Tag: IAF

IAF

  • Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    Rafale: বায়ুসেনার পর নৌসেনার হাতেও কি রাফাল-এম? ম্যাক্রঁর হাত ধরেই হবে চুক্তি, দাবি ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাফাল-এম যুদ্ধবিমানকেই বাছতে চলেছে ভারত! ফরাসি সংবাদপত্র ‘লা ত্রিবিউন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফরাসি সংস্থা দাসো নির্মিত রাফাল-এম বিমানই যে ভারতীয় নৌসেনা কিনবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।  ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমাতে ভারত বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। তাঁর মধ্যে সর্বাধুনিক সংযোজন যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত। কিন্তু বিক্রান্তের জন্য নৌ সেনার দরকার আধুনিক যুদ্ধবিমান। এক্ষেত্রে লড়াই চলছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেট ও ফ্রান্সের রাফালের মধ্যে। নৌসেনা সূত্রে খবর, রাফাল এম কেই বেছে নিতে চলেছে ভারত।

    কবে চুক্তি

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার পর এবার রাফাল ফাইটার জেট পেতে চলেছে দেশের নৌসেনাও। আগামী মার্চ মাসেই ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর। ফরাসী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই সময়ই সম্ভবত নৌসেনার জন্য রাফাল কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করবে দুই দেশ। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্স থেকে অন্তত ২৬টি রাফাল জেট কিনবে ভারত।

    কেন রাফাল

    নৌসেনার তরফে ইতিমধ্যেই রাফাল-এম এর পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা হয়েছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেটও।  গোয়ায় নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে আইএনএস হংস রণতরী থেকে পরীক্ষা করা হয়েছিল যুদ্ধবিমান দুটির। গত ডিসেম্বর মাসে এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে বিশদ রিপোর্ট পেশ করেছিল নৌবাহিনী। এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট জেট বিমান প্রত্যাখ্যান করে রাফালই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় নৌসেনা। ভারতীয় নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের জন্য একেবারে উপযুক্ত হবে রাফাল এম যুদ্ধবিমান, এমনটাই দাবি ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনের।

    আরও পড়ুন: বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাবের ঘটনায় প্রকাশ্যে অভিযুক্তের পরিচয়, কে সেই ব্যক্তি?

    নৌসেনার তরফে জানানো হয়, যুদ্ধজাহাজে ডানা মুড়ে ছোট করার ব্যাপারে কিছুটা সুবিধা ছিল এফ ১৮ বিমানের, বেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়েছিল। কিন্তু গতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রাফাল। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষ অঞ্চলে হামলা চালাবার ক্ষেত্রে রাফালকে ধরতে পারা প্রায় দুঃসাধ্য। এর মূল কারণ ফরাসি বিমানের নীচে উড়তে পারার ক্ষমতা এবং নতুন সেন্সর টেকনোলজি। এফ ১৮ একসঙ্গে ১২ টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে, সেখানে রাফাল বহন করতে পারে দশটি। কিন্তু এক জায়গা থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে রাফাল থেকে ছোড়া মিসাইল বেশি কিলোমিটার ভেতরে যেতে সক্ষম। মার্কিন বিমান যেখানে একসঙ্গে আটটি টার্গেট ঠিক করতে পারে,রাফাল সেখানে বারোটি টার্গেটে একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    Marcos: নৌসেনার মার্কোসে ও বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী শক্তির জয় জয়কার। ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনার বিশেষ বাহিনীতে এবার থেকে যোগ দিতে পারবেন মহিলা কমান্ডোরাও। তবে তার জন্য তাঁদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। সমস্ত মাপকাঠি মেনেই তাঁদের চলতে হবে। নিতে হবে কঠোর প্রশিক্ষণ। দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

    মার্কোসে মেয়েরা

    নৌসেনায় কর্মরত যে কোনও মহিলা মেরিন কমান্ডোর বিশেষ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। নৌসেনার কমান্ডো বাহিনীকে মার্কোস নামে ডাকা হয়। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করায় এই বাহিনীর সুনাম দুনিয়া জুড়ে। জল, স্থল, অন্তরীক্ষ— তিন জায়গাতেই সমান ভাবে লড়াই করতে পারে মার্কোস। এবার থেকে মহিলাদের জন্য সেই বাহিনীর দরজাও খুলে গেল। তবে এর জন্য অবশ্যই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাঁদের। যেতে হবে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে। ভারতীয় সেনার মধ্যে নৌসেনাই প্রথম, যাদের বিশেষ বাহিনীতে কমান্ডো হিসাবে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি ঘটতে চলেছে। বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের কঠিন অনুশাসনের মধ্যে কঠিনতম পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। যা সাধারণ ভাবে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য বলে বিবেচিত হয়। তবে মহিলারা যেকোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে এবং যে কোনও কষ্টকেই সহজে জয় করতে পারে, বলে দাবি করেন এক নৌসেনা আধিকারিক। তাই তাঁরা যেকোনও বিভাগে যোগ দিতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌসেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ অভিযান থেকে শুরু করে বোমারু বিমান ওড়ানো, যুদ্ধজাহাজে দায়িত্বপালন, নৌসেনার সমস্ত শাখাতেই এখন মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি চলছে। নৌসেনা নিজেকে পুরোপুরি লিঙ্গনিরপেক্ষ বাহিনীতে বদলে ফেলেছে।

    আরও পড়ুন: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    বায়ুসেনার স্পেশাল ফোর্সেও মেয়েরা

    শুধু নৌসেনা নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার স্পেশাল কমান্ডো ফোর্সেও যোগ দিতে পারবেন মহিলা অফিসাররা। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মাপকাঠি পূরণ করলে বায়ুসেনার স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে (Garud commando force) যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও বাধা থাকবে না। গত বছরই স্পেশাল ইউনিট ফোর্সে মহিলাদের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, ওই ‘এলিট’ বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য কোনও মাপকাঠি শিথিল করা হবে না। সম্পূর্ণ মাপকাঠি পূরণ করলে তবেই ওই বাহিনীতে সুযোগ মিলবে।  লিঙ্গ সাম্যের পথে এটাই প্রথম ধাপ নয় ভারতীয় বায়ুসেনার। অতীতে শারীরিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক কারণে সামরিক ভূমিকা থেকে মহিলাদের দূরে রাখা হত। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নয়া অধ্যায় রচিত হয়। সেই বছর মহিলা পাইলটদেরও যুদ্ধবিমান চালানোর অনুমোদন দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • IAF Project Cheetah: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ

    IAF Project Cheetah: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নিরাপত্তার (India Defence) ক্ষেত্রে আবারও আত্মনির্ভর ভারতের হাতছানি। সীমান্তে চিন (China) ও পাকিস্তানকে (Pakistan) ঠেকাতে ‘প্রোজেক্ট চিতা’ (Project Cheetah) শুরু করতে চলেছে ভারত (India)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইজরায়েল (Israeli drone) থেকে কেনা ‘হেরন’ ড্রোনগুলিকে (Israeli Heron drone) সশস্ত্র করে তুলবে  ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF)। এই প্রকল্পের কাজ করবে দেশীয় অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। অর্থাৎ বায়ুসেনাকে মজবুত করে তোলার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাধের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পকেও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)।

    আরও পড়ুন: উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান, উদযাপিত এয়ারফোর্স অ্যাসোসিয়েশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠা দিবস

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘হেরন’ ড্রোনগুলিকে এবার অস্ত্রবহনে সক্ষম করা হবে। হেরন ড্রোনগুলি ২৫০ কিলোগ্রাম ওজন বহনে সক্ষম। এতে রয়েছে থার্মোগ্রাফিক ক্যামেরা, রেডার সিস্টেম, চালকদলের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ড্রোনটি নিজেই কমান্ড সেন্টারে ফিরে আসতে পারে। এবার ‘প্রোজেক্ট চিতা’র আওতায় ড্রোনগুলিতে মিসাইল মোতায়েন করা হবে। এই চালকহীন ড্রোন টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে। প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবিও স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে। প্রয়োজনে ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়েও এই ড্রোন নজরদারি চালাতে সক্ষম।

    আরও পড়ুন: শয়ে শয়ে ড্রোন আছড়ে পড়বে শত্রুর ওপর! ভারতীয় সেনার নয়া অস্ত্র ‘সোয়ার্ম ড্রোন’

    সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control) পেরিয়ে ভারতের এলাকায় বহু পাক-ড্রোন ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই পাক-হানাদার ড্রোনের মোকাবিলায় এবার একটি ‘ড্রোন ফোর্স’ বা ‘মানববিহীন সেনা’ তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে নয়াদিল্লি৷ এক্ষেত্রে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর জন্য আলাদা আলাদা ফোর্স তৈরি হচ্ছে না। পরিবর্তে একটাই বিশাল ‘ড্রোন ফোর্স’ (Drone Force) তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান। এই ফোর্স তৈরি হলে ভারত যে কয়েক কদম এগিয়ে যাবে তা, বলাই বাহুল্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cheetah in India: রাতের বিমানে ভারতে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা পৌঁছবে বায়ুসেনার ‘চিনুক’ কপ্টারে

    Cheetah in India: রাতের বিমানে ভারতে, কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতা পৌঁছবে বায়ুসেনার ‘চিনুক’ কপ্টারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ভারতে এসে পৌঁছবে ৮টি চিতা (Cheetah)। একটি বাণিজ্যিক বিমানে করে চিতাগুলিকে ভারতে (India) নিয়ে আসা হচ্ছে আফ্রিকা (Africa) মহাদেশের দেশ নামিবিয়া থেকে। সেখান থেকে চিতাগুলিকে নিয়ে আসা হবে রাজস্থানের জয়পুরে। পরে সেখান থেকে বাঘ প্রজাতির ওই প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হবে মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park)। এজন্য প্রস্তুত ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) হেভিলিফট হেলিকপ্টার চিনুক (Chinook)।

    ১৭ অগাস্ট নামিবিয়া থেকে কুনো ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে আসা হচ্ছে ৮টি চিতা। এগুলির মধ্যে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) চিতা পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের সূচনা করবেন। ঘটনাচক্রে এই দিনটি আবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও (PM Modi birthday)। এদিনই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে ওই পার্কে। সেই চিতা আনতেই নামিবিয়া গিয়েছে বাঘ মুখ আঁকা বিশেষ বিমান। বিমানে চিতাগুলি নিয়ে আসা হবে জয়পুরে। সেখান থেকে সোজা পার্কে।

    সরকারি সূত্রে খবর, বিমানে করে চিতাগুলিকে প্রথমে জয়পুরে নিয়ে আসা হবে। সেখান থেকে ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের চিনুক হেলিকপ্টারে করে বাঘ প্রজাতির ওই প্রাণীগুলিকে নিয়ে আসা হবে কুনো ন্যাশনাল পার্কে। সরকারি সূত্রে এও জানা গিয়েছে, নামিবিয়া থেকে চিতাগুলিকে কুনো জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি কোনও বিমানবন্দরে নামানোর চেষ্টা চলছে। তা সম্ভব না হলে সেগুলিকে নামানো হবে জয়পুরে। সেখান থেকে অতিথিরা পৌঁছে যাবে কুনো জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে।

    আরও পড়ুন : বাঘ আঁকা জাম্বো বিমানে করে ভারতে আনা হচ্ছে চিতা

    জানা গিয়েছে, ৭০ বছর পরে ভারতে ফের দেখা যাবে চিতা। ১৯৫২ সালে ভারতে চিতাকে বিলুপ্ত প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার পর এই প্রথম নিয়ে আসা হচ্ছে চিতা। চিতা বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডও। বাঘ প্রজাতির এই প্রাণীগুলিকে বাঁচাতে আগামী পাঁচ বছর ধরে তারা খরচ করবে ৫০.২২ কোটি টাকা। এজন্য চলতি বছরের ২ অগাস্ট ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটির সঙ্গে মউ স্বাক্ষরও করেছেন ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্তৃপক্ষ। চিতা আসার খবরে উৎসাহিত কুনো ন্যাশনাল পার্কের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নবাগত অতিথিদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • MiG-21: এবার অবসরের পালা! ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর উড়বে না শ্রীনগরের মিগ ২১-এর ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন

    MiG-21: এবার অবসরের পালা! ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর উড়বে না শ্রীনগরের মিগ ২১-এর ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর নয়, এবার অবসরের পালা। বেলাশেষেও নিজের জাত চিনিয়েছিল ‘মিগ ২১’-র (single-engine MiG-21) ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন। তিনবছর আগে ২০১৯ সালে এই স্কোয়াড্রনের বিমান নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পাকিস্তানের এফ-১৬ ফাইটার জেটকে গুলি করে নামিয়েছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু বয়স হয়েছে। তাই আর পারছে না মিগ-২১। বারবার দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে বায়ুসেনার এই বিমান। তাই সরে যেতে হবে এবার। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আর আকাশে উড়বে না ‘মিগ ২১’-র ৫১ নম্বর স্কোয়াড্রন। শ্রীনগরে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে মোতায়েন এই স্কোয়াড্রনের নাম দেওয়া হয়েছিল  ‘সোর্ড আর্মস’। ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) গর্ব করে এই নাম দেয়।

    আরও পড়ুন: আর নয় মিগ-২১! এই যুদ্ধবিমানকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রকের

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘মিগ ২১’ যুদ্ধবিমানের চারটি স্কোয়াড্রন এখনও রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর নেবে এর একটি। ২০৩০-র মধ্যে ধাপে ধাপে অবসর নেবে আরও ৩টি স্কোয়াড্রন। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (Russia) তৈরি করে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে যুদ্ধের পর এই ফাইটার জেটগুলি কেনে বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: ফের দুর্ঘটনার কবলে মিগ ২১, মৃত দুই পাইলট

    যুদ্ধে বারবার নিজের দাপট দেখালেও মাঝেমাঝেই দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে বায়ুসেনার মিগ-২১। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪০০-র বেশি বার দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে মিগ-২১। উল্লেখ্য, অভিনন্দন যে বিমান নিয়ে মাঝ আকাশে পাক যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ডগ ফাইট করেন সেই মিগ-২১ বাইসনও ভেঙে পড়ে। বিমান থেকে বেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে পড়েন অভিনন্দন। সেখানে পাক সেনা বন্দি করেছিল তাঁকে। পরে অবশ্য চাপের মুখে পড়ে বায়ুসেনার এই অফিসারকে ভারতকে ফিরিয়ে দেয় ইসলামাবাদ। গত বছর ৫ বার দুর্ঘটনায় পড়ে মিগ-২১। মৃত্যু হয় ২ জন পাইলটের। চলতি বছরের ১৭ মার্চ গোয়ালিয়র এয়ারবেসে টেক-অফের পরই ভেঙে পড়ে মিগ-২১। প্রাণ হারান গ্রুপ ক্যাপ্টেন আশিস গুপ্ত। গত ২০ মে রাজস্থানের সুরাটগড়ে  মিগ ভেঙে মৃত্যু হয় ২৮ বছরের স্কোয়াড্রন লিডার অভিনব চৌধুরীর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BrahMos Missile Misfire: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    BrahMos Missile Misfire: ভুল করেই পাক ভূখণ্ডে ব্রহ্মোস! বরখাস্ত বায়ুসেনার তিন অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি বছরের গোড়ায় পাকিস্তানে (pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র (missile) আছড়ে পড়ার ঘটনায় বায়ুসেনার (IAF) তিন অফিসারকে (Officers) বরখাস্ত (termination) করল ভারত (india)। ভুল করেই ওই মিসাইল পাক-ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে।  ওই ‘দুর্ঘটনার’ জন্য এক জন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ও দুজন উইং কম্যান্ডারকে সাসপেন্ড করা হল। বায়ুসেনার ওই তিন আধিকারিককে বরখাস্ত করল প্রতিরক্ষামন্ত্রক। 

    বায়ুসেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘২০২২-র ৯ মার্চ, ভুল করে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তিন জন অফিসারের গাফিলতি নজরে এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিন জন অফিসারকেই এই সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশ ২৩ অগাস্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ সংবাদসংস্থা  সূত্রে খবর, কোর্ট অফ এনকোয়্যারি-তে ধরা পড়ে, ওই তিন জন অফিসার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা SOP ঠিকঠাক মানেননি। সেখান থেকে কিছুটা সরে এসেছিলেন। আর সেই কারণেই ভুল করে ব্রহ্মোস পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে পড়ে। খানেওয়াল জেলার মিয়াঁ চান্নু-তে আছড়ে পড়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।

    আরও পড়ুন: এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে তাসখন্দে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    পাকিস্তান দাবি করেছিল, প্রায় ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে তাদের আকাশসীমার প্রায় ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আসে ওই ক্ষেপণাস্ত্র। আছড়ে পড়ার আগে তার গতিবেগ ছিল শব্দের থেকেও তিনগুণ বেশি। তবে ব্রহ্মোসের মুখে কোনও ওয়ারহেড না থাকায় সেটি ফাটেনি। পাকিস্তান অভিযোগ করে,  ভারতের আকাশসীমা থেকে আসা ওই ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ায় বহু মানুষের ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তানে ভারতের প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠায় ইসলামাবাদ। স্রেফ উদ্বেগ প্রকাশ করা নয়, ঘটনার তদন্তও শুরু করে দেয় পাকিস্তান।

    এরপরই দিল্লির তরফে শুরু হয়  কোর্ট অফ এনকোয়্যারি। সেই এনকোয়্যারির পরই তিন বায়ুসেনা অফিসারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত ভারতের। এদিকে শীঘ্রই এবার ব্রহ্মোস মিসাইল রফতানি করবে ভারত, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। ফিলিপিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর করে ফেলেছেন ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড। তবে কতগুলি মিসাইল রফতানি করা হবে, তা জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India-China military talks: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    India-China military talks: পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে গোপন বৈঠক! আকাশসীমা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আকাশসীমা লঙ্ঘনের ‘অবাঞ্ছিত ঘটনা’ এড়াতে নতুন করে আলোচনা শুরু করল ভারত এবং চিন। সেনা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পূর্ব লাদাখের চুশুল-মোলদো সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত আগেকার চুক্তি ও প্রোটোকল মেনে চলা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয় ভারতীয় সেনার তরফে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) ১০ কিলোমিটারের মধ্যে দু’দেশের আকাশযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে দুই দেশই আপাতত  সম্মত হয়েছে, বলে সেনা সূত্রে খবর।

    বছর পাঁচেক আগে কাজাখস্তানে সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপলক্ষ ছিল, উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে চিনা সেনার হেলিকপ্টারের ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন।

    আরও পড়ুন: আতঙ্কিত চিন! এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ভারতের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনা অনুপ্রবেশ এবং গালওয়ানের সংঘাতের পরে সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নজরে এসেছে চিনা ড্রোন এমনকি, বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা। তা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়েছে দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকেও। জুনের চতুর্থ সপ্তাহে শেষ বার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনা আকাশযানের উপস্থিতি নজরে এসেছে ভারতীয় সেনার।
     
     
    কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পরেও LAC বরাবর মাঝেমাঝেই চক্কর কেটে চলেছে চিনা ফাইটার জেট (Chinese Fighter Jets)। সম্প্রতি একাধিকবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (Line of Actual Control) কাছে প্ররোচনা দিয়ে চলেছে চিনা ফৌজ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা (Indian defence) ব্যবস্থাকে মাপার জন্য বরাবর সক্রিয় চিন। এবার পাল্টা প্রতিরোধ-ব্যবস্থা হিসেবে ওই এলাকায় ফাইটার জেট মোতায়েন করছে ভারতীয় বায়ুসেনাও (Indian Airforce)। একেবারে সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছে ভারত। তাতেই টনক নড়েছে চিনের।
  • S-400 at China Border: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    S-400 at China Border: এলএসি-তে উড়ছে চিনা যুদ্ধবিমান! জবাবে দ্বিতীয় এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (LAC) কাছে চিন সীমান্ত বরাবর এস-৪০০ (S-400) ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন বসাতে চলেছে ভারত (India)। এই বিশাল ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম লাদাখ (Ladakh) সেক্টরে ভারতীয় সেনাকে (Indian Army) আলাদা মনোবল জোগাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) মাঝেমধ্যেই নো-ফ্লাই জোনে যুদ্ধবিমান এবং ড্রোন উড়িয়ে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করে চলেছে চিন, এই মিশাইল বসানো হলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে বলে ধারণা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। চিনের বাড়বাড়ন্তও অনেকটা রোখা যাবে বলে অনুমান। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের (Russia-Ukraine War) পর থেকে রুশ অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু চিনকে আটকাতে এই মিসাইল সিস্টেমটি কেনার ব্যাপারে ভারতকে আলাদা করে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। মার্কিন ক্যাটসা আইন (CAATSA) অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে ভারতকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে রাস্তা নির্মাণে গত পাঁচ বছরে ব্যয় প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

    শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান ও লম্বা পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যুদ্ধ চালাতে  ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) -এর বিকল্প নেই। চিনের সঙ্গে সীমান্তে প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগে রয়েছে এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এই ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পাচ্ছে। এর ফলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবে ভারত। লাদাখ (Ladakh) ও অরুণাচলকে (Arunachal Pradesh) নিশানায় রেখে আগেভাগেই চিন অধিকৃত তিব্বতে দুটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে বেজিং। এ বার ভারতের পালা। রাশিয়া থেকে পাঁচটি স্কোয়াড্রন ভারতে আসছে। খরচ পড়ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেও বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। 

  • Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    Rafale: ৩৬টি রাফালই ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, জানালেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চুক্তি অনুযায়ী ৩৬টি রাফাল (Rafale) যুদ্ধবিমান ভারতের (India) হাতে তুলে দিয়েছে ফ্রান্স (France)। এমনটাই জানালেন ভারতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত এমানুয়েল লেন্যাঁ (Emmanuel Lenain)। 

    যদিও বায়ুসেনা (Indian Air Force) সূত্রের মতে, এর মধ্যে ভারতে এসেছে ৩৫টি। বাকি একটি রাফাল বর্তমানে ফ্রান্সেই রয়েছে। তার ওপর ভারতের দাবি মতো ১৩টি বাড়তি প্রযুক্তিগত উন্নতি সংযোগ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এই যে বিমানটি এখনও ফ্রান্সে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে, আদতে সেটিই ছিল ফ্রান্সের তরফে হস্তান্তর করা প্রথম রাফাল বিমান— যার কোডনেম দেওয়া হয়েছে ‘আরবি০০৮’ (RB-008)। 

    ভারতের প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদৌরিয়ার (Air Chief Marshal RKS Bhadauria) সম্মানে এটির এমন নামাঙ্কন করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে রাফাল কেনা নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে দরাদরি ও চুক্তির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন বায়ুসেনা উপ-প্রধান ভাদৌরিয়া। তার জন্যই তাঁকে এভাবে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ ব্যাচে তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতে আসে। বায়ুসেনা সূত্রের মতে, ফ্রান্সে থাকা শেষ রাফালে ‘ইন্ডিয়া স্পেসিফিক এনহ্যান্সমেন্ট’-গুলোর পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে। এখন ভারতে থাকা বাকি ৩৫টি যুদ্ধবিমানে সেগুলি অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্য এক সূত্রের দাবি, ভারতের রাফালে যে ১৩টি নতুন প্রযুক্তিগত আধুনীকিকরণ যুক্ত করা হয়েছে, তা ফ্রান্সের ব্যবহৃত রাফালেও নেই। এই প্রযুক্তিগুলো শুধুমাত্র ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত রাফালগুলোর জন্যই নির্ধারিত। 

    ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে ফ্রান্স থেকে ৩৬টি দাসো রাফাল মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান (Dassault Rafale Multirole Fighter Aircraft) সরাসরি একেবারে তৈরি অবস্থায় কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) জানিয়েছিলেন, বায়ুসেনার আপৎকালীন প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এর পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টার-গভার্নমেন্টাল এগ্রিমেন্টের (Inter-Govermental Agreement) মাধ্যমে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ।

  • Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    Assam Flood: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একমাসের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আসাম (Assam Flood)। বন্যার জল সামান্য নামলেও, এখনও ২২ জেলার ২২৫৪ গ্রামে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত ১৩৪ জন মানুষ জলে ডুবে বা ভূমি ধ্বসের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গিয়েছে দুই শিশুসহ মোট আট জনের। যে জেলাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, কাছার, চিরাং, দারাং, ধেমাজি, ডিমা হাসাও, গোয়াল পাড়া, গোলাঘাট, হাইলা কান্ডি, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাও, নওগাঁ, নলবাড়ি, শোণিতপুর, তামুলপুর এবং উদালগুড়ি। 

    রাজ্যজুড়ে এখনও ১,৯১,১৯৪ লক্ষ মানুষ ৫৩৮টি আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। ১৮ জেলায় ৭৪,৬৫৫ হেক্টর ফসলের জমি এখনও জলের তলায়। শতাধিক বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ, খাল, বাঁধ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ। 

    বরপেটা জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। ৬,১৪,৯৫০ জন ক্ষতিগ্রস্থ। এরপরেই রয়েছে নওগাঁ, ৫,১৩,০৬১ জন ক্ষতিগ্রস্থ। কাছার জেলায় ৪,৭৭,১৬৫ জন ক্ষতিগ্রস্থ।  

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় মৃত ৮২, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৭ লক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন অমিত শাহের

    পানীয় জলের কষ্ট দেখা দিয়েছে শিলচর জেলায়। শিলচরে ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ পথে ত্রাণ বিতরণ করছে। উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী হাত লাগিয়েছে।

    আনম্যানড এরিয়াল ভেইকেল (UAV) শিলচরে বন্যা কবলিত এলাকার ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। 

    আরও পড়ুন: অসমের চিরাংয়ে দুর্গতদের উদ্ধারে দমকল, যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা

    [tw]


    [/tw]

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার আকাশপথে শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। এই নিয়ে তিনি দুই বার শিলচরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। তিনি বন্যাকবলিত মানুষকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আসাম প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হয়েছে। গত দুদিন বৃষ্টি কমায় জোড় কদমে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমায় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সোমবার আসামের চার জেলায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।    
     

     

LinkedIn
Share