Sukhoi Jet Engine: ২৪০টি সুখোই জেট ইঞ্জিন কিনবে কেন্দ্র, হ্যাল-এর সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL) সঙ্গে ২৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। কেনা হবে বায়ুসেনায় ব্য়বহৃত সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের জন্য ২৪০টি এরো-ইঞ্জিন। নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা সচিব গিরিধর আরমানে, প্রতিরক্ষা উৎপাদন সচিব সঞ্জীব কুমার এবং বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক এবং হ্যাল-এর মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  

    ভারতেই তৈরি হবে ইঞ্জিন

    সুখোই ভারতের বায়ুসেনার অন্যতম প্রধান যুদ্ধবিমান। তথ্য বলছে, বায়ুসেনায় এই মুহূর্তে রুশ-জাত সুখোইয়ের সংখ্যা ২৬০টি। এ বছরের শেষদিক থেকে এই বিমানগুলোর ইঞ্জিনের মেয়াদ ফুরনো শুরু হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের হাতে এখন যত সুখোই বিমান রয়েছে, সেগুলো পুরো পাল্টাতে সবমিলিয়ে ৯০০টি ইঞ্জিন লাগবে। গোড়ায় ২৪০টি ইঞ্জিনের বরাত পেল হ্যাল। এতদিন, সুখোইয়ের ইঞ্জিনের দরকার হলে আমাদের রাশিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। সেই পরিস্থিতি আর থাকছে না। এবার ওড়িশার কোরাপুটে হ্যালের কারখানাতেই তৈরি হবে সুখোইয়ের ইঞ্জিন। এই জন্য রাশিয়া ভারতকে প্রযুক্তি দেবে। ইঞ্জিনের খুব সামান্য পরিমাণ যন্ত্রাংশই সরাসরি রাশিয়া থেকে আমদানি করা হবে।

    ৮ বছরের মধ্যে ডেলিভারি 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হ্যালের থেকে এই এরো ইঞ্জিন কেনার বিষয়টি, বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তাকে পূরণ করবে, এছাড়াও সেনার অপারেশনগুলি বিনা বাধায় এরফলে এগোতে পারবে, যা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রস্তুতিকে চাঙ্গা করবে। এই ২৪০টি ইঞ্জিনের ডেলিভারি আগামী ৮ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tarang Shakti: হয়ে গেল দেশের প্রথম ‘বহুজাতিক বিমান মহড়া’ তরঙ্গশক্তি

    Tarang Shakti: হয়ে গেল দেশের প্রথম ‘বহুজাতিক বিমান মহড়া’ তরঙ্গশক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের উদ্‌যাপনের আগে ভারতীয় বায়ুসেনার উদ্যোগে শুরু হয়ে গেল ‘তরঙ্গ শক্তি’র আয়োজন (Tarang Shakti)। মহড়ায় অংশ নিল ১০টি দেশ। অংশগ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটাই দেশের প্রথম ‘বহুজাতিক বিমান মহড়া।’

    ‘তরঙ্গ শক্তি’র লক্ষ্য

    বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, যে দেশগুলির সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনা (আইএএফ) নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে, সম্পর্ক রাখে, তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক রক্ষাই উদ্দেশ্য। এর আগে ২০২৩ সালের শেষ দিকে ‘তরঙ্গ শক্তির’ মহড়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা পিছিয়ে যায়। বহুজাতিক পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আগেই অর্জন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সহযোগিতামূলক এই উড়ানের অভিজ্ঞতা তরুণ ক্রুদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে।

    কারা কারা অংশ নিল

    ‘তরঙ্গ শক্তি’র (Tarang Shakti) মহড়া দু’টি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রথমটি বুধবার শেষ হল। এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল তামিলনাড়ুর সুলুরে। ৬ অগাস্ট থেকে ১৪ অগাস্ট এই মহড়া চলে। ১০টি দেশের অন্তত ৬৭টি যুদ্ধবিমান মহড়ায় অংশ নিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে মহড়া হবে যোধপুরে ২৯ অগাস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর।

    ভারতের তরফে এই মহড়ায় ছিল আটটি রাফাল যুদ্ধবিমান। ছিল সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমান। ভারতীয় বায়ুসেনা আয়োজিত ‘তরঙ্গ শক্তি’তে অংশ নিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, স্পেন, ইংল্যান্ড। জার্মানি তাদের ‘ফাইটার জেট’ এবং একটি এ-৪০০এম উড়ান আনবে। বায়ুসেনার শো কেসেও থাকবে এ-৪০০ এম। দ্বিতীয় পর্যায়ে যোগ দেওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, গ্রিস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Assam Flood: ভাসছে অসম, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা! প্রধানমন্ত্রীর ফোন, উদ্ধারে বায়ুসেনা 

    Assam Flood: ভাসছে অসম, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা! প্রধানমন্ত্রীর ফোন, উদ্ধারে বায়ুসেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যায় ভাসছে গোটা অসম (Assam Flood)। লখিমপুর, ডিব্রুগড়ের অবস্থা ভয়ঙ্কর। সব বড় রাস্তাই সেখানে জলের তলায়। বন্ধ যান চলাচল। একমাত্র উপায় নৌকা। একসময় যেখানে সরগরম থাকতো বাজার চত্বর, এখন সেখানেই বন্ধ দোকানের পর দোকান। অসমে বন্যার জেরে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা ক্ষগ্রতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিপর্যস্ত অবস্থা ২০টি জেলার। ভেসে গেছে জমির পর জমি। ধস নেমে প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। গত কয়েকদিনে ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। কাজিরাঙা (Kaziranga) অভয়ারণ্য জলের তলায়।

    অরুণাচলে বৃষ্টিই বন্যার কারণ (Assam Flood)

    অরুণাচল প্রদেশে লাগাতার বর্ষণের জেরে অসমে (Assam Flood) বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ফুঁসছে একাধিক নদী। বিপদ বাড়াচ্ছে লাগাতার বৃষ্টি। অসমের ২০ জেলায় ৭টি রেভেনিউ সার্কেলে প্রায় ৬ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।  ১২৭৫ গ্রাম জলের তলায়। ১১টি জেলায় ৭২টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৪২ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের বরাক ভ্যালি। করিমগঞ্জ জেলা এবং আপার অসমের তিনসুকিয়া, লখিমপুর, ডিব্রুগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শুধু ব্রহ্মপুত্র নয় অন্যান্য নদী যেমন ডিসাং, সুবনসারি, দেখাহো, বুড়িদেহিং, বেকি এবং বরাক নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এদিকে বৃষ্টি থামার নাম নেই। উল্টে বর্ষণ আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    ভাসছে কাজিরাঙা (Assam Flood)

    ব্রহ্মপুত্র নদের সংলগ্ন এলাকাতেই রয়েছে অসমের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য কাজিরাঙা (Kaziranga)। একশৃঙ্গ গণ্ডারের জন্য কাজিরাঙা অভয়ারণ্য বিখ্যাত। ব্রহ্মপুত্রের জলে জঙ্গলের ২৬ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্য প্রাণিরা প্রাণ বাঁচাতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। বন্যায় বন্য প্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ২৩৩টি শিবিরের ৯৮টি ফরেস্ট ক্যাম্প বর্তমানে জলের তলায়। প্রচুর বন্যপ্রাণী ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী কার্বি আংলং পাহাড়ের দিকে চলে গিয়েছে, বলে খবর।

    প্রধানমন্ত্রীর ফোন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস (Assam Flood)

    ইতিমধ্যেই অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। অসমের (Assam Flood) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় আকাশ পথে খাবার বিলি হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন ভারতীয় সেনাবাহিনী। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে উদ্ধারকাজে রাজ্য প্রশাসনকে সাহায্য করবে ভারতীয় সেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারতীয় বায়ু সেনার তরফে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে ডিব্রুগড় জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Poonch IAF Convoy Attack: পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ

    Poonch IAF Convoy Attack: পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পুঞ্চে (Poonch IAF Convoy Attack) বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলায় জড়িত তিন জঙ্গির নাম ও ছবি প্রকাশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তিনজন জঙ্গির পরিচয় জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি সেনার এসএসজি-তে কর্মরত ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টায় যুক্ত হয় হরদুন ইলিয়াস ফৌজি নামে ওই ব্যাক্তি।

    জঙ্গিদের পরিচয় প্রকাশ

    গত ৫ মে পুঞ্চে (Poonch IAF Convoy Attack) বিমানবাহিনী কনভয়ে জঙ্গি হামলায় কর্পোরাল ভিকি পাহাড়ির মৃত্যু হয়। তাঁর চার সহকর্মী জখম হন। এই ঘটনায় যুক্ত ৩ জঙ্গির পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনজনই আমেরিকায় তৈরি এম ফোর এস এবং রুশ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল একে ৪৭ ব্যবহার করেছিল। যে তিনজনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তারা হল, ইলিয়াস। সে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডো। পাকিস্তানি জঙ্গি হাদুন এবং আবু হামজা। এই নামগুলি আসল নাও হতে পারে। বিশেষত আবু হামজার নামটি ছদ্মনাম বলেই ধারণা। কারণ, লস্কর-ই-তোইবা জঙ্গি অপারেশনের কমান্ডারের নাম গোপন রাখার জন্য সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে থাকে।

    জম্মু-কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) পুলিশ এর আগে হামজার আঁকা ছবি প্রকাশ করেছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, হামজার বয়স আনুমানিক ৩০-৩২ বছর। মাঝারি স্বাস্থ্য এবং ফরসা। ছোট ছাঁটের চুল কাটা। শেষবার তাকে একটি পাঠানি স্যুটের উপর বাদামি রঙের শাল গায়ে দেখা গিয়েছিল। একটি কমলা রঙের ব্যাগ ছিল তার সঙ্গে। তাকে গ্রেফতারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। পুঞ্চ (Poonch IAF Convoy Attack) সেক্টরে গতবছর বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলা হলেও এ বছর এটাই ছিল প্রথম রক্তক্ষয়ী ঘটনা। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Forest Fire: দাবানলের গ্রাসে উত্তরাখণ্ড, কীভাবে ছড়ায় আগুন? প্রতিরোধের ব্যবস্থাই বা কী?

    Uttarakhand Forest Fire: দাবানলের গ্রাসে উত্তরাখণ্ড, কীভাবে ছড়ায় আগুন? প্রতিরোধের ব্যবস্থাই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরাখণ্ডের বনগুলিতে (Uttarakhand Forest Fire)। রাজ্যের বন বিভাগ যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ২ দিনে কুমায়ুন অঞ্চলের ২৬টি বন দাবানলের গ্রাসে। ২৬টি বন রাজ্যের প্রায় ১০৮ হেক্টর জমি জুড়ে অবস্থান করছে। সব থেকে বেশি দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে গাড়োয়াল অঞ্চলের বনগুলিতে। সেখানকার ৩৪.১৭৫ হেক্টর বন ধ্বংস হয়েছে দাবানলের কারণে।

    কী বলছেন বন দফতরের আধিকারিকরা? 

    বন দফতরের শীর্ষ আধিকারিক (Uttarakhand Forest Fire) চন্দ্রশেখর জোশী জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নন্দা রেঞ্জে দাবানলের খবর মিলেছে। নৈনিতাল, হলদোয়ানি, রামনগর প্রভৃতি বনবিভাগ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে দাবানলকে রোধ করার জন্য তড়িঘড়ি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকারও। বন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দাবানলকে রোধ করার জন্য একযোগে প্রয়াস চালিয়েছে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স, আর্মি, প্রান্তীয় রক্ষক দলের স্বেচ্ছাসেবকরা এবং হোম গার্ডরা। কুমায়ুন রেঞ্জের বনদফতরের শীর্ষ আধিকারিক প্রসন্ন কুমার পাত্র জানিয়েছেন, কুমায়ুন অঞ্চলে নৈনিতাল জেলার দুই থেকে তিনটি জায়গায় এবং আলমোরা, পিথোরাগড় প্রভৃতি স্থানের একটি করে অঞ্চল দাবানলের গ্রাসে গিয়েছে।

    দাবানলের প্রধান কারণ কী?

    উত্তরাখণ্ডের বিধ্বংসী দাবানলের (Uttarakhand Forest Fire) কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করছেন, নেপাল সীমান্তবর্তী চম্পাওয়াত ও নৈনিতাল জেলার তীব্র তাপপ্রবাহকে। কারণ এর জেরেই বেড়ে গিয়েছে শুষ্কতা। বনের পর বন দাবানলের গ্রাসে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে অপর একটি কারণ হল, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শীতকালীন বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের পরিমাণ খুবই কম হয়েছে।

    সাধারণভাবে উত্তরাখণ্ডের দাবানলের (Forest Fires in Uttarakhand) ঘটনাগুলি লক্ষ্য করা যায় ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে। এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে এবং গরম থাকে। বেশিরভাগ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে শুকনো পাতা এবং বনে থাকা অন্যান্য দাহ্য পদার্থের কারণে। যা আগুনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তবে পরিবেশ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট একটি রিপোর্ট জমা করে ২০১৯ সালে। তাতে তারা জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশই দাবানলের কারণ মনুষ্যসৃষ্ট।

    দাবানলের প্রাকৃতিক কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বজ্রপাত, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং গরম ও শুষ্ক আবহাওয়া। কারণ যাই হোক না কেন দাবানল ছড়িয়ে পড়ার তিনটি মূল উপাদান হল- জ্বালানি, তাপ এবং অক্সিজেন। জ্বালানি হল দাহ্য পদার্থ। এর মধ্যে রয়েছে গাছ, ঘাস, গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদি। অন্যদিকে অক্সিজেন আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে।

    কীভাবে দাবানল ছড়ায়?

    জ্বালানি যেমন, ঘাস গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলি সাধারণভাবে দ্রুত পুড়ে যায়। গাছ এবং গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদগুলিতে তেল এবং রজন জাতীয় পদার্থ থাকার কারণে আগুন দ্রুত এবং তীব্রভাবে ছড়াতে থাকে। আবার শুষ্ক আবহাওয়া হওয়ার কারণে কিছু ধরনের (Forest Fires in Uttarakhand) গাছপালাতে আদ্রতাও কম থাকে। আবার সেই সময় যদি বায়ু চলাচলটা প্রবল ভাবে হয় তবে সেই বায়ু থেকে অক্সিজেন আগুনকে আরও ভয়ঙ্কর করে তোলে।

    কীভাবে  বনের আগুন প্রতিরোধ করা যায়?

    পরিবেশ মন্ত্রকের মতে, প্রাথমিকভাবে দাবানলপ্রবণ বনাঞ্চলগুলিতে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখা, স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ফায়ার লাইন তৈরি এই সমস্ত কিছুর দ্বারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বনবিভাগ বনের দাবানলকে (Uttarakhand Forest Fire) প্রতিরোধ করার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলি হল-

    – ফায়ার অ্যালার্ট সিস্টেম:  ফায়ার অ্যালার্ট সিস্টেম geospatial প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়ে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় দাবানলের স্থানগুলিকে। স্থানগুলি চিহ্নিত করা হয়ে গেলে তা বন বিভাগের আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

    – মোবাইল স্কোয়াড: দাবানলকে প্রতিরোধ করতে মোবাইল স্কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রাজ্যের বনদফতর তার কর্মীদের নিয়োগ করে এবং দাবানলের সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানগুলিতে ওই কর্মীরা টহলদারি চালাতে থাকে।

    – লিফ ব্লোয়ার: লিপ ব্লোয়ার সিস্টেমের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করেন বনদফতরের কর্মীরা।

    – স্থানীয় মানুষজনের সাহায্য নেওয়া: বনাঞ্চলের কাছাকাছি বসবাসরত মানুষজনদের নিয়ে যৌথ বনব্যবস্থা কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই কমিটির কাজ হল দাবানল সম্পর্কে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা এবং দাবানলের পরিস্থিতি তৈরি হলে তা রোধ করা।

    কীভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনী উত্তরাখণ্ডের বনের দাবানল প্রতিরোধ করল?

    ভারতীয় বিমান বাহিনী দাবানল প্রতিরোধ করার জন্য Mi-17v5 হেলিকপ্টার মোতায়ন করেছে। এই হেলিকপ্টারটি পাঁচ হাজার লিটার জল বহন করতে সক্ষম। হেলিকপ্টারটি সেজে উঠেছে বড় বাম্প বালতি দ্বারা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হেলিকপ্টারটি (Uttarakhand Forest Fire) নদী বা পুকুরে নামিয়ে প্রথমে সেখান থেকে ভরাট করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তা দাবানলের অঞ্চলে উড়ে যায় এবং সেখানে গিয়ে জল ঢেলে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mark-1A: আকাশে ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ, প্রথম উড়ান তেজস-এর নতুন সংস্করণের

    LCA Tejas Mark-1A: আকাশে ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ, প্রথম উড়ান তেজস-এর নতুন সংস্করণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। আকাশে ডানা মেলল দেশীয় তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান (LCA Tejas Mark-1A) । বৃহস্পতিবার, প্রথম পরীক্ষামূলক উড়ান সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এই লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে এলসিএ। এবার ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) হাতে আসা থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে তেজস-এর নতুন সংস্করণ। 

    ডানা মেলল এলসিএ মার্ক-১এ

    বৃহস্পতিবার, বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর তত্ত্বাবধানে এই উড়ান পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। সংস্থার আধিকারিকরা সেই খবর সংবাদমাধ্যমকে দেন। জানা গিয়েছে, প্রথমবার আকাশে উড়ে প্রায় ১৫ মিনিট চক্কর কাটে এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A)। বস্তুত, ৮৩টি মার্ক-১এ বিমানের জন্য হ্যাল-এর সঙ্গে ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে বায়ুসেনা। আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    চলতি মাসের শেষেই হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষেই সম্ভবত এই সংস্করণের প্রথম বিমানটি তুলে দেওয়া হবে বায়ুসেনার (Indian Air Force) হাতে। খবর মিলেছে, আগামী ৩১ মার্চ এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সেদিন এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের টুইন-সিটার বা দুই আসন-বিশিষ্ট ভার্সান বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। তেমনটা হলে, স্বদেশীয় যুদ্ধবিমান প্রকল্পের জন্য তা হতে চলেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এলসিএ তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) মূলত হল চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তবে, বিশ্বের বহু চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের তুলনায় তেজস মার্ক-১এ হতে চলেছে বেশি ক্ষমতাশালী ও উন্নত।

    চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তেজস মার্ক-১এ

    ২০১৬ সাল থেকেই ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে রয়েছে তেজসের মার্ক-১ সংস্করণ। বর্তমানে, বায়ুসেনায় তেজস মার্ক-১ যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে— একটি ১৮ নম্বর এবং দ্বিতীয়টি ৪৫ নম্বর স্কোয়াড্রন। একবার মার্ক-১এ সংস্করণ (LCA Tejas Mark-1A) অন্তর্ভুক্ত হলে বায়ুসেনার শক্তি ও সংখ্যা— দুটোই অনেকটা বেড়ে যাবে। বাহিনীতে মার্ক-১এ যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত হলে তা ‘যুগান্তকারী’ হবে বলে উল্লেখ করেন বায়ুসেনা (Indian Air Force) প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি। 

    আধুনিকীকরণের পথে ভারতীয় বায়ুসেনা

    বর্তমানে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশের বায়ুসেনায় এলসিএ মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ধুঁকতে থাকা মিগ সিরিজের যুদ্ধবিমানগুলিকে অবসরে পাঠানোর পর ভারতীয় বায়ুসেনায় এখন যুদ্ধবিমানের বিপুল ঘাটতি রয়েছে। দেশীয় চতুর্থ প্রজন্মের উন্নত এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) বিমান সেই ঘাটতি অনায়াসে পূরণ করতে পারবে। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) এখন আধুনিকীকরণের পথে। তারা চাইছে দ্রুত ফাইটার ফ্লিটের সংখ্যা বাড়াতে। সেই লক্ষ্য পূরণ  করতে বায়ুসেনার প্রধান ভরসা দেশীয় তেজস মার্ক-১এ।

    তেজসের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে…

    ইতিমধ্যেই, বাহিনীতে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলসিএ তেজস। বিভিন্ন দেশ এই বিমান কেনার বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবার নতুন এলসিএ মার্ক-১এ (LCA Tejas Mark-1A) যুদ্ধবিমানগুলি সেই আকর্ষণ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তেজস-এর বর্তমান সংস্করণের মতো একই (চতুর্থ) প্রজন্মের হলেও তুলনায় মার্ক-১এ তার পূর্বসূরির চেয়ে ঢের বেশি উন্নত, আধুনিক ও শক্তিশালী হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share